আমাদের নানারকমের আবিষ্কারের জগতে গাড়ির আবিষ্কার নানা কারণে "যগান্তকারী"। মানুষ প্রথম পায়ে হেঁটে যাতায়াত করত, সে এক রকম ছিল, তারপর ঘোড়া বা অন্য কোন প্রাণীকে বশ করে তার পিঠে চড়ে অনেকটা দূর যাওয়া যেত। চাকা আবিষ্কার এবং কুমোরের চাকাকে কোন একটা সময়ে হেলিয়ে মাটিতে ফেলে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া, এবং তারপর কোন এক সময়ে দুটি চাকার মাঝে একটি রড বসিয়ে চাকাদুটোকে জুড়ে, এবং তার আগে একটি পশু জুতে গাড়ি আবিষ্কার তাকে একটি অন্য মাত্রা দেয়। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা অনলাইন জানাচ্ছেন হয়ত খ্রীস্টপূর্ব ৩৫০০ সালে চাকা আবিষ্কারের সময় বা খ্রীস্টপূর্ব ১৮০০ সালে প্রথম এই ধরণের গাড়ি গ্রিসে বা আসিরীয়রা আবিষ্কার করেন।
গাড়ি নিয়ে দুটো ব্যাপার চিন্তা করলে ভারি অবাক লাগে। প্রথমটা, গাড়ির প্ল্যাটফর্ম আর টেকনোলজি, আজকের দিনে যতই জটিল মনে হোক, আমাদের সভ্যতার ইতিহাসের প্রায় ৩৬০০ বছর ধরে সে একরকম ছিল। যেদিন অন্য পোষ মানা পশুর জায়গায় কয়লা, তেল, বৈদ্যুতিক শক্তি দিয়ে তাকে চালাতে শুরু করলাম, তার যুগান্তিক বিপ্লব ঘটল। দ্বিতীয় ব্যাপার, আমরা গাড়ি আবিষ্কারের শুরুতেই ব্যাটারী আর বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি চালাতে শুরু করেছিলাম, তারপর যখন ইনটারনাল কমবাসন ইঞ্জিনের যুগ এল, তখন গাড়ির সত্যিকারের জয়"যাত্রা" শুরু হল, কারণ এবার পশুচালিত গাড়ির মতন যন্ত্রচালিত গাড়িও মানুষের নাগালের মধ্যে চলে এল। আমরা গাড়ি চালাতে শুরু করলাম। সে না হয় একরকম হল, তারপর অনেকটা যেন চাকার ঘোরার মতন, এখন পুরনো যুগের সেই ইলেকট্রিক গাড়ি ফেরত আসছে। অবশ্য তার "গতি"প্রকৃতি অন্যরকম এবার। তাহলেও সেই আবিষ্কার আর তার ফিরে আসা নিয়ে কিছু বলার থাকেই।
"এখন পুরনো যুগের সেই ইলেকট্রিক গাড়ি ফেরত আসছে। অবশ্য তার "গতি"প্রকৃতি অন্যরকম এবার। "
কী রকম? এই নিয়ে ডিসকভারি সায়েন্সে কিছু প্রোগ্রাম দেখেছি। তবু আরও জানার আগ্রহ রইল।