তুললাম, উইকেন্ডে সময় করে পড়বো বলে। আপনারাও পড়ুন যদি অলরেডি পড়ে না থাকেন।
পড়লাম। একটানেই। বেশ অন্যরকম লাগলো এইবারে। টুকটাক ন্যারেটিভ আর প্রচুর প্রচুর ডায়ালগ। কুশীলবদের খুব বেশি পরিচয়, বিবরণ দিতেই লাগে না, সংলাপেই মোটামুটি আলাপ হয়ে যায়। দরকার মত স্পীড বাড়িয়ে কমিয়ে যেখানে যা সাসপেন্স তৈরি করার, সমস্তই একেবারে লক্ষ্যভেদ করেছে।
যেটা বলার, গল্প পেরিয়ে এটা আমার কাছে একটা কন্টিনিউয়েশান লাগলো। এই কদিন আগেই লীলাময়ীর সংসারে ছোটাইদি লিখেছিল একটা লেখা বা গল্প কে কোথায় কিভাবে রিলেট করে সেই নিয়ে। এখানে গাবলু কিভাবে হিঙ্গুলিয়া কে রিলেট করলো, সেইটা একটা দেখার মত লেগেছে। সীডিং গ্রাউন্ড হিসেবে এসেছে রাজকাহিনীর গল্প, চেতকের গল্প, নোবল অ্যানিমাল এই ধরতাই গুলো। গাবলু বুলেট বাবার গল্পও শুনেছে, কিন্তু সেই গল্পের ভিত্তি , হাইওয়ের পেট্রন সেইন্টের মিথ ও মন্দির, অ্যাকসিডেন্ট থেকে রক্ষার গল্প, এসব পেরিয়েও সে তুচ্ছ হিঙ্গুলিয়ার জন্য একবিন্দু মমতায় দু ফোঁটা চোখের জল ফেলেছে এখানেই রাজকাহিনী জিতে গেছে জাস্ট একটা প্যারায়। তার জন্য কোন নির্মান লাগেনি, কোন আড়ম্বর লাগেনি।
প্রিয় শঙ্খ,
হ্যাঁ ঠিকই। এই গল্পটায় কোনো লেয়ার নেই, ইশারাময়তা নেই। শুধুই গল্পটার গতি আর চলন নিয়ে খেলার চেষ্টা করেছি। সংলাপ দিয়ে চরিত্র চেনানো আর বাইরের প্রকৃতি -এর বেশি কিছু করি নি- সাধারণ একটা সিনেমার দেখার অভিজ্ঞতার মত হোক ব্যাপারটা, পাঠক দেখুক গাড়ির বাইরে, গাড়ির ভিতরে, কল্পনায় আসুক সাঁ সাঁ গাড়ি চলার শব্দ, হর্ন, কখনও নিস্তব্ধতা, শেষের দিকে কাচ ভাঙার আওয়াজ, গোলাপজলের গন্ধ পাক- এইটা চেয়েছিলাম।
অশেষ ধন্যবাদ। এই দুর্দিনে গল্প পড়ে জানানোর জন্য। আমারই উত্তর দিতে দেরি হয়ে যাচ্ছে।