এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  অর্থনীতি

  • নোটবন্দীর উদ্দেশ্য ও বিধেয়: ফিরে দেখা

    রৌহিন ব্যানার্জী
    আলোচনা | অর্থনীতি | ১৬ নভেম্বর ২০২১ | ৩০৫৭ বার পঠিত | রেটিং ৩.৫ (২ জন)

  • ৮ই নভেম্বর, ২০১৬, রাত্রি আটটা। এই খণ্ড মুহূর্তটি ভারতবাসী সহজে ভুলবে না। বিনা মেঘে বজ্রপাত প্রবাদবাক্যটির সঠিক অর্থ কী, এই এক মুহূর্তে জেনে ফেলেছিল প্রায় আপামর ভারতবাসী, যখন টেলিভিশনের পর্দায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানালেন, তার চার ঘন্টা পরে, রাত বারোটার পর থেকে বাতিল হয়ে যাচ্ছে তৎকালীন প্রচলিত ১০০০/- ও ৫০০/- টাকার নোট। এসব নোট যার কাছে যা আছে, ব্যাঙ্কে জমা করে ফেলতে হবে পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে (পরে অবশ্য প্রায় পাঁচবার এই সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল)। ভারতের অর্থনৈতিক ইতিহাসে এই ঘটনা "নোটবন্দী" বা "ডিমনিটাইজেশন" নামে চিহ্নিত হয়ে আছে।

    এই নোটবন্দীকরণের উদ্দেশ্য কী ছিল, দেশজুড়ে তার প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল, পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াই বা কী ছিল, এসবই এখন ভারতবাসী মাত্রেই তো বটেই, পৃথিবীর প্রায় সকলেরই মোটামুটি জানা। তবু হয়তো আলোচনার কারণে সে সব চর্বিত চর্বণ দু’য়েকবার উঠে আসবে। এটিএমের সামনে সেইসব সুদীর্ঘ লাইন, লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু, নগদ টাকার হাহাকার, ছোট ব্যবসাদারদের আর্তনাদ, আরও অসংখ্য গল্প এখন এদেশের লোকগাথা হয়ে ছড়িয়ে আছে। কিন্তু আজ আমরা মূলতঃ দেখব, পাঁচ বছর পর, নোটবন্দী আমাদের কী দিল না দিল, সেই ব্যালান্স শিটের হিসেব। আমি অর্থনীতিবিদ নই, কিন্তু অর্থনীতি আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতই আমার জীবনকেও প্রভাবিত করে। সেই প্রভাবটুকুই দেখার চেষ্টা এখানে- কাজেই এ লেখা আংশিক অ্যানেকডোটালও বটে।

    অর্থনীতিবিদরা প্রায় সবাই বলেছেন, পাঁচ বছর পরে অন্ততঃ নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, নোটবন্দীকরণ একটি ব্যর্থ পদক্ষেপ, এবং তার প্রভাব ভারতীয় অর্থনীতির বেশ বড়সড় ক্ষতিই করেছে। কারণ ডিমনির ঘোষিত উদ্দেশ্য ছিল দু’টি- কালো টাকা বাজেয়াপ্ত করা আর সন্ত্রাসবাদের কোমর ভাঙা। দু’টোই এখন মোটামুটিভাবে জাতীয় ঠাট্টায় পর্যবসিত। কিন্তু প্রশ্ন জাগে অন্যত্র। একটু অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এবং ভক্ত নন, এরকম প্রায় প্রত্যেকেই ঘোষণার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পরিষ্কার বলে দিয়েছিলেন, এই প্রক্রিয়াটি ব্যর্থ হতে বাধ্য, কারণ এর প্রাথমিক ধারণাভিত্তিই (বেসিক অ্যাজাম্পশন) ভুল। এখন প্রধানমন্ত্রী বা অর্থমন্ত্রী বা অন্য মন্ত্রীরা জনপ্রতিনিধি- অর্থনীতির বিশেষজ্ঞ নন- তাদের ভুল ভাবা অসম্ভব নয়- কিন্তু এত বড় একটা রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ তো শুধু তাদের "এক্সপার্টিজ" এর ভরসায় নামিয়ে দেওয়া যায় না- সরকারি বিশেষজ্ঞদেরও ভূমিকা থাকে। সেখানে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর সহ দেশের সেরা অর্থনীতিবিদেরা থাকেন। তারা এই ভুল বেসিক অ্যাজাম্পসন নিয়ে এত বড় ব্যাপার নামিয়ে দেবেন, এটা কি খুব স্বাভাবিক ব্যাপার?

    কিন্তু তা সত্ত্বেও ডিমনি হয়েছিল, এবং তা ব্যর্থও হয়েছিল, সব আশঙ্কাকে সত্যি প্রমাণ করে। এই হয়ে যাওয়া আমাদের একটিই সিদ্ধান্তে পৌঁছে দেয়- ডিমনি ব্যর্থ হবে জেনেও সরকার বেপরোয়া ভাবেই এই সিদ্ধান্ত আমলাদের ওপর তথা দেশবাসীর ওপর জোর করে চাপিয়ে দিয়েছিল। এবং ডিমনির কারণ যা বলা হয়েছিল, তার অসারতা সরকার জানত - কিন্তু তা সত্ত্বেও সেটি প্রয়োগ করা হয়েছিল কোনো গভীরতর উদ্দেশ্য সিদ্ধ করতে। যে উদ্দেশ্যের পিছনে জনহিত নয়, জনপ্রতিনিধিদের ব্যক্তিগত বা দলগত স্বার্থ জড়িত ছিল। অতএব, সেই উদ্দেশ্যটি কি, সেটা স্পষ্ট হলে তবেই আমরা ঠিকঠাক বুঝতে পারব, ডিমনিটাইজেশন সেই প্রকৃত উদ্দেশ্যের প্রেক্ষিতে কতখানি সফল বা ব্যর্থ, তার দেশজোড়া অভিঘাতই বা আদতে কী এবং কতটা।

    নোটবন্দীর প্রথম যে অভিঘাত আমরা প্রত্যক্ষ করেছিলাম, সেটা হল, দেশ জুড়ে নগদের জন্য হাহাকার, নগদের অভাবে স্থানীয় ছোট ছোট দোকান, বাজারের ব্যবসা কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়া, এবং এই সব সামাল দিতে পে টি এম, রু পে র মত বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মের রমরমা তৈরি হওয়া। এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলি অল্প কিছু সংখ্যক, মূলতঃ শহুরে মানুষ, আগে থেকেই ব্যবহার করতেন। কিন্তু এই সময় থেকে ব্যাপকহারে শহর-মফস্বল-গ্রাম নির্বিশেষে এগুলির ব্যবহার বাড়তে থাকে। শুধু এগুলি ব্যবহার করার উদ্দেশেই বহু মানুষ নতুন করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে বাধ্য হন (ব্যাঙ্কের সুদ কমা, ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণ, উঠে যাবার আশঙ্কা, এসব এরপরে ক্রমে ক্রমে আসিবে- সে অন্য প্রসঙ্গ)। এবং সরকারের তরফে সদর্পে ঘোষণা এবং ভক্তদের ঢক্কা-নিনাদিত প্রচার ছিল যে, এইবারে আমরা সম্পূর্ণ ডিজিটাল ইন্ডিয়া হব। পাঁচ বছর পরে আমরা এখন জানি যে, ডিজিটাল ইন্ডিয়া হয়নি। আচ্ছে দিনের মতই, ওটাও জুমলা ছিল।

    কিন্তু তবুও, ডিমনি সংক্রান্ত সরকারের যাবতীয় দাবির মধ্যে এই একটি দাবিতেই কিছুটা সততা ছিল বলে মনে হয়। অর্থাৎ সরকার সত্যিই চেয়েছিল, ডিজিটাইজেশন হোক। এই চাওয়ার সাথেও জনস্বার্থের সম্পর্ক নেই, বলাই বাহুল্য- কিন্তু এই চাওয়ায় অন্য কারো স্বার্থ ছিল। যাদের স্বার্থ দেখার জন্য এই সরকার দায়বদ্ধ- ঋণবদ্ধও সম্ভবত- ভারতের উঠতি কর্পোরেট শক্তি (পড়ুন আম্বানি - আদানি - চোকসি প্রমুখ)। আর্থিক লেনদেন সম্পূর্ণ ডিজিটাল হলে, আপনি দিনে ক কাপ চা খান কিম্বা ফুলকপি খেলে আপনার গ্যাস হয় কি না, এই সমস্ত তথ্যই এই সব কর্পোরেটের নখদর্পণে থাকবে। মনে করে দেখতে পারেন, নোটবন্দীর কিছুদিন আগে থেকেই আপনার আধার কার্ড, যাতে আপনার বায়োমেট্রিক্স তথ্য আছে, এই কর্পোরেটদের হাতে চলে এসেছে- সরকারের "ভুলে"। আপনি ভাবতেই পারেন যে আমার আপনার মত অকিঞ্চিৎকর মানুষের তথ্য জেনেই বা এরা করবে টা কি? কিন্তু ভুল ভাবনা। শুধু আমার তথ্য নয়- আমাদের তথ্য। আমরা একশো তিরিশ কোটি। আধুনিক পৃথিবীতে সবথেকে ক্ষমতাশালী অস্ত্র- বিগ ডেটা। এই তথ্যের জন্য কয়েক হাজার বা কয়েক লাখ মানুষ মেরে ফেলতে হলে যে কোনো কর্পোরেট সেটা নির্দ্বিধায় করে ফেলবে। সরকার চালানো মন্ত্রীদের কয়েকশো কোটি দিতে তারা কেনই বা ভাববে?

    কাজেই, ডিমনির সাফল্য- ব্যর্থতার আসল মাপকাঠি হবে এই ডিজিটাইজেশনের প্রসারের হিসেব। এই যে রাতারাতি কোটি কোটি নতুন অ্যাকাউন্ট, ইন অ্যাক্টিভ অ্যাকাউন্টের অ্যাক্টিভ হয়ে ওঠা, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলির রমরমা- এসব শেষ অবধি কতটা টিকল? আমাদের অভিজ্ঞতা কী বলে? আমরা দেখতে পাচ্ছি, অনলাইন লেনদেন আগের থেকে বহুগুণ বেড়েছে নিঃসন্দেহে- কিন্তু একশো তিরিশ কোটির মধ্যে অন্তত ৯০-১০০ কোটি ভারতবাসী এখনো এই লেনদেনের বাইরেই রয়ে গেছেন। নগদের অভাবে নাভিশ্বাস উঠেছে, কেউ আত্মহত্যা করেছেন, কেউ সর্বস্বান্ত হয়েছেন, কারুর পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে- তবুও এক বিরাট সংখ্যক মানুষ এর মধ্যেও বিকল্প লড়াইটা চালিয়ে গেছেন। নিজস্ব ক্ষুদ্র উৎপাদন নির্ভর মানুষ, যেমন ক্ষুদ্র চাষি, খেতমজুর, দিনমজুর, কামার, কুমোর, ছুতোর, কলের মিস্ত্রী, কুয়ো পরিষ্কারের মিস্ত্রী, ক্ষুদ্র তাঁতি, রিক্সাচালক, ভ্যানচালক, ছোট দোকানদার ইত্যাদি অসংখ্য পেশার মানুষ, যারা চাকরি নির্ভর জীবন যাপন করেন না, তারা টিকে আছেন, সব ঝড় ঝাপটা সামলেও। ডিজিটাল না হয়েও। কর্পোরেটের স্বপ্ন পূরণ হতে এখনো দীর্ঘ ব্যবধান।

    ডিমনিটাইজেশন নিয়ে ঠাট্টা বা আতঙ্ক বোধ- যাই করি না কেন, এই কথাটা মনে রাখা দরকার যে ডিমনি তার মূল উদ্দেশ্য পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ কিন্তু নয়। প্রাথমিক আঘাতে বেশ বড়সড় অভিঘাতই সে ফেলতে পেরেছিল নিঃসন্দেহে। এবং তার ফলে যেটা হয়েছিল, ব্যর্থতা সত্ত্বেও কর্পোরেট এবং তার পোষ্য কেন্দ্রীয় সরকার এটা বুঝে গেছিল যে, এরকম মার মারতে থাকলে এক সময়ে লক্ষ্য পূরণ হবেই। তার ফলে আমরা দেখেছি কর ব্যবস্থার কেন্দ্রীকরণ, ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণ, বেসরকারি ব্যাঙ্কিং এর গুরুত্ব বৃদ্ধি, সরকারি ব্যাঙ্কে টাকার গ্যারান্টিকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেওয়া, হ্যাল, এয়ার ইন্ডিয়া, বি এস এন এল এর মত লাভজনক সরকারি সংস্থাগুলিকে ক্রমে অলাভজনক ও গুরুত্বহীন করে দিয়ে বেসরকারি হাতে তুলে দেবার ব্যবস্থা করা, শিল্পপতিদের সরকারি ব্যাঙ্কের ঋণ খেলাপকে পরোক্ষে উৎসাহিত করা, কোভিড অতিমারির সুযোগ নিয়ে দীর্ঘায়ত লকডাউন - ইত্যাদি বিবিধ পদক্ষেপ- যেগুলিকে ডিমনির উত্তরসূরি বলা যায়। ভারতের অনুচ্চ-বিত্ত, অ-মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষ এখনো এইসব আঘাত সহ্য করে চলেছেন, টিকে আছেন। কতদিন থাকবেন, আমরা কেউ জানিনা- কর্পোরেট শক্তিও জানে না- কারণ এই প্রতিরোধের ক্ষমতা কতটা, সেই হিসাব আজ অবধি কেউ মেলাতে পারেনি। তাই সামান্য ভরসা টিকে থাকে শেষ পর্যন্ত। সামান্যই, তবু থাকে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৬ নভেম্বর ২০২১ | ৩০৫৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • santosh banerjee | ১৬ নভেম্বর ২০২১ ১৩:৪৯501252
  • দুর্জন তার আসল উদ্দ্যেশ্য সিদ্ধ করেছে। ডিজিটাল দুনিয়া কে দেখতে পাচ্ছি ভালো করে। শহরের বাসিন্দা তো ! মজাও লুঠছি এর। সমস্ত জাতিটা রক্ত করবী'র সাঙ্কেতিক শ্রমিক হয়ে গেছে। লুটেরা, ঠকবাজ রা আরো স্বাধীনতা পেল। চোর আরো চুরি করলো, চৌকীদার পক্ক কেশ আর রবিঠাকুরের বেশ ধরে আমাদের বললো "সবটা সাথ...সবকা বিকাশ..সব কা প্রয়াস""!!! আমরা বোকচন্দর হলাম !! ১৩০ কোটির মধ্যে প্রায় ৯০% ঐ সাধুবাবা র শিকার হলো!! ওরা তো আর নির্মলা দিদির ইকোনমিক্স বোঝেনা! এটাই হলো আসল সুবিধা।GDP, GST, NIFTY, SENSEX ... এগুলো শহুরে মাতব্বর রাত বুঝলেই চলবে, তাই না???
  • Satarupa Mukherjee | ১৬ নভেম্বর ২০২১ ১৯:২৮501257
  • পাঁচ বছর বয়স হলো মানে প্রায় ইতিহাস বইয়ের পাতায় ওঠার সময় হয়ে গেছে। যেভাবে আমরা তুঘলকি মুদ্রার প্রচলন বা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত র সুফল ও কুফল নিয়ে পড়ি নোটবন্দী নিয়েও সেভাবেই পড়বো , কেননা আমরা , সাধারণ মানুষেরা  ,এতদিনে ভুলতে বসেছি কতজন মানুষ এটিএম এর লাইনে দাঁড়িয়ে হার্টফেল করেছিল , কত পরিবারই বা এই হঠাৎ নোটবন্দীতে পথে বসেছে। আমাদের বোঝানো সহজ , ভুলিয়ে দেওয়া আরো সহজ।
  • রৌহিন | ১৬ নভেম্বর ২০২১ ২১:২৭501258
  • @Satarupa হ্যাঁ রে। ২০১৯ এই আমরা সব ভুলে মেরেছিলাম। ২০২৪ এ তো আরোই ভুলে যাব
  • Bidhan Mukherjee | 202.8.***.*** | ১৬ নভেম্বর ২০২১ ২২:৪০501259
  • সংক্ষিপ্ত হলেও ঠিক কথাই বলা হয়েছে - বিকল্প ব্যবস্থা ঠিক না করেই এই demontisation  অবৈজ্ঞানিক ভাবে - কিছু লোকের বা সংস্থার  জন্য - কিছু লোকের দ্বারা হয়েছিল আজ প্রমানিত- market এর cash flow বন্ধ র রেশ আজও টের পাওয়া যায়- ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের দুরাবস্থা এখনও কাটেনি - আর digital India ? যত কম বলা যায় ততই ডাল - GST INCOME TAX এর কাজ যারা করেন তারা ভাল ভাবেই বুঝেছেন- সবার জানা দরকার INCOME TAX এ ভুল সংশোধন করার SCOPE আছে GST তে নেই অথচ VAT এ ছিল - প্রতিবাদ করলেই তো দেশদ্রোহী 
  • dc | 223.184.***.*** | ১৭ নভেম্বর ২০২১ ১০:৩০501264
  • ডিমনেটাইজেশানের দরকার ছিলনা। তবে ডিজিটাইজেশানের দরকার অবশ্যই আছে। গত দুতিন বছরে দেখছি ডিজিটাল ট্রানজাকশান বাড়ছে, শহরগুলোতে অনেক বেশী লোক গুগল পে বা পেটিএম বা অন্যান্য ইউপিআই সিস্টেম ব্যবহার করছেন। এছাড়াও আরও অনেক সরকারি বা বেসরকারি সার্ভিস ডিজিটালি ডেলিভারড হচ্ছে বা সেসব সার্ভিস এর টাকা অনলাইন দেওয়া যাচ্ছে, যা কিনা অনেক বেশী সুবিধাজনক। 
  • রৌহিন | ১৭ নভেম্বর ২০২১ ১১:২৮501265
  • @dc, "সুবিধাজনক" না হলে সেটা প্রচলিত হবে কেমন করে? অবশ্যই, কর্পোরেট এবং তার পোষা রাষ্ট্র ডিজিটাইজ করতে বদ্ধপরিকর এবং সেজন্য প্রচুর মোয়া, লজেঞ্চুসের ব্যবস্থা থাকবে। সেটাই পয়েন্ট।  অর্থনীতিই বলে, কোনো সুবিধেই ফোকটে আসে না - মূল্যটা আমাকে আপনাকেই মেটাতে হবে। কড়ায়-গণ্ডায় নয়, তার চেয়ে বহু বহু বেশী মূল্য
  • dc | 223.184.***.*** | ১৭ নভেম্বর ২০২১ ১২:১০501266
  • আরেকটা উদাহরন দিই, ক্রিপ্টোকারেন্সি। ভারতীয় সরকার এতোদিন ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সি বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর ছিল, এখন তাও অনেক কষ্টে ঢোঁক গিলে সেটা রেগুলেট করার কথা ভাবছে। কিন্তু ক্রিপ্টোকারেন্সি ভবিষ্যতে আসতে বাধ্য। বিটকয়েন না হলেও ব্লকচেন বেসড ট্রানসাকশান সারা পৃথিবীতে নিউ নর্মাল হয়ে  যাবে। ডিজিটাইজেশান বা ক্রিপ্টোকারেন্সি বন্ধ করার চেষ্টা সমুদ্রে বাঁধ দেওয়ার চেষ্টার মতো। 
     
    (ডিঃ আমি কর্পোরেটদের পক্ষে, আর কর্পোরেট ফিনান্স মডেল সমর্থন করি)। 
  • রৌহিন | ১৭ নভেম্বর ২০২১ ২৩:৫২501272
  • আমার আপনার কর্পোরেটের পক্ষে বা বিপক্ষে যাবার চয়েস আছে, অ্যাপারেন্টলি (আদতে সেই চয়েসটাও ওদেরই নির্মাণ, সে অন্য কথা)। কিন্তু অনেকেরই সেই চয়েস নেই। তবুও, এইসব "সুবিধাজনক" ব্যপার স্যপার সকলের পছন্দ নয় আর কি। আচ্ছে দিন সকলের জন্য নহে
  • dc | 122.174.***.*** | ১৮ নভেম্বর ২০২১ ১০:১২501276
  • আচ্ছে দিন সকলের জন্য নহে - এটা একদম ​​​​​​​ঠিক ​​​​​​​কথা। 
     
    মহামতি মিল্টন ফ্রিডম্যান বলেছিলেন, প্রাইভেট বিজনেসের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত প্রফিট ম্যাক্সিমাইজেশান। কাজেই আচ্ছে দিন শুধুমাত্র কর্পোরেটদের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য। সুখের কথা, ইন্ডিয়ায় রিটেল ইনভেস্টরদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এনএসই তে রিটেল ইনভেস্টরদের শেয়ার ২০১৬ তে ছিল ৩৩%, ২০২১ এ সেটা বেড়ে হয়েছে ৪৫%। অর্থাত ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টরদের শেয়ার ৬৭% থেকে কমে ৫৫% হয়েছে। (এই শেয়ার সংখ্যার বিচারে, টার্নওভারের বিচারে না)। আরও সুখের কথা, এই যে নতুন ইনভেস্টররা শেয়ার কিনছেন, এদের মধ্যে বেশ বড়ো একটা অংশ আসছেন ইন্ডিয়ার টিয়ার ২ আর টিয়ার ৩ শহরগুলো থেকে। 
     
    কেন আরও বেশী করে সাধারন মানুষ শেয়ার কিনছেন? কারন সোশ্যাল মিডিয়া আর অনলাইন ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম, যেগুলোতে নামমাত্র কমিশনে শেয়ার কেনাবেচা করা যাচ্ছে। অর্থাত ডিজিটাইজেশান। 
     
     
     
  • শ্রীশুভ্র | 150.107.***.*** | ২৭ নভেম্বর ২০২১ ১৩:৪১501473
  • নোট বাতিলের বিষয়ে সরকারের ঠিক কি উদ্দেশ্য ছিল,এবং কোন কোন লক্ষ্য পূরণের জন্য সরকার নোট বাতিল করেছিল। সেই কারণগুলির সঠিক বিশ্লষেণ লেখাটিতে পাওয়া গেল না। অনেকটাই ভাসাভাসা বক্তব্য। যা অধিকাংশ মানুষেরই অজানা নয়। কিন্তু নোট বাতিলের গুপ্ত উদ্দেশ্য সম্বন্ধে নির্দিষ্ট কোন তথ্য ও সত্য এই লেখায় পাওয়া গেল না। 
  • ar | 173.48.***.*** | ২৭ নভেম্বর ২০২১ ২০:৫৭501481
  • ডিজিটাইজেসন এবং তৎসহ ডেটা হাতানো!!!
    প্রচুর অ্যাকাডেমিক চর্চা হয়েছে তো!!

    টুকে দিলামঃ
    Demonetization and digitalization: The Indian government’s hidden agenda
    Cyril Fouillet et al , Telecommunications Policy 45 (2021) 102079

    The violence of Indian demonetization and its dramatic consequences on the Indian population have been widely documented. The digitalization of payments is a further effect of emonetization, and it has probably not received enough attention. With data gathered from the Reserve Bank of India from 2014 to 2020, we have shown here that the demonetization period brought about declines in Automatic Teller Machines (ATM) withdrawals, and the faster adoption of digital means of payments via Point of Sale Terminals (POS) and mobile banking. Since October 2016, while the number of POS transactions almost tripled, the number of ATM transactions fell by almost one-fifth. In the present government’s rhetoric, digitalization is a means of formalizing the economy and protecting the poor.
    This argument is unfortunately highly open to debate.

    For users, it is reasonable to ask whether the disadvantages do not outweigh the benefits in terms of price, comfort, and personal freedom. When making a digital payment, each transaction gives rise to a cost ultimately borne by the consumer. When a coin is produced, it can be exchanged thousands of times without any additional cost for those who circulate it. Coins and banknotes are accepted even for those who do not use bank accounts, lack electricity, internet access and digital devices. Coins and banknotes can be passed from hand to hand anywhere, anytime, and without leaving a trace. This allows individuals to escape family surveillance (this is particularly important for women and young people). Cash also makes it possible to escape state surveillance - in an increasingly authoritarian state such as the current Modi government, this is a central issue. Cash also makes it possible to escape the surveillance of the markets, which are deploying increasingly aggressive techniques to capture new consumers.

     
  • dc | 122.164.***.*** | ২৭ নভেম্বর ২০২১ ২১:৫৭501483
  • আমার তো মনে হয় ডিজিটাল ট্রানসাকশানের যে ইকোসিস্টেম তৈরি হয়েছে সেটা যথেষ্টই সুবিধেজনক। চারপাশে রোজ প্রচুর লোকজনকে দেখছি যাঁরা দশ টাকা থেকে একশো টাকা থেকে হাজার টাকা থেকে চার পাঁচ হাজার টাকার ট্রানসাকশান করছেন পেটিএম, গুগল পে, বা অন্যান্য অ্যাপ দিয়ে। আজ বিকেলে সিঙ্গাড়া কিনলাম, আমি গুগল পে করলাম, আমার আগের জন পেটিএম করলেন। জেরক্সের দোকানে আমার পাশের জন প্রিন্টআউট নিলেন, একশো সাতেরো টাকা পেটিএম করলেন। এরকম হাজার হাজার লোক রোজ ডিজিটাল ট্রানসাকশান করছেন। 
     
    অবশ্যই এগুলো অ্যানেকডোটাল এভিডেন্স। হয়তো চেন্নাই-ব্যাঙ্গালোর-মুম্বাইতে বেশী হয়, কলকাতায় কম হয়। কমাস আগে যখন কলকাতা গেছিলাম তখন কলকাতার উবের ড্রাইভারও বললেন ইউপিআই নেই, মাছের দোকানিও বললেন ইউপিআই নেই। কলকাতা অবশ্য এমনিতেও পিছিয়ে। 
     
    তবে শুধু পেমেন্ট না, ডিজিটাইজেশানের স্কোপ আরও অনেক বেশী। কয়েকদিন আগেই আমাদের ফ্যামিলির চারজনের সরকারি হেল্থ কার্ড করিয়ে নিয়েছি। এখন কোন কাজে লাগবে না, তবে ভবিষ্যতে লাগতেও পারে। আগের বছর অবধি মায়ের লাইফ সার্টিফিকেট ব্যাংকে গিয়ে জমা দিতে হতো, এ বছর থেকে অনলাইন করে নিয়েছি (এখনও অবশ্য পুরো অনলাইন হয়নি)। এখন রেশানে কিছু তুললে ফোনে এসেমেস চলে আসে। বাড়ির রেজিস্ট্রেশান থেকে ইনকাম ট্যাক্স, অনেক কিছু পুরোপুরি বা কিছুটা অনলাইন হয়ে গেছে। যতো দিন যাবে, ডিজিটাইজেশান ততো বাড়বে। 
     
    ডিঃ আবারও লিখে দিঃ আচ্ছে দিন সকলের জন্য নহে - এটা একদম ঠিক ​​​​​​​কথা। তবে ​​​​​​​কিনা সবার ​​​​​​​জন্য ​​​​​​​সব কিছু, ​​​​​​​এরকম ​​​​​​​কথা ​​​​​​​ছোট ​​​​​​​থেকে ​​​​​​​আজ ​​​​​​​অবধি ​​​​​​​শুনিনি বা ​​​​​​​দেখিনি। ​​​​​​​কোন ​​​​​​​কিছুই ইনক্লুসিভ ​​​​​​​না। ​​​​​​​একদিন ​​​​​​​অবশ্য ​​​​​​​বিপ্লব ​​​​​​​আসবে, তবে ​​​​​​​তার ​​​​​​​আগের ​​​​​​​দিন ​​​​​​​অবধি ​​​​​​​আচ্ছে ​​​​​​​দিন ​​​​​​​সবার জন্য ​​​​​​​হবে ​​​​​​​না। ​​​​​​​
  • dc | 122.164.***.*** | ২৭ নভেম্বর ২০২১ ২১:৫৯501484
  • " Cash also makes it possible to escape the surveillance of the markets, which are deploying increasingly aggressive techniques to capture new consumers."
     
    Havent heard of a bigger fallacy. Cash or no cash - if you are breathing, you are being surveilled by the market. Period. :-)
  • ar | 173.48.***.*** | ২৭ নভেম্বর ২০২১ ২৩:১০501486
  • ডিমানি, ডিজিট্যালাইজেসন, এবং তৎসহ ইকোসস্টেম!!
    আমার মতন শহুরেরা (পড়ুন, সচ্ছল মোদীভক্ত শহুরেরা), যাদের রুরাল ভারত নিয়ে কোন মাথাব্যাথা নেই, ডিমানির আলোচনাতে সাধারণত ডিমানির ব্যর্থতা নিয়ে কিছু বলা পছন্দ করি না।

     
  • Amit | 120.22.***.*** | ২৮ নভেম্বর ২০২১ ০১:২৩501488
  • ডিজিটাইজেশন এর সাথে ডেমনিটাইজেশন এর বিন্দুমাত্তর সম্পর্ক নেই। দুনিয়াতে একগাদা দেশে ডিজিটাইজেশন বেশ ভালোভাবে ইমপ্লিমেন্ট হয়েছে বা চলছে। ইন্ডিয়ার থেকে অনেক বেশি লেভেলে। তার জন্যে এতগুলো দেশের কোথাও মোদির ওভারনাইট ডেমনিটাইজেশন এর মতো ড্রাকোনিয়ান মেজার্স নিতে হয়নি। টেকনোলজি যেভাবে ​​​​​​​ইম্প্রুভ ​​​​​​​করেছে , সেভাবে ​​​​​​​স্টেপ ​​​​​​​বই ​​​​​​​স্টেপ ​​​​​​​এগিয়েছে। ​​​​​​​
     
    যেটা আমি দেখেছি সেরকম কয়েকটা দেশে থাকার সুবাদে -  ডিজিটাল পেমেন্ট বাড়ানোর জন্যে নানাভাবে ইনসেনটিভ দিতে। পাব্লিক ট্রান্সপোর্ট কার্ড কেনা থেকে , প্লেন টিকেট থেকে শুরু করে চা কফি কেনা পর্যন্ত সব জায়গায় ডিজিটাল পেমেন্ট এ ডিসকাউন্ট দিতে। পাবলিক যখন দেখে ডিজিটাল পেমেন্ট এপ্পস ইউস করলে চারটে কফি কিনলে তারপর একটা ফ্রি পায় , অথবা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এ ২০-৩০ % ডিসকাউন্ট পায় , তখন নিজের ইন্টারেস্টেই ডিজিটাল পেমেন্ট এ শিফট করে যায়। এটা একটা লম্বা লার্নিং প্রসেস। তার জন্যে সময় দিতে হয়। তার জন্যে ঘাড় ধরে ছমাস পুরো দেশকে এটিএম এর সামনে দাঁড় করাতে হয়না। 
     
    ২০০৮-০৯ এ যারা হয়তো ইউকে তে ছিলেন , তাদের মনে থাকবে. তখন সরকার থেকে প্রপোসাল দিয়েছিলো ব্যাঙ্ক চেক বন্ধ করার জন্যে কারণ নাকি > 90% ট্রান্সাকশনস সব অনলাইনে হচ্ছিলো। প্রচুর লোক তখন মিডিয়ায় আর পেপারে চিঠি লিখেছিলো যে বুড়ো মানুষদের অসুবিধা হবে কারণ তারা অনলাইন ব্যাঙ্কিং এ সড়গড় নন। আমার মনে আছে তখন সেটা আরো পাঁচ বছর রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সভ্য দেশগুলোতে এভাবেই কাজ হয়। যারা সমাজের দুর্বল অংশ , তাদেরকে জলে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়না। এর সাথে সবার জন্যে আচ্ছে দিনের কোনো সম্পর্ক নেই। 
  • dc | 171.49.***.*** | ২৮ নভেম্বর ২০২১ ০৮:১৭501494
  • "ডিজিটাইজেশন এর সাথে ডেমনিটাইজেশন এর বিন্দুমাত্তর সম্পর্ক নেই" - একদম ঠিক ​​​​​​​কথা। ​​​​​​​ডিজিটাইজেশান ​​​​​​​এমনিতেই ​​​​​​​হচ্ছে ​​​​​​​আর হবে, ​​​​​​​তার জন্য ​​​​​​​ডিমনেটাইজেশান ​​​​​​​দরকার ​​​​​​​ছিল ​​​​​​​না। 
     
    পাব্লিক ট্রান্সপোর্টেশান কার্ড প্রসঙ্গে মনে হলো, এরকম কার্ড বা অ্যাপ ইন্ডিয়াতেও চালু হওয়া উচিত। হংকং এ যেমন অক্টোপাস কার্ড আছে, সেটা প্রায় সব পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ব্যবহার করা যায়, সব সেভেন ইলেভেন এ জিনিষ কেনা যায়, আরও অনেক দোকানে ব্যবহার করা যায়, পার্কিং ফি দেওয়া যায় ইত্যাদি। জাপান, সিঙ্গাপুর, ইউকে আর আরও অনেক দেশে এরকম কার্ড খুব ব্যবহার হচ্ছে। ইন্ডিয়াতেও চালু হওয়া উচিত। 
  • রৌহিন | ৩০ নভেম্বর ২০২১ ০৮:৫০501539
  • ১. ডিজিটাইজেশন সুবিধাজনকঃ 
    বারবারই বলছি, অবশ্যই সুবিধাজনক। এমনকি তথাকথিত "রুরাল ইন্ডিয়া" তেও, অনেক ক্ষেত্রেই ডিজটাইজেশন সুবিধাজনক। কারণ, কর্পোরেট এবং সরকার চায়, ডিজিটাইজেশন হোক, সকলে এর আওতায় আসুক। কেন চায়, সেটা মূল লেখায় আছে। সুবিধাজনক মানেই সেটা কাম্য এবং দীর্ঘমেয়াদি কি না সেটা আমাদেরই স্থির করতে হবে। 
     
    ২. অ্যানেকডোটাল এভিডেন্সঃ 
    ডিসি স্যার যখন অ্যানেকডোটাল স্বীকার করছেন, তখনও আপনার রেফারেন্স পয়েন্ট চেন্নাই, মুম্বাই বনাম কলকাতা। পিছিয়ে থাকলেও কলকাতাতেও ডিজিটাল পেমেন্টের ব্যাপক ব্যবহার। কিন্তু চেন্নাই, কলকাতা, মুম্বাই, কানপুর, দিল্লী, ইন্দওর এসবের বাইরেও একটা ভারত আছে, যেখানে হাজার সুবিধে সত্ত্বেও ডিজিটাল পেমেন্ট করা যায় না, কারণ ঠিকমত "নেট লাগে না", টাওয়ার পাওতা যায় না, এই ধরণের সব পেটি ইস্যুজ। হ্যাঁ, কোনো কিছুই অল ইনক্লুসিভ নয়। কিন্তু যে সুবিধা মাত্র ২৫% দেশবাসীর, তাকে আরও প্রিসাইজলি এক্সক্লুসিভ বলা যেতে পারে। 
     
    ৩. ডিমনির সাথে দিজিটাইজেশনের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেইঃ 
    একটু তো আছেই। ডিমনি হলে ডিজিটাইজেশনের ব্যবহার বাধ্যতামূলক হবে, এটা তো অবভিয়াস। তার বাইরে ডিমনির সাথে আর কিসের সম্পর্ক আছে, সেটাই তো আজ অবধি কেউ বুঝে উঠতে পারেন নি। তবুও ডিমনি হয়েছিল। কেন হয়েছিল, কেউ জানেন? এই " ওভারনাইট ড্রাকোনিয়ান মেজার" নিতে হয়েছিল কারণ, আনলাইক "অন্যান্য দেশ", ভারতের অর্থনীতির একটা বিরাট বিরাট অংশই স্ট্রাকচারের বাইরে। তাকে সিস্টেম্যাটিকালি স্ট্রাকচারে আনাটা রাষ্ট্রের লক্ষ্য হতে পারে, কর্পোরেটের অত সময় কোথায়? অনির্দিষ্টকালের জন্য এই বিরাট বাজার তাদের আওতার বাইরে থাকবে আর তারা ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কোনো মেজার নেবে না? তারা কি চ্করছে? 
     
    ডিজিটাইজেশনের বিরুদ্ধে আমি, কিন্তু এই লেখার বিষয় সেটা ছিল না - এর বিষয় ছিল ডিমনিটাইজেশন। এই দুয়ের মধ্যে সম্পর্ক আমার অন্ততঃ স্পষ্টই দৃষ্টিগোচর হচ্ছে, তাই একটার প্রসঙ্গে আরেকটা এসেছে। ডিমনি, অমিত ঠিকই বলেছেন, একটি হুইমজিজাল এবং ড্রাকোনিয়ান স্টেপ - যখন মোদী সরকারের মাত্র দু বছর বয়স এবং ২০১৯ তখনও সংশয়ের উর্দ্ধে নয়। আমার ধারণা, বঙ্গবন্ধু বা ইন্দিরার মতন " জাতির উদ্দেশে ভাষণ" দেবার জন্য মোদীর আর তর সইছিল না - নইলে হয়তো আরেকটু ভেবেচিন্তে এগোত সরকার। মনে করে দেখুন, অসংখ্য "জাতির উদ্দেশে ভাষণ" এর পাইলট এপিসোড ওটাই, "মন কি বাতেলা" ও তখন থেকেই শুরু।
  • dc | 122.164.***.*** | ৩০ নভেম্বর ২০২১ ০৯:১৫501540
  • হ্যাঁ, ডিমনির উদ্দেশ্য যে ঠিক কি ছিল সেটা বোধায় কেউই বুঝে উঠতে পারেনি। রৌহিনবাবু একটা থিওরি দিয়েছেন, এরকম আরও দুয়েকটা থিওরি আছে, সেগুলোর কোন একটা বা সবগুলো ঠিক হতেও পারে। 
     
    তবে ডিজিটাইজেশানের ব্যবহার ইন্ডিয়াতে ক্রমশ বাড়ছে। অন্য একটা টইতে একটু আগেই একটা গ্রাফ দিলাম, তাতে দেখছি ইউপিআই বেসড ট্রান্সাকশান দ্রুত বাড়ছে। মানে প্রথমদিকে ডিজিটাইজেশান এক্সক্লুসিভ ছিল, কিন্তু আস্তে আস্তে ইনক্লুসিভ হচ্ছে বোধায় (ডিসক্লেমারঃ ইউপিআই ডেটায় জল থাকতে পারে)। 
     
    ডিমনির মতো একটা ড্রাকোনিয়ান স্টেপ কেন নেওয়া হলো, সে নিয়ে আমার একটা ছোট্ট সন্দেহ আছেঃ গাম্বাটপনা। এখন যেমন ইন্ডিয়ান সরকার প্রানপনে ক্রিপ্টোকারেন্সি আটকানোর চেষ্টা করে চলেছে, সেই আশি সালের সিপিএমের কম্পিউটারাইজেশান আটকানোর মতো। ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার চালু হবেই, তাও আটকানোর চেষ্টা করছে। গৌমাতার আশীর্বাদে সরকারে গাম্বাটের তো অভাব নেই, ডিমনিও হয়তো ওরকমই কিছু একটা ছিল। 
  • Amit | 220.235.***.*** | ৩০ নভেম্বর ২০২১ ০৯:৫২501543
  • ডিমনির উদ্দেশ্য যাই হোক , কিন্তু ইউপি ইলেকশন এ ওটার চূড়ান্ত ফায়দা তুলেছিল বিজেপি।ইলেক্টোরাল ম্যাপে ইউপি হলো ভারতের ক্যালিফোর্নিয়া।  যে দল ইউপিতে জেতে , বেশির ভাগ কেসে ওরাই সংসদে জেতে। ডিমনির পুরো খবর নির্ঘাত বিজেপির মাথাদের কাছে ছিল। ডিমনির কয়েক সপ্তাহ আগেই ইউপি , পাঞ্জাব হরিয়ানা সব জায়গায় বিজেপির নেতা রা ম্যাসিভ ইনভেস্টমেন্ট করেছিল জমি কিনে কিনে ব্ল্যাক মানি হোয়াইট করে ফেলায়। সেখানে বাকি সব দল পুরো পথে বসে গেছিল ভোটের আগে। 
     
    আর এখন তো বেনামি ইলেকশন বন্ডের দৌলতে বিজেপি সবার ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এতই যদি মোদীর ট্রান্সপারেন্সি আর ডিজিটাইজেশন ড্রাইভ তাহলে  বন্ড কেনাবেচাকে প্যান এর সাথে লিংক করে দেখাক না। বিজেপির কোর সাপোর্ট বেস হলো করাপ্ট টু দা বোন গুজরাটি আর মাড়োয়ারি বেওসায়িরা। ঠিকঠাক  ডিজিটাইজেশন হলে সবার আগে ওদের ফেটে যাবে। 
     
     
  • রৌহিন | ০৩ ডিসেম্বর ২০২১ ০১:১২501631
  • @Amit, "ঠিকঠাক  ডিজিটাইজেশন হলে সবার আগে ওদের ফেটে যাবে" - দ্বিমত পোষণ করি। প্রথমতঃ ঘৃণা করি আর যাই করি - এটুকু মানতে বাধ্য যে ব্যবসাটা এরা বোঝে। ডিজিটাইজেশেন,চাই বা না চাই,বড় ব্যবসার ভবিষ্যৎ - এটা এরা বোঝে না বলে মনে হয় না - আর সেটাকে অ্যাডাপ্ট করার চেষ্টা করেনি বা সফল হয়নি - একথাও মানা কঠিন। কিন্তু এহ বাহ্য - দ্বিতীয়তঃ সিরিয়াসলি ডিজিটাইজেশন = স্বচ্ছতা এটা মনে করেন? ডিজিটাইজেশনের চাবিকাঠি যাদের হাতে,তারা স্বচ্ছ হতে না চাইলে ডিজিটাইজেশন্ম স্বচ্ছতা বজায় রেখে কাজ করে যেতে পারবে? এটা আপনার মনে হওয়া হয়ে থাকলে আমি নাচার - আমি এটা কোনোভাবেই দেখতে পাচ্ছি না। একটা চটজলদি উদাহরণ - উবার অ্যাপ ক্যাব। সম্পূর্ণ ডিজিটাল। এবং সম্পূর্ণ অস্বচ্ছ। আপনি বলতেই পারেন,ওটা ইনকমপিটেন্ট ডিজিটাল ব্যবস্থা - কিন্তু সেই ইনকমপিটেন্ট ব্যবস্থা যদি উবার কর্তৃপক্ষকে যথেষ্ট লাভ করায় অসুবিধে না করে তাহলে তারা কেন একটি কমপিটেন্ট ব্যবস্থা বানাবার জন্য পয়সা খরচা করবেন,সেটা আমি বুঝতে পারিনি। পয়সা খরচা করলেও সম্পূরণ কমপিটেন্ট এবং স্বচ্ছ ব্যবস্থা বলে আদৌ কিছু হয় কি না,সে নিয়েও আমার সন্দেহ রয়েছে - সে আলাদা কথা।
  • dc | 2402:e280:2141:9b:bdab:590b:d532:***:*** | ০৩ ডিসেম্বর ২০২১ ০৯:০২501638
  • ডিজিটাইজেশান হলে অবশ্যই ১০০% স্বচ্ছতা আসে না, তবে নন-ডিজিটাইজড প্রসেসের তুলনায় খানিকটা আসে। আর এই স্বচ্ছতা শুধু ফিনান্সিয়াল ট্রানসাকশানে আসে না, প্রাইসিং ডিসকভারি আর ইউজার এক্সপেরিয়েন্সেও আসে। 
     
    ডিজিটাইজেশানের স্বচ্ছতার একটা উদাহরন হলো গুগল ম্যাপ (বা গুগল ম্যাপ এপিআই, যার ওপর দাঁড়িয়ে উবের, ওলা, জোম্যাটো, বিগ বাস্কেট ইত্যাদি অনেকগুলো ব্যবসা চলছে)। একজন যাত্রী যদি পয়েন্ট এ থেকে পয়েন্ট বি তে যেতে চান, যে শহরেই হোক না কেন, তিনি উবের বা ওলাতে ট্রিপ প্রাইস আগে থেকেই দেখতে পাবেন, তার জন্য ড্রাইভারের সাথে দরাদরি করতে হবে না। তিনি লোকাল ভাষা জানুন বা না জানুন, দাম একই থাকবে। উবের এর সার্জ প্রাইসিং আছে, কিন্তু সেটা ওদের বিজনেস পলিসি, সবার জন্য এক। ট্যাক্সি ড্রাইভার নিজের খুশীমতো কাশ্নীর থেকে কন্যাকুমারী ঘুরে তাঁকে গন্তব্যে নিয়ে যেতে পারবেন না। আর গুগল ম্যাপের ফলে ইউজার এক্সপির স্বচ্ছতা বাড়ার প্রমান হলো, আপনি যেকোন শহরে গিয়ে নিজে নিজেই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে পারবেন, কাউকে জিগ্যেস করতে হবে না। বা নিজে নিজেই নানান লোকাল বিজনেস খুঁজে নিতে হবে না। কোথাও ঘুরতে গিয়ে লোকাল ট্রাভেল এজেন্টদের হাতে হয়রান হতে হবে না। 
     
    ডিজিটাইজেশানের ফলে ট্রান্সপারেন্সি আগের তুলনায় বাড়ার আরও উদাহরন দেওয়া যায় (যেমন ইনকাম ট্যাক্সামফাইলিং আগের থেকে অনেক সোজা হয়ে গেছে), কিন্তু অতো টাইপ করার সময় নেই :-) 
  • বিপ্লব রহমান | ০৩ ডিসেম্বর ২০২১ ১০:৪৫501645
  • একটি সরল প্রশ্ন, নোটবন্দীর ব্যর্থতার পর মোদী সরকার কী কোনো বক্তব্য দিয়েছেন? 
     
    #
    ভাবতে অবাক লাগে, নোট কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে  মানুষ মারার কৃষক আইন -- একের পর এক গণবিরোধী পদক্ষেপ নিয়েও এই গেরুয়া সরকার টিকে আছে কি ভাবে? :/
  • dc | 2402:e280:2141:9b:bdab:590b:d532:***:*** | ০৩ ডিসেম্বর ২০২১ ১০:৫৮501646
  • নোট কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে  মানুষ মারার কৃষক আইন -- একের পর এক গণবিরোধী পদক্ষেপ নিয়েও এই গেরুয়া সরকার টিকে আছে কি ভাবে? 
     
    এই প্রশ্নের উত্তরটা জানা, তাই এটা সহজ প্রশ্নের মধ্যে যাবে। ধর্মের ভিত্তিতে মেরুকরণ হলো আমাদের সবার প্রিয় প্রধানসেবকের ভিত্তি :-)
  • রৌহিন | ০৩ ডিসেম্বর ২০২১ ১৭:৪৩501654
  • @dc, আবারও, আপনার এই "ইউজার এক্সপিরিয়েন্স" এতটাই প্রিভিলেজড এবং সীমিত যে এগুলো কেন সারা দেশের জন্য অ্যানেকডোটাল হবে সেটাই মাথায় ঢুকল না। আমি অফিসের কাজে কলকাতা থেকে চেন্নাই গিয়ে ডিজিটাইজেশনের কল্যাণে বেশি ভাড়া দেওয়া থেকে বাঁচলাম - তাতে কার কী উপকার হল? যে পরিযায়ী শ্রমিক পশ্চিমবঙ্গ থেকে তামিলনাড়ু গেছে, সে চেন্নাই স্টেশনে নেমে উবার বুক করবে না - জিজ্ঞাসাবাদ করে একটা বাসে চড়বে। সেটার ভাড়া, গুগল ম্যাপের বহু আগে থেকেই, আমার জন্যও যা, সাম মিঃ মুরুগান বা আইয়ার এর জন্যও তাই, এবং কোনো সার্জের গল্প নেই (btw সার্জ সকলের জন্য সমান নাকি চেন্নাইতে? দারুণ তো - এখানে তো যখন যা পারে সার্জ নেয়, আবার একই ডেস্টিনেশনে একই সময়ে দুটো মোবাইল থেকে বুক করলে দুরকম ভাড়া দেখায়!)। সে ডিরেক্ট ট্যাক্স দেবার মত উপার্জনও করে না - ফলে আধুনিক ট্যাক্স সিস্টেমের সুবিধেও তার হাতের বাইরে। 
  • dc | 122.174.***.*** | ০৩ ডিসেম্বর ২০২১ ১৮:৪০501655
  • এই রে ডিসক্লেমার দিতে ভুলে গেছি, সরি চাইলাম। গুগল ম্যাপের ফলে যে ডিজিটাইজেশান হয়েছে তা শুধুমাত্র তাদের উপকারে আসে যারা গুগল ম্যাপ সংক্রান্ত পরিষেবা ব্যাবহার করে। ইনকাম ট্যাক্সামের ডিজিটাইজেশানের সুবিধাও শুধু তারাই পায় যারা ইনকাম ট্যাক্সাম দেয়। ইন্টারনেট প্রচলিত হওয়ার ফলে  যে ডিজিটাইজেশান হয়েছে তা শুধুমাত্র তাদের উপকারে আসে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এগুলো বলতে ভুলে গেছিলাম। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন