জেহাদি কিনা সেটা প্রমাণ সাপেক্ষ। তবে হিংস্র বটেক। কেরালায় যে এক প্রফেসরের হাতের তালু আধখানা কেটে নিয়েছিল এবং বেশ কিছু ঘটনায় সিপিএম এবং বিজেপি কর্মী খুনের কেস চলছে।
প্রশ্ন হল এর মধ্যে জেহাদি ঘটনা কোনটা?
এরা নিঃসন্দেহে গোঁড়া এবং উগ্র আন্দোলনে বিশ্বাসী।
কিন্তু সেখানে স্পেসিফিক কেসের বিচার হওয়া উচিত।
ভোপালের এম পি সাধ্বী প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে দুটো হিংসাত্মক ঘটনার ষড়যন্ত্রের অংশীদার হিসেবে কেস চলছে।
সেটা অভিযোগের স্টেজ পেরিয়ে চার্জশীটের স্টেজে রয়েছে। তদন্ত করেছে এন আই এ।
কিন্তু বছরে একটা শুনানির তারিখ পড়ে। উনি গিয়ে সোজা মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দিয়ে গটগটিয়ে চলে যান।
তারপর উনি নির্বাচনী প্রচার করেন, ভলিবল খেলেন, সাংস্কৃতিক কাজে সক্রিয় হন।
উনি নাথুরাম গোডসের প্রশংসা করেছেন।
কিন্তু তাতে তাঁর এম পি হয়ে সংসদে বসা আটকায়নি।
পিএফ আইকে ব্যান করার দাবি কংগ্রেসের, অনেক আগে থেকেই।
উমর খালিদ হাইকোর্টেও জামিন পান নি। অল্ট নিউজের সাংবাদিককেও সুপ্রীম কোর্ট অব্দি দৌড়ুতে হয়েছিল।
কেরলের সাংবাদিক কাপ্পন হাথরাসে দলিত মেয়ের ধর্ষণের এবং মারা গেলে চুপচাপ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার খবর করতে গেলে মথুরাতে গ্রেফতার করে দু'বছর বিনা বিচারে জেলে পুরে রাখা হয়।
উনি নাকি পিএফ আইয়ের পরামর্শদাতা এবং টাকা যোগানদার । ওদের নেতাদের সঙ্গে টাকা নিয়ে একই গাড়িতে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিল কিছু খতরনাক কাগজপত্র । তাতে নাকি কীভাবে বোমা বানাতে হবে, কোথায় কোথায় বোম রাখতে হবে--তার ব্লু প্রিন্ট ছিল।
কেউ জামিন দিল না।
কিন্তু সুপ্রীম কোর্ট দেখল সব অভিযোগ ভুয়ো, কিছু তথ্যকে আউট অফ কনটেস্ট চেরি পিকিং করে কেস সাজানো হয়েছে।
অবশেষে উনি জামিন পেলেন।
তবে যতি নরসিমহানন্দ এবং আরেকজন, যাঁরা খোলাখুলি একটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে , তাদের নারীদের বিরুদ্ধে, ক্রমাগত হিংস্র উস্কানি দিয়ে গেছেন তাঁরা গ্রেফতার হলে লোয়ার কোর্ট থেকেই জামিন পেয়ে ফের--।
ক্লান্ত লাগে।
চাইব, পিএফ আই যদি জঙ্গী জেহাদি এবং দেশবিরোধী দল হয়, তাহলে অনির্দিষ্ট কাল ইউএপিএ তে বিনাবিচারে আটকে না রেখে খোলাখুলি বিচার হোক। তথ্য প্রমাণ ইত্যাদি বিচারক এবং নাগরিকেরা জানুক, জেনে সাবধান হোক।
আর সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করলে আদৌ দেশবিরোধী হয়না।
তাহলে সমস্ত বিরোধী দলকে এবং বর্তমান শাসক দলকে , তারা যে রাজ্যে ক্ষমতায় নেই সেখানে আন্দোলনের ভাঙচুরের প্রেক্ষিতে দেশবিরোধী, জেহাদী ইত্যাদি বলতে হয়।