এই ভোটের ফল বেরোবার পর একইভাবে শ্রী দিলীপ ঘোষ, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের হিসেবটি বিস্মৃত হয়েছেন। সেটা প্রবেশ করালে চিত্রগুলি ফেটে পড়বে।
কি বলি বলুন, এলেবেলেবাবুর মত কয়েকজন বিজ্ঞ পন্ডিত এসব গুজব ছড়ান হেঁহেঁ। তা ওনার রামনাম গাওয়া টিয়াপাখি ভোটের পর ফুড়ুৎ হয়ে গেল। তাপ্পর উনি নিজেই রাম থেকে বাম হয়ে গেলেন হেঁহেঁ।
সলিড যুক্তি। জমাটি বিশ্লেষণ। এখন কে কার চেয়ে ক-ছটাক বেশি বাম, তার কম্পিটিশনটা থামলে বাঁচি!
মাত্রাতিরিক্ত হ্যাজানো, বামেদের দোষ না খুঁজে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর পুরনো অভ্যেস।।
তোমার থেকে এরকম লেখা আশা করি নি।
মাত্রাতিরিক্ত হ্যাজানো, বামেদের দোষ না খুঁজে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর পুরনো অভ্যেস।।
তোমার থেকে এরকম লেখা আশা করি নি।
তথ্যবহুল লেখা। শানিত যুক্তি। তবু কিছু কথা যুক্ত করার ইচ্ছে রইল। তার আগে আমাকেও একটু তথ্য ঘেঁটে দেখতে হবে।
ভেবেছিলুম, সিপিএম লুকিয়ে তৃণমূলে ভোট দিচ্ছে এই তথ্য বার করলে তৃণমূল পুষ্পবৃষ্টি করবে। কিন্তু, অভাগা যেদিকে চায়, সাগর শুকায়ে যায়! ইদিকে, সিপিএম-এর নোকেরা নুকিয়ে তিনুকে ভোট দিচ্ছেন এটা সিপিএম-এর কাচেও ভারি ইয়ে ক্যাইস, তাঁরাও মোন খুলে আনন্দো কোত্তে পাচ্চেন্নাকো। ভারি সমোস্সা চাদ্দিকে, জানেন্তো!
খুবই যুক্তিনিষ্ঠ লেখা। শেষের বাক্যটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিজে নিজের ভিতরের যুক্তিকে শানিয়ে তোলা এবং আবেগাশ্রয়ী মিথ্যেকে বুঝতে পারা এবং প্রশ্রয় না দেওয়া এখন আমাদের প্রধান কর্তব্য।
হিসেবটা আসন ধরে ধরে করলে অনেক ক্ষেত্রেই এই লেখার প্রতিপাদ্য চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। দেখি সেরকম কিছু আসনের ছবি পরে দেওয়ার চেষ্টা করব। তবে সেগুলো ২০১৬ র সাথে ২০১৯ এর রেজাল্ট তুলনা করে। ২০২১ এ অনেক হিসেব উল্টেছে।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে পৃথিবী উল্টে গেলেও তাতে ২০১৬ আর ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের অর্থ বিন্দুমাত্র বদলাবে না --- আমার এমনটাই ধারণা। তবু, নতুন তথ্যযুক্তি দিয়ে বিশ্লেষণ করতে চাইলে করুন না প্লিজ। সেটা সব সময়েই কাম্য।
প্রশ্নটা বুঝিনি। ২৬-টা আসন বামফ্রন্টের নয়, সিপিএম-এর একারই। তা থেকে বিজেপিতে চলে যাওয়া আসন ৯-টা নয়, ৬-টাই। লেখাটা ভাল করে পড়ুন। পুরো ২৬-টি আসনই বিজেপিতে চলে গেলে কী হতে পারত বা পারত না সে প্রশ্ন খুব প্রাসঙ্গিক বলে মনে হল না।
নো ভোট টু বিজেপি স্লোগানের বিরোধিতাকে বিজেপি সমর্থন বলেই মনে করি।
স্লোগান, পরিসংখ্যান সবই ইন্টারপ্রিটেশন নির্ভর।
তথ্য থেকে কীভাবে সত্যে পৌঁছতে হয় সেটা না শিখতে পারলে আমরা কোনও দিনই মৌলবাদী রাজনীতির সত্যিকারের বিরোধিতা করবার যোগ্য হয়ে উঠতে পারব না, শুধু 'আমি ওর পক্ষে আর তোর বিপক্ষে' বলে চেঁচিয়ে ক্ষুদ্র অর্থহীন হাস্যকর কলহে মাততে পারব।
তাহলে তে পৌঁছনোর পথ নিয়ে ঐকমত্য হতে হবে। জনমানস নিয়ে কি আর বাইনারি হয়, ইন্টারপ্রিটেশন, পারসেপশন সবই দেখতে হবে। সত্য কার কাছে কী, আর্বান আপওয়ার্ড মোবাইল অ্যাসপিরেন্ট, সম্পন্ন চাষী, চা বাগানে শ্রমিক - সবার সত্যও মিলতে হবে।
পরিসংখ্যান আর এমপ্যাথির মধ্যে দূরত্ব না থেকে যায়।
বুঝলাম, কিন্তু পরিসংখ্যান তো আর এমপ্যাথি দিয়ে তৈরি হতে পারবে না, কাজেই এমপ্যথিকেই পরিসংখ্যানের কাছে পৌঁছবার মত প্রশিক্ষিত হয়ে উঠতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গে বামেদের ভোট - কিছু গেছে বিজেপিতে, কিছু গেছে তৃণমূলে। আর কতদুরেই বা যাবে, কার কাছেই বা যাবে!
বামেরা লোকসভা আর বিধান সভায় শূন্য আসন পেয়েছে।এখন বামেদের ভোট রামের ঝুলি তে গেলো কি তিনো দের কাছে গেলো; এটা এখন বিরাট কিছু ইস্যু নয়। বরঞ্চ বামেদের ফান্ডিং নিয়ে আলোচনা চলতে পারে।
হাঃ হাঃ হাঃ - জব্বর বলেছেন কিন্তু !
এসবের চেয়ে অনেক সহজ তো বিশ্বাস করে নেওয়া যে "বাম ভোট রামে গেছে" - তাতে মানও বাঁচে, সময়ও। মানুষকে ভাল থাকতে দেবেন না?
ভোটবদল, আপনাকে বললাম
রৌহিন, আপনাকেও
সুহৃদ, ভাতৃপ্রতিম দেবাশীষের 'বাম--ভোট রাম হয়ে যাওয়ার গুজব' -- একটি পোস্ট ট্রুথ প্রোপাগাণ্ডা, একটি উৎসাহব্যঞ্জক আলোচনা, কৌতুহল উদ্দীপকও বটে। তবে সংখ্যার সিঁড়ি বেয়ে সিদ্ধান্ত উপনীত হতে আমার স্বস্তি হয়না। সংখ্যা খুব শয়তান, কখন যে কাকে কাত করে দেয় কেউই জানেনা। আমি কিন্তু দেবাশীষকে Statistical fool বলছিনা মোটেও। সে সেসব খুব জানে। তাইতো তার কথনে এত কিন্তু আছে। আসলে সংখ্যার উপর বাজি রাখা এক বৈজ্ঞানিক বিড়ম্বনা আর দেবাশীষ যে বৈজ্ঞানিক তা নিয়ে কোনো বিতর্ক হবেনা। যাক ওকে একটু বকে নিজের বকবকানি শুরু করি।
শুরুতে একটি ঘোষণা ও একটি প্রশ্ন --- ভোট কারো বাবার নয়, প্রশ্ন হলো -- বাম কয় কারে?
উত্তর হলো, প্রতিষ্ঠানকে যে প্রশ্ন করে ও যথাযথ উত্তর না পেলে যে ব্যক্তি বা সমষ্টি তার বিরোধিতা করে তাকেই বলে বাম। এই সংজ্ঞাই মোটামুটি স্বীকৃত।
চৌত্রিশ বছর ধরে আমরা দেবাশীষ বর্ণিত বামেদের দেখেছি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি রূপে। ভুলে গেছি মরিচঝাঁপি, বাইলাডিলা, বরানগর, এসপ্লানেড ইস্ট, সিঙুর, নন্দীগ্রাম, নেতাই, ধানতলা, বানতলা? বাম!! সে আমলে বন্ধ হয়েছে কয়েক'শ কারখানা। কোনো প্রতিবাদ হয়নি। বরংচ বাম পুলিশ প্রতিবাদীদের পিটিয়ে পোস্তা বানিয়েছে। মানে যারা মৃদু প্রতিবাদ করেছে। জলের দরে পাওয়া জমি শিল্পপতিরা ফ্ল্যাট বানিয়ে কোটি কোটি কামিয়েছে। শ্রমিকরা পি এফ, গ্রাচুয়িটি ইত্যাদি না পেয়ে চোখের জল ফেলেছে। জলাঞ্জলি গিয়েছে তাদের পরিবার। এনিয়ে আমার সংগে কেউ দন্ত বকশিত করতে আসবেননা। বত্রিশ বছর ডিঃ অব ফ্যাকটরিজে চাকরি করেছি। বাম!! সর্বশেষ কংগ্রেসের সাথে connivance, মুসলিম মৌলবাদীদের সাথে মাখামাখি এদের বাম নাম সত্য হায় করে দিয়েছে মানে বামত্ব বেমালুম মুছে দিয়েছে।
অবশ্য আমরা যারা ক্ষমতার এঁড়ে বাছুর নই, আজীবন এড়িয়ে গেছি তাকে সেরকম বামেদের একটা bias আছে। আমদের যখন ষোলো সতেরো, অর্থাৎ যে বয়সে মানুষ সবচে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হয় তখন পশ্চিম বঙ্গে প্রতিষ্ঠানের পাণ্ডা হলো সিপিএম। তাদের মৌরসীপাট্টা, মুরুব্বিয়ানা, গুণ্ডাগর্দি, হার্মাদি আচরণ আমাদের মতো বামেরা তাদের আজীবন নির্বাসন দিয়েছে। এমনকি ঐ দলের ক্যাডার যারা ক্ষমতার ক্ষীরের ভাগ পায়নি তারাও ক্ষেপে ছিলেন বিলক্ষণ। ঝোপ বুঝে মেরেছে কোপ। বলুন তো সিপিএম এন্ড কোং--এর ক্রিয়াকলাপ দেখে যারা বহুদিন তাদের ভোট দিয়েছে তারা কি বাম ভোটার? ষাট সত্তরের আন্দোলনের ঘি শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে? ঠকঠকালে পাবি কী? পশ্চিম বঙ্গে বামই বিদায় নিয়েছে বহুদিন, তো বাম ভোটারদের পরিযায়ী পাখা মেলা নিয়ে সংখ্যা তত্ত্বের পটপটানি।
বলবেনতো ভূমি সংস্কার ইত্যাদি ; সংস্কারী যদি বাম হয় তবে এক পিসও ডান নেই ভাই। যে সাথী, শ্রী--র সিরিয়াল নামিয়েছে দুমদাম তাতে মমতা তো মহাবাম। সে অর্থে বিহারের নীতিশের থেকেও 'বামেরা' কত বাম তা মাপতে হয় নিক্তিতে।
পশ্চিম বঙ্গে বহুদিনই সব ডান ভোট। বিভেদটা শুধু দলে। ঐ ইস্ট -- মোহন মার্কা আরকি! ভোট কাকে দি-- দাদু খায়, নাতি খায়..........
এরাজ্যে বাম ও বাম ভোটার বিলুপ্ত হয়েছে বহুদিন। দেবাশীষের তুলনা ২০১৬ ও ২১--এর মধ্যে। কিন্তু মাঝে একটা ২০১৯ আছে। সেখানেই বাম নামধারীদের ভোট জোট বেঁধে পড়েছে বিজেপিতে। বলছি নব্বইয়ের দশক থেকেই সিপিএমের ভোট সরতে শুরু করেছে। আজ তার গতিবিধির স্বরূপ সংখ্যায় সামলানোর চেষ্টা বৃথা।
দেবাশীষের দোষ নেই। বাম নামক একটি কল্পিত প্যারাডাইম নিয়ে পণ্ডশ্রম করেছে। বাম ভোটের গঙ্গাপ্রাপ্তি হয়েছে বহুদিন। আর ভোট কারো বাবার নয়।
২০২১--এ শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ শিয়রে শমন অনুভব করে 'নো ভোট টু বিজেপি' করেছে। বাকিরা কী করেছে বলা মুশকিল। তবে যে যেখানেই যাক বাম দিক থেকে কোথাও যায়নি।
আজ সিপিএমের ভোট কোথায় গেল তা ভগাই জানে!!!
অর্জুনদা, তোমার মতামত শ্রদ্ধা করি, এবং তোমার কর্মকাণ্ডকে আরওই শ্রদ্ধা করি। তুমি অতিশয় ব্যস্ত মানুষ, আমার লেখার মত তুচ্ছ বস্তু নিয়ে তোমাকে বিব্রত করতে রীতিমত অপরাধ বোধ হয়। কিন্তু, মন্তব্য করার সময় পেয়েছ বলেই সাহস করে জিজ্ঞেস করি, লেখাটি কি আদৌ পড়ে উঠতে পেরেছ?
লেখাটার মূল প্রশ্ন হচ্ছে যে ৩২% ভোট তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধীরা ক্ষয় করেছে (২০১৬ র ভোটের রেস্পেক্টে), সেটা কোথায় গেছে। সেটার জন্যে একটা হাইপোথিসিস হচ্ছে যে এট লিস্ট ১৬% তৃণমূলে গেছে। সেই হাইপোথিসিস প্রুভ করার উপায় হচ্ছে যে ২০১৬ সালের থেকে বামেদের ৬৭% সিট, এবং কংগ্রেসের সেরকমই কিছু একটা হবে, হিসেবে করিনি, তৃণমূলে গেছে।
প্রথম কথা হচ্ছে যে এই ভাবে গড় সিটের বেসিসে শতাংশের হিসেব করা মুশকিল, সেটা সকলেই জানেন। এই জন্যেই পিনাকী উপরে সিট ধরে ধরে ভোট শতাংশ দেখার কথা বলেছিলেন।
কিন্তু আমি সেই জায়গাটায় যাচ্ছিইনা। আপনি এই স্টেটমেন্ট টা দিয়েছেন: “ অর্থাৎ, এর মধ্যে প্রায় বিরাশি শতাংশ অবদানই যে অ-বাম দলের, সে নিয়ে বোধহয় আর কোনও কথাই হওয়া উচিত নয়।” এটা প্রথমে পড়ে মনে হবে সিট চেঞ্জে, (শতাংশ নয়, সিট চেঞ্জে) অবাম দল গুলির “অবদান" বেশী। এর মধ্যে একটা ফ্যালাসি আছে। অবদান কে যদি আপনি টোটাল সিটের মুভমেন্ট হিসেবে দেখেন, তাহলে অবশ্যই অ-বাম দল গুলির অবদান বেশী। কিন্তু ব্যাপারটা তো এরকম নয়, সিপিএম এর সিট ছিল ২৬ টা, এই নিয়ে ৭৪টা সিটে কি “অবদান” রাখা যেত? খুব বেশী হলে ৩৪% . যদি একজ্যাক্টলি সেটাই হতো, অর্থাৎ সিপিএম এর ২৬টা সিটই বিজেপিতে মুভ করতো, তাহলেও অ-বাম দলের “অবদান" হতো ৬৬%, যা সিগ্নিফিক্যান্টলি বেশী। সেই পরিস্থিতিতেও কি আপনি একই কথা বলতেন? “অবদান” তো সম্পদের শতাংশের হিসেবে গণনা হওয়া উচিত। সেটা যদি করেন, তাহলে দেখুন সিপিএম থেকে সিট মুভ করেছে ৬/২৬, টিএমসি থেকে ৪৮/২১১, দুটোই রাফলি ২৩% . এই হিসেবটা আপনি পরে দেখিয়েছেন, কিন্ত সেটা আপনার ওই স্টেটমেন্টটাকে কন্ট্রাডিক্ট করছে। সুতরাং ওই স্টেটমেন্টটা নিয়েই আপত্তি আছে আমার।
বেসিক দুটো প্রশ্ন: ১. তৃণমূলের ২০১৬ র ভোটব্যাংক অক্ষত আছে কিনা? ২. বাম ভোটাররা টিএমসিকে ভোট দিয়েছেন কিনা? ইন্টুইটিভলি প্রথমটার উত্তর না, দ্বিতীয়টার উত্তর হ্যাঁ। কিন্তু গড় সিটের হিসেব থেকে সেটা প্রমাণ করা শক্ত। যাকগে এই আলোচনায় আর শক্তিক্ষয় করবো না।
দেবাশীষ লেখাটা আমি তিনবার পড়েছি। তোমার প্রতিপাদ্য বিষয় বাম ভোট অধিকাংশ বিজেপি নয়, তৃণমূলে পরিবর্তিত হয়েছে। তুমি ২০১৬ ও ২০২১ --এর মধ্যে তুলনা করেছ। আমি বোধহয় আমার বক্তব্য স্পষ্ট করে বোঝাতে পারিনি। বাম ভোট বিজেপি বা তৃণমূলে যাওয়ার মধ্যে শুধু সংখ্যার অদলবদল নয়, মতাদর্শের পরিবর্তনও বোঝায়। সেই পরিবর্তন শুধু সংখ্যাতত্ত্বের নিরিখে ব্যক্ত হয়না। তার আরও গভীর তাৎপর্য থাকে যা আবার সংখ্যাকে প্রভাবিত করে। আমি বলতে চেয়েছি তোমার আলোচনার ভিত্তিটিই সঠিক নয়। বাম ভোট ডানে যায়নি। ডান ভোটই ডানে গেছে কারণ আশীর দশক থেকেই বাম আর বিন্দুমাত্র বাম নেই এ দেশে। সাংখ্যিক গণনের ক্ষেত্রেও এতে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়।
আমি এখানে শুধু শব্দের জাগলারি করতে যাইনি। আসলে' বাম' থেকে ভোটসিফ্ট শুরু হয়েছে ২০০৬ পরবর্তী পর্যায়ে বা তার একটি জোরদার প্রবণতা শুরু হয়েছে। তারই একটি অন্তিম রূপ দেখা যাচ্ছে ২০২১-এ। আমি বলতে চেয়েছি শেষ পাঁচ বছরের পরিসংখ্যান দিয়ে প্রকৃত চিত্র ধরা যাবেনা। ২০১৬-তে যে তৃণমূলী ভোট তার মধ্যেও প্রচুর তথাকথিত বাম ভোট ঢুকে আছে। আসলে অন্তত ভারতবর্ষে কোনো দলের ভোটব্যাঙ্ক বলে কিছু হয়না। বাম ভোট ও তৃণমূলী ভোটের কোনো মেরুকরণ হয়না। তাই পাঁচ বছর ভিত্তিক হিসাব প্রকৃত চিত্রের পরিচায়ক নয়।
sagnik,
আমি আর আপনি এতক্ষণ যা কথাবার্তা বললাম, তা থেকে মনোযোগী পাঠক সম্ভবত যা বোঝার বুঝে ফেলতে পারবেন। কাজেই, আর আলোচনায় শক্তিক্ষয় করবেন না বলে যে সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন, সেটা আমার মতে সঠিক --- আমিও একই সিদ্ধান্ত নিলাম।
অর্জুনদা,
তুমি শব্দের জাগলারি করছ এমন অভিযোগ মোটেই করিনি। আর, আমার লেখাটা পড়েছ কিনা এ প্রশ্নও মোটেই তোমার পড়াকে কটাক্ষ করার জন্য নয়, অপরাধ নিও না। আসলে, এ ব্যাপারে তোমার অবস্থান আমি জানি, এবং সেটা এখানে যেভাবে প্রকাশ পেয়েছে, তুমি আমার তথ্য-যুক্তি খুঁটিয়ে অনুধাবন না করলেও তা ওভাবেই প্রকাশ পেতে পারত --- এই জন্যে প্রশ্নটা করেছিলাম। যাই হোক, আমার যা বলার তা পরে বলছি, সবিস্তারে।