এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  সিনেমা

  •  বাংলা চলচ্চিত্রে প্রতিবন্ধকতা ও সৌমিত্রবাবু

    Dr. Bubai Bag লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | সিনেমা | ১৫ নভেম্বর ২০২০ | ৪৪১২ বার পঠিত | রেটিং ৪ (২ জন)
  • এক তরুণ গবেষক: আমি কি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে পারি?
    সৌমিত্রবাবু: হ্যাঁ বলছি।
    এক তরুণ গবেষক:: প্রতিবন্ধকতা ও বাংলা চলচ্চিত্র নিয়ে একটু কথা বলতে চাই।
    সৌমিত্রবাবু: চলে আসুন, আমি গলফগ্রীনের ছয় নম্বর ফেজের নয় নম্বর বাড়িতে থাকি। দশ মিনিট কথা বলতে পারি।

    সামান্য ফোনালাপের পর প্রথম দেখা ২৫শে জুলাই, ২০১২। সেদিনের ১০ মিনিটের সময়সীমা কীভাবে এক ঘন্টা অতিক্রম করে গিয়েছিল ভাবলে আজও বিস্মিত হতে হয়। আসলে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এক বিস্মিতের নাম। তাই হয়ত এক তরুণ গবেষককে কাছে টেনে নিয়ে আড্ডা’র ছলে আপন করে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। তারপরে অবশ্য বহুবার দেখা ও কথা হয়েছিল।

    প্রথম সাক্ষাৎ-এ ব্যক্তি সৌমিত্রকে খোলসা করে প্রশ্ন করার ঠিক সাহস আসছিল না। সবে গবেষণা শুরু হয়েছে। অনিসন্ধিৎসু মনে হাজার প্রশ্ন।গবেষণার একটি অধ্যায় ছিল বাংলা চলচ্চিত্রের শারীরিক প্রতিবন্ধকতার উপস্থাপনা। ‘হুইলচেয়ার’ (১৯৯৪), ‘দেখা’ (২০০০), ‘পারমিতার একদিন’ (২০০০) বাংলা চলচ্চিত্রের প্রতিবন্ধকতা কেন্দ্রিক প্রধান তিন চলচ্চিত্রের প্রথম দুটি ছবিতেই মুখ্য চরিত্রের অভিনেতাকে সামনে পেয়ে বিভিন্ন ধরনের অজস্র প্রশ্ন নিয়ে যখন কিছুটা দ্বিধাগ্রস্থ, নিজে থেকেই এগিয়ে এসে গল্পের ছলে আলোচনা সহজ করে নিলেন। নিজেই শুরু করলেন জানেন “তপনবাবু হুইল চেয়ার ছবি করার সময়ে আমি গলফগ্রীনের বাড়িতে নতুন এসেছি। এই বাড়িতে টানা আট মাস হুইল চেয়ারে বসে যাতায়াতের অভ্যাস করেছিলাম। তাছাড়াও মাঝে মাঝে চলে যেতাম বনহুগলী’তে রাষ্ট্রীয় অস্তিত্ব বিকালঙ্গ সংস্থা’র তৎকালীন অধিকর্তা প্রদীপ মল্লিকের কাছে, শুধু তাঁকে অবজার্ভড করব বলে”। শুটিং চলাকালীন একটি দৃশ্য পছন্দ না হওয়ায় সারারাত অনুশোচনায় ভুগেছিলেন। সেই দৃশ্যটি পুনর্বার নেওয়ার জন্য তপন সিনহাকে চিঠি লিখে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। গল্পগুলো শুনতে শুনতে মনে হচ্ছিল কত বড় মাপের অভিনেতা হলে বা কাজের প্রতি কতটা গভীর নিষ্ঠা থাকলে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার মত ‘আপাত তুচ্ছ’ বিষয় নিয়ে এমন উচ্চস্তরের চিন্তাভাবনা করতে পারেন। ‘আপাত তুচ্ছ’ শব্দদ্বয় ব্যবহার নিয়ে অনেকের প্রশ্ন আসতে পারে। আসলে দীর্ঘদিন ধরে ঐতিহ্যগতভাবে বাংলা চলচ্চিত্রে প্রতিবন্ধী মানুষদের উপস্থাপনায় ভাঁড় বা হাঁসির পাত্র হিসেবে বিবেচনা করা হত। আবার কিছু কিছু ছবির শেষে দেবতার অপার করুণায় অথবা চিকিৎসার সাহায্যে প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্ত করা হত। ফলে প্রতিবন্ধকতার বিষয়টি যে একপ্রকার উপেক্ষিত ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এহেন প্রতিবন্ধী মানুষ বা হুইল চেয়ারে বসা ব্যক্তির চরিত্রাভিনয়ে ২৪০দিন ধরে অনুশীলন। এককথায় অকল্পনীয়। বহু পুরস্কারে ভূষিত এই অভিনেতা নতুন করে পুরস্কার নিয়ে না ভাবলেও তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় পুরস্কার ছিল; যখন হুইল চেয়ারে জীবন কাটানো মানুষগুলো আলাদা করে বলতেন ‘আপনাকে দেখে একবারের জন্য আমাদের থেকে আলাদা মনে হয়নি।’ অকপট সৌমিত্রবাবু জানিয়েছিলেন ‘এর থেকে বড় পুরস্কার আর কী হতে পারে?’ হুইল চেয়ারে বসা চরিত্রে পুনরায় অভিনয় করেছিলেন ‘শূন্য অঙ্ক’ (২০১৩) নামে এক ছবিতে। ছবিটির মুক্তির কিছুদিন পর বলেছিলেন ‘বহুদিন পর আবার হুইল চেয়ারে বসা চরিত্রে অভিনয় করলাম, দেখ তো আগের মত আছে নাকি কিছু পরিবর্তন হয়েছে?’

    বাংলা চলচ্চিত্র প্রতিবন্ধকতার অপর উপস্থাপনা ছিল গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘দেখা’। এই ছবি নিয়ে কথা বলতে গিয়েও লক্ষ করা গিয়েছিল কীভাবে আবেগতাড়িত হয়ে যাচ্ছিলেন। দৃষ্টিহীন চরিত্র অভিনয়ের জন্য কলকাতা ব্লাইন্ড স্কুলে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়েছিলেন। ব্লাইন্ড অপেরার নিয়মিত যাতায়াত করতেন দৃষ্টিহীন অভিনেতাদের জীবন কৌশল আয়ত্ব করতে। দেখা ছবি মাধ্যমে তিনি দৃষ্টিহীনদের জগতকে সম্পূর্ণ স্পর্শ করতে সক্ষম হয়েছিলেন বলে মনে মনে আনন্দিত হয়েছিলেন, সে কথা তিনি গোপন করেন নি। তবে বিশেষ পুরষ্কার পেয়েছিলেন সাধন গুপ্তের (ভারতের প্রথম দৃষ্টিহীন সাংসাদ ও রাজ্যের প্রাক্তণ অ্যাডভোকেট জেনারেল) স্ত্রী’র কাছ থেকে। তিনি সৌমিত্রবাবুকে বলেছিলেন ‘দৃষ্টিহীন মানুষের চরিত্রে তাকে একেবারের জন্য দৃষ্টিমান মনে হয় নি। তিনি পুরোপুরি চরিত্রের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন।’ ফলে বোঝাই যাচ্ছে আজীবন কর্মপাগল সৌমিত্রবাবুর কাছে অভিনীত সমস্ত চরিত্র ছিল প্রধান, প্রতিবন্ধকতার চরিত্রের জন্য কোনরকম হেরফের হয়নি।

    তবে এটাও সত্যি যে দেখা বা হুইল চেয়ার তাঁর বিখ্যাত চলচ্চিত্রগুলির তালিকায় হয়ত থাকবে না। কারণ এই দুই ছবিতে তিনি এমন ধরণের মানুষদের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন যেখানে নায়ক সুলভ ভঙ্গিতে কোন রোম্যান্টিক দৃশ্য করা সম্ভব ছিল না। তাসত্বেও এই ছবিগুলি তাঁর মননে সদা দাগ রাখতে সম্ভব হয়েছিল। তা নাহলে ছবি মুক্তির ১৮ বছর পর এক অজ্ঞাত পরিচয় ভুঁইফোড় গবেষককে দৃশ্যের পর দৃশ্যগুলি এমনভাবে তুলে ধরছিলেন যেন মনে হচ্ছিল গতকাল শ্যুটিং করে এসেছেন। শুধু প্রতিবন্ধকতার চরিত্র অভিনয়ে নিষ্ঠা দেখিয়েছিলেন তা নয়, একই সঙ্গে তাঁকে বারবার বলতে শোনা গেছে প্রতিবন্ধকতাযুক্ত দর্শকদের বিনা বাধায় প্রেক্ষাগৃহে প্রবেশের ব্যবস্থা আবশ্যক। ২০১৩ সালে দক্ষিণ কলকাতার এক অভিজাত সিঙ্গেল স্ক্রিনিং হলের মালিককে বলেছিলেন বিদেশের মত এখানেও হুইল চেয়ার নিয়ে প্রবেশের সুযোগ করে দিতে হবে। সৌভাগ্য হয়েছিল সেই দিন তাঁর পাশে থাকার। বারবার বলতেন ‘বড় ধরনের আন্দোলনের মাধ্যমে এগুলো করা সম্ভব হতে পারে। তোমরা এগিয়ে এসো, মাসাদুরকে (বিখ্যাত প্রতিবন্ধকতাযুক্ত সাঁতারু মাসাদুর রহমান বৈদ্য) সঙ্গে নেবে, ওর জনপ্রিয়তা আছে’। ভাবছিলাম এত বড় অভিনেতা হয়েও কীভাবে তৃণমূল স্তরে প্রতিবন্ধী অধিকার আন্দোলনের বীজ বোপনের কথা ভাবতে পারেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি প্রতিবন্ধী মানুষদের দয়া বা করুণার পরিবর্তে অধিকার ও ক্ষমতায়নের প্রতি অধিক আগ্রহী ছিল। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস ছিল প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে আমাদের মধ্যে যে ধরনের অজ্ঞতা রয়েছে তা দূর করতে প্রত্যেক বছর হুইল চেয়ার, দেখার মত সচেতনতামূলক ছবির প্রয়োজন। আক্ষেপ করেছিলেন প্রযোজক বা পরিচালকদের ব্যবসায়িক স্বার্থ প্রাধান্য পাওয়ায় তপনবাবু বা গৌতমের মত দুঃসাহস দেখা কেউ এগিয়ে আসে না। তবে তিনি আশা দিয়েছিলেন ধীরে ধীরে হলেও সচেতনতার প্রসার শুরু হয়েছে। যার নজির সাম্প্রতিক ছবিতে প্রতিবন্ধকতার চরিত্রে পূর্বেকার নেতিবাচক চেতনার পরিবর্তে সদর্থক চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। কবি অভিনেতা ও ব্যক্তি অভিনেতা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলতে থাকবে। উদয়ন পন্ডিত/অপু/ফেলুদা’র মত চরিত্রের মাধ্যমে সৌমিত্রবাবুর স্মৃতি রোমন্থন চলতে থাকবে। তবে আমাদের মত হুইল চেয়ারে বসা মানূষদের কাছে সৌমিত্রবাবু আদতে সেই রাগী ডাক্তারটা, যিনি নিজের হুইল চেয়ার ঠেলতে ঠলতে বিছানায় শুয়ে থাকা রোগীকে কিছুটা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে বলবেন, ‘সুস্মিতা মানে যার হাসি হাসি মুখ, সকল দুখের মধ্যে যে হাসতে পারে সেই তো আসল সুস্মিতা’।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৫ নভেম্বর ২০২০ | ৪৪১২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • santosh banerjee | ১৯ নভেম্বর ২০২০ ২০:০৪100489
  • আমাদের দেশে বিশেষ করে এই বাংলায় গুণী লোকের মূল্যায়ন হয় পরলোকে  গেলে ।..তার আগে নয় !!অনেকের আবার কোনো মূল্যায়ন হয় না !!এটা সবার ক্ষেত্রে হয়েছে এবং হচ্ছে এবং হবে !! সৌমিত্র বাবু কে শুধু মাত্র একজন ফিল্ম অভিনেতা হিসেবে ভাবলে কিছু বলার নেই ।..কিন্তু ওনার অন্য শিল্প আঙ্গিক গুলো কে যদি দেখি ।..দেখবো রবীন্দ্র নাথ সত্যজিৎ এই দুজনের পর উনি একমাত্র গুণী ব্যক্তি যাঁর ছিল বহুমুখী প্রতিভা ।..সর্বত্র গামী ছিল ওনার শিল্প কর্ম !!আগামী দিন গুলোতে আমরা হয়তো আরো প্রকট ভাবে পাবো ওনাকে ।..ওনার শিল্প কর্ম কে !!

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন