এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  গপ্পো

  • পত্র দিও

    Jharna Biswas লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ২৯ এপ্রিল ২০২০ | ৪৩৬৬ বার পঠিত
  • পত্র দিও – ঝর্না বিশ্বাস

    https://ibb.co/6J6W614

    “To send a letter is a good way to go somewhere without moving anything but your heart” – Phyllis Theroux

    “চিঠি” - সাদা পাতায় লেখা এক মনকেমনের কাহিনী, “চিঠি” - সেই দূরবর্তী মানুষটিকে জানান দেওয়া, যে “ভালো আছি” ও জানতে চাওয়াও তাঁর ভালো থাকার কথা।  যারা নিয়মিত চিঠি লিখতে ও পড়তে ভালোবাসেন তাদের সাথে এই “পত্র দিও” ওতোপ্রোত ভাবে জড়িয়ে। একখানি চিঠি যে কি পরিমান ভালো থাকা দিতে পারে তা যারা পেয়েছেন একমাত্র তাঁরাই বুঝবেন। এমন অনেক সময় হয়, মানুষটি যখন কাছাকাছি, তখন সব কথা বলা হয়ে ওঠে না। কিন্তু দূরত্ত্ব বাড়ার সাথে সাথে সেই কথাই একটি চিঠির আকার নেয়...আর কি থাকে না সেই চিঠিতে!...প্রাত্যহিক জীবনের গল্প থেকে শুরু করে সমস্তটা উঠে আসে তাতে, আর যিনি পান সেই সময় তাঁর উপলব্ধিটাও অসামান্য। চিঠির মধ্যে ঐ মানুষটার প্রতিচ্ছ্ববি অজান্তে তৈরী হয়ে যায় আমাদের মনের ভেতরে...চিঠিকে তখন আরো বেশি আপণ মনে হয়। তাই হয়তো প্রিয় মানুষটির একটি চিঠির জন্য আমাদের এত অপেক্ষা, আর তেমনই তা না পেলে মনখারাপ-মনখারাপ।

    কবি মহাদেব সাহা-র “চিঠি দিও” কবিতাতে পাই,

    "করুণা করে হলে চিঠি দিও, খামে ভরে তুলে দিও
    আঙুলের মিহিন সেলাই
    ভুল বানানেও লিখো প্রিয়, বেশি হলে কেটে ফেলো তাও,
    এটুকু সামান্য দাবি চিঠি দিও, তোমার শাড়ির মতো
    অক্ষরের পাড়-বোনা একখানি চিঠি"।

    চিঠি-র সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় সেই স্কুল বেলাতেই। বিভিন্ন বিষয়ের চিঠি তখন পাঠ্যপুস্তকের পাতায়…শিক্ষকেরা তার লেখার কায়দা থেকে শুরু করে প্রাপ্ত নম্বর সবই বুঝিয়ে দেন এক এক করে। কিন্তু সেই গন্ডি পেরোতেই ধীরে ধীরে প্রায় সব চিঠিই বিলীন হতে থাকে। কখনও সখনও দু একটা, খুব প্রয়োজন না পড়লে তাও নয়। তবে যে চিঠির জায়গা সকল অন্তরের গহীনে – এ সেই চিঠি, যা প্রিয় মানুষটির জন্য লেখা হয়। এমনই কিছু বুদ্ধদেব গুহ-র “চিঠি”-তে,

    “কুরচি,
    তোমার চিঠি হঠাৎ এই শীতের সকালে এক রাশ উষ্ণতা বয়ে আনলো। পাতা ঝরে যাচ্ছে সামনের শালবনে, বিবাগী হচ্ছে বগি। রিক্ততার দিন আসছে সামনে। এরই মধ্যে তোমার চিঠি যৌবনের ধুতির মত এলো এক ঝাঁক টিয়ার উল্লাসিত সমস্ত সবুজ চিৎকারের মত। তার মানে এই নয় যে- তোমার চিঠি দুর্বোধ্য। উপমার খোদ ক্ষমা করে দিও। কেমন আছ তুমি? জানতে চাইলেও জানতে পাই কই”?

    একটা চিঠি-তে অন্য প্রান্তের মানুষটিরও কেমন গোটা দিন ভালো হয়ে যায়, তা খুঁজে পাওয়া গেল এখানেও। বুদ্ধদেব গুহ জানালেন কিছু নিজের কথাও…

    “সকাল থেকেই তোমাকে আজ খুব সুন্দর একটা চিঠি লিখতে ইচ্ছে করছিল। ঘুম ভাঙ্গার পর থেকেই তোমার কথা মনে পড়ছিল খুবই। আজকে ঘুম ভাঙ্গলো বড় এক চমকে। এক জোড়া পাখির ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো। যে পাখিদের ডাক বড় একটা শুনিনি এদিকে। কম্বল ছেড়ে দৌড়ে বাইরে গিয়ে দেখি- এক জোড়া স্কারলেট মিনি-ভেট এসে বসেছে আম গাছের মাথায়।আমার ঘুম ভাঙ্গা নিয়ে পাখিরা- আহা রোজই যদি আসতো। আর তারপরই তোমার এই চিঠি। দিন আজকে ভালো যাবে আমার”।

    এমন বহু চিঠি লিখে গেছেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও… তাঁর লেখা সমস্ত চিঠি বাংলা সাহিত্যকে এক অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে। এবং উল্ল্যেখযোগ্য এই, যে উনি শুধু লিখতেই নন, পেতেও খুব ভালোবাসতেন। ‘মানসী’ কাব্যগ্রন্থের ‘পত্রের প্রত্যাশা’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ বলছেন,

    “চিঠি কই, কই চিঠি”।

    ‘চিঠি’ নামেও একটি কবিতাও আছে ‘পূরবী’তে। এমনই “প্রথম চিঠি” তে আমরা পাই চিঠির প্রতি রবীন্দ্রনাথের আকুলতা ও ভালোবাসার কথা।
    “যেখানে সে কাজ করতে এসেচে সে পাহাড় । সেখানে দেবদারুর ছায়া বেয়ে বাকী পথ নীরব মিনতির মত পাহাড়কে জড়িয়ে ধরে,
    আর ছোট ছোট ঝরণা কা’কে যেন আড়ালে আড়ালে খুজে বেড়ায়, লুকিয়ে চুরিয়ে। আয়নার মধ্যে যে ছবিটি দেখে এসেছিল আজ প্রকৃতির মধ্যে প্রবাসী সেই ছবিরই আভাস দেখে, নববধূর গোপন ব্যাকুলতার ছবি। আজ দেশ থেকে তার স্ত্রীর প্রথম চিঠি এল । লিখেচে, “তুমি কবে ফিরে আসবে
     ? এসো, এসো, শীঘ্র এসো। তোমার দুটি পায়ে পড়ি।” । এই আসা-যাওয়ার সংসারে তারও চলে’ যাওয়া আর তারও ফিরে আসার যে এত দাম ছিল একথা কে জানত ?”

    আবার স্ত্রী মৃণালিনী দেবীর উদ্দেশ্যে রবীন্দ্রনাথ লেখেন,

    ‘ভাই ছুটি বড় হোক্ ছোট হোক্ মন্দ হোক্ একটা করে চিঠি আমাকে রোজ লেখ না কেন? ডাকের সময় চিঠি না পেলে ভারি খালি ঠেকে।’

    প্রতিদিন চিঠি পাবার আশায় তিনি ডাক বাক্সের দিকে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন। বালিকাবন্ধু রানুকে লিখেছিলেন,

    ‘মনে করছিলুম কাল তোমার চিঠি পাব। কালই পাওয়া উচিত ছিল। পোস্ট অফিসে কালই নিশ্চয় এসেছিল, কিন্তু পোস্টমাস্টারের অসুখ করচে বলে পশ্চিমের ডাক কাল আমাদের দেয়নি, আজ সকালে দিয়ে গেছে।’

    এবার সালটা ১৯১৮ ! রবি ঠাকুর শান্তিনিকেতন থেকে রানুকে চিঠি লিখলেন,

    ''খুব বেদনার সময় তুমি যখন তোমার সরল এবং সরস জীবনটি নিয়ে খুব সহজে আমার কাছে এলে এবং এক মুহূর্তে আমার স্নেহ অধিকার করলে তখন আমার জীবন আপন কাজে বল পেলে-- আমি প্রসন্ন চিত্তে আমার ঠাকুরের সেবায় লেগে গেলুম। কিন্তু তোমার প্রতি এই স্নেহে যদি আমাকে বল না দিয়ে দুর্বল করত, আমাকে মুক্ত না করে বদ্ধ করত তাহলে আমার প্রভুর কাছে আমি তার কী জবাব দিতুম?... তোমাকে আমার কাছে পাঠিয়ে আমার ঠাকুর আমাকে আরও বেশি বল দিয়েছেন। তুমিও তেমনি বল পাও আমি কেবল এই কামনা করছি। তোমার ভালবাসা তোমার চারদিকে সন্দর হয়ে বাধামুক্ত হয়ে ছড়িয়ে যাক--তোমার মন ফুলের মতো মাধুর্যে পবিত্রতায় পূর্ণ বিকশিত হয়ে তোমার চতুর্দিকে আনন্দিত করে তুলুক।...আমি তোমাকে যখন পারব চিঠি লিখব--কিন্তু চিঠি যদি লিখতে দেরি হয়, লিখতে যদি নাও পারি তাতেই বা এমন কী দুঃখ। তোমাকে যখন স্নেহ করি তখন চিঠির চেয়েও আমার মন তোমার ঢের বেশি কাছে আছে।''

    রাণুর সঙ্গে যখন রবীন্দ্রনাথের পত্রমিতালি শুরু হয়, তখন রাণুর বয়স মৃণালিনী দেবীর বিয়ের বয়সের মতোই ছিল। বরং কবিপত্নী খানিক বড়ই ছিলেন। কবি আর রাণুর মধ্যে ছিল পয়ঁতাল্লিশ বছরের ব্যবধান! কিন্তু তাঁদের গভীর বন্ধুত্বে এই বয়সের ফারাক কখনও কোনও সমস্যা তৈরি করেনি। মাত্র এগারো বছরের রাণুর রবীন্দ্রাণুরাগ কবিকে অভিভূত করেছিল। কবিকে লেখা তাঁর প্রথম চিঠিতে রাণু লিখেছিলেন,

    '' প্রিয় রবিবাবু। আমি আপনার গল্পগুচ্ছের সব গল্পগুলো পড়েছি, আর বুঝতে পেরেছি। কেবল ক্ষুধিত পাষাণটা বুঝতে পারিনি।... আচ্ছা জয়পরাজয় গল্পটার শেষে শেখরের সঙ্গে রাজকন্যার বিয়ে হল। না? কিন্তু আমার দিদিরা বলে শেখর মরে গেল। আপনি লিখে দেবেন যে, শেখর বেঁচে গেল আর রাজকন্যার সঙ্গে তার বিয়ে হল। কেমন? সত্যিই যদি শেখর মরে গিয়ে থাকে, তবে আমার বড় দুঃখ হবে। আমার সব গল্পগুলোর মধ্যে মাস্টারমশায় গল্পটা ভালো লাগে। আমি আপনার গোরা, নৌকাডুবি, জীবনস্মৃতি, ছিন্নপত্র, রাজর্ষি, বৌঠাকুরাণীর হাট, গল্পসপ্তক সব পড়েছি। আপনার কথা ও ছুটির পড়া থেকে আমি আর আর আমার ছোট বন কবিতা মুখস্থ করি। চতুরঙ্গ, ফাল্গুনী ও শান্তিনিকেতন শুরু করেছিলাম, কিন্তু বুঝতে পারলাম না। ডাকঘর, অচলায়তন, রাজা, শারদোৎসব এসবও পড়েছি। আমার আপনাকে দেখতে খু-উ-উ-উ-উ-উ-উব ইচ্ছে করে।''

    চিঠির প্রতি আনুগত্য ও ভালোবাসা বুঝতে শিখিয়েছে তারাই, যারা জীবনে কাউকে না কাউকে পত্র দিয়ে অপেক্ষা করে গেছে প্রতি মুহুর্তের …

    চিঠি লিখে গেছেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ও…ওনার লেখা “না পাঠানো চিঠি”-তে উঠে এসেছে একটি মেয়ের আর্তনাদ, যাকে বাড়ি থেকে খুব অল্প পয়সার বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়…মেয়েটি লিখছে মা-কে উদ্দেশ্য করে,

    “মা, তুমি কেমন আছো ?
    আমার পোষা বেড়াল খুনচু , সে কেমন আছে ?
    সে রাত্তিরে কার পাশে শোয় ?
    দুপুরে যেন আলী সাহেবদের বাগানে না যায় ৷
    মা , ঝিঙে মাচায় ফুল এসেছে ?
    মা , তোমাদের ঘরের চালায় নতুন খড় দিয়েছো ?
    এবারে বৃষ্টি হয়েছে খুব !
    তরফদার বাবুদের পুকুরটি কি ভেসে গেছে ?
    কালু ভুলুরা মাছ পেয়েছে কিছু ?
    মনে আছে ? একবার মেঘের ডাক শুনে ,
    কই মাছ উঠে এসেছিল ডাঙায় ,
    আমি আম গাছতলায় দুটো কই মাছ ধরেছিলাম !
    তোমার মনে আছে মা ?”
    ...

    আবার সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় মানেই নীরা। অসাধারন সব অনুভতি আর কবিতায় ভরপুর এ নাম। তার জীবদ্দশায় শত কৌতুহল আর আগ্রহ উপেক্ষা করে তিনি নীরাকে রেখেছেন সম্পূর্ণ নিজের করে। এমনকি স্ত্রী স্বাতী গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছেও নীরা ছিল অনাবিস্কৃত। তবে স্বাতী-সুনীলের সম্পর্ক নিয়েও জল্পনা প্রচুর। এ চিঠি, সদ্য প্রেম প্রস্তাবে 'হ্যাঁ' জবাব পেয়ে সুনীল লিখেছিলেন স্বাতী কে।

    সময় ১৯৯৬...

    “স্বাতী,
    মনটা কী চমৎকার হালকা হয়ে গেছে আমার, কী যে ভালো লাগছে আজ। যে-কথাটা বলার প্রবল ইচ্ছে নিয়ে ঘুরেছি এ ক'দিন, অথচ মুখ ফুটে বলতে পারিনি, বলার সাহস হয়নি, সেদিন সন্ধ্যেবেলা যখন হঠাৎ বলে ফেললুম, হাঁটুর উপর মুখ রেখে তুমি যখন আস্তে বললে 'হ্যা', সেই মুহুর্তে আমার জীবনটা বদলে গেল। আমি তোমাকে চাই, তোমাকে চাই,তোমাকে চাই তোমাকে হারাবার ক্ষতি কিছুতে আমি সহ্য করতে পারবো না এই কথাটা প্রবলভাবে দাবি করতে চেয়েছিলুম, কিন্তু ভয় ছিল যদি এ আমার স্বার্থপরতা হয়, তাছাড়া, আমি তোমাকে চাই, তুমি যদি আমাকে না চাও? সত্যিই, স্বাতী, সত্যিই তুমি আমার হবে, এবং আমি তোমার হবো? আমি তো তোমার হয়েই আছি”।

    এবং এ চিঠির একেবারে শেষে এসে লিখলেন,

    “এখানে বন্ধু-বান্ধবরা খুব হৈ-হল্লা করছে। আমি কী লিখছি জানার জন্য অনেকেরই কৌতুহল ও ব্যাগ্রতা। কিন্তু আমি একটুও জানাতে চাই না। কালকেই দুপুরে কলকাতায় ফিরবো।

    আশা করছি ফিরেই তোমার একটা চিঠি পাবো। সেদিন বাড়িতে কি খুব বেশী বকুনি দিয়েছে?

    ইতি
    তোমারই
    সুনীল
    বহরমপুর/বুধবার, ২২ জুন ১৯৬৬

    চিঠি নিয়ে লেখা হয়েছে বহু গান, আর চিঠির ওপর ভিত্তি করে তৈরী হয়েছে বহু সিনেমাও। তেমনই এক উল্ল্যেখযোগ্য চলচিত্র “A message in a bottle” যেখানে সমুদ্রতটে ভেসে আসা একটি বোতলের মধ্যে চিঠি পাওয়া যায়। আর সেই চিঠি পড়তে গিয়ে মেয়েটি অসম্ভব ভালোবেসে ফেলে সেই চিঠিলেখা মানুষটিকে…পরে অবশ্য জানতে পারে, চিঠিটা ওই ব্যাক্তির মৃত স্ত্রীর উদ্দেশ্যে লেখা।

    “You have a touch in letter writing that is beyond me. Something unexpected, like coming round a corner in a rose garden and finding it still daylight.” – Virginia Woolf

    এই চিঠিলেখা আসলেই একটি আর্ট বা শিল্প যা বহু বছর ধরে দূরত্ব ব্যতিরেকে দুটো মানুষের মধ্যে কথা বলিয়ে চলেছে। আঠেরোশো শতাব্দীতে স্যামুয়েল রিচার্ডসনের উপন্যাস “পামেলা”- একটি সম্পূর্ন চিঠিলেখার উপর ভিত্তি করেই যেখানে একটি মেয়ে ও তার বাবা-মায়ের, চিঠির মাধ্যমে কথা হতে থাকে।

    যদিও এই কুড়ি কুড়িতে এসে বুঝতে পারি মানুষ খুব ব্যস্ত এখন। তাই আস্তে আস্তে হারিয়ে যেতে বসেছে আমাদের এই চিঠি লেখার মানুষজন…এখন ফ্র্যাকশন অফ সেকেন্ডে পৌঁছে যাচ্ছে ইমেইল, এস এম এস - সেখানে বসে-বসে একপাতা লেখার প্রয়োজন বোধহয় ফুরিয়ে আসছে। তবু মনে পড়ে  সেইসব দিন যখন একটি চিঠি-র জন্য অপেক্ষা করা হত…সাইকেলের ঘন্টি বাজিয়ে বাড়ি বাড়ি চিঠি বয়ে বেরানো পোস্টমাস্টার তখন যেন দেবদূত!

    জনপ্রিয় রক ব্র্যান্ড “দ্য বিটলস্‌” গানেও এমনই খুঁজে পাওয়া যায়…

    "Mister Postman look and see
    Is there a letter in your bag for me?
    (Please, please, Mister Postman) I been waiting a long, long time
    Since I heard from that girl of mine

    There must be some word today
    From my girlfriend so far away
    Please, Mister Postman, look and see
    If there's a letter, a letter for me"

     

    রোজকার ব্যস্ত জীবনে একখানি চিঠি আসলেই খুব নস্টালজিক করে তোলে।  তাই শেষে শুধু এটুকুই বলব,

    হে প্রিয় মানুষজন – পত্র দিও…খবর নিও।


    [ কৃতজ্ঞতা : উইকিপিডিয়া সহ বিভিন্ন বাংলা ও ইংরেজি ওয়েবসাইট, ও এক সোনামনিকে ]


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • গপ্পো | ২৯ এপ্রিল ২০২০ | ৪৩৬৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ধীমান মন্ডল | ২৯ এপ্রিল ২০২০ ২৩:১১92826
  • আমি সেই সৌভাগ্যবানদের একজন যে অনেক চিঠি পেয়েছি এবং অনেক চিঠি পাঠিয়েছি। একটা Link ও দিলাম সম্ভব হলে শুনবেন। হরিদাস পাল ব্লগে আমার একটা লেখাও আছে"আমার টুকিটাকি লেখালেখি "শিরোনশিরো।

  • ঃ( | 172.68.***.*** | ২৯ এপ্রিল ২০২০ ২৩:৩৮92828
  • বেশ বারো ক্লাসের রচনা হয়েছে।
  • বিপ্লব রহমান | ৩০ এপ্রিল ২০২০ ০৫:২৫92830
  • খুব বিক্ষিপ্ত লেখা। শুধু কতিপয় প্রেম পত্র বা আরও নির্দিষ্ট করে কয়েকটি প্রেম পত্রের আকুতি নিয়ে লিখলে পারতেন। 

    #

    এই খোপে এই কবিতাটিও থাক। 

    "     

    এখন তুমি কোথায় আছো কেমন আছো, পত্র দিও

    এক বিকেলে মেলায় কেনা খামখেয়ালীর তাল পাখাটা
    খুব নিশীথে তোমার হাতে কেমন আছে, পত্র দিও।
    ক্যালেন্ডারের কোন পাতাটা আমার মতো খুব ব্যথিত
    ডাগর চোখে তাকিয়ে থাকে তোমার দিকে, পত্র দিও।
    কোন কথাটা অষ্টপ্রহর কেবল বাজে মনের কানে
    কোন স্মৃতিটা উস্কানি দেয় ভাসতে বলে প্রেমের বানে
    পত্র দিও, পত্র দিও।

    আর না হলে যত্ন করে ভুলেই যেও, আপত্তি নেই।
    গিয়ে থাকলে আমার গেছে, কার কী তাতে?
    আমি না হয় ভালবাসেই ভুল করেছি ভুল করেছি,
    নষ্ট ফুলের পরাগ মেখে
    পাঁচ দুপুরে নির্জনতা খুন করেছি, কি আসে যায়?
    এক জীবনে কতোটা আর নষ্ট হবে,
    এক মানবী কতোটা বা কষ্ট দেবে!" 

    (হেলাল হাফিজ)   

  • Jharna Biswas | ৩০ এপ্রিল ২০২০ ০৮:৩৮92834
  • ধীমান, আপনার ব্লগে গিয়ে কালই লেখাটা পড়েছি। অসম্ভব ভালো লিখেছেন। আর এখানে যে লিঙ্ক দিলেন পুরোটা শুনলাম। অপূর্ব কবিতা ও পাঠ...

    বিসর্গবাবু, পরবর্তীতে  অবশ্যই খেয়াল রাখব, আর যাই হোক রচনা যেন না হয়...নইলে রচনা রাগ করবে...!!

    বিপ্লব, হতে পারে বিক্ষিপ্ত...একসাথে অনেক কিছু নিয়ে লিখতে যাবার নেগেটিভ ফল স্বরূপ এই বিক্ষিপ্ততা...চেষ্টা করব এর পর যেন না হয়...আপনার দেওয়া কবিতাটা আমিও দিয়েছিলাম একদম শুরুতে লিঙ্কে...কিন্তু এলোনা...ছবি অ্যাড করাটা বুঝতে হবে...

    মন্তব্যের জন্য প্রচুর প্রচুর ধন্যবাদ সবাইকে... 

  • কুণালশেখর | 47.***.*** | ১৭ জুন ২০২০ ১৫:০৯94405
  • আমাকে কেউ চিঠি দেয়নি কখনো।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন