এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • নাটুকে 'শিক্ষা'।

    Jhuma Samadder লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৬ জুন ২০১৮ | ২৪৭২ বার পঠিত
  • নাটুকে 'শিক্ষা'।
    ঝুমা সমাদ্দার।

    এ হোলো বছরের অত্যন্ত দুঃসময়। ছাত্রছাত্রীদের জীবন-মরণ লড়াইয়ের ফলাফল , আর তার পরবর্তী উপসংহারের সময়।
    এ হোলো মুখে রসগোল্লা গুঁজে, হাসব কি হাসব না ভাবতে ভাবতে কাগজে ছবি তোলার সময় অথবা মুখটি চুন করে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে 'পান্তা মাসি থেকে খ্যান্ত পিসে' পর্যন্ত সকলের দুশ্চিন্তা বয়ে বেড়ানোর দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার সময়।
    সমস্ত দায় ওই ছোট্ট কাঁধে ফেলে, হয় 'সমস্ত শেষ' - এমন ভাব করে আমরা, বাবা মায়েরা হতাশায় ভেঙে পড়ি অথবা তাদের 'গাধা' 'গরু' ইত্যাদি সুনামভূষিত করে এবং তারা যে কী পরিমান অপদার্থ- তা হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিয়ে নিজেদের কর্তব্য সেরে ফেলি আমরা।
    আসলে বেশ বুঝতে পারি, আমরা সক্কলেই সিস্টেমের পুতুল। নিজেরা কিছুই করতে পারব না জেনেই ওদের উপর সমস্ত দায় চাপিয়ে দিয়ে হাত ঝেড়ে ফেলেছি।

    এরপর পত্রপত্রিকায় বিশেষজ্ঞরা বলতে বসবেন, 'এমন ভাবার কোনো কারন নেই। আমাদের সন্তানদের মধ্যে থেকে শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিভা খুঁজে বের করে তেল জল দিতে পারলে প্রত্যেকেই 'জিনিয়াস' হতে পারে।'
    আইনস্টাইন, বলে গেছেন - 'everyone is a genious. But if you judge a fish on its ability to climb a tree, it will live its whole life believing it is stupid.'

    বটেই তো, কিন্তু, মুশকিল হোলো আপনার-আমার সন্তানের সাধারণ স্কুলে সম্ভব কি এ কাজ? ক'জনের পক্ষে সম্ভব এসব প্রতিভা খুঁজে বের করার ? কে এদের তেলজল দেবার দায়িত্ব নেবেন? অত সময়, অত এফোর্ট দেওয়ার ইচ্ছে কার হবে? কেনই বা হবে?
    বাবা মায়েরাও ধড়াদ্ধড় নম্বর উঠতে দেখলেই যেখানে সন্তানের ভবিষ্যৎ নিরাপদ বলে মনে করেন , (কারন, সিস্টেম তাঁদের এভাবেই ভাবতে শিখিয়েছে।) তাঁরাই-বা মূল্যবান সময় নষ্ট করে ওসব 'ঘোড়া রোগ'কে পাত্তা দিতে যাবেন কেন ?

    এই, বেতনের কথাই ধরুন না কেন। একটা হিসেব দেখাই। চীনে, একজন স্কুল টিচারের বেতন পঞ্চাশ হাজার টাকা, ইউ এস এ-তে তিন লাখ, সুইজারল্যান্ডে চার লাখ(ওদেশের গড় বেতনের চেয়ে বেশী)..আর ভারতে? সরকারী শিক্ষকের বেতন তিরিশ হাজার।
    সম্মানের দিক থেকে এ পেশা এখন বেশ পেছনের সারিতে।
    এদেশে টিচার মানেই লুজার। কিস্যু করতে পারেন নি জীবনে? টিচার হয়ে যান।
    তবে, ক'জন আর এভাবে শিক্ষার প্রতি ক্ষেত্রে প্রতিভা খুঁজে বের তাদের ঠিক ঠিক পথে এগিয়ে দেওয়ার মত দুরূহ কাজটি করতে যাবেন?

    তবে উপায় যে একেবারে নেই, এমন নয়। বছরে মাত্তর দশলাখ টাকা ফেলে দিন। বাচ্চাকে ইন্টারন্যাশনাল বোর্ডের স্কুলে ভর্তি করে দিন। সেখানে এসব বিশেষ গুন খুঁজে বের করে তেলজলের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। এক্কেবারে বিলিতি ইস্কুলের ধাঁচে।
    কি হোলো, চমকালেন? নাঃ, চমকানোর কিছু নেই। আমাদের দেশে ওই যে এক পার্সেন্ট লোক আছেন, যাঁদের হাতে তিয়াত্তর পার্সেন্ট টাকাপয়সা...তাঁদের ছেলেপুলেদের জন্য এসব স্কুল। তাঁদের তো আর 'দেশ' হয় না। তাঁরা তো ইউনিভার্সাল সিটিজেন।

    তাঁদের কথা বাদ দিন। এদেশের সাধারণ সরকারী স্কুলের চল্লিশ শতাংশ শিক্ষক আনট্রেনড। তার পরবর্তী অবস্থাটা কম-বেশী আমরা সকলেই জানি।
    ফল? কোচিং ক্লাস..." ছে মাহিনে মে ইংলিস স্পিকনা শিখো।"
    - এই নাও হে, সিস্টেমের চুষিকাঠি, এই নিয়ে খুশি থাকো।

    সেই কোনকালে মেকলে সাহেবের চিঠির ফলাফলটি যে আজও সমস্ত ছেলেপিলেদের বয়ে বেড়াতে হবে, তা হয়তো মেকলে সাহেব নিজেও ভাবেন নি।

    ব্রিটিশ কোম্পানীর ব্যবসা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন ছিল ট্রেন্ড কেরানীর, ফ্যাকট্রি ওয়ার্কারদের। যার ফলস্বরূপ আবির্ভাব ঘটল স্কুলিং সিস্টেমের ।

    উদ্দেশ্য কিছু 'শেখানো' নয়, প্রয়োজন 'ইন্সট্রাকশনস্ ফলো' করানোর এবং তার জন্য অত্যন্ত জরুরী কিছু বিষয় 'ভোলানোর'। ভারতীয় সংস্কৃতি , কৌতুহল, জানার ইচ্ছে ইত্যাদি না ভোলাতে পারলে তাঁদের উপর বেশীদিন রাজত্ব করা সহজ হবে না, বুঝেই এই 'টাই(পড়ুন, গলার দড়ি) ঝোলানো জেলখানা'র ব্যবস্থা।

    আজও আমরা সেই সাহেবী সিরাপে বিশ্বাস রেখে ছেলেপুলেদের 'ইন্সট্রাকশন ফলো করানো'র লক্ষ্যে অবিচল। ( সিস্টেম বজায় রাখার সহজ পদ্ধতি। 'গণতন্ত্র' নামক 'পয়সার হাতে ক্ষমতা' কনট্রাক্টের চুষিকাঠিটি জনগনের হাতে দিয়ে আমজনতাকে ভাবনাচিন্তা করা থেকে বিরত রাখার কল। ইন্সট্রাকশনস্ ফলো করানোর অভ্যেসটি ছেলেবেলা থেকেই জনগনের মজ্জাগত হওয়া দরকার।)

    অতএব, এদেশের 'শিক্ষা' নামক ভড়ংটির প্রথম লক্ষ্য হোলো, 'টু কিল দ্য কিউরিওসিটি'। আমাদের বাচ্চাদের একেবারে চোখ পিটপিট করা বয়স থেকেই এই কৌতুহল ভোলানোর কাজটা আমরা গভীর মনোযোগের সঙ্গে করে থাকি।
    "দুইটা লোহা বরাবর পাতা কেন? উহার উপর দিয়া রেলগাড়ি যায়? কেন? মাটির উপর দিয়া না গিয়া লোহার উপর দিয়া যায় কেন? পড়িয়া যায় না? কেন?"
    -এ সব 'অদ্ভুত প্রশ্ন' আইনবহির্ভূত । কারন, এ সব প্রশ্ন 'পরীক্ষায় আসে না'। বইয়ের বাইরে কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা 'সময়ের অপচয়'।

    আমাদের 'ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থা' নামক 'কেলোর কীর্তি'র দ্বিতীয় অধ্যায় হোলো, পড়াশুনার আসল নাম 'মেমারী টেস্ট'। একধার থেকে মুখস্ত করে পরীক্ষার খাতায় খানিকটা উগরে দিয়ে আসার নামই হোলো গিয়ে 'শিক্ষা'।

    তৃতীয় অধ্যায়, 'নম্বর ইকুয়ালস টু ইজ্জত'। ইজ্জত ইজ ডায়রেক্টলি প্রোপোরশনাল টু নম্বর। শিখুক না শিখুক, মুখস্ত করেই হোক বা হল কালেকশন করে কিম্বা হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়া লিক হওয়া কোয়েশ্চেন পেপারের দৌলতেই হোক, নম্বর উর্দ্ধগামী মানেই ইজ্জত আকাশ ছোঁয়া, সে 'শর্মা জী কা বেটা' যতই অখদ্যে চরিত্তিরের লোক হোক না কেন।

    চতুর্থতঃ, ভারতীয় ঐতিহ্য অনুসরণ করে আমরা ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাতেও 'কাস্ট সিস্টেমে'র ব্যাবস্থা করেছি। 'সায়েন্স' মানেই বামুন ব্যাটা। 'কমার্স' নির্ঘাৎ কায়স্থ। আর কে না জানে, 'হিউম্যানিটিস' হোলো পাক্কা শূদ্দুর।
    আবার, তোমার ইচ্ছে হোলো, আর তুমি যা পড়তে চাও, তাই পড়তে পেলে, এমন চলতে দেওয়া যায় না মোটেই। সেটি পড়ার জন্য, জানার জন্য তুমি এলিজিবল কি না, আগে দেখা হবে। তোমার ইন্টারেস্টটা আবার কেমন ধারা এলিজিবিলিটি? আমাদের পেশাতেও বুঝি কাস্ট সিস্টেম নেই? শুদ্দূর বুঝি ইচ্ছে হলেই বামুন হতে পারে?

    পঞ্চমতঃ, ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার উদ্দেশ্যই হোলো রোবোট তৈরীর কারখানা স্থাপন। পড়াশোনার বাইরে, ডিবেট বা কমিউনিকেশন স্কিল... এসব আবার কি?
    "আহা! বললেই হোলো? আমরা কী স্কুল কলেজে 'প্রোজেক্ট' করাই না? খেলাধূলা করাই না? গান, কবিতা, ডিবেট...কোনটে বাদ আছে?"
    বটেই তো। তবে কি না, ওসব কিঞ্চিৎ আদিখ্যেতার বেশী কিছু নয়। দু'চারটে সার্টিফিকেট, পুরস্কার-টুরস্কার... ঘরে সাজিয়ে রাখার পক্ষে নেহাত মন্দ নয়।
    "আগে বই পড়ে উত্তর মুখস্ত করো, ঝরঝর বলে ফেলো, তারপর ওসব হবে এখন"।

    এরপর চোখ রাখা যাক, বোর্ডের দিকে। এদেশে সি বি এস সি, আই সি এস সি ছাড়াও আঠাশটি স্টেট বোর্ড রয়েছে। এই মাল্টিপল বোর্ড স্ট্রাকচারও অন্য আর এক প্রকার কাস্ট সিস্টেমই বটে। "আপনার বাচ্চা স্টেট বোর্ডে পড়ে? ছ্যাঃ! আপনি সমাজে ইয়ে...মানে জল অচল আর কী! "
    আমাদের ভারতীয় বোর্ড স্ট্রাকচার সকল ছাত্রছাত্রীর সমান শিক্ষাপ্রদানের মাধ্যম নয়। 'সমান' হতে দিলে উচ্চ-নীচ ভাগাভাগি করে 'ডিভাইড এন্ড রুল' কি ভাবে হবে?

    - আমাদের দেশে শিক্ষার উদ্দেশ্য কি?
    - কি আবার? চাকরি? এ আর কে না জানে? কেবল বোকা বোকা প্রশ্ন।
    " পড়াশুনো না করলে খাবি কি? চাকরি বাকরি পাবি কি করে?"- এ প্রশ্ন জ্ঞান হওয়া ইস্তক বাবা-মায়ের মুখে শুনতে শুনতেই শিশু বড় হয়।

    এবার দেখুন ছোট্ট একটা হিসেব। ভারতে মোটামুটি সাড়ে বারো কোটি শিশুকে প্রতি বছর স্কুলে ভর্তির জন্য নাম লেখানো হয়। তার মধ্যে টেনথ্ ক্লাস পাশ করে বেরোয় সাড়ে ছয় কোটি। গ্রাজুয়েশন সম্পূর্ণ করে আড়াই কোটি অথচ, এমপ্লয়েবল স্কিলড্ হয় কেবল ষাট লাখ। অর্থাৎ, যতজন স্কুলে ভর্তি হয়, তার মাত্র চার পার্সেন্ট এমপ্লয়েবল স্কিলড হয়।
    অতএব, দৌড়োও। প্রতিযোগিতার বাজারে বাচ্চাকে ঠেলে-গুঁতিয়ে-ধাক্কিয়ে দৌড় করাও।

    আপনি হয়তো ভাবছেন, "বা রে...সব্বার এমপ্লয়মেন্ট স্কিলের দরকার কী? সব্বাই-ই চাকরিই-বা করবে কেন? উচ্চশিক্ষার দিকেও তো কেউ যাবে...গবেষণা ইত্যাদি করবে।"
    তা তো বটেই। তবে কিনা, ভারত সরকার পার ক্যাপিটা R&D অর্থাৎ রিসার্চ খাতে খরচ করে থাকে মাথাপিছু মাত্র তিরিশ হাজার টাকা, যা কিনিয়া, সাউথ আফ্রিকার মত দেশগুলির থেকেও কম।ফলে ইউনিভার্সিটিগুলির 'ভাঁড়ে মা ভবানী'। এক লাখের মধ্যে মাত্র পনেরো জন ছাত্রছাত্রী এখানে রিসার্চ করারর সুযোগ পায়। অতএব, প্রতিযোগিতা এখানেও কিছু কম নেই।

    প্রায় দশ লাখের মধ্যে আমরা বছরে কেবল মাত্র সতেরোটি পেটেন্ট ফাইল করে থাকি, যেখানে চীন প্রতি বছর চারশো একান্নটি এবং দক্ষিণ কোরিয়া বছরে প্রায় সাড়ে চার হাজার পেটেন্ট জমা করে ।

    অথচ, সত্যি বলতে, ভারতে কিন্তু মেধার কোনো অভাব নেই। আবার ভাল ইন্সটিটিউশনসও যে একেবারেই নেই, সে কথা বলার মতো নিন্দুকও আমি নই । আই আই টি, আই আই এম, এইমসের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে এখানে।
    কিন্তু এতবড় দেশে এটুকু তো 'মরুভূমিতে একফোঁটা জলে'র সামিল। জিডিপি'র মাত্র দুই শতাংশ শিক্ষাখাতে খরচ হয় এখানে। ফল, বাচ্চাকে পারলে জন্মের আগে থেকেই ইঁদুর দৌড়ের জন্য প্রস্তুত করা।

    এই শিক্ষাব্যবস্থার প্রেসার কুকারে পড়ে স্ট্রেস সামলাতে না পেরে প্রতি ঘণ্টায় একজন ছাত্র আত্মহত্যা করে। অথচ, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ বাবা-মা এ ধরণের ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর বলে থাকেন, "আমাদের ছেলে-মেয়ের তো এই রকম কোনো সমস্যা ছিল না?".... এমনই হতভাগা আমরা, ভারতীয় বাবা মায়েরা । বুঝতেও পারিনা, তারা প্রতিমুহূর্তে কতখানি স্ট্রেস সহ্য করতে বাধ্য হচ্ছে।

    আমরা সকলেই সিস্টেমের জাঁতা কলে পেষাই হচ্ছি। স্বর্ণমুদ্রাই সিস্টেমের আসল চালিকাশক্তি, যা আমাদের জন্ম ইস্তক হাত-পা বেঁধে নাচিয়ে রাজত্ব বজায় রেখে চলেছে। আমরা যতই যা কিছুই বলি না কেন, সত্যি কথাটা হোলো এই, আমাদের সন্তানের বাঁচা-মরা সমস্তই সেই স্বর্ণমুদ্রার অধিকারীদের দাক্ষিণ্য ছাড়া আর কিছুই নয়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৬ জুন ২০১৮ | ২৪৭২ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    'The market...' - Jhuma Samadder
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন