এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • শাশ্বতী ঘোষ এবং তাহাদের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি

    দেবব্রত চক্রবর্তী লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | ১৬১০ বার পঠিত
  • মঙ্গলবারের ( ২রা ফেব্রুয়ারি ) আনন্দবাজার পত্রিকায় ‘কার মানবাধিকার? নৃশংস ধর্ষকের?' এই শিরোনামে শাশ্বতী ঘোষ একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন। লেখাটি কেবলমাত্র শাশ্বতী ঘোষের হোলে কথা ছিল কিন্তু লেখাটি রক্তের বদলে রক্ত,চোখের বদলে চোখ,বদলার পবিত্র কর্তব্যের সমর্থকগণের আধুনিক উচ্চারণ। সে উচ্চারণ করুন। গণতান্ত্রিক দেশে সীমিত দুই একটি ক্ষেত্র বাদ দিয়ে যে যা খুশী উচ্চারণ করতেই পারেন। কিন্তু তা যদি হয় ধর্ষণের ঘটনার বাহানায় মৃত্যুদণ্ড নামক বর্বরতার সমর্থনে মত প্রচার অথবা কিছু কিছু ক্ষেত্রে ( এক্ষেত্রে ধর্ষণ এবং হত্যা ) মানবতাবাদ সুরক্ষার সপক্ষে সমর্থন আদপে অন্যায় এই বলে সদর্পে ঘোষণা -তাহলে আমাদের শাশ্বতী ঘোষ কে মনে করিয়ে দেওয়া উচিৎ সিলেক্টিভ মরালিটি এবং বিশুদ্ধ দ্বিচারিতা সমার্থক। যে কোন গুরুতর অপরাধ,লুণ্ঠন, হত্যা এবং ধর্ষণ যদি নিন্দনীয় হয় তাহলে সেই মরাল জাজমেন্ট সর্বক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হওয়া উচিৎ। কামদুনির ঘটনার চরম দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করব আর আসাম রাইফেল দ্বারা মনোরমার ধর্ষণ এবং হত্যার বিষয়ে পাথরের নীরবতা অবলম্বন করব এ এক বিশুদ্ধ দ্বিচারিতা বই অন্য কিছু নয়। যে কোন নৈতিকতার প্রাথমিক এবং মূল শর্ত তার সার্বজনীনতা -কারো জীবন নেওয়া যদি গুরুতর অপরাধ হয়,তাহলে সর্বক্ষেত্রেই তা সত্য হওয়া উচিৎ। পেটি সমাজবিরোধীর চাকুর আঘাতে হত্যা,অথবা পুলিশের গুলির আঘাতে মৃত্যু,ডাক্তারের হাতে সুচের ঘায়ে হত্যা অথবা রাষ্ট্রের ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়ে হত্যাও একই অপরাধে অপরাধী। হত্যা হত্যাই। এক হত্যার শাস্তি হিসাবে ফাঁসিকাঠে অথবা প্রকাশ্যে পাথর ছুঁড়ে হত্যা সেই মরাল জাজমেন্টের প্রাথমিক এবং মূল শর্ত -সার্বজনীনতাকে অস্বীকার করে। 

    গুরুতর অপরাধের শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ডর ইতিহাস আজকের নয় বরং আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের বহুপূর্বের প্র্যাকটিস। হত্যাকারীকে এবং তার গোষ্ঠীকে যতক্ষণ না সমপরিমাণ পাল্টা হত্যার মাধ্যমে প্রতিশোধ নেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ শান্তি নেই। হত্যার বদলে হত্যা,রক্তের বদলে রক্ত এবং আঘাতের পরিবর্তে সমপরিমাণ আঘাত এক স্বর্গীয় বিধান। পূর্বপুরুষের প্রতি ধর্মীয় কর্তব্য। এই অবশ্য পালনীয় কর্তব্য প্রকাশ্যে,দিবালোকে এবং সর্বজনসমক্ষে হওয়াই বাঞ্ছনীয়। এই বর্বরতার স্বপক্ষে স্বয়ং ভগবান বিভিন্ন রূপে,বিভিন্ন যুগে অবতীর্ণ হয়েছেন। হত্যার বদলে হত্যা,রক্তের বদলে রক্ত এবং আঘাতের পরিবর্তে সমপরিমাণ আঘাত নামক জাস্টিস এর সমর্থনে বিভিন্ন এপিক লেখা হয়েছে দেশে দেশে। ঊরুভঙ্গ না হওয়া পর্যন্ত পাঞ্চালী চুল না বাঁধার পণ রেখেছেন। এই জাস্টিস এবং তার সাইকি বিনা প্রশ্নে চারিয়ে গেছে আমাদের রক্তে ধর্ম,সংস্কৃতি,শিক্ষা এবং সমাজনীতির মাধ্যমে। তাই শাশ্বতী ঘোষ এবং তাহারা প্রতিশোধ স্পৃহা এবং মৃত্যুদণ্ডের সমর্থনে অন্যায় কিছু দেখছেন না বরং মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা তাদের কাছে বিমূর্ত মানবাধিকারের সমার্থক। 

    সমাজের বিবর্তনের সাথে সাথে মৃত্যুদণ্ডের গুরুত্ব ক্রমশ কমেছে,এমনকি তথাকথিত বর্বর সমাজও উপলব্ধি করছে মৃত্যুদণ্ড কোন সমাধান নয়। যে হত্যা বা ধর্ষণ তাৎক্ষনিক উত্তেজনায় অথবা পরিকল্পনার ফল হিসাবে ঘটে গেছে তা পাল্টা হত্যা বা ধর্ষণের মাধ্যমে পরিপূরণ করা অবাস্তব। মৃত্যুদণ্ড অপরাধীর প্রকৃত কোন সাজা বা আদৌ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নয়। অনুশোচনার,পরিবর্তনের ক্ষেত্র এক লহমায় ছিনিয়ে নেওয়া,প্রতিশোধ পরিপূরণ মাত্র। বর্বর সমাজ তাদের অভিজ্ঞতা থেকে অর্জিত জ্ঞানে ক্রমে মৃত্যুদণ্ডের অসারতা থেকে সরে এসেছে ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির রাস্তায়। এ কোন গোবর খেয়ে বা পুরোহিত দক্ষিণায় প্রায়শ্চিত্ত করে পাপস্খালনের তঞ্চকতা নয় বরং ক্ষতিপূরনের পরিমাণ এতো বেশী যা অপরাধীকে সারা জীবন ধরে শোধ করতে হবে এবং প্রত্যহ তার অপরাধের গভীরতা তাকে স্মরণ করাবে। অনুশোচিত করবে,রত্নাকর থেকে বাল্মীকিতে পরিবর্তনের সুযোগ দেবে এবং ক্ষতিপূরণের বীভৎস পরিমাণ বাকিদের অপরাধের প্রতি নিরুৎসাহিত করবে। এ হোল প্রকৃত অর্থে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। হত্যার মত অপরাধের ক্ষেত্রে এই ক্ষতিপূরণের পরিমাণ হত্যাকারীর সমস্ত সম্পদের কয়েকগুণ - কিছু কিছু আফ্রিকান ট্রাইবদের ক্ষেত্রে ৮০০টি গরু অথবা ১০০টি উঠ,গরীব আদিবাসীদের ক্ষেত্রে ৪১৬টি ভেড়া ইত্যাদি। অপরাধী জানে সারাজীবনেও এই পরিমাণ ক্ষতিপূরণ তার পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয় -সুতরাং যে পরিবারের বিরুদ্ধে সে অপরাধ সংগঠিত করছে সেই পরিবারের দাসশ্রমিক হিসাবে তাকে সারাজীবন খেটে যেতে হবে। এমনকি এখনো ককেশাসে অপরাধ ঘটে যাওয়ার পর অপরাধী যে পরিবারের বিরুদ্ধে অপরাধ ঘটিয়েছে সেই পরিবারের সব থেকে বয়স্কা মহিলার স্তন ঠোঁট দিয়ে স্পর্শ করে পুরো পরিবারের ‘ মিল্ক ব্রাদারে’ পরিবর্তিত হয়। পরবর্তীতে পরিবার তাদের সমস্ত ক্রিয়া কর্মে এবং সামাজিকতায় অপরাধীকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়। বিভিন্ন আফ্রিকান উপজাতিতে অপরাধী তার বোন অথবা কন্যাকে যে পরিবারের বিরুদ্ধে অপরাধ ঘটিয়েছে সেই পরিবারে বিয়ে দিতে বাধ্য থাকে,অথবা হত্যার কারণে পরিনত বিধবাকে বিবাহে বাধ্য হয়। এখন আমরা তো আর বর্বর আফ্রিকান অথবা ককেশীয় আদিবাসী নয় -যে আমরা অপরাধীকে সমাজে প্রতিষ্ঠাপিত করব,অনুশোচনার সুযোগ দেব,রত্নাকর হতে বাল্মীকিতে পরিবর্তনের জমি প্রস্তুত করার উদারতা দেখাবো অথবা মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে বিপুল ক্ষতিপূরণের দৃষ্টান্তমূলক রাস্তা নেব। তাই শাশ্বতী ঘোষ এবং তাহারা - শিক্ষিত,সভ্য উন্নত মানব প্রজাতি আমাদের কাছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসাবে উপস্থিত করেন মৃত্যুদন্ডের যৌক্তিকতা অতি আধুনিক কেউ কেউ আবার লিঙ্গচ্ছেদের সপক্ষে উচ্চকণ্ঠ। 

    রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা,তার আধিপত্য,ক্ষমতা এবং হাইরার্কিকাল সিস্টেমের বিস্তারের সাথে সাথে মৃত্যুদন্ডের বিস্তার প্রাধান্য পেতে শুরু করে। আইনের এবং সাজা দেওয়ার অধিকারের একছত্র অধিকার রাষ্ট্রের হাতে নস্ত্য হতে থাকে। ফিরে আসে ব্রুটালিটির উৎকর্ষতা। গরম জলে চুবিয়ে মৃত্যুদণ্ড। ক্রুশেবিদ্ধ যিশু। ঘোড়ার পদতলে পিষ্ট করে হত্যা। পাথর ছুঁড়ে। অল্প অল্প করে অঙ্গচ্ছেদ করে। আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হাজারো উইচ। করাত দিয়ে কেটে এবং scaphism। এ হোল মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ক উৎকর্ষ থেসিসের সামান্য নমুনা। অভিজাত প্রতিনিধিদের রক্ত মাটিতে স্পর্শ করার পাপ থেকে বাঁচতে চেঙ্গিস খানের পুত্র ‘খিলাফত’কে পার্সিয়ান গালিচায় মুড়ে তার ওপরে সমস্ত আস্তাবলের ঘোড়া ছেড়ে দিয়েছিলেন। আজকে যারা যৌনাঙ্গ কর্তনের সপক্ষে তাদের তুলনায় আমাদের পূর্বপুরুষরা মৃত্যুদণ্ডের ক্ষেত্রে অনেক বেশী উদ্ভাবনীশক্তির অধিকারী ছিলেন বলতেই হচ্ছে। আমাদের এই গণতান্ত্রিক যুগে আর যাই হক আমরা অনেক মানবিক। আমরা এখন লিথাল ইঞ্জেক্সান দিয়ে থাকি। আমরা আবিষ্কার করেছি ইলেকট্রিক চেয়ার,গ্যাস চেম্বার,ফায়ারিং স্কোয়াড এবং লোকচক্ষুর আড়ালে ফাঁসি। যদিও এখনো মধ্যযুগীয় কিছু কিছু দেশ মস্তক কর্তন বা পাথর ছুঁড়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে থাকে কিন্তু আমরা তো তাদের বর্বর বলে নিন্দা মন্দও করে থাকি,ফেসবুক পোস্ট করি -আহা মানবিকতা বলে একটা কথা আছে তো? 

    শাশ্বতী ঘোষেরা ভুলে যান যে অপরাধ কোন সমাজবিচ্ছিন্ন ঘটনাবলী নয়। অপরাধ প্রবনতা কোন বিশেষ গোষ্ঠীর বা মানব সমাজের জন্মগত গুণও নয়। কেউই অপরাধী হয়ে জন্মগ্রহণ করেন না। বিভিন্ন সামাজিক পরিস্থিতি,সংস্কৃতি এবং ব্যক্তিগত ফ্যাক্টর,অর্থনৈতিক কারণ অপরাধের পেছনে কাজ করে। রাষ্ট্র এই সমাজবিরোধী পরিবেশ,হত দরিদ্র শ্রমিক,মদের ভাঁটি,ভেড়ীর বাঁটোয়ারা,বেশ্যাপল্লি,বে আইনি আফিম চাষ এবং অপরাধের ধাত্রীভূমির সমস্ত কিছুর থেকে লাভ উপার্জন করে,অথচ এই ভয়ঙ্কর সামাজিক পরিস্থিতির কারণে যদি কোন অপরাধ সংগঠিত হয় তাহলে দিব্যি দায় ঝেড়ে ফেলে সমস্ত অপরাধের দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হয় ব্যক্তি অপরাধীর ঘাড়ে। শাশ্বতী ঘোষও তাই করেছেন। এখন যে কোন অপরাধের পেছনে যদি কেবলমাত্র ১%ও সামাজিক কারণ দায়ী থাকে তাহলে অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড শোনানো যায়না। সে বিচার পক্ষপাতদুষ্ট এবং সামাজিক পরিবেশের কারণে অপরাধী সৃষ্টির যে আংশিক দায় সে দায় কে অস্বীকার করা। 

    যেমন ধর্ষণের ক্ষেত্রটি হল ক্ষমতা প্রদর্শন,পিতৃতান্ত্রিক আধিপত্যবাদি ব্যবস্থা এবং যৌনতা বিষয়ক সামাজিক বিধিনিষেধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। অথচ দেখুন ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রায়, পশ্চিম আফ্রিকার কিছু কিছু সমাজে ধর্ষণ পূর্ণ মাত্রায় অনুপস্থিত। পাহাড়ি জনজাতি এবং আদিবাসী সমাজের মধ্যে ধর্ষণ নগণ্য এবং যে সমস্ত সমাজে এখনো পিতৃতান্ত্রিকতার প্রভাব অপেক্ষাকৃত কম এবং যৌনতা বিষয়ে নৈতিকতার বাধানিষেধ কম সেই সমাজে ধর্ষণও কম। ধর্ষণের সামাজিক ভিত্তি তৈরি হয় যৌনতাবিষয়ক নৈতিকতার নাগপাশে। মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কুমারীত্ব হরণের অধিকারকে স্বর্গীয় মাধুর্য দেওয়ার নামে,হাজারো নিমন্ত্রিত অভ্যাগতের সমারোহে আমরা যখন তার বিয়ে দিই,সে যখন অচেনা পুরুষের জৈবিক তাড়নার কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় প্রকৃতঅর্থে আমরা তখন থেকেই বলাৎকারের জমি প্রস্তুত করতে থাকি। কোন জৈবিক আচরণ স্বাভাবিক আর কোনটা অসভ্যতা তার পাঠ জীববিজ্ঞানে নেই;আছে সমাজবিজ্ঞানে,মরালিটিতে। আর এই নৈতিকতার শিক্ষার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সাধুতার নামে কপটতা। পিতৃতান্ত্রিকতার দার্শনিকতা। যে পাশবিক লিঙ্গপরায়ণতা কে এতো দোষারোপ,লিঙ্গচ্ছেদের মাধ্যমে শাস্তি প্রদানের সদিচ্ছা সেই লিঙ্গমূর্তিকেই ব্রহ্মাণ্ডের কেন্দ্রস্থল হিসাবে স্বীকৃতিদান,পূজা পাঠ ইত্যাদি সেই কপটতার অন্যতম পুরাণ। পুরুষের একটি বিশেষ স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া,স্ফিতলিঙ্গের উপরেই যাবতীয় মাহাত্ম্যপ্রদান। অন্য ধর্মের ক্ষেত্রে লিঙ্গের অগ্রত্বক ছেদনের অনুষ্ঠান একই মুদ্রার অন্য দিক। ধর্মের মাধ্যমে এই যে নৈতিকতার শিক্ষাদান তার মাধ্যমে সমাজ উৎপাদন এবং তৃপ্তির অগ্রাধিকার পুরুষকেই দিয়ে রেখেছে।তাকেই যথাসময়ে উত্তেজিত হতে হবে,উদীপ্ত হতে হবে এবং শেষ পর্যন্ত মাত্র ১মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের মধ্যে শুক্র রোপণ করার দায়িত্ব নিতে হবে। বদলে সে পাবে ক্ষণিক মৃত্যুর সুখ আর উৎপাদনের প্রতিশ্রুতি। নারী যদি সেই সুখ উপভোগ নাও করে,তাতে কি এসে যায়? যে যৌন সঙ্গম নারী উপভোগ করেনা,যেখানে তার সম্মতি নেই,প্রেমও নেই তা নিশ্চয়ই বর্বরতা এবং সময়বিশেষে নৃশংসতাও। সম্মতিহীন বর্বর এই ধর্ষণ অধিকাংশ পরিবারের প্রাত্যহিকতা - শাশ্বতী ঘোষ এবং তাহারা মৃত্যুদণ্ড চাইবেন তো? অন্তত কমপক্ষে লিঙ্গছেদ? ধর্ষণ ক্ষমতা প্রদর্শন নিশ্চয়ই,শাশ্বতীর সাথে সহমত কিন্তু এক ধর্ষণের শাস্তি হিসাবে ফাঁসিকাঠে অথবা প্রকাশ্যে পাথর ছুঁড়ে হত্যার সমর্থন অন্য ধর্ষণের ক্ষেত্রে নীরবতা সেই মরাল জাজমেন্টের প্রাথমিক এবং মূলগত শর্ত -সার্বজনীনতা অস্বীকার করে এবং সেই কারণেই বিশুদ্ধ দ্বিচারিতা। 

    মৃত্যুদণ্ড কেন? যুক্তি হিসাবে বলা হয়ে থাকে জঘন্য অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি,যাতে অন্যরা এই ধরনের অপরাধ করার পূর্বে তিনবার ভাবে। ১৮৫৩ সালে নিউইয়র্ক ডেইলি ট্রিবিউনে মার্ক্স এই বিষয়ে একটি প্রবন্ধ লেখেন,স্বভাবসিদ্ধ ভাবে তথ্য সহকারে দেখান যে মৃত্যুদণ্ড দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি তো দূরের কথা উল্টে মৃত্যুদণ্ডের কারণে অপরাধ বৃদ্ধি পায়। জঘন্য অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ড যে অকার্যকারী এ বিষয়ে মার্ক্সই যে প্রথম লক্ষ করেছেন তা নয় কিন্তু মৃত্যুদণ্ডের অকার্যকারিতা বিষয়ক মতামত সৃষ্টিকারীদের মধ্যে মার্ক্স অন্যতম ( লেনিনের এ বিষয়ে দ্বিচারিতা এখানে আলোচ্য নয় )। আমেরিকায় মৃত্যুদণ্ড বিরোধী আন্দোলনের পুরোধা ডঃ বেঞ্জামিন রাশ তথ্য সহকারে প্রমাণ করেন অষ্টাদশ শতকের গণমৃত্যুদণ্ড উল্টে সেই সময়ে অপরাধের বৃদ্ধি ঘটিয়েছে। সম্প্রতি আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বলেছেন ‘despite 30years of empirical research in the area, there remains no statistical evidence that capital punishment in fact deters potential offenders’। Amnesty International আমাদের বলছেন “during the last 20 years, the homicide rate in [US] states with the death penalty has been 48 to 101 percent higher than in states without the death penalty”। পৃথিবীর ১০২টি দেশে মৃত্যুদণ্ড অবর্তমান কিন্তু সেই সমস্ত দেশে ধর্ষণ অথবা হত্যার বন্যা বয়ে যাচ্ছে এইরকম তথ্যতো পাওয়া যাচ্ছেনা। এখন সবাই তথ্যে বিশ্বাস রাখবেন এ আশা না করাই ভালো। তাই বর্বরতা কে অবগুণ্ঠিত করার উদ্দেশ্য নিয়ে বিচারের প্রহসন চলে। পক্ষে এবং বিপক্ষে যুক্তি সাজানো হতে থাকে। মিডিয়া এবং বুদ্ধিজীবীগণ সুকৌশলে বর্বরতার সমর্থক বনে যান। কেউ কেউ পাঞ্চালীর মত ঊরুভঙ্গ না হওয়া পর্যন্ত কেশ উন্মুক্ত রাখার প্রতিজ্ঞা রাখেন। এ সেই চোখের বদলে চোখ,রক্তের বদলে রক্তের স্বর্গীয় উল্লাস। অবশেষে ঠাণ্ডা মাথায় কোথাও ধনঞ্জয়,কোথাও আফজল গুরুদের ফাঁসির সাজা শোনান হয়। যদিও মৃত্যুদণ্ডের সপক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রাথমিক যুক্তি তথ্য গত ভাবে মিথ্যা - কিন্তু শাশ্বতী দেবী এবং তাহারা বর্বরতার সমর্থনে এই দ্বিচারিতা বজায় রাখেন। ক্যামু আমাদের এই সর্বত্রগামী দ্বিচারিতা বিষয়ে জানিয়েছেন ‘There could be read on the sword of the Fribourg executioner the words :’Lord Jesus, thou art the judge’…And,to be sure,whoever clings to the teaching of jesus will look upon that handsome sword as one more outrage to the person of christ’

    শাশ্বতী দেবী এবং তাহারা, আপনাদের সেই ঈশ্বরতুল্য ক্ষমতাশালী কবি ‘এজরা পাউন্ড’ কে মনে আছে নিশ্চয়? অনেক অনেক ‘হোক কলরবে' উনি পথ হেঁটেছিলেন। উনিই আমাদের পরিচিত করিয়েছিলেন এলিয়েট,জেমস জয়েস এবং হেমিংওয়ের সাথে। একই সঙ্গে সেই বিখ্যাত কবি বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণহত্যার সমর্থনে দিনের পর দিন রেডিও ভাষণ প্রস্তুত করেছেন। অর্থের বিনিময়ে ইহুদী হত্যার সমর্থনে যুক্তি সাজিয়েছেন দীর্ঘ দশ বছর ধরে। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে অপরাধী এজরা পাউন্ডের মৃত্যুর দাবীতে ওদেশের শাশ্বতী দেবীরা এবং তাহারা যখন গগন বিদীর্ণ করছেন তখন এই বিমূর্ত মানবাধিকারের সমর্থকগনই যাদের নাকি জীবনযাপনে কোন বিপন্নতা নেই তাকে মৃত্যুদণ্ডের হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন। পথে নেমেছিলেন। আমরা এজরা পাউন্ডের সেই নির্মম অপরাধ তার কবিতার স্বার্থে ক্ষমা করে দিয়েছি। প্রতিশোধের ভাষা,হত্যার সমর্থকের ভাষ্য যে কেবলমাত্র কতিপয় বর্বর ক্ষমতা লোভীর এ আমরা সেই সুমেরু সভ্যতার সময় থেকে জানি। 

    পুনশ্চঃ- শাশ্বতী দেবী এবং তাহাদের উদ্দ্যেশ্যে ক্যামুর ‘Reflections on the Guillotine’ প্রবন্ধটি পড়ে দেখবার অনুরোধ রইল,ক্যামু বিমূর্ত মানবাধিকারী ছিলেন কিনা !! 


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | ১৬১০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পারমিতা | ***:*** | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৭:০৭81421
  • দেবব্রত বাবু অনেক ধন্যবাদ এমন একটি লেখা বা চিন্তাধারা উপহার দেওয়ার জন্য। কোদাল কে কোদাল বলতে পেরেছেন।।।।সেলাম।,
  • কল্লোল | ***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৪:৩৯81422
  • খুব ভালো লাগলো।
  • রৌহিন | ***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৪:৫৯81423
  • মনের কথাগুলো এভাবে গুছিয়ে বলার জন্য ধন্যবাদ তো বটেই, বাড়তি ধন্যবাদ বিভিন্ন দেশের শাস্তি সম্পর্কিত তথ্যগুলির জন্য। মৃত্যুদণ্ড বিষয়ে আমাদের সুপ্রীম কোর্টের একটি অবজার্ভেশনও এখানে জানাই - "Fallibility of human judgment being undeniable even in the most trained mind, a mind resourced by a harvest of experience, it has been considered appropriate that in the matter of life and personal liberty, the protection should be extended by entrusting power further to some high authority to scrutinize the validity of the threatened denial of life or the threatened or continued denial of personal liberty. The power so entrusted is a power belonging to the people and reposed in the highest dignitary of the state.” (AIR 1989 SC 653 – State Vs Kehar Singh)"
  • Gautam Mistri | ***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৫:০৯81424
  • অপরাধীকে যে কোন প্রাতিষ্ঠানিক সাজা দেবার মধ্যে জনমানসে বদলা নেওয়ার মানসিকতাই কাজ করে। রাস্ট্র এই প্রবল জনমতের বিরুদ্ধে যাবার উদ্যোগ দেখানোর কষ্ট করে না। কারণ তাতে তার একটা বৃহত্তর কাজের দায়িত্ব নিতে হয়, যার ব্যপ্তি এতটাই যে সেটা কেবল রাস্ট্র নেতাদের দিয়ে হবার নয়।
    জনসমক্ষে দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেবার যে প্রথা এখনও চালু আছে কিছু আরব দুনিয়ায়, সেটা মাস্টারমশাইয়ের বেতের মতো। ভয় দেখিয়ে শাসন। তাতে আসামীর (?) শোধরানোর সম্ভাবনা নেই, কিন্তু শৃঙ্খলাপরায়ন প্রজারা স্বস্তিতে থাকে।
    প্রথম দাওয়াই, অর্থাৎ সমাজের অপরাধ নির্মূল করার ভ্যাকসিন আদৌ কার্যকর করা সম্ভব কিনা সেই তত্ত্বের সরস আলোচনা চলুক। যতদিন না সফল হওয়া যাচ্ছে, ততদিন "আই সি সি ইউ"র চিকিৎসা বন্ধ করে দিলে জনগন হাসপাতালে ভাঙচুর করতে পারে। সেই আগুন হাসপাতালের পাঁচিলে আটকে থাকবে না।
  • Gautam Mistri | ***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৫:১১81425
  • কেবল শাস্তি রদ করার প্রস্তাব সফল হবার নয়। আগে তার বিকল্পের সফলতা প্রদর্শন দরকার।
  • nirupam | ***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:০৫81426
  • সুলিখিত ,সুচিন্তিত ,তথ্য সমৃদ্ধ এবং সলিড কাউন্টার আর্গুমেন্ট - লেখা এবং প্রকাশের জন্য লেখক ও গুরুচন্ডালি কে ধন্যবাদ ।
  • nirupam | ***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:১৬81427
  • কেবল শাস্তি রদ করার প্রস্তাব সফল হবার নয়। আগে তার বিকল্পের সফলতা প্রদর্শন দরকার। লিখেছেন Gautam Mistri - কিসের বিকল্প ?মৃতুদন্ডের ? খোঁজার চেষ্টা করলেই খোঁজা যায় -ততদিন কি বর্বরতা বজায় থাকবে ?
  • ranjan roy | ***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:৪৬81428
  • "তাই শাশ্বতী ঘোষ এবং তাহারা প্রতিশোধ স্পৃহা এবং মৃত্যুদণ্ডের সমর্থনে অন্যায় কিছু দেখছেন না বরং মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা তাদের কাছে বিমূর্ত মানবাধিকারের সমার্থক। "

    --- এটাই এখন অধিকাংশের চোখের উচ্চকিত ভাষা।
    দেবব্রতকে ধন্যবাদ, একটি অসাধারণ প্রবন্ধের জন্যে। ধন্যবাদ গুরু অ্যাডমিনকেও।
  • দেবব্রত | ***:*** | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৩:৪৪81429
  • রঞ্জন দা লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ , ফেসবুকে দেখলাম আপনি বইমেলার সময় এসেছিলেন -প্রায় প্রত্যহই ছিলাম কিন্তু আপনার সঙ্গে কেন যে দেখা হলনা -দেখা হোলে খুব ভালো লাগত ।
  • ranjan roy | ***:*** | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৫:৪৮81430
  • কী বলব দুঃখের কথা। একদিনই আসতে পেরেছিলাম। তারপর বুকে কফ বসে শ্বাসকষ্ট হয়ে--।
    এখনও দিনে তিনবার নেবুলাইজিং করে যাচ্ছি। তবে সেরে উঠেছি। আছি বাঁশদ্রোণীতে। এনি ডে সময় পেলে আড্ডা মারতে আসতে পারেন।
    আমি আড্ডাবাজ অকম্মার ঢেঁকি!
  • অনিমেষ | ***:*** | ২৭ জুলাই ২০১৬ ০৮:৫১81431
  • অসাধারণ
    প্রতিটি লাইনে উদ্দিপ্ত , মগজ ঝলসানো, বাক্যহারা , বিদ্রোহের অশনি সংকেত।
    শাশ্বতী দেবী কি লিখেছিলেন সেটা পড়ার সুজোগ হয়নি, কিন্তু অনুমান করা যায়, উত্তরের আলোয় প্রকাশ্য প্রশ্নের অন্ধকার।
    যখনি আমরা এই রকম অপরাধ বিষয়ক কোন আলোচনায় বসি তখন , গ্রাম থেকে শুরু করে রাস্ট্রের সীমায় আমরা সবাইকে কাল্পনিক আথিতেয়তায় আপন করে একটি সংবদ্ধ গোষ্ঠি বানানোর চেষ্টা করি, তখন ঘটনা পার্শবর্তী সীমাটা আমাদের মুষ্ঠিবদ্ধ হয়ে যায় আর আমরা সবাই ভাই ভাই।
    যদি এই ভাইচারাটা চিরস্থায়ী হয় তাহলে হয়তো নুতন করে এসব বিষয়ে আলোচনার দরকার হবে না।

    অপরাধ কম করার প্রয়োজন , না কি অপরাধির শাস্তি। তাই শাস্তি যদি উদাহরণ হয় তাহলে অপরাধ কম হবে । এখন বিষয় হলো ইলেক্ট্রিসিটি বোঝাতে গিয়ে প্রবাহ শব্দতে এসে আমরা নদী কে মনে করি, নদী আর ইলেকট্রিসিটি দুটোরি প্রবাহ রয়েছে, কে কি বয়ে নিয়ে যাচ্ছে সেটাই দেখার।

    অনিমেষ

    https://m.facebook.com/AnimeshandMita
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন