এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • আমেরিকা - নির্বাচনের মোচ্ছবে 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ০২ নভেম্বর ২০২৪ | ৫৯৪ বার পঠিত | রেটিং ৪ (২ জন)
  • আমেরিকার নির্বাচনে সবসময়েই একটু বেশি নাটক হয়। বিশ্বের উপর দাদাগিরি বজায় রাখার ব্যাপার, ইয়ার্কি না। কিন্তু এবার একটু বেশিই হচ্ছে। বিশ্বের কোনো ​​​​​​​নির্বাচনে ​​​​​​​প্রাক্তন ​​​​​​​প্রেসিডেন্ট ​​​​​​​কানের ​​​​​​​লতিতে ​​​​​​​গুলি ​​​​​​​খেয়েছেন ​​​​​​​বলে ​​​​​​​জানিনা, ​​​​​​​কিন্তু ​​​​​​​এবার ​​​​​​​আমেরিকায় ​​​​​​​খেলেন। ​​​​​​​নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাঝখানেই প্রার্থী কাম প্রেসিডেন্ট অবসর নিয়ে নিলেন বলে সাম্প্রতিক কালে শুনিনি। এবার নিলেন। তাতে অবশ্য নিজের দলের লোকেরাই হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে। বাইডেন থাকলে ​​​​​​​ট্রাম্প এমনি এমনিই ​​​​​​​জিততেন, গুলি ​​​​​​​টুলি ​​​​​​​লাগতনা। তাঁর জায়গায় এলেন ​​​​​​​কমলা। গত চার বছরে তামিলনাড়ুতে গিয়ে নারকেল গাছ লাগালো ছাড়া আর কী করেছেন, সেটা অবশ্য এর আগে কেউ জানতনা। কিন্তু প্রচুর হইচই হবার পর জানা গেল, উনি আরও নানা জায়গায় ছাপ রেখেছেন। সেটা ভালো না মন্দ বলা অবশ্য কঠিন। বাইডেন ​​​​​​​আমলে ​​​​​​​দ্রব্যমূল্য, যাকে বলে, আকাশ ছোঁয়া। নতুন ​​​​​​​দুখানা ​​​​​​​যুদ্ধ ​​​​​​​শুরু ​​​​​​​হয়েছে, ​​​​​​​আমেরিকা ​​​​​​​সেখানে ​​​​​​​যথারীতি ​​​​​​​​​​​​​​যথাযথ ​​​​​​​ভূমিকা পালন করেছে।  ভালর ​​​​​​​মধ্যে ​​​​​​​বেকারিত্বের ​​​​​​​হার খুব ​​​​​​​কমে ​​​​​​​এসেছে। ​​​​​​​কিন্তু ​​​​​​​সেটাও ​​​​​​​একটা ​​​​​​​রহস্যজনক ​​​​​​​ব্যাপার। ​​​​​​​কোভিডের ​​​​​​​সময় ​​​​​​​হঠাৎ ​​​​​​​​​​​​বেকারিত্ব ​​​​​​​প্রচণ্ড ​​​​​​​বেড়ে ​​​​​​​গিয়েছিল, ​​​​​​​তারপরই ​​​​​​​হুহু ​​​​​​​করে ​​​​​​​কমে ​​​​​​​গেল। ​​​​​​​দোকান-বাজারে কাজ ​​​​​​​করার ​​​​​​​লোক ​​​​​​​নেই। ​​​​​​​সংস্থাগুলো ​​​​​​​নাকি ​​​​​​​লোক ​​​​​​​পাচ্ছেনা। ​​​​​​​সেটা ​​​​​​​এখনও ​​​​​​​চলছে। ​​​​​​​অনেক রকম স্পেকুলেশন পড়েছি, কিন্তু এত ​​​​​​​লোকে ​​​​​​​একসঙ্গে ​​​​​​​হুট ​​​​​​​করে ​​​​​​​উবে ​​​​​​​গেল ​​​​​​​কীকরে ​​​​​​​জানা যায়নি।

    যা হোক, এসব কেলোর কীর্তি যাই থাকুক, উল্টোদিকে ট্রাম্প। তাছাড়া কমলা একাধারে মহিলা এবং কালো, ফলে সিএনএন- নিউ ইয়র্ক টাইমস সহ, লিবারালদের পছন্দসই। ট্রাম্প অবশ্য এই নিয়ে একটা টিপ্পনী কেটেছিলেন, যে, ওই বেটি তো ভারতীয় ছিল জানতাম, হঠাৎ একদিন সকালে উঠে দেখি কালো  হয়ে গেছে।  সে ​​​​​​​ট্রাম্প ​​​​​​​কতকিছুই ​​​​​​​বলেন। ​​​​​​​মেক্সিকো থেকে অপরাধীরা এসে খুন-ধর্ষণ করছে তো পুরোনো কথা। এই ​​​​​​​সেদিন ​​​​​​​বলেছেন, ​​​​​​​দেশে অভিবাসী ​​​​​​​এত ​​​​​​​বেড়ে ​​​​​​​গেছে, ​​​​​​​যে, ​​​​​​​তারা এমনকি এখন ​​​​​​​বাড়ির ​​​​​​​কুকুর-বেড়ালও ​​​​​​​ধরে ​​​​​​​খাচ্ছে। স্প্রিংফিল্ড ​​​​​​​বলে ​​​​​​​একটা ​​​​​​​জায়গায় ​​​​​​​নাকি ​​​​​​​হয়েছে। ​​​​​​​মিডিয়াতেও বেরিয়েছে ওটা গুল। এছাড়া ​স্প্রিংফিল্ডে কিছু চেনাপরিচিতও ​​​​​​​থাকে, ​​​​​​​খোঁজ ​​​​​​​নিয়ে ​​​​​​​জানা ​​​​​​​গেছে, ​​​​​​​বাচ্চা-কাচ্চা-হারমোনিয়াম-কুকুর-বেড়াল ​​​​​​​এসব ​​​​​​​নিয়ে ​​​​​​​তারা ​​​​​​​নিরাপদেই ​​​​​​​আছে। এই ​​​​​​​নিয়ে ​​​​​​​চাট্টি ​​​​​​​হাসিঠাট্টাও ​​​​​​​হয়েছে। ​​​​​​​ফলে ​​​​​​​ভাবা ​​​​​​​যাচ্ছিল, ​​​​​​​কমলা ​​​​​​​খানিকটা ​​​​​​​এগিয়েই ​​​​​​​থাকবেন। ​​​​​​​একদম ​​​​​​​শুরুতে ​​​​​​​ছিলেনও। একদিনে রেকর্ড টাকা তুলে ফেলেছিলেন প্রচারের জন্য। ট্রাম্প ​​​​​​​সে ​​​​​​​নিয়েও ​​​​​​​টিপ্পনি ​​​​​​​কেটেছিলেন। ​​​​​​​যে, ​​​​​​​ওই তো ছাতার জনপ্রিয়তা। আমার মিটিং এ ​​​​​​​দশ-বিশ ​​​​​​​হাজার লোক ​​​​​​​এমনিই ​​​​​​​হয়, ​​​​​​​মিডিয়া ​​​​​​​দেখায়না। আর ​​​​​​​ওর ​​​​​​​হাজার-খানেক ​​​​​​​লোক হলেই, ​​​​​​​এমন ​​​​​​​প্রচার, ​​​​​​​যে, ​​​​​​​মনে ​​​​​​​হয় ​​​​​​​বিশ্বজয় ​​​​​​​করে ​​​​​​​ফেলেছে। 

    এই ​​​​​​​সব মিলিয়েই কমলা ​​​​​​​এগিয়ে ​​​​​​​ছিলেন। ​​​​​​​কিন্তু ​​​​​​​খেলাটা ​​​​​​​ঘুরতে ​​​​​​​শুরু ​​​​​​​করল ​​​​​​​দুই ​​​​​​​দিক ​​​​​​​থেকে। প্রথমটা ​​​​​​​চেনা ​​​​​​​জায়গা। ​​​​​​​দ্রব্যমূল্য একটা ব্যাপার।তাছাড়া মেক্সিকো ​​​​​​​থেকে ​​​​​​​বাঘ-সিংহ ​​​​​​​ঢুকে ​​​​​​​পড়ছে, ​​​​​​​এই ​​​​​​​নিয়ে ​​​​​​​যত ​​​​​​​ঠাট্টাই ​​​​​​​হোক ​​​​​​​না কেন, কট্টর ভক্তদের ​​​​​​​কাছে ​​​​​​​ওটা ​​​​​​​একটা ​​​​​​​সত্যিকারের সমস্যা। ​​​​​​​এবং ​​​​​​​সেটাকে ​​​​​​​দেখানোরও ​​​​​​​চেষ্টা ​​​​​​​হয়েছে। ​​​​​​​টেক্সাসের গভর্নর তো ইমিগ্রান্টদের ​​​​​​​বাসে ​​​​​​​করে ​​​​​​​নিউইয়র্কে পাঠিয়ে ​​​​​​​দিচ্ছিলেন ​​​​​​​একটা ​​​​​​​সময়ে, ​​​​​​​সামলাতে ​​​​​​​নিউয়র্কের ​​​​​​​নাজেহাল ​​​​​​​অবস্থা। কিন্তু ​​​​​​​এগুলো ​​​​​​​চেনা ​​​​​​​ব্যাপার। ​​​​​​​এর ​​​​​​​উল্টোদিকে, ​​​​​​​কমবয়সী ছেলেমেয়েরা ​​​​​​​ট্রাম্পকে ​​​​​​​দুচোখে ​​​​​​​দেখতে ​​​​​​​পারেনা, ​​​​​​​তারা ​​​​​​​মোটের ​​​​​​​উপর লিবারাল, তারাই এগুলো ব্যালান্স করে রাখত। এবার ​​​​​​​সেই ​​​​​​​গোষ্ঠীই ​​​​​​​মূলগতভাবে প্যালেস্তাইনের পক্ষে ​​​​​, রীতিমতো নানা ক্যাম্পাসে আন্দোলন হয়েছে। এবং সরকার সেসব দমন করেছে। ফলে ​​বাইডেন-হ্যারিসের অবস্থা ​​​​​​​কমবয়সীদের ​​​​​​​মধ্যে ​​​​​​​ভালো ​​​​​​​না। ​​​​​​​তারা ​​​​​​​হয়তো ​​​​​​​ট্রাম্পকে ​​​​​​​ভোট ​​​​​​​দেবেনা, ​​​​​​​কিন্তু ​​​​​​​উৎসাহ ​​​​​​​নিয়ে ​​​​​​​কমলাকে ​​​​​​​সমর্থন ​​​​​​​করবে, ​​​​​​​তাও ​​​​​​​না। ​​​​​​​এছাড়াও ​​​​​​​শোনা ​​​​​​​যাচ্ছে, ​​​​​​​কালোদের ​​​​​​​মধ্যেও ​​​​​​​কমলা ​​​​​​​আশানুরূপ ​​​​​​​ভালো ​​​​​​​কিছু ​​​​​​​করছেন ​​​​​​​না। ​​​​​​​

    এই ​​​​​​​দুই ​​​​​​​মিলিয়ে ​​​​​​​এখন ​​​​​​​বেশ ​​​​​​​জোরালো ​​​​​​​টক্কর। ​​​​​​​এবং ​​​​​​​একচুল ​​​​​​​হলেও ​​​​​​​ট্রাম্পই ​​​​​​​এগিয়ে ​​​​​​​আছেন। ​​​​​​​অন্য ​​​​​​​দেশ ​​​​​​​হলে ​​​​​​​বলেই ​​​​​​​দেওয়া ​​​​​​​যেত ​​​​​​​ট্রাম্পই ​​​​​​​জিতছেন। ​​​​​​​কিন্তু আমেরিকার ​​​​​​​ছাতার ​​​​​​​মাথা ​​​​​​​নির্বাচনী ​​​​​​​ব্যবস্থার ​​​​​​​জন্য ওভাবে ​​​​​​​বলা ​​​​​​​কঠিন। ​​​​​​​কোথায় ​​​​​​​কে ​​​​​​​কী ​​​​​​​সমর্থন ​​​​​​​পাচ্ছেন, ​​​​​​​তার ​​​​​​​বিশেষ ​​​​​​​কোনো ​​​​​​​গুরুত্বই ​​​​​​​নেই। ​​​​​​​কয়েকটা রাজ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, সেখানে লোকে কী ভাবছে তার উপরেই পুরোটা দাঁড়িয়ে আছে। অর্থাৎ পেনসিলভ্যানিয়ার ​​​​​​​তিনটি ​​​​​​​যুবক ​​​​​​​বা উইসকনসিনের ​​​​​​​তিরিশটি ​​​​​​​যুবতীই খেলা ​​​​​​​ঘুরিয়ে ​​​​​​​দিতে ​​​​​​​পারে, ​​​​​​​এতটাই ​​​​​​​জটিল ​​​​​​​এবং ​​​​​​​বিচ্ছিরি ​​​​​​​ব্যাপার। ​​​​​​​তবে ​​​​​​​যেটা ​​​​​​​নিশ্চিত, ​​​​​​​সেটা ​​​​​​​হল ​​​​​​​ট্রাম্পের ​​​​​​​জনসমর্থন ​​​​​​​কমছেনা। ​​​​​​​কমলা ​​​​​​​কতজনকে ​​​​​​​উৎসাহিত ​​​​​​​করে ​​​​​​​ভোট ​​​​​​​দেওয়াতে ​​​​​​​পারেন, ​​​​​​​তার ​​​​​​​উপরেই ​​​​​​​তাঁর ​​​​​​​ফলাফল ​​​​​​​নির্ভর ​​​​​​​করছে। 

    কিন্তু এ তো শুধু ধারাবিবরণী হল। ভিতরে ভিতরে পুঁজিবাদের একটা খুব বড় পরিবর্তন নজর করা যাচ্ছে। সেটা নিয়ে পরে লিখব। তত্ত্বকথা কে পড়বেন জানিনা। পড়াশুনো তো মোটের উপর উঠেই গেছে। তবু লিখব। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০২ নভেম্বর ২০২৪ | ৫৯৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Guru | 2401:4900:735a:c601:f876:48ac:834a:***:*** | ০২ নভেম্বর ২০২৪ ০৭:৫২539041
  • খুব ভালো লিখছেন l লিখতে থাকুন l দীপাবলির শুভেচ্ছা আপনাকে l
  • বিপ্লব রহমান | ০২ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:০৮539043
  • আম্রিকার ভোট হয়েই আছে। মার্কিন ধনকুবের ও মাফিয়াদের পছন্দ ট্রাম্পকেই। নইলে ভক্তদের ভ্যান্ডালিজমের হুমকি তো আছেই। devil
  • পাপাঙ্গুল | ০২ নভেম্বর ২০২৪ ১১:৩৯539047
  • সবই 'শোনা' যাচ্ছে। ট্রাম্প তো বাংলাদেশ নিয়েও বক্তব্য রেখেছেন যে তার আমল হলে এ ঘটনা ঘটত না। পুঁজিবাদের পরিবর্তন নিয়ে লেখাটা বেশি দরকার। 
  • Guru | 2409:4060:2d41:d518:dacf:753b:1b79:***:*** | ০২ নভেম্বর ২০২৪ ১১:৫১539048
  • আম্রিকাতে ভোট ফোট সব ফালতু l আসলে ট্রাম্প কমলা নয় জিতবে AIPAC আর জায়নবাদী ধনকুবেরেরা l এসব ভোট নিয়ে ওতো মাতামাতির কিছুই নেই l
  • | ০২ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০৮539050
  • এবারে ভোটে কমলাই জিতবে।  তবে তিনি দেবী নাকি বাবু সেইটে নিশ্চিত নয় - ষষ্ঠ পান্ডব উবাচ। 
     
    পুঁজিবাদের পরিবর্তন নিয়ে লেখাটায় আগ্রহী। 
  • X | 2001:67c:2628:647:2::***:*** | ০২ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৩৬539051
  • আজ ট্রাম্প লিজ চেনি সম্বন্ধে বলেছে, ওকে গুলি খেতে হলে ও যুদ্ধবাজ হতো না। লিবারাল মিডিয়া চেনির সমর্থনে সরগরম। ওদিকে ট্রাম্প যুদ্ধবিরোধী পজিশন নিয়েছে। হরি হরি!
     
  • s | 2405:8100:8000:5ca1::249:***:*** | ০২ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:২০539054
  • পশ্চিমবঙ্গে আইপ্যাড আর ওদিকে AIPAC
  • Tuhinangshu Mukherjee | ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৩২539163
  • ​​​​​​লেখাটা নিয়ে যা বলা হচ্ছে তেমন মোটেও নয়, হ্যাঁ নতুন পুঁজি পুরোনো পুঁজির যে বাইনারি টা সৈকত দা এনেছেন তাতে আপত্তি উঠছে ঠিক ই কারণ ব্যাপারটা ওরকম বাইনারিতে নেই। আর ট্রাম্প যুদ্ধবাজ নয় বলেও না ধরে নিলেও এটা বলাই যায়, যে নতুন প্রযুক্তি , এ আই, এবং কনসেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং টাই এখন উল্টোদিকের মুলগত দলিল, কাজেই যে বিষয়টি এখানে বলা হচ্ছে সেটা অনেকাংশেই সঠিক .. যে ভিডিও বা লেখা পত্তর এর উপর কেউ কেউ বিরাট ভরসা রাখছেন তার রাজনীতি সম্পর্কেও কিন্তু এই দেশ থেকে বসে ভরসা রাখা যায় না। সর্বোপরি সাধারন শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান দের মধ্যে সার্বজনীন এই ক্রোধ কিসের সেটা বুঝতে অসুবিধা হয়না .. কাজেই পুঁজিতে ঢিল মারা টারা এসব না ভাবাই ভালো। গ্রীন ডিল নিউ এনার্জি কিংবা জন স্বাস্থ্য বীমা এসব ছাড়া এই ধরণের হতাশ আর অখাদ্য দুটি বাইনারীতে ই আটকে থাকবে আমেরিকা পরিচালিত বিশ্ব রাজনীতি ..কোন পরিত্রাণ নেই .
  • X | 2001:67c:2628:647:f::***:*** | ০৭ নভেম্বর ২০২৪ ০০:১৬539185
  • ট্রাম্পকে কেন মহিলারা ভোট দিল? কেন লিবারাল মিডিয়ার প্রপাগান্ডা সত্ত্বেও এই অবস্থা? এইখানে শুধু পুঁজির বিশ্লেষণ চলবে না। রাইট উইং পার্সপেক্টিভটা বুঝতে হবে। ১৯৮৩ সালে র্যাডিক্যাল ফেমিনিস্ট আন্দ্রেয়া ডোরকিন লিখেছিলেন রাইট উইং উইমেন। বোধয় আজকের দুনিয়া সম্বন্ধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ। 
     
    "Right-wing women have surveyed the world: they find it a dangerous place. They see that work subjects them to more danger from more men; it increases the risk of sexual exploitation. They see that creativity and originality in their kind are ridiculed; they see women thrown out of the circle of male civilization for having ideas, plans, visions, ambitions. They see that traditional marriage means selling to one man, not hundreds: the better deal. They see that the streets are cold, and that the women on them are tired, sick, and bruised. They see that the money they can earn will not make them independent of men and that they will still have to play the sex games of their kind: at home and at work too. They see no way to make their bodies authentically their own and to survive in the world of men. They know too that the Left has nothing better to offer: leftist men also want wives and whores; leftist men value whores too much and wives too little. Right-wing women are not wrong. They fear that the Left, in stressing impersonal sex and promiscuity as values, will make them more vulnerable to male sexual aggression, and that they will be despised for not liking it. They are not wrong. Right-wing women see that within the system in which they live they cannot make their bodies their own, but they can agree to privatized male ownership: keep it one-on-one, as it were. They know that they are valued for their sex— their sex organs and their reproductive capacity—and so they try to up their value: through cooperation, manipulation, conformity; through displays of affection or attempts at friendship; through submission and obedience; and especially through the use of euphemism—“femininity, ” “total woman, ” “good, ” “maternal instinct, ” “motherly love. ” Their desperation is quiet; they hide their bruises of body and heart; they dress carefully and have good manners; they suffer, they love God, they follow the rules. They see that intelligence displayed in a woman is a flaw, that intelligence realized in a woman is a crime. They see the world they live in and they are not wrong. They use sex and babies to stay valuable because they need a home, food, clothing. They use the traditional intelligence of the female—animal, not human: they do what they have to to survive."
     
    এরকম বিশ্লেষণ ল্যাটিনো বা এশিয়ান আমেরিকান যারা ট্রাম্পকে ভোট দিল, তাদের নিয়েও করা দরকার। অবভিয়াসলি আইডেন্টিটির পাশাপাশি রয়েছে পুঁজি।ভেরি ইন্টারেস্টিং টাইম ইন হিস্ট্রি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন