এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ম্যাসাজ

    সুকান্ত ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ | ১৭০২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • প্রায় মাধ্যমিক পর্যন্ত প্রফেশ্যনাল ম্যাসাজের বলতে আমার দৌড় ছিল ওই সিধু জ্যাঠা অবদিই। বাড়ির উঠোনে সেই সকাল থেকে বাড়ি শুদ্ধু পাবলিকের দাড়ি, চুল কাটা চলছে। প্রথমেই বাবার দিয়ে শুরু, বাবা দাড়ি কেটে নিমো ফটকগোড়ায় নারানের চায়ের দোকানে রোজকার প্রাতঃকালীন আড্ডায় চলে গেল। কাকা রবিবার ছূটির দিনে দাড়ি ইত্যাদি কেটে একবার গেল চাষের জমিতে রাউন্ড মারতে, সে রাউন্ড মারা অবশ্য সিম্বলিকই ছিল। কাজের কাজ বলতে কাকা মাঝে মাঝে জমি থেকে গোটা কতক মূলো তুলে এনে বলত, মূলো গুলো খাবার মত হয়ে গ্যাছে, মুড়ি দিয়ে খাব বলে নিয়ে এলাম। বাবা কাকাদের কাছে চুল কাটা একটা আবশ্যিক কাজের মতন ছিল – কোন রিল্যাক্সশেসনের কনসেপ্ট তাদের মাথায় কোনদিন ঢোকে নি, বিশেষ করে নাপিতদের সিধুর কাছে তো নয়ই! কথিত আছে, সিধু শিবতলায় বসে শিবে জ্যাঠার দাড়ি কাটছে – জ্যাঠা বলছে, ওরে সিধু, একটু জল দে দাড়িতে, চড়চড় করছে তো! সিধু নাকি বলছিল, শিবেদা তুমি কিছু ভেবো না, চোখের জলেই কাজ হয়ে যাবে! সিধু জ্যাঠার সূক্ষ্ম রসিকতার অনুধাবনের ক্ষমতা অবশ্যি শিবে জ্যাঠার ছিল না, মূল ঘটনা ছিল, সিধুর ক্ষুরের ধার! তখনো ব্লেড ক্ষুর দিয়ে দাড়ি কাটা আমাদের দিকে চালু হয় নি। আর তা ছাড়া দাড়ি কেটে পয়সা দেব ধান ওঠার পর, এই কনসেপ্টে ইউজ-এ্যান্ড-থ্রো ব্লেড ব্যবহার কল্পনার অতীত ছিল। সিধুর ভাই হারা নিয়মিত ক্ষুরে ধার দিত, কিন্তু সিধু জ্যাঠা নিজে শেষ কবে যে ভালো ভাবে ক্ষুরে ধার দিয়েছে, সেটা মনে করা মানে যুক্তফ্রণ্টের ক্ষমতায় আসার টাইম পিরিওড ফিরে দেখা আর কি! মাঝে মাঝে কালো শ্লেট পাথরের টুকরোয় সিধু জ্যেঠু ক্ষুরটা বুলিয়ে নিত বটে, কিন্তু সেই বাহ্য – কারণ সিধু জ্যাঠার লেজেন্ডারি কুঁড়েমো।

    কামানোর শেষে দাড়িতে ফটকিরি বোলানো হত – প্রায় সবাই নালিশ করত যে, হ্যাঁরে সিধু, তোর ফটকিরি গালে লাগালে কোনদিন জ্বলুনি হয় না কেন! পরে সিধু জ্যাঠার ছেলে নন্দ ফাঁস করল যে ওই বড় সাদা জিনিসটা মোটেই ফটকিরি নয়, একদিন সাদা পাথরের টুকরোটা নাকি সিধু জ্যেঠু রেল লাইনের ধার থেকে কুড়িয়ে এনেছিল। চার ছেলেকে দিয়ে ঘসে ঘসে মসৃণ করে তুলে ফটকিরি বলে চালাতো বাজারে! প্রথম দিকে সিধু জ্যাঠার কামানোর কিট দিয়েই আমাদের বাড়িতেও কাজ চালানো হত। একদিন সকালে সিধু জ্যাঠা কামাতে এসে চটের বস্তা ইত্যাদি বিছিয়ে বসে প্রথম রাউন্ডের চা-টা খাচ্ছে, বাবা উঠোনে বীজ আলুর বস্তার সেলাইটা খোলার চেষ্টা করছে। সেই পাটের দড়ি বেশ প্রবলেম সৃষ্টি করছিল, বাবা বলল, সিধু তোর ক্ষুরটা একবার দে তো, দড়িটা কাটি। বাবা ক্ষুর নিয়ে সেই পাটের দড়ি কাটতে গেল এবং সিধুর ক্ষুরের ধার টের পেল। মিনিট দুই-তিন ধরে পাটের দড়ি ক্ষুর দিয়ে পেঁচানোর পর অনেক কষ্টে বস্তা খোলা গেল! বাবা অবাক চোখে সিধু জ্যেঠুকে বলল – এটা ক্ষুর, নাকি কাস্তে রে সিধু! সেই ঘটনা শুধু বস্তার মুখই খুলে দিল না, সেই ঘটনাই আমাদের বাড়িতে এনে দিল কামানোর নিজেদের সেট্‌। এর পর থেকে সিধু জ্যাঠা শুধু লেবার সাপ্লাই দিত আমাদের কামাতে এলে, মাল মেটিরিয়্যালস আমাদের।

    সিধু জ্যাঠা আমাদের বাড়ি কামাতে আসত প্রতি বুধ এবং রবিবার। বুধবার ছিল নো ফাস্‌ - বাবা, কাকা দাড়ি কেটে নিজ নিজ কাজে বেরিয়ে গেল সকাল সাতটার মধ্যে। কিন্তু রবিবার থাকত পুরো প্যাকেজ ডিল – চুল দাড়ি কাটা চলছে তো চলছেই। পুরোনো আনন্দবাজারের পাতা ফুটো করে মাথা গলিয়ে উঠোনে বসে আছি তো বসে আছিই! চুল কাটার মাঝে সিধু জ্যেঠু দু-বার চা খেল মায়ের করে দেওয়া – তিনবার উঠে গোয়াল বাড়িতে গিয়ে বিড়ি খেয়ে এল (কারণ ঠাকুমার সামনে বিড়ি খাওয়া যাবে না, আর ঠাকুমা উঠানে বসেই সকালে কুটনো কুটতো) – ভাগ্য খারাপ থাকলে পাড়ার সিনিয়ারদের কাছ থেকে এমারজেন্সি দাড়ি কাটার ডাক আসত। যেমন গণশা পাল মেয়ের বাড়ি যাবার জন্য আটটা পাঁচের ডাউন লোকাল ধরবে; কার্ত্তিক হাজরা ছোট ছেলে বিপ্লব হাজরার জন্য মেয়ে দেখতে যাবে, শৈলেন লিলুয়া কারশেডে এমারজেন্সী ইউনিয়ান মিটিং-এ যাবে। এই সব চলত মাঝে, আর আমি আধ কাটা চুলে উঠোনে বসে থাকতাম। বাবা বাড়ি থেকে বেরোবার আগে বলে গেল, সিধু মুড়ি খেয়ে যাবি ঠিক সময়ে। তার উপর হয়ত ঠাকুমা অ্যাড-অন করল, সিধু পুকুরে মাছ ধরেছে, ভাতও খেয়ে যেও তাহলে আজ। তো চুল কাটা চলছে, সময় অতিবাহিত হচ্ছে, গল্প হচ্ছে – মা রান্না ঘরের ভিতর থেকে, “যতক্ষণ কাঁচি যায় ততটাই ছেঁটে দেবেন”, এই বলে মাঝে মাঝে রিমাইন্ডার। “তোমাকে আর সেটা বলতে হবে না বৌমা” – সিধু জ্যেঠুর আশ্বাস। এর মধ্যে আমাদের ছোটদের কোন বক্তব্য থাকার কোন প্রশ্নই ওঠে না, সেই আমি যতই মাধ্যমিক দেবার বয়সে পৌঁছে যাই না কেন! আমরা উঠোনে বসে চুল কাটতাম , সিধু জ্যেঠু দাঁড়িয়ে ঝুঁকে পরে আমাদের ঘাড়ের নাগাল পেত। আর সেই ঘাড়ের চুল কাটার সময় আমাদের মাথা জ্যেঠু দুই হাঁটু দিয়ে চেপে ধরত। ধুতির (বা লুঙ্গির) তলায় যে আন্ডারপ্যান্ট পড়তে হয়, সেই ব্যাপারটা গ্রামের ভিতরে থাকার সময় বড় কেউ একটা মেনে চলত না – সিধু জ্যাঠা তো নয়ই! ফলে চোখের সামনে পেন্ডুলাম এবং মাথায় বীচির ঠোকর আমরা মাঝে মাঝেই খেতাম। কিন্তু সেটা কোন বড় কথা ছিল না –চুল, দাড়ি কামাবার সব জিনিস পত্র বাবা কিনে আনলেও, সেগুলি কে মেনটেন করবে তা নিয়ে একটু ধোঁয়াশা ছিল। ফলতঃ কাঁচির ধার ক্রমে ক্রমে এমন হয়ে এসেছিল যে সেই দিয়ে আমরা খবরের পাতাও কাটতে পারতাম না। বড় হবার পরও কোনদিন ওয়াক্সিং করি নি, কিন্তু সেই চুল টেনে তোলার সময় পাবলিক শুনেছি যা চিৎকার করে, তাতে করে আমার সেই পুরানো দিনে জ্যেঠুর ঘাড়ের চুল কাটা মনে পরে যায়। গোড়া শুদ্ধু চুল তুলে আনা যাকে বলে কাঁচির দুই ফাঁক দিয়ে।

    এমন ভাবেই চুল কাটা শেষ হলে আমার নিদারুণ আকুতি সিধু জ্যেঠুকে, “আজকে একটু ম্যাসাজ করে দিও না! সবাই তো চুল কাটার পর ম্যাসেজ (শব্দটা যে ‘ম্যাসাজ’ সেটা অনেক পরে জানা) দেয় সেলুনে, আমাকে একটু কেন যে দাও না!” সিধু জ্যেঠু, “বৌমা শুনছ, ছেলে বখাটেদের মত ম্যাসেজ নেবে বলছে”। ব্যাস, ম্যাসেজ নেওয়া হয়ে গেল! কোন দিন হয়ত দয়া করে হাত দুটো জড়ো করে ফট ফট করে মাথায় দু ঘা মেরে দিল, সেটাই জ্যেঠুর কাছ থেকে পাওয়া ম্যাসেজের ব্যপ্তি।

    মাধ্যমিক পাশ করার পর বাড়িতে উঠোনে বসে চুল কাটা আবশ্যিক নয়, অপশ্যনাল হয়ে গেল। ওদিকে সিধু জ্যাঠার ছেলে কেষ্ট সেলুন দিয়েছে নিমো রেল স্টেশনের কাছে। কেষ্ট আমাদের থেকে দু-এক বছরের ছোট থাকলেও প্রায় বন্ধু টাইপের-ই ছিল। কেষ্টর আগে তার দাদা খোকন পাশের সেলুন দিলেও আমার ম্যাসেজ-এর সুবিধা খুব একটা হয় নি সেখানে। খোকনদা বললে ম্যাসেজ করে দিত – কিন্তু খোকনদা সুবল কাকার আন্ডারে পড়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ হবার জন্য প্রবল ফিলসফিক্যাল কথা বার্তা শোনাতো। আমাদের তখনো এমন বয়স হয় নি যে সেলুনে গিয়ে ফিলসফি মারাবো – ফলে খুব একটা এমারজেন্সী না হলে খোকনদার সেলুন এড়িয়ে চলতাম। কেষ্টর সেলুনেই যাকে বলে প্রকৃত নাপিত দ্বারা প্রকৃত ম্যাসাজের শুরু আমার।

    তার আগে অবশ্য আমি ম্যাসাজ খেয়েছি নান বিধ সোর্স থেকে, যত্র তত্র এবং সে ম্যাসাজের সাথে সেলুনের বা চুল কাটার কোন সম্পর্ক ছিল না। আমার ন্যাঙটো বেলার বন্ধু পিন্টু বাল্য এবং কৈশোর বেলায় অনেক সময় ব্যয় করেছে আমার মাথা ভেঁজে দিয়ে। নিমো শিব দালানের চালাতে গামাছা পেতে শুয়ে পিন্টের কোলে মাথা রেখে আমার ম্যাসাজ খাওয়া খুবই কমন দৃশ্য ছিল। ভ্যাগিস গ্রামের দিকে তখনো ‘গে’ ব্যাপার নিয়ে মাথা ঘামাতে শুরু করে নি কেউ, কাউ ‘গে’ কি মাথায় দেয় নাকি খায় সেটাও কেউ জানত না – তাই আমার মাথার এবং গায়ের ম্যাসাজ সির্ফ ম্যাসাজ হয়েই থেকে গিয়েছিল, অন্য কোন গল্পের আকার ধারণ করে নি। সত্যি বলতে কি, আমার বন্ধুদের ব্যাচ, আমার ভাই সকল এবং আমাদের জুনিয়ার ব্যাচেরা কে যে আমার মাথা-গা-হাত ম্যাসাজ করে দেয় নি, সেটাই মনে করে বলতে হবে! আলম থেকে শুরু করে সৈকত, সবাই ম্যাসেজ করে গ্যাছে মাঝে মাঝে অনুরোধ করলেই। এর কারণ ঠিক কেন জানি না – অনুরোধ কেউ ফেলে নি। বিনিময়ে তাদের কি দিতাম বা কি দিয়েছি মনে পরে না আর। শুধু পা ম্যাসাজ গ্রামের কাউকে দিয়ে কোন দিন করাই নি, সেটা মনে করে বলতে পারি। আমার ম্যাসাজ নেবার স্থান প্রধানত ছিল নীচের জায়গাগুলিঃ

    ১) শিব দুয়ার (প্রধানত সকালে, উৎসবের সময় সন্ধ্যাবেলাতেও)
    ২) জেলেদের জয়ন্তীর বাড়ির বাইরের রোয়াক (কেবলমাত্র রাতের বেলা)
    ৩) দূর্গা দালানের পিছনে ‘সোনার বাংলা’ ক্লাবের আড্ডা তথা ঠাকুরের বাসন পত্র রাখার ঘর (এক্সক্লুসিভ রাতের বেলা)
    ৪) মোড়লদের বাগানের গাব গাছের তলা (কেবলমাত্র জলখাবার বেলা)
    ৫) আমাদের খামারের বাঁশের মাচা (কেবলমাত্র জলখাবার বেলা)
    ৬) নিমো ভারত সেবক সমাজের ক্লাবঘর (প্রধানত দুপুরের দিকে, বর্ষার দিনে রাতের বেলাতেও)
    ৭) নিমো রেল স্টেশনের ওভারব্রীজের সিঁড়ি (কেবলমাত্র বিকেল বেলা)
    ৮) নিমো রেল স্টেশনের আপ প্লাটফর্মের সামনের দিক থেকে তিন নম্বর ছাউনি (রাত ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে)

    কোথাও কোন প্রবলেম হয় নি কোনদিন, কেবলমাত্র নিমো রেল স্টেশনে পাহারার নামে জি আর পি দের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত। একদিন গরমের রাতে গামছা পেতে খালি গায়ে শুয়ে আলমের কোলে মাথা রেখে ম্যাসেজ নিচ্ছি, দুজন জি আর পি বিশাল টর্চ হাতে উপস্থিত। হুঙ্কার দিয়ে বলে, অ্যাই তোরা এখানে করছিস কি? আলম বলল, “কি আবার, সুকানের মাথাটা একটু টিপে দিচ্ছি”। উত্তর শুনে জি আর পি প্রথমে ঘাবড়ে গেল – কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি রিকভার করল। কথায় বলে জি আর পি ছুঁলে আঠারো ঘা! আমাকে চমকানোর জন্য বলল – “মাথা টেপার আদর ঘুচে যাবে পোঁদে রুলারটা ঢোকালে”। বুঝতেই পারলাম এ জি আর পি আমাদের দিকের নয়, বাইরে থেকে এসেছে। তা না হলে আর যাই হোক নিমোর ছেলেদের পোঁদ মারার ভয় দেখাতো না! কিন্তু জি আর পির সাথে কোন দিন তর্কে যেতে নেই, জ্যাঠা স্টেশন মাষ্টার ইত্যাদি রেফারেন্স দিয়ে এবং ক্রশ চেকের পর ছাড়া পেলাম। আমাদের বলা হল আপত্তিকর অবস্থায় কোনদিন দেখলে নাকি বর্ধমান নিয়ে গিয়ে ঢুকিয়ে দেবে।

    যাই হোক এইভাবেই চলছিল – কেষ্টর কাছে আমি অফিসিয়্যাল নাপিত ম্যাসাজ পাচ্ছিলাম। কিন্তু ওই যে বলে কপালে বেশীদিন সুখ সয় না। কেষ্ট একদিন সেলুন বন্ধ করে জমির দালালি করতে ঢুকে পড়ল। তখন আমাকে সিফট করতে হল কেষ্টরই জ্যাঠার ছেলে বুড়োর কাছে। সে আমার থেকে বয়সে ছোট, আমাকে দাদা বলে বেশ সম্মান দিত এবং খুব ভালো ম্যাসাজ। সেও আমার সইল না – বুড়ো চলে গেল বর্ধমান তার জামাইবাবুর সেলুনে চুল কাটতে, সেখানে নাকি কামাই বেশী! আমাকে চেঞ্জ করতে হল একেবারে রেল লাইনের গায়ে পড়া দর্মার ঘরে যেখানে চুল কাটত কেষ্টর দিদির ছেলে প্রতীক। সেই পতীক অনেক দিন আমার গা হাত পা ডলাই মালাই করেছিল, এখনো দেশে গেলে করে দেয়। তবে সেলুনে শুধু মাথা ম্যাসাজ – দুপুরের দিকে বাড়িতে খেতে যাবার সময় সেলুন বন্ধ করে আমার বাড়িতে গিয়ে গায়ে হাতের ম্যাসাজ। তবে মাঝে কোলে পাড়ার পিন্টুর বোনের সাথে প্রেম করে পতীক বেশ অনিয়মিত হয়ে পড়েছিল। প্রায়ই সেলুন বন্ধ – দু বছর আগে তো গিয়ে দেখলাম দোকান অনেক দিন ধরে বন্ধ। খোঁজ নিয়ে জানা গেল ১৪ বছরের পিন্টুর বোনকে নিয়ে ১৭ বছরের পতীক হাওয়া! ইলোপ যাকে বলে – পিন্টু হন্য হয়ে খুঁজছে পতীককে ক্যালাবো বলে। পুলিশ নাকি দুই বার এসেছিল নাবালিকা বিবাহের দায়ে থানার ঢোকাবে বলে! গেল বার গিয়ে দেখলাম মিটমাট হয়েছে – নাপিত বুদ্ধি, পতীককে নাকি তার দাদু (সিধু জ্যেঠু) পরামর্শ দিয়েছিল এই সব ঝামেলা থেকে মুক্তির উপায় হচ্ছে চটপট মেয়েটার পেট করে দেওয়া। ফলতঃ ১৫ বছর বয়সে পিন্টুর বোন মা হয়ে গেল – নাতি পেয়ে দুই পরিবারের মিলন, গোয়ালার সাথে নাপিতের হাইব্রীড আমাদের গ্রামে সেই প্রথম।

    বি ই কলেজে আমি বিশেষ চুল কাটি নি – দুই একবার সেকেন্ড গেটের সামনে সেলুনে চুল কেটেছিলাম, কিন্তু কলকাতার (বা হাওড়ার) নাপিতকে সাহস করে মাথা ম্যাসাজের কথা বলতে পারি নি। ব্যাঙ্গালোরে যে কদিন ছিলাম তার মধ্যে বি টি এম লে আউট এবং কেম্প ফোর্টের পিছনে সেলুনে চুল কেটেছি। যতদূর মনে পড়ছে মিনিট হিসাবে মাথা ম্যাসাজ সেই প্রথম নেওয়া। ভাষা বুঝতে পারতাম না বলে, শুধু দেহের আরাম পেতাম তখন, মানসিক কোন আরাম ছিল না। আর তাই সেই সব ম্যাসাজের কথাও আজ আর মনে নেই।

    ইংল্যান্ডে গিয়ে ম্যাসাজ নেবার ঔকাত ছাত্র হিসাবে একদমই হয় নি। খুঁজে খুঁজে ৫ পাউন্ডের দোকানে যেতাম কেবলমাত্র চুল কাটার জন্য, সেই এশিয়ান-আফ্রিকান অধ্যুষিত জায়গায়। তবে ইংল্যান্ডে আমার ম্যাসাজের চাহিদা প্রয়োজনের থেকেও বেশী মিটিয়েছিল বেশ কিছু মেয়ে – খুব আনন্দের সাথেই! সেই মেয়ে-কৃত পারশোন্যাল টাচ যুক্ত ম্যাসাজের গল্প পরের বার।

    [ক্রমশঃ]
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ | ১৭০২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • একক | ***:*** | ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:০৩64442
  • আহা গোটা লেকা থেকে মালিশ মালিশ গন্দ বেরুচ্চে । বড় আরামের হয়েচে । এসব জিনিশ মাসাজ মালিশ নেওয়া জনতা ছাড়া বুজবেনা । মনে পল্লো সেই কবে কাশিপুর শ্যামবাজার বাগবাজার সর্বর্ত্র মাথা ঘাড় ম্যাসাজ করবার বিভিন্ন ঠেকের সন্ধান রাক্তুম । মুক্তারামের মুখের দিকটা মানে ওই যেদিকে প্যারার দুকান ছেল , ওখেনে একদম বোম্বাই মাথা মালিশ করতো । আর হ্যা বেলগেছেতে । মানে , মিল্ক কলোনি ঢোকার মুখে উল্টোদিকে যে নাপতের পো , তিনি , যদিও আমি বরানগরের লোক ,বেলগেছের নয় , গেলেই দুই বন্ধুকে পাশাপাশি বসিয়ে মাথা ঘাড় ময় বিপুল ধস্তাধস্তি করে দিতেন । মূলত তিনি এবং তার সহকারী কিঞ্চিত নাতবৌদীর্ঘ হওয়ায় , কার্যত ঘাড় বেয়ে উঠে !!

    এছাড়া , রক্সৌল সীমান্তে খাটিয়াতে দলাই মলাই এর সময় পুলুশের রেইড যদিও সেখানে কোনো স্ত্রীজাতি ছেলো না । তো পরবর্তীতে মিহিন হাতের ফুলবডি ইত্যাদিও অভিজ্ঞতা হয়েচে , কিন্তু তাতে সেই ঘিপঘাপ ব্যাপাট্টা নেই , সেই আঙ্গুল চেপে বসে যাওয়া , শক্তির প্রকাশ এসব পেতে গেলে সুকি যেমন লিকেচেন ঐরকম চাই অথবা কলকাতার ঘুঁচে গলির ঘিচঘিচে সেলুনের আধো তোতলা গাঁট গাঁট গতরের কোনো নাপিতের পোর স্মরণাপন্ন হতে হবে । কোনো নরম শরম ম্যাসাজ পাল্লারের কম্মো নয় ।

    আর ভাইব্রেটর ! না না সেক্স টয় নয় মাথা মালিশের ভাইব্রেটর । সুকি কী কখনো ও বস্তু ট্রাই করেচেন কোনো দিশি নাপ্তেসংসর্গে ? না কল্লে করে ফেলুন। সে এক উদুম ঘিলু ঘাঁটা মস্তির ব্যাপার :))
  • dd | ***:*** | ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:৪৪64443
  • একবার নিমো গ্রামে গেলে বেশ হয়। সবাইকেই চিনি। ইতিহাস ভূগোলও জানি।

    তবে ম্যাসাজ করাবো না। ঐ খটাং করে ঘাড় মটকে দেয়। খুবি ভয় পাই।
  • একক | ***:*** | ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০৮:২৩64444
  • ওই খটাং টা কখনো করাই না । বসেই বলে দি খবদ্দার খটাং নয় । তাপ্পরেও ঘাড়ের আশেপাশে হাত গেলে আর নতুন মালিশোলা হলে রিমাইন্দ করাতে হয় নো খটাং । লুরুতে আজকাল বেহারী নাপতে পোচুর । টুক করে আলাপ জমে যায় কেও ছাপরা কেও ধানবাদ । এদের সবার সঙ্গী মাথা মাসাজের ভাইব্রেটর । ডিডিদা একবাত্তি ট্রাই নে দেকেন , ঘিলু অব্দি কুলুকুলু বইবে :):) সত্যি !!
  • একক | ***:*** | ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০৮:২৬64445
  • হেইত্ত , এইঝে । ছোপি পেলুম নেটে : ফুল স্পীডে দিয়ে মাথায় চেপে ধত্তে হবা আর কানের পাশে । খালি কুলুকুলুকুলুকুলু

  • সুকি | ***:*** | ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ১১:৩২64441
  • .
  • T | ***:*** | ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ১১:৩৭64446
  • উফ, উটি ভাইব্রেটর না বলে জ্যাকহ্যামার গোত্রের বলাই ভালো। ক্যাম্পাসের মদ্যে একটি সেলুন ছিল। সেখানে মাথা ম্যাসাজ বললেই ওই জিনিস বেরোত। আর হাত দিয়ে কড়াং কড়াং। চাঁদির হাড়ে জোর না থাগলে পিলপিলায় যাইতে পারে। অনেক্ষণ কিত্তন শোনার পর বন্ধ হলে য্যামন কানের আরাম হয় সেইরম এক্সপি হত।

    খটাং আমি বহুবার করিয়েচি। হেবি। যেন ঘাড়ের গিয়ারগুলো ঠিকঠাক খাপে খাপ পড়ল।
  • sm | ***:*** | ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:০০64455
  • নিমো কি মেমারি র আগের স্টেশন?নাকি রসুলপুরের আগে? বর্ধ মানের দি থেকে বলছি।
    ওই স্টেশন কত দিন হলো হয়েছে? আই মিন, লোক্যাল ট্রেন গুলো থামতে শুরু করেছে?
  • সুকি | ***:*** | ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৫৮64447
  • ডিডিদা,
    চলে আসুন নিমো গ্রামে। হাওড়া স্টেশন থেকে মেন লাই্ন লোকালে চেপে দুই ঘন্টা গেলেই নিমো :)

    একক,
    মাঝে মাঝে নিয়েছি ওই মেশিন ম্যাসাজ, কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে হাত দিয়ে ডলাই মালই জিনিসটাই ভালো লাগে। কেমন যেন একটা পারশোন্যাল টাচ থাকে মনে হয়। আর তা ছাড়া মেশিন দিয়ে কেমন যে সব আতুপুতু টাইপের হালকা হয়, আমি হার্ডকোর দলাই-মালাই এর দলে। বালিনিজ, জাভানিজ, থাই ইত্যাদি ম্যাসাজ নিয়ে লিখছি আসেত আস্তে।

    টি মনে হচ্ছে ডাকাবুকো - আমি ঘটাং জিনিসটা এখনো খুব ভয় পাই। যদি মাথা আবার নিজের জায়গায় না ফিরে আসে - এই ভয়ে আমি ঘটাং এড়িয়ে চলি।
  • lcm | ***:*** | ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০৫:৩৩64448
  • ওহ্‌, ম্যাসাজ - কিছু কনফারেন্সে ফ্রি থাকে (এমনিতে ১৫ মিনিট ১০-২০ ডলার)। আমি নিয়েছি দু-একবার। একটা আধ্শোয়া লোহার চেয়ার টাইপের জিনিসের ওপর উল্টে শুইয়ে দিয়ে পিঠে, কাঁধে, ঘাড়ে দমাদ্দম রদ্দা, সে কি পেটানি রে ভাই।
  • de | ***:*** | ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০৫:৫১64449
  • ম্যাসাজ ভালো জিনিস - আজকাল রিসর্টে রিসর্টে কেরালা ম্যাসাজ হয় - খুবই রিফ্রেশিং -

    একবার আথিরাপল্লীতে একটা কেরালাইট আয়ুর্বেদ সেন্টারে দুদিন ছিলাম, বাবা-মাকে নিয়ে - সে এক অভিজ্ঞ্তা - সকাল বিকেল নানাভাবে নানাজায়গায় ম্যাসাজ আর তারপর হার্বস মেশানো গরম জলে স্নান, সেটা আবার ঝর্নার জল। রিসর্টের চারিপাশে শুধুই জঙ্গল, পিছন দিক দিয়ে ঝর্না বয়ে যাচ্ছে। কি ভালো যে লেগেছিলো! কথাও বলতে হয়নি বিশেষ, সবই আকারে ইঙ্গিতে, ওখানে মালয়ালী ছাড়া কেউ কিচ্ছুটি বোঝে না!
    খাওয়া-দাওয়া আর ঘুম -
  • ন্যাড়া | ***:*** | ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০৬:৪০64450
  • ওই ডিডিদা যা বলল, এবার একবার নিমো গেলেই হয়। তবে কী আর সুকির মতন লিখতে পারব? আর একটা বোমা মাল নেবেছে।
  • | ***:*** | ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০৭:২১64451
  • হে হে গতবছর এক আয়ুর্বেদিক ডক্টরকে দেখিয়েছিলাম বিভিন্ন অর্থোপেডিক সমস্যার জন্য। খুবই বিখ্যাত ভদ্রলোক, দেশ বিদেশ ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন শহরে একদিন দুদিন কর্তে বসে চিকিৎসা করেন। তা ভদ্রলোক স্রেফ নাড়ি টিপে দেখেন, খুব কিছু প্রশ্ন তশ্নও করেন না। তিনি দেখেটেখে ওষুধের সাথে তিনদিনের চিকিৎসা দিলে ওখানে। প্রথমদিন গেলাম, দেখি ওব্বাব্বা একজন সবাইকে ডেকে ডেকে পর্দার আড়ালে নিয়ে যাচ্ছে আর তারপর কেউ কেউ প্রবল ককিয়ে উঠছে, কেউ গোঙাচ্ছে। অনেকেই বেরোচ্ছে চোখভর্তি জল নিয়ে। দেখেশুনে সবে ভাবছি চম্পট দেব কিনা, দরকার নেই চিকিৎসায় বাপু, এর মধ্যেই আমার সিরিয়াল এসে গেল। তো, ঢুকলাম, আমার হাতের নম্বর লেখা কাগজটা দেখলেন ভদ্রলোক। বেশ বাস্কেটবল খেলোয়াড়ের মত চেহারা। তারপর টেবলে রাখা কাগজের তাড়া থেকে নাম্বার মিলিয়ে আমার জন্য লেখা ডক্টরের নিদান দেখলেন। চাইলেও আমাকে দেখালেন না। তারপর জিগালেন কোথায় কোথায় দরদ? তো, বললাম। এইবারে পেছন ফিরে বসিয়ে দিলেন একটা টুলে। তারপর পিঠের শিড়দাঁড়ার প্ঞ্চম ও ষষ্ঠ কশেরুকার মাঝখান থেকে কাঁধ পর্যন্ত মালিশ শুরু করলেন।

    উরিবাবারে!! হাত তো নয় পুরো লোহা আর তেমনি চাপ। মাঝেমাঝে আবার গুরগুরিয়ে হারমোনিয়াম বাজিয়ে নিচ্ছিলেন পিঠের উপরদিকটায়। সে চলল মিনিট ৫। তারপর কনুয়ের ব্যথার জন্য শোল্ডার জয়েন্টে কিছু একটা টিপে ধরলেন। বাবাগো! পুরো মনে হল প্রাণটা ঐখান দিয়ে বেরিয়ে যাবে। আমাকে বললেন হাত কনুই থেকে ভাঁকরা আর খোলা চলতে অন্তত বার পাঁচেক, আমার হাত প্রায় অবশ, কোনোমতে করলাম, জিগালেন ব্যথা লাগছে কিনা কনুইতে, অনেক কম লাগছিল, বললাম। আরো জোরে টিপে ধরলেন কাঁধের ওখানে। আবার একই প্রসেস হাত ভাঁজ করা খোলা। এবারে আর কনুইতে প্রায় কোনও ব্যথা টের পাচ্ছিলাম না, বললাম। এইবার ছেড়ে দিলেন। বললেন ৫ মিনিট বসে তবে যেন যাই।
    তো, এই প্রসেস তিনদিন চলল। আর সত্যিই ব্যথা ৭৫ ভাগ কমে গেছিল। কিন্তু ক্কি ঘুম পেত তারপর। ওষুধ খেয়ে ব্যথার বাকীতুকুও গেছে।

    পরে উনি বলেছিলেন যে যাদের স্লিপ ডিস্ক তাদেরটা ডক্টর নিজে করেন। আর যাদের খুব একটা চালু শরীর নয়, খুব বেশী নড়াচড়া করেন না তাঁরাই নাকি কেঁদে ফ্যালেন, মানে তাদের আরো বেশী ব্যথা লাগে মালিশের সময়।
  • | ***:*** | ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০৭:২৫64452
  • হ্যাঁ একটা কেমন যেন গন্ধওলা তেল মাখিয়ে নিতেন। আর হয়ে গেলে আরেকবার আলতো হাতে তেলটা মাখিয়ে হাল্কা ডলে দিতেন। এই পার্টটাই আরাম লাগত সবচেয়ে বেশী।
  • শঙ্খ | ***:*** | ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০৭:৫২64453
  • সিগনেচার সুকি। দারুণ!!
  • শঙ্খ | ***:*** | ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০৭:৫২64454
  • সিগনেচার সুকি। দারুণ!!
  • সুকি | ***:*** | ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:২২64456
  • ন্যাড়াদা,
    আপনিও চলে আসুন নিমোতে ঘুরতে। আর লেখার কথা বলে কেন আর লজ্জা দেন - ভাঁড়ামো টাইপের লেখা নিয়ে কারবার আমার।

    বাকিদের ধন্যবাদ - দেখা যাচ্ছে প্রচুর পাবলিক ম্যাসাজ নিয়ে ভাবনা চিন্তা করে।

    দে-দি,
    আমিও মাঝে মাঝে রাজুদার কাছে যাই খেলতে গিয়ে গায়ে হাতে পায়ে লেগে গেলে। রাজুদের ম্যাসাজের পিছনে কি সায়েন্স আছে জানি না, তবে বেশ আরাম হয় লেগে যাওয়া জায়গাতে।

    sm,
    নিমো স্টেশন হল গিয়ে রসুলপুর আর মেমারী-র মাঝে। সে তো প্রায় বছর চল্লিশ হল শুনেছি এ স্টেশন হয়েছে বলে। আজকাল তো কেবলমাত্র দুটো লোকাল ট্রেন দাঁড়ায় না।
  • paps | ***:*** | ১৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:২৯64457
  • সুকি, আপনি এই পাতায় অক্সিজেনস্বরুপ।
  • মালিশ | 2405:201:8005:9947:ed08:30c:30be:***:*** | ০৫ আগস্ট ২০২১ ২১:০৩496472
  • তখন ধারাবাহিকের ইনডেক্স ছিল না, এইটা খুঁজতে গিয়ে মনে হলো। দ্বিতীয় পর্বের লিংক দিই-


    https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=14672

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন