সকালের প্রায় ফাঁকা রাস্তায় আজ ম্যাগী পায়েন্টে পৌঁছাতে লাগল এক ঘন্টারও কম। কিন্তু হায় সামনে লাইন যথারীতি অনড় অচল। কাল ছিল অধিকাংশ ছোট গাড়ি, আজ সামনে প্রায় সবই বড়সড় মালবোঝাই ট্রাক। হ্যারীভাই নেমে গেলেন, তার আগে গাড়িটা রাস্তার উল্টোপাশে ঝর্ণাঘেঁষে পার্ক করিয়ে গেলেন, নাহলে লাইন ভাঙার অপরাধে ৫০০০ টাকার চালান কেটে বসতে পারে পুলিশ। ম্যাগীর দোকানে গিয়ে জানা গেল কালকেই ওদের স্টকের সমস্ত ম্যাগীর প্যাকেট শেষ, আজ সাপ্লাই আসবে তবে দিতে পারবে। আমাদের গাড়ির দুই সহযাত্রিণী কলকাতা থেকেই মুড়ি বাদাম শশা টমেটো ইত্যাদি সঙ্গে করে এনেছিলেন। কালকের অবস্থা দেখে সেসব আজ সঙ্গের ব্যাকপ্যাকে নেমে এসেছে। জমিয়ে মুড়ি মাখলেন তাঁরা আর আমরা খেলাম।
রাস্তা জুড়ে চলেছে - কি বদগন্ধ বাপরে!
আবারো ঘড়ির কাঁটা ঘোরে আপন মনে আর আমরা অপেক্ষা করতে থাকি। আবারো কল্পার দিক থেকে আপেলের ট্রাক আসতে থাকে, এদিকের গাড়ি নট নড়ন চড়ন। অবশেষে বেলা সোয়া দশটা কি সাড়ে দশটা নাগাদ এদিকের কিছু গাড়ি ছাড়ল আর আমাদের গাড়ি সাঁই করে উল্টোদিকের পার্কিঙ থেকে বেরিয়ে দুটো ট্রাকের মাঝে লাইনে ঢুকে পড়ল। কিন্তু নাহ কিছু এগিয়ে পুলিশ চেকপোস্টের ঠিক মুখে আবার দাঁড়িয়ে গেল, সামনে আর চারটে গাড়ি। আবারো ঘন্টা দুই চুপচাপ পার। সাড়ে বারোটা বেজে যাবার পরে সংগঠকরা ফোন করে জানালেন আর অপেক্ষা করে লাভ নেই, আমরা ছিটকুল কাজা ইত্যাদি বাদ দিয়ে, সোজা কথায় পুরো স্পিতিট্রিপ ক্যান্সেল করে তীর্থান ভ্যালির দিকে যাব।
যাচ্চলে!পুরো ‘কস্কি মমিন’ অবস্থা। এতদিন ধরে পরিকল্পনা করে এলাম স্পিতির জন্য আর সেটাই বাতিল! আমি ক্যান্সেল করতে চাইলেও নাকি টাকা ফেরত পাবো না এবং বাকী দুটো গাড়ির সবাই নাকি এই প্রস্তাবে রাজী। আমাদের গাড়ি থেকে প্রায় সত্তরটা গাড়ি পেছনে একটা ট্র্যাভেলার আর তার থেকে আরো প্রায় একশ কি একশ দশটা গাড়ি পেছনে অন্য আরেকটা ট্র্যাভেলার। ফলে আমরা যদি বা আর ঘন্টা দুয়েকে বেরিয়ে যাই, বাকী দুটো গাড়ির আজ ছাড়া পাবার কোনই আশা নেই। ব্যপার বুঝতে আমরা চললাম মাঝের গাড়ির দিকে, সেখানেই মূল সংগঠক আছেন। সেখানে গিয়ে জানা গেল পরিবর্তিত পরিকল্পনা হচ্ছে আমরা ফেরত যাব, তবে সারাহানে নয় সোজা তীর্থান ভ্যালী যাবো। সেখান থেকে জালোরি পাস, জিভি, সেঙ্গার, সোলাংভ্যালি হয়ে মানালি। মানালি থেকে চন্ডীগড় ফেরত।
সামনে পেছনে লম্বা গাড়ির সারি
আমার প্রস্তাব ছিল আমাদের গাড়িটা বেরিয়ে যাক, আমরা চলে যাই। তা সেও নানারকম কারণ দেখিয়ে নাকচ। অতএব সবকটা গাড়ি ঘুরিয়ে দৌড়, প্রথমে মধ্যাহ্নভোজ সারতে হবে। যাওয়া হল আবার রামপুরে পরশুদিনের সেই অত্যন্ত ঢিলেঢালা প্রকৃতির রেস্তোঁরাটায়। তারাও তাদের দীর্ঘসুত্রীতা বজায় রেখে ঘন্টা দেড়েক লাগালো। এমনিতে এখান থেকে তীর্থান ভ্যালির দূরত্ব যা তাতে পৌঁছাতে বেশ রাত হবার কথা। এদিকে নীরজ বলছে ঘন্টাখানেক বড়জোর ঘন্টা দুয়েকে পৌঁছে যাবো। তাহলে যাচ্ছিটা কোথায়? পৌঁছে গেলাম সেইঞ্জ গ্রামের বিশত রিজেন্সি হোটেলে। হোটেলটা শতদ্রু নদীর একদম গা ঘেঁষে। পাহাড়ের গায়ে ধাপে ধাপে নেমে গেছে এক একতলা, রিসেপশান থেকে চাবি নিয়ে ঘরে যেতে গেলে সিঁড়ি বেয়ে একতলা দোতলা নামতে হয়। টানা বারান্দা থেকে চোখ মেললেই যেন প্রকৃতির অয়েল পেন্টিং টাঙিয়ে রাখা।
হোটেলের বারান্দা থেকে
শতদ্রু ,তার যৌবনে লটারি করে চাবি তুলে আমাদের ঘর পড়ল দোতলা নীচে, এক দেওয়ালের কোণায়। সে ঘর আর খোলেই না। চাবি নিয়ে মিনিট কুড়ি বিস্তর কসরৎ করার পরে জানা গেল ঘরের চাবি ভুল, কোন কর্মচারি অন্য চাবি দিয়ে লক করেছেন। ঠিক চাবি আনিয়ে খুলে টুলে দেখা গেল ঘর এমনি মন্দ নয়, তবে বহুকাল ঝাঁট পড়ে নি সম্ভবত। আর টেবলে রাখা তোয়ালে আগের কোনও অতিথি সম্ভবত পাপোষ হিসেবে ব্যবহার করে গেছেন। সেসব পালটে,স্নান টান করে এক কাপ কফি খেয়ে বেরিয়ে দেখি সন্ধ্যে প্রায় হব হব। এমনিতে অবশ্য ঘর বেশ বড়সড়, খাবার দাবারও মোটামুটি ভালই। দোতলা উপরে রিসেপশান কাম ডাইনিং রুম লাগোয়া এক মস্ত খোলা ছাদ। রাতের খাওয়া শেষ করে সেখানে জমল মস্ত আড্ডা।
সেখানেই লাইট নিভিয়ে অ্যাস্ট্রোফোটোগ্রাফির প্রাথমিক শিক্ষা নিলাম দুজন অভিজ্ঞ সহযাত্রীর থেকে। কিন্তু চন্দ্রতাল যাওয়া হবে না এ কিছুতেই মনকে মানাতে পারছি না। আমাদের অভি পুরো যাত্রাপথের ম্যাপটা ডাউনলোড করে এনেছিল। ওকে গিয়ে ধরি, আমাদের তো চন্দ্রতাল থেকে মানালি সোজা নেমে আসার কথা ছিল। তো, সেই রাস্তায়ই যদি উঠি আবার নেমে আসি তো ক্ষতি কি! ইতোমধ্যে জানা হয়ে গেছে তীর্থানে সিজন শেষ হয়ে যাওয়ায় হোটেলরা নাকি সব বন্ধ করে চলে যাচ্ছে, ফলে সেদিন কোথাও তিরিশজনের বুকিং পাওয়া যায় নি, পরেরদিন হয়ত যাবে। আমার মনে হয় ভালই, এই সুযোগে মানালি দিয়ে ওঠার প্রস্তাবটা করে দেখা যাক। অভি গিয়ে সংগঠকমশাইকে বলে, আমরা আরো দুইজন যোগ দিই সাথে।
সংগঠক মশাই কিন্তু পত্রপাঠ বাতিল করেন প্রস্তাব। সে নাকি একেবারে খাড়াই ওঠা,অ্যাক্লিমেটাইজেশানের সুযোগই নেই। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হলেও নেমে আসার সুযোগ সীমিত ইত্যাদি ইত্যাদি। অগত্যা বেজার মনে ঘুমোতে যাই। পরেরদিনের সকালটা হল একেবারে ঝলমলে, সবদিক থেকেই। ঝকঝকে রোদ্দুর আর নরম ঠান্ডা জড়ানো সকালে প্রাতরাশ করতে করতেই বাইরে ছাদে কিঞ্চিৎ উচ্চকন্ঠে কথাবার্তার আওয়াজ পাচ্ছিলাম। কালকে আমরা যখন মানালি দিয়ে ওঠার কথা বলছিলাম তখন আরো কয়েকজন শুনেছিলেন। রাতে তাঁরা নিজেরা আরো কয়েকজনের সাথে পর্যালোচনা করে দেখে আজ সংগঠক মশাইকে ধরেছেন। একজন তাঁর পুরানো চেনা হিমাচলের এক ড্রাইভারকে ফোনে ধরে স্পীকারে দিয়ে কথা বলিয়েছেন। অবশেষে সংগঠক রাজী হয়েছেন প্ল্যান-বি বাতিল করে মানালি দিয়ে কাজা চন্দ্রতাল যেতে।
তারপর আর কি হইহই করে ছাদে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন পোজে ছবিটবি তুলে আমরা বেরিয়ে পড়লাম মানালির উদ্দেশ্যে। আজ রাতে মানালি থেকে কাল কাজা যাওয়া হবে, তারপর বাকীটুকু। বাকী থেকে যাবে কিন্নর কৈলাশ। চন্দ্রতাল আর কী-গোম্পা হবে এতেই আমি খুশীতে ডগমগ, অভি বলে দেখেছ তো সবাই মিলে বলতেই রাজী হয়ে গেল। সত্যি আমরা দুই তিনজনে বলায় হুউশ যাহ করে উড়িয়ে দেওয়া প্রস্তাব এখন দশ বারোজনের চাপে গৃহীত। বেরোতে বেরোতে বাজল প্রায় এগারোটা, প্রথম গন্তব্য জালোরি পাস। কুলু আর শিমলা জেলার মাঝে সংযোগকারী জালোরি পাস সমুদ্রতল থেকে প্রায় ১০৮০০ ফিট উঁচু। পাস থেকে হাইক করে দুটো পয়েন্টে যাওয়া যায়, ৩ কিমি উঠে রঘুপুর ফোর্ট আর আরো দুই কিমি উঠলে সেরোলসর লেক।
জালোরি পাস থেকে সেইঞ্জের দিকে সবকটা পাসেই মোটামুটি সেই পাসের রক্ষাকর্ত্রী কোন দেবীর মন্দির থাকে। জালোরি পাসও ব্যতিক্রম নয়, হাইকরুট শুরু হওয়ার মুখেই জালোরিমাতার মন্দির, লেক পর্যন্ত উঠলে নাকি চমৎকার ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ পাওয়া যায় চারিদিকের। কিন্তু আমরা যখন পৌঁছালাম তখন চারপাশের পাহাড়ে হু হু করে নামছে পাতলা পেঁজা তুলোর মত, মোটা লেপের মত মেঘের স্তুপ। দ্রুত ঢেকে যাচ্ছে উপত্যকা। এদিকে লেক দেখে ফেরার জন্য সময় বরাদ্দ করা হয়েছে আধঘন্টা। আমার পক্ষে অত তাড়াতাড়ি উঠে নামা সম্ভব নয়, কাজেই গেলাম না। পরে জানলাম প্রথম পয়েন্ট অবধি দু তিনজন গেলেও লেক অবধি কেউই গিয়ে উঠতে পারেন নি। আধঘন্টায় পাঁচ কিমি উঠে আবার নেমে আসা প্রায় অসম্ভবই।
পুঞ্জ পুঞ্জ মেঘে ছেয়ে যায় চরাচর এরকম অবাস্তব সময় বেঁধে দেওয়া পরেও দেখেছি। এইসব জায়গায় এই ধরণের গ্রুপ ছাড়া যাওয়াই ভাল। এই সংগঠকরা নাম কে ওয়াস্তে এক একটা জায়গা যাত্রাপথে ঢুকিয়ে রাখেন তারপরে এমন অবাস্তব সময় দেন যে ও আপনিই বাদ চলে যায়। জালোরি পাসে ওঠানামার রাস্তা খুবই সরু খাড়াই এবং বেশ ভাঙাচোরা। বেশ খানিকটা অংশ নীরজ দেখলাম ফার্স্ট গিয়ারে তুলল। আমাদের নাকি জিভি ছুঁয়ে আসার কথা ছিল। সে অবশ্য দেখলাম না। এখানে বলে রাখি জালোরি পাস শীতে বরফপাতের জন্য ডিসেম্বর থেকে মার্চ অবধি বন্ধ থাকে। তবে এই পাস প্রত্যেক বছর হিমাচলের অন্যান্য পাসের তুলনায় অনেকটা আগে খোলে। জিভি থেকে বা একেবারে তীর্থান থেকে জালোরি ট্রেক করে আসারও একটা রুট আছে শুনলাম।
এক ফালি রোদ পথে এক ছোট্ট ধাবায় দুপুরের খাবার খেয়ে সোজা মানালি। গুগল ম্যাপ অনুযায়ী আমাদের ঘন্টা তিন চারের মধ্যেই পৌঁছানোর কথা। কিন্তু পৌঁছাতে রাত সাড়ে সাতটা বেজে গেল। মূলত আগস্টে অতিরিক্ত বৃষ্টি ও ধ্বসের ফলে কুলু মানালি অঞ্চলে যে নির্মম ধ্বংসলীলা চলেছে তাতে চারলেনের হাইওয়ে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। নতুন করে তৈরী হওয়া সরু একফালি রাস্তায় দুই লেনে আপ ও ডাউন গাড়ি যাওয়া আসা করছে, ফলে যানবাহনের গতি ধীর। ধ্বংসের চেহারা দেখে হাড়ের ভেতর পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। মানালির ভলভো বাসের স্ট্যান্ড, শহরের গাড়ি ট্যাক্সি পার্কিং এলাকা ভেঙেচুরে বিপাশা নদী খলখলিয়ে বয়ে যাচ্ছে। হাড় পাঁজরা বের করে কটা নিরূপায় গাড়ি, একটা ভলভোবাস বেঁকেচুরে উল্টেপাল্টে দাঁড়িয়ে আছে অজস্র বড় মাঝারি বোল্ডারের মধ্যে।
চারলেনের রাস্তা কার পার্কিং ভাসিয়ে নদী আপন বেগে পাগলপারা বিপাশা ফুলে উঠে এদের ভাসিয়ে এনেছিল নাকি উপর থেকে ধ্বস নেমেছে এদের নিয়ে তা এখন আর বোঝার কোন উপায় নেই। নীরজ বলছিল বেলা দশটা এগারোটার দিকে হঠাৎই নদী ফুলে উঠে ধেয়ে আসে আর একই সাথে পাহাড় নেমে আসে গুমগুমিয়ে। পাহাড়ের গায়ে এদিক সেদিক কিছু ছোট ছোট গ্রাম আছে, হয়ত আট কি দশটা পরিবার থাকে, তারা শহরে না এলে তাদের অস্তিত্বের কথা টেরও পাওয়া যায় না। এরকম কতজন মারা গেছে তার ঠিকঠাক কোন হিসেব পাওয়া মুশকিল। অদৃশ্য দেশবাসীরা আমার, ভোটের সময় ছাড়া তাদের খবর আর কেইবা রাখে!প্রথম তিনদিন নাকি মানালি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ছিল, কোনরকম যোগাযোগই করা যায় নি। চৌত্রিশ বছর আগে যে চপলা কলস্বনা বিপাশাকে কথা দিয়ে এসেছিলাম আবার আসবো বলে, এতদিনে তার সাথে আবার দেখা হয়।
নদী না পাহাড় কে এনেছে এদের?মানালিতে আমাদের হোটেল হিমাংশু। এমনিতে বেশ ভালই, খাবার দাবারও মন্দ নয়। তবে প্রাতরাশের ব্যবস্থা খুব একটা সুবিধের নয়। পাঁউরুটি এঁরা কোনোভাবেই টোস্ট করে দিতে পারেন না। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিল একটা টোস্টার কিনে উপহার দিই। ঘর লাগোয়া বারান্দাগুলো ভারী সুন্দর। দূরের বরফচুড়ার দিকে তাকিয়ে বসে থাকা যায় অনেকক্ষণ। চৌত্রিশ বছর আগের সেই শান্ত পাহাড়ি শহর মানালি এখন গায়ে গতরে বেড়ে প্রচন্ড ঘিঞ্জি জনপদে পরিণত হয়েছে। বিপাশার আর দোষ কি! হাত পা ছড়াবার জায়গা না পেলে ফুলেফেঁপে ভাসিয়ে দিয়ে জায়গা করে নেবে বৈকী। পরেরদিন সক্কাল সক্কাল বেরিয়ে সারাদিন ধরে রাস্তাবিহীন রাস্তায় চলে কাজা পৌঁছাবার কথা। বাতালের পরে আর কোন দোকান বা বসতি কিছুই নেই।
এইদিকে তাকিয়ে সারাদিন বসে থাকা যায় অথবা এইদিকে তাকিয়ে সংগঠক মশাই বলে দিয়েছিলেন মানালি থেকে মধ্যাহ্নভোজের জন্য শুকনো খাবার দাবার কিনে নিতে। জলের ব্যপারে ঠিক হয় পরেরদিন সকালে যাবার সময়ে পুরো গাড়ির ছয়জনের জন্য হিসেব করে জল তুলে নেওয়া হবে। সহযাত্রিণীরা মুড়ি, চানাচুর, শশা টমেটো ইত্যাদি কিনে নেন, মুড়ি মেখে খাবেন বলে। আমি মুড়ি খেতে তেমন ভালবাসি না বলে হোটেলে পৌঁছে একটু হাতমুখ ধুয়ে আবার বেরোই শুকনো বাদাম, চ্যুইং গাম, লজেন্স, বিস্কুট ইত্যাদি কিনতে। হোটেলের সামনেই অজস্র দোকান। আর খানিক এগোলেই মল রোড। দোকানপাট খোলা থাকে রাত দশটা অবধি, তবে সকালে খোলে বেশ দেরীতে। শুনলাম সাড়ে ন’টা নাগাদ। এদিকে আমাদের বেরোবার কথা সাড়ে আটটায়। কাল তাহলে সত্যিই স্পিতি যাচ্ছি!
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।