এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  রাজনীতি  বুলবুলভাজা

  • শ্যামাপ্রসাদ: সত্য ঘটনা অবলম্বনে

    অভিরূপ গুপ্ত
    আলোচনা | রাজনীতি | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ২৯১৪৪ বার পঠিত | রেটিং ৪.৩ (৭ জন)
  • প্রথম ভাগ | দ্বিতীয় ভাগ
    কে ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ? কী ছিল তাঁর ভূমিকা, রাজ্যের ক্ষেত্রে? দেশের ক্ষেত্রেই বা কী ভূমিকা ছিল বাংলার ব্যাঘ্রপুত্রের? এই নাতিদীর্ঘ নিবন্ধে তুলে ধরা হয়েছে বিভিন্ন তথ্য, ভেঙে ফেলা হয়েছে তৈরি করা সত্য, যা প্রচার করে চলেছে গেরুয়াবাহিনীর উচ্চতম মহল, যে চ্যালেঞ্জহীন মিথ্যেকে সত্যি ভেবে গিলে ফেলছেন অনেকেই।

    পঞ্চাশের মন্বন্তরের প্রকোপ তখন তুঙ্গে। কমিউনিস্ট পার্টির পি সি যোশীর আহ্বানে দুই তরুণ চষে বেড়াচ্ছেন সারা বাংলা। সুনীল জানার হাতে রয়েছে ক্যামেরা আর শিল্পী চিত্তপ্রসাদ সঙ্গে নিলেন তাঁর স্কেচবুক। উদ্দেশ্য, কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র "পিপল'স ওয়ার" পত্রিকার জন্য দুর্ভিক্ষের ভয়াবহতাকে নথিবদ্ধ করা। ঘুরতে ঘুরতে চিত্তপ্রসাদ এসে পৌঁছলেন হুগলি জেলার জিরাটে, ইচ্ছে ছিল শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের পৈতৃক ভিটে দর্শন করা, আর নিজের চোখে দেখে নেওয়া 'বেঙ্গল রিলিফ কমিটি'র প্রধান নিজের গ্রামে ত্রাণের কী ব্যবস্থা করেছেন।

    বলাগড় অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে জিরাটের দিকে হেঁটে যাওয়ার সময় চিত্তপ্রসাদ দেখলেন যে, গত বছরের বিধ্বংসী বন্যার পর পরই এই দুর্ভিক্ষ একেবারে শিরদাঁড়া ভেঙে দিয়েছে এলাকার মানুষের। রাজাপুর গ্রামের ৫২টি পরিবারের মধ্যে ততদিনে কেবলমাত্র আর ৬টি পরিবার রয়ে গেছে। এদিকে আবার অধিকাংশ গ্রামবাসী শ্যামাপ্রসাদের নাম না শুনলেও, প্রত্যেকেই জানালেন যে "আশুতোষের ছেলের" থেকে ছিটেফোঁটা সাহায্যও পাননি গ্রামের মানুষ। বরং সরকারের তরফ থেকে মাস দুয়েক খাবারদাবার পেয়েছেন তাঁরা, আর খাদ্যশস্য এবং সামান্য আর্থিক সাহায্য পেয়েছেন কমিউনিস্ট পার্টি, ছাত্র ফেডারেশন, মুসলিম স্টুডেন্টস লিগের ছাত্রদের উদ্যোগে। শ্যামাপ্রসাদের রিলিফ কমিটি দেশের নানাপ্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ডোনেশন পেয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেই টাকা যে এই অঞ্চলের মানুষের কাজে লাগেনি তা একনজর দেখেই বুঝে গেলেন চিত্তপ্রসাদ। কিন্তু জিরাটে পৌঁছে যা দেখলেন, তা সত্যি মেনে নিতে পারেননি তিনি। দেখলেন দুর্ভিক্ষ-পীড়িত বাকি গ্রামের মতনই আশুতোষের আদি বাড়ির ভগ্নপ্রায় অবস্থা আর তার মধ্যেই, ওই দুর্ভিক্ষের বাজারে, শ্যামাপ্রসাদ তৈরি করছেন প্রাসাদোপম বাগান বাড়ি। সেখানে আবার মাঝেমাঝেই ছুটির দিনে কলকাতা থেকে বন্ধু-বান্ধব এসে ফুর্তি করে সময় কাটিয়ে যান।

    ১৯৪৩ সালের এই দুর্ভিক্ষ কিন্তু খরা বা অনাবৃষ্টি বা খারাপ ফসল হওয়ার কারণে হয়নি, হয়েছিল সম্পূর্ণভাবে ব্রিটিশ সরকারের গাফিলতিতে। একেই জাপানের কাছে বার্মার পতনের ফলে সেখান থেকে চালের আমদানি বন্ধ হয়ে গেল। তার ওপর যুদ্ধের সৈন্যদের জন্য জমা করা হয়েছিল প্রচুর খাদ্যশস্য এবং বাকি যা ফসল ছিল তার সুষম বণ্টন করা হল না বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে। কলকাতা শহরের বাসিন্দাদের জন্য এবং কলকারখানার শ্রমিকদের জন্য চালের বন্দোবস্ত হলেও, খাবার পৌঁছল না রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলগুলিতে।  এর সঙ্গে শুরু হল মজুতদারদের চালের কালোবাজারি যা খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ে গেল গরিব মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। খাবারের অভাবে গ্রামবাংলার মানুষ চলে আসতে লাগলেন শহর কলকাতায়। প্রতিদিন মৃতদেহের সংখ্যা বাড়তে লাগলো শহরের রাস্তাঘাটে। কলকাতা শহরের এই চরম দুরবস্থার ছবি সরকারের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ছাপালেন স্টেটসম্যান সংবাদপত্রের সম্পাদক ইয়ান স্টিফেন্স। সেসব ছবি সাড়া জাগাল গোটা বিশ্বে। এই অবস্থায় সরকারি ত্রাণব্যবস্থা যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন বেসরকারি ত্রাণ শুরু হল শ্যামাপ্রসাদের পরিচালনায়। তিনি 'বেঙ্গল রিলিফ কমিটি' বা বিআরসির রিলিফ কমিশনার নিযুক্ত হলেন এবং এই দুর্ভিক্ষের হাহাকারের মধ্যেও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করার সুযোগ ছাড়লেন না। ত্রাণকেন্দ্র স্থাপন করলেন কেবলমাত্র সেই সব গ্রাম এবং ওয়ার্ডে যেখানে হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। বিআরসির সঙ্গে সঙ্গে শ্যামাপ্রসাদের তত্ত্বাবধানেই তৈরি হলো হিন্দু মহাসভা রিলিফ কমিটি। বিআরসির উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও আর একটি কমিটির প্রয়োজনীয়তার কারণ হিসেবে বলা হল যে অনেক মানুষ চাইছেন যে তাঁদের দানের অর্থ যেন কেবলমাত্র হিন্দু মহাসভা মারফত খরচ করা হয়। কমিটির বক্তব্য ছিল, যেহেতু সরকারি ত্রাণকেন্দ্রের ক্যান্টিনগুলোতে বেশিরভাগ রাঁধুনি মুসলমান, তাই হিন্দুদের নাকি সেখানে খাবার ব্যাপারে আপত্তি আছে। হিন্দু মহাসভার নিজেদের ক্যান্টিনে কেবলমাত্র হিন্দুদের রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হতো । মহাসভার দাবি ছিল যে, রান্না খাবার না দেওয়া হলেও, মুসলমানদের পুরোপুরি বঞ্চিত না করে তাঁদেরকে দেওয়া হয় কাঁচা শস্য। সাংবাদিক টি. জি. নারায়ণ মেদিনীপুরে মহাসভার একটি হাসপাতালে গিয়ে দেখেন যে বাইরে হাজার হাজার মরণাপন্ন মানুষ থাকা সত্বেও, হাসপাতালের চল্লিশটির মধ্যে পনেরোটি শয্যা খালি। তবে গরিব রুগীর চিকিৎসা হোক না হোক, হাসপাতালের প্রত্যেকটি ঘর কিন্তু আলোকিত করে রেখেছে শ্যামাপ্রসাদের ফ্রেমে বাঁধানো পোর্ট্রেট।

    যে ভয়ঙ্কর সময়ে প্রায় ৩০ লক্ষ বাঙালি না খেতে পেয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন, সেই সময় শ্যামাপ্রসাদের দুশ্চিন্তার কারণ উচ্চবর্ণের আধপেটা-খাওয়া হিন্দু কী করে মুসলমান রাঁধুনির হাতের রান্না সরকারি ক্যান্টিনে খেতে পারেন। এর সঙ্গে সঙ্গে দুর্ভিক্ষের ত্রাণকার্য নিয়ে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ চলতেই থাকে - হিন্দু মহাসভাও আঙুল তুলতে থাকে মুসলিম লীগ নিয়ন্ত্রিত বাংলার গভর্নমেন্টের দিকে, তাদের বক্তব্য সরকারি ত্রাণকার্য্যে মুসলিম জনগণের প্রতি পক্ষপাতিত্ব স্পষ্ট ।  

    অথচ মুসলিম লীগের সঙ্গে হিন্দু মহাসভার সম্পর্ক কিন্তু খুব অল্প দিনের ছিল না। ভারতকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে ফেলার প্রতিবাদে ১৯৩৯ সালে যখন কংগ্রেসের নেতারা মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন, তখন হিন্দু মহাসভা মুসলিম লীগের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জোট সরকার বানান সিন্ধ এবং উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে। ১৯৪১ সালে বাংলায় শ্যামাপ্রসাদ ফজলুল হকের মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী হিসেবে যোগদান করেন, সেই ফজলুল হক, যিনি বছরখানেক আগেই লাহোরে মুসলিম লীগের সভায় 'পাকিস্তান প্রস্তাব' গ্রহণ করার দাবি জানান। সাভারকার আর শ্যামাপ্রাসাদের নেতৃত্বে হিন্দু মহাসভা জোর কদমে চালাতে থাকে গান্ধীজির 'ভারত ছাড়ো' আন্দোলনের বিরোধিতা। ১৯৪২-এর ২৬ জুলাই বাংলার গভর্নর জন হার্বার্টকে চিঠি লিখে শ্যামাপ্রসাদ জানিয়েও দেন কংগ্রেসের এই আন্দোলন মোকাবিলা করার জন্য ঠিক কিরকম কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তারপর ১৯৪৩এর ৩রা মার্চ সিন্ধের মন্ত্রিসভায় ভারতের মুসলমানদের জন্য যখন পৃথক রাষ্ট্রের দাবি পাস করা হয়, হিন্দু মহাসভা কিন্তু সরকার থেকে বেরিয়ে আসেনি এই প্রস্তাবের প্রতিবাদে।

    আজ থেকে বছর পাঁচেক আগে দিল্লির নেহেরু মেমোরিয়ালে শ্যামাপ্রসাদের ওপর একটি প্রদর্শনী আয়োজিত হয়। সেখানে অমিত শাহ তাঁর ভাষণে বলেন যে শ্যামাপ্রসাদ নেতৃত্ব দিয়ে থাকলে সমগ্র কাশ্মীর আজ ভারতের দখলে থাকত।

    প্রোপাগান্ডা এরকমই হওয়া উচিত - রাজনৈতিক সুবিধা পেতে যদি মিথ্যের আশ্রয় নিতেই হয়, তাহলে সেই মিথ্যাকে সুকৌশলে এমনভাবে পেশ করতে হবে কতকগুলো আংশিক সত্যকে পাশে রেখে, যাতে সত্যি-মিথ্যের ফারাকটুকুও আর করা না যায়। আসলে, কাশ্মীরের যতটুকুও আজ ভারতের দখলে আছে, সেটুকুও রয়েছে কিন্তু নেহেরুর জন্যই। কাশ্মীরকে স্বাধীন ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার কোনও তাগিদ হিন্দুত্ববাদীদের কোনকালেই ছিল না। বলরাজ মাধকের প্রচেষ্টায় আর এস এস-এর জম্মু শাখা স্থাপিত হয় ১৯৩৯ সালে আর কাশ্মীর শাখা ১৯৪৪এ। কাশ্মীরের ডোগরা পরিবার শুরু থেকেই এই প্রচেষ্টায় শরিক। প্রেমনাথ ডোগরা ছিলেন জম্মু আর এস এস-এর সঙ্ঘচালক, যিনি আবার ছিলেন জম্মু কাশ্মীর হিন্দু সভার একজন প্রধান সদস্যও। লোকসভাতে দাঁড়িয়ে সমগ্র কাশ্মীর ভারতের অধীনে না থাকার জন্য অমিত শাহের নেহেরুকে দোষারোপ করা যাঁরা শুনেছেন তাঁরা অবাক হবেন শুনে যে, দেশভাগ যখন একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গেল ১৯৪৭-এর মে মাসে, তখন এই হিন্দু সভা কিন্তু মহারাজের পাশে থেকে ভারতে যোগদান না করে কাশ্মীরকে স্বাধীন রাখার জন্য সোচ্চার হয়েছিল।

    স্বাধীন ভারতের প্রথম শিল্পমন্ত্রী হিসেবে শ্যামাপ্রসাদের যে 'বিশাল অবদান' রয়েছে সে কথা নেহেরু মেমোরিয়ালের ওই প্রদর্শনীতে বেশ ফলাও করেই বলা হয়েছিল। এও দাবি করা হয়েছিল যে ভিলাই ইস্পাত কেন্দ্র গড়ে ওঠার পেছনেও নাকি তাঁরই হাতযশ। বস্তুত ভিলাই ইস্পাত কেন্দ্র স্থাপিত হয় ১৯৫৫ সালে আর শ্যামাপ্রসাদ মারা যান তার দু'বছর আগেই। সদ্য স্বাধীন ভারতের শিল্পায়ন শ্যামাপ্রসাদের হাত ধরে হয়েছে, এই ন্যারেটিভ বর্তমান সরকারের 'মেক ইন ইন্ডিয়া'র ছবি কিছুটা হলেও শক্তিশালী করবে ঠিকই, কিন্তু এই প্রদর্শনীর আগে পর্যন্ত নেহেরু-মহলানবীশ প্রকল্পের ধারেকাছে কোথাও যে শ্যামাপ্রসাদের আনাগোণাও ছিল, সে কথা কেউ বোধহয় ঘুণাক্ষরেও টের পাননি ।      

    এখানেই শেষ নয়। আর এক চমকপ্রদ ন্যারেটিভ তৈরি করা হয়েছে শ্যামাপ্রসাদকে ঘিরে - তিনি নাকি কলকাতা শহরকে বাঁচিয়েছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের অংশ হওয়ার থেকে। বস্তুত এরকম কোনো প্রস্তাব কখনোই আসেনি। বরং বাংলার প্রধানমন্ত্রী সুহরাবর্দি আর শরৎ বোস, কিরণ শংকর রায়ের মতন কংগ্রেস নেতারা আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন বাংলাকে অবিভক্ত এবং স্বাধীন রাখার। অন্যদিকে আশুতোষপুত্র চেয়েছিলেন বাংলাকে দুটুকরো করতে - আর তাই মাউন্টব্যাটেনকে গোপন পত্র মারফত আর্জি জানিয়েছিলেন যে দেশভাগ না হলেও যেন অন্তত বাংলাকে ধর্মের ভিত্তিতে দুভাগ করা হয়।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কি একবার প্রশ্ন করা যায় না, যে হিন্দু মহাসভার যদি প্রকৃতপক্ষেই আপত্তি ছিল দেশভাগ করা নিয়ে, তাহলে স্বাধীনতার পর শ্যামাপ্রসাদ নেহরুর মন্ত্রিসভায় যোগদান করলেন কেন? তাঁর রাজনৈতিক জীবনের এইসব অপ্রীতিকর সত্যিগুলো ধামাচাপা দিয়ে হিন্দু মহাসভার তখনকার কাণ্ডকারখানা বাঙালির কাছে গ্রহণযোগ্য করে শ্যামাপ্রসাদকে বাংলায় বিজেপির আইকন করে তোলার কাজটা খুব একটা সহজ হবে না। তবে পয়সার জোরে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে ডাহা মিথ্যেকে সত্যির রূপ দেওয়ার কঠিন কাজটা এই জাতীয় ফ্যাসিস্ট দলগুলি আগেও করে দেখিয়েছে। দেখা যাক, এক্ষেত্রে জল কতদূর গড়ায়।




    তথ্যসূত্র:
    1) Mukherjee Janam. 2011. "Hungry Bengal: War, Famine, Riots, and the End of Empire 1939-1946".

    2) Gondhalekar N. & Bhattacharya S. "The All India Hindu Mahasabha and the End of British Rule in India, 1939-1947". Social Scientist , Jul. - Aug., 1999, Vol. 27, No. 7/8 (Jul. - Aug., 1999), pp. 48-74. https://www.jstor.org/stable/3518013.

    3) Sen A. 2016. "Chittaprosad (1915-78)". Economic & Political Weekly. Vol. 51, Issue No. 10, 05 Mar, 2016. https://www.epw.in/journal/2016/10/letters/chittaprosad-bhattacharya-1915-78.html

    4) Joya Chatterji. "Bengal Divided: Hindu Communalism and Partition, 1932-1947". Cambridge University Press. https://books.google.co.in/books?id=iDNAQcoVqoMC&redir_esc=y

    5) Sharik Laliwala. Aug 08, 2019. "During the Quit India Movement, the Hindu Mahasabha Played the British Game". The Wire. https://thewire.in/history/quit-india-movement-hindu-mahasabha-british

    6) Chittaprosad. Jul 04, 2016 . "'Painful Sights': Chittaprosad on BJP Icon S.P. Mookerjee's Bengal Village". The Wire. https://m.thewire.in/article/history/painful-sights-chittaprosad-on-bjp-icon-s-p-mookerjees-bengal-village

    7) Sangeeta Barooah Pisharoty. Jul 07, 2016. 'In Search of Syama Prasad Mookerjee, the "True Patriot"'. The Wire. https://m.thewire.in/article/politics/search-syama-prasad-mookerjee-true-patriot

    8) A.G. Noorani. Nov 14, 2019. 'From Kashmir and 370 to Partition, BJP's Hatred of Nehru is Fuelled by Falsehoods'. The Wire. https://m.thewire.in/article/history/from-kashmir-and-370-to-partition-bjps-hatred-of-nehru-is-fuelled-by-falsehoods

    9) Safi M. Mar 29, 2019. "Churchill's policies contributed to 1943 Bengal famine – study". The Guardian. https://www.theguardian.com/world/2019/mar/29/winston-churchill-policies-contributed-to-1943-bengal-famine-study

    10) Daniyal S. Jul 16, 2016. "Three facts about BJP founder SP Mookerjee that a recent exhibition in Delhi did not show". Scroll. https://scroll.in/article/811727/three-facts-about-bjp-founder-sp-mookerjee-that-a-recent-exhibition-in-delhi-wouldnt-have-revealed

    11) SARKAR, A. (2020). Fed by Famine: The Hindu Mahasabha's politics of religion, caste, and relief in response to the Great Bengal Famine, 1943–1944. Modern Asian Studies, 54(6), 2022-2086. doi:10.1017/S0026749X19000192
    https://www.cambridge.org/core/journals/modern-asian-studies/article/abs/fed-by-famine-the-hindu-mahasabhas-politics-of-religion-caste-and-relief-in-response-to-the-great-bengal-famine-19431944/7BDC140B3BA6F36F762A4C303041B830

    12) Nayar Kuldip. 2012. "Beyond the Lines''. Roli Books.

    13) Pandey Gyanendra. 2001. "Remembering Partition". Cambridge University Press.

    14) Shakoor Abida. 2003. "Congress-Muslim League Tussle 1937-40: A Critical Analysis". Aakar Books.

    15) Jalal Ayesha. 1994. "The Sole Spokesman: Jinnah, Muslim League and the demand for Pakistan". Cambridge University Press.

    16) Maulana Azad. 1988. "India Wins Freedom". Oriental Blackswan.

    17) মিহিররঞ্জন মণ্ডল | "বাংলায় পঞ্চাশের মন্বন্তর – ছবি ও আঁকায় " | http://www.somoy.in/2019/07/bengal-famine-of-1943/

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
    প্রথম ভাগ | দ্বিতীয় ভাগ
  • আলোচনা | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ২৯১৪৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r2h | 49.206.***.*** | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২৩:৩৭102523
  • ইংরেজ মেয়েরা খোলামেলা পোশাকে যেতে ভয় পায়, হতেই পারে, অবিশ্বাস করার কিছু নেই।
    তবে সে তো ক'বছর আগে শ্রীরাম সেনে ম্যাঙ্গালোরের পাবে গিয়ে মেয়েদের ক্যালালো। হিন্দুবীরদের ফর্মাও কিছু কম না, নেহাত চ্যালা চামুন্ডা কম জুটেছে তাই। কম জুটেছে তাই বা কী করে বলি। আমাদের ভারতবর্ষের হিন্দুভূমির কত জায়গায় নীচু জাতের নারী পুরুষ নির্বিশেষে উঁচু জাতের কুয়োতলায় জেতে ভয় পায়। আগে ওগুলো অ্যামিকেবলি মিটিয়ে নিলে ভালো হতো আরকি।

    আর ঐ ভয়ের ব্যাপারটা, যেকোন ঘেটো, আন্ডারপ্রিভিলেজ জায়গা, সবের ক্ষেত্রেই খাটে।

  • বলছিলাম কি | 2405:8100:8000:5ca1::ac9:***:*** | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২৩:৪৩102524
  • মাঝিভাই পুব্বপুরুষ পুব্বনারী তো কবেই ফৌত হয়েছে। একক্ষুনি একক্ষুনি যে চীনেরা এসে একদিকে সিকিম অরুণাচল আর একদিকে লাদাখের জমি সমানে দখল করে নিচ্ছে ওইটে একটুস ঠেকা দিয়ে আসেন না। তা ধরেন চায়না মিলিটারির কটাকে যদি মেরেই ফ্যালেন দেশের লোক খুশীই হবে। পোঁদানমন্তী তো চীনের ভয়ে মুখই খুলছে না আপনারাই ভরসা এখন। 

  • dc | 2405:201:e010:5020:5100:4b6f:2129:***:*** | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২৩:৪৭102525
  • খোলামেলা পোষাকের কথায় মনে হলো, আর মাত্র দুদিন পর ১৪ তারিখে গৌমাতাদের হুংকার অনেক জায়গায় শোনা যাবে :d

  • বলছিলাম যে | 2405:8100:8000:5ca1::485:***:*** | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২৩:৪৯102526
  • আর চীনেরা কিন্তু হেব্বি খাটায়।  একক্ষুনি না আটকালে শেষে হামারা দো কে রোজ্রোজ এমন দৌড় করাবে যে ওই গুদমা ভুঁড়ি চেপ্টে যাব।

  • Kubir Majhi | 203.96.***.*** | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২৩:৪৯102527
  • ওহ্- এলেবেলেকে বলি...আজান এবং ওয়াজ এক বিষয় না। ওয়াজ বা বিশেষত: শুক্রবারের ওয়াজ হচ্ছে দুপুর বেলা ঘন্টা খানেক ধরে যখন নারী-শিয়া-কাদিয়ানী-হিন্দু-সূফী-খ্রিষ্টান-ইহুদি-বাংলা নববর্ষ পালন-বার্থ ডে পালন- পূজা- হিজড়া বা সমকামী-প্রতিবন্ধী সহ সবার প্রতি খুব মিষ্টি মিষ্টি বক্তব্য দেয়া হয়। পশ্চিম বাংলায় আজান কেমন কে জানে, বাংলাদেশে এই  নারী সাংসদ ও এক পত্রিকার সম্পাদক শ্রবণ ও হৃদযন্ত্রের সুরক্ষার স্বার্থেই হাজার হাজার মসজিদ থেকে পাঁচ বেলা লাউড স্পিকারে আজানের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছিলেন। খুব নামী এক প্রভাবশালী সাংবাদিক পরিবারের বধূ তিনি। মরতে মরতে বেঁচেছেন।


    (https://www.ctn24.com/130853)

  • এলেবেলে | 202.142.***.*** | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২৩:৫৩102528
  • ধুর মশাই। আজান-ওয়াজ নিয়ে কে প্রশ্ন করেছে? করেছে চার্চিল-শ্যামাপোকা আর একটা উদ্ধৃতি নিয়ে। সব জায়গায় খাঁজকাটা খাঁজকাটা খাঁজকাটা আউড়ে চলেছেন কোন দুঃখে? পারলে উত্তর দিন নতুবা আমার নামোল্লেখ বন্ধ করুন। বেকার হ্যাজ শোনার সময় নেই।

  • Kubir Majhi | 203.96.***.*** | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২৩:৫৮102529

  • অরণ্য- আপনি যদিও বলছেন যে আপনি কড়া ভাবে বলছেন, আমার কাছে অত কড়া মনে হচ্ছে না। সম্ভবত: প্রতিপক্ষের মানুষের সাথেও সম্মানের সাথে এবং মুখ খারাপ না করে, ব্যক্তি আক্রমণ না করে কথা বলার শিক্ষা আপনার আছে। ভারতে গোমাতার সন্তানরা ১৪ই ফেব্রুয়ারি মেয়েদের পোশাক নিয়ে কথা বলবে বুঝি? তবু ত‘ আপনাদের ওখানে মেয়েরা ওড়নায় বুক না ঢাকলেও কেউ বেশ্যা মনে করে না। সে যাক। আপনার বন্ধুরা সন্দেহ প্রকাশ করছেন যে বকুল দস্তিদার আর আসিফ রিজওয়ানের গল্পটা হোয়াটস এ্যাপ ভার্সিটিতে শেখা। সে ত‘ আমিই বলছি যে সবটাই আমাদের হোয়াটস এ্যাপ ভার্সিটির প্রযোজনা এবং প্রকাশনা। এই দেখুন ইউ টিউবে তুর্কি গণহত্যাকারীদের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া এই আর্মেনীয় নারীটিও হোয়াটস এ্যাপ ভার্সিটির ছাত্রী- মোদির অনুমোদন প্রাপ্ত। এখন আবার শুভরাত্রি (

    )।

  • aranya | 162.115.***.*** | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০০:০০102530
  • ডিসি, পাত্তা দেওয়ার দরকার পড়বে কিনা, তা নির্ভর করছে, তুমি কোথায় থাক এবং কোন সম্প্রদায়ের মানুষ, তার ওপর। যেমন বিহার, ইউপির গ্রামে থাকলে এবং দলিত সম্প্রদায় ভুক্ত হলে হিন্দু উচ্চ বর্ণের সন্ত্রাস-কে সিরিয়সলি নিতে হবে,  ইয়ানি কি পাত্তা দিতে হবে বলেই মনে হয় 


    দূর্ভাগ্য বশতঃ,  শুধু মানুষ পরিচয়-টাই যথেষ্ট,  এ অবস্থা আসতে এখনও অনেক দেরী 

  • Kubir Majhi | 203.96.***.*** | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০০:০২102531
  • ঠিক মেয়েটির নিজের না হলেও তার গ্র্যান্ড প্যারেন্টস মানে পূর্ব পুরুষ পূর্ব নারীর অপমানের কথাই বলছে। হোয়াটস এ্যাপ ভার্সিটির ছাত্রী যে- কোন সন্দেহ আছে?

  • dc | 2405:201:e010:5020:5100:4b6f:2129:***:*** | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০০:০৮102532
  • অরণ্যদা, তা ঠিক। 

  • সিএস | 49.37.***.*** | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০০:১৪102533
  • লাফিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে সত্তর পয়সার খোরাক আসতেই থাকবে। কালকে এলো শ্যামাবাবু, এলেবেলে ইতিহাস দেওয়ার পরে সেসব বন্ধ। সাথে ছিল ক'টা নাম, সেগুলো কী না কী ঢপের নাম কে জানে, তারপর এলো হাজার হাজার হাজরার মতো হাজার হাজার আজান (লিংকে কিন্তু হাজারের কিছুই নেই), তারপর এলো আবার আর্মেনীয় জেনোসাইড । কীসের সাথে কীসের যোগ কেউ জানেনা কিন্তু লাফিয়ে লাফিয়ে হাবিজাবি এটাসেটা আসতেই থাকে, আসতেই থাকে। আর কিছু না পারুক, টাইপাতে পারে ভালো।

  • পুরনো কেউ | 184.145.***.*** | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০০:১৬102534
  • আঁটিসেল আজকাল বাংলাদেশ থেকেও রিক্রুট করছে বুঝি? 

  • Kubir Majhi | 203.96.***.*** | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০০:২৩102535
  • সিএস...আপনার বা আপনাদের কথারই প্রতিধ্বনি করছি মাত্র। দ্বিমতটা কই করলাম? বলছি যে সেই নোয়াখালির দাঙ্গা, খুলনার চুকনগরে এক দিনে দশ হাজার নর-নারী হত্যা থেকে আর্মেনিয়ায় তুর্কীদের করা গণহত্যা- সবই বিলকুল মিথ্যা। সবটাই আমাদের হোয়াটস এ্যাপ ভার্সিটির প্রযোজনা ও প্রকাশনা। এই সৃজনশীলতাকে কি আপনারা একটু হলেও ক্রেডিট দেবেন না? সত্তর পয়সাতেই এত- ভাবেন!

  • &/ | 151.14.***.*** | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৩:৪৭102541
  • সব মন্তব্যগুলো মন দিয়ে পড়ছি। সবই খুব গুরুত্বপূর্ণ।

  • aranya | 2601:84:4600:5410:d00:4af1:e17f:***:*** | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১০:২৬102543
  • দেখুন কুবের,  নোয়াখালি, ১৯৭১ - পাক আর্মি, আর্মেনীয়ান ম্যাসাকার এসবই সত্যি, কিন্তু বর্তমান ভারতবর্ষে এই ঘটনা গুলোর প্রাসঙ্গিকতা কোথায়? 


    ভারতীয় উপমহাদেশে 'হিন্দু খতরে মে হ্যায়' পাকিস্তানে, বাংলাদেশে, কিন্তু আজকের দিনে ভারতে মুসলমান , দলিত, আদিবাসী - এরা সবাই বিবিধ কারণে 'খতরে মে ' এবং এই সংখ্যালঘু মানুষদের বিপদ আসছে আর এস এস আর বিজেপি-র কাছ থেকে । সংখ্যাগুরু সাধারণ মানুষ, হিন্দুরাও 'খতরে মে ' কারণ পুরো দেশ কর্পোরেট শার্ক-্দের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। যে কোন বিরোধিতাই নিষ্ঠুর ভাবে দমন করা হচ্ছে, সাংবাদিক দের জেলে ভরা হচ্ছে। আর সাম্প্রদায়িক বিষ যা ছড়ানো হচ্ছে, তার আঁচ হিন্দুদের গায়েও লাগবে 


    সুতরাং ভারতবর্ষের প্রেক্ষিlতে  আর এস এস,  বিজেপি-ই বিপদ, ইসলামিক সন্ত্রাস নয় 

  • Ramit Chatterjee | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১০:৪২102544
  • দরকার নেই। ভুয়ো তথ্য যা শ্যামা বাবুর নামে দেওয়া হয়েছিল, তা খন্ডন হয়ে গেছে ব্যাস। আর ইসলাম বিপজ্জনক কেন তা নিয়ে আপনি বলতে চাইলে নতুন টই খুলে লিখুন না। 


    রক্ত ঝরেছে, রক্তের রঙ লাল, রেড ভেলভেট কেক ও লাল , এই কেক বিট দিয়ে বানানো হয়। বিট অতি উপকারী শীতকালীন সবজি। এভাবে বিটের রচনা লেখার তো দরকার নেই।

  • Ramit Chatterjee | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১০:৪৯102546
  • পুরোটা আসেনি, 


    আমি বলছিলাম যে কুবির মাঝি আপনি নানা কথা বলে কমেন্ট সেকশন টাকে অন্য দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করছেন।  কোন কথা কত সত্যি বা মিথ্যে তা এখানে দেওয়ার তো দরকার নেই

  • dc | 2405:201:e010:5065:440d:b60e:1855:***:*** | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১০:৪৯102547
  • "রক্ত ঝরেছে, রক্তের রঙ লাল, রেড ভেলভেট কেক ও লাল , এই কেক বিট দিয়ে বানানো হয়। বিট অতি উপকারী শীতকালীন সবজি"


    এটা একঘর ​​​​​​​হয়েছে :d

  • Kubir Majhi | 203.96.***.*** | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২০:৫২102558
  • প্রিয় ভাইয়েরা/দাদারা,
    সারাদিন খুব ব্যস্ত থাকায় আপনারা যে আরো মন্তব্য করেছেন তা‘ দেখা বা পড়ার সুযোগ হয়নি। কিন্ত বলুন ত‘ আমি দ্বিমত করলাম কই আপনাদের সাথে? শুনুন, এই মহাপৃথিবী জুড়ে যা কিছু রক্তপাত-দাঙ্গা-প্রলয় ঘটে, সবই হোয়াটস এ্যাপ ইউনিভার্সিটির বানানো প্রপাগান্ডা। আমি ত‘ আপনাদের পক্ষেই মত দিচ্ছি। এই দেখুন...আর একটি লিঙ্ক। ঢাকায় হোলি আর্টিজান কাফেতে গোলাগুলির ছবি। অন্তসত্বা ইতালীয় নারী থেকে জাপানী পুরুষ, ভারতীয় তারিশি জৈন বা বাংলাদেশের অহিজাবী নারী ইশরাত সবাইকে খুন করেছিল...কারা? কারা আবার? মোদি ভকত বা চাড্ডিরা। বজরংবলী আর হনুমান সেনারা- ঠিক না, বলুন?


    (

    )

  • কুবিরভক্ত | 2a0b:5c81:4::***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০২:৩৪102563
  • কুবির ভাইয়ের বক্তব্য খুব পরিষ্কার - উনি সরল মনের মানুষ, সবাই ওনার সহজ কথা বুঝতে পারে না, আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি --

    নোয়াখালিতে দাঙ্গায় হিন্দুনিধন কি শ্যামাদা করেছিলেন - করেন নি তো। শ্যামাদা তো ওদিকে যানই নি, ঐ বুড়ো গান্ধী আর কারা সব গেছিল।

    পশ্চিমবঙ্গে ৪৩ এর দুর্ভিক্ষে শ্যামাদা মানুষের পাশে কি দাঁড়িয়েছিলেন - দাঁড়ান নি তো।

    তো, তাহলে শ্যামাদা নিশ্চয়ই পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু শরণার্থীদের উপকার করেছিলেন। ধুতি গুটিয়ে রাস্তার ধারে - বাঁশের বাখালি, তক্তা, টালি দিয়ে শরনার্থীদের জন্য টেম্পোরারি চালাঘর বেঁধে দিয়েছিলেন। কিছু একটা তো শ্যামাদা করেছিলেন - নাকি? এমনি এমনি তো মহাপুরুষ হন নি।

  • Kubir Majhi | 203.96.***.*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৭:৪৮102565
  • ওহে ভক্ত-  ধরে নিলাম যে শ্যামাপ্রসাদ মহা বাজে, মন্দ ও সাম্প্রদায়িক লোকই ছিল। কিন্ত একটা মানুষ মায়ের পেট থেকেই সাম্প্রদায়িক হয়ে জন্মায় না। একটি নোয়াখালির দাঙ্গাই একজনকে সাম্প্রদায়িক, ভীত ও অন্য সম্প্রদায়ের সাথে মিলনে অনাগ্রহী করে তুলতে পারে। এখন ভয়ানক দাঙ্গার ভেতরেও কারো কারো বা অনেকের পক্ষেই অসাম্প্রদায়িক হওযা সম্ভব। তবে কেউ সাম্প্রদায়িক বা শ্যামাপ্রসাদ হলেও তাকে দোষ দেয়া যায় না। আর মহাত্মা গান্ধির তখন যে বয়স এবং তাঁর রাজনৈতিক নেতা হিসেবে যে সুনাম বা অর্জন....তিনি নোয়াখালি গেলে তাঁর পক্ষে যতটা পরিস্থিতি খানিকটা হলেও আয়ত্বে আনা সম্ভব হয়েছে (তাঁর চলার পথেও মানুষ কাঁটা ও আবর্জনা স্তপ করে রাখত বলে এক বাংলাদেশী গল্পকার মনিরা কায়েসের গল্প পড়তে পারেন- সম্ভবত: “মাটিপুরাণপালা“ বইটির নাম), শ্যামাপ্রসাদের পক্ষে সেটা সম্ভব ছিল কি? তবে...১৯৪৩-এর দূর্ভিক্ষের ভেতরেও উচ্চবর্ণের হিন্দুরা মুসলিম বাবুর্চির হাতের রান্না ত্রাণশিবিরে খাবে কিকরে এটা শ্যামাপ্রসাদ ভাবছেন পড়ে অবাক হতে হলো। এই অন্যের ছায়া না মাড়ানো বা অন্যের হাতে না খাওয়ার সন্দেহ-ঘৃণা জরজর একটি খোকাবাবু সম্প্রদায়ের জন্য দেশভাগ হয়তো পাওনাও ছিল। দে প্রব্যাবলি ডিজার্ভড ইট। আবার আপনি আমার হাতে খেতে রাজি না বলেই আপনাকে আমি কোপাব সেটাই বা কেমন? যাকগে- অনেক তর্কাতর্কি হলো।আমি শুধু বলতে চাচ্ছিলাম দাদা যে হোয়াটস এ্যাপ ইউনিভার্সিটি বাস্তবিক অনেক কিছু ঘটায় ও ঘটিয়ে চলেছে। সারা পৃথিবী জুড়ে। প্যারিসে শিক্ষক হত্যা থেকে অনেক কিছুই।

  • অনিন্দ‍্য সেনগুপ্ত | 2409:4060:2e06:1ba8::1c8a:***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১০:১২102570
  • সুন্দরসহজবোধ্য তথ‍্যবহুল।

  • santosh banerjee | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২১:০৪102590
  • ক্ষমা করবেন ।..গুরু ভাই রা !!এখানে যাঁরা কমেন্ট করছেন ।..বেশির ভাগ হিন্দু মৌল  বাদী দলের।..কিছু আঁতেল ধান্দাবাজ , আর বাকি যাঁরা তাঁরা কথার প্যাচ পয়জার করতে ভালোবাসে !!এই লোকটা ( শ্যামা প্রসাদ ) দেশের জন্য কী করেছেন( মল মূত্র ত্যাগ ছাড়া)  ???? ।..ওনার এবং ওই হিন্দু মহাসভা যে জোচ্চুরি আর ডাকাতি করেছে ।.তার ই উত্তরসূরি ওই সাধু বাবা প্রধান মন্ত্রী আর পেট মোটা বাবু মন্ত্রী একই আদর্শবয়ে নিয়ে চলেছেন ।..মিথ্যে কথা বলে ।।।বারবার তা বলে মানুষ কে বিভ্রান্ত করা ... দেশের সম্পদ চুরি করা ।..দেশের সম্পদ কে বিকিয়ে দেয়া ।..বেনিয়া ব্যাবসায়ীকে পোষণ করা।..আর ইদানিং নানান মহাপুরুষ আর বিদ্বান দের রাজনীতির মঞ্চে নাচানো !!!একটা অসভ্য ।..বর্বর দল ।..দেশ টাকে পুরান যুগে নিয়ে চলেছে !এরা  তো অশিক্ষিত নয় বরং কুশিক্ষিত মাথা মোটা বঙ্কু বাবু , সামন্ত  বাদী ধ্যান ধারণা নিয়ে চলে , আর আমাদের এলিট জনগণ কমেন্ট করতে থাকে এদের ভালো মন্দ নিয়ে !!কিসের ভালো মশাই ??একটা অসভ্য প্রধান মন্ত্রী ।..লাজ লজ্জ্যা হীন কাপুরুষ ।..নিজের দেশ কে রক্ষা করতে পারেনা ।কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে এদের পাহারা দিতে ।।.এরা নাকি জনপ্রিয় নেতা !!কত টাকা খরচ হয়েছে ওই হারামজাদা টার জন্য প্লেন কিনতে ???ইদানিং চোখের জল ফেলে নাটক করে ।.সালা !!.গত ৭ বছরে একটা মিডিয়া মিটিং নেই ।..অবশ্য হবে কি জন্য ।..সবই তো সালা কিনে নিয়েছে ।..ঠগবাজ ।..জোচ্চোর ।.ধাপ্পাবাজ ..আরো যত গালাগাল দেয়া যায় ..কম হবে ।..এদের হাটে হাঁড়ি ভাঙছেন ।.অভিরূপ বাবু , আপনাকে কুর্নিশ করি !!আর বাকি দাদারা ।..মোদী ভজনা করার আগে মাথা টাকে একটু ওভারহাউলিং করে আসুন ।..নাগপুর আপনাদের মাথা চিবিয়ে খেয়েছে !!!!

  • মুশকিল হল | 2a0b:f4c2::***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২১:১০102591
  • অসন্তোষ বাড়ুজ্জের কভনিটিভ স্কিলে ঘাটতি আছে। পড়ে মানে বুঝতে না সমস্যা হয়। লিখতেও সমস্যা হয়। গাদা.  আর!  দিয়ে বাক্যগঠন অসম্পূর্ণছএড়ে দেয়। একটা টইতে দ্যবার ঢোকে না বিওলে কী ফীডব্যাক দেয়া হল দেখেও না।

  • হালুম | 38.75.***.*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২১:১৫102592
  • ঠিক ঠিক। অসন্তোষ বাড়ুজ্জে হককথা বলেচে। ডিসিকে ধরুন। উনিই কালপ্রিট, মানে আঁতেল ধান্দাবাজ।

  • :-) | 135.148.***.*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২১:১৫102593
  • কগনিটিভ

  • reader | 62.182.***.*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২১:২৬102595
  • গুরুভার্সিটিতে কি অখণ্ড বাংলার প্রস্তাবের চ্যাপ্টারটা আছে? তার দিনক্ষণ কখন? বা টেলিগ্রাফের পোল?


    উদ্বাস্তুদের জন্য শ্যামা কিছুই করেনি, নেহরু আলাদা করে বাঁশ দিয়েছে -এই যুক্তিকাঠামোয় নেহরুভক্তদের বিশেষ সুবিধা হবে কি?

  • Kubir Majhi | 203.96.***.*** | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৯:১৭102607
  • একটাও যুক্তি খন্ডন করতে না পেরে সন্তোষ দা শুধু বকে গেলেন। দাদা- আমি আপনাদেরই দলের লোক ত‘! হোয়াটস এ্যাপ ভার্সিটির ছেলে-মেয়েরাই যে মস্কোতে মেট্রো রেলে আক্রমণ করেছিল যাতে মারা গেছে নিরীহ শিশু-নর-নারী এবং চেচেন বিদ্রোহীরা আদৌ সেই কাজ করেনি, তার লিঙ্ক আমি দেব। পৃথিবীর নানা জায়গায় হোয়ানির ছেলে-মেয়েদের এমন সব কাজের লিঙ্ক দিয়ে দেব। দাদা- সত্যি বলতে হোয়ানির ছেলে-মেয়েরা যে এতটা বীর ও পারঙ্গম সেটা তারা নিজেরাই জানত না। প্রণাম তোমায়, দাদা!
    (

    )

  • Kubir Majhi | 203.96.***.*** | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৯:২৩102608
  • হোয়াটস্যাপ ইউনিভার্সিটি প্রোডাকশন 


    (

    )

  • Kubir Majhi | 203.96.***.*** | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৯:২৪102609
  • "To forgive the terrorists is up to God, but to send them to him is up to me" - Putin 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:

#ShyamaPrasadMukherjee, #spmukherjee, #chittoprasad, #hindumahasabha, #communalisminbengal, #Communalism, #BengalFamine, #WBelection2021, #bengalelection2021, #BJPinBengal
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন