এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  খবর  খবর্নয়

  • জামাল মোমিন এবং ভদ্রলোকেরা

    রৌহিন ব্যানার্জি লেখকের গ্রাহক হোন
    খবর | খবর্নয় | ২৮ মে ২০১৮ | ১৬০৪ বার পঠিত
  • এই লেখাটা লিখতে বসেও চুপ করে বসেছিলাম অনেক্ষণ। ঠিক চুপ করেও না, একটা অসহ্য রাগকে সামলানোর যুদ্ধ চলছিল আসলে মনের ভিতরে। রাগের কারণ একটা ভিডিয়ো ক্লিপিং – যেটা হয়তো আপনারা অনেকেই এতক্ষণে দেখে ফেলেছেন। সেই ভিডিয়ো, যেখানে জামাল মন্ডল নামে একটি ছেলেকে, যে পেশায় দিনমজুর, কয়েকজন তথাকথিত ভদ্দরলোক র‍্যাগিং করছে, বুলিয়িং করছে, মারধোর করছে, স্রেফ নিজেদের মাস্তানি উপভোগ করার উদ্দেশে। মনে হচ্ছিল কী হবে এসব লিখে? মনে হচ্ছিল ওই ট্রেনের কামরায় চলে যেতে পারলে অন্তত: একটু কিছু বলার থাকতে পারত, করার থাকতে পারত। মাথাটা আরেকটু ঠান্ডা হলে আমার ভিতরের অপেক্ষাকৃত হিসেবি আমিটা আবার বলেই দিল যে ওখানে না থাকাটাই আমার পক্ষে ভাল হয়েছে। কারণ চলন্ত ট্রেনে জামালকে ওভাবে অপমানিত, নিপীড়িত হতে দেখেও যে এক কামরা লোক দিব্যি চুপচাপ চলে এল, তারা সবাই, ওদেরই ভাষায় “চুড়ি পরে বসে থাকা” নয়, তারা ওই “ভদ্রসন্তান”দের কেউ পালটা বলতে এলে, এই নির্লজ্জ গুণ্ডাবাজির বিরুদ্ধে বলতে এলে ঠিক এগিয়ে আসত, সেই প্রতিবাদীকে মারধোর করতে, ট্রেন থেকে ফেলে দিতে। এক্ষেত্রে এগিয়ে আসেনি কারণ এই গুণ্ডাবাজির মূল সুরটা তারা সমর্থন করে, “এগুলোর সাথে এরকমই হওয়া উচিৎ” বলে মনে করে। সক্রিয় অংশগ্রহণ না করলেও মনে মনে এই নিগ্রহে সামিল হয়। কারণ তারা ভদ্রলোক, এরা অপর। একে দিনমজুর, তায় মুসলমান, ছোটলোক, ব্যাটা সাহস পায় কীক'রে ভদ্রলোকেদের সীটে এসে বসার?

    মালদা – কালিয়াচক। তস্য পিছিয়ে পড়া হলেও নামটা এখন আর প্রায় কারোই অজানা নয়। এখানেই নাকি “দাঙ্গা”য় মারা গেছিল “শ'য়ে শ'য়ে হিন্দু”। ধূলাগোড়ি, বাদু’র মতই এখানেও নাকি মাদ্রাসায় মাদ্রাসায় তৈ্রি হয় ইসলামি জঙ্গী। ভদ্রলোকেরা এদের “জিহাদী” বলতে ভালবাসেন। তো হতেও পারে সেই “জিহাদী”দেরই একজন এই জামাল। হতেই পারে কারণ তার বাড়িও কালিয়াচক। সেও গুজরাটে যায় রুজিরুটির তাগিদে। এবং সে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নাম জানে না। তাকে যারা “ইন্টারোগেশন” করছিল, তারা অবশ্য আশা করেছিল নওয়াজ শরীফের নাম নিশ্চই জানবে, তাদের এভাবে হতাশ করা ওই জিহাদী জঙ্গীর উচিৎ হয়নি একথা অনস্বীকার্য। এবং সে জনগণমন জানলেও সেটাকেই যে “জাতীয় সঙ্গীত” বলে সেটা জানে না। এত অপরাধের পর তাজা ছেলেরা নাহয় দু-চারটে থাবড়াই মেরেছে। এটুকুও মারা যাবে না, ভারত মাতার নামে?

    যাবে, খুব যাবে, এবং যাবে যে সেটা ওরা জানে। জানে যে এটাই এখন এদেশের দস্তুর। জানে যে এক কামরা লোক চুপচাপ বসে দেখবে এবং মনে মনে ওদের সাথেই এই মারধোরে অংশ নেবে। এখনো খুব বেশীদিন তো হয়নি, ঈদের বাজার করে ফেরার পথে একটা পনেরো বছরের বাচ্চাকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল চলন্ত ট্রেন থেকে, ফলে বাচ্চাটি মারা যায়। কেউ গ্রেপ্তার হয়নি সেই ঘটনায় – এবং বহু লোক, হ্যাঁ এদেশের বহু লোক, আমার আপনার স্বদেশবাসী সে ঘটনা প্রত্যক্ষে বা পরোক্ষে সমর্থন করেছিল। আরও অল্পদিন আগে আফরাজুল খান, তার গ্রাম সৈয়দপুর এই কালিয়াচক থেকে খুব বেশি দূরে নয়, ভা্রি সভ্যভব্যভাবে খুন হয়েছিল। তার খুনী শম্ভুলাল এখনো এই বাংলাতেও বহু স্বদেশবাসীর কাছে বীরের সম্মান পায়। মাত্র কিছুদিন হল আমরা আসিফার শিশুমুখের ছবি দেখেছি, তার হত্যাকারীদের স্বপক্ষে আমাদের শাসক দলের জনতার দ্বারা নির্বাচিত নেতারা মিছিল করেছিল। সেখানে এ তো সামান্য দু-চারটে চড় থাপ্পড় – খুনখারাপি তো হয়ই নি। ট্রেন থেকেও ফেলে দেয়নি। এগিয়ে বাংলা।

    জামালের বৌএর নাম জুলেখা মোমিন। একটা মেয়ে আছে ওদের। আরে অবাক হবেন না – একটাই। একপাল নয়। তা সেই মেয়ে আর বৌ কে নিজের এই হেনস্থার কথা আর জানিয়ে উঠতে পারেনি জামাল। কী বা বলত? যে কয়েকজন বাবু ট্রেনে আমাকে পড়া ধরেছিল, বলতে পারিনি বলে মেরেছে? ও সেটা বলে উঠতে পারেনি। বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের ( এরপর বা স ম বলে উল্লেখ করা হবে) লোকজন যখন মহেশপুর গ্রামে (কালিয়াচক থানা) জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেন বিষয়টা নিয়ে, তখন তারা প্রথম জানতে পারে। এবং জুলেখাকে নিয়ে সংস্কৃতি মঞ্চের পক্ষ থেকে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি এফ আই আর দায়ের করা হয় কালিয়াচক থানায়, বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের পক্ষ থেকে। জামাল মোমিন ফোনে বা স ম এর নাজিবুর রহমানকে জানিয়েছেন যে ওই ভিডিয়োটা তোলার আগে তাঁকে মারধোর করা হয় এবং মূলত: তাঁর বসার জায়গাটা নিয়েই ঝামেলা শুরু হয়েছিল। এরপরে ওই “প্রশ্নোত্তর পর্ব” শুরু হয় যেখানে আমরা সবাই দেখেছি, সারাক্ষণ প্রশ্নকারী অত্যন্ত নোংরা ভাষায় জামালের সঙ্গে কথা বলে গেছে, এবং অন্তত: দুবার তাকে থাপ্পড় মারা হয়েছে। জামালের তরফ থেকে এমনকি জোর গলায় একটা কথাও আসেনি। এবং বীর প্রশ্নকারীর কথামত ভারত মাতা কি জয় থেকে জনগণমন সবই বলেছে। মন্দির ওহি বানায়েঙ্গে টা অবশ্য বলতে বলা হয়নি, কেন কে জানে।

    কিছুদিন আগে পঞ্চায়েত ভোটের সার্বিক সন্ত্রাসের আবহে একজন ভোটকর্মী মারা যান। রাজকজমার রায়, স্কুলশিক্ষক। সরকার মৃত্যুটাকে আত্মহয়্যা বলে চালানোর চেষ্টা করলেও সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ আছে যে সেটি আত্মহত্যা ছিল না। সেই বিষয় নিয়ে খুব ন্যায্যভাবেই তোলপাড় হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া এবং নাগরিক সমাজ। প্রতিবাদকারী শিক্ষকদের ওপর নেমে এসেছে শাস্তির খাঁড়া – তবুও প্রতিবাদ থেমে থাকেনি। কিন্তু তার ক'দিন আগেই গড়িয়া স্টেশনের কাছে সুলতানা নামের একটি মেয়ে প্রথমে ধর্ষিতা ও পরে খুন হলেন, তাঁর টুকরো করে ফেলা হাত পা ছড়িয়ে পড়ে থাকল পথে – এ নিয়ে কিন্তু প্রায় কিছুই শোনা গেল না। জামাল মোমিনের ঘটনাটাও ঘটে গেছে প্রায় এক সপ্তাহের ওপর – এখনো অনেকে জানেনই না বিষয়টা। না এটা কোন হোয়াট অ্যাবাউটারি নয়। রাজকুমারবাবুর মৃত্যু একইরকম ন্যক্কারজনক, এবং যারা সেটার প্রতিবাদ করছেন তাদের অন্য সব বিষয়ের প্রতিবাদে মাঠে নামতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু একটু নজর করে দেখলেই এখানে একটা প্যাটার্ণ আমরা দেখতে পাই, যা প্রায় অবভিয়াস। জামাল বা সুলতানা, দুজনেই তথাকথিত “ছোটলোক” এবং সংখ্যালঘু (পড়ুন মুসলমান)। না এদের জন্য তাই বিক্ষিপ্ত প্রতিবাদ শুধু – সোশ্যাল মিডিতা উত্তাল হয়ে ওঠে না। কারণ এরা “আমরা” নই – এরা অপর।

    এই অ্যালিয়েনেশন, নিজেদের পৃথক ভাবার প্রবণতা বহু প্রজন্ম ধরেই আমাদের মধ্যে পালন করে চলেছি আমরা – এখন খালি ওই যাকে বলি অনুকূল জল হাওয়া, তার সুবাদে এগুলি প্রকাশ্যে আনতে দ্বিধাবোধ করিনা, জানি এটা সামাজিকভাবে গৃহীত এখন। প্রতিবাদ করতে গেলে, জামালদের হয়ে কথা বলতে গেলে আপনাকে “পাকিস্তানে চলে যান” শুনতে হতেই পারে। তবে কিনা শুনলাম তো অনেক – এবার মনে হয় পালটা বলা দরকার যে না, আমি পাকিস্তান যেতে রাজি নই। এই দেশ, এই মাটি, এই সংস্কৃতিকে তোমাদের চেয়ে অনেক বেশি ভালবাসি, বুঝি, আমি, আমরা। অতএব যেতে হলে তোমরা যাবে – আমাদের জলজমিন ছেড়ে, যেখানে খুশি, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট যে চুলোয় চাও। আমরা এখানেই থাকব, জামালরা এখানেই থাকবে, সুলতানারা থাকবে। কারণ বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি, বুঝে নিক দুর্বৃত্ত।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • খবর | ২৮ মে ২০১৮ | ১৬০৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • প্রতিভা | ***:*** | ২৮ মে ২০১৮ ০৫:২৭83789
  • সহমত। ধিক্কার জানাই প্রশাসন ও অমানুষদের।
  • সুকণ্ঠ দাস | ***:*** | ২৮ মে ২০১৮ ০৫:৪৬83790
  • রৌহীন ভাই এর কথাগুলো ভীষন ভাবে নাড়া দেয়। আমি ওনাকে follow ও করি। সহিষ্ণুতা ফিরিয়ে আনতে আমি সব সময় পাশে আছি। আমি ফারাক্কায় থাকি, ফোন নম্বর 8250316434
  • amit | ***:*** | ২৮ মে ২০১৮ ০৫:৫৯83791
  • বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি বলার মতো সাহস অন্তত আমার নেই আর। ছোটবেলা থেকে এক সাথে বড়ো হয়ে ওঠা বন্ধু বান্ধব দের, স্কুল কলেজের হোয়াটস্যাপ গ্রুপস এ যেসব কথা ঘুরে বেড়ায় আজকাল, সেগুলো শুনলে বাঙালি যে আদৌ জাতপাত, ধর্ম নিয়ে অর্থোডক্স বা নয়, সেটা আর বলা যায় না। আর তারা সবাই মাছভাতের বাঙালি, কেও উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট থেকে আসে নি। তাই তাদের কে সেখানে ফেরত পাঠানো যাবে না।

    সত্যি এটাই যে জাতপাতের ভূত সর্ষের মধ্যে অনেক আগেই থেকেই ছিল, এসব বাইরের আমদানি, আমরা নিস্কলুষ ভদ্রলোক, এসব বলে কোনো লাভ নেই। এখন সার-জল পেয়ে সেই ফিলিংস পুরো চারাগাছ মেলছে। এটাই আসল রূপ।লড়াই করতে হলে সেটা জেনেই করতে হবে। বাইরের জুজুর সাথে লড়ে লাভ নেই।
  • রৌহিন | ***:*** | ২৮ মে ২০১৮ ০৬:২১83792
  • না কেউ বাইরে থেকে আমদানি এমন কথা একবারও বলিনি। "এই অ্যালিয়েনেশন, নিজেদের পৃঘক ভাভার প্রবণতা বহু প্রজন্ম ধরেই লালন করে চলেছি আমরা" - এটা জানা আছে। কিন্তু এখন যখন এই ভাবনাগুলো ওই "অনুকুল জলহাওয়ায়" ডালপালা মেলছে, এবার বলার সময় এসে গেছে যে যে চুলোয় খুশী যাও। আর সহ্য করব না। উ:প্র:, গুজরাট এসব উদাহরণ মাত্র
  • সুতপা | ***:*** | ২৮ মে ২০১৮ ০৭:৫৫83793
  • লেখাটির সাথে সহমত। অকারন দুর্বলের ওপর অত্যাচার, সে সংখ্যালঘু হলে তো় আরো় নিরাপদ টার্গেট, এই দুষ্টচক্র নিয়ে রাস্তায় নামা প্রয়োজন স্বীকার করি। কিন্তু আরেকটি হিংটিংছট প্রশ্নও আছেও, নিহিত। অন্যরাজ্যে কাজের খোঁজে গিয়ে মৃত ছেলেটিকে নিয়ে সরকারী যে প্রতিবাদ ও ততপরতা, তার বিন্দুমাত্রও দেখা গেলে জামাল বা সুলতানার নিপীড়ক পুলিশের হেফাজতে থাকতো। সুলতানার ক্তেত্রে কিন্তু শুনেছি শাসকদলের ছায়া আছে অপরাধীদের মাথায়! এখানেও কি? তবে যারা কুম্ভীরাশ্রু বইয়ে দেন তাদেরকে লোকদেখিয়ে ইফতারে যোগ দেওয়া বয়কট করুন। প্রতিবাদ শুরু করুন সংখ্যালঘু, মা কসম, সুবিধাবাদী পা চাটা শ্রেনী ছাড়া সব্বাই সে আন্দোলনে পাশে থাকবে বলেই আমার অন্তর্গত বিশ্বাস।
  • স্বাতী রায় | ***:*** | ২৮ মে ২০১৮ ১১:৪৬83794
  • অমিতের বক্তব্যের সঙ্গে পুরো একমত. নিজের নিকটবৃত্তের মধ্যেই যেসব ভাষ্য শুনি! কি ভাবে যে রুখে দাঁড়ান যায় তাও জানি না. যুক্তির সঙ্গে লড়া যায়, বিশ্বাসের সঙ্গে লড়ে কিভাবে? কেউ কোন পূর্ণবয়স্ক লোকের মতামত পাল্টাতে পেরেছে কখনো, যদি না কোন এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর থাকে?
  • pi | ***:*** | ৩০ মে ২০১৮ ০৪:৫৩83795
  • আপডেটগুলোও আসুক একটু।
  • pi | ***:*** | ০১ জুন ২০১৮ ০৩:১৩83796
  • এই লেখাটা প্রথম পাতায় খুলছে না কেন কে জানে!

    যাহোক, আজ প্রেস কনফারেন্স আছে, প্রেস ক্লাবে, চারটের সময়। বাংলা সাংস্কৃতিক মন্চ থেকে।
  • সিকি | ***:*** | ০২ জুন ২০১৮ ০৫:০৯83797
  • টইপত্তরের লিঙ্ক থেকেও এটা খোলা যাচ্ছে না। মোবাইল ভার্সনে।
  • PT | ***:*** | ০৩ জুন ২০১৮ ০৩:৪৬83799
  • "বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের উদ্যোগে থানায় এফআইআর হয়েছে।......
    আট বছর আগে কাজের খোঁজে এই বাংলা থেকেই গুজরাতে গিয়েছিলেন জামাল। সেখানে কখনও সাম্প্রদায়িক বিষের শিকার হননি। শিকার হলেন এই বাংলায় ফিরে।"
    https://www.anandabazar.com/state/jamal-momin-shares-his-horrible-train-experience-dgtl-1.809410

    এটা পরম লজ্জার যে জামালের হেনস্তা গুজরাতে হয়নি-বাংলায় হয়েছে। আর মূলতঃ যে সংখ্যালঘুদের ভোটে রাজ্যের এই সরকারটা বেঁচে আছে তাদের দিক থেকে অপরাধীদের চিহ্ণিত করে শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে বিশেষ গা নেই। যে কারনে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চকে উদ্যোগ নিতে হয়েছে।
    এই ব্যাপারটা কেউ ব্যাখ্যা করতে পারেন?
  • | ***:*** | ০৩ জুন ২০১৮ ১২:৩১83798
  • কিন্তু লেখা না খুললে তো কমেন্টও হবে না, পুরো পেজ নট ফাউন্ড দেখাচ্ছিল কাল। রাতে ঠিক হল।
  • সৈকত দত্ত | ***:*** | ০৪ জুন ২০১৮ ০৪:২৭83800
  • খুব ভালো লেখা । পড়ে ভালো লাগল; ভালো লাগল এটা ভেবে যে এখনও কেউ কেউ এরকম লেখা লেখবার সাহস করতে পারছে ।
    কিন্তু এই ভালো লাগাটা সাময়িক । তারপরেই আবার সেই হতাশা আর অবসাদ ফিরে আসে ।
    কি লাভ ? ক'জন পড়বে এই লেখা । আর পড়লেও ক'জনের মনে এটা রেখাপাত করবে ?
    খবরের কাগজে রোজ একই ধরণের খবর । টাইমস্‌ অফ্‌ ইন্ডিয়ার সমীক্ষা বলছে যে এখনও নাকি সত্তর শতাংশরও বেশি মানুষ নরাধম মোদির সমর্থক !
    বলতে বাধ্য হচ্ছি: চারপাশে নিরন্ধ্র অন্ধকার ছাড়া কিচ্ছু দেখতে পাচ্ছিনা
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন