এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে

  • যারা নায়াগ্রা-য় ঝাঁপ মেরেছিল

    সুকান্ত ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে | ২৮ আগস্ট ২০২২ | ১৩৩৮ বার পঠিত | রেটিং ৪.৩ (৪ জন)

  •  
    ১৯০১ সালের ২৪ শে অক্টোবর – নায়াগ্রা জলপ্রপাতে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকেরা এক জিনিস অবাক হয়ে দেখতে লাগলেন যে আগে কোনদিন দেখেন নি! মানে কেউ ভাবেনও নি! এক ভদ্রমহিলা নৌকার একপাশে রাখা এক কাঠের ব্যারেলের ভিতর ঢুকছেন – সেই ব্যারেলটা নাকি নৌকা করে মাঝে নদীতে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে। স্রোতের টানে ব্যারেল জলে ভেসে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের পুরো উচ্চতা থেকে ধপাস করে পড়বে! কিন্তু যারা দেখছিলেন তাঁরা কেউই বুঝতে পারছিলেন না, আত্মহত্যার ইচ্ছে না থাকলে ঘটা করে এই ভাবে ব্যারেলের ভিতর ঢুকে নায়াগ্রায় ঝাঁপ মারার দরকারটা কি!

    তাঁরা দেখলেন এক ওক কাঠ এবং লোহার পাত দিয়ে তৈরী ব্যারেল, যার ভিতরে চটের মত কিছু দিয়ে গদি টাইপের করা আছে, সেখানে ভদ্রমহিলা গিয়ে ঢুকলেন।  হাতে তাঁর এক বালিশ যার আকৃতি ‘লভ’ চিহ্নের মত।  পাশের কেউ নাকি জানাল এটা অ্যানির ফেবারিট বালিশ! যাই হোক, বালিশ সমেত ভিতরে ঢোকার পর ঠিক মত যত্ন নিয়ে লাগানো হল ব্যারেলের ঢাকনা। তারপর ছোট ফুটো দিয়ে বাইসাইকেল-পাম্প ব্যবহার করে ব্যারেলের ভিতরটাকে হালকা চাপযুক্ত করে দেওয়া হল।  হাওয়া ভরার শেষে ছোট ফুটো গুলি কর্ক দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হল। ব্যাস, এবার কাঠের ব্যারেলের ভিতরে ঢুকে অ্যানি ঝাঁপ মারার জন্য প্রস্তুত। 

    এবার ঘটনা হল পাবলিক খামোকা ঝাঁপ মারতে যাবে কেন? আর ঝাঁপ মারলে কোথা থেকে মারবে? ইতিহাস তলিয়ে দেখলে টের পাবেন আজব পাবলিকের অভাব নেই যারা বিনা কারণেই নানা কাজ করে এসেছে। আজকের দিনে হলে তাঁদের স্যোসাল মিডিয়া ফলোয়ারের সংখ্যা উপচে পড়ত!
     
    এনাদের মাথার ভিতর ঢোকা খুব চাপ বা কি কি যুক্তিতে সেই কাজ করেছিলেন তা কাটা ছেঁড়া করতে চাওয়াও।  কি ভাবে ব্যখ্যা করবেন যে ৬৩ বছরের অ্যানি টেলার নাম এক ভদ্রমহিলা একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ঠিক করলেন যে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের উপর থেকে নীচে ঝাঁপ মারতে হবে! এর যুক্তি গ্রাহ্য ব্যাখ্যা একটাই – ক্ষণিকের জন্য হলেও খ্যাতি এবং লাইমলাইটে আসার উদগ্র বাসনা। 

    আমরা সবাই জানি যে আজকের দিনের আমেরিকার স্টেট অফ নিউ ইয়র্ক ও কানাডার ওন্টেরিও প্রদেশের বর্ডারে অবস্থিত নায়াগ্রা জলপ্রপাত সেই প্রাচীন কাল থেকে সপ্তম প্রাকৃতিক বিষ্ময় বলে বিবেচিত হয়ে এসেছে।  ভৌগলিক ভাবে দেখলে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের সৃষ্টি প্রায় ১০০০০ বছর আগে।  নায়াগ্রা নদীর একদম দক্ষিণ প্রান্তে – আর চুলচেরা বিচার করলে যাকে আমরা ‘নায়াগ্রা’ জলপ্রপাত বলি তা আসলে তিনটি পৃথক জলপ্রপাতের সম্মেলনে তৈরী।  তিন জলপ্রপাতের মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ হল ‘হর্স-সু’ প্রপাত যেটি কানাডার দিকে – আর আমেরিকার দিকে থাকা ‘আমেরিকান প্রপাত’ ও ‘ব্রাইডাল ভেল’ প্রপাত দুটি আকারে একটু ছোট।  নায়াগ্রার সর্বোচ্চ উচ্চতা ৫১ মিটার মত – মানে ধরুণ প্রায় ১৬ তলা বাড়ির উচ্চতার সমান।  ধারণা দেবার জন্য তুলনা করা যেতা পারে যে পিসার হেলানো মিনার আর নায়াগ্রা-র উচ্চতা প্রায় সমান।
     


    বলাই বাহুল্য যে দীর্ঘদিন ধরেই এই নায়াগ্রা প্রপাত দেখতে পর্যটকের আনাগোণা পর্যাপ্ত পরিমাণেই! এখনকার সময়ে বছরে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখতে বছরে প্রায় দুই থেকে তিন কোটি পর্যটক আসে! একশো বছর আগে কত পর্যটক যেত তার সঠিক হিসেব নেই – কিন্তু যেত যে প্রচুর তা অনুমান করে নিয়ে আসুবিধা হয় না! তাই যারা খ্যাতির লোভ বা দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে পাবলিককে কিছু স্টান্ট দেখিয়ে তাদের কাছে যে এ হেন জলপ্রপাত বেশ জনপ্রিয় হবে সেটাও বুঝতে কষ্ট হয় না!

    ১৯০১ সালে স্কুল শিক্ষিকা অ্যানি টেলার ঠিক সেটাই করলেন।  তিনি স্টান্ট দেখিয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণে এতই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন যে ঘোষণা করলেন তিনি কাঠের ব্যারেলের ভিতরে ঢুকে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের উপর থেকে নীচে ঝাঁপ মারবেন! সে হইচই পড়ে গেল চারিদিকে – কাঠের ব্যারেলের ভিতর ঢুকে নায়াগ্রার উপর থেকে নীচে ঝাঁপাই জোড়ার উৎসাহ আগে কেউ দেখে নি! অ্যানি দাবী করেছিলেন ঝাঁপ মারার সময় তাঁর বয়স ৪৩ বছর, কিন্তু পরে তলিয়ে যাচাই করে দেখা যায় ১৯০১ সালে ঝাঁপ মারার সময় তাঁর আসল বয়স ছিল ৬৩ বছর! কেন যে তিনি ভুল বয়স দিয়েছিলেন কে জানে! সাধারণ নিয়মে ৪৩ বছরের বয়সে ঝাঁপাবার থেকে ৬৩ বছর বয়েছে ঝাঁপানো তো বেশী ডেয়ারডেভিল ব্যাপার!
     
     

    কাঠের ব্যারেলের পাশে অ্যানি টেলর। ছবিঃ উইকি থেকে নেওয়া। 

    যাই হোক, কাঠের ব্যারেলের ভিতর ঢুকে যে ঝাঁপ মারবেন, তা সেই ব্যারেল দুম করে ৫১ মিটার উচ্চতা থেকে জলে পড়ে টিকবে কিনা সেটা কি করে বুঝবেন? আর টিকে গেলেও ব্যারেলের ভিতরে যে আছে তার শরীরের উপর কি প্রভাব আসবে সেটা কি করে জানা যাবে? অ্যানি করলেন কি ব্যারেলের শক্তি পরখের জন্য নিজে ঝাঁপাবার কিছুদিন আগে নিজের পোষা বেড়ালটিকে সেই কাঠের ব্যারেলের ভিতর ঢুকিয়ে দিলেন উপর থেকে নীচে ফেলে! সেই ব্যারেল টিকে গেল – বেড়ালেরও কিছু ক্ষতি দেখা গেল না! অ্যানি আত্মবিশ্বাসী হয়ে এবার নিজে দিলেন ঝাঁপ। 

    একটা স্পেশাল হারনেস টাইপের কিছু লাগিয়ে ব্যারেলের ভিতর ঢুকে বসলেন অ্যানি – এবার সেই ব্যারেলটিকে টেনে নিয়ে গিয়ে মাঝ নদীতে ছেড়ে দেওয়া হল – জলের স্রোতে এই ব্যারেল এবার ভেসে গিয়ে জলপ্রপাতে আছড়ে পড়ল!  সিনেমায় স্পেশাল এফেক্টে আজকাল যেটা আকছাড় দেখা যায় – অ্যানি সেটাই করলেন বাস্তবে।  ব্যারেল জলপ্রপাতে আছড়ে পড়ল – তারপর এই পাথর, সেই পাথরে ধাক্কা খেতে খেতে ১৭ মিনিট পর তাঁকে বের করা হল ব্যারেল থেকে! এবং আশ্চর্যের ব্যাপার হালকা রক্তপাত ছাড়া তেমন কোন শারীরিক ক্ষতি ছাড়াই তিনি বেরিয়ে এলেন ব্যারেল থেকে – যদিও প্রবল মাথা ঘুরছিল তেনার।  খানিক করে ব্যাপার একটু স্থিত হলে অ্যানি-র প্রথম মন্তব্য “আরো কারো কোনদিন এই কাজ করা উচিত নয়”! কিন্তু তখনও তিনি জানতেন না পৃথিবীতে ক্রেজী পাবলিক তিনি একা নয়!   
     

    ঝাঁপ মারার পর অ্যানিকে ধরে জল থেকে ডাঙায় তোলা হচ্ছে।  ছবিঃ উইকি থেকে নেওয়া। 
     
    এর পরে জানা মতে এক ডজনেরো বেশী লোক নায়াগ্রা-তে ঝাঁপ দিয়েছিল – কেউ কেউ খুব বেশী শারীরিক ক্ষতি ছাড়াই টিকে দিয়েছিলেন আবার কেউ কেউ মারাত্মক আহত হয়েছিলেন আবার কেউ কেউ মারাও গিয়েছিলেন।  এই ধরণের মারাত্মক স্টান্ট বন্ধ করার জন্য আমেরিকা এবং কানাডার সরকার দুই তরফের প্রচুর ফাইন এবং আইনী ব্যবস্থা চালু করল – কিন্তু সবাই কি আর আইনের কথা শোনে! ইংল্যান্ডের এক ব্যক্তি ৫৮ বছর বয়েসে কাঠের ব্যারেলে অ্যানির মতই ঝাঁপ মারলে মারা যান। এর পরে আবার এক ইংরাজ ববি লিচ ১৯১১ সালে নাগাগ্রায় ঝাঁপ দিলেন – তবে ইনি স্টিলের ব্যারেল ব্যবহার করলেন – কাঠের ব্যারেলে অনেকের তত বেশী শারীরিক ক্ষতি হয় নি স্টিলের ব্যারেলে ঢুকে ববি-র যা হল! হাড়গোড় ভেঙে ছয় মাসের জন্য হাসপাতালের বিছানায়! এর অনেক পরে ৬৭ বছর বয়েসে তিনি নিউজিল্যান্ড বেড়াতে গিয়ে রাস্তায় কমলালেবুর খোসায় পা দিয়ে হড়কে পড়ে যান – নানা ধরণের সমস্যা দেখা যায় এবং শেষ পর্যন্ত তাঁর ওই পা কেটে বাদ দিতে হয়! কিন্তু আরো দূর্ভাগ্য অপেক্ষা করছিল তাঁর জন্য – কেটে দেওয়া জায়গা গ্রাঙ্গগ্রিণ হয়ে পচন ধরে – এবং সবশেষে মৃত্যু।  পৃথিবী এক আজব জায়গা – নায়াগ্রা প্রপাতে ঝাঁপ দিয়ে যিনি বেঁচে গিয়েছিলেন, তাঁর মৃত্যু হল রাস্তায় কমলালেবুর খোসায় পিছলে গিয়ে!  

    অনেক দিন পাবলিক একা একা ঝাঁপ মারছিল – ফাইন এবং শাস্তি হবে জেনেও। শেষে ১৯৮৯ সালে ব্যারেলের মধ্যে একসাথে দুজন ঢুকে ঝাঁপ মারল – সেই প্রথমবার! আরো নানা সব গল্প আছে – এক পাগলা ১৯৯০ সালে মাথার হেলমেট না চড়িয়েই ঝাঁপ দিল – হেলমেট না পড়ার কারণ নাকি প্রেসের ফটোগ্রাফাররা ছবু তুলবে, আর হেল্মেট পড়া থাকলে মুখের ছবি ঠিকঠাক আসবে না! ইনি লাইফ ভেষ্টও গায়ে চড়ান নি, কারণ ওতে নাকি তাঁর অসুবিধা হয়।  যাই হোক ঠিক কি আসুবিধা হয়েছিল সেটা আর জানার উপায় নেই, কারণ তাঁর দেহ ঝাঁপ দেবার পর আর খুঁজে পাওয়া যায় নি!   

    অনেকদিন আগে, ২০০৬ সালে নায়াগ্রা বেড়াতে গিয়ে অবজার্ভেশন ডেস্ক-এ দাঁড়িয়ে এবং বোটে প্রপাতের নীচে দিয়ে ট্যুরে গিয়ে এই সব পুরানো কথাই মনে আসছিল।
     
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ভ্রমণ | ২৮ আগস্ট ২০২২ | ১৩৩৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 2401:4900:1cd1:a862:a07c:584:6b6:***:*** | ২৮ আগস্ট ২০২২ ০৯:১০511429
  • "ইতিহাস তলিয়ে দেখলে টের পাবেন আজব পাবলিকের অভাব নেই যারা বিনা কারণেই নানা কাজ করে এসেছে। আজকের দিনে হলে তাঁদের স্যোসাল মিডিয়া ফলোয়ারের সংখ্যা উপচে পড়ত!"
     
    এক্কেবারে খাঁটি কথা laugh
     
    ভেবে দেখুন, রাইট ভাইদের বা অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট এর ফলোয়ার সংখ্যা কি হতো! 
  • Ranjan Roy | ২৮ আগস্ট ২০২২ ১১:৩৭511432
  • "পাগল যে তুই, কন্ঠজুড়ে 
    জানিয়ে দে তাই, জানিয়ে দে"।
     
    জয় হোক এই পাগলদের, যারা অন্যরকম ভাবতে চায়। 
    ডঃ সুকিকে ধন্যবাদ! 
    এই অজানা গল্পগুলো শোনাবার জন্য, এবং ছবিগুলো।
  • একক | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২১:৪৮511763
  • উঁচু থেকে লাফ দেওয়ার কিন্তু একরকম মজা আছে। সে যদি কেও দেখার না থাকে,তাও। ভাল্লাগল পড়তে ঃ)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন