এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ফুটবল, মেসি ও আমিঃ একটি ব্যক্তিগত কথোপকথন (পর্ব ৪)

    Ranajay Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৭ এপ্রিল ২০১৯ | ১৮৩৪ বার পঠিত
  • শৈশবের সব স্মৃতিই যেরকম হয়, বাস্তবের থেকে উজ্জ্বলতর, তেমনই সেই দুপুরগুলোও ছিল আরো ঝকঝকে, আরো নির্জন, যখন আমাদের বাড়ির ন্যাড়া ছাদে আমি পায়চারি করতে করতে পড়াশোনা করতাম। আকাশ থাকত মেঘলা, ছাদে অন্য কেউ উঠতে পারত না কোনো সিঁড়ি ছিল না বলে, আর পাশের বাড়ির বেলা করে রান্নায় ফোড়নের গন্ধে আর হালকা হাওয়ায় নিজের মতো বেশ থাকা যেত।

    আমি উঠতাম একটা ছোট পাঁচিলে, সেখানে দাঁড়িয়ে পাশের অ্যাসবেস্টসের চালে প্রথমে বই, জলের বোতল ছুঁড়ে দেওয়া আর তারপর হাতে ভর দিয়ে নিজে ওঠা, তারপর সেখান থেকে আরেক লাফ দিয়ে ছাদে। বর্ষায় শ্যাওলা জমলে ঝুঁকি বেশ অনেকটা বেড়ে যেত কারণ পাঁচিলটাই ছিল তিনতলায়। তবু গভীর একাকিত্বের লোভ।

    তবু একা থাকা যেত না অথচ একাকিত্ব নষ্টও হত না কারণ অনেক অনেক চিল। মাথার অনেক উপর দিয়ে বা কখনো বেশ নিচু দিয়েই উড়ে যেত তারা। বই, চিল ও আমি – একটি সুঠাম সংসার। শুধু কখনো কখনো, হঠাৎ কোনো চিল পেছন থেকে উড়ে এসে মাথায় প্রচণ্ড ঠোকর মেরে চলে যেত। ব্রহ্মতালু জ্বলে যেত, মাথায় জল দিয়ে হাত বোলাতে বোলাতে চোখে অকুণ্ঠ অভিযোগ নিয়ে তাকিয়ে থাকতাম উড়ে যেতে থাকা সেই চিলের দিকে। কয়েক দিনের মধ্যে মাথা প্রায় স্থায়ীভাবে টাটিয়ে গেল, কিন্তু ছাদে আর না ওঠার কথা কখনো মনে আসেনি। সে ছাদ আমার, উন্মুক্ত আকাশ আমার, দুপুর-বিকেল আমার, এই শহরে সবার চোখের সামনে ঘটে যাওয়া অথচ চিরবিস্মৃত প্রতিটি শব্দহীন সূর্যাস্ত আমার। না আসার প্রশ্নই ছিল না।

    ঘটনাচক্রেই আবিষ্কার করলাম, আমার দিকে উড়ে আসতে থাকা চিলের দিকে যদি হঠাৎ চোখ পড়ে যায়, তাহলেই সে দিক পালটে ফেলে যেন তার কখনো আমাকে ঠোকর মারার ভাবনা ছিলই না। আর ধীরে ধীরে, কিভাবে যেন, বইয়ের দিকে তাকিয়েও টের পেতে শুরু করলাম কখন চিল আসছে আমার দিকে। হাঁটছি, বইয়ে মনোযোগ, আর অকস্মাৎ গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যেত, ঝপ করে নিচু হয়ে যেতাম আমি আর দেখতে পেতাম মাথার ঠিক এক ইঞ্চি উপর দিয়ে চলে গেল এক ব্যর্থ চিল। বাতাসের প্রবাহে সামান্য বদল, মেঘলা দুপুরের আবহসঙ্গীতে শব্দের প্রায় অশ্রুত পরিবর্তন নাকি অন্য কিছু – অবচেতনে কী সাড়া জাগাত, ঠিক কী সাবধান করে দিত, কে জানে! তো আমি হয়ে উঠলাম অজেয়, স্কুলে পড়া রোগা, চশমা পড়া অন্তর্মুখি এক কিশোর যে সবার অজান্তে এক বিশাল লড়াই জিতে গেছে। ছাদে দাঁড়িয়ে চারদিকে তাকাতাম, এদিকে মানিকতলা, ওদিকে গড়পার, ওদিকে আমহার্স্ট স্ট্রিট আর ওদিকে রাজাবাজার...যতদূর চোখ যায়, ততদূর আমার অমোঘ রাজত্ব। কেউ ছুঁতে পারে না আমায়। এ রাজত্বকাল চলেছিল কয়েক সপ্তাহমাত্র। যতদিন না সেই বিশেষ চিলটি এল।

    সেদিন বই থেকে চোখ তুলতেই দেখেছিলাম, আসছে। জানতাম চোখে চোখ পড়ে গেছে, এবার ফিরে যাবে। আর সে ফিরল না। আসতেই থাকল। হকচকিয়ে গেলাম আমি। কিছু বোঝার আগেই বড্ড কাছাকাছি চলে এল সেই চিল আর আমি চমকে পড়ে গেলাম। হাত থেকে বই ছিটকে গেল। ঠোকর পড়ল না কিন্তু সে চলেও গেল না। অনেক অনেক উঁচুতে উঠে পাক খেতে লাগল আর আমি জানতাম যে কোনো সময় ফিরে আসবে। সে চিলের চাহনি মনে করে সেই প্রথমবার ভয় হল। প্রথমবার নেমে এলাম ছাদ থেকে, আর না ওঠার ভাবনা মাথায় নিয়ে।

    অনেক বছর পর এক মানুষকে দেখি, যার চোখ স্বভাবত নিস্তরঙ্গ কিন্তু কখনো ঝলসে উঠলে অবিকল সেই চিলের চোখ, চাহনি। যেন সে সামনে দাঁড়িয়ে দেখছে, আবার অনেক অপর থেকেও দেখছে, একইসঙ্গে। কালপ্রবাহে পিছিয়ে গেলে দেখা যাবে এক চার বছরের শিশুকে, তার দুই দাদার খেলা দেখতে এসেছে তার ঠাকুমার সঙ্গে।

    ১৯৮৬ বা তার আগে জন্ম যাদের, তাদের নিয়ে ৭ বনাম ৭-এর খেলা। কোচ হতাশভাবে দেখেন, এসেছে মাত্র তেরোজন। আর দূরে, ধুলোর মধ্যে আইসক্রিম চাটতে চাটতে একটা বল পেটাচ্ছে একা এক কারখানার শ্রমিকের ছেলে, যাকে তিনি চেনেন, ১৯৮৭তে জন্ম, চেহারা যার চারের পক্ষেও বেশি ছোটখাটো। মাঠের পাশে বসে থাকা তার জাঁদরেল ঠাকুমার দাবি, তাকে খেলাতেই হবে।

    শিল্প-শহরের এক মাঠ। সে শহরে থাকে লাখ দশেক লোক, অসংখ্য মালবাহী ট্রেন আর জাহাজ, লোহা আর তেল, যে শহরে শয়ে শয়ে লোক অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৩র মধ্যে, একনায়কতন্ত্রের ম্যাজিকে। গণতন্ত্র ফেরার পরেও যে শহর দেখেছে দাঙ্গা, লুট, আর ১৯৯৫ নাগাদ বেকারত্ব পৌঁছেছে ২১%-এ। অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী। সেই শহরের এক মাঠে হতাশ, নিরুপায় এক কোচ দর কষাকষি করেন এক মেজাজি বুড়ির সঙ্গে, ঠিক আছে, তাঁর নাতিকে নামানো হবে, কিন্তু উইং-এ, যাতে কেঁদে ফেললেই তাকে ঝট করে তুলে নেওয়া যায়।

    প্রথমবার বল তার দিকে গেলে সে উদাসীন। কোচ বিরস বদনে মাথা নাড়েন। ঠিক যেরকম ভাবা গিয়েছিল। দ্বিতীয়বারেও তাই। তৃতীয়বার সে যখন বল পায়, তখন সামান্য হলেও একটু জায়গা ফাঁকা তার সামনে। আর সে দৌড় শুরু করে।

    তার দৌড় কতটা বিস্ফোরক ছিল, সেই বয়সেই সে কি করে চকিতে বুঝত কোনদিকে সামনের খেলোয়াড়ের শরীরের ওজন ঝুঁকছে আর সঙ্গে সঙ্গেই পালটে ফেলত দিক, কিভাবে তার বাঁ পায়ে আটকে ছিল বল, তা তার ঠাকুমার বোঝার কথা ছিল না। তিনি শুধু দেখছিলেন তাঁর ছোট্ট নাতি বছর দু-তিনেকের বড় ছেলেদের ছিটকে দিচ্ছে পরপর, আর তিনিও বাচ্চাদের মতো আনন্দে হাততালি দিচ্ছিলেন, হয়তো নাতির রেখে যাওয়া আইসক্রিমটাও খানিক খেয়ে নিয়েছিলেন, নষ্ট করে তো লাভ নেই। শিশুটি এগোচ্ছিল গোলের দিকে। অমোঘ। কোচ নিঃশ্বাস নিতে ভুলে গিয়েছিলেন। এ তো গাম্বেতা! ৪ বছর বয়েসে কি করে সম্ভব!

    বলা হয়, গাম্বেতা ট্যাঙ্গো নাচের আরেক রূপ, যার এক অংশ বলকে নিয়ে যা খুশি তাই করার ক্ষমতা আর অন্য অংশ প্রতিপক্ষকে সম্পূর্ণ ভুল দিকে চালনা করার ক্ষমতা। কেউ কেউ বলে, গাম্বেতা জীবন, ফুটবল ও শিল্পের মোহনাবিন্দু।

    বিরোধীপক্ষের খেলোয়াড়রা অজান্তেই দেখছিল সেই গাম্বেতা, আর সেই চোখ, যার দিকে তাকিয়ে থাকলেও, জোট বেঁধে অপেক্ষা করলেও সে এগিয়ে আসা থামায় না। সেই চিলের চোখ।

    তাকে আমি দেখে গেছি বছরের পর বছর। তার চোখ, তার গাম্বেতা ম্যাজিক, যেরকম আগে কখনো দেখিনি, কেউ দেখেনি। মাঠে দাঁড়িয়েও সে চিলের মতোই আকাশ থেকে দেখে মাঠ, কে কোথায় আছে, কিভাবে বল কোথায় গেলে বিপদ সর্বাধিক হতে পারে। আমি বহুদূর থেকে শুধু তাকে দেখে গেছি। মনে পড়েছে জোসেফ ক্যাম্পবেলের লেখা, সমস্ত মিথের ভিতরে লুকিয়ে থাকা নায়কের আর্কিটাইপের কথা। চিল-ঝলমলে দুপুরের নায়ক।

    আট বছর বয়েসে সে সেই কালিঝুলিমাখা রোজারিও শহরের এক দরিদ্র দেওয়ালে নিজের নাম লিখে রাখে। আজও লোকে খুঁজে খুঁজে দেখে আসে সেই নাম।

    লিও।

    প্রথম পর্ব - http://www.guruchandali.com/blog/2018/07/09/1531116965920.html

    দ্বিতীয় পর্ব - http://www.guruchandali.com/blog/2018/07/10/1531218191733.html

    তৃতীয় পর্ব - http://www.guruchandali.com/blog/2018/07/15/1531636373678.html?author=10213217331802779
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৭ এপ্রিল ২০১৯ | ১৮৩৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | ***:*** | ২৮ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৫০48024
  • ছাদ ও চিল পর্ব ভাল লাগলো। তারপর?
  • aranya | ***:*** | ২৮ এপ্রিল ২০১৯ ০৮:০১48025
  • 'তার দৌড় কতটা বিস্ফোরক ছিল, সেই বয়সেই সে কি করে চকিতে বুঝত কোনদিকে সামনের খেলোয়াড়ের শরীরের ওজন ঝুঁকছে আর সঙ্গে সঙ্গেই পালটে ফেলত দিক, কিভাবে তার বাঁ পায়ে আটকে ছিল বল'
    - ম্যাজিক, মেসি, ফুটবল

    খুবই ভাল লাগছে রণজয়ের এই সিরিজ
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন