এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • ফজলুল হক | 213.162.***.*** | ২৯ মার্চ ২০২১ ১২:৫৩104192
  • "মমতার ওই মন্তব্যের পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ময়দানে নেমে পড়েছে সিপিএম। এমনকি, সেই সময় যে সব বামপন্থী মনোভাবাপন্ন যুবক-যুবতী বুদ্ধদেব এবং তাঁর বক্তব্যকে খারিজ করেছিলেন, তাঁরা নেটমাধ্যমে সরাসরি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইতে শুরু করেছেন। লিখছেন, ‘আপনি জিতে গিয়েছেন স্যর! আপনিই প্রথম চক্রান্তের কথা বলেছিলেন। আমরা কেউ শুনিনি। কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি, আপনিই ঠিক বলেছিলেন। আপনার কাছে ক্ষমা চাইছি’। ওই ঘটনার পর প্রথমদিকে বুদ্ধদেব বলার চেষ্টা করেছিলেন, হাওয়াই চটি পরা পুলিশের তত্ত্ব ‘বানানো গল্প’। চক্রান্ত। সোমবার সিপিএমের রাজ্য কমিটির এক নেতা বলেছেন, ‘‘বুদ্ধ’দা তো একাধিক বার এ কথা বলেইছেন। পাশাপাশি তিনি এ-ও বলেছিলেন, আগে জানলে পুলিশ পাঠাতেন না। পড়ে থাকত নন্দীগ্রাম আরও কিছু দিন। মুখ্যমন্ত্রী এ বার তো বুদ্ধ’দার কথাতেই সিলমোহর দিলেন! সত্যিটা বেশি দিন চেপে রাখা যায় না। তবে নন্দীগ্রামের মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর এত দিনের মিথ্যাচারের জবাব এ বার দেবেন ইভিএমে।’’"


    https://www.anandabazar.com/elections/west-bengal-assembly-election/wb-election-cpm-is-feeling-vindicated-after-mamata-banerjees-comment-about-nandigram-firirng-dgtl/cid/1273265


    আজ আমরা বুঝতে পারছি আমরা কী হারিয়েছি। Miss you sir!


  • দূর্বা | 2607:fea8:87a1:9d00:f8ed:5fa7:77c0:***:*** | ২৯ মার্চ ২০২১ ১৩:০৩104193
  • লেখক খুবই দয়ালু। হলদী নদীর কুমীরের প্রসঙ্গটি বাদ রাখলেন। কদিন আগেই ভুয়ো খবর ছড়ানোর বিপদ প্রসঙ্গে বলায় আমাদের ট্রোল নামক খেতাব জোটে। যাই হোক, এরপরেও যারা সিপিয়েমের নন্দীগ্রাম নিয়ে কথা বলা উচিত নয় দাবি করে আসছেন তারা এখনও হয়ত আবার কিছু কুযুক্তির অবতারণা করবেন। কিন্তু যা সর্বনাশ হবার তা হয়ে গেছে। লাভের গুড় অনেকে খেয়েছে। ক্ষতি শুধু নন্দীগ্রামের সাধারণ মানুষের।

  • সপ্রতিভ | 2409:4060:2110:949b::2b38:***:*** | ২৯ মার্চ ২০২১ ১৩:২৪104195
  • খুবই কঠিন অঙ্কে সিপিএম, তবুও সিপিএম, প্রবাসী সিপিএম, সকলেই মমতাকে খুবই বিশ্বাসভাজন মনে করে ফেলছে। 

  • রৌহিন | ২৯ মার্চ ২০২১ ১৩:৪৭104197
  • এমন সপ্রতিভ মতামত পেলে ভাল লাগে। মমতা যখন বহু বছরের মধ্যে হয়তো প্রথমবারের মত একটা সত্যি কথা বলে ফেলেছেন, তখন সেটাকে মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য এই আকুলি বিকুলি দেখে চোখে জল আসে।

  • Amit | 203.***.*** | ২৯ মার্চ ২০২১ ১৩:৫৯104198
  • কি আশ্চর্য। ২০০৭এর পরে মমব্যান যাই বলতেন , সুশীল সমাজ সেটাকেই ধ্রুব সত্যি মেনে নিয়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে আগুন ঝরাতেন. এদ্দিন তিনি একাই সততার প্রতিমূর্তি ছিলেন. আর আজকে কিনা তেনাকেই মিথ্যেবাদী প্রমানের চেষ্টা ? কাজটা এক্কেরে সপ্রতিভ লাগছে না .

  • dc | 2402:e280:2002:7c2c:88a6:cf41:235b:***:*** | ২৯ মার্চ ২০২১ ১৪:০১104199
  • এ তো সিঁড়িভাঙা অংকের থেকেও কঠিন! 

  • গৌরাঙ্গ হালদার | 213.165.***.*** | ২৯ মার্চ ২০২১ ১৪:০৮104200
  • সিপিএম সমর্থকেরা বৃথা নাটক করছে। গ্রামে গ্রামে সিপিএমের অত্যাচারের কথা বাংলার মানুষ আজও ভোলেনি। এই নির্বাচনে সিপিএম সেটা টের পাবে।

  • সপ্রতিভ | 2409:4060:2110:949b::2b38:***:*** | ২৯ মার্চ ২০২১ ১৪:২১104202
  • হয়তো প্রথমবারের মত একটা সত্যি কথা


    হয়তো। হুমম।

  • ইয়ে | 2402:3a80:a6f:d2b5:0:4c:f62c:***:*** | ২৯ মার্চ ২০২১ ১৪:৩৩104203
  • "এবারে দ্বিতীয় অভিযোগের প্রেক্ষিতে মমতা ব্যানার্জীর বক্তব্যকে দেখব। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, "বাপ-বেটার" নির্দেশ ছাড়া শুধু পুলিশ ঢুকতে পারত না ই নয়, ওই "চটি পরা পুলিশ", যাদের আমরা এতদিন সিপিএম এর হার্মাদ বাহিনী বলেই জেনে এসেছি, তারাও নাকি আদতে ওই বাপ বেটারই লোক।"


    এই চটি পুলিশ শুভেন্দুদের এটা কোথায় বলা একটু লিনক দেবেন?  


    আনন্দবাজারে এটা লেখা। 


    https://www.anandabazar.com/elections/west-bengal-assembly-election/wb-election-2021-tmc-supremo-mamata-banerjee-addresses-sisir-adhikari-and-suvendu-adhikari-as-back-stabbers-dgtld/cid/1273215


    এতে শুভেন্দুদের সাহায্য ছাড়া পুলিশ ঢুকতে পারতনা লেখা আছে।  চটিপুলিস ওদের সেটা কোথায় বলা?   


    অন্য কিছু বলে থাকলে, আবাপ ঠিকঠাক রিপোর্ট না করে থাকলে আলাদা কথা। হতেই পারে আপনর স্টেটমেন্ট ঠিক।আপনি অন্য কোথাও পড়ে শুনে থাকলে সেটা প্লিজ দিন।


    এছাড়া চটি পুলিস শুভেন্দুর হোক বা সিপিএম এর, এটা পড়ে তো এই সম্ভবনাও আসছে যে শুভেন্দু অন্যদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সাবোতাজ করেছে।  ইন ফ্যাক্ট বক্তব্য শুরুই তাই দিয়ে, যে বাপ ব্যাটা পিছন থেকে ছুরু মেরেছে।  শুভেন্দু আর সিপিএম এর একাংশ, পুলিশ গটাপ করে লোক মারিয়েছে,  এই সম্ভাবনা এই কথা থেকে আসতেই পারে।  


      এতো মনে হচ্ছে মমতা ইচ্ছে করেই ভোটের আগে নন্দীগ্রামকে ইস্যু করতে চাইছেন, শুভেন্দু যেটা প্রাণপণে ধর্মের ইস্যুতে খেলছেন। আর এই মন্তব্য করে এক ঢিলে শুভেন্দু সিপিএম মার‍্তে চেয়েছেন। ঐ লোকজনের মৃত্যুর জন্য এরা দুজনেই দায়ী বলে।


    এছাড়া, এই ঘটনার পর ৪ বছর সিপিএম তো ক্ষমতায় ছিল, গুলিচালনায়  সিপিএম বা বুদ্ধবাবুর দায় না থাকলে সেটা প্রমাণ করতে পারলেন না কেন?  বুদ্ধবাবুর স্টেটমেন্ট কি পাওয়া যাবে, গুলি চালানোর কোন নির্দেশ উপরমহল থেকে দেওয়া হয়নি?  পুলিশ নির্দেশ ছাড়া চালিয়েছে বা পুলিশ আদৌ গুলি চালায়নি?   সিবিয়াই এর রিপোর্ট্ব আছে,  গুলি চালানো ঠিক ছিল, বিশাল গ্যাদারিং এর জন্য। গুলি চালানোর নির্দেশ আসেনি বা পুলিশের গুলিচালানোয় মৃত্যু হয়নি, এসবও নেই কিন্তু।


    লক্ষ্মণ শেঠ জমি নেবেন না, একথা কোথ্যয় বলেছিলেন, দেখাতে পারেন?  


    ওই অনিচ্ছুকদের কৃষিজমি অধিগ্রহণ করেই শিল্প করতে হবে, এই নীতিও ঠিক ছিল আর সমর্থন করেন, বলছেন? 

  • পারমিতা | 1.23.***.*** | ২৯ মার্চ ২০২১ ১৪:৩৬104204
  • রৌহীন- আকুলি বিকুলি দেখে আমার বেশ মজা লাগছে..... যে দোষী সে নিজেই স্বীকার করে নিচ্ছে আর অন্যরা ডিফেন্ড করে যাচ্ছে।

  • S | 2405:8100:8000:5ca1::dda:***:*** | ২৯ মার্চ ২০২১ ১৫:০১104206
  • "বুদ্ধবাবুর স্টেটমেন্ট কি পাওয়া যাবে, গুলি চালানোর কোন নির্দেশ উপরমহল থেকে দেওয়া হয়নি?"
    হ্যাঁ আছে। আজকেই বোধয় এই সাইটেই কেউ পোস্ট করেছে সেই ভিডিও।

  • ইয়ে | 2402:3a80:a6f:d2b5:0:4c:f62c:***:*** | ২৯ মার্চ ২০২১ ১৫:০৯104207
  • 'প্রথম দফায় নন্দীগ্রামে পুলিশ ঢুকিয়েছিল শুভেন্দু।শুভেন্দুর পুলিশ চটি পায়ে হাওয়া খেয়ে বেড়াচ্ছিল।দ্বিতীয় দফায় গুলি চালাবার আদেশ দেন মমতা।তৃতীয় দফায় মমতার পুলিশের গণহত্যার পর প্রতিবাদে কলকাতার রাস্তায় নামে সিপিএম।চতুর্থ দফায় মমতা চিৎকার করেন,'পেড ব্যাক বাই দেয়ার ওন কয়েন্স!' পাশ থেকে পিকে টুইট করে জানান, ' নন্দীগ্রামে সূর্যোদয় হয়েছে!বলেছিলাম না?না হলে এই পদ ছেড়ে দেবো কথা ছিল!' পঞ্চম দফায় জোরদার জমি আন্দোলন সিপিএমের।ষষ্ঠ দফায় বিনয় কোঙারের নেতৃত্বে গঠন হয় ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির।জাহাজ বাড়ির মাথায় দাঁড়িয়ে সেখ সুফিয়ান ঘোষণা করে তিন দিক থেকে ঘিরে লাইফ হেল করে দেবো!সপ্তম দফায় কৃষিজমি কেড়ে নেবার প্রতিবাদে বামফ্রন্টের ঐতিহাসিক বাংলা বনধ।অষ্টম দফায় মমতা সরকারের পতন ও মূর্ছা!


    আট দফা ভোট বড়ো দীর্ঘ...'


    কে জানি একটা লিখেছেন। ঘুরছে। 

  • Amit | 203.***.*** | ২৯ মার্চ ২০২১ ১৫:১৪104209
  • হ্যা, নিশ্চয়। এখন এরকম অনেক হ্যাজ ই হোওয়াতে নামানো হবে গত দশ বছরের সততার প্রতীকের হাওয়াই চটি চাটার প্রতিদান মেটাতে.  

  • A Mukherjee | 2402:3a80:a6f:d2b5:0:4c:f62c:***:*** | ২৯ মার্চ ২০২১ ১৫:৩২104212
  • মমতা ব্যানার্জী, সিপিএম, বিজেপি এদের সবারই মনে রাখা উচিত মানুষ সবসময় amnesia তে ভোগে না। বিনয় কোনার এর হুমকি, নন্দীগ্রামের ৭ টি পঞ্চায়েত কে চারদিক থেকে ঘিরে লাইফ হেল করে দেবো, কিছুই আমরা ভুলিনি। ১৪ বছর পর যখন পশ্চিমবঙ্গে " খেলা " হচ্ছে, তখন সব ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল বিজেপি ও সর্বোপরি সিপিএম। নন্দীগ্রাম রাজ্য সরকারের দ্বারা সালিম গোষ্ঠীর জন্য বলপূর্বক জমি  অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে লড়াই ছিল। নন্দীগ্রামের কর্পোরেট বিরোধী কৃষক আন্দোলন  ভারতের কৃষক আন্দোলনের ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়।   নন্দীগ্রামের শহীদরা এখনও বিচার পান নি। সিপিএম এর মত একটা অধঃপতিত বামপন্থী দল যাদের মাসবেস এবারও বিজেপি কে ভোট দেবে, তারা মমতার বক্তব্যকে কাজে লাগিয়ে, তাদের দ্বারা সংগঠিত গণহত্যা থেকে পার পেতে চাইছে। ২৩৫ টা বিধায়ক নিয়ে ২০০৬ ক্ষমতায় আসা সিপিএম পরিচালিত রাজ্য সরকারের পুলিশ, বুদ্ধবাবু কথা না শুনে, এলাকার মাস্তান অধিকারীদের কথা শুনলো, এ কথা শুনলে বোধহয় ঘোড়াও হাসবে।

  • A Mukherjee | 2402:3a80:a6f:d2b5:0:4c:f62c:***:*** | ২৯ মার্চ ২০২১ ১৫:৩২104213
  • মমতা ব্যানার্জী, সিপিএম, বিজেপি এদের সবারই মনে রাখা উচিত মানুষ সবসময় amnesia তে ভোগে না। বিনয় কোনার এর হুমকি, নন্দীগ্রামের ৭ টি পঞ্চায়েত কে চারদিক থেকে ঘিরে লাইফ হেল করে দেবো, কিছুই আমরা ভুলিনি। ১৪ বছর পর যখন পশ্চিমবঙ্গে " খেলা " হচ্ছে, তখন সব ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল বিজেপি ও সর্বোপরি সিপিএম। নন্দীগ্রাম রাজ্য সরকারের দ্বারা সালিম গোষ্ঠীর জন্য বলপূর্বক জমি  অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে লড়াই ছিল। নন্দীগ্রামের কর্পোরেট বিরোধী কৃষক আন্দোলন  ভারতের কৃষক আন্দোলনের ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়।   নন্দীগ্রামের শহীদরা এখনও বিচার পান নি। সিপিএম এর মত একটা অধঃপতিত বামপন্থী দল যাদের মাসবেস এবারও বিজেপি কে ভোট দেবে, তারা মমতার বক্তব্যকে কাজে লাগিয়ে, তাদের দ্বারা সংগঠিত গণহত্যা থেকে পার পেতে চাইছে। ২৩৫ টা বিধায়ক নিয়ে ২০০৬ ক্ষমতায় আসা সিপিএম পরিচালিত রাজ্য সরকারের পুলিশ, বুদ্ধবাবু কথা না শুনে, এলাকার মাস্তান অধিকারীদের কথা শুনলো, এ কথা শুনলে বোধহয় ঘোড়াও হাসবে।

  • রৌহিন | ২৯ মার্চ ২০২১ ১৫:৫৭104216
  • ইয়ের জন্য ভিডিও লিঙ্কটা রইল। এর মাঝামাঝির দিকে মমতার বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপিং আছে। কী বলেছেন নিজেই শুনে নিন -


    https://www.facebook.com/100006467240897/posts/3664769567081915/

  • দীপ | 2402:3a80:ab0:75b6:88ae:4274:98b8:***:*** | ২৯ মার্চ ২০২১ ১৬:১০104218
  • আমাদের দেশে কোনকিছু কোনোদিন হয়নি। জরুরি অবস্থা জারি হয়নি, শিখদাঙ্গা হয়নি, বাবরি মসজিদ ভাঙেনি, গুজরাটে দাঙ্গা হয়নি! সব বিরোধীদের চক্রান্ত আর সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত! 


    ঠিক তেমনি রাজ্যেও মরিচঝাঁপি হয়নি, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম হয়নি, কামদুনি হয়নি! আর রুণু গুহ নিয়োগী তো সাক্ষাৎ চৈতন্যের অনুগামী ছিল, সেজন্য‌ই বাম আমলে পদোন্নতি হয়!

  • S | 2405:8100:8000:5ca1::50:***:*** | ২৯ মার্চ ২০২১ ১৬:১৬104219
  • স্বীকারোক্তি বোধয় এই প্রথম।

  • দীপ | 2402:3a80:ab0:75b6:88ae:4274:98b8:***:*** | ২৯ মার্চ ২০২১ ১৬:১৮104220
  • সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম কাণ্ডের সময় কি কি হয়েছিল, তার একটু লাইব্রেরি তে গিয়ে খবরের কাগজগুলো ঘাঁটলেই পাওয়া যাবে! "চারপাশ ঘিরে পেটাবো", "লাইফ হেল করে দেবো", কেউ ভোলেনি! স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, "They have been paid back by their own coin"। আর আজ নির্লজ্জ স্তাবক ভাবছে আমরা সব কিছু ভুলে গেছি! নির্বোধের ঔদ্ধত্য এখনো যায়নি! তবে চিন্তা নেই, এবারের নির্বাচনে সব যাবে! 

  • S | 2405:8100:8000:5ca1::853:***:*** | ২৯ মার্চ ২০২১ ১৬:২৫104221
  • ঠিক কথা। রাজ্যের দায়িত্বে থাকবে তিনো আর বিজেপিরা। আপনার এই স্বপ্ন সফল হোক।

  • দীপ | 2402:3a80:ab0:75b6:88ae:4274:98b8:***:*** | ২৯ মার্চ ২০২১ ১৬:৩০104222
  • দীপ | 2402:3a80:ab0:75b6:88ae:4274:98b8:***:*** | ২৯ মার্চ ২০২১ ১৬:৩১104223
  • দাবি তো অজস্র! কোনটা ঠিক?

  • রামো বামো! | 2402:3a80:a24:6744:0:46:3b38:***:*** | ২৯ মার্চ ২০২১ ১৬:৫৪104226
  • এহেহেহে, রাম রাম,  থুড়ি রাম বাম!  আবার প্রমাণিত হল, এরা কতবড় মিথ্যাবাদী!!  না জেনে ভুল বা ভুয়ো তথ্য ছড়ানো একরকম, জেনেশুনে ছড়ালে?   যাঁরা সেটা করলেন, তাঁরা কী? 


    মমতা তো শুনি বারবার বলছেন,  সিপিএম এর সঙ্গে যোগসাজোশের কথা। যারা গুলি মেরেছিল, সিপিএম এর লোকজন, হার্মাদ লোকজন, সিপিএম এর ক্যাডাররা পুলিশের ড্রেস পরে, হাওয়াই চটি পরে গুলি চালিয়েছিল, সেই কথা বলেছেন। সে কথা তো অনেকদিন ধরেই বলে আসছেন হার্মাদবাহিনী মেরেছে। আর জুড়েছেন, সেই লোকজনকে অধিকারীরা ঢুকতে দিয়েছিল। সিপিএম কে শুভেন্দু অধিকারী ডেকে এনেছিল। পুলিশকে ডেকে এনেছিল। সাজানো পুলিশদের ঢুকতে দিয়েছিল। শুভেন্দু কোন আন্দোলনই তখন করেনি, সেটা বলেছেন। সেইজন্য সিপিএম আর সবার বিরুদ্ধে কেস দিয়েছিল, শুভেন্দুদের বিরুদ্ধে একটিও কেস দেয়নি। 


    সেটা বুদ্ধবাবু জানতেন, সেকথাও বলেছেন।  উনি এখন রাজ্যের সিএম, কোথায় কী হচ্ছে  জানেন, সিএম কি জানতে পারেন সেটা বলেছেন।


    আরো নানা জায়গায় অধিকারীর সঙ্গে সিপিএম সেটিং এর কথা বলছেন।


    কেন কেস করা যায়নি, সিবিয়াই আসায়, তাও বলছেন।


    আনন্দবাজারের রিপোর্টিং ও ঠিক নেই।


    নিন, যাঁরাই এখানে আসবেন, ভাল করে শুনে নিন নিজেদের কানে। সিপিএম এর এইসব লোকজনের মিথ্যাচার আরেকবার নিজের কানে শুনুন, নিজের চোখে দেখুন!  


    https://www.facebook.com/watch/?v=558809755038084


     এখানেও শুনুন, 


    https://www.facebook.com/MamataBanerjeeOfficial/videos/472297554182832/

  • দীপ | 2401:4900:3a03:f884:640f:9d0b:882f:***:*** | ২৯ মার্চ ২০২১ ১৭:৪০104230
  •  
     

    রাজ্য

     

    ১০ বছরে নন্দীগ্রাম: কুছ অন্দর কি বাত

     

    By Bangla Desk

     

    March 14, 2017

     

    ২০০৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর লালগড় থানার ঝিটকার জঙ্গলে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণের তাজা ক্ষত সবে শুকিয়েছে। সেই বছরের নভেম্বর মাসের ১২ তারিখ, বিকেল চারটে নাগাদ আমার ইমিডিয়েট ‘বস’ পুলকেশ ঘোষের ফোন! তাঁর নির্দেশ, আমাকে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে বদলি করা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে।

    কেন আচমকা মাসের মাঝখানে আমাকে ওই জেলার দায়িত্ব? উত্তরে পুলকেশদার একটাই কথা, ‘এটা বরুণবাবুর (বরুণ সেনগুপ্ত) নির্দেশ। তোমাকে ওই জেলায় চটজলদি যেতে হবে। নন্দীগ্রাম বলে একটা ব্লক আছে, সেখানে নাকি জমি নেওয়া হবে, তা নিয়ে ভবিষ্যতে বড় আন্দোলন হতে পারে। তাই এখন থেকে তা নজর রাখতে হবে।’

    পুলকেশদার কাছ থেকে নির্দেশ পেয়ে একটু আধটু খোঁজখবর করে জানতে পারলাম, সিঙ্গুরে জমি আন্দোলন তখন তুঙ্গে, নন্দীগ্রামেও জমি নেওয়া হবে বাম মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সাধের কেমিক্যাল হাব গড়ার জন্য। বিষয়টি তখনও সেভাবে কোনও সংবাদমাধ্যমে আসেনি। তলে তলে নাকি হলদিয়ার বেতাজ বাদশা লক্ষ্মণ শেঠের সঙ্গে বুদ্ধবাবু সালিম গোষ্ঠীদের হাতে জমি তুলে দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এর বেশি কোনও তথ্য আর পাচ্ছিলাম না। কিন্তু বসের নির্দেশে আমাকে যেতেই হবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। হাতে সময় দেওয়া হয়েছে মাত্র চারদিন। অগ্যতা পরদিন মেদিনীপুরে বর্তমানের ক্যামেরাম্যান, আমার সব সময়ের সঙ্গী দেবনাথ মাইতিকে নিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজতে রওনা হই পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাসদর শহর তমলুকে। সঙ্গে অবশ্যই ছিল দেবনাথের সেই বিখ্যাত বাইক। ওই বাইকে চেপেই ফেব্রুয়ারি থেকে নভেম্বর, আমার ন’ মাসের মেদিনীপুর জেলায় কাজ করা। ঝিটকার জঙ্গলে সেই বাইকে চেপেই গিয়েছিলাম।

    মূল কথায় আসা যাক, এই ভূমিকা দেওয়ার কোনও দরকার ছিল না! আসলে নন্দীগ্রাম আন্দোলন নিয়ে অনেক বোদ্ধা, অনেক সংবাদপত্র প্রচুর কিছু ফাটিয়ে বেড়ায় তো, তাই বাংলার অন্যতম সংবাদপত্র বর্তমান যে এই আন্দোলনের অনেক আগে থেকেই নন্দীগ্রামের কথা তুলে ধরেছিল, সেটা অনেকেরই অজানা। তার উপর শিল্পের পক্ষে থাকা আনন্দবাজারের ঘন ঘন ভোল বদলও হয়েছে এই নন্দীগ্রাম আন্দোলন সম্পর্কে। আনন্দবাজারের সেই পালটি খাওয়ার কথায়ও পরে আসছি।

    ১৪ মার্চ পুলিশের গুলি চালনার কথায় আসার আগে পাঠকদের জেনে নেওয়া দরকার কেন সেদিন গুলি চলেছিল। তার উৎস কোথায়? তখনও নন্দীগ্রামের জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে আসেনি। ১৮ নভেম্বর বর্তমানের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করি। নতুন জেলা, তেমন কাউকে চিনি না জানিও না। জেলার ভূগোলও প্রায় অজানা। তবে ২০০৬ সালের বিধানসভা ভোটের কভার করতে গিয়ে দু’-একজনের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। তাতেই ভর করে কাজ শুরু। পরদিন ২০ নভেম্বর ওই জেলায় বর্তমানের চিত্র সাংবাদিক পার্থপ্রতিম দাস, মহিষাদলের সুমন মণ্ডলসহ আরও দু’-একজন সাংবাদিককে নিয়ে নন্দীগ্রামটা দেখতে গিয়েছিলাম। তবে সেদিন হলদিয়া হয়ে ঢুকেছিলাম। হলদিয়ার ঘাটে গাড়ি রেখে লঞ্চে করে নন্দীগ্রামের কেন্দেমারি ঘাটে গিয়ে পৌঁছয়। আগে থেকে স্থানীয় এসইউসিআইয়ের নেতাদের বলা ছিল আমাদের যাওয়ার কথা। কারণ, তখন একমাত্র এসইউসিআই নন্দীগ্রামের জমি না দেওয়ার আন্দোলন সংগঠিত করছিল। আর তাদের সঙ্গে আলাদা করে এই আন্দোলন সংগঠিত করছিল সিদ্দিকুল্লা চৌধুরির জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ।

    যাই হোক, বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ আমরা ওপারে কেন্দেমারি ঘাটে পৌঁছয়। সেখানে তখন এসইউসিআইয়ের ভবানী দাস সহ কয়েকজন অপেক্ষা করছিলেন আমাদের জন্য। আমাদের কথা মতো তাঁরা সেখানে একটি মশাল মিছিলও করেন। সেই মিছিলে ছিল হাতে গোনা মাত্র সাতজন। পরদিন বর্তমান পত্রিকা সেই ছবিও ছেপেছিল।

    সেদিনই ভবানী দাসের সঙ্গে পরিচয়। তিনি সবার অলক্ষ্যে আমার হাতে তুলে দিয়েছিলেন এক মোক্ষম অস্ত্র! তেমন কিছুই নয়। হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটি থেকে বের করে আনা সেই তথ্য। যাতে এইচডিএ-র চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসারের স্বাক্ষর করা সেই নথি। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে নন্দীগ্রাম ব্লকের ৯০টি মৌজার মধ্যে ৪৫টি মৌজার জমি কেমিক্যাল হাব গড়তে তুলে দেওয়া হচ্ছে সালিম গোষ্ঠীর হাতে। রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো সেই নথিতে উল্লেখ ছিল কোন কোন মৌজার কোন দাগ নম্বরে কত জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। একজন সাংবাদিকের কাছে এটা তখন একটা বড় হাতিয়ার আগামী বেশ কয়েকদিন ধরে ফলোআপ চালিয়ে যাওয়ার জন্য। হাতছাড়া করিনি। পরদিন সেই তথ্য সহ বর্তমানের প্রথম পাতার পেটে সবুজ তালিকা করে তা ছাপা হয়।

    সেই শুরু নন্দীগ্রামের কথা রোজ বর্তমানের পাতায় তুলে ধরা। প্রতিদিন একটি করে নতুন অ্যাঙ্গেলে সংবাদ ছাপা হচ্ছে, অন্যদিকে নন্দীগ্রামে জোরদার হচ্ছে জমি না দেওয়ার আন্দোলন। এমনকি তখনকার শাসক সিপিআইয়ের স্থানীয় বিধায়ক ইলিয়াস মহম্মদও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। দিন যত এগোচ্ছে, তপ্ত হতে থাকে নন্দীগ্রামের মাটি। এর মধ্যে এই আন্দোলনে নিজেকে জড়িয়ে নেন তৃণমূল কংগ্রেসের সদ্য উঠতি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রায় দিন তিনি নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন, সভা-সমাবেশ করছেন। মানুষের সঙ্গে মিশে যাচ্ছেন, আর পরদিন বর্তমানের পাতায় ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে।

    এর মধ্যে একদিন রাতে সিদ্দিকুল্লার সংগঠনের এক নেতা, পেশায় আইনজীবী একটি নথি তুলে দিয়েছিলেন। যা নন্দীগ্রামের আন্দোলনে এক ভিন্নমাত্রা যোগ করে। সিদ্দিকুল্লাদের সংগঠন প্রস্তাবিত অধিগৃহীত জমি সমীক্ষা করে জানতে পারে, ৪৫টি মৌজার প্রায় ৩৮ হাজার হেক্টর জমি সালিম গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ছোট-বড় ১২২টি মসজিদ-মন্দির ধ্বংস করতে হবে। বর্তমান পত্রিকায় এই প্রতিবেদনটি প্রথম পাতার অ্যাঙ্কারে ৬ কলাম জুড়ে ছাপা হয়েছিল।

    নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস জুড়েই তলে তলে আন্দোলন সংগঠিত হচ্ছিল নন্দীগ্রামে। ৩০ ডিসেম্বর নন্দীগ্রামে জমি অধিগ্রহণ হবে, এই সংক্রান্ত সভা করছিলেন তখনকার দোর্দণ্ডপ্রতাপ সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠ। সেই সভা থেকেই জমি না দেওয়ার প্রতিবাদের শ্লোগান উঠেছিল। কিন্তু, তাতে তিনি কোনও আমল দেননি। ভেবেছিলেন এতদিন যেভাবে জেলার মানুষ তাঁর কথায় উঠেছেন-বসেছেন। নন্দীগ্রামের জমিও তিনি সেই ভাবেই অধিগ্রহণ করবেন। কিন্তু, মানুষ যে তলে তলে ফুঁসছেন তা তিনি ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি। আর যা হয়, ২০০৭ সালের ২ জানুয়ারি সকালের বর্তমানে ছাপা হল, ‘আজ ৩ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে জমি অধিগ্রহণের নোটিশ ঝোলাবে হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথিরিটি’। নন্দীগ্রামের মানুষ সেই নোটিশ দেখার জন্য অপেক্ষা করছিলেন সিপিএমের একদা গড় গড়চক্রবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে।

    বেলা তখন একটা-দেড়টা হবে। আমার স্ত্রীর ১০২ জ্বর। তমলুকে থাকি। খবর এল নন্দীগ্রামে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। এর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বর্তমানের বর্ধমান অফিস থেকে পুলকেশদার ফোন। ওনাকে বললাম নন্দীগ্রামে গুলির খবরটা। আমাকে উনি বললেন, এখুনি বেরিয়ে যাও। আমি আমার স্ত্রীর প্রচণ্ড জ্বরের কথাটা বললাম। এটাও বললাম গোটা ঘটনাটা আমি তমলুক থেকে করে দিতে পারব। পুলকেশদার একটাই কথা… “দেখি তোমার চাকরি কী করে থাকে।” বলেই ল্যান্ডফোনটা খটাস করে রেখে দিলেন। সংবাদমাধ্যমের চাকরি, কোনও দিন স্থায়ী হয় না। অগ্যতা হাড় কাঁপানো ওই শীতে বেরিয়ে পড়লাম নন্দীগ্রামের দিকে। একটা অ্যাম্বাসাডর ভাড়া করে আমি, কলকাতা টিভির পাবক সাহু, কাজল মাইতি আর এনই বাংলার শুভময় জানার সঙ্গে রওনা দিলাম নন্দীগ্রাম। ঘটনাস্থল গড়চক্রবেড়িয়াতে গিয়ে দেখলাম নভেম্বর থেকে জানুয়ারি, নন্দীগ্রামের আন্দোলনটা বেশ একটা বড় জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। দেখলাম উত্তেজিত মানুষ কীভাবে পুলিশকে খেদিয়েছে নিজেদের বাস্তুভিটা রক্ষা করার জন্য। পুলিশ-প্রশাসনের ঢোকা আটকাতে চারপাশে রাস্তাঘাট কেটে দেওয়া হয়েছে। রাস্তার উপর ফেলে রাখা হয়েছে বড় বড় গাছের গুঁড়ি। রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ। গোটা এলাকা ঘুরে অফিসে যখন ফোনে শেষ খবরটা ধরালাম, তখন রাত সাড়ে দশটা বাজে। পুলকেশদা বললেন, আজকের মতো তমলুকে ফিরে যাও নাকি? এলাকার পরিস্থিতি দেখে ওনাকে বললাম, না আমি যাচ্ছি না, কাল সকালে তো আবার আসতেই হবে।

    সেই ৩ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে গিয়ে ২২ দিন পর তমলুকে ফিরেছিলাম। সেখানেই থাকার ব্যবস্থা করেছিলাম, একটা ঘরভাড়া নিয়ে। শীতের রাত, তাই পলাশ নামে স্থানীয় একটি ছেলে ডেকরেটর থেকে তোশক-লেপ ভাড়ায় জোগাড় করে দিয়েছিল। আমি-পাবক টানা ওই ঘরেই কাটিয়েছিলাম। সেই ৩ জানুয়ারিতে এলাকায় পুলিশের ঢোকা বন্ধ হল। আর কোনওভাবেই পুলিশ নন্দীগ্রামে ঢুকতে পারেনি। এদিকে এই ভূমি-মাটি দখলের আন্দোলন চলে গিয়েছিল অবাম-অতিবামদের নিয়ন্ত্রণে। অবাধ আন্দোলন-সভা-সমিতি হলেও, পুলিশ তার কিছুই জানতে পারেনি। শুধু আঁচই করতে পারছিল। এরই মধ্যে ঘটে যায় ৭ জানুয়ারি ভাঙাবেড়া ব্রিজে জমি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে খেজুরিতে ঘাঁটি করা সিপিএম কর্মীদের লড়াই। সেই গোলাগুলির লড়াইয়ে সেখ সেলিম সহ নন্দীগ্রামের তিন কিশোর-যুবকের মৃত্যু হয়। তালপাটি খাল থেকে তুলে আনা সেলিমের বাঁশে বেঁধে আনা ছবিটা আজও চোখের সামনে ভাসে। এই ঘটনার পর ৭ জানুয়ারিতে নন্দীগ্রাম এতিমখানায় বসে গঠিত হয় ‘নন্দীগ্রাম ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি’। তার আগে এই আন্দোলন হচ্ছিল অসংগঠিতভাবে।

    শুধুমাত্র সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠের কিছু ভুল পদক্ষেপের জন্যই নন্দীগ্রামে মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিলেন। আর নন্দীগ্রামের এই আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করতে এবং নন্দীগ্রামে আইনের শাসন কায়েম করতেই ১৪ মার্চ পুলিশকে সংগঠিতভাবে গুলি চালাতে হয়েছিল। যে ভুলের মাশুল গত ১০ বছর ধরে দিতে হচ্ছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য-বিমান বসু-সূর্যকান্ত মিশ্র-বিনয় কোঙারদের।

     
    Copyright @ kolkata24x7-Bengali News Portal
  • দীপ | 2401:4900:3a03:f884:640f:9d0b:882f:***:*** | ২৯ মার্চ ২০২১ ১৭:৪৩104231
  • জনৈক সাংবাদিকের বিবৃতি। এরপরও নির্লজ্জ স্তাবকেরা এই ঘটনার সমর্থনে লেখালেখি করতে থাকবে! এঁরা আবার নিজেদের বামপন্থী বলে!

  • S | 2a03:e600:100::***:*** | ২৯ মার্চ ২০২১ ১৭:৫১104232
  • না পড়েই লিন্ক দিলে এই অবস্থাই হয়। সেমসাইড করে বসে আছে।

    "শুধুমাত্র সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠের কিছু ভুল পদক্ষেপের জন্যই নন্দীগ্রামে মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিলেন। আর নন্দীগ্রামের এই আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করতে এবং নন্দীগ্রামে আইনের শাসন কায়েম করতেই ১৪ মার্চ পুলিশকে সংগঠিতভাবে গুলি চালাতে হয়েছিল। যে ভুলের মাশুল গত ১০ বছর ধরে দিতে হচ্ছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য-বিমান বসু-সূর্যকান্ত মিশ্র-বিনয় কোঙারদের।"

  • দীপ | 2401:4900:3a03:f884:640f:9d0b:882f:***:*** | ২৯ মার্চ ২০২১ ১৭:৫৭104233
  • পড়েই বলেছি।‌তা বাকিরা কি নিদ্রা দিয়েছিলেন? বিনয়ের বিনয়বচন আমরা ভুলিনি! আর মুখ্যমন্ত্রীর সেই অসামান্য কথা 


    "আমরা ২৩৫, ওরা ৩০। ওরা কি করবে? টাটাদের কেশাগ্র স্পর্শ করতে দেব না!"


    "They have been paid back by their own coin!"


    সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শ!

  • S | 2a03:e600:100::***:*** | ২৯ মার্চ ২০২১ ১৮:০০104236
  • এই রিপোর্ট তো বলছে লক্ষন শেঠ "ভুল" করেছিল। আর বাকী নেতারা জানতেন না। এমনকি পুলিশের গুলি চালানোকে জাস্টিফাইও করা হয়েছে। এটাই আপনারও মত ধরে নিচ্ছি। ওকে।

  • দীপ | 2401:4900:3a03:f884:640f:9d0b:882f:***:*** | ২৯ মার্চ ২০২১ ১৮:০৩104238
  • হুম, পুলিশমন্ত্রী কিছুই জানতেন না, শুধু এমনি এমনি গুলি চলল! কি হ‌ইতে কি হ‌ইয়া গেল!

  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন