কে আছো সদার মাথায় কষে একখান দাও দিকি। বুড়োদের মধ্যে ডেঁপোমি করছে। ঃ)
সদা বেটা ঐ ভুল কভু করিও না। চাকরি গেলে তুমিও গেলে। এই কয়ে রাখলাম।
আজ আমার মাথার পেছনে কেমন হ্যালো জ্বলছে। কনসালটেন্সি মোডে রয়েছি।
sda | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০০:২৩ | 117.194.193.14
এদিকে , আমি তো কবে থেকেই তেনাকে বলে আসছি যে ,দ্যাখ তুই তো আইটি গার্ল, কয়েক বছরের মধ্যে হুব্বা লেভেলে উঠে যাবি, তবে আমি কেন আর কষ্ট করে চাগ্রী-বাগ্রী করি। তোর ও তো ঘরদোর ম্যানেজ করার সময় থাকবে না , তুই বরং আমাকে রাখ। ঘরের কাজ-কম্মো সব দায়িত্ব নিয়ে নামিয়ে দেবো। দাবী-দাওয়াও বেশি নাই। ভাত-কাপড় , একটু নেশা-ভাং আর বই কেনার খরচ দিলেই হবে। তো কে শোনে কার কথা। উল্টে শুনতে হয় - মাঝরাতে আঃ বাঃ না বকে ল্যাপী অফ করে ঘুমোগে যা, কাল সকালে অফিস আছে। পুরো নির্মোহ ব কেস।
T | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০০:২০ | 14.139.128.11
এঃ রাম। পাতি জামাকাপড় কাচা নিয়ে এত।
rimi | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০০:১৬ | 168.26.205.19
আচ্ছা, জামাকাপড়ের ব্যপারটা নিয়ে আমাকেও বেশ প্রবলেমে পড়তে হয়েছে। আকা আপিসের জামাকাপড় লন্ড্রিতে দিলেও বাড়ির জামাকাপড় গেঞ্জি মোজা ইত্যাদি তো ওয়াশিং মেশিনেই দেয়। আগে সব একসঙ্গে কাচা হত। আমারই ডিউটি ছিল সব কেচে সব জামা ভাঁজ করে জায়গায় রাখা। কিন্তু এটা রীতিমতন সময় সাপেক্ষ, আর বিশেষ করে যখন খেয়াল করতাম যে ঐ সময়ে আকা দিব্বি গায়ে হাওয়া লাগিয়ে গুরু করে। তখন আমি ধীরে ধীরে কাজ কমাতে শুরু করলাম। প্রথমে আকার জামা কাপড় ভাঁজ না করে দলা পাকিয়ে ওর ক্লোসেটে রেখে দিতাম। কিন্তু তাতেও ওর জামা কাপড় মোজা ইত্যাদি খুঁজে বের করতেও সময় যেত। ওদিকে দলাগুলো দলা অবস্থাতেই পড়ে থাকত বলা বাহুল্য।
এখন নতুন নিয়ম, যার যার জামা সে কাচবে। আকার, আমার এবং ছেলের লন্ড্রি বাস্কেটই আলাদা করে দিয়েছি। ছেলেরটা আমিই মেশিনে ঢোকাই, কিন্তু সর্ট করে গুছিয়ে রাখাটা ছেলেকে দিয়েই করাই। আকার বাস্কেটে জামা জমতেই থাকে, জমতেই থাকে। কিন্তু আমি ও নিয়ে মাথা ঘামাই না। ঃ-))
অবিশ্যি ছেলের সাদা জামা কাচার দায়িত্ব আকা শখ করে নিজেই নিয়েছে এদানি।
T | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০০:১৬ | 14.139.128.11
অন্যের ভরসায় থাকারই বা কী দরকার, তাদেরকে সুযোগ দেওয়ার জন্য উশখুশ করারই বা কী আছে। নিজের প্রয়োজন। অতএব নিজে মেটালেই তো হয়।
এবারে এই এক্সেল শিট ফ্রিজের গায়ে লাগানোটাই লাস্ট উপায়।
আজ প্রতি ঘন্টায় একবার করে ডেস্কের ল্যান্ডলাইনে ফোন করে শুধিয়েছি - কোনো ডিভোর্স লইয়ারের খোঁজ পেলে? ওটা কিন্তু তোমাকেই ইনিশিয়েটিভ নিয়ে করতে হবে। ডিভোর্স লইয়ারটিও আমি খুঁজে দেবো না।
এক্ষেত্রে ইন্সেন্টিভটা হবে আমার পয়সায় তোমাকে অমুক কোম্পানীর স্টক কিনে দেব।
rimi | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০০:০৬ | 168.26.205.19
ব্যাং, সব কিছুর সমাধান হল একটি এক্সেল শিট। কাজ ভাগ করে কাজের লিস্টি করে এক্সেল শিট ফিরিজের গায়ে আটকে দিবি। তারপরে ঢ্যাঁড়া মারবি কোনটা কোনটা কে কে করেছে আর কোনটা করে নি। আগের মাসে কেউ ফাঁকি দিলে পরের মাসে তাকে বেশি কাজ করতে হবে। ফেয়ার হবার জন্যে দুজনের ক্ষেত্রেই এক নিয়ম।
তবে শুধু শাস্তি দিলে চলবে না। আম্রিগা এসে শিখেছি ইন্সেন্টিভের গুরুত্ব। বলবি, পুরো মাসে ঠিকমতন চললে মাসের শেষে তোমাকে ট্রিট দেব, বা সিনিমা দেখাবো, বা ভালোবেসে চুমো খাবো, - মানে যেটায় কাজ হবে ঃ-)
Tim | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০০:০৪ | 98.249.6.161
ধুর, ইসেকে যদি হিসেবেই ধরে নাও তাইলে তো সে আর ইসে থাগলো না।
কমরেড আকা, সবাইই কি আর আপনার মতন স্থিতধী আর প্রাজ্ঞ। দুঃখের বিষয়, আপনার এই বুদ্ধং শরনম গচ্ছামি গোছের পোস্টগুলো যদি বিভীষণ টাইপের লোকজনের মাথায় গজাল মেরে ঢোকাতে পরতেন, তবেই না দেশের ও দশের উপকার হত।
আলোগুলো-ও নেভাল না। যে ঘরে শুল সে ঘরের আলো-ও নেভাল না।
aka | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২৩:৫৭ | 168.26.215.13
দুজন চাকরি করলে সব কাজ নিজেরা করা চাপের। এবারে বাজেটের প্রশ্ন আছে। বাজেট মেন্টেইন করাটাও আর্ট।
তবে মূল কথা হল অর্গানাইজড হওয়া। সময়ের কাজ সময়ে করা। হপ্তায় সেইটুকুই খরচ করা যা আগে থেকে ডিসাইডেড। এবারে লোকে বলবে তাহলে তো কোন ইসেই নেই জীবনে। তো জীবনে ইসের জন্যও বাজেট রাখুন না কেনে? ধরুন মাসে x অ্যামাউন্ট ধার্য্য করলেন ইসে করবেন। সেই x অ্যামাউন্ট খরচ হয়ে গেলেই রাশ টানুন।
এই বাজেট এবং অর্গানাইজেশন না থাকলে বিজি লাইফে সব সময়েই মনে হবে হেব্বি কাজ করছি, আর নয়ত মনে হবে খুব খরচ হয়ে গেল। এক্ষেলে না ফেললে সব সময়েই খরচের ভয়ে মরতে হয়। আমারও হয়। সবাইকারই হয়।
একটু চিন্তা করলে সব প্রবলেমেরই একটা সহজ সলিউশন আছে।
ppn | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২৩:৫৬ | 122.252.231.10
আহা, আবার বুইতে ভুল কমরেডের। গ্রেগারিও, গ্রেগরিনা দুজনই বাইরের লোক, তাদের কাজ আউটসোর্স করা হয়।
বিভীষণ একটু আগে বাড়ি ফিরল, জুতো খুলল, মোজা খুলল। জুতো ঠিক জায়্গায় রাখল। মোজা বাথ্রুমে রাখল, জামাকাপড়ও বাথরুমেই রাখল, কিচ্ছু কাচল না। কাচার জন্য লন্ড্রী ব্যাগেও ঢোকাল না। টাওয়েল র্যাকে সব স্তুপ করে রাখল। (আমার কাজ হচ্ছে কাল সকালে সব টেনে নিয়ে ওয়াশিং মেশিনে ঢোকানো) হাতমুখ ধুল দাঁত মাজল। একবারও তাকিয়ে দেখল না, জল দিয়ে ভালো করে ওয়াশ বেসিনের ভিতরটা ধোয়া হল কিনা, কোনো কিছু উপরে থেকে গেল কিনা। খাওয়া হয়ে গেছে, ধপ করে শুয়ে পড়ল। চাদরটা ঠিক করল না, ঝাড়ল না।
ppn | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২৩:৫৩ | 122.252.231.10
আমার আবার অন্তর্দৃষ্টি আছে, প্রদোষ মিত্তিরের মত না লালবাজারের ইন্টিলিজেন্স স্কোয়াডের মতন, সেই দাবি আমি আর কখন করলাম, কমরেড!
(এইবার ব্যাং সিরিয়াসলি খচেছে, আপনি আজ্ঞে করতে লেগেছে। ঃ(
টেমপ্লেট তো আপনিই চেয়েছিলেন কমরেড প্পন। আমি আপনাকে গাঁতাতে সেধেছিলুম কী? আমিই আমার সমস্যার কথা বলছিলাম, তাতে আপনারা সবাই নিজেদের টেমপ্লেট ফেলে মেলাতে শুরু করলে আমার তাতে দায় কোথায়?
vv | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২৩:৪৩ | 59.164.189.191
পরবাস ডট কম কোন ব্রাউজারে খোলা যায়? আজব সাইট, ফাফ-ইয়ে সবেতেই হিজিবিজি আসছে!
১) জুতো ঠিকঠাক জায়গায় রাখা হয়। মোজা যায় ক্লিনিং ব্যাগে। ফিরেই জামাকাপড় কেউ কাচে না, আমাদের কেউই না। নোংরা হয়ে গেলে ওই ক্লিনিং ব্যাগে যায়।
২) চা আর ব্রেকফাস্ট আমি বা বউ কেউ একজন বানায়। ডিপেন করে কে ঐসময় মেয়েকে স্কুলের বাসের জন্য নিচে ছাড়তে যায়।
...
৬) এটা আবার ব্যক্তিগত কাজ কবে থেকে হল। সবাই তো করে।
৭) গ্রেগোরিও করে।
৮) গ্রেগারিনা করে। ...
ইত্যাদি ইত্যাদি। তো, এইসব ডিটেলসে বলে লাভ নেই। কারণ ইতিমধ্যে অনেক কথা বলা হয়ে গেছে।
এইবার কে কী কাজ করবে সেইটা কোন দেশ, বাইরের কাজের চাপ কী, কার কী ভালো লাগে এইসব অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। বউ বিয়ের আগে চাক্রি করত, বিয়ের পরে আমার সাথে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়িয়ে আর করা হয়নি, এখন আমি মাঝেমধ্যে প্রসঙ্গ তুললেও তার মনে হয় আর বাইরে চাকরি-টাকরি করার ইচ্ছে নেই। আমিও চাপ দেই না, কারণ কে কী করবে সেটা তার পার্সোনাল পছন্দ। সে রান্না করে, ছুটির দিন বা উইকেন্ডে বাড়ি থাকলে আর বাইরে খাওয়া না হলে আমিও করি। এতে এমন আর কী বড় ব্যপার হল, বিদেশে মেয়ে জন্মানোর পরে কেউ সামলানোর ছিল না, আমারো অফিসে চাপ বলে কিছু ছিল না (ইওরোপে) , রান্না, কার্পেট পরিষ্কার আমিই করতাম। এই মুহূর্তে রান্নার জন্যও লোক রাখাই যায়, কিন্তু কোয়ালিটি দেখে বউ নিজেই না করে দিয়েছে। বাজারহাট দুজনেই করি।
এই হল কথা। নিজের নিজের সমস্যার নিজেদেরই বার করতে হবে। এর জন্য টেমপ্লেট গাঁতানোর দরকার আছে কি!
এই ক্যাপিটাল ই, ক্যাপিটাল টি, নিজেদের স্বভাবটি একবার দেখুন, নিজেরা নিজেদের কাজগুলো কী কী সেটুকু আইডেন্টিফাই করার পরিশ্রমটুকুও করবেন না। এক অপরিচিতা বৃদ্ধাকে দিয়ে খাটিয়ে নেওয়ার মতলব।
অরণ্যদা, অ্যাফোর্ড তো করাই যায়। কিন্তু অ্যাফোর্ড করার ক্ষমতা থাকলেও ইচ্ছেটা না থাকলেই সমস্যা শুরু হয়। আমি যেটা বলতে চাইছি, আমাদের কমবেশি সবারই ধারণা আছে মেয়েদের শ্রম মানেই মাগনা, সেটার কোনো অর্থকরী মূল্য হতে পারে না। তদুপরি যে কাজের অর্থকরী মূল্য নেই সেই কাজটা করা কী এমন মহাভারত ব্যাপার জে মেয়েরা করবে না এই অ্যাটিচুডটাতেই আমার যত আপত্তি।
E | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২৩:৩১ | 117.225.138.171
একটা ফুল লিস্টি পেলে কিন্তু সত্তি সুবিধে হত। মাঝে মাঝে ই®¾ট্রাস্পেকশন সব ছেলেই করে আজকের দিনে। তাদের অনেকেরই ব্লাইন্ড স্পট থাকাটাই স্বাভাবিক। একটা ডিটেইলড লিস্ট পেলে কোনটা কোনটা নিজের জন্য প্রযোজ্য দেখে নেওয়া যেত।
Sibu | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২৩:২৮ | 216.239.45.22
না না। আমি মোটেই ঐ আটটি কাজ করি না। তবে করার ব্যবস্থা করি। ইস্তিরি করা জামাপরি না তো। আর চা না হলে কফি বানাই।
ব্যাঙ, মোটেই সবাই ঐ আটটা কাজ করে না। আমাদের যেমন রান্না আউটসোর্সড, আর কাপড় কাচে ওয়াশিং মেশিন। জামা, প্যান্ট ইস্ত্রি, বাসন মাজা এগুলো অবিশ্যি সোজা কাজ - ছেলেরা এগুলো ও না পারলে মুশকিল। রান্নাও হয়ত কারও কারও কাছে যেমন আকার কাছে জলভাত;-) । আর দুজন চাকরী করলে বাড়ীতে কাজের লোক অ্যাফোর্ড করা সোজা, শিবু এটাই বলছিল মনে হয়।
ডাক্তার ঃ-))। আমি গুণছি, শুধু গুণছি, কানে ভৈরবীর সুর শুনছি। গুচর সব পুরুষরাই তাহলে আমার লিস্টির ঐ আটটি কাজই করেন বাড়ি ফিরে!! এমন একটি পুরুষ খুঁজে (কেন) পেলাম নাআআআআআ ঃ-((
I | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২৩:১২ | 14.99.65.12
আমি ছিলাম, কিন্তু আমি তো কম্পুটারোলা নই! ঃ-((
T | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২৩:১২ | 14.139.128.11
ধুস, আমি এসব তো করিই, প্লাস বাথরুম পরিষ্কার, মেয়েকে দেখভাল, বাজার দোকান এটসেটেরা হাজারো খুচখাচ মায় বৌয়ের ম্যাটল্যাব কোড অবধি...:)
রাইট আকা। তোমার শেষ বাক্যটিতেই যত্তো গন্ডগোল। কিছু কিছু পুরুষ মক্ষীচুষ আছেন, যাদের এই শেষ পয়েন্টটিতেই প্রবলেম। খরচ করতেও তারা রাজি নন। বিয়ের পরে প্রথমদিকে তো আমাদের ওয়াশিং মেশিন ছিল না। তো আমি দুজনের জামাকাপড়ই লন্ড্রীতে দিতাম, তখন প্রথমে এল খরচের প্রশ্ন। তখন আমি নিজেরগুলো নিজে কেচে নিতাম, বরেরগুলো লন্ড্রীতে পাঠাতাম, তখন প্রত্যেকদিন অশান্তি লন্ড্রীর লোকরা কোন জামা কুঁচকে দিয়েছে, কোন প্যান্ট পুড়িয়ে দিয়েছে, কোন জামায় দাগ লাগিয়ে দিয়েছে। তখন ওয়াশিং মেশিন কেনা হল, তখন সমস্যা শুরু হল ইস্ত্রি করা নিয়ে। আমি ইস্ত্রি করা জামা পরা ছেড়েই দিলাম। সব কটন জামা দূর করে দিয়ে ইস্ত্রি করতে হয় না এমন জামা পরা শুরু করলাম। কিন্তু উনি রিঙ্কÒফ্রী জামাকাপড়ের পিছনে খরচ করবেন না। তখন ইস্ত্রিওয়ালা বহাল হল, কিন্তু সেও নাকি রেগুলার না, জামা পুড়িয়ে দেয় এসব শুরু হল। কিন্তু আমি সেটাতেও পাত্তা না দেওয়ায় এখন যেটা হয় সেটা হল ইস্ত্রির টেবিল কিনে নিজের জামা নিজে ইস্ত্রি করা। কিন্তু সেটা করতে হয় বলে আমাকে এবং ছেলেকে রোব্বার রোব্বার বাড়ির পুরুষমানুষটির সঙ্গ পাওয়ার আশা ত্যাগ। কারণ আমারা কোথাও গেলেও তিনি যাবেন না। তিনি কাপড় ইস্ত্রি করাকে একটি বিশাল ইস্যু বানিয়ে কয়েক ঘন্টা ধরে পাঁচটি জামা ইস্ত্রি করেন। কিন্তু তবু কাজটি আউটসোর্স করে পয়সা নষ্ট করা যাবে না।
tapas das | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২৩:০৪ | 113.21.77.237
installation হয় না যে, tips দেওয়ার মত কেউ ধারে কাছে আছেন নাকি?
rimi | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২৩:০৩ | 168.26.205.109
আরে ব্যাং, চলে আয় আকার দ্বিতীয় পক্ষ হয়ে, আমরা দুজনে মনের সুখে আড্ডা মারব আর আকাকে বেগার খাটাবো।
aka | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২৩:০০ | 168.26.215.13
ব্যাং এটাও সোশাল কন্ডিশনিং। আমার বউ আমাকে প্যাম্পার করলে আমিও সেটাই এক্সপেক্ট করতাম (এককালে করত, তাই বিয়ে অবধি এগিয়েছিলাম ঃ((( )। আমার কেমন বোধহয় তুইও প্রথম প্রথম প্যাম্পার করে এখন কেস খেয়ে গেছিস। আর ভালো লাগে না, লাগার কথাও না। তা এগুলো কিছু প্রসেস ফলো করেই সলভ করা যায়। ঝগড়া করার দরকার নেই।
যেমন জামা-কাপড় লন্ড্রিতে দাও - ইস্ত্রিও ভালো হবে আর নিজেদের ঝামেলাও নেই। আমি মাসে একবার সব লন্ড্রিতে দিই। আপিসের চিন্তা নেই। বউও দেখে দেখে তাই করে। একটু খরচ হয়, কিন্তু ঝামেলা একদম নেই।
Bratin | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২৩:০০ | 117.194.96.32
আই টি গাইজ দের সত্যি চাপ রে ব্যাঙ। তার পরে আর পারে যায় না। বাড়ি তে এসেও শান্তি থাকে না। কং কল ।
আমি আমার নিজের বাবা-মার কেসটিই নিয়েই আলোচনা করি বরং। আমার বাবা তো আর আইটি গাইজ নন তাঁকেও দেখেছি বছরের বছর কীভাবে এইসব ছোট্ট ছোট্ট কাজগুলো মায়ের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে আর পান থেকে চুন খসলেই আমার হাসিখুশি মজার বাবা ক্যামোন পুরুষসিংহ হয়ে বিরক্তি প্রকাশ করত। আর বিরক্তি প্রকাশের সময়ে একবারও স্বীকার করত না যে মায়ের কেরিয়ারটি যে (দিল্লি আকাশবাণীতে কাজ করত আমার মা প্রথম জীবনে) হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে তার মুখ্য কারণ আমার বাবা।
থ্যাংকিউ আকা, সত্যি কথাগুলো বলার জন্য। এবার বলি, যদি জানাই আছে এই কাজগুলো কারুরই করতে ভালো লাগে না, তাহলে কেন শুধুই বা মেয়েদের থেকে এই আনুগত্য আশা করা হয় যে তারা বিনা প্রশ্নে, বিনা আপত্তিতে বছরের পর বছর এই অপছন্দের কাজগুলো করে যাবে। পশ্য আমার এবং কিকির অভিজ্ঞতা। দুই নম্বর পয়েন্ট হল যদি জানাই আছে এগুলো সবার জন্যই অপছন্দের কাজ, তাহলে মেয়েরা এই কাজগুলো করতে অস্বীকার করলে তারা চাকুরিরতা নাকি চাকুরিরতা নয় এই ফাঁকটা খোঁজা হবে। নিজের অপছন্দের কাজগুলো মেয়েদের দিয়ে করিয়ে নেওয়ার সময় সে বৌ হোক অথবা মা, ছেলেরা কিন্তু এই ছোট্ট তথ্যটা মনে করিয়ে দিতে ভোলে না।
পটকেবাবু আপনি করেন, খুব ভালো কথা। কিন্তু এখানের স্কোপ হল যারা করেন না (দেখতে চাইলে আপনিও আমার বাড়ি আসতে পারেন), তারা কেন করেন না, এবং আদৌ যদি করেন কী কী করবেন এবং কীভাবে করবেন তার স্কোপ।
aka | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২২:৪৮ | 168.26.215.13
সিরিয়াস উত্তর দিই ব্যাঙরে।
এই কাজ করতে কারুরই ভালো লাগে না। ছেলেরা সোশ্যাল কন্ডিশনিংয়ে একটু বেশিই ডিপেণ্ডেট হয়ে মানুষ হয়। বিশেষত যে সোশ্যাল সেগমেন্টের কথা হচ্ছে। আমিও হয়েছি। এককালে আমাকে একজন জুতো পরিয়ে দিত, একজন খাইয়ে দিত, কারণ আমি কলেজে গিয়ে রাজনীতি করে আর প্রমোদের ক্যান্টিন বাজি করে দেশোদ্ধার করব বলে। তা এসব দুম করে ঝেড়ে ফেলা খুব মুশকিল। ভারতে আইটি গাইজ হলে আপিসেই এমন ঝামেলা চলে যে তাতে ঘরের কাজ করা মুশকিল। মোদ্দা কথা - দুটো কারণ, এক, বিশেষ সোশ্যাল কণ্ডিশনিংয়ে বড় হওয়া, দুই, ভারতীয় কাজের চাপ।
ঝগড়া করে পৃথিবীর কোন সমস্যাইঅ সমাধান করা যায় না, এও যাবে না। যদি উদ্দেশ্য খানিক স্ট্রেস রিলিজ করা হয় তাহলে অন্য কথা।
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর/ভাটিয়া৯/হরিদাসপালের লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন