

আমাদের কর্ম বা অপকর্মের অন্ত নেই। নিয়মিত সাইট চালিয়ে যাওয়া, সাইটকে একটি সামাজিক মাধ্যম হিসেবে তৈরি করা, এ তো দেখাই যায়। সঙ্গে আছে হরেক রকম লেখালিখি, বইপত্তর ছাপাছাপি, বইমেলার বাৎসরিক মোচ্ছব। সেমিনার-ওয়েবিনার, সুপারহিট অডিও-ভিডিও। কলেজ স্ট্রিটে হয়েছে নিজস্ব একটি বইঘর। ক’ বছর আগে ভাবলেও যা আশ্চর্য লাগত, এই কোভিডের বাজারে আমরা এমনকী মানুষকে কাজও দিচ্ছি। স্থায়ী এবং অস্থায়ী দুইই। আরও আশ্চর্য এই, যে, আমরা ঠিক এখানেই থেমে যাব ভাবছি না। বাড়ছি যখন বেড়েই চলব, এই আমাদের এই পর্যায়ের স্লোগান।
বলাই বাহুল্য, এসব কাজের কোনোটাই বিনামূল্যে হয় না। কুড়িয়ে বাড়িয়েই আমাদের চলে গেছে। বইয়ের জন্য পেয়েছি দত্তক। সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়েছেন বন্ধুরা। তা ছাড়া এর কোনোটাই করা যেত না। কারণ, লাভ করার কোন উদ্দেশ্য আমাদের নেই। ঘোষিতভাবেই। ফলে কুড়িয়ে বাড়িয়েই আমাদের চলে, এবং সে কথা স্বীকার করতে আমরা গর্ববোধ করি।
কিন্তু যে গতিতে আমরা এগোচ্ছি, তাতে ট্যাঁকে ইতিমধ্যেই কিছু ফাটল দেখা যাচ্ছে, এবং ভবিষ্যতের কর্মকাণ্ডকে সাফল্যমণ্ডিত করতে গেলে তো অবশ্যই আরও অর্থ প্রয়োজন। যদি আরও মানুষকে কাজ দিতে হয়, যদি গুরুচন্ডালিকে বাংলা ও বাঙালির নিজস্ব সামাজিক মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়, যদি কলেজ স্ট্রিটে একটি আস্ত পূর্ণাঙ্গ দোকান নিতে হয়, যদি ই-বইয়ের নিজস্ব একটি বণ্টনব্যবস্থা বানাতে হয়, এরকম আরও হরেকরকম কিছু, যা যা বাকি, যদি সেগুলি দ্রুত করে ফেলতে হয়, তবে, তার জন্য নিঃসন্দেহে ইঞ্জিনের প্রয়োজন অনেক বেশি জ্বালানি।
এমতাবস্থায়, আমরা যা করি, এখনও তাই-ই করছি। এ গুরুভার বহনের দায়িত্ব আপনার হাতে ছেড়ে দিচ্ছি। যদি আপনি গুরুর পাঠক হন, যদি আপনি গুরুকে ভালোবাসেন, যদি চান গুরু ফুলে ফলে পল্লবিত হয়ে উঠুক, তবে অবিলম্বে গুরুর গ্রাহক হন, গুরুভারের কিয়দংশ বহন করুন। এতে ভয়াবহ কিছু চাপ আপনার উপর পড়বে এমন না, কিন্তু একসঙ্গে একলক্ষ পিঁপড়ে জড়ো হলে একটি হাতিকেও টেনে নিয়ে যাওয়া যায়, এই আমাদের বিশ্বাস। আপনিও এই বিঃশ্বাসের অংশীদার হন, এইটুকুই দাবি।
গ্রাহক হবার বিনিময়ে আপনি কী পাবেন, সেটাও এখানে পরিষ্কার করে বলে দেওয়া দরকার। গুরু কিছু ই-বই এবং কিছু ই-পত্রিকা প্রকাশ করে চলবে। এখনও পর্যন্ত সেগুলি অ্যামাজন বা গুগলের দোকানে পাওয়া যায়। এর পর থেকে পাওয়া যাবে গুরুর সাইটেই। আপনি সেগুলি এমনিতে কিনে পড়তে পারেন। কিন্তু গুরুভার বহন করলে তার সব কটি, বা কয়েকটি আপনি পড়তে পাবেন বিনামূল্যে। বিশদ বিবরণ গুরুভারের পাতায় পরে দিয়ে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, আমরা প্রথম ই-পত্রিকাটি প্রকাশ করতে চলেছি আজই। গুরুচণ্ডা৯-ইর দেবেশ রায় সংখ্যা। এটি অবশ্য আপনি গ্রাহক না হলেও পড়তে পারবেন। কিন্তু পরবর্তী বইগুলি পড়ার জন্য গ্রাহক হতে হবে ।
এটি প্রাপ্তির একটি দিক মাত্র। গুরুর সঙ্গে যাঁরা দীর্ঘদিন জড়িয়ে আছেন, তাঁদের সঙ্গে গুরুর তো ঠিক দাতা-গ্রহীতার সম্পর্ক নয়, ফলে বিষয়টা ঠিক অর্থনৈতিক দেনা-পাওনার নয়। টাকাপয়সার বেশ কয়েকটি ধাপ রাখা হয়েছে। আপনি যতটা পারবেন ততটাই দেবেন, এইটুকু আশা করেই। গুরুচন্ডা৯ একটি কমিউনিটি, বহু মানুষের আবাসস্থল। বিনিময়মূল্যের কারখানা নয়। সেই কারণেই গুরুর অন্যান্য সমস্ত লেখা, বরাবরের মতই উন্মুক্ত থাকছে এবং থাকবে। যাঁরা সঙ্গে থাকবেন, তাঁরা বিনিময়ে কী পাবেন তার তোয়াক্কা না করেই থাকবেন, এ আমরা নিশ্চিত জানি।
বাংলা ভাষায় গুরু অনেক কিছুতেই প্রথম। অবাধ কমিউনিটি থেকে দত্তকের ধারণা পর্যন্ত। বিষয়টিকে আমরা আরও কয়েক ধাপ সামনে এগিয়ে জনতার দ্বারা তৈরি জনতার মাধ্যম হিসেবে গুরুকে দাঁড় করাতে চাইছি। উইকিপিডিয়া ইত্যাদির ক্ষেত্রে এ ধরণের নিরীক্ষা কিছু হলেও, বাংলা সামাজিক মাধ্যম, প্রকাশনা এবং ওয়েবজিন হিসেবে গুরুর এই পরীক্ষানিরীক্ষা আমাদের জানামতে প্রথম। আর কেউ এ পথে হেঁটেছেন কিনা আমরা জানিনা, খুব সম্ভবত নয়। তাই কারও অভিজ্ঞতা থেকে শেখার সুযোগ আমাদের নেই। এই নতুন দ্বীপভূমিতে আমরাই প্রথম অভিযাত্রী। এ রাস্তায় পরে হয়তো অন্য কেউও হাঁটবেন, কিন্তু রাস্তা তৈরির দায়িত্ব আমাদেরই। একেই আমরা বলি গুরুদায়িত্ব। এই গুরুদায়িত্বের গুরভার বহনে গুরুভাই, ভগিনী, যাবতীয় চণ্ডালরা সঙ্গে থাকুন।
গুরুভার বহনের লিংক। বিশদে দেখতে হলে ক্লিক করুন।
anandaB | 50.125.***.*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৭:১৮101139সবই ঠিক আছে , শুধু একলক্ষ পিঁপড়ে একটা হাতি কে কিছুতেই টেনে নিয়ে যেতে পারবে না , এমনকি হাতির বাচ্চা কেও নয় ..... কোটিখানেক হলে অবশ্য অন্য ব্যাপার , হাতির বাচ্চা টা ম্যানেজ হয়ে যেতে পারে :)
সম্বিৎ | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৭:৫৬101140একাকালীন, বা বাৎসরিক অপশান থাকলে বুড়ো পিঁপড়েদের সুবিধে হত। একবার হেঁইও বলে টান দিয়ে বছরখানেক জিরিয়ে নিতে পারত।
হ্যাঁ, এককালীন বা বাৎসরিক ব্যবস্থা হোক।
সম্বিৎ / কৌশিকের সঙ্গে একমত ...
সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৯:২৪101143এককালীন বা বাৎসরিক খুব সম্ভবত দেওয়া যাবে। দেখা হচ্ছে।
Pinaki | 136.228.***.*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ১৮:৪০101153এককালীন অপশন জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে অসুবিধে হলে গুরুর ইমেলে বা আমার ব্যক্তিগত ইমেলে (pinakimitra74 অ্যাট জিমেলে) বা গুরুর ফোন নম্বর +919330308043 তে ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপ করে জানালেও হবে।
Saswati Basu | ১৮ ডিসেম্বর ২০২০ ১৩:৩৩101164এককালীন অপশনটা দেখছি আছে ।ধন্যবাদ
বাবাগো যে টইতেই যাচ্ছি সেখানেই গুরু কৌটো হাতে হাজির। এ তো শিপিএমের তিনকাঠি বাড়া গো! তারা কেবল স্টেশান বাজারে ধরত। :-D
@anandaB এইটা জিপিউ কম্পিউটিং-এর ক্লাসে অনেক সময় বলা হয়, এই ছবিটা দেখিয়েঃ
