রবিবার রাত্রে ঋকের মৃতদেহ আবিষ্কারের পর আরও তিন দিন কেটে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার।
তদন্তের কাজ এর মধ্যে বিশেষ কিছু এগোয়নি। শুধুমাত্র ঋকের পোস্টমর্টেম থেকে জানা গেছে, যে ওর মৃত্যু হয়েছে তুহিনের মৃত্যুর প্রায় সাত-আট ঘণ্টা বাদে, অর্থাৎ যখন সৌম্যরা ওর বাড়ি পৌঁছয়, তার থেকে বারো-চোদ্দ ঘণ্টা আগে। মৃত্যুর কারণ গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন, তবে শরীরে ধস্তাধস্তির চিহ্ন পাওয়া গেছে। এছাড়া ঋকের ঘরের জিনিসপত্রে ঋক, তুহিন, বাড়ির কাজের লোক ইত্যাদিদের বাদ দিয়েও, আরও অন্তত দু’জন মানুষের হাতের ছাপ পাওয়া গেছে। পুলিসের অনুমান, এরাই ঋককে খুন করেছে।
ঋকের অন্ত্যেষ্টি করার জন্য গুজরাত থেকে ওর এক দাদা এসেছিল। কলকাতার গে কম্যুনিটির পরিচিতরা আর ওই দাদা মিলেই – মর্গ থেকে লাশ ছাড়ানো থেকে দাহ – সবই করেছে। ঋককে পরিবার থেকে আলাদা করে দেওয়ার পরপরই ওর বাবা, ছেলের শ্রাদ্ধশান্তি করে সম্পর্কের পাট চুকিয়ে দিয়েছিলেন। ফলে, “মৃত” ছেলের আবার মৃত্যুতে তিনি অন্তত দৃশ্যত বিশেষ বিচলিত হননি এবং কলকাতায় আসারও প্রয়োজন বোধ করেননি। এই সব খবর মানসের থেকেই পেয়েছে সৌম্য রজতরা।
সৌম্য ব্রেকফাস্ট শেষ করে রজতকে বলল, “চল হে সত্যবতী, একটু সত্যান্বেষণ করে আসি।”
রজত অবাক হল। বলল, “কোথায় যাবি এখন সকাল সকাল?
- চল, একবার তুহিনের বাড়ি থেকে ঘুরে আসি। দেখি, একটু পৃথার সাথে কথা বলা যায় কি না।
- আমাদের ঢুকতে দেবে?
- আমি তুষারবাবুকে বলেছি যে আমরা আসব। তবে তদন্তের কথা কিছু বলিনি। বলেছি যে, আজকে তো ওর কাজ, তাই একটু শ্রদ্ধা জানাতে আসব।
“কাজ তেরো দিনে হওয়ার কথা না?” রজত অবাক হল।
- নাহ্। অপঘাতে মৃত্যু, তাই চারদিনেই কাজ হবে।
তুহিনের বাড়িতে যখন ওরা পৌঁছল, তখন শ্রাদ্ধশান্তি প্রায় শেষের মুখে। আজকে সারা বাড়ি সাদা ফুল দিয়ে সাজানো। তুষারবাবু ছেলের কাজ করছেন। পাশে একটা ছোট, নীচু টুলে মুখ নামিয়ে বসে আছে পৃথা। সাদা শাড়িতে যেন বিষণ্ণতার প্রতিমূর্তি। মাঝে মাঝে রুমাল দিয়ে চোখ মুছছে। শুধু একা পৃথা নয়, পরিবারের সবাই যেন বিধ্বস্ত। এই তিনদিনে সবার ওপর দিয়ে একটা ঝড় বয়ে গেছে। শুধু তুহিনের আকস্মিক চলে যাওয়াই নয়, মন্ত্রীপুত্রের সমকামিতার স্ক্যন্ডাল মিডিয়ার কাছে একটা মুচমুচে খবর। চ্যানেলে চ্যানেলে চলছে বিশ্লেষণ, প্যানেল ডিসকাশসন। কেউ কেউ তুহিনের মৃত্যুর জন্য দায়ী করছে তার সেক্সুয়ালিটিকেই। যারা হোমোফোবিক, এই মৃত্যুটা তাদের হাতে যেন হঠাৎ করে একটা অস্ত্র তুলে দিয়েছে।
সৌম্যদের দেখতে পেয়ে শৌভিক এগিয়ে এল। দেখা গেল সৌম্যর সঙ্গে আগের দিনের বাক্যালাপ ও ভোলেনি। আসলে সৌম্যর ব্যক্তিত্বের মধ্যেই এমন একটা ব্যাপার আছে, যে ওর সাথে একবার কথা বললে কেউ ওকে চট করে ভোলে না। শৌভিকের মুখেই জানা গেল, যে তুষারবাবু নিজেও খুব মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তুহিনের মৃত্যু না ওর যৌনতা – কোনটা যে ওঁকে বেশি ধাক্কা দিয়েছে বলা শক্ত। বারেবারেই নাকি বলছেন, যে এটা তদন্তের ভুল, এর পেছনে অন্য কারও হাত আছে। এমনকি বিরোধীদলের যোগসাজসের সম্ভাবনাও পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
আনুষ্ঠানিক কাজ শেষ হওয়ার পর সৌম্য আর রজত পৃথার দিকে এগিয়ে গেল। হাতজোড় করে সৌম্য বলল, “পৃথা, আপনি হয়তো আমাকে সেভাবে চিনবেন না। আমি সৌম্য, তুহিনের কলেজ ফ্রেন্ড। সেই সময় আমরা খুবই ক্লোজ ছিলাম। পরে অবশ্য আর তেমন যোগাযোগ ছিল না। ওর এই চলে যাওয়ার পুরো ব্যাপারটা এতটাই শকিং, যে আপনাকে কী বলব জানি না।”
সৌম্যর নাম শুনে পৃথা একটু গলা নামিয়ে বলল, “প্রেসি? আমি আপনার কথা তুহিনের মুখে অনেক শুনেছি।”
সৌম্য বেশ অবাকই হল। তুহিন ওকে নিয়ে পৃথার সাথে আলোচনা করবে, এটা ও ভাবতে পারেনি। অন্য সময় হলে হয়তো মজা করে জানতে চাইত – ভাল কথা না খারাপ কথা, কিন্তু এখন সেই পরিস্থিতি নয়।
পৃথা তেমনই গলা নামিয়ে বলল, “আপনার নাম্বারটা একটু আমাকে দেবেন? আমার দরকার আছে।”
সৌম্য বিনা বাক্যব্যয়ে নিজের একটা কার্ড পৃথাকে এগিয়ে দিল। ওর পকেটে দু’রকমের কার্ড থাকে। একটাতে পেশার কথা লেখা আছে, অন্যটা সেই পরিচয় ছাড়া। এক্ষেত্রে ও পেশাপরিচয় সমেত কার্ডটাই এগিয়ে দিল।
তুষারবাবু এবং ওঁর স্ত্রীর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সৌম্যরা এগোনোর উপক্রম করল। ওরা চলে যাচ্ছে দেখতে পেয়ে সদর দরজার দিকে এগিয়ে এল শৌভিক। দু’জনকে নমস্কার করে বলল, “আপনারা যে দু’জনে ডিটেকটিভ, সেটা কিন্তু আগের দিন বলেননি।”
সৌম্য একটু হেসে বলল, “আসলে আমরা ঠিক এখানে সেই কাজে আসিনি তো, তাই আর বলার প্রয়োজন বোধ করিনি।”
শৌভিক তাই শুনে বলল, “ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে।” তারপর একটু থেমে যোগ করল, “আর এ তো বড়বাড়ির নরক। সাদা আঁচলের তলায় যত কালি লুকোনো, তা সে উদ্ধার করতে ফেলুদা, ব্যোমকেশ, শার্লক হোমস সব একসাথে লাগবে। যাই হোক, যদি কেঁচো খুঁড়বেন বলে ঠিক করেই থাকেন, তবে কেউটে থেকে সাবধানে থাকবেন।”
সৌম্য জিজ্ঞেস করলো, “কেন একথা বলছেন বলুন তো?”
- কারণ খুঁজে বের করা তো আপনার কাজ। তবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক যে কতটা ‘মধুর’ ছিল, সেটা আপনি বাড়ির কাজের লোকদের জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন।
- তাই বুঝি? দু’জনের মধ্যে এই তিক্ততার কোনো বিশেষ কারণ ছিল কি?
- বিশেষ আর কী? নিজের ওরিয়েন্টেশন লুকিয়ে বিয়ে করা, এটাই কি যথেষ্ট কারণ নয়? আপনার বন্ধু ছিলেন, এখন আর পৃথিবীতে নেই, তবুও বলছি, কাজটা কিন্তু তুহিনবাবু ঠিক করেননি। আর এই সবের পর যদি স্ত্রী অন্য কাউকে ভালোবেসে ফেলেন, তাকে কি দোষ দেওয়া যায়? আরে বাবা, বাড়িতে হাঁড়ি না চড়লে মানুষ তো খাবার বাইরে থেকে অর্ডার করবেই, তাই না? যাই হোক, আপনাকে যে কথাগুলো আমি বলেছি – সেকথা কাউকে বলবেন না যেন। তবে কথাগুলো যে মিথ্যে নয়, সেটা একটু খোঁজখবর করলেই জানতে পারবেন।
শৌভিক এই বলে ভেতরে চলে গেল। সৌম্য আর রজত আর কিছু না বলে বেরিয়ে এল।
যখন ওরা ট্যাক্সিতে উঠছে, তখন সৌম্যর ফোনে পরপর দুটো মেসেজ ঢুকল। প্রথমটা ফরোয়ার্ডেড। তাতে লেখা, “চাঁদের আলোর পান্থ শালায়, রামধনুর রং কালো। জীবনে যদি কিছু খুঁজতেই হয়, তবে শান্তির সন্ধান কোরো, অন্য কিছুর নয়।”
তারপরের মেসেজে লেখা, “যেদিন তুহিন খুন হয়, সেদিন বিকেলে এটা ও আমাকে পাঠিয়েছিল। বলেছিল যদি আমার ফিরতে দেরি হয়, তাহলে এই মেসেজটা আমার বন্ধু সৌম্যকে পাঠিয়ে দিও। ওর নাম্বার “সৌরালোক এজেন্সি” দিয়ে গুগুল করলেই পাবে। আর তার সাথে এটাও বোলো যে পরের বার আর লেট করব না।”
সৌম্য ফোনটা রজতের দিকে এগিয়ে দিল। রজত মেসেজটা পড়ে বলল, “কালো রামধনু? সেটা কী?”
সৌম্য সে কথার উত্তর না দিয়ে ট্যাক্সি ড্রাইভারকে বলল, “একটু ল্যান্সডাউনের দিকে যেতে পারবেন?”
রজত জিজ্ঞেস করল, “ল্যান্সডাউনে আবার কী আছে?”
সৌম্য বলল, “কী নয়, কে। মহেশকুমার। তুহিনের বিজনেস পার্টনার।”
ল্যান্সডাউনে মহেশকুমারের অফিসের সামনে ট্যাক্সি থেকে নেমে সৌম্য রজতকে বলল, “তুই একটা কাজ কর। এই ট্যাক্সিটা নিয়ে সোজা লালবাজারে চলে যা। কাকুকে বল, যত তাড়াতাড়ি পারে এই ইনফোগুলো যোগাড় করতে।” এই বলে কী কী করতে হবে সেই সব বিস্তারিতভাবে রজতকে বুঝিয়ে দিয়ে সৌম্য মহেশকুমারের অফিসে ঢুকল।
তুহিন-মহেশের যৌথ ব্যবসা বিশাল বড়সড় কিছু ব্যাপার নয়। একটা ছোটখাটো ফার্মা কোম্পানি। দশ থেকে কুড়ি কোটি টাকার বার্ষিক টার্নওভার। একটা ছোট রিসার্চ উইং-ও আছে। মূলত কোয়ালিটি টেস্টিং-এর কাজ হয়।
মহেশকুমার প্রথমে দেখা করতে না চাইলেও পরে সৌম্যর পরিচয় পেয়ে রাজি হয়ে গেলেন। সৌম্যকে বসতে বলে জানতে চাইলেন, যে কে ওকে রিক্রুট করেছে। সৌম্য জানাল, যে তুহিনের সাথে পুরোনো বন্ধুত্বের সুবাদে ও নিজেই এই কেসটায় জড়িয়ে পড়েছে।
মহেশকুমার একটু ব্যঙ্গের হাসি হেসে বললেন, “বিনা পারিশ্রমিকেই কাজ করছেন। বেশ গহেরা দোস্তি বলতে হবে।”
সৌম্য শ্লেষটা গায়ে মাখল না। ও জানে যে মহেশকুমার ওকে কোনও সহযোগিতা করতে বাধ্য নন। অতএব একে চটিয়ে কোনও লাভ হবে না।
বদলে ওর সেই ভুবনভোলানো হাসি হেসে বলল, “না, অতটাও গভীর বন্ধুত্ব ছিল না। আসলে আমরা একসাথে কলেজে পড়তাম।”
ব্যঙ্গের কোনও প্রভাব হল না দেখে মহেশকুমার একটু সিরিয়াস হলেন। বললেন, “দেখিয়ে, ও প্রাইভেট লাইফে কী করে সেটা আমার মাথাব্যথা নয়। কিন্তু যদি খারাপ কিছুতে জড়িয়ে পড়ে আমার কোম্পানির রেপুটেশন খারাপ হওয়ার চান্স থাকে, তবে আমাকে ইন্টারফেয়ার করতেই হয়।”
“খারাপ বলতে?” সৌম্য কৌতূহলী হল।
- কী খারাপ সেটা জানি না। কিন্তু ও গত কয়েক মাস ধরে রেগুলারলি কোম্পানি থেকে ক্যাশে বড় বড় অ্যামাউন্ট তুলছিল।
- বড় বলতে?
- আমাদের কোম্পানির হিসেবে খুব বড় কিছু নয়, প্রতিবার ফাইভ টু টেন লাখস। তবে সব মিলিয়ে খুব একটা কম টাকাও নয়। টাকা তোলাটা বড় কথা নয়, প্রয়োজনে ওই রকম কখনো কখনো আমিও নেই, পরে মিটিয়ে দিই। কিন্তু কেউ সেই টাকাটা ও ক্যাশে নেবে কেন যদি না কিছু গোলমাল থাকে?
- কতবার এই ভাবে টাকা তুলেছে?
- প্রথমবার ফাইভ লাখস আর তার পরের দু’বার সাড়ে সাত, সাড়ে সাত। অ্যান্ড এই মান্থে পুরো দশ।
- তারপরেই কি আপনার সঙ্গে ওর ঝামেলাটা হয়?
- ইয়েস। এটা গত সপ্তাহের কথা। আমরা একটা ইম্পর্ট্যান্ট ইস্যু নিয়ে কথা বলছিলাম। এমন সময় একটা কল এল। ও উঠে গিয়ে কথা বলে ফিরে এল। আই কুড সেন্স, যে ও একটু টেন্সড ছিল। তারপর খানিকবাদে উঠে গেল। আমি এর আগে থেকেই অ্যাকাউন্টকে বলে রেখেছিলাম, যে ও যদি টাকা তোলে, তাহলে আমাকে জানাতে। অ্যাজ আই অ্যান্টিসিপেটেড, ও ওই ফোন আসার আধঘণ্টার মধ্যে আবার ক্যাশ তুলল। এবার দশ লাখ। আমি ওর কেবিনে গিয়ে এই বারবার ক্যাশ তোলার কারণ জানতে চাই। তার থেকেই একথা-ওকথা থেকে ব্যাপারটা বচসার দিকে গড়ায়। এই পর্যন্তই ঘটনা। এক বাইরের বাকিটা মিডিয়ার বানানো।
- তার মানে আপনাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়নি, তাই তো?
- না। তবে আমি ওর ফোনটা দেখতে চাইছিলাম। সেই নিয়ে একটু ধাক্কাধাক্কি হয়। সেটা হাতাহাতি বলা যায় না।
- হুঁ। তা এই টাকাগুলো নিয়ে ও কী করে, সেই ব্যপারে তুহিন কিছু বলেছিল?
- না। অ্যাবসল্যুটলি নাথিং। শুধু এটুকু বলেছিল, যে এটা ওর ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমার মাথা ঘামানোর কিছু নেই।
- অনেক ধন্যবাদ মিঃ কুমার। লাস্ট দুটো ইনফর্মেশন চাই। তুহিন কবে কবে টাকা তুলেছিল আর কবে কবে অফিস থেকে ছুটি নিয়েছিল – এই দুটো খবর যদি দিতে পারেন, তো খুব উপকার হয়।
মহেশকুমার অ্যাকাউন্টেন্ট আর তুহিনের ব্যক্তিগত সচিবকে ডেকে পাঠালেন। সৌম্য আইপ্যাডে ডেটগুলো লিখে নিল। তারপর তুহিনের ব্যক্তিগত সচিবকে জিজ্ঞাসা করল তুহিনের প্লেনের টিকেট সে-ই কেটে দেয় কিনা। তাতে মীনাক্ষি জানাল যে সাধারণত স্যারের টিকেট সে বুক করলেও, গত কয়েকমাস ধরে নিজের টিকেট নিজেই বুক করছিল তুহিন। সৌম্য আর কিছু জিজ্ঞাসা না করে মহেশকুমারের কাছ থেকে বিদায় নিল।
তুহিন-মহেশের অফিস থেকে বার হয়ে সৌম্য একটা ওলা বুক করল। ফোনে তাকিয়ে দেখল যে গাড়িটা দুটো সিগন্যাল আগের বাঁকে জ্যামে দাঁড়িয়ে আছে। আসতে সময় দেখাচ্ছে দশ মিনিট। সৌম্য একটা সিগারেট ধরাল। তখনই ওর নজরে পড়ল রাস্তার উল্টোদিকে একটা সাদা ইনোভা দাঁড়িয়ে আছে। অনেকটা ভাড়ার গাড়ির মত। এই গাড়িটাই তুহিনদের বাড়ির সামনে আজ সকালে দাঁড়িয়ে ছিল না? সকালের গাড়িটার পাশে একটা হাল্কা স্ক্র্যাচের দাগ ছিল। এত দূর থেকে সেটা আছে কি নেই সেটা বোঝা যাচ্ছে না। সৌম্য ব্যাগ থেকে দূরবীন বার করে চোখে লাগাতেই গাড়িটা স্টার্ট নিয়ে হুশ করে চলে গেল। তবে ওইটুকু সময়ের মধ্যেও ওই আঁচড়ের দাগটা সৌম্যর নজর এড়াল না।
তার মানে কেউ একজন ওর গতিবিধির ওপর নজর রাখছে। কিন্তু কে?