এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • রবীন্দ্র আইন, খাপ-মার্কা সাবান, মজুরের বোল ও কৃষ্টির খিস্তি-তত্ত্ব

    Anamika Bandopadhyay অনামিকা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৯ মার্চ ২০২০ | ৬২৩৩ বার পঠিত
  • দাঙ্গাশ্রান্ত ভারতে বসন্ত এসে গেছে। চাঁদের নিজের কোন আলো নাই বলিয়া তাহার হসন্ত উড়ে গেছে। চারিদিক কড়া ও কনফিউজড রোদ্দুর। জবানীতে। উদ্ভিন্ন যৌবনা মেয়েদের পিঠে।

    এভাবে শুরু হতেই পারত। কিন্তু প্রভূত ফেসবুকীয় আভালাঞ্চের পর কিন্তু শুরুতেই প্রশ্ন এসে যাচ্ছে। ঈষৎ, রঙ্গন চক্রবর্তী’র পোস্টটি পড়িয়া। তিনি লিখিয়াছেন- “রবীন্দ্রনাথের গানকে নিয়ে আবার আলোচনা হচ্ছে, কিছু ছাত্রীর শরীরে কিছূ কথা লেখা হয়েছে, যারা লিখেছেন তাঁরা বোধ হয় ভেবেছেন অচলায়তনে ধাক্কা দিয়েছেন। কথা হল নারী শরীরে পুংলিঙ্গের শব্দ দাগিয়ে দেওয়া খুব নতুন কিছু হল কি? … সেখানে এই ধর্ষক পুংলিঙ্গের ভার পিঠে বইছ কেন মেয়েরা? “


    ঠিকই, নতুন কিছু হইলনা। কিন্তু কী হইল যে এতো হালচাল মচিল, সেখানে যাইবার পূর্বে ধন্যবাদ একথা বলার জন্য— মেয়েরা খোলাখুলিভাবে তাদের যৌন ইচ্ছা প্রকাশ করবেন। অবশ্যই করবেন। কেউ স্বাগত না জানালেও করবেন। এর জন্য মান্যতা মেয়েরা না মেনেই করবেন। এখন রঙ্গনবাবুকে ক্ষুদ্র প্রশ্নটি হল-- মেয়েদের পিঠে কি লিঙ্গধারীর নাম লেখা ছিল? এবং সেটি যে যে ধষর্কের তা উনি জানলেন কি করে?

    যদি তা না হয় মানে নাম বা তথ্য যদি তার জানা না থাকে,ধরে নিচ্ছি তিনি তবে জেনারেলাইজ করেছেন। এবার সেক্ষেত্রে সেই জেনারালাইজেশনে ওনার নামও যুক্ত করা যায়, সকল পুংলিঙ্গের নামই যুক্ত করা যায় তবে। অতএব তার জবানী অনুযায়ী পুরুষাঙ্গ মানে ধর্ষকের লিঙ্গ এবং ভাইসি ভার্সা। অতএব এ বিশ্বে যারাই পুরুষের এই অঙ্গটির সাথে রমণ, সঙ্গম করছেন তারা প্রত্যেকেই আসলে তা প্রতি একে এক ধর্ষকের সাথেই করেছেন।

    পুরুষাঙ্গ ও যোনীর মিলন ও জৈব রসায়ন আদি ইত্যাদিতে যদি সন্তান হয়, তবেতো সেসব সন্তানকে ধর্ষকের বলতে হয়। আমাদের পুরুষাঙ্গ-ধারী বন্ধু, স্বজন, আত্মজ, পিতা সব পুরুষাঙ্গ ধারকই তবে ধর্ষক?

    যদি না হয়, সেক্ষেত্রে প্রশ্ন হল— যোনী যদি স্বাভাবিক নিয়মে পুরুষাঙ্গ ধারণ করতে পারে, তবে পিঠ সেই অঙ্গটির নাম অক্ষরে ছেপে রাখলে অপূর্ব কিম্বা মনোহর কিছু না ঘটুক, সমস্যা ঘটবে কেন? এবার রঙ্গন বাবু বাদ।

    ঘটবে। মধ্যবিত্ত মানসিক অবস্থানে মাথায় কোলোনিয়াল মরালিটির জাজমেন্ট পোরা থাকলে ওরম মনে হয়। তাই ঘটে যায়। আর তাই এটি কোন ফেমিনিজমের উল্টোপিঠের পাঠ নয়। পিতৃতন্ত্রের ডাইনোসর-প্রাচীন বাঁধাবুলি পাঠসমূহ। ফেমিনিজম এসব শেখায়না। ফেমিনিজম যেমন পুরুষকে ঘৃণা করেনা,  তেমনি তার যৌনাঙ্গকেও  নয়। এটা নেহাতই হেট রেটরিক। ওটা পুরুষবাদ করে। যোনীকে ঘৃণা। যোনীর অধিকারীকে ঘৃণা।

    কিছু মানুষ নিজের পিঠে কিছু অক্ষর লিখেছেন। অন্যের বাড়ীর দেওয়ালে না। সেটা নিতান্তই সেই মানুষদের, সেই মেয়েদের শরীরের রাজনীতি। সেটা ফ্যালিক ইমেজের দোহাই তুলে অন্যরা নিয়ন্ত্রণ করবেন কেন? এ প্রশ্নে আপাতত খাপ বসছে, কারা খুলছে, কৃষ্টি কাকুর ঘুম ফাটছে।

    'কালচারকাকু
    দিনে নানচাকু

    যে মেয়েরা নিজের ইচ্ছেয় পিঠে পুরুষাঙ্গের ছোটলোকি ডাকনাম লিখেছেন, কথা সেই এক- তা বুঝে লিখুন বা হ্যাল খেয়ে, অস্বীকার করার উপায় নেই একটা কাউন্টারের ধাঁচায় ঠাকুর-মন্দির ভাঙ্গার সাহসটা তারা যোগাড় করে ফেলেছে। এইটা ভয়ঙ্কর। অর্থাৎ নারীর খিস্তি করার ক্ষমতা। যৌন আচরণ / ইচ্ছে জাহির করার প্রকাশ্য ক্ষমতা। একে আটকানোর দরকার। অসভ্যতার সংজ্ঞা, রবীন্দ্র-পুলিশিটা এখানে প্রিটেক্সট।
    তাই তারা গারদে পুরলেন বা চাবকাতে চাইছেন। এদের প্রশ্ন করে দেখুন— ছেলে বা ভাই বা বাবা, কাকা, বর বা বন্ধু যখন কথায় কথায় ‘বাঁড়া কী মাল দেখলাম’, ‘বাঁড়া কী জিনিষ’ বলে তখন গারদে পোরেন তো?

    আসলে অসভ্যতার, বেলেল্লাপনার  সংজ্ঞাটা কালচার কাকুদের গুলিয়ে যায়। কারন নীতিপুলিশি ছাড়া আর কিছু কাজ নেই। চারিদিকে নানাবিধ জ্যাঠামশাই। এই মেয়েরাই যদি বিপদে পড়ে, সাহায্যর দরকার হয় তখন এই সাজা জ্যাঠামশাইদের  টিকিগুলি দেখতে পাওয়া যাবেতো? বাড়িতে ছেলেকে মিসোজিনিস্ট হতে দেখলে ফেমিনিজমএর পাঠ পড়তে বলবেন তো? এমনকি মেয়েকেও? না বলবেননা। ফেমিনিজম খুবই ভয়ের ব্যাপার তাই জ্যেঠিমনিরাও নিজেকে ভুলক্রমেও ফেমিনিস্ট বলবেননা।
    যেভাবে সোস্যালিজমের নামে সারা আমেরিকা চমকিয়ে যায়, তেমনি নারীবাদী শুনিলে, এখনো ভারতের শিক্ষিত, অশিক্ষিত ব্যতিরেকে সকলেই চমকাইয়া যায়। তাই বাঁড়ার মত ফেমিনিজমও এফ-ওয়ার্ড। কাঁচা বাংলায় "খিস্তি সমূহ"। যার ব্যবহার সমাজ-আচার সাপেক্ষে বর্জনীয়। এই শব্দ ব্যাবহারকারীদের, নারীবাদী তাত্বিকদের ও নারীবাদ অভ্যাস করা মানুষজনকে মূলধারার, পুরুষতান্ত্রিক সমাজ কোনো সহজ চোখে দেখেনা। নারীবাদ সম্পর্কে তাদের ধারণাও অস্পষ্ট। ফলে অব্যর্থ যে সমাজে নানান মিসজিনি'র ধারা তৈরি হবে।মূলত অজ্ঞতার কারণে এরা নারীবাদ দেখলেই এড়িয়ে চলেন, এড়িয়ে চলেন নারীবাদীদেরও। নারীবাদীরা এই প্রবণতাকে কটাক্ষ করে ফেমিনিজমকে এফ- ওয়ার্ডের পান হিসেবে উল্লেখ করেন সময় সময়।

    ফেমিনিস্ট-আতঙ্ক পোষেন কিন্তু জেন্ডার-রোল নিয়ে কথা বলবেননা- এই সাবান মার্কা, ডিটারজেন্ট মার্কা পরিবারগুলো হল এই জাতীয় মধ্যবিত্ত মানসিকতার আধা-শিক্ষিতদের অভয়ারণ্য। বাড়ীর মেয়েদের কথায় কথায় ছোট করা, টীকা, টিপ্পনী কেটে গ্যাসলাইটিং করা এদের একমাত্র শখের বিনোদন। এদের সংস্কিতি চচ্চার লিভিংরুম থেকে গ্যালন গ্যালন ফিনাইল, স্যানিটাইজারের গন্ধ ভেসে আসে। ভেসে আসে অস্পৃশ্যতা আর ছুৎমার্গের ব্রাহ্মণ্য মার্কা ন্যাকা বেসুরো টপ্পা।


    শব্দবাজী: ভালোনাম, ডাকনাম, খারাপ নাম

    এবার বলুন শব্দটা যৌন বিষয়ক বলে, নাকি মেয়েরা খিস্তি দিল বলে, নাকি বাঁড়া শরীরের পিঠে লিখল বলে, নাকি মেয়েরা কেন করবে বলে, নাকি এটি আপনার মতে বেলেল্লা বলে, নাকি মেয়েগুলো যাদবপুর নয় মফস্বল বলে বা ‘এইরে যাদবপুরের পথে হাঁটছে’ বলে, ডিক্-ফাক্ এর মত আমেরিকা স্মার্ট নয় বলে, প্রমিত নয় মজদুর বস্তিবাসীর ভাষায় বাঁড়া বলল বলে নাকি রবীন্দ্রনাথ বলে?

    চাঁদ উঠেছিল বলেছে। বাঁড়া মুখে আ্যসিড মারব, বাঁড়া খুন করবো এসব কিছুতো বলেনি মনে হয়। যৌন হ্যারাসমেন্টও ঘটায়নি। ‘মুসলমান কিনা বাঁড়া দেখা’ এসব বললে আপনারা স্রেফ মাফ করে দিচ্ছেন। ওই দাঙ্গাবাজগুলো আর তার সাপোর্টার-রা আপনাদের তৈরি করা অভয়ারণ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মাথা গুলিয়ে যাচ্ছেনা তো? এতগুলো খুনী বাইরে ছাড়া রয়েছে। আসলে বেশীরভাগ মানব সন্তানেরই সমর্থন আছে। চেতনে না থাকলেও আছে। অচেতন আছে। মনে মনে আপনারাও ওই ‘প্যান্ট খুলে দেখান’ দলের মতই সাম্প্রদায়িক। তালিবান। মনুবাদী। ব্রাহ্মণ্যবাদী। পচা রক্ষণশীল। যৌনহিংসুক। বিদ্বেষবাদী। সবেরই উৎস খাঁটি বিদ্বেষ। মতে না মিললেই খতম।

    মোদ্দা হল— কথাটা খুব সামান্য আর সহজ নয় কি? ওটা যে বিশ্বমানের (কোন মান এর-ই না) কাউন্টার-আর্ট নয়, সেটা বোঝার জন্য আর্ট-হিস্টোরিয়ান, ফুকো-তাত্ত্বিক, সেক্সিস্ট, ফেমিনিস্ট কিছুই হতে হয়না। এটা এমনকি কোনো ফ্যাৎরামোও নয়। এতটাই সিলি । পারফরমেন্স্ আর্টও একে বলেনা। কিন্তু তাবলে ফ্যাসি-দাদাগিরি করে গারদে পুরবেন? এইটা সভ্যতা? মধ্যযুগ পেয়েছেন? পছন্দ না হলেই ধরে চাবকাবেন??

    শিল্প হয়েছিল কিনা এনিয়ে নিজের কপালে চাপ দেবেননা। আর্ট জিনিসটা কমই হয়। কিন্তু যেটা হয়েছে তাতে কিন্তু পশ্চাতে দমের লব্জ এসে যাচ্ছে। তালিবান সমাজে কাউন্টার করতে শুধু হ্যাল খেয়ে হয়না। পশচাতে দম লাগে। অনেকেরই মাথা গুলিয়ে যাচ্ছে কারন টেবিল চেয়ারে বসে শিল্প করতে করতে, কেবলই মধ্যম হতে হতে, যেমন বেণী তেমনি রবে করতে করতে হঠাৎ বাহির প্রাঙ্গণে, ঠাকুর ঘরে এরূপ দুঃসাহস দেখিয়া ফেলিলে ভয় করিতে থাকে। মাথা গুলাইয়া যায়।

    আসলে সেই ডাইনোসর বেত্তান্ত-- যৌনতা জিনিসটাই খারাপ। যেমন ২০২০ তেও মেয়েদের ঋতুস্রাব খারাপ। উহাতে দূষিত রক্ত থাকে।মেয়েরা যৌন খিস্তি দিলে রবি-মন্দিরের থেকে ভেসে আসে অশ্পৃশ্য ও পবিত্র / অপবিত্র বাইনারির রেটরিক।
    এবং বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়— এসবই কী দারুন পাওয়ার পলিটিকসেরও বিষয়।

    আমাদের সবার মতই বিশ্বভারতী, রবীন্দ্র-ভারতী রবীন্দ্র বেচে খায়। বাঁড়া হল- পুরুষের যৌনাঙ্গ। যৌনাঙ্গ র সমার্থক শব্দ কী? ‘খারাপ’? যৌনাঙ্গের নাম নিলে কি হয়? এইডস না ভূমিকম্প? রবীন্দ্রনাথের গান কি গাইগরুর দুধ? আর পুরুষ যৌনাঙ্গ যার ছোটলোকি ডাকনাম “বাঁড়া” তা ধারেকাছে লিখে টাঙ্গিয়ে রাখলে কি রবীন্দ্রসঙ্গীত ছানা কেটে যাবে? কারা জানি দেখলাম— অক্ষরগুলো স্রেফ রবীন্দ্র দিয়ে রিপ্লেস করে দিয়ে গেছে। অর্থাৎ বাঁড়া চাঁদ উঠেছিল গগনে না বললে পরিবর্তে বলা যায় /- র বী ন্দ্র না থ ।
    বলে ফেলুন। তারপর খোলা আকাশের নীচে গানটি গাইবার চেষ্টা করে দেখুন। গানটি গাইতে পারছেন? কিছু খোয়া যায়নি । দেখুন- লাইন, দাঁড়ি, কমা, কাম, ছিটকিনি, সেফটিপিন, সোম, ফাঁক, মীড় সবই বজায় আছে। থাকবেও। সে আগে  বাঁড়া থাকুক, না থাকুক।

    কথা হল মেয়েরা “মেয়েলি’ ভাষায় কথা কইবে। খিস্তি পুরুষের ভাষা। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টোনি ম্যকেনরি দীর্ঘকাল এক নিরীক্ষা চালিয়েছেন- এফ ওয়র্ডস ও তার বিবিধ মর্ফোলজির ভ্যারিয়েশন নিয়ে। তাতে দেখা গেছে- নব্বই দশকে প্রতি এক লক্ষ নমুনার শব্দ ব্যবহারে পুরুষরা একহাজারটি বার এফ শব্দ ব্যবহার করছেন, যেখানে নারীরা একই নমুনা সাপেক্ষে এফ শব্দ ব্যবহার করছেন মাত্র দুশো বার। এই পরিসংখ্যান পাল্টে যাচ্ছে— দু দশক বাদ এসে, পাল্টে যাচ্ছে ছবি। পরিসংখ্যান। পাল্টে যাচ্ছে ব্যবহারকারীর আর্থ-সামাজিক শ্রেণী। বস্তির, মজুরদের খিস্তিবয়ান এখন এলিট গোত্রের ডালভাত লব্জ। এমনকি মধ্যবিত্তর। খবরটা খতরনাক। টোনি জানাচ্ছেন- পৃথিবী এখন এই পথে চলছে।

    আর সার কথা হল, পৃথিবী এখন এই পথে চলছে

    এলিট নয়, মজুর নয় এমন কে বা কারা সমাজকে মাঝের আঙুল দেখাতে চেয়েছে। গেল গেল, ধর ধর তো হবেই। হোকনা তারা রেবেল উইদাউট আ কজ। না বুঝে করেছে। কাউন্টার কালচার জানেনা। আ্যন্ডি ওয়রহোল দেখে উজ্জিবীত হয়নি কখনও। ফেমিনিজম মেনে পরিকল্পনা করেনি। হয়ত, ডেঁপো। ঈষৎ পেছনপাকা। নেহাত-ই ফক্কর। কথা হচ্ছে, আপনি যাই বলুন ঘটনা কিন্তু ঘটে গেছে। এখন যতই তর্জনী তুলুন, মাঝের আঙুলটা তারা কিন্তু এই ট্যাবু-পুষ্ট, কৃষ্টি-বিহ্বল বঙ্ বাজারকে  সপাটে দেখিয়ে দিয়েছে।

    ভগবান-ঠাকুর-আল্লা, এদের সাথে পাল্লা?

    নো খিল্লী।

    শেষ কতার এক কতা।

    অতএব শ্রমিক নারীদিবসের প্রাক্কালে সক্কলে তেড়িয়া প্রমাণ করিলেন- আমেরিকা নয়, ধনতন্ত্র নয়, পিতৃতন্ত্র নয়, ঘুসপেটিয়া বুর্জোয়া কর্পোরেট নয়, আইসিস নয়, ফ্যাসিস্ট নয়, হিন্দুত্ব নয়, গ্রহের উষ্ণায়ন  নয়, রেবেল উইদাউট আ কজ নয়- বাঁড়াই এ জগতে সবচে ক্ষতিকর বস্তু। তথাস্তু।

    আসুন বাঁড়ামুক্ত সমাজ গইড়্যা তুলি।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৯ মার্চ ২০২০ | ৬২৩৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • manab manisha mitra | 172.68.***.*** | ০৯ মার্চ ২০২০ ০৪:৪৪91329
  • খুব ভালো হয়েছে লেখাটি। বলা বাহুল্য, সময়চিত তো বটেই; তাছাড়া যথাযত নাড়া দিয়েছেন মধ্যবিত্তর অমেধাজনিত মেধা-চর্চা কে। বাঙালী মধ্যে-বিত্তের (ধর্ম-ভেদে) মাঝে যে একটা মধ্য-যুগীয় বাপ্যার আছে, এখনো, তাহা এহেন FIR পুনরায় প্রমান করে। রঙ্গন বাবুর কথার অযৌক্তিকতা এতটাই প্রগাঢ় যে উনাকে দুর্বৃত্তের -- মানে ভারতীয় রাজনৈতিক দলের (অধিকাংশ) নেতাদের মতন শোনালো।

    পুনরায়, এহেন লেখার জন্য সাধুবাদ এবং ধ্যন্যবাদ।
  • একলহমা | ০৯ মার্চ ২০২০ ০৫:০২91330
  • খুব ভালো লাগল।
  • | 162.158.***.*** | ০৯ মার্চ ২০২০ ১২:২৬91341
  • বাহ! তীক্ষ্ণ তীব্র।
    অতি চমৎকার।
  • ela | 172.68.***.*** | ১১ মার্চ ২০২০ ০৮:২৭91397
  • ভাল লাগল। কালচার কাকুদের উৎপাতে এক ভদ্রলোক বাসে মাস্টারবেশনের দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। বছরখানেক আগের ঘটনা মনে হয়।
  • pi | 162.158.***.*** | ১১ মার্চ ২০২০ ০৮:৫৮91398
  • কিন্তু এটা কি পাব্লিকলি, কোন মেয়েকে দেখে মাস্টারবেট করার সমতুল্য?
  • মিল | 162.158.***.*** | ১১ মার্চ ২০২০ ১০:০২91399
  • কোনটাতেই কাউকে হুমকি দেয় নি, কারো ক্ষতি করে নি, এমনও নয় যে পৃথিবীতে এই প্রথম কেউ মাস্টার্বেট করলো। একটায় মেয়েরা করেছে, একটায় ছেলে। ও হ্যাঁ, আরেকটা তফাত হল বাসে রবীন্দ্রজয়ন্তী হয় নি।
  • শান্তনু গঙ্গারিডি | 162.158.***.*** | ১২ মার্চ ২০২০ ১২:০৯91418
  • সমাজপতি (এবং সমাজপত্নী)দের ঝুঁটি ধরে নাড়িয়ে দেওয়া একটি প্রতিবেদন।
  • একক | 188.114.***.*** | ১২ মার্চ ২০২০ ১২:১৯91419
  • হিস্টরিকালি পুরুষ ত পাওয়ার পজিশনে উপরে রয়েচে। এবার অসম পাওয়ার রিলেশনে, ভলান্টারি কন্সেন্ট বলে কিচু হয়না। হ্যাঁ বল্লেও আন্ডার পাওয়ার প্রেসার।

    তাই হেটের সেক্স মানেই ধর্ষন.।

    এ আমি নতুন বলচি না ঃঃ))
  • কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় | 162.158.***.*** | ১২ মার্চ ২০২০ ১৩:৩০91421
  • নচ্ছার রোদ্দূর রায় যা ভাবেনি আপনি তাই ভেবে ফেলেছেন। আপনি আমায় শুধু বলুন, রোদ্দূর রায় কে? গায়ক? সমাজ সংস্কারক? মসীহা? যদি গায়ক তার প্রধান পরিচয় হয়, তাহলে ডিগবাজি খেয়ে মার্কিনি বাংলায় সুরহীন রবীন্দ্রগীতি আবৃত্তিটাকে কি আপনি গান বলেন? উনি স্রষ্টা নন। নিজের বিচরণ ক্ষেত্রে একটি মৌলিক গালিও তিনি সৃষ্টি করতে পারেননি। মসীহা হওয়ার প্রশ্নই নেই, কারণ ওর বক্তব্যগুলি অত্যন্ত ক্লিশে। রাজনৈতিক কথাবার্তাও গভীরতাহীন। সব দেখে মনে হওয়া স্বাভাবিক একটা ভাইরাসকে বাজারে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে স্রেফ সমাজে সুপ্ত লুম্পেন সংস্কৃতিকে জাগিয়ে তোলার জন্য। রোদ্দূরের সেই 'সাধনা'র সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক যতটা ক্ষীণ, আপনার থিসিস মোতাবেক ফেমিনিজমের সম্পর্কও ততটাই দূরের।
  • . | 172.69.***.*** | ১২ মার্চ ২০২০ ১৭:৩১91424
  • রোদ-্ধুর বাল বলেছে শব্দগুলো রবীন্দ্রনাথের কেনা নাকি? বাংলা শব্দ তাই ওসব লাগিয়েছি। হ্যাঁ চাঁদ উঠেছিল গগনে সবই অভিধানে আছে, বাঁড়া আছে কিনা জানি না, সে হল নাহয়, কিন্তু রবীন্দ্রনাথ যদি এতে না-ই থাকে, তবে RBU চত্বরে ঠিক দোলের আগেই বসন্তোৎসব পালনের কায়দায় শাড়ি পরে মাথায় ফুল গুঁজে ঐসব পিঠে লিখে দেখানোর মানে কী? এটা যেন জোর করে রবীন্দ্রনাথ টেনেই আনা হল। এবং তাতে থুথু ওপর দিক থেকে তাহাদের নিজ মুখেই ফচাৎ করিয়া পড়িল। মেনেই তো নিচ্ছি যে চাঁদ গগনে উঠেছিল সবই অভিধানে আছে, কিন্তু ঐভাবে ওরা সেটা নিয়ে ফলাও করার কী দরকার ছিল? মহাবিপ্লবী রোদ (ধুর বাল) -এর চেয়েও এরা যেটা করেছে সেটা বুঝিনি।
  • Anamika Bandopadhyay অনামিকা বন্দ্যোপাধ্যায় | ১৩ মার্চ ২০২০ ০৪:২৮91444
  • আবার পড়ুন। যা যা বল্লেন সব আ্যাড্রেস করা আছে।

    আবার পড়ুন। যা যা বল্লেন সব আ্যাড্রেস করা আছে।

    আবার পড়ুন। যা যা বল্লেন সব আ্যাড্রেস করা আছে।
  • সে | 162.158.***.*** | ১৩ মার্চ ২০২০ ০৪:৫২91446
  • সুন্দর লেখা
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন