বাড়ির ছোট মেয়ে আমি। আমি ছাড়া বাড়িতে আছেন মা, বাবা (৬৫ বছর), দাদু(৮২ বছর, হাই প্রেশার), দিদা(৭৬ বছর, Alzheimer's patient), দিদি, জামাইবাবু আর তাদের দুই বছরের ছোট ছেলে।
লকডাউনের বেশ কিছুদিন আগেই আমার দাদু দিদা আমাদের বাড়িতে এসে আটকে পড়েন। এসেছিলেন ডাক্তার দেখাতে। লকডাউনের কারণে ফেরা হয়নি। দিদি জামাইবাবুও তাই।
লকডাউনে আমরা সেভাবে কেউ বাড়ি থেকে বেরোতাম না। আমি কেবল ওষুধ কিনতে যেতাম। কখনো দিদি, কখনো আমি বাড়ির আবর্জনা ফেলতে যেতাম। তাও মাস্ক পরে বেরোতাম। বাড়ি ফিরে স্নান করে নিতাম। সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যেত। সেগুলো আলাদা একটা ঘরে রাখা হত এবং পরে তা তুলে এনে ব্যবহার করা হত। এমনকি খবরের কাগজও নিইনি। মাঝে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে গেছিলাম বাবা মাকে। তাও বাড়িতে ঢোকার সময় ওই একইভাবে সতর্কতা বজায় রেখে ঢুকেছি। আমরা নিজেরাও বুঝিনি এত সতর্কতার পরেও আমাদের বাড়িতে কীভাবে করোনা আসতে পারে! জানিনা কোন গাফিলতির জেরে এমন ঘটনা ঘটল। আজও আমি এর উৎস খুঁজে পাইনি।
এদিকে দাদুর জ্বর আসে ৩০ শে এপ্রিল। বাবা, মা, দিদি, জামাইবাবুর জ্বর আসে পয়লা মে। তখনও অবধি আমার জ্বর আসেনি। জ্বর আসেনি আমার ছোট্ট বোনপোর আর আমার দিদার। সকলে ভেবেছিলাম সাধারণ জ্বর। তবে সে জ্বর যখন আর কমছিল না, মনে সন্দেহ জাগে। ডাক্তার দাদা, বন্ধু সকলের সঙ্গে কথা বলতে থাকি। আমাদের কি করণীয় সেসব জানতে থাকি। তারপর আমরা স্বেচ্ছায় প্রাইভেটে দাদুর টেস্ট করাই। রিপোর্ট আসে দাদুর কোভিড পজিটিভ।
১০ তারিখ রাত্রে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে আমাদের ওই রিপোর্ট জানানোর কয়েক মুহূর্ত পরেই দাদুর হঠাৎ শ্বাস নিতে অসুবিধে শুরু হয়। তখনও সুস্থ বলতে আমি একাই। অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে মাঝরাতে দাদুকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। অ্যাপোলোতে বেড পাইনি। ওরা রেফার করে এম আর বাঙুরে। ওখানে দাদুকে ভর্তি করানো হয়।
এরপর শুরু হয় যুদ্ধটা। সকাল হতে না হতেই আমরা প্রায় সকল প্রতিবেশীকে ফোন করে জানাই যে আমাদের বাড়িতে কোভিড কনফার্মড। কাউকে না জানাতে পারলেও খবর পৌঁছে দিই। আতঙ্কিত হয়ে চারপাশের বাড়ির সবাই দরজা জানালা বন্ধ করে দেন এবং কেউ কেউ আমাদেরও জানালা বন্ধ করতে নির্দেশ দিতে থাকেন। ভেবেই রেখেছিলাম, যদি বাড়াবাড়ি হয়, তাহলে পুলিশে খবর দেব। যদিও অতদূর যেতে হয়নি। আমরা ভালোভাবে বোঝাই এবং জানালা খুলে রাখি।
আমি ফেসবুক স্টেটাসে জানিয়ে দিই আমাদের বাড়িতে কোভিড পজিটিভ এবং আমি মনে করি আমি সচেতন নাগরিক এবং সকলকে আমাদের থেকে দূরে রাখা ও কিছু ভ্রান্ত ধারণা দূর করা আমার কর্তব্য। তবু দাদুর কথা জানাতেই অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আমার বাবা আমাদের বাড়ির কাছেই একটি স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক। তাঁর জ্বর আসছে শুনে তাঁর ছাত্রছাত্রীরা ভয়ে ফোন করতে থাকে। অনেক পরিবার পরিজন অপরিচিত হায় হায় করতে থাকেন। বোধ হয় ভাবতে থাকেন, এই বুঝি সব গেল আর কি।
বিশ্বাস করুন, হারব না জিতব ভাবিনি। বারবার ভেবেছি, লড়তে হবে। ভেবেছি মন দিয়ে লড়লে ৮২ বছরের দাদুকে ( হাই প্রেশার) ফিরিয়ে আনা যাবে, ৬৫ বছরের বাবাও সুস্থ হয়ে উঠবেন।
ফেসবুকে স্টেটাস দেওয়ার পর কেউ কেউ হা হা রিয়্যাক্ট দেন। কমেন্টে উত্তেজিত করতে থাকেন। আমি ধরে ধরে হয় কমেন্ট ডিলিট করি, নয়তো ব্লক করতে থাকি। কারণ মনে হয়েছিল কান আর চোখ দুটো বন্ধ রেখে আমাদের লড়াইটা মন দিয়ে লড়তে হবে। নইলে এইসব কমেন্ট পড়ে গালমন্দ খেয়ে অপরাধ না করেও অপরাধবোধে ভোগার কোনো মানেই হয়না। বন্ধ করলাম চোখ।
ছাদে জামাকাপড় মিলতে ওঠার পর দূর থেকে চিৎকার শুনেছি। আমার দিকে আঙুল দেখিয়ে চিৎকার করে ব্যঙ্গের সুরে বলে গেছেন কেউ কেউ, ' দেখ, আরে যে জামাকাপড় মিলছে, ওদের বাড়িতেই করোনা।' তাঁরা চিহ্নিত করতেই পারেন। তবে মানুষের এতটাই রুচিবোধের অভাব যে, তাঁদের সেই কথাগুলো যে আমার কান অবধি আসছে, সেটা তাঁরা বুঝতেই পারেননি। আমি ছাদ থেকে নেমে আসি।
আতঙ্কে ফোন আসতে থাকে, খবর রটে যায় আমার দাদু এক্সপায়ার করে গেছেন। বাবাও নাকি এক্সপায়ার করে গেছেন। দাদু নাকি বাঙুর হাসপাতালের মেঝেতে গড়াগড়ি দিচ্ছে। যাই হোক, এবার কান বন্ধ করলাম।
তারপর সরকারিভাবে বাড়ির সকলের টেস্ট হল যেহেতু আমরা সকলেই দাদুর সঙ্গে ছিলাম। রিপোর্টে জানা গেল আমাদের কারও কোভিড পজিটিভ (asymptomatic) , কারও নেগেটিভ, কারও 'inconclusive'..হেলথ ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে কথা হল। আমরা CMOH এর পারমিশন নিয়ে সকলে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার সিদ্ধান্ত নিলাম। তারপর থেকে যে কোনো প্রয়োজনে পাশে ছিলেন ডাক্তার বন্ধু, দাদা আরও অনেকে। এদিকে আমি ফেসবুকে প্রতিদিন সকলের সেরে ওঠার আপডেট দিতে থাকি। অনেকে তাতে আশ্বস্ত হন। ফেসবুক মারফৎ অনেক পরিচিত - অপরিচিতদের সন্ধান পাই যাঁরা আমাকে সাহায্য করতে থাকেন।
খুব কঠিন ছিল দু বছরের বোনপোকে ঘরে আটকে রাখা বা দূরে সরিয়ে রাখা। ওকে আটকানোর জন্য ওর দিকে মোবাইল বাড়িয়ে দিতে হয়েছে। কঠিন ছিল দিদাকে সামলানো। Alzheimer's patient - তাঁকে শুতে বললে সেটা তিনি বুঝতে সময় নেন কমপক্ষে ১৫ মিনিট। কিছুই আর বুঝতে পারেন না। কাউকে চেনেন না। খাইয়ে দিতে হয়। নিজের ঠাকুমার কাছে যেতে চান। এর ওর ঘরে ঢুকে পড়েন। এসবের মাঝে দিদাকে সামলানো সত্যিই একটা চ্যালেঞ্জ ছিল।
ইতিমধ্যে ভালো কিছু ঘটে গেছে। যাঁদের সঙ্গে বিবাদের কারণে কথা হত না, তাঁরা খোঁজ নিতে থাকেন। অনেকে শুভ কামনা করতে থাকেন। প্রতিবেশীদের মধ্যে একটি পরিবার ছাড়া সক্কলে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। কেউ খাবার পৌঁছে দেন। কেউ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস, ওষুধ এনে দেন। কেউ তা না পারলেও খোঁজ নিতে থাকেন কেমন আছি, কিছু দরকার কিনা.... ইত্যাদি। আমাদের প্রাক্তন কাউন্সিলর থেকে শুরু করে এখানকার নোডাল অফিসার, বাবার কিছু ছাত্রছাত্রী, দিদির বন্ধু, আমাদের আত্মীয়, অনেকে মিলে যথেষ্ট সহযোগিতা করতে থাকেন।
ওদিকে দাদুরও ধীরে ধীরে শারীরিক উন্নতির খবর পাই। বাঙুর থেকে প্রতিদিন ভিডিও কল করানো হত। দাদু কানে কম শোনার কারণে খুব বেশি কথা বলা হয়ে উঠত না। তবু দাদুর হাসিমুখ দেখলেই মনে বল পেতাম। ওখানে সকলের সঙ্গে নাকি গল্প করতেন। যে নার্স দিদি কথা বলিয়ে দিতেন, তিনি বলতেন, 'আপনার দাদু তো খুব মজা করেন!'
দাদুও তাঁকে চিনিয়ে দিতে থাকেন,'এই দেখ, এটা আমার নাতনি, ওটা আমার গিন্নি, আমার মেয়েকে দেখ! '
দুপুরের ফোনে এভাবেই যেন একটা ছোট পরিবারের সঙ্গে দেখা হত। নার্স দিদিকে আমরা ধন্যবাদ জানিয়ে বলতাম, ' আপনিও ভালো থাকবেন, সাবধানে কাজ করবেন, সুস্থ থাকবেন। ' আসলে এক তরফা মানবিকতা দেখালেই সবাই মিলে বাঁচা যায়না। এই যুদ্ধটা সব্বার। আমরা নাগরিক বলে শুধু নিজের পাওনাটুকু বুঝে নেব বললেই হয়না। যাঁরা জীবনকে বাজি রেখে, পরিবারকে ছেড়ে দিনের পর দিন বাইরে থেকে আমার আপনার মত হাজার হাজার মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছেন, তাঁরাও তো মানুষ! তাঁদেরও নিশ্চয়ই মন খারাপ হয় বাড়ির ছোট মেয়ের জন্য, বুড়ো বাপ মার জন্য.. তাঁরাও নিশ্চয়ই ক্লান্ত হন।
বাঙুর নিয়ে যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, তা দেখে আমিও ভয় পেয়েছিলাম। তবু এই মধ্যবিত্ত চাহিদায় যেটুকু পেয়েছি, সেটুকুতে আমরা ধন্য। ফেসবুক মারফৎ অনেকে জেনে যাওয়ার ফলে কেউ মাঝে মাঝে দাদুকে শুকনো খাবার, ফল পৌঁছে দিতেন। কেউ কিন্তু একটা পয়সাও নেননি। দাদু সেগুলো খেয়েছেন। ভালো থেকেছেন। যাঁরা সেসব খাবার পৌঁছে দিয়েছেন, তাঁদের মন ভরে আশীর্বাদ করেছেন। বাঙুরে পরিচিত নার্স গিয়ে দেখেও এসেছেন দাদুকে - দাদু সুস্থ, সবল, হাসিখুশি, স্বাভাবিক।
আমরাও এদিকে সেরে উঠতে থাকি। আর কারও জ্বর আসেনা। দিদি, জামাইবাবু সবাই মিলে হাতে হাতে কাজ করতে থাকি। বাড়িতে গান শোনা থেকে শুরু করে দূরত্ব বজায় রেখে মজা করা, সব করি। কেউ কেউ আমাদের সুস্থ হয়ে উঠতে দেখে, এতটা আনন্দে থাকতে দেখে প্রশ্ন করে বসেন, 'তোদের আদৌ করোনা হয়েছিল তো?!'
আসলে করোনার ভয় এমনভাবে সকলকে গ্রাস করেছে যে অনেকে ধরেই নিয়েছেন করোনা মানেই মৃত্যু। একেবারে তা নয় কিন্তু। এসব ভেবে নিজের ঘুম বিসর্জন দেওয়ার চেয়ে ইমিউনিটি বাড়ানো ভালো। প্রয়োজন প্যানিক না করে সতর্ক থাকা। ভালো থাকুন, সতর্ক থাকুন, জল খান, ভালো ভালো খাবার খান, ছাদে যান, আনন্দে বাঁচুন। এটা যেভাবে asymptomatic হয়ে উঠেছে, হয়তো বুঝতেই পারবেন না আপনার করোনা হয়েছে বা আপনি হয়তো কবেই তাকে জয় করে ফেলেছেন! আর একটা কথা, প্রতিবেশীর মধ্যে কারোর করোনা হলে সহানুভূতিশীল হন। সতর্কতা বজায় রেখে এগিয়ে যান, পাশে দাঁড়ান।
যাই হোক, তারপর একদিন হঠাৎ কলিং বেল- দরজা খুলে দেখি আমার ৮২ বছরের দাদু মাস্ক পরে হাসছে। চোখদুটো উজ্জ্বল। হাসপাতাল থেকে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে। সত্যি বলতে কি, সরকারি হাসপাতাল থেকে এভাবে পরিষেবা পাব, আমরাও ভাবিনি। দাদু বিশ্রাম নেওয়ার পর সব কথা বলতে শুরু করেন, কেমন ছিলেন, কীভাবে কেটেছে।
বলেন,' অত খাবার পাঠিয়েছিলি, অত সব খাওয়া যায়! পারিনি রে। ওখানে যারা আমার মত কিছু বয়স্ক লোক ছিল, তাদের দিয়ে এসেছি। আমি কিন্তু বেশ ভালোই ছিলাম! প্রথম কয়েকদিন জ্বর এসেছিল। তারপর আসেনি। কিছুই তো হয়নি আমার! কি করোনা! কিচ্ছু না। গল্প করে দিব্যি কদিন কাটালাম। সকলকে হাসাতাম। আরে অত ভয় পেলে হয়!? যাই বলিস, ওরা কিন্তু দিনে তিন চারবার করে জায়গাটা মুছত। খাবার দিত ভালোই। আসার সময় আবার নার্সরা আমাকে বলল, দাদু , টাটা - বাই বাই, ভালো থাকবে। আসলে এই কদিনে ভালোবেসে ফেলেছিল তো.... '
ভালো আছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। সবাই ভালো থাকুন ও সুস্থ থাকুন। আর যারা গুজব রটাচ্ছে বা হাহা হিহি তাদের শুধু ফেসবুক কেন জীবন থেকেও ডিলিট করে দিলে ভালো।
লেখাটি পড়ে আশ্বস্ত হলাম ।এই পরিস্থিতিতে ইতিবাচক লেখাটিকে স্বাগত
লেখাটি পড়ে খুব ভালো লাগল। আপনারা সকলে ভালো থাকুন , সুস্থ থাকুন।
এই ধরনের পজিটিভ পোস্ট এখন অত্যন্ত জরুরী । অনেক ধন্যবাদ । শেয়ার করছি ।
Mon a jor pachi re..toke akta katha bolai hoyni..jokhon sunlam toder family r aai abostha sottie khub kharap lagto..aro kharap lagto faltu gujob gulo sunay..Hotat maa amake ekdin bolche je mon kharap koris na dekhbi ora thik sustho hoye jabe..Maa etao bollo je choto bela te jokhon school a maa r aste deri hoto tokhon tui o bari na giya kaku k dar koria amar sathe kheltis jotokhon na amake kau nitay asay....Maa sudhu bolto dekhbi oder kharap konodin hobe na r ami jeno gujob a kan na di..ami sobbai k bojhatam je Coronavirus mean mara jaoya noy..Amra jodi sob kichu jinis sunay choli tahole thik amra sustho savabik life a aste parbo..Tora sobbai khub valo thakis re...
ভীষণ জরুরি একটা লেখা। ধন্যবাদ আপনাকে।
জীবন মানেই চ্যালেন্জ,আর তাকে কীভাবে মোকাবেলা করব, সদর্থক অর্থে, সেটাই শেখা। আপনি সেটি শিখেছেন ও আপনার লেখা পড়ে আমরাও। এই মনোভাব যেন বজায় থাকে আপনার, আজীবন, এই শুভেচ্ছা য়।
খুব ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে। তোরা সবাই ভালো আছিস, সুস্থ্য আছিস সর্বপরি দাদু সুস্থ্য হয়ে গেছেন শুনে মনটা খুব ভালো হয়ে গেলো রে। বাঙ্গুর এর শুশ্রূষা নিয়েও অনেক রকম গুজব ছড়াচ্ছে, তুই খুব ইতিবাচক লিখেছিস।
মন শান্ত হল। আপনারা সবাই ভাল থাকবেন।
অসাধারণ ! আমার বাবার বয়স ৮২ বছর। তাই দাদু না কাকু কে বলছি .... অভিনন্দন , খুব ভালো থাকুন আর সবাইয়ের সঙ্গে জমিয়ে মজা করুন।
এই ধরণের পজিটিভিটির খুব দরকার এখন। খুুুব ভাল লাগল আপনারা সবাই সুস্থ আছেন জেনে। ভাল থাকুন।
খুব ভাল লাগল এই আশায় ভরা, মানুষের ভালো দিকের কথাগুলো -- সবার পড়া দরকার এই পোস্ট । শুভকামনা জানাই
Agami din gulo evabei valo katuk sokol k niye. Sotti inspirational post. Khub valo lglo.
ভীষণ ভরসা জাগানো লেখা। ভালো থাকবেন সবাই।
আপনার দাদু 82 বছর মনেই হয় না । ভালো থাকুন সবাই । লেখাটি পড়ে ভালো লাগল ।
আমি তোর স্কুলের প্রাক্তনী। তোরা সবাই ভাল থাকিস।
তোমৱা এমনি হাসতে হাসতে আগামী দিন গুলো কাটিও.. এই শুভকামনা।
খুব ই জরুরী লেখা । একজন সচেতন নাগরিকের কাছে তো এটাই কাম্য এ সময়ে। সকলের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা কামনা করছি ।
দাদু নাম্বার 1
সকাল টা সত্যি ভালো হয়ে গেল আমার। কোথায় যেন মনে হলো এটা জীবনের গল্প, জীবন তো সব সময়েই জীবন্ত। আপনারা সত্যি সুস্থ, সজীব এবং আনন্দে থাকুন
দাদু আপনি ভালো আছেন জেনে ভালো লাগলো। লেখাটি পড়ে আশ্বস্ত হলাম। মনোবল বাড়লো। ধন্যবাদ লেখিকা mohasaya কে।
Feeling proud of you Mampi.
করোনার সম্বন্ধে বেশিরভাগ খবরই আসলে গুজব। আর এর জন্য সবথেকে বেশি দায় মিডিয়ার। এদের প্রচার মানুষের মধ্যে ভয়ের সৃষ্টি করেছে, করোনা রোগী আর তার বাড়ীর লোকজন কে সামাজিক ভাবে বয়কট করতে শিখিয়েছে। তবু সমাজে কিছু মানুষ আছেন যাদের নিজেদের চিন্তা ভাবনা আছে। যারা অন্যের কথায় চালিত হননা। মানুষের পাশে দাঁড়ান। তাদের জন্য রইলো ভালোবাসা আর অভিনন্দন।
খুব ভালো লাগলো সবাই সুস্থ আছেন জেনে। এরকম ইতিবাচক মনোভাব ই পারে সব বাধা বিপদ জয় করতে।সত্যি কভিড তো একটা রোগ, তার জন্য রোগী বা তার বাড়ির লক অপরাধী কেনো হবে?
সুস্থ থাকুন ও ভালো থাকুন।।জীবনে চলার পথে এমন অনেক মানুষ নামক অমানুষ কে দেখবেন।।তাদের চিনে রাখুন আর বর্জন করুন আনন্দের সাথে।।