এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • অনুপ্রবেশ নিয়ে যে গুলবাজির চাষবাস হচ্ছে 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ১৮ জুলাই ২০২৫ | ১৭২৫ বার পঠিত
  • বাঙালিকে মেরে তাড়ানো হচ্ছে গোটা গোবলয় থেকে, চারদিকে গোদি-মিডিয়া আর হিন্দুবীরদের মুখ দেখানোর জায়গা নেই, অতএব তাঁরা যেটা পারেন, সেটাই শুরু করেছেন, অর্থাৎ গুলবাজি। নেতৃত্ব দিচ্ছেন, অগ্রণী সৈনিক কর্নেল সুমন দে। কীরকম গুলবাজি, একটু মন দিয়ে পড়ুন। কাল দেখলাম, হাত-পা নেড়ে, গলায় আবেগ এনে টিভিতে বললেন, "২০০৪ সালে রাজ্যসভার ফ্লোরে দাঁড়িয়ে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শ্রীপ্রকাশ জয়সওয়াল বলেছিলেন, বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা ২০০১ এর ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত, ১ কোটি ২০লক্ষ ৫৩ হাজার, যার মধ্যে শুধু পশ্চিমবঙ্গে অর্ধেকেরও বেশি, ৫৭ লক্ষ" (সংক্ষেপিত, এবং চোখ গোলগোল করাটাও দেখানো গেলনা) । তারপর প্রচণ্ড ​​​​​​​নাটক ​​​​​​​করে ​​​​​​​এর সঙ্গে যোগ করলেন, ​​​​​​​২০০১ ​​​​​​​এই ​​​​​​​যদি ​​​​​​​সংখ্যা ​​​​​​​এই ​​​​​​​হয়, ​​​​​​​ভাবুন ​​​​​​​এখন ​​​​​​​সংখ্যাটা কোথায় ​​​​​​​গিয়ে ​​​​​​​ঠেকেছে।

    শুনলে খুবই উদ্বেগজনক লাগে। কিন্তু আমরা সবাই ​​​​​​​জানি, ​​​​​​​সুমন ​​​​​​​একজন ​​​​​​​প্রবাদপ্রতিম ​​​​​​​সাংবাদিক। ​​​​​​​তিনি ​​​​​​​যা ​​​​​​​বলেন, মোটামুটি ​​​​​​​ভরসা ​​​​​​​করা ​​​​​​​যায়, ​​​​​​​যে, ​​​​​​​সেটা ​​​​​​​আগাপাশতলা ভুল। এখানেও ​​​​​​​তার ​​​​​​​কোনো ​​​​​​​ব্যতিক্রম ​​​​​​​নেই। ​​​​​​​যেটা ​​​​​​​উনি ​​​​​​​হয় ​​​​​​​জানেননা, ​​​​​​​কিংবা ​​​​​​​নির্দ্বিধায় ​​​​​​​চেপে ​​​​​​​গেলেন, ​​​​​​​তা ​​​​​​​হল, ​​​​​​​ওই ​​​​​​​সংখ্যাটা ​​​​​​​জয়সওয়াল ​​​​​​​দেবার পরে নিজেই ​​​​​​​প্রত্যাহার ​​​​​​​করে ​​​​​​​নেন। বলেছিলেন, ​​​​​​​রিপোর্টগুলো ​​​​​​​বিশ্বাসযোগ্য ​​​​​​​নয়, ​​​​​​​এবং ​​​​​​​অনেকটাই ​​​​​​​"শোনা ​​​​​​​কথা"। (নিচে খবরের লিংক দিয়ে দেব)। ইদানিং অবশ্য "শোনা কথা"র মর্যাদা বেড়েছে, যাকে আমরা গোমূত্র বলেছি। আরজিকর থেকে ভারত-পাক সংঘর্ষ পর্যন্ত এই গোমূত্রের ব্যবহার হয়েছে। কিন্তু প্রত্যাহার করা সংখ্যা দিয়ে টিভির পর্দায় স্বয়ং সঞ্চালকের গুলবাজি, ​​​​​​​এটা ​​​​​​​খুবই চমৎকার। অবশ্য আস্ত নির্বাচন কমিশনই গুল দিচ্ছে, তো  গোদি-মিডিয়ার সঞ্চালক দেবেন না। 

    এই গুলবাজিটা অবশ্য নতুন না। জয়সওয়াল ছিলেন ইউপিএর মন্ত্রী। তারপর গোদিবাহিনী ক্ষমতায় এসে এই বাতিল এবং ভুল সংখ্যাটাকে  ব্যবহার করেই গুলবাজি শুরু করে। ঠিক সুমনের মতোই। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে "অনুপ্রবেশকারী"র সংখ্যা। ২০১৬ সালে কিরণ রিজেজু এক লাফে সংখ্যাটাকে বাড়িয়ে দেন ২ কোটিতে। সেটাকে আসামে এনআরসির অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তার ১০ বছর পরে কোথায় পৌঁছেছে? খুব সম্ভবত ৯ কোটিতে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি মাত্রেই বাংলাদেশী। রিজেজু আর সুমন দুজনেই যে এই একই গুলবাজি করছেন, তার কারণ গোদিবাহিনী আর গোদি-মিডিয়া এক ও অভিন্ন। তাদের অ্যাজেন্ডা আলাদা কিছু না। 

    এই গুলবাজিটা টিভির লাইভ অনুষ্ঠানেই ​​​​​​​ধরে ​​​​​​​দেওয়া ​​​​​​​উচিত ​​​​​​​ছিল। ​​​​​​​কারণ, ​​​​​​​গুলবাজিটা ​​​​​​​নতুন ​​​​​​​না, ​​​​​​​অনুপ্রবেশ ​​​​​​​নিয়ে ​​​​​​​এটা ​​​​​​​অনেকদিন ​​​​​​​ধরে ​​​​​​​চলছে,  অন্তত রাজনীতি যাঁরা করেন, সবারই ​​​​​​​জানার ​​​​​​​কথা। ​​​​​​​আমি ​​​​​​​তো ​​​​​​​আর ​​​​​​​নতুন করে খুঁজে বার করলাম না। কিন্তু সুমনের পরেই বলতে উঠলেন দেখলাম সিপিএমের পার্থপ্রতিম বিশ্বাস। ভুল ধরবেন কী, এক কথায় মেনেই নিলেন, অনুপ্রবেশ একটা বড় সমস্যা। এবং কার্যত গোদিবাহিনীর যে ন্যারেটিভ, অর্থাৎ অনুপ্রবেশকারী এবং শরণার্থী, ​​​​​​​সেটাই ​​​​​​​ব্যবহার করে ​​​​​​​বসলেন। ​​​​​​​অশোক ​​​​​​​মিত্র, ​​​​​​​গুরুদাস ​​​​​​​দাশগুপ্ত, ​​​​​​​সোমনাথ ​​​​​​​চট্টোপাধ্যায়ের ​​​​​​​এই ​​​​​​​উত্তরসূরীদের ​​​​​​​দেখলে, খারাপই ​​​​​​​লাগে। ​​​​​​​এই ​​​​​​​হিন্দুত্ববাদকে মোকাবিলা ​​​​​​​করার ​​​​​​​কোনো ​​​​​​​অস্ত্রশস্ত্রই ​​​​​​​এঁদের ​​​​​​​নেই।

    তো, ​​​​​​​সে ​​​​​​​যাই ​​​​​​​হোক, ​​​​​​​গোদিবাহিনীর ​​​​​​​এই ​​​​​​​হল ​​​​​​​একটা ​​​​​​​শাখার ​​​​​​​ব্যাপার। ​​​​​​​অন্য ​​​​​​​শাখায়, ​​​​​​​অর্থাৎ ​​​​​​​ফুট-সোলজার ​​​​​​​যিনি ​​​​​​​আছেন, ​​​​​​​অর্থাৎ ​​​​​​​বিরোধী ​​​​​​​দলনেতা, ​​​​​​​তিনি ​​​​​​​গুলের ​​​​​​​আরও ​​​​​​​বড় ​​​​​​​প্রতিভা ​​​​​​​দেখিয়েছেন। ​​​​​​​বুদ্ধিটা ​​​​​​​আরও ​​​​​​​কম ​​​​​​​বলে, ​​​​​​​সেটা ​​​​​​​অবশ্য আরও ​​​​​​​মোটা ​​​​​​​দাগের। তিনি বলেছেন, ​​​​​​​বিহারে ৩০ লাখ এবং পশ্চিমবঙ্গে ৯০ ​​​​​​​লাখ ​​​​​​​রোহিঙ্গা আছে। ​​​​​​​সবাইকে ​​​​​​​ধরে ​​​​​​​বার ​​​​​​​করতে ​​​​​​​হবে।

    এইটা ​​​​​​​গুল ​​​​​​​কেন? ​​​​​​​না, ​​​​​​​এই ​​​​​​​দুটো ​​​​​​​যোগ ​​​​​​​করলে ​​​​​​​আপনি ​​​​​​​পাবেন ১ কোটি ২০ ​​​​​​​লক্ষ। এবার এই ​​​​​​​বিশ্বে ​​​​​​​রোহিঙ্গাদের সর্বমোট ​​​​​​​সংখ্যা ​​​​​​​কত? ​​​​​​​লিংক ​​​​​​​লাগবেনা, ​​​​​​​গুগল ​​​​​​​করে ​​​​​​​নিজেই ​​​​​​​দেখুন, ​​​​​​​সারা পৃথিবীতে, বাড়িয়ে ধরে-টরেও সর্বমোট ​​​​​​​২০ ​​​​​​​লাখ। ​​​​​​​এদের সবাই ভারতবর্ষে ঢুকে পড়েছে ধরে নিলেও বাকি থাকে এক কোটি। এই একস্ট্রা টু-এবি টা কোথা থেকে আসবে?  

    এর উত্তরও সোজা। উড়িষ্যায় গতকালই দশজন "রোহিঙ্গা"কে ধরা হয়েছে। তাঁদের নাম, শ্রীমতি কালিদাসী বিশ্বাস, শ্রীমতি সুরা বালা, শ্রী অশোক রায়, শ্রীমতি সুহাহী বিশ্বাস, শ্রীমতি মায়ারানী দাস, শ্রীমতি আলো রায়, শ্রীমতি গীতা হালদার, শ্রী উৎপল হালদার, শ্রীমতি পাচি ঢালী, শ্রীমতি লেবু সরকার। নাম দেখেই বুঝতে পারছেন, তাড়ানোর জন্য ১ কোটি, বা ১ কোটি ২০ লক্ষই অতিরিক্ত রোহিঙ্গা কোথা থেকে আসবে? অনুপ্রবেশ নিয়ে হাওয়া তোলার পুরো পরিকল্পনাটাই আসলে তাড়ানোর প্রথম ধাপ। এতে গোদা ভাবে যেমন আছেন শুভেন্দু, সূক্ষ্মভাবে তেমনই আছেন কর্নেল সুমন্দে। তফাত বিশেষ নেই। 

    এবং এই তাড়ানোরও কয়েকটা ধাপ আছে। প্রথম ধাপ হল, ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া। অনেকেই ভাবছেন বাঙালি জেগেছে, বীররা এবার হারবেই। না, হারবেনা, ভোটার তালিকা থেকে কোটিখানেক লোককে বাদ দিয়ে দিতে পারলেই জিতে যেতে পারে। তখন বাকিটা করবে। সেই জন্য ওরা ঝাঁপাবে। সেই কারণেই এই গোদিবাহিনী এবং গোদিমিডিয়াকে চিহ্নিত করে মুখোশ খুলে দেওয়াটা খুব জরুরি। সেই জন্যই, যাঁরা এতটা পড়লেন, নিশ্চয়ই জানেন, "অনুপ্রবেশ" শুনলেই অনেকে প্রভাবিত হয়ে পড়েন। তাঁদের এই তথ্যগুও জানান। এই লেখাটা শেয়ার করুন। আমার লেখা শেয়ার করলে যাঁদের সামাজিক চাপে পড়তে হবে, তাঁরা নাম-ধাম বাদ দিয়ে কপি পেস্ট করে হোআতে পাঠিয়ে দিন। নাম-ধাম আমার দরকার নেই। কোনো পত্রিকায়ও লিখতে বলবেন না, নেটেই এই নিয়ে যা লিখছি, ওর বেশি লেখা যাবেনা, এর থেকে যা মেটেরিয়াল পাবেন, নিয়ে নিজেই লিখে ফেলুন। কালকে এই নিয়ে একটা ভিডিও করব, সেটাও যাকে খুশি পাঠাতে পারেন। মোদ্দা কথা, যা ইচ্ছে করুন, শুধু এই দানবদের আটকানো গেলেই হল। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৮ জুলাই ২০২৫ | ১৭২৫ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    দহন - Manali Moulik
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • গুলবাজি | 2405:8100:8000:5ca1::a1:***:*** | ১৮ জুলাই ২০২৫ ০৯:২৩732528
  • ওড়িশার লিস্টের কাউকেই রোহিঙ্গা বলা হয়নি এটা ফেকু লেখক জানে না।
  • হিজি-বিজ-বিজ | 2607:f010:3fe:ffec::***:*** | ২০ জুলাই ২০২৫ ০৭:৫৫732576
  • @অ্যাডমিন  আমার উপরের পোস্ট টা ও ডিলিট করে দিন কারণ সেটা আর প্রাসঙ্গিক নয়। 
     
    @অনির্বান এম কে একটা প্রশ্ন এইসময় এর প্রথম লিংক  এ  যে পরিসংখ্যান তাতে মোট জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার দিয়েছে কিন্তু ভাষা ভিত্তিক নয়। মানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি টা অন্য রাজ্য থেকে আসা মানুষের জন্য নয় সেটা নিশ্চিতভাবে বোঝা যাবে কি করে? বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী লোকজন বাঙালি হবেন অন্য ভাষাভাষী নয়। আর তথাকথিত অনুপ্রবেশকারী এলে সেটা কি সত্যি অর্থনীতির জন্য খারাপ ? তার কোনো ব্যাখ্যা আছে? 
  • Anirban M | ২০ জুলাই ২০২৫ ১০:৫২732579
  • হিজি বিজ বিজ,আমার দ্বিতীয় লেখাটি পড়ুন। মনে হয় আপনার প্রশ্নের উত্তর পাবেন। অনুপ্রবেশের অনেক ভালো দিক আছে আবার খারাপ দিকও আছে। ভালো দিক হল অনুপ্রবেশ (তা আইনি বা বেআইনি যাই হোক না কেন) নতুন প্রতিভা এবং স্কিলকে দেশে নিয়ে আসে। আর খারাপ দিক হল,তা দেশের পরিকাঠামোর ওপর চাপ ফেলে। আবার এটাও হয় যে চাকরির বাজারে স্থানীয় লোকেদের ওপর চাপ বাড়বে। যদিও সেই চাপ বিহার বা কর্ণাটক থেকে দলে দলে লোক বাংলাতে এলেও পড়বে। কিন্তু এসব তত্ত্বকথা। সত্যি কোন দিকটি কার্যকর সেতো ডেটা দিয়ে বুঝতে হবে। সেটা বোঝা আমাদের দেশে একটু মুশকিল। কিন্তু আমেরিকা বা ইউরোপে এই নিয়ে অনেল কাজ হয়েছে। 
  • ৪ঠা আগষ্ট ২০০৬ | 42.108.***.*** | ২০ জুলাই ২০২৫ ১৩:২৫732580
  • পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশী অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে বলতে চেয়ে (না পেরে) লোকসভার ডেপুটি স্পিকারের মুখে কাগজের তাড়া ছুঁড়ে মারার অসভ্যতার করে ইস্তফা দেওয়া আরএসএস কন্যা মমতার নামটা তো দেখলাম না। তার বাড়ানো বল ধরেই তো বিজেপির "অনুপ্রবেশ" রাজনীতির শুরু।
     
    বাংলা আরএসএস-এর মেয়েকে চায়?
  • ঠিকঠাক | 2405:8100:8000:5ca1::10b:***:*** | ২০ জুলাই ২০২৫ ১৫:২৫732581
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 2406:b400:b4:ed12:1cfd:6668:b651:***:*** | ২১ জুলাই ২০২৫ ১৬:৫৯732595
  • - লেখাটা ভালো লেগেছে এবং রাজনৈতিক প্রচারে ব্যবহার করব। সৈকত (প্রথম) কে ধন্যবাদ। পুশ ব্যাকের নামে জালিয়াতি চলছে। কতগুলি অমানবিক কাজ দেশের নীতির নামে চলছে। এন আর সি, সি এ এ, এস আই আর, আদ্যপান্ত বাতিল করা জরুরি। টিভিতে সোশাল মেডিয়াতে।
     - কাশ্মীর, তামিলনাদু, বাঙলা, আসাম এগুলি আলাদা আলাদা বিষয়, এর ইকুইভালেন্স কাম্য না, এসব কিছু তর্ক করা যায়, কিন্ত এখন ফালতু তর্কের সময় বলে মনে হয় নি।
    - আলোচনা করার জন্য .... এক দল আকাদেমিক থেকে যে মমতা নিজে এমন কি অফ অল পিপল গর্গ চট্টো বিভিন্ন ডিগ্রীতে দেশভাগের পরে আসা লোকজনকে যাদের একদা বাঙাল বলা হত তাদের ইন্ট্রুডার ও অকুপায়ার মনে করেছে, আবার নতুন একদল আকাদেমিক, সঠিক ভাবেই কলকাতার ভেতরে মুসলমানদের ডিসপ্লেসমেন্ট এবং রিভার্স মাইগ্রেশন নিয়ে কাজ করছেন তাদের উল্লেখ করা যেত কিন্তু এখন সেটার ও সময় না।  কারণ যাদের নিয়ে দেশ খেলা করছে তারা এই অসম্মান পাবার মতো কিছু করেন নি। 
     
    ধন্যবাদ সৈকত (১ম)।
  • বোদাগু | 2406:b400:b4:ed12:1cfd:6668:b651:***:*** | ২১ জুলাই ২০২৫ ১৭:০৪732596
  • **টিভিতে সোশাল মেডিয়াতে চোখ রাখা যাচ্ছে না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন