@এবড়োখেবড়ো,
যাক, ৮ তারিখের পোস্টে আপনার মন্তব্য দেখে নিশ্চিন্ত হলাম যে আমি আপনার মূল বক্তব্য বুঝতে ভুল করিনি। একটা কথা নির্দ্বিধায় বলি। আমি পুরো লেখাটা ডাউনলোড করে সেভ করেছি -- আমার রেফারেন্স হিসেবে ভবিষ্যতে খুব কাজে লাগবে।
এবার আমার উত্তরপক্ষঃ
১) আগেই বলেছি, ফ্যাক্ট নিয়ে কোন কথা হবে না। কথা হবে ইন্টারপ্রিটেশন নিয়ে। একই তথ্যসমূহ থেকে আলাদা সিদ্ধান্ত হতেই পারে। রশোমন ফিল্ম, রবীন্দ্রনাথের পেইন্টিং নিয়ে ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো এবং রম্যাঁ রোলাঁর বিপরীত মেরুতে অবস্থান। কিন্তু ইতিহাসের পাতা, রাজনৈতিক অবস্থান আর সিনেমা/চিত্রকলা? কিসের সঙ্গে কিসে?
তাহলে ধরুন, ইমার্জেন্সি। প্রচুর লোক তখন ইমার্জেন্সির পক্ষে ছিলেন -- ট্রেন সময়মত চলছে, কারখানায় স্ট্রাইক হচ্ছে না, দেশে এনার্কি কমেছে, স্কুল কলেজে পড়াশুনো পরীক্ষা সময়মত হচ্ছে, গরীবের জন্যে সরকার অনেক স্কীম বানিয়েছে ইত্যাদি। অনেকটা আজকের সময়ের মত।
বলতে চাইছি আধ-গ্লাস জলকে আধগ্লাস খালি বলব নাকি আধগ্লাস ভরা? নির্ভর করছে আমি অভিমুখ কোন দিকে দেখছি। ভরা থেকে কমে আধা হয়েছে? নাকি খালি থেকে আধা ভরেছে?
২) এবার বলছি যে এই লেখায় কি কি নির্বিবাদে স্থাপিত হল? তিনটে।
গান্ধী আদৌ সাম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদ বিরোধী আপোষহীন যোদ্ধা ছিলেন না ।
গান্ধী বিবাদের সময় খেটে খাওয়া মানুষের থেকে শোষকশ্রেণীর দিকে বেশি ঝোল টেনেছেন।
গান্ধীবাবার অহিংসা খেটে খাওয়া মানুষের লড়াইয়ে রণনীতির দিক থেকে মহা-ফালতু বললে কম বলা হয়।
৩) কোন লেখা বা শিল্পকর্মের সমালোচনায় আমরা অনেক সময় তাতে কিকি নেই, কি কি হলে ভাল হত -- সেই কথা বলে থেমে যাই। তাতে বাদ পড়ে যায় -- কি কি আঁচে, কি কি পেয়েছি। এবড়োখেবড়োর তথ্যনিষ্ঠ পরিশ্রমী বিশ্লেষণে ধরা পড়েনি ফোর্থ ডাইমেনশন। একশ' বছর আগের সামন্ততান্ত্রিক সংস্কৃতির ভারতবর্ষে শক্তিশালী বৃটিশ উপনিবেশকে আঘাত হানতে ভারতের রণনীতি কি হবে? কি হতে পারত? যখন সশস্ত্রবিপ্লবের সমস্ত প্রচেষ্টা কিছু বুদবুদ তুলে মিলিয়ে গেল --- অনুশীলন/যুগান্তর/বাঘা যতীন থেকে ভগত সিং ধরেই বলছি --- তখন গান্ধীজির বেয়াল্লিশের আন্দোলন যে বিপুল মাস মোবিলাইজেশনের শক্তি দেখাল তার মন্ত্র তখনকার বিপ্লবীদের জানা ছিল না। ভারতের গ্রামীণ জনতার নাড়ির ছন্দ বোধহয় গান্ধীজির থেকে ভাল করে কেউ বোঝেননি।
৪) জনতার খাতিরে ধার্মিক মেটাফরের প্রয়োগঃ
দেখুন, এই সেদিনও জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদী কবিতা লিখেছিলেন পাকিস্তানের কম্যুনিস্ট কবি ফৈজ, তাতে কি পরিমাণ ধার্মিক মেটাফরের ব্যবহার। 'হম দেখেঙ্গে' কবিতাটির শীর্ষক ছিল কোরানের একটি বয়েত দিয়ে যার মানে হয় 'ঈশ্বরের মুখ"। তাতে রয়েছে সব মুকুট ছুঁড়ে ফেলার সিংহাসন থেকে টেনে নামানোর আহবান। কিন্তু গানটি (ইকবাল বানোর কন্ঠে আত্মবিশ্বাসে গর্জে উঠেছে) শেষ হচ্ছে 'রয়ে যাবে শুধু আল্লার নাম' বলে । কানপুর আই আই টির পন্ডিতমন্ন প্রফেসর একে হিন্দু-বিরোধী ভাবতে পারেন। কিন্তু পাকিস্তানের জনতা বা আজকের শাহীন বাগ একে ন্যায়ের দুনিয়ার মেটাফর হিসেবে বুঝতে ভুল করেনি।
৫) সাভারকর ও গান্ধীঃ
প্রথমজন নিষ্ঠাবান ধার্মিক নন , প্রার্থনা নিয়ে বিদ্রূপ করেন, সশস্ত্র বিপ্লবে বিশ্বাস করেন। জাতপাত বর্ণাশ্রম মানেন না। আমিষভোজী, গরুকে মাতা বললে ব্যঙ্গ করেন। ভারতের ভবিষ্যৎ বলতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সায়েন্টিফিক সমাজের কথা বলেন।কালাপানি গেলেন। অত্যাচার সহ্য করলেন। কিন্তু তাঁর যাত্রা শেষ হল বৃটিশের সহযোগিতায় এবং ঘোর মুসলিম বিদ্বেষে।
দ্বিতীয়জনের শুরু বৃটিশ ভজনায়, আবেদন নিবেদনের পথে, শেষ হল বৃটিশ কলোনি কে 'শয়তানের সাম্রাজ্য' আখ্যা দিয়ে 'কুইট ইন্ডিয়া' ডাক দিয়ে। নিষ্ঠাবান নিয়ামিষভোজী, গোপূজক হিন্দু, বর্ণাশমের ঐতিহাসিক ভূমিকায় বিশ্বাসী, দেশি চিকিৎসায় বিশ্বাসী, গ্রামসমাজের মধ্যে মুক্তি খোঁজেন। সেই ভদ্রলোক ধীরে ধীরে দাঁড়ালেন জাতপাতের বিরুদ্ধে, হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের পক্ষে। বললেন -- ' ঈশ্বরো আল্লা তেরো নাম'। নির্ভয়ে মেজরিটারিয়ান মতের বিপক্ষে পাকিস্তানকে পাওনা টাকা দেওয়ার দাবিতে অনশনে বসলেন এবং প্রাণ দিয়ে বিশ্বাসকে ধরে রাখলেন।
কোনটা ভরা গ্লাস আধা হল অ্যার কোনটা খালি হল?
৬) আজকে ওঁর নীতি কতটুকু মানব সেটা স্বতন্ত্র আলোচনার দাবি রাখে।
@রঞ্জন,
আগেই দুঃখপ্রকাশ করছি দেরিতে উত্তর দেওয়ার জন্য। আসলে গুরুর নতুন লে আউটে সড়গড় হতে সামান্য অসুবিধার কারণে এই দেরি। যাই হোক, আপনার উত্তরপক্ষের উত্তর দিই।
১) // একশ' বছর আগের সামন্ততান্ত্রিক সংস্কৃতির ভারতবর্ষে শক্তিশালী বৃটিশ উপনিবেশকে আঘাত হানতে ভারতের রণনীতি কি হবে? কি হতে পারত? যখন সশস্ত্রবিপ্লবের সমস্ত প্রচেষ্টা কিছু বুদবুদ তুলে মিলিয়ে গেল--- অনুশীলন/যুগান্তর/বাঘা যতীন থেকে ভগত সিং ধরেই বলছি--- তখন গান্ধীজির বেয়াল্লিশের আন্দোলন যে বিপুল মাস মোবিলাইজেশনের শক্তি দেখাল তার মন্ত্র তখনকার বিপ্লবীদের জানা ছিল না। ভারতের গ্রামীণ জনতার নাড়ির ছন্দ বোধহয় গান্ধীজির থেকে ভাল করে কেউ বোঝেননি। //
আমার মতে ভারতের রণনীতি হতে পারত হিন্দু-মুসলমানের ঐক্যবদ্ধ গণ-আন্দোলন। কিন্তু কংগ্রেস তথা গান্ধী এই দিকটাকে উপেক্ষা করেছেন। ১৯২৮-এর নেহরু রিপোর্ট মুসলমানদের মাত্র ৮% অধিক সংরক্ষণ না দেওয়ার গোঁয়ার্তুমিতে সেই সম্ভাবনাকে নষ্ট করেছে। পরবর্তীকালে যুক্তপ্রদেশে মন্ত্রিসভায় লিগকে না নেওয়া, ৩৭-এর নির্বাচনে লিগকে অবহেলা করা, পরে লিয়াকত আলিকে অর্থমন্ত্রকে ঠেলে দেওয়া --- একের পর এক ভুল কংগ্রেস করে গেছে। গান্ধী-জিন্না দ্বৈরথের সৃষ্টি যদি না হত, গান্ধী যদি হিন্দুত্ববাদী কংগ্রেস না গড়ে তুলতেন তাহলে ব্রিটিশ ভেদ-বিভাজনের রাজনীতি করতে পারত না। ক্ষমতা হস্তান্তর রক্তপাতহীনভাবেই হত কিন্তু তার জন্য এত রক্ত ঝরত না।
সশস্ত্র বিপ্লবেও এই খামতি ছিল। সেখানে মুসলমানদের ব্রাত্য করে রাখা হয়েছিল। ভুললে চলবে না, তার আদর্শ ছিল বঙ্কিম-বিবেকানন্দের হিন্দু পুনর্জাগরণ। কাজেই সেটা ব্যর্থ।
আর গান্ধীর ৪২-এর আন্দোলনে গান্ধী কোথায়? পুরোটাই ছন্নছাড়া। পরিকল্পনাহীন, নেতৃত্বহীন স্বতঃস্ফূর্ত গণবিক্ষোভ যা শেষ করতে ব্রিটিশের সময়ই লাগেনি। এবং সেই গণবিক্ষোভ মোবিলাইজ করার ক্ষেত্রে গান্ধীর অবদান শূন্য। বরং তিনি যদি সত্যি সত্যি মাসকে মোবিলাইজ করতেন তাহলে তার ফল কী হতে পারত তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়।
ভারতের গ্রামীণ জনতার নাড়ির ছন্দ গান্ধী সব থেকে ভালো বুঝেছেন, কিন্তু তাঁর আন্দোলনে তাঁরা কোথায়? বিপুল কৃষকসমাজ তো তাঁর আন্দোলনে চিরকালই ব্রাত্য। আর তাছাড়া গ্রামীন মানুষ তাঁকে পুজো করেছে অবতাররূপে। এ কাজে গান্ধীর ভূমিকাও আছে, তাঁর অনুগামীদের ভুমিকাও কম নয়।
২) জনতার খাতিরে ধার্মিক মেটাফরের প্রয়োগঃ
ধার্মিক মেটাফর শিক্ষিত জনতা বুঝলেও বুঝতে পারেন, অশিক্ষিত কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ বোঝেনি। যিনি ভূমিকম্পকে পাপ হিসেবে চিহ্নিত করেন সেটাকে মেটাফর ভাবা স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের পক্ষেও সম্ভব হয়নি। সেটা যে আদতে মেটাফর ছিল না, গান্ধীর বিশ্বাস ছিল সেটা সবাই জানেন। আসলে ধর্মের সঙ্গে রাজনীতিকে মিলিয়ে ফেলা এবং তারপরে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির আহ্বান জানানো গান্ধীর অন্যতম বড় ভুল। তিনি বাঘের পিঠে উঠেছেন এবং শেষে বাঘ তাঁকে গিলে ফেলেছে।
৩) সাভারকর ও গান্ধীঃ
সাভারকর সম্পর্কে আপনার সঙ্গে সহমত কিন্তু গান্ধী সম্পর্কে নই। কারণ খুব খুঁটিয়ে দেখলে গান্ধীর একমাত্র আন্দোলন অসহযোগ এবং পরবর্তীতে আইন অমান্য ও ভারত ছাড়ো আন্দোলন তাঁর আপসের রাস্তা খুলে রাখার জন্য করা। ১৯২১-এর পরে গান্ধীর একটা আন্দোলনের কথা বলুন যেখানে তিনি তাঁর দাবি আদায়ে সমর্থ। এমনকি ১৯২১-এর আন্দোলনও সাম্প্রদায়িকতার চোরাবালিতে ডুবে যাওয়া আন্দোলনের অন্য নাম।
আর গান্ধী আদৌ জাতপাতের বিরুদ্ধে দাঁড়াননি বরং তাঁদের সঙ্গে ছলনা করেছেন, যা আলোচিত হয়েছে গান্ধী-আম্বেদকর পর্বে।
এস চক্রবর্তী, আপনার উত্তর বিলম্বে দেওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।
আসলে জুনাগড়ের সঙ্গে কাশ্মীর অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। ১৯৪৬-এর নির্বাচনের আওতায় দেশীয় রাজ্যগুলো ছিল না। ক্যাবিনেট মিশনেও তাদের নিয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি। এমনকি অ্যাটলির সরকারি ঘোষণাতেও এই রাজ্যগুলোর অন্তর্ভুক্তির বিষয়টা সুকৌশলে পাশ কাটানো হয়। এমতাবস্থায় ২৭ জুন অর্থাৎ স্বাধীনতার মাত্র ৫০ দিন আগে সরকার ‘দেশীয় রাজ্য বিভাগ’ গঠন করে। এই নতুন দফতরের মন্ত্রী হলেন প্যাটেল, তিনি সচিব হিসেবে বাছলেন ভি পি মেননকে। এই ব্যাপারে প্যাটেল ছাড়াও গান্ধী ও নেহরু এই রাজ্যগুলোকে ভারতের অধীনে নিয়ে আসার ব্যাপারে মাউন্টব্যাটেনকে অনুরোধ করেন। ১৫ অগস্টের আগেই প্রায় সব দেশীয় রাজ্য ভারতের অন্তর্ভুক্ত হলেও যে তিনটে বড় রাজ্য ভারতের অন্তর্ভুক্ত হতে চায়নি তার অন্যতম ছিল জুনাগড়।
জুনাগড়ের প্রধান বন্দরনগর ভেরাবল থেকে করাচির দূরত্ব খুব বেশি ছিল না। এখানকার নবাব ছিলেন মুসলমান এবং ৮২% প্রজা ছিলেন হিন্দু অর্থাৎ কাশ্মীরের ঠিক উল্টো। জুনাগড় পাকিস্তানভুক্ত হল। জুনাগড়ের পাকিস্তানভুক্তির বিষয়টা প্যাটেলের অহং-এ আঘাত হানল। একে তো গুজরাট তাঁর খাসতালুক, তার ওপরে ওই জুনাগড়েই আছে সোমনাথ মন্দির। ফলে যে প্যাটেল নেহরুর কাশ্মীর অন্তর্ভুক্তির বিষয়টা নিয়ে ততটা আগ্রহী ছিলেন না, সেই একই প্যাটেল এবার জুনাগড়ের পাশাপাশি কাশ্মীর নিয়েও উদ্যোগী হলেন। জুনাগড় ভারতের দখলে আসল ৯ নভেম্বর, পাশাপাশি ৭১% মুসলমান অধ্যুষিত কাশ্মীরকেও ভারতভুক্ত করা হল ২৬ অক্টোবর। জুনাগড় পাকিস্তানে না গেলে কাশ্মীর নিয়ে প্যাটেল আদৌ আগ্রহী হতেন কি না তা লক্ষ টাকার প্রশ্ন। প্রসঙ্গত জুনাগড়ের ক্ষেত্রে কিন্তু গণভোট নেওয়া হয়েছিল অথচ কাশ্মীরের ক্ষেত্রে তা হয়নি। ।
অসাধারণ লেখা। সমৃদ্ধ হলাম।
প্রতিবেদন শেষে ৫৮ টি বইএর তালিকা দেখে কৌতুক বোধ হলো। গান্ধি কিছু বিশেষ ধরনের স্বঘোষিত গবেষকদের নিরাপদ বিষয়। যথেচ্ছ কাঁটা ছেঁড়া করা যায়। এবং সেটা মাত্র গোটা কয়েক বই পড়েই! বিস্তৃত আলোচানা করার আগ্রহ বোধ করছি না। শুধু একটা ছোট্ট প্রশ্ন: গান্ধীর সল্ট মার্চ নিয়ে একটি বাক্য না থাকার কারণ কি? মাত্র ২৬ দিনের ঐ মার্চ Peshwar থেকে Chitagung পর্যন্ত কি অভিঘাত তৈরি করেছিল, সে সম্পর্কে কোনো বইএর সন্ধান কি গবেষক (!) পাননি! গান্ধি মারা যাবার মাস তিনেক পরে নেহরু বেশকিছু মানুষকে নিয়ে বসে ছিলেন সেবা গ্রামে। আলোচনার বিষয় ছিল, গান্ধি হত্যা। এর ঠিক ৬০ বছর পর ২০০৮ এ সবরমতি আশ্রমে বেশ কিছু গবেষক আলোচনায় বসেেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন এই বাংলার পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
ওই আলোচনাও বই আকারে বেরিয়েছে। বর্তমান গবেষক বোধহয় নামও শোনেন নি !!???
লেখককে অনুরোধ করে লাভ হবে কিনা জানিনা, কারণ উনি যথেষ্ট সচেতন ভাবেই অর্ধ এবং অসত্য প্রচারে পারঙ্গম, তবুও বলছি, আমি আরো ১৫৮ টা বইএর তালিকা দিতে পারি, যে সম্ভার লেখকের যুক্তিবিন্যাসকে নস্যাৎ করতে পারে । এযুগটাই মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করার যুগ।" It is the age of burrying the truth "
ব্রাভো !!! চালিয়ে যান.....
পঞ্চম পর্ব : গান্ধী ও আইন অমান্য — হারানো-প্রাপ্তি-নিরুদ্দেশের আখ্যান
"আন্দোলন পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের ভার গান্ধীর ওপর অর্পণ করা হয়। ভারতের শ্রমিকশ্রেণিকে আন্দোলন থেকে দূরে রেখে এবং কৃষকদের খাজনা বন্ধ আন্দোলন থেকে বিরত রাখার আহ্বান জানিয়ে গান্ধী দেশবাসীকে আশ্বাস দিয়ে জানান, “যতদিন পর্যন্ত একজন আইন ভঙ্গকারী মুক্ত বা জীবিত থাকবেন, আইন অমান্য ততদিন চলবে” (ইয়ং ইন্ডিয়া ২০-২-১৯৩০)। এক সপ্তাহ পরে ওই পত্রিকায় তিনি লেখেন: “So far as I am concerned, my intention is to start the movement only through the inmates of the Ashram and those who have submitted to its discipline and assimilated the spirit of its methods” (CWMG, ৪৮/৩৪৮)। অতঃপর নিজ হাতে বেছে নেওয়া ৭৮ জন সত্যাগ্রহীকে নিয়ে ১৯৩০ সালের ১২ মার্চ সাবরমতী আশ্রম থেকে শুরু হয় তাঁর লবণ সত্যাগ্রহ। "
কিন্তু আমরা ১৫৮ টা বইয়ের লিস্ট পেতে আগ্রহী। যুক্তিবিন্যাসকে নস্যাৎ করাটাও জানতে চাই। পয়েন্ট ধরে ধরে রেফারেন্সের পাতা বলে দিলেই হবে। বেশি কিছু লিখতে হবে না। প্লিজ।