বনশ্রী ইকো ক্যাম্পের একটা ঘরে বেতের তৈরী নানারকম ব্যাগ, টুপি, ওয়াল হ্যাঙ্গিং ইত্যাদি আছে শুনে আমরা জিনিষগুলো একটু দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করি। ইজাজুল সানন্দে ঘরের তালা খুলে সেসব দেখান। কোনও জিনিষের দাম জিগ্যেস করলে হোয়াটস্যাপে ছবি পাঠিয়ে রিঙ্কুর থেকে দাম জেনে জানান। কুচবিহার জলপাইগুড়ি অঞ্চলে যে সব চামড়ার পট্টি দেওয়া বেতের ব্যাগ মোটামুটি ৩০০টাকা থেকে ১১০০টাকার মধ্যে পাওয়া যায় সেগুলোর দাম শুনি ১৮০০ টাকা থেকে ৩৫০০ টাকা পর্যন্ত। ব্রড রিমড বেতের হ্যাট ১৫০০টাকা থেকে ২৫০০ টাকা। আমরা বুঝি বিদেশী পর্যটকরাই মূলত খদ্দের এইসবের। লোকাল ট্রেনের বিক্রেতারা যেমন বলেন, কেনাকাটা ব্যক্তিগত ব্যপার দেখাশোনা ফ্রি, সেই নীতিতে দেখে টেখে ধন্যবাদ জানিয়ে বেরিয়ে আসি। আজকের সান্ধ্য আড্ডা তেমন জমে না, সকলের মনই এখন ঘরমুখো। কাল সক্কাল সক্কাল বেরিয়ে আমি বাদে বাকী সকলের ডিব্রুগড় থেকে দুপুরে ফ্লাইট। আমার ট্রেন রাত আটটায়। দেবাশীসও এই ট্রেনেই কেটেছিল, কিন্তু সারাদিন বসে থাকতে হবে, ক্যানসেল করে অন্য কি একটা ট্রেনে সকাল এগারোটায় আরএসিতে কেটে নিয়েছে।
বনশ্রী কটেজ দেবাশীস আমাকে ডেকে নিয়ে গ্রেট হিমালয়ান ন্যাশনাল পার্কের প্ল্যান শোনায়। আমরা নানারকম প্ল্যান করতে থাকি আর রুম্মি বারে বারে জিগ্যেস করতে থাকেন আমি কাল সারাদিন কী করব? বলি স্টেশানে বসে থাকব, ডিব্রুগড়ের দর্শনীয় জায়গাগুলো দেখব, উনি খালি বলেন টিকিট ক্যানসেল করে দেবাশীসের সাথে চলে যেতে। শেষে খানিকটা অতিষ্ঠ হয়েই বলে ফেলি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে মানুষ দেখে বেড়াব। তা খানিকটা দূরত্ব থেকে মানুষ দেখতে আমার ভালই লাগে কাজেই আমার জন্য এটা বেশ ভাল অপশান। রাতে খাবার দাবারের আয়োজন যাথারীতি অতি চমৎকার। আজ তো আর মালিক মালকিন নেই, ইজাজুলই যত্ন করে তদারক করে খাওয়ান। এখানেই খেলাম মোচাবাটা বা মোচার ভর্তা। মোচা ছাড়িয়ে নেবার পরে ভেতরে যে ঘটটা থেকে যায় সেটা ভাপিয়ে নিয়ে চালের গুঁড়ো ময়দা দিয়ে বানানো ব্যাটারে ডুবিয়ে আমাদের বাড়িতে মুচমুচে ঘটভাজা করা হয়। এখানে ভেতরের ওই ঘটটাকে বেগুনপোড়ার মত করে পুড়িয়ে বেটে পেঁয়াজকুচি, লঙ্কাকুচি নুন দিয়ে গরম সর্ষের তেলে নাড়াচাড়া করে জলটুকু শুকিয়ে ভর্তা বানিয়ে নিয়েছে। অপরিচিত খাবার বলে অনেকেই সাহস করে খেতে চাইলেন না। আমি এমনিই নানারকম ভর্তা খুব ভালবাসি অতএব চেটেপুটেই খেলাম।
বনশ্রীর উঠোন থেকে ব্রহ্মপুত্র - ওপারে মাজুলি
পরেরদিনের সকাল ঝকঝকে পরিস্কার ময়লাটে মেঘলা নয়। ঘুম থেকে উঠেই ব্রহ্মপুত্রের ধারে যাই। এযাত্রা ব্রহ্মপুত্রের সাথে আলাপ পরিচয় তেমন হল না আবার আসতে হবে ব্রহ্মপুত্রের ধারে ধারে ঘুরে ঘুরে যুক্তবেণী দেখতে। বনশ্রীর পিছনেই মস্ত চা বাগান। আমাদের ঘরের পিছনের দরজা খুললেই সোজা চা বাগানের ভিতরে ঢুকে যাওয়া যায়, একটা ছোট লোহার সিঁড়ি লাগানো আছে। গতকাল রুম্মি আমাদের সাথে যান নি, দুপুরে এই চা বাগানে ঘুরে বেরিয়ে চমৎকার সব চিত্রবিচিত্র প্রজাপতির ছবি তুলেছেন। একবার ভাবি পায়ে পায়ে এগোব নাকি। সেইসময়ই দেবাশীস বেরিয়ে এসে তাগাদা দেয়, ওকে দশটার মধ্যে স্টেশানে পৌঁছাতে হবে। অগত্যা ঘরে ফিরে তৈরী হয়ে বারান্দায় বসে মোবাইল ঘাঁটি। দেবাশীসকে বলে রেখেছি করিমভাইয়ের সাথে কথা বলে আমাকে মোটামুটি ৩-৪ ঘন্টায় ডিব্রুগড় ঘোরাতে কত নেবেন জেনে নিতে। উঠোনের গোল চালাঘরে বসে কয়েকজন চা খাচ্ছেন। করিমভাই সেখানে গিয়ে কখন বেরোন হবে কোথায় কাকে ড্রপ করা হবে জিগ্যেস করেন। আমার কথাও হয়ত জিগ্যেস করে থাকবেন কারণ আমার ট্রেন রাত আটটায় এইটা আমি কালকেও বলেছি।
বনশ্রীর উঠোনের চালা - আমাদের আড্ডাখানা হঠাৎই কানে আসে রুম্মি বলছেন ‘আরে ওই ম্যাডামের কথা ভাবতে হবে না। ও রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে লোক দেখবে। তুমি স্টেশানে নামিয়ে দিয়ে বেরিয়ে যেও।‘ করিমভাইয়ের অবাক কন্ঠও কানে আসে ‘নামিয়ে দিয়ে বেরিয়ে যাব?’ দপ করে অ্যায়সান রাগ হয়ে যায় কি বলব! মনে মনে ঠিক করে ফেলি ওই তিন চারঘন্টা ঘোরাঘুরি সম্পর্কিত কথাবার্তা এঁদের আড়ালে সারব। ব্রহ্মপুত্রের উপরে বগিবিল ব্রীজ আর ডিব্রুগড় বোটানিকাল গার্ডেন এই দুটোই মূলত দেখার ইচ্ছা। সেইমতই কথা হয় দেবাশীস আর রূপমের সাথে। রূপম চেষ্টা করেন করিমভাই যাঁর কর্মচারী তাঁর সাথেও কথা বলার, কিন্তু তাঁকে ফোনে পাওয়া যায় না। অগত্যা বলেন মাঝে কোনও অসুবিধে হলে যেন রূপমকে ফোন করি। অতঃপর প্রাতরাশ সেরে রওনা, আমাদের গাড়িটা আগে বেরোবে, দেবাশীসকে তিনসুকিয়া স্টেশানে ছেড়ে ডিব্রুগড় এয়ারপোর্টে যাবে। ইজাজুল আসে ভিজিটরস বুক নিয়ে, আমরা দুই চার কথা লিখে দিই। স্টেশানের কাছাকাছি এসে করিমভাই কথায় কথায় বলে দেন আমার বগিবিল ব্রীজ যাবার পরিকল্পনা, আহাহা রুম্মির আকাশ থেকে ধপাস করে পড়াটা দেখার মত দৃশ্য হল। ‘ডিব্রুগড় সাইট সিয়িং করবে তুমি?’ এমনভাবে বলনে যেন মঙ্গলগ্রহে ঘুরে বেড়াতে যাচ্ছি আর কি।
আমাদের গাড়ি এয়ারপোর্টে পৌঁছাতে পৌঁছাতে রূপমদের গাড়িটাও এসে গেল। সবাইকে নামিয়ে টামিয়ে করিমভাই বললেন উনি রমিজের গাড়িটাতে আমাকে ডিব্রুগড় ঘোরাবেন। ওটা অপেক্ষাকৃত নতুন গাড়ি, চালিয়ে আরাম বসতেও আরাম বেশী। রমিজ এই গাড়িটা নিয়ে গ্যারাজে তুলে দেবে। সেই কথামত এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়েই রাস্তার ধারঘেঁষে দাঁড়ায় দুটো গাড়ি। আমার স্যুটকেস বের করে অন্য গাড়িতে তুলতে গিয়েই আবিষ্কার হয় এক টুকরি কমলালেবু। সেই যে মিস্টার পার্ফেক্ট মেয়েদের হাট থেকে বসটেঙ্গা আর টুকরিভরে লেবু কিনে যত্ন করে বেঁধে নিয়েছিলেন সেই টুকরিটাই নামার সময় নামাতে ভুলে গেছেন ওঁরা। সদ্য পাঁচ মিনিট আগে নেওয়া রুম্মির নাম্বারে আমি ফোন করি, করিমভাই বারবার করেন মিস্টার পার্ফেক্টকে। দুজনের কেউই ফোন ধরেন না, অগত্যা আমি রূপমকে ধরি ফোনে। উনি জানান প্রায় সকলেই এখন সুরক্ষাগন্ডির ওইপারে কাজেই জানলেও ফেরত এসে নেওয়া আর সম্ভব নয়। করিমভাই আমাকেই বলেন নিয়ে যেতে, আমি তৎক্ষণাৎ ওঁকে আর রমিজভাইকে ভাগ করে নিতে বলি। তা না না না করে রাজী হন দুজনেই।
এবার চলো বোটানিকাল গার্ডেনের সন্ধানে। মাঝপথে অবশ্য মিস্টার পার্ফেক্টের ফোন এসেছিল করিমভাইয়ের কাছে, কী কথা হয় জানি না শুধু করিমভাই বারেবারে বলেন আমি বলসিলাম উনি রাজী হইতেসেন না। ফোন আসে আমার হাতে, পার্ফেক্টবাবু প্রচুর ঘটা করে বলেন ওই কমলালেবুগুলো আমাকে উনি উপহার দিচ্ছেন। উপহার! পাগল নাকি! আমি বলি আমি ওটা সারথী দুজনকে ভাগ করে নিয়ে নিতে বলেছি। গুগল দেখে যে বোটানিকাল গার্ডেনে গিয়ে পৌঁছাই তার বিশাল গেটে তিনখানা নানা সাইজের তালা লাগান। কী ব্যপার? না বোটানিকাল গার্ডেন একটু দূরে কোথায় যেন সরে গেছে, সেখানে গেলেই দেখা যাবে। ভেতরে ছায়া দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ঘন সবুজ গাছগুলোর দিকে তাকিয়ে ভাবি এদের কেমন করে নেবে নতুন জায়গায়? নাকি এদের কেটে ফেলে এখানে ‘উন্নয়ন’ হবে? খুঁজে খুঁজে নতুন বাগানে গিয়ে দেখি সে নিতান্তই অর্বাচীন এক বাগান। একজন সুরক্ষাকর্মী যত্ন করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখান নানা ওষধি গাছ লাগানো হয়েছে, চারা তৈরী হচ্ছে আর কিছু ক্যাকটাস। শুনি গ্রামীন মহিলা বিকাশ মন্ডলের মহিলারাই এই বাগান দেখাশোনা, ওষধি গাছের বিভিন্ন অংশ তোলা ও প্রক্রিয়াকরণ এবং বিপণনের পুরো ব্যপারটা দেখাশোনা করেন।
বগিবিল সেতু থেকে ব্রহ্মপুত্র সেখান থেকে বগিবিল সেতু, ব্রহ্মপুত্রের উপরে ৪.৯৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেল কাম রাস্তা সেতু ভারতের মধ্যে দীর্ঘতম, এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় দীর্ঘতম। এই সেতু তৈরী হতে সময় লেগেছে ২০০ মাস, কোনও টোল নেই সেতুতে। এই এলাকা ভূমিকম্পপ্রবণ হওয়ায় এই সেতুটি এমনভাবে তৈরী করা হয়েছে যাতে ৭ রিখটার স্কেল অবধি ভূমিকম্প এ সয়ে নিতে পারবে। উত্তরপূর্ব ভারতে ৭+ মাত্রার ভূমিকম্পের সম্ভাবনার কথা বিজ্ঞানীরা অনেকদিন ধরেই বলে আসছেন। সেতু হয়ে এ অঞ্চলে যাতায়াতের সুবিধে অবশ্যই হয়েছে, কিন্তু ব্রহ্মপুত্রের বুকে মস্ত মস্ত চড়া, উন্নয়নের দাম। সেতুতে বিশেষ গাড়ি দেখলাম না প্রায় ফাঁকাই রাস্তা। নীচে ধু ধু বালিয়াড়ি মাঝে মাঝে ফিরোজা নীল জল দুপুরের রোদ্দুরে ঝিকমিক চিকমিক। আজ করিমভাই খাওয়াতে নিয়ে গেলেন ‘বাইদেউ হোটেল’এ, বাইদেউ মানে বড়বোন। সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত এই হোটেলেটা যেমন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, তেমনি সুস্বাদু খাবার, দামও বেশ কম। করিমভাই জানালেন আশেপাশের বিভিন্ন দোকান ও ছোটখাট অফিস বা কারখানার স্বল্প আয়ের লোকজন যেমন এখানে নিয়মিত খেতে আসেন, তেমনি আসেন পথ চলতি বা আশেপাশের অফিসে মধ্য আয়ের লোকজনও।
প্রতি টেবলে প্ল্যাস্টিকের ঝুড়িতে কাঁচালঙ্কা আর লেবুর টুকরো
খেয়েদেয়ে বেরোলাম বেলা দুটো, স্টেশান পৌঁছাতে আরো মিনিট চল্লিশেক। এরপরে ওয়েটিংরুমে বসে দীর্ঘ অপেক্ষা। তা ট্রেন অবশ্য ঠিক সময়েই ছাড়ল। খাবার দাবার বুক করা নেই, কাজেই পেতে দেরী হবে। দেখা গেল আইয়ারসিটিসির সার্ভিস সদ্য চালু হয়েছে ফলে আমার মত যারা মাস তিনেক আগে টিকিট কেটেছে তাদের ওই খাবার বুকিঙের অপশানটাই দেখায় নি। আর যারা ২রা ডিসেম্বরের পরে টিকিট কেটেছেন তারা অপশান পেয়ে খাবার বুক করলেও সেটা ট্রেনে যাঁরা খাবার দিচ্ছেন তাঁদের কাছে পৌঁছায় নি। ফলে প্রচুর ক্যাঁওম্যাও গোটা কামরা জুড়ে। পরেরদিন সকালে প্রাতরাশের সময় সেটা আরো চরমে উঠবে এবং চেঁচামেচি বিক্ষোভ থামাতে ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে আসতে হবে। এ ট্রেন তিনসুকিয়া থেকে দিল্লি যাচ্ছে, অতি দীর্ঘ রাস্তা। অধিকাংশ যাত্রীই মাঝে কোথাও উঠে খানিকদূর গিয়ে নেমে যাবেন, নামা ওঠার স্রোত চলতেই থাকে। তারই মধ্যে আমার উল্টোদিকের বয়স্ক ভদ্রলোক যাবেন দিল্লি পর্যন্ত, এদিকে সঙ্গে তাঁর চাদর কম্বল কিছুই নেই, বিছানা দেওয়া চালু হয় নি এখনো। আমার স্লিপিং ব্যাগ দেখে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দাম, প্রাপ্তিস্থান কার্যপদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়ে খোঁজ নেন।
ট্রেন নিউ জলপাইগুড়ি ঢোকে ঠিক সময়ই। হোমস্টেতে গাড়ি বলা ছিল, বিনোদজি আসেন একটা অল্টো নিয়ে। এনজেপি শিলিগুড়ির তুমুল জ্যাম, বাইক অটো, বাস আর গাড়ির ক্যাঁচোর ম্যাচোর পেরিয়ে করোনেশান ব্রীজ পেরোতেই ব্যাস ম্যাজিক! হাওয়া ক্রমশ শীতল হয়ে আসছে, রাস্তা উঠছে ঘুরে ঘুরে হিমালয় আসছে কাছে ... আরো কাছে। শুধু ডানদিকে তিস্তার বন্দীদশা দেখে কান্না পায়। অমন ছলবলিয়া কলকলিয়া নদীটা কেমন বুড়োটে শান্ত হয়ে পড়ে আছে বুকের উপরে জমা রাশি রাশি পাথর লোহা নিয়ে। কেবল এই শীতের কয়েকমাসই চারপাশের জঙ্গলের ঘন সবুজ আর আকাশের নীল বুকে নিয়ে তিস্তার রঙ হয়ে থাকে সবজেনীল-নীলচেসবুজ। যত উপরে উঠি ক্রমশ নদীর বুকের কংক্রীটের স্তুপ ছোট হয়ে আসে, নদীর স্বাভাবিক রূপ অনেকটাই দৃশ্যমান। রাস্তার ধারে ছোট ছোট প্ল্যাস্টিকের ক্রেটে স্তুপ করে সাজানো কমলালেবু, পাতলা খোসা আর মিষ্টিস্বাদের দার্জিলিঙের কমলা। হাসিখুশি মহিলা হাঁক দেন ‘লে যাও লে যাও সস্তে সস্তে’।
নমসেওয়াল হোমস্টে একটা বড়সড় তিনতলা বাড়ি আমার আগামী দুই সপ্তাহের বাসস্থান। লক ডাউন শুরু থেকে সেই যে ওয়ার্ক ফ্রম হোম শুরু হয়েছে, ১৬ই মার্চ ২০২০ শেষ অফিসে গিয়েছিলাম কাজ করতে। এর মধ্যে অক্টোবর-২০২০ থেকে দেখছি পাহাড়প্রেমী লোকজন ওয়ার্ক ফ্রম মাউন্টেন করতে শুরু করেছে। সেই থেকে ইচ্ছে টিমস কলে জয়েন করব সামনে চোখ মেলে হিমালয় দেখতে দেখতে। সাপ্তাহিক টিম মিটিঙে ক্লায়েন্ট ম্যানেজারকে বলব এসো আমার ভিডিও অন করে তোমায় হিমালয় দেখাই। তো নানাকারণে হয়ে উঠছিল না। সেপ্টেম্বর নাগাদ প্রতিভা তামাঙের সাথে আলাপ। ওঁদের কালিম্পঙের ফেসিলিটিতে নাকি গত জানুয়ারি থেকে ছেলেপুলেরা ওয়ার্ক ফ্রম মাউন্টেন করছে। নেটওয়ার্ক নিয়ে কোন ইস্যু নেই। মূল্যও যা বললেন তা খুবই সন্তোষজনক। প্রথমে ভেবেছিলাম ডিসেম্বরের শুরু থেকেই চলে আসব। তারপর নামদাফা ট্রিপ চলে এলো মাঝে, অতএব সেসব ঘুরে টুরে এলাম সোওজা কালিম্পঙ। কাল সক্কাল সক্কাল কাঞ্চনদাদু যদি দেখা দেয় তো তাঁকে চোখে নিয়ে অফিস জয়েন করে ফেলব।
মুহাহাহা
#WorkfromMountain
#BucketListAchievement
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।