ফ্যাসিস্ট শাসন কায়েম ও কর্পোরেট পুঁজির স্বার্থে, দীর্ঘসংগ্রামে অর্জিত অধিকার সমূহকে মোদী সরকার হরণ করছে— আলোচনা করলেন রতন গায়েন।
দেশে নয়া উদারবাদী অর্থনীতি লাগু হওয়ার পর থেকেই দক্ষিণপন্থার সুদিন সূচিত হয়েছে। তথাপি ১৯৯০-২০১৪-র মধ্যবর্তী সময়ে দক্ষিণপন্থার দাপট বাম ও আঞ্চলিক শক্তির প্রভাবের কারণে কিছু পরিমাণে প্রশমিত ছিল। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি’র একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ চরম দক্ষিণপন্থার জন্ম দেয়। ২০১৯-র নির্বাচনে আরো বেশি গরিষ্ঠতা লাভকে মোদী দক্ষিণপন্থার পক্ষে এ ... ...
মোদীর সিংহগর্জন আর অর্থনৈতিক সংকটের তীব্রতাকে চাপা দিয়ে রাখতে পারছে না। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন শেষ পর্যন্ত স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন যে ভারতের অর্থনীতি সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। সংকট কতটা গভীর সেটা তার স্বীকারোক্তিতে ধরা পড়েনি। ধরা পড়েনি এই নির্মম সত্যটি যে শ্রীনগরের লালচকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় উগ্র হিন্দুত্ববাদী হরিয়ানার উছৃঙ্খল যুববাহিনীর উদ্দাম নৃত্যের ব্যবস্থা করে কিংবা গোবলয়ে মুসলিম পিটিয়ে অথবা দলিতনারীকে ধর্ষণ করার ঢালাও ব্যবস্থা করে এই সংকট এড়ানো যাবে না। বিষয়টা ... ...
[জম্মু ও কাশ্মীরে সংবিধান স্বীকৃত বিশেষ অধিকার বিলোপ ও রাজ্যটিকে ভাগ করার সংবিধান বিরোধী পদক্ষেপ আসলে দেশের বহুত্ববাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতার উপর আঘাত, বিজেপি’র হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার গেম প্ল্যান আলোচনা করলেন- রতন গায়েন।]
ভারতের রাষ্ট্রপতি ২০১৯-এর ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০(১) ধারা মোতাবেক এক আদেশনামায় জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের ‘সম্মতিক্রমে’ কনস্টিটিউশন (অ্যাপ্লিকেশন টু জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর) অর্ডার ২০১৯ জারি করে ১৯৫৪ সালে ও তার পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রপতি জম্মু ও কাশ্মীর সংক্রান্ত যেসব আদেশনামা জার ... ...
সম্পাদকীয় (আগস্ট সংখ্যা)
নানা ধর্ম, নানা বর্ণ, নানা ভাষা, নানা সংস্কৃতির দেশ ভারতবর্ষকে এক রাষ্ট্র এক নিশান-এর মধ্যে ঐক্যবদ্ধ রাখার পূর্বশর্ত হল সকলের স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে এক বহুত্ববাদী গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ শাসন কাঠামোর নিশ্চয়তা প্রদান। এই রাষ্ট্রের অবয়ব যাঁরা গড়েছেন তারা যে এটা বুঝেছিলেন, এ দেশের সংবিধানের ছত্রে ছত্রে তার প্রমাণ আছে। তারা অবাস্তব কোনো কিছু অর্জন করার জন্য তাদের মেধা ও মনন প্রয়োগ করেছিলেন, যে উদ্ধত, অপরিণামদর্শী স্বল্প মেধার টুইট-নির্ভর ইনটেলেকচুয়াল গুন্ডারা ... ...