রঞ্জন, "- কিন্তু মুচকি হাসলেন আচার্য বসুবন্ধু, মহাযানী যোগাচার স্কুলের বিজ্ঞানবাদী দার্শনিক।
-- স্বপ্নে যৌনপরিতৃপ্তি হতে পারে, রেতঃস্খলন হতে পারে, কিন্তু সন্তানের জন্ম হয় না। এটাই সুষুপ্ত ও জাগ্রত অবস্থার তফাৎ।"
এখানে আচার্যের একটি "অনুমান" বা "ধারণা" রয়েছে । আচার্য ধরে নিচ্ছেন স্বপ্ন এবং জাগ্রত অবস্থা দুটি পৃথক অবস্থা, এবং স্বপ্ন ও নিদ্রিত অবস্থা সমার্থক। অর্থাৎ যে যজগে নেই, সে হয় নিদ্রিত নয় স্বপ্নাবিষ্ট, বা দুটোই |
যে জন্য বলছেন, যে কাজের কোন ফলপ্রসব হয় না, সে কাজ "যে অবস্থায় করা হয় সে স্বপ্নাবস্থা", তার সঙ্গে জাগ্রত মানুষের বাস্তবের কোন সম্পর্ক নেই |
এই অবস্থায় কিন্তু সে জেগে নেই, সে সুপ্ত, সে স্বপ্নাবিষ্ট | শুধু তাই নয়, "স্বপ্নাদেশ পেয়ে" কত মানুষ যে কতকিছু করে বসে তার ইয়ত্তা নেই |
কাজেই যে পরিস্থিতিতে কাজ করা হল, কিন্তু সে কাজের আশু বা দূরগত ফলও কিছু পাওয়া গেল না, সে যে স্বপ্ন, বসুবন্ধুর এই assertion নিয়ে কূটতর্ক তোলা যেতে পারে।
তখন প্রশ্ন উঠবে কোনটা কাজ আর কোনটা কারণ (cause and effect), সে আবার অন্য প্রসঙ্গ।
এ স্বপ্ন, না মায়া, না মতিভ্রম, প্রতিনিয়ত এ প্রশ্নের সদুত্তর পাওয়া ভারি দুষ্কর।
আমাদের সমস্ত perception মায়া | "আমার চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ", আমার চেতনার রঙ, আপনার চেতনার রঙ নয় তো | দুজনেই "সবুজ" বলে যেটাকে ধরে নিচ্ছি (socially negotiated construct), তাকে আলোর spectrum এ আমি কি দেখছি আপনি জানেন না, আপনি কি দেখছেন আমি জানি না।
যার জন্য রঞ্জন, যে বিষয়টি দিয়ে শুরু করেছিলেন, সেটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, আবার প্রফেট সুকুমারকে স্মরণ করতে হয়, "হ্যাঁরে হ্যাঁরে, তুই নাকি কাল সাদাকে বলছিলি লাল?", :-)