একটা রাক্ষুসে উনোন। দাউ দাউ করে জ্বলছে। তার মুখের উপর বসানো বিশাল কালো একটা হাঁড়ি। দুধে ভরা। মেয়েটি সামনে দাঁড়িয়ে। কতই বা বয়স! ছোট্ট শরীর শাড়ীতে ঢাকা! আঁচল কোমরে জড়ানো। একটা মস্ত পিতলের হাতা দিয়ে দুধ নাড়ছে। একটুও তলায় ধরে গেলে আর রক্ষা নেই। ঠোঁট টিপে মন দিয়ে হাতা দিয়ে দুধ ঠেলছে। গনগনে আঁচ আর জৈষ্ঠ্যের দমচাপা গরমে ছোট্ট মুখটা তেতে লাল। গেল বছর অবধি এই সময়টা বাপের বাড়ি ছিল। কত মজাতেই না ছিল। মজার সেরা মজা পাঠশালে যাওয়া। কত্ত বই! নীতিকথা, ভূগোল ... অন্য মেয়েদের সংগে দুলে দুলে স্টুয়ার্ট সাহেবের বই থেকে বানান বলা... আর সেই রাজার বাড়ী যাওয়া। কি যেন নাম, হ্যাঁ মনে পড়েছে, রাজা রাধাকান্ত দেব। কি বিরাট বাড়ি! চকমেলানো, আবার কি সুন্দর ঝাড়লন্ঠন দুলছে। কত প্রশ্ন করল। এই বইটা পড় তো মা, এই শব্দের বানান কি হবে? দয়া কিন্তু একটুও ভয় পায়নি। পরিষ্কার গলায় সব প্রশ্নের উত্তর দিল। সেজন্য মেমসাহেবরা পরে কত আদর করল! আর কি সুন্দর উপহারও দিল!
কিন্তু উপহার পেয়ে কী-ই বা লাভ হল! এখানে সঙ্গে নিয়েও আসতে দিল না কেউ। মা বাক্সে ভোরে দিয়েছিল প্রথমে। কিন্তু পিসঠাকমা দেখতে পেয়ে কি বকুনিই না দিল মাকে! কেমন ট্যাঁক ট্যাঁক করে বলল, “দ্যাখো বাছা, মেয়েকে বিদ্যেধরী করতে চাইলে বে না দিলেই পারতে। মা-মেয়েতে কাশী বেন্দাবনে গিয়ে যা খুশি করতে, কেউ দেখতে আসত না। সে বাড়িতে বে দিয়েছ, সে আমার শউরের বংশ। মানী বাড়ি। মেয়ে বইখাতা ছুঁয়েছে শুনলে তারা ও মেয়েকে বাড়ির দোরই মাড়াতে দেবে না। তোমাদের সঙ্গে বাছা কাজ করতে যাওয়াই আমার ভুল হয়েছে। আমার বাপের কুলের নাম ডুবিয়েছ, মেয়েকে ইস্কুলে পাঠিয়ে। এবার কি আমার শ্বশুরকুলের কাছে আমার মান খোয়াবে? ” শুনে মা ঘোমটার আড়ালে কাঁদতে কাঁদতে সব বই বার করে দিল তোরঙ্গ থেকে। তুলে রাখল বাঁশের চালিতে। লেপ তোষকের মাঝে। যাতে সহজে কেউ খুঁজে না পায়। চুপি চুপি ওকে বলে দিল, “ও বাড়িতে গিয়ে আবার কাউকে বলে দিস না পাঠশালে যাওয়ার কথা। বলে দিলে আমার মরা মুখ দেখবি।“ মা’র মুখটা মনে পড়ে দয়ার চোখটা জলে ভরে এল। কান্না ভুলতে আরও জোরে জোরে হাতা নাড়তে লাগল।
***
উপরের অংশটা গল্প। তবে সত্যের ছায়া জড়ানো। সত্যিটা জানতে হলে অনেক কটা বছর আগে পিছিয়ে যেতে হবে। ১৮১৮ সাল। শ্রীরামপুর ছেড়ে পিয়ার্স দম্পতি কলকাতায় এসে বাসা বেঁধেছেন। সেখানে ছিলেন ব্রাদার লওসন। দুজনে মিলে কিনে নিয়েছেন মিসেস মুরের স্কুলটি। মার্থা পিয়ার্স আর মিসেস লসন মিলে চালাচ্ছেন সেই সেমিনারি। সেখানে আশেপাশের মেয়েদের জড়ো করে রেভারেন্ড কোরি এক জ্বালাময়ী বক্তব্য পেশ করলেন। বললেন, এদেশের মেয়েরা অন্ধকারে ডুবে আছে। কলকাতায় সাত লক্ষ হিন্দুর বাস। কিন্তু মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য একটাও স্কুল নেই। শিক্ষার অভাবে তারা তাদের স্বামীদের যোগ্য সহধর্মিনী হতে পারে না। চিরাচরিত প্রথা বিনা প্রশ্নে মেনে চলে। এমনকি তারা সতী হতে যায়। একমাত্র শিক্ষার আলোই এইসব ভয়াবহ প্রথা দূর করতে পারে। বছরে দশ হাজার মেয়ে এভাবে আত্মবলিদান করে। শিক্ষার মাধ্যমে কি একজন মেয়েকেও যদি চিতার আগুন থেকে বাঁচানো যাবে না? রেভারেন্ড কোরি মেয়েদের সাধ্যমত এগিয়ে আসতে ডাক দিলেন, যতদূর অবধি তাদের বাবা-মা-পরিজনেরা অনুমোদন করেন ততখানি কাজ করতে অনুরোধ করলেন। মেয়েরা স্বভাবতই ঝাঁপিয়ে পড়লেন। তৈরি হল ক্যালকাটা ফিমেল জুভেলাইন সোসাইটি ফর দ্য এস্টাবলিশমেন্ট এন্ড সাপোর্ট অফ দ্য বেঙ্গলি ফিমেল স্কুলস। উইলিয়াম পিয়ার্স তার অভিভাবক। ১৮১৯ সালের এপ্রিল মাসে। [1]
বাংলার মাটিতে “মেয়েদের স্কুল” এই প্রথম না। আগের শতকেই তৈরি হয়েছে মিলিটারি অরফানেজ স্কুল। নামেই পরিচয় বোঝা যায়। কিয়েরন্যান্ডার সাহেবও পড়তে বসিয়েছেন মেয়েদের। এছাড়াও আরও অনেক প্রাইভেট স্কুলও ছিল। কলকাতায় এবং আশেপাশে। শ্রীরামপুরের হানা মার্শম্যানই চালাতেন তেমন একটি মেয়েদের বোর্ডিং স্কুল। পরে তো কলকাতায়ও মার্শম্যান খুলেছেন বেনেভোলেন্ট ইন্সটিটিউশন, মেয়েদেরও শাখা আছে তাদের। তবু সেসব স্কুলে আসা-যাওয়া মূলত খ্রিস্টান মেয়েদের। হয় তারা খাঁটি ইউরোপিয়ান আর নাহলে ইউরোপিয়ান, এদেশির মিশ্ররক্তের। খাঁটি দেশজ হিন্দু মেয়েদের জন্য আলাদা করে ভাবে নি কেউ।
অবশ্য একেবারেই ভাবেন নি এটা বলা ভুল। কেরি, মার্শম্যান আর ওয়ার্ড, বিখ্যাত শ্রীরামপুরের ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর ভেবেছিলেন। তাঁদের দেওয়া ১৮১৭ সালের রিপোর্টে[2] বলা আছে যে তাদের তৈরি কোন কোন এদেশীয় ছাত্রদের পাঠশালায় এক দুজন মেয়েরাও পড়তে আসে। চটের পর্দার ওপারে বসে পড়াশোনা করে। তবে মেয়েদের পড়াশোনার প্রয়োজনীয়তা বুঝেও সাহেবরা তখনও দ্বিধান্বিত। ছেলে-মেয়েদের মেলামেশার চল নেই যে এদেশে! এদিকে শুধু মেয়েদের স্কুলে চালানোর মত ছাত্রী কোথায়?
এছাড়াও আরও অনেক খ্রিস্টান মিশন তখন দিকে দিকে মেয়েদের স্কুল খুলছে। তাদের মধ্যে অন্যতম লন্ডন মিশনারি সোসাইটি। রেভারেন্ড মে চুঁচুড়াতে মেয়েদের স্কুল খুলেছেন। সময়টা বোঝা সমস্যা। আরও বিবিধ মিশন আছে। বিভিন্ন লোকের লেখায় বিভিন্ন তথ্যের চক্করে কে কখন কোথায় আর কে আগে, কে পরে সেটা প্রামাণ্য ভাবে ঠিক করতে পারাই শক্ত।
রেভারেন্ড কোরির বক্তৃতাও অবশ্য তথ্যগত ভাবে খুবই ভুল। বাংলায় বছরে দশ হাজার মেয়ে মোটেই সতী হতেন না। বাংলায় ১৮১৮ সালে সতী হয়েছেন ৬৩২ জন। তবে এই ক্ষেত্রে অন্তত সেই ভুল প্রোপাগান্ডার ফল হল ভাল। তৈরি হল মেয়েদের স্কুল। গৌরিবাড়িতে। নাম দ্য জুভেনাইল।
মিঃ কোরির চিঠিতে বলা আছে, a few Hindu girls have lately met together to receive instruction in the city, and assured a learned native, with whom we are acquainted, that if any person would provide for their instruction, they knew that besides themselves, 8 or 10 more would willingly attend. এই দেশি পন্ডিত কে তা জানা নেই। প্রথম স্কুলে কজন উপস্থিত ছিল তারও সন্ধান মেলেনি। তবে ১৮২১ ডিসেম্বর মাসে জন স্ট্যাথাম সোসাইটির দ্বিতীয় বার্ষিক সভায় উপস্থিত ছিলেন। তার স্মৃতিকথা[3] থেকে জানা যায় যে শুরুর দুই বছরের মধ্যে সে স্কুলে ৩২ জন ছাত্রী, বড় ছোট মিলিয়ে। কয়েকজন পাঁচ বছরের আর সব থেকে বড় ছাত্রীটি তিরিশ বছরের। তাদের মধ্যে অনেকেই সহজ বই পড়তে শিখে গেছে। এই মেয়েদের দুজন ব্রাহ্মণ, চারজন কায়স্থ, সাতজন বৈষ্ণবের পাশে পাশে চারজন বাগদী আর চারজন চাঁড়াল, বাকীরা আর আর জাতের। সবাই পাশাপাশি বসে পড়াশোনা করছে।
তখনকার সমাজ কি ঠিক এতখানিই উদার ছিল ? নাকি এঁরা সকলেই এসেছিলেন নিতান্ত দরিদ্র পরিবার থেকে? সমাজের সেই স্তরে জাত নিয়ে বজ্জাতি কম ছিল? অবশ্য আরও অনেকদিন পরে বিপিনচন্দ্র পাল “সত্তর বৎসর” বইতে লিখেছেন তার গ্রামের পাঠশালায় হিন্দু মুসলমান পাশাপাশি বসে পড়াশোনা করে। আরও বলেছেন জল-অচল জাতের লোকেরাও তাদের গ্রামে অস্পৃশ্য ছিল না। তাদের কোলে পিঠে চড়লেও মোটেই স্নান করতে হত না। হয়তো জাতিভেদের ছবির তীব্রতা অঞ্চলভেদে আলাদা হত। অবশ্য আরও একটা কথা ভেবেও আশ্চর্য লাগে। সাহেবরা সতীদাহ প্রথা উচ্ছেদের টানে হিন্দু মেয়েদের নিয়ে ভাবতে বসলেন। কিন্তু মুসলমান মেয়েদের কথা ভাবলেন না। একি শুধুই দুর্ভেদ্য জেনানা অবরোধের কারণে নাকি বিভেদ-রাজনীতির কল?
এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত স্কুলের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তৈরি হয় শ্যামবাজারে লিভারপুল স্কুল, এন্টালিতে সালেম স্কুল, চিৎপুরে বার্মিংহাম স্কুল ( ১৮২২ জানুয়ারি ) , কাশীপুরের গ্লাসগো স্কুল ( ১৮২২ ডিসেম্বর) , মেজ পন্ড স্কুল ( ১৮২৩ জানুয়ারি), ব্রডমীড স্কুল( ১৮২৩ অক্টোবর) ইত্যাদি। স্কুলের নাম পৃষ্ঠপোষকদের বাসস্থান অনুসারে। ১৮২৩ সালের রিপোর্টে পাওয়া যায়, সাতটি স্কুল আর সব মিলিয়ে ১৬০ জন ছাত্রীর দায়িত্বে ছিল সোসাইটি। পড়তে শেখা, লিখতে শেখার পাশাপাশি অভিভাবকদের অনুরোধে সেলাই শেখানোও শুরু হয়। প্রথম থেকেই রাজা রাধাকান্ত দেব প্রমুখেরা এই প্রয়াসের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন । রাজার অনুপ্রেরণায় গৌরমোহন বিদ্যালঙ্কার লিখলেন স্ত্রীশিক্ষাবিধায়ক, নারী শিক্ষার গুণ গেয়ে। ১৮২২ সালে সকলের সামনে দেশি ছাত্র ছাত্রীদের পরীক্ষা নেওয়া হল। মেয়েদের বই পড়ে শোনানো আর বানানজ্ঞান দেখে রাজা রাধাকান্ত দেব এবং আরও উপস্থিত মান্যগণ্যরা খুব খুশিও হলেন।
স্কুল তো হল, কিন্তু পড়াচ্ছে কে? এই প্রসঙ্গেই জানা যায় রাইমণির কথা। ১৫ বছরের মেয়ে। সে মোটামুটি ভাল পড়তে পারে। সে আগে একটি দোকানে হিসেব রাখত। তার সামাজিক অবস্থানটি এই কথাতেই বোঝা যায়। মেমসাহেবরা তাকে আর তার বিধবা মাকে লিভারপুল স্কুলের দায়িত্ব দিলেন। কুড়িটি বাচ্চা পড়ে সেখানে। রাইমণির কথা আর কিছু জানা যায় না। অবশ্য এই সূত্রেই আসে আরও এক নাম-না-জানা মহিলার কথা যিনি তার উনিশ বছরের কন্যার সঙ্গে একযোগে এন্টালির সালেম স্কুলের দায়িত্ব নিয়েছেন। অন্য স্কুল গুলিতে কারা পড়াতেন? কি নাম, তাদের জাত কি ছিল এইসব কৌতুহল থেকেই যায়। সেই সঙ্গে মনে প্রশ্ন জাগে। মেয়েদের বাড়ির বাইরের কাজ, যাকে আমরা আজকের ভাষায় বলি হোয়াইট কলার জব, এই বাংলায় তার প্রথম দিককার পথিকৃত কি রাইমণিসহ এইসব মহিলারাই ? আর কিছু না হোক, পরের জমানার অনেক উমার ( পৌষ ফাগুনের পালা ট্রিলজির ) নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পথ করে দিলেন।
ততদিনে হানাও শ্রীরামপুরে তৈরি করে ফেলেছেন শ্রীরামপুর নেটিভ ফিমেল এডুকেশন সোসাইটি। ১৮২৪ সালে শ্রীরামপুর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় তাদের স্কুলের সংখ্যা ১৪, ছাত্রী ২০০ জন। ১৮২৩ সালে এই সোসাইটি মিশে যায় নতুন তৈরি হওয়া বেঙ্গল ক্রিশ্চিয়ান স্কুল সোসাইটির সঙ্গে। স্কুল দেখাশোনার ভার নেন মিসেস কোলম্যান। ১৮২৪ সালে তাঁর আওতায় ১১টি স্কুল, ২৩০ জন ছাত্রী। সে বছর সর্বমোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৪০০, ফ্রেন্ড অফ ইন্ডিয়ার খবর অনুসারে। শুধু কলকাতার ধারেপাশে আটকে না থেকে ঢেউ ছড়িয়ে পড়ছিল বর্ধমান, কটক, মুঙ্গের, ঢাকা, চট্টগ্রাম ইত্যাদি বাংলার দিকে দিকে। বিন্দুতে সিন্ধু হলেও, সলতে পাকানোর জন্য যথেষ্ট।
তবু সলতে ধরানো গেল না সে যাত্রা। এই বেঙ্গল ক্রিশ্চিয়ান স্কুল সোসাইটি খুব বেশিদিন চলে নি। ইতিমধ্যে ১৮২১ সালের নভেম্বর মাসে কলকাতা এসে পৌঁছান মিস কুক, যিনি পরে মিসেস উইলসন বলে পরিচিত হবেন। নারীশিক্ষার ব্যাটন নিজের হাতে তুলে নিলেন। পূর্ণ উদ্যমে নতুন নতুন স্কুল খুলতে থাকেন। তারপর তিনিও হাল ছাড়লেন। সে কথা আরেক দিনের জন্য তোলা থাক।
[1] মেমোয়ার্স অফ দ্য রেভারেন্ড ডাব্লিউ এইচ পিয়ার্স
[2] The First Report of the Institution for the Encouragement of Native Schools in India –
[3] Indian Recollection
খুব বড় কাজ করছেন আপনি। আমার শুভেচ্ছা ও পড়ার আগ্রহ নিরন্তর।
এই লেখাগুলো খুব ভালো। এইগুলো নিয়ে একটা সিরিজ হলে খুবই কাজের কাজ হবে।
ধন্যবাদ জানাই।
চলুক চলুক
খুব ভালো লাগলো। ইনক্লুসিভ শিক্ষার প্রচলন হয়নি বলে বিদ্যাসাগরকে দোষারোপ করছেন আজকাল অনেকে। আমার ধারণা রিফর্ম আর রেভোলিউশন তো এক নয়। প্রথমটায় চুইয়ে পড়ে পরিবর্তন, দ্বিতীয়টায় ঝড়াকসে আমূল পালটে যায়। এখন ঔপনিবেশিক শাসনে, অন্যের দয়ায়, যে পরিবর্তন চুইয়ে এল এবং ক্রমাগত যা ফোঁটা ফোঁটায় নেমে আসবে অনেকদূর অব্দি তাকে কি স্বাগত জানাব? অসম্ভ্রান্ত গরীব শিশুকন্যার সবাই কি আজও সমশিক্ষার অধিকারী ?
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। সিরিজ হবে কিনা তা জানা নেই। তবে আরও কিছুটা লেখার ইচ্ছে আছে, রসদ জোগাড় করতে পারলে। আপনাদের কথা উৎসাহ দিল।
@প্রতিভা দি, যে সমাজ যেমন তারা তেমনই সিস্টেম পায়। আমাদের ফিউডাল মানসিকতায় কি আর সব স্তরে সমভাবে কোন কিছুই পাওয়া যায়? একা বিদ্যাসাগর বা বেথুনকেও দোষ দিয়ে লাভ নেই তো। কার্য কারণ খতিয়ে দেখা দরকার। ইচ্ছে আছে এই নিয়েও লেখার পরে।
এই লেখাটা আগেরটার থেকে বেশি ভালো লাগল। স্বাতীদি তুলনামূলক অপরিচিত জায়গায় দুর্দান্ত আলোকপাত করেছেন। আমিও চাই এটা একটা পূর্ণাঙ্গ সিরিজ হিসেবে আসুক।
নারী শিক্ষার বিবর্তনের ইতিহাস নতুন চোখে তৈরি হওয়ার পথে। এত ভালো একটা কাজ করছেন তার জন্য কুর্নিশ।
লেখা টা বেশ ভালো হয়েছে। চালিয়ে যা
এতো সবে শুরু। চলতে থাকুক। অনেক কিছু জানা যাবে।