এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • হীরেন সিংহরায় | ১৫ জুন ২০২৫ ১১:৪৬732020
  • অশেষ ধন্যবাদ কিশোর । ফাইল করে রাখলাম।
     
    ইন্টার ক্লাস নামের একটি শ্রেনী ছিলো। আমরা চড়েছি!
     
    কেন যে তিনটে গেজ তার চমৎকার ব‍্যাখ‍্যা এই প্রথম পেলাম। ধন্যবাদ। 
    যদিও সাম্রাজ্যবাদের কাছে মাল ও সৈন‍্য পরিববহনে রেল খুব জরুরি আরেকটা তুলনা হয়তো অনিবার্য- আফ্রিকায় ব্রিটিশ বানিয়েছে অতি সামান‍্য রলপথ। এই মাত্র কবছর আগে কেনিযায় সেই টুটা ফুটা লাইনকে ব্রড গেজ করার কাজ সারা হলো। বেলজিয়ান বা ফরাসি কিছুই করে নি!তুলনায় ৩০ বছরের শাসনে জার্মানরা প্রায় অটোবান বানিয়ে ফেলে কোথাও কোথাও। 
  • কৌতূহলী | 115.187.***.*** | ১৫ জুন ২০২৫ ২৩:০৭732041
  • যা , ২০২০ তে তুফান মেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে!!! শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল।
    লেখাটা চমৎকার। পড়ে অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ
  • :|: | 2607:fb90:bdc2:f34:2d15:2bc5:e417:***:*** | ১৫ জুন ২০২৫ ২৩:২৬732042
  • ঠিক। আমাদের মুকুলিত শৈশবের বই "সোনার কেল্লা"। সেখানে ২৬ মিনিটের মাথায় ফেলুদা তুফান মেল ধরছে 
  • b | 14.139.***.*** | ১৬ জুন ২০২৫ ১০:১৮732047
  • বর্তমানে গেজ আসলে চারটি কেননা ন্যারো গেজেরও দুটি ভাগ।  2 ফুটের ন্যারো গেজ  যথাক্রমে ডি এইচ আর  এবং  নেরল মাথেরন রেলওয়ে। ডিএইচআর এর সব ডিজেল ইঞ্জিনগুলি প্রাথমিক ভাবে নেরল মাথেরন থেকে নিয়ে আসা হয়েছিলো । বাকি রইলো ২ ফুট ৬ ইঞ্চির ন্যারো গেজ । তা চলত বর্ধমান কাটোয়া , কাটোয়া আমেদপুর   এবং  এখনো চলে কালকা শিমলা আর পাঠানকোট যোগিন্দর নগর রুটে । 
  • Kishore Ghosal | ১৬ জুন ২০২৫ ১০:৫৩732048
  • @ হীরেনদা, কেনিয়াতে বৃটিশরা রেলপথ বানানোর উৎসাহ দেখায়নি, আমার মনে হয় তার কারণ হয়তো - 
    ১) ভারতে এসে বৃটিশরা মোটামুটি সাজানো একটা সড়কপথের নেটওয়ার্ক পেয়েছিল এবং তারা সেই পথের ধারে ধারেই রেলপথ বিছাতে শুরু করেছিল। ব্যাপারটা বোঝা যাবে হাওড়া থেকে দিল্লি যেতে - জি টি রোডকে রেললাইন কতবার ক্রশ করে অথবা একদম পাশাপাশি চলে - সেটা লক্ষ্য করলে। 
    ২)  ভারত থেকে ছোট বড়ো নানান রাজার সোনা, মণি-মাণিক্য ইত্যাদি লুঠের মাল, খনিজ দ্রব্য এবং রেডিমেড শস্যের অফুরন্ত সম্ভার নিজের দেশে পাচার করতে রেললাইন পাতা বৃটিশদের কাছে অনিবার্য ছিল। ভারতের মতো এরকম সাজানো রেডিমেড সম্পদ সে সময় কেনিয়াতে ছিলই না। কেনিয়াতে জঙ্গল সাফ করে, স্থানীয় মানুষদের মেরেধরে, শিখিয়েপড়িয়ে পাচার করার মতো প্রচুর মাল উৎপন্ন করতেই তো বৃটিশদের ১০০/১৫০ বছর কেটে গেছে - এবং ততদিনে অনেকটাই বদলে গেছে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি।  
  • Kishore Ghosal | ১৬ জুন ২০২৫ ১১:০৮732050
  • @ কৌতূহলী ও @ চতুর্ভুজঃ তুফান মেলকে ঘিরে আমাদের আবেগ দীর্ঘদিনের। নতুন যুগের নতুন ট্রেনের দাপটে সে এখন ব্রাত্য। 
     
    @ বঃ রেলের গেজ চারটে - এটা জানতাম না - ১৯৭৯-৮৩ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় তিনটি গেজের কথাই পড়েছি - এবং সরকারি যে বইটির থেকে নানান তথ্য পেয়েছি - সেটা ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত - সেখানেও এই তথ্যটি পাইনি। অনেক ধন্যবাদ নতুন এই তথ্যের জন্যে।     
  • b | 14.139.***.*** | ১৬ জুন ২০২৫ ১১:১৩732051
  • ১। এখানে দেখুনঃ https://irfca.org/faq/faq-gauge.html.
    ২। আমি "ব" নই,  b  (সাহেব কি না ! )
  • নীল | 2001:4490:88a:be84:83da:35a6:872b:***:*** | ১৬ জুন ২০২৫ ১২:৩৫732054
  • পুরনো দিনের চারটি গেজ ছাড়াও বর্তমানে ভারতের মেট্রো রেলগুলোতে স্ট্যান্ডার্ড গেজ (1435mm) ব্যবহার হয়।
    একমাত্র কোলকাতার ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো ছাড়া বাকি অংশে এবং দিল্লী মেট্রোর কিছু অংশে ব্রড গেজ লাইনে ট্রেন চলে।
  • হীরেন সিংহরায় | ১৬ জুন ২০২৫ ১২:৫৫732055
  • কিশোর 
    আপনার (১) দারুণ পয়েনট ! খানিকটা কেন্দ্রীয় প্রশাসন ( মুঘল আমলে বিশেষত)  খানিক  রাজানুকুল‍্যে দেশ জুড়ে পথ বানানো হয়েছিল । জি টি রোডের পত্তন ৫০০ বছর আগে। রেল পাতার রূপ রেখাটি সহজ ছিল যেমন ইউরোপে রোমান পথ ধরে আজকের নেট ওয়ারক।
     
    দ্বিতীয় পয়েনটটি পুরোপুরি হয়তো আফ্রিকায়  খাটে না - কেনিয়া একটি দৃষ্টান্ত মাত্র । দক্ষিন আফ্রিকার সোনা হীরে কেনিয়ার অঢেল শস্য রোডেশিয়ার অনন্ত খনিজ সম্পদ কে বন্দরে আনার জন‍্য রেল লাইন হয়েছে অনেক পরে !  কেনিয়াতেও প্রথম লাইন বসে ১৯০০ নাগাদ কিন্তু অসম্পূর্ণ । বেলজিয়ান বা ফরাসিদের ক্ষেত্রেও আমার এই প্রশ্নটা মনে আসে - যা লুঠ করেছ সবই যাবে ইউরোপে ভায়া আফ্রিকান বন্দর! সে অবধি যাবে কিসে ?
     
    জার্মানরা তিরিশ বছরে এটা করেছিল 
  • b | 2402:3a80:1c51:4c61:378:5634:1232:***:*** | ১৬ জুন ২০২৫ ১৭:২৫732059
  • @ নীল  একেবারেই  ঠিক ,  শুধু  বিভিন্ন মেট্রো  (কলকাতার উত্তর দক্ষিণ বাদে ) সরকারী ইন্ডিয়ান রেলওয়ের অংশ না বলে লিখিনি . 
  • Kishore Ghosal | ১৭ জুন ২০২৫ ২৩:২৩732067
  • @হীরেনদা, প্রচলিত ধারণা জি টি রোড  বানিয়েছিল শের শাহ- কিন্তু আসলে শের শাহ এই রাস্তাটির সংস্কার করেছিল মাত্র - তার বেশি কিছু নয়।  এই রাস্তাটির ইতিহাস বহু বহু প্রাচীন। মৌর্য আমলে তক্ষশিলা থেকে তাম্রলিপ্তি ভায়া পাটলিপুত্র মহাসড়কের ইতিহাস আমরা পেয়েছি। যে রাস্তার দুধারে  পথিক এবং বণিকদলের বিশ্রামের জন্য প্রচুর গাছ লাগিয়েছিলেন এবং পুকুর বা সরোবর বানিয়েছিলেন সম্রাট অশোক। চাণক্যর অর্থশাস্ত্রে পাওয়া যায় বঙ্গের অনেকগুলি মূল্যবান  বিদেশে রপ্তানি যোগ্য পণ্য-দ্রব্যের বিবরণ - যার মধ্যে ছিল সূক্ষ্ম সুতির বস্ত্র, রেশম বস্ত্র, (হয়তো মসলিন) আরও অনেক কিছু -।  সেই পণ্য নিয়ে সওদাগররা বিশাল ক্যারাভ্যান নিয়ে চলত তক্ষশিলা, গান্ধার হয়ে পারস্য, মধ্য এশিয়া...,। কাজেই যথেষ্ট ভালো রাস্তা সে সময় থাকতেই হবে এবং ছিল। 
    "ধর্মাধর্মে" বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম এ নিয়ে।  
      
  • হীরেন সিংহরায় | ১৭ জুন ২০২৫ ২৩:৩২732068
  • ঠিক ঠিক । আবার পাতা উল্টাতে হব। অর্থাৎ যে ইনফ্রা স্ট্রাকচারের জন‍্য রোমানদের আমরা রোজ প্রণাম করি তার চেয়ে বিশাল কর্ম কাণ্ড সাধিত হয়েছিল ভারতে তবে হয়তো কিছু পরে। এটি না থাকলে রেল এতো সহজে বসতো না । 
  • Kishore Ghosal | ১৮ জুন ২০২৫ ০৯:০০732071
  • রোমানদের অনেক আগেই হীরেনদা, সম্রাট অশোক তাঁর মনোলিথিক স্তম্ভগুলি চূনার অঞ্চলে বানিয়ে - যার  প্রত্যেকটার ওজন ছিল প্রায় ৬০/৬৫ টন - ওই রাস্তাগুলি দিয়েই সারা ভারতে - তক্ষশিলা, বিহার, ইউপি এবং দাক্ষিণাত্যে পাঠিয়েছিলেন। উপযুক্ত সংস্কারের অভাবে রাস্তাগুলো হয়তো ভেঙে চুরে যেত - কিন্তু গুপ্তরাও এই রাস্তাই ব্যবহার করেছিল - গুপ্ত আমলের কিছু আগে থেকেই রোমের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য সম্পর্ক চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিল।   
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন