এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • শুধু পদ্ধতিগত ত্রুটি?

    দেশকাল ভাবনা লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ১০২২ বার পঠিত
  • সম্পাদকীয় (আগস্ট সংখ্যা)

    নানা ধর্ম, নানা বর্ণ, নানা ভাষা, নানা সংস্কৃতির দেশ ভারতবর্ষকে এক রাষ্ট্র এক নিশান-এর মধ্যে ঐক্যবদ্ধ রাখার পূর্বশর্ত হল সকলের স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে এক বহুত্ববাদী গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ শাসন কাঠামোর নিশ্চয়তা প্রদান। এই রাষ্ট্রের অবয়ব যাঁরা গড়েছেন তারা যে এটা বুঝেছিলেন, এ দেশের সংবিধানের ছত্রে ছত্রে তার প্রমাণ আছে। তারা অবাস্তব কোনো কিছু অর্জন করার জন্য তাদের মেধা ও মনন প্রয়োগ করেছিলেন, যে উদ্ধত, অপরিণামদর্শী স্বল্প মেধার টুইট-নির্ভর ইনটেলেকচুয়াল গুন্ডারা আজ এ কথা বলেন, তারা ভুলে যান যে আমাদের সংবিধান প্রণেতাদের চোখে স্বাধীন ভারতরাষ্ট্রের এই অবয়বটি স্পষ্ট হয়েছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে এক জাতি হিসেবে ভারতবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করতে গিয়ে অনেক মূল্য দিয়ে এই বোধটি তাদের অর্জন করতে হয়েছিল। এক ফুৎকারে তাদের বহু সাধনার বহু অভিজ্ঞতার অর্জনকে উড়িয়ে দিয়ে অন্য এক ভারত ভাবনার কথা বলেন এই টুইট-বিশারদরা, যে ভারতের ধর্ম একটাই— হিন্দুধর্ম, একটাই ভাষা হিন্দি ভাষা, একটাই সংস্কৃতি হিন্দু ধর্ম-নির্ভর সংস্কৃতি। বলা উচিত, এই ভারত ভাবনার যাঁরা জনক, যাঁদের ভারত ভাবনার মূলে এঁরা সার-জলের যোগান দিয়ে চলেছেন, এক জাতি হিসেবে ভারতবাসীকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করার লড়াই-এ তাঁদের কোনো ভূমিকা ছিল না, থাকা সম্ভবও ছিল না সম্ভাব্য যে ভূমিকা থাকতে পারতো এই আদি হিন্দুত্ববাদীদের, বাস্তবে সেটাই ঘটেছিল। সাভারকার বা গোলওয়ালকারের ব্রিটিশ বিরোধিতার দৌড় কতটা ছিল, স্বাধীনতা ইতিহাসের পাতায় কালি ঢেলেও তা ঢাকা যাবে না। আমাদের সংবিধান প্রণেতারা এই গোত্রের মানুষ ছিলেন না। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে এক জাতি হিসেবে ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করার সংগ্রামের অভিজ্ঞতায় তারা বুঝেছিলেন, যে শাসন কাঠামো স্বাধীন ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করে রাখতে পারে, বহুত্ববাদের স্বীকৃতির ওপরই তাকে দাঁড়াতে হবে।
    সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করার সাম্প্রতিক ঘটনাটিকে দেখতে হবে এই দৃষ্টিকোণ থেকে। আঘাতটা মামুলি আঘাত নয়। গোলওয়ালকরের উত্তরসূরিরা আঘাত নামিয়েছে সংবিধান প্রণেতাদের ভারত ভাবনার ভিত্তি মূলেই। কী থাকে এরপর? থাকে কাশ্মীরের মানুষের ক্রমবর্ধমান ভারত বিদ্বেষ, আর তার প্রতিক্রিয়ায় হিন্দি-হিন্দু বলয়ে মুসলমান বিদ্বেষ, ঘৃতাহুতি পড়ে বর্ধমান অসহিষ্ণুতায়, উগ্রতা ও হিংস্রতার ভাষা ছাড়া অন্য ভাষা বিলুপ্ত হয় সমাজ থেকে। পরিস্থিতি স্বৈরাচারী নিপীড়নের ন্যায্যতা নির্মাণ করে, সীমিত হয়ে আসে মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো। রাষ্ট্র রূপান্তরিত হয় ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে। এ পথেই রচিত হবে গোলওয়ালকরের ভারতবর্ষ। ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে এটাই হতে পারে নীতিগত অবস্থান বিষয়টা পদ্ধতিগত অসংগতির বিষয় নয়, বিষয়টা সংবিধানের মূল স্পিরিট রক্ষার বিষয়। ৩৭০ ধারা রদের বিষয়টি নিয়ে সংসদে রাজনৈতিক দলগুলি যে ভূমিকা পালন করলো, তার মধ্যে কুৎসিততম হল তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিকা। এই দলটির যিনি জন্মদাত্রী, কী ভারত আমরা চাই, সেসব নিয়ে কঠিন চিন্তায় প্রবেশ করার ক্ষমতা তার নেই। তার আছে সহজাত ধূর্তামি। সেই ধূর্তামি তাঁকে যা শিখিয়েছে, তার নির্যাস হল, এই ধরনের সম্মুখযুদ্ধে কৌশলে পালিয়ে যাবার রাস্তা খোঁজা। রাস্তা যা পাওয়া গেল তার সার কথা, সংবিধানের এই ধারাটি রদ করার বিষয়ে তাঁর নীতিগত আপত্তি নেই, আছে পদ্ধতিগত বিরোধিতা। এই বিরোধিতার মাত্রা আবার কতটা সংযত, সংসদে তার প্রমাণও থেকে গেল। তার দলটি ৩৭০ ধারা রদের প্রশ্নে যে খসড়া আইন (বিল) সংসদের অনুমোদনের জন্য পেশ করা হ’ল, তার বিরুদ্ধে দিদির দল ভোট দেয়নি, ‘ওয়াক আউট’ করে বিল-এর বিরুদ্ধে ভোট দেবার দায় থেকে অব্যবহতি নিয়েছে দলটি। তুলনামূলক বিচারে অনেক স্বচ্ছ অবস্থান ছিল বামপন্থীদের। সংসদে তাদের ক্ষমতা সীমিত। কিন্তু সীমিত ক্ষমতা নিয়েই সংসদীয় বামপন্থীরা শেষ পর্যন্ত বিরোধিতা করে গেছে এই আক্রমণের। প্রাণপণে তারা চেষ্টা করেছেন। ভারতবর্ষের সংবিধানের যে স্পিরিট, বহুত্ববাদী ভারত রক্ষার স্পিরিট, সেটিকে রক্ষা করার। প্রশ্ন হ’ল তৃণমূল কংগ্রেস এই কান্ডটা করলো কেন? পশ্চিমবঙ্গে যাঁদের বিজেপি বিরোধিতায় মুগ্ধ একদল নকশালপন্থী এখন তৃণমূলের ছাতার তলায় আশ্রয় নিয়ে বিজেপি’র আগ্রাসন রোধ করার চিন্তা করছেন, এই প্রশ্নটি তাদের কি তাড়িত করে? উত্তর সম্ভবতঃ নেতিবাচক। তৃণমূল কেন এই কাণ্ডটা করলো এটা বুঝতে হলে তাদের আগে বুঝতে হবে যে বাম বিদ্বেষজাত এই রাজনৈতিক শক্তিটির সঙ্গে বিজেপি’র মানসিক দূরত্ব নেই। ভিন্ন মতাদর্শে যতটা আস্থা থাকলে কায়মনোবাক্যে বিজেপি বিরোধিতা করা যায়, তৃণমূল সে জাতের দলই নয়। পদ্ধতিগত ত্রুটির ভেলা অবলম্বন করে হিন্দুত্ববাদের বিপুল জোয়ারের বিরুদ্ধে দাঁড়াবার ভন্ডামি তাকে করতে হয়েছে এই কারণে। নকশালপন্থীদের যে অংশটি এখন তৃণমূলের ছাতার তলায় দাঁড়িয়ে আগ্রাসী হিন্দুত্বর প্রবল প্লাবন থেকে রক্ষা পাবার চেষ্টা করছেন, তারা এটা বুঝবেন না, যতদিন তারা বামফ্রন্ট বিদ্বেষ থেকে মুক্ত না হবেন।
    গোলওয়ালকরের ভারতবর্ষের বিরুদ্ধে বহুত্ববাদী গণতান্ত্রিক ভারতের ধ্বজা উড্ডীন রাখার দায়িত্ব এখন বামপন্থীদের। এই দায়িত্ব পালনের সুযোগ আরও সীমিত হবে ভারতের সংসদে। সে কারণে হতাশ হবার প্রয়োজন নেই। সংসদের মধ্যে লড়াই-এর সঙ্গে আছে বিশাল ভারতবর্ষের নগরে প্রান্তরে লড়াই প্রসারিত করার শপথ। সে শপথে দৃঢ়বদ্ধ থাকলে বাকি ইতিহাস রচিত হবে অন্য ভাষায়, ভারতবাসীর সহজাত বহুত্ববাদী ভাষায়।

    [সংখ্যাটি পাওয়া যাচ্ছে কলেজস্ট্রীটে পাতিরাম, এনবিএ, বুকমার্ক, মণীষা, ধ্যানবিন্দুতে। এছাড়াও রাসবিহারীতে প্রোগ্রেসিভ, উল্টোডাঙা, সোনারপুর স্টেশন প্ল্যাটফর্ম নং ২ (দাদুর দোকান) এবং আরও অন্যান্য জায়গায়।

    মূল্যঃ ২০ টাকা]
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ১০২২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পিনাকী | ***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:২২47699
  • হ্যাঁ, লিখে দিলে হত। ঠিকই। আসলে লিটল ম্যাগরা চাইলে তাদের ম্যাগের জন্য একটা ব্লগ অ্যাক্সেস তৈরী করে দেওয়া হচ্ছে, যাতে তাদের ইস্যুর কোনো বাছাই লেখা তারা তাদের ম্যাগের ব্লগে রাখতে পারে। সাথে ইস্যুর দাম, প্রাপ্তিস্থল, এগুলোও। মেনলি পাঠকদের ইস্যু সম্বন্ধে আগ্রহ তৈরীর জন্য। এবার কোন লেখা রাখবে সেটা তাদের চয়েস।
  • | ***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৮:৩৪47695
  • এটা কোন পত্রিকার সম্পাদকীয়? কিসের সংখ্যা?
  • পিনাকী | ***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১০:১২47697
  • এটা দেশকাল ভাবনা পত্রিকার সম্পাদকীয়। এই ইস্যুর থীম হল ‘বেহাল অর্থনীতি’।
  • | ***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১১:২০47698
  • ওহো 'দেশকালভাবনা' একটা পত্রিকার নাম? সেখান থেকে নির্বাচিত অংশ তোলা হচ্ছে?
    তা সেটা কোথাও লিখে দিলে বোধহয় ভাল হয়।

    আমি সকাল থেকে ভাবছি এটা কিরকম ব্লগ রে বাবা! এরকম থিম ব্লগে ইউজার তাহলে তো 'গুরুচন্ডা৯' করবে ইত্যাদি।
  • স্বাতী রায় | ***:*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৭:১৩47700
  • এ@পিনাকী এটা দারুণ কাজ!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন