মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের আগে যে চারটি অজুহাত অতিক্রম করা প্রয়োজন : যোগেন্দ্র যাদব
বুলবুলভাজা | আলোচনা : রাজনীতি | ০১ জুন ২০২২ | ২৬৬৬ বার পঠিত | মন্তব্য : ৫
মে ২০১৪ সালে, যখন শ্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন, তখন আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১০৬ ডলার ছিল। তারপর বেশ কয়েক বছর দাম মারাত্মকভাবে কমে যায় এবং যথাক্রমে আবারও তেলের দাম বৃদ্ধি পায় । আট বছর পর, ২০২২ সালের মে মাসে, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম আবার ব্যারেল প্রতি ১০৬ ডলারের সমান। কিন্তু এরই মধ্যে পেট্রোলের দাম ৭১ টাকা থেকে বেড়ে ১০২ টাকা হয়েছে (কেটেকুটে ৯৭ টাকা), ডিজেলের দাম ৫৫ টাকা থেকে ৯৬ টাকা (কাটার পর ৯০ টাকা) এবং গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে ৪১০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা। এর মানে হল পেট্রোল, ডিজেল এবং গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কারণ আন্তর্জাতিক বাজার নয় বরং কেন্দ্রীয় সরকার এবং কিছুটা রাজ্য সরকারগুলির বর্ধিত কর।
কৃষকদের উপর প্রতিশোধ নিতেই কি অগ্নিপথ যোজনা? : যোগেন্দ্র যাদব
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : রাজনীতি | ২১ জুন ২০২২ | ২০১৯ বার পঠিত | মন্তব্য : ৫
বর্তমানে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর মোট সংখ্যা (সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনী মিলিয়ে) ১৪ লাখের কাছাকাছি। এই সংখ্যা বজায় রাখতে প্রতি বছর ৬৫ থেকে ৮০ হাজার স্থায়ী সৈন্যের নিয়োগ প্রয়োজন। অগ্নিপথ প্রকল্পে প্রতি বছর প্রায় ৫০ হাজার অগ্নিবীর নিয়োগ করা হবে এবং কিন্তু মাত্র ৪ বছরের জন্য। এরপর তাদের মধ্যে প্রায় সাড়ে বারো হাজারকে সেনাবাহিনীতে স্থায়ী চাকরি দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী, আজ থেকে ১৫ বছর পরে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর মোট সংখ্যা ৪ থেকে ৫ লক্ষের মধ্যে নেমে আসবে। প্রতি বছর ৫০ হাজারের পরিবর্তে ১ লাখ অগ্নিবীর নিয়োগ করা হলেও ১৫ বছর পর ভারতীয় সেনাবাহিনীতে প্রায় ৭ লাখ লোক অবশিষ্ট থাকবে।
অগ্নিপথ - দশ মিথ্যা ও আসল রূপ : যোগেন্দ্র যাদব
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : রাজনীতি | ০১ জুলাই ২০২২ | ২১৮৭ বার পঠিত | মন্তব্য : ২
স্থায়ী চাকরিতে যে বেতন, ভাতা, পেনশন, গ্র্যাচুইটি এবং প্রশিক্ষণ পাওয়া যায় তার থেকে কি চার বছরের কাঁচা চাকরি ভালো হবে? চার বছর পর নিশ্চিত সরকারি বা বেসরকারি চাকরির সব কথাই ভাঁওতাবাজি। বাস্তবটা হল যে, সরকার ১৫-২০ বছর ধরে চাকরি করা প্রাক্তন সেনাদেরই চাকরি দিয়ে উঠতে পারেনি। মোট ৫,৬৯,৪০৪ প্রাক্তন সেনা চাকরির জন্য নাম নিবন্ধন করেছিলেন, যার মধ্যে মাত্র ১৪,১৫৫ জন প্রাক্তন সেনা (অর্থাৎ মাত্র ২.৫%) সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি খাতে চাকরি পেয়েছেন।
দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি হলে কি রামপ্যারি ন্যায় বিচার পাবেন? : যোগেন্দ্র যাদব
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : রাজনীতি | ২২ জুলাই ২০২২ | ১৫২৩ বার পঠিত | মন্তব্য : ২
২২ জুন, দ্রৌপদী মুর্মুর এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হওয়ার খবর আসে। তার ঠিক ১০ দিন পরে, মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলা থেকে খবর এলো যে সাহারিয়া উপজাতি সম্প্রদায়ের ৩৮ বছর বয়সি এক মহিলা, রামপ্যারিকে, জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে। তাঁর পরিবারকে মধ্যপ্রদেশ সরকারের তরফ থেকে ৬ বিঘা জমি দেয়া হয়েছিল। ওঁর সঙ্গে কাগজপত্রও ছিল। কিন্তু জমি দখল করে বসেছিল আদিবাসী নন এমন সমাজের মানুষেরা। জবরদখল করার পরে তারা আবার সেখানে কৃষিকাজও করছিল। উপরন্তু, রামপ্যারির পরিবারকে হুমকিও দিচ্ছিল ওরা। এই ঘটনার ঠিক এক সপ্তা আগে, রামপ্যারি ও তাঁর স্বামী অর্জুন, পুলিশকে এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানায় এবং তাঁদের কাছে সুরক্ষাও চায়। কিন্তু, কিছুই করা হয়নি। রামপ্যারি যখন মাঠে গিয়ে আপত্তি জানান, তখন তারা সেখানেই ওঁর গায়ে ডিজেল ছিটিয়ে ওঁকে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার ভিডিও-ও পাওয়া যায়। এইবারে আমি ভাবতে বসলাম, যদি দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি হন তাহলে কি রামপ্যারি ও তাঁর পরিবার ন্যায় বিচার পাবেন?
সুপ্রিম কোর্টের সিলমোহর সেই তিমিরেই : যোগেন্দ্র যাদব
বুলবুলভাজা | আলোচনা : রাজনীতি | ০৬ আগস্ট ২০২২ | ২৪৩১ বার পঠিত | মন্তব্য : ৭
সকালবেলা। জোরে জোরে দরজায় বেল বাজছে। আপনি দরজা খুললেন। খুলেই কিছু অফিসারদের দেখতে পেলেন: "আমরা ইডি। আপনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমাদের সাথে যেতে হবে। এক্ষুণি।" আপনি তাদের সাথে তাদের অফিসে পৌঁছালেন। আপনাকে জিজ্ঞেস করা হয়: "আপনি কি গত বছর আপনার একটা প্লট গুপ্তজিকে বিক্রি করেছিলেন?" আপনি বললেন: "হ্যাঁ, আমার নিজস্ব প্লট ছিল, কোনো বিতর্কিত সম্পত্তি ছিল না। দু নম্বরি করে বিক্রি করিনি, কোনো কালো মামলাও নেই। সঠিক পন্থায় নথিভুক্ত, সাক্ষী, সমস্ত প্রমাণও আছে আমার কছে।"
তারা আপনার প্রমাণের প্রতি একটুও আগ্রহী নয়: "আপনি কি জানেন যে গুপ্তা, যার কাছে আপনি প্লট বিক্রি করেছেন, ব্যবসায় কারচুপি করার জন্য তার বিরুদ্ধে ৪২০ র মামলা আছে?" আপনি মুচকি হাসলেন। তারপর বললেন: "দেখো ভাই, আমি তার কাছে প্লট বিক্রি করেছি, কন্যাদান করিনি। সম্পত্তির এজেন্ট চুক্তিটা করেছে। পেমেন্ট চেকের মাধ্যমে এসেছে। তার সাথে, তার পরিবার বা ব্যবসার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। মাস কয়েক আগে আমি খবরের কাগজে পড়লাম যে তার বিরুদ্ধে কিছু ফর্ম রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। কিন্তু সেসব তো আমাদের চুক্তির পরে ঘটেছে।" আপনি মনে করলেন,যে ভুল বোঝাবুঝি দূর হয়েছে। বিষয়টা মিটে গেছে।
কিন্তু তখনই আপনার মাথায় পাহাড় ভেঙে পড়বে: "মনে হচ্ছে আপনি PMLA (প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট) আইনটার ব্যাপারে কিছু জানেন না। আপনি এই আইনের অধীনে একজন অপরাধী। কারণ অপরাধের আয় আপনার পকেটে পৌঁছেছে। কাজেই আপনিও একজন অপরাধী। এই অপরাধের দরুন আমরা আপনাকে গ্রেপ্তার করছি!"
আরএসএস নিয়ে মহাদেবের ‘সত্য’ সমালোচনা : যোগেন্দ্র যাদব
বুলবুলভাজা | আলোচনা : রাজনীতি | ১১ আগস্ট ২০২২ | ১১৭৮ বার পঠিত | মন্তব্য : ২
এই হলেন দেবনুরা মহাদেব। এক আইকনিক কন্নড় সাহিত্যিক ব্যক্তিত্ব, জনসাধারণের বুদ্ধিজীবী এবং কর্ণাটকের এক শ্রদ্ধেয় রাজনৈতিক কর্মী। এতই মুখচোরা এবং আত্মপ্রচার বিমুখ, যে মাঝে মাছে সন্দেহ হতে শুরু করে, যে এই লোকটি জনজীবনে করছে টা কী। জনতার মনোযোগ থেকে হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়ার বিশেষ প্রতিভা রয়েছে তাঁর। মঞ্চে তাঁকে হঠাৎই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা— কেউ হয়তো দয়াপরবশ হয়ে বলল: উনি ধূমপান করতে গেছেন। মহাদেব সর্বদা এবং বিরক্তিকরভাবে দেরিতে চলেন, এমনকি আমার তুলনায়ও, সবসময় একটু অপ্রীতিকর, হয়তো কিছুটা বিকৃতও। সেটা কিন্তু বোহেমিয়ান কবির যত্ন সহকারে পরিকল্পিত অসাবধানতা নয়, তাঁর জীবনের এক আলাদা ছন্দ আছে, আছে নিজস্ব পূর্বাপরবোধ, যা চিরাচরিত কোনো খ্যাতনামা ব্যক্তির ক্ষেত্রে কল্পনাই করা যায়না।
অর্থনীতি ও লোকসভা নির্বাচন: মোদি সরকার ও বিরোধীদের জন্যে বার্তা : যোগেন্দ্র যাদব
বুলবুলভাজা | আলোচনা : অর্থনীতি | ৩০ আগস্ট ২০২২ | ১৪৩৬ বার পঠিত
জনমত সমীক্ষার একজন গবেষক হিসাবে, সাধারণ মানুষের তরফে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মূল্যায়নের চেয়ে পরিবারিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ব্যাপারে তাদের প্রতিক্রিয়ায় অনেক বেশি করে আস্থা রাখি। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে ইচ্ছামত উজ্জ্বল কিংবা অন্ধকারাচ্ছন্ন হিসাবে তুলে ধরে মানুষকে বোকা বানানো সহজ। কিন্তু দৈনন্দিন সাংসারিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ে জনতাকে ঠকানো যায় না। কিন্তু গত ৬ বছর ধরে ‘ইন্ডিয়া টুডে’ মানুষকে প্রশ্ন করে গেছে, “২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের অর্থনীতির কতটা পরিবর্তন হয়েছ বলে মনে করেন?” এরকম প্রশ্নের মাধ্যমে একদিকে সূক্ষ্ম কায়দায় নরেন্দ্র মোদির নামটাকে আরও বেশি করে জনপ্রিয় করে তোলা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, এই প্রশ্নটি এমনভাবে করা হয়েছে, যার অভিমুখটাই ছিল মোদির পক্ষে। যদিও ৩৬ শতাংশের প্রতিক্রিয়া যে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপ হয়েছে। তুলনায়, ২৮ শতাংশ মানুষের প্রতিক্রিয়া যে ২০১৪-র থেকে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি জারি আছে। অর্থাৎ এই যে বেশি সংখ্যক মানুষ যারা নিজেদের পরিস্থিতির উন্নতি আশা করেন কিন্তু তাঁদের আশঙ্কা যে অদূর ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ হবে — এই পরিসংখ্যান যে কোনও সরকারের জন্য ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে। এমনকি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকার পতনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
অশোক স্তম্ভ থেকে জাতীয় পতাকা: মোদি সরকার জাতীয় প্রতীকগুলোর মানেই বদলে দিচ্ছে : যোগেন্দ্র যাদব
বুলবুলভাজা | আলোচনা : রাজনীতি | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ২২৯৫ বার পঠিত | মন্তব্য : ২৭
দ্য প্রিন্টের ওপিনিয়ন এডিটর রমা লক্ষ্মী এই পদ্ধতিকে “বৃহৎ-ই-সেরা, প্রযুক্তি-সজ্জিত, চমকপ্রদ” হিসাবে বর্ণনা করেছেন। এটাই মোদি-র সযত্নে তৈরি করা এই ক্ষমতাবান ভাবমূর্তিকে বিকশিত করার তন্ত্র। যদি ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল স্বাধীনতা যুদ্ধের বিষয় থেকে স্বাধীনতা-পরবর্তী যুদ্ধগুলির দিকে নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা হয়, তাহলে ঠিক একইভাবে গ্র্যান্ড স্ট্যাচু অফ ইউনিটি এবং আম্বেদকর মেমোরিয়াল হচ্ছে প্রাক-স্বাধীনতা পর্বের থেকে বর্তমান শাসকরা যা কৌশলে চুরি করে নিজেদের অনুকুলে ব্যবহার করতে পারে, তারই প্রচেষ্টা। সেন্ট্রাল ভিস্তা এখনও উদ্বোধন করা হয়নি, তবে আমরা অনুমান করতে পারি, যে এটা একটা মহিমা প্রচার এবং বিস্ময়ে তাক লাগানোর প্রচেষ্টা হবে। সম্ভবত ওয়াল্টার বেঞ্জামিন ‘দেখনদারির রাজনীতি’ বলতে এইটাই বোঝাতে চেয়েছিলেন। যা জনসাধারণকে ফাঁকা বুলি দিয়ে প্রভাবিত করে, যা চারুকলা, বিনোদন এবং চমকের ভেল্কিতে মানুষকে বাস্তব পরিস্থিতি ভুলিয়ে মাতিয়ে রাখে।
প্রশান্ত ভূষণের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা সুপ্রিম কোর্ট মীমাংসা না করায় আমি হতাশ : যোগেন্দ্র যাদব
বুলবুলভাজা | আলোচনা : রাজনীতি | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১১৯৯ বার পঠিত
আমি বলছি না, যে ওপরে সেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা চূড়ান্ত সত্য। আসুন আমরা অনুমান করি যে এইগুলি অসত্য ছিল, এমনকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তারপরেও, যখন মাটির তলায় চাপা দেওয়া এইসব অভিযোগগুলোকে ওপরে তুলে এনে তা জনসমক্ষে পেশ করা হয় এবং আইনি প্রকিয়ার মাধ্যমে কয়েক ডজন নথিপত্র, তথ্য, উপাত্ত, প্রমাণ-সহ সেগুলো হাজির করা হয় – তখন আমরা কি আশা করতে পারি না, যে আদালত একটি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি ফয়সালা করবে, যাতে কোনো ভুলত্রুটি না থাকে? আমরা যদি ধরেও নিই, যে অভিযোগগুলি সত্য হলেও, সংশ্লিষ্ট বিচারকদের আচরণ বাইরের থেকে প্রভাবিত হয়নি – তারপরেও স্বার্থের দ্বন্দ্ব এবং আর্থিক নথি প্রকাশের নির্দেশিকা নিয়ে আসতে এই মামলাগুলি খতিয়ে দেখা কি সাহায্য করবে না? এবং যদি এই অভিযোগগুলিতে সত্যের কোনো উপাদান থেকে থাকে তবে এই ব্যাপারে একটি পূর্ণাঙ্গ ও সুষ্ঠু শুনানি কি বিচারবিভাগীয় দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধি ও সংস্কারের সহায়ক হত না?
‘ভারত জোড়ো যাত্রা’-র দর্শন: ওরা ভাঙবে, আমরা জুড়ব : যোগেন্দ্র যাদব
বুলবুলভাজা | আলোচনা : রাজনীতি | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১৭০২ বার পঠিত | মন্তব্য : ৬
‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুধুমাত্র একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন হতে পারে না। দেশের সবথেকে নিচুতলার মানুষের সুখ-দুঃখকে না ছুঁতে পারলে ‘ভারত জোড়ো’ কেবলমাত্র একটা স্লোগান হয়েই থেকে যাবে। এটাও আমরা মাথায় রাখছি যে, ‘ভারত জোড়ো’-কে বাস্তবে প্রয়োগ করতে হলে আমাদের একটি রূঢ় বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে। সেটা হল দেশের মানুষের রোজগার সংক্রান্ত পরিসংখ্যান। গত ২ বছরে দেশের ৯৭ শতাংশ মানুষের আয় কমেছে, কিন্তু একই সময়ে মুকেশ আম্বানির সম্পদ বেড়েছে ৩ গুণ এবং আদানির সাম্রাজ্য ১৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, দেশের বিত্তশালীদের মধ্যে ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনে শামিল হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। গত কয়েক বছরে লাখ লাখ ভারতীয় নাগরিকত্ব ছেড়ে দিয়ে বিদেশে বসত গড়েছে। এইসব ধনী ভারতীয়রা আজকাল দেশের বাইরে বিনিয়োগ করছে। এছাড়া ‘হাম দো হামারে দো’, এটাই তো এই সরকারের অর্থনৈতিক নীতি। মোদি-শাহের এই আদানি-আম্বানিমুখী অর্থনীতিতে দেশ দু’ভাগ হয়ে যাচ্ছে। এই অর্থনীতিকে চ্যালেঞ্জ না করে ভারত জোড়ার স্বপ্ন দেখাও বৃথা। নজিরবিহীন বেকারত্ব, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং সাধারণ মানুষের দুর্দশার এই সময়ে ভারত ঐক্যবদ্ধ করার অর্থ হবে লুঠেরা-ডাকাতাদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করে শ্রমজীবী-কৃষিজীবী মানুষকে অর্থনীতির কেন্দ্রেস্থলে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা। গর্বকে কর্মের সঙ্গে যুক্ত করা।
গণ-আন্দোলন সমূহ ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শক্তির সংযোগ ঘটাতে হবে : যোগেন্দ্র যাদব
বুলবুলভাজা | আলোচনা : রাজনীতি | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ৯৬২ বার পঠিত
আগে বলা হত রাজনৈতিক দল গঠনে দলীয় কর্মী, দলীয় কর্মসূচী, দলীয় কার্যালয় ও দলীয় তহবিলের মত চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মুখ্য হয়ে ওঠে। এখন রাজনৈতিক দলগুলো ক্রমশই ফাঁপা হয়ে যাওয়ায় এই চারটি স্তম্ভ এখন ক্রমশই আবছা হয়ে গেছে। একালে রাজনৈতিক দলগুলোর বিপুল জনসমর্থন আছে, অর্থ ও মিডিয়ার বিশাল নেটওয়ার্ক আছে, নেতাদের দরবার আছে কিন্তু তাঁদের রাজনৈতিক চিন্তা ও চর্চার বড়ই অভাব। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই, তাঁদের রাজনৈতিক চিন্তাপ্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করার মত উপযুক্ত কোনো পরিকাঠামো নেই।
একটি দেশের কি ‘স্বধর্ম’ থাকতে পারে? তাকে কোথায় খুঁজে পাওয়া যাবে? : যোগেন্দ্র যাদব
বুলবুলভাজা | আলোচনা : রাজনীতি | ০৪ নভেম্বর ২০২২ | ১১৯৮ বার পঠিত | মন্তব্য : ২
কীসের ভিত্তিতে আমরা বলতে পারি যে ভারতের স্বধর্ম আজ আক্রমণের মুখে? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য নিবন্ধের প্রথম পর্বে আমি স্বধর্মের ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। বোঝাতে চেয়েছি যে স্বধর্ম আমাদের স্বাভাবিক প্রবণতার সেই অংশ, যাকে আমরা সর্বোত্তম হিসেবে গ্রহণ করতে চাই। অর্থাৎ মানব জীবনের আদর্শ হল স্বধর্ম খুঁজে বের করে তাকে অনুসরণ করা।
এখন প্রশ্ন জাগে, একটি দেশের কি স্বধর্ম থাকতে পারে? আপনি যদি এর বাইরের রূপটি নিয়ে চিন্তা করেন, তবে কথাটি অদ্ভুত বলে মনে হতে পারে। ধর্ম তাই, যা ধারণ করা যায়। ধারণ করার জন্য প্রয়োজন চেতনাশীল ধারক। তাই একজন মানুষের ধর্ম থাকতে পারে। পশুপাখি বা গাছ-গাছালিরও থাকে। কিন্তু দেশের মত একটা অচেতন সত্ত্বার কীভাবে ধর্ম থাকতে পারে? দেশ যদি মানচিত্রে চিহ্নিত একটি রেখা হয়, তবে তার ইতিহাস এবং আবহাওয়া থাকতে পারে, কিন্তু ধর্ম থাকতে পারে না।
ভারতের ‘রাজনৈতিক’ সেলফি শিকারিরা : যোগেন্দ্র যাদব
বুলবুলভাজা | আলোচনা : রাজনীতি | ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ | ১১১৫ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
আমি কয়েক বছর আগের একটি সেলফি হামলার কথা ভুলতে পারি না। তখন দুই সন্তানকে নিয়ে দিল্লির বিশ্ব বইমেলায় গিয়েছিলাম। হঠাৎ ছোট সন্তান চোখের আড়ালে চলে যায়, তখন সবে সাত বা আট বছর তার বয়স। চলন্ত ভিড়ের মাঝখানে তাকে খোঁজার সময় আতঙ্ক আমাকে গ্রাস করেছিল। সেই মুহূর্তে আমার কাঁধে একটি হাত অনুভব করলাম, “যোগেন্দ্রজি, এক সেলফি হো যায়ে (একটি সেলফি হয়ে যাক?)”, আমি শুনলাম এবং সেটা উপেক্ষা করে চারপাশে তাকাতে থাকলাম। তখন সেই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সেলফি শিকারি আমাকে একপাশে টেনে নিয়ে গেল। আমি তাকে আমার পরিস্থিতি বোঝালাম এবং ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলাম। “অবশ্যই,” তিনি বললেন, “পর এক সেলফি তো বনতি হ্যায়”। আমি ঘুরে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, এই অবস্থায় কেউ তার সঙ্গে এমন করলে তার কেমন লাগবে? তিনি সহানুভূতিতে মাথা নাড়লেন এবং তবুও সেলফি তুলতে গেলেন!
ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের গ্যারান্টি: কী এবং কীভাবে? : যোগেন্দ্র যাদব
বুলবুলভাজা | আলোচনা : রাজনীতি | ২০ জানুয়ারি ২০২৩ | ১২৫৫ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
সমস্যা শুধু এবছরের বা মধ্যপ্রদেশের নয়। এই পর্যন্ত ভারত জোড়ো যাত্রায় আমি ৭টি রাজ্যের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করার সুযোগ পেয়েছি। একেক জায়গার সমস্যা একেক রকম। কিন্তু একটি যন্ত্রণা দেশের প্রত্যেক কৃষককে এক করে দেয়: বাজারে ফসলের সঠিক দাম পাওয়া যায় না। পেঁয়াজ এবং রসুনের মত শাকসবজি বা ফলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নেই, তবে যে সব ফসলের সহায়ক মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে তাও পাওয়া যায় না। মুগ, ছোলা, অড়হরের মত ডালের জন্য কাগজে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ঘোষণা করা হয় কিন্তু বিক্রি হয় না। ফলে বাজারে ঘোষিত ন্যূনতম মূল্য থেকে এক হাজার বা দুই হাজার টাকা ক্ষতি হয় কৃষকের। ধান ও গমের সরকারি ক্রয় সত্ত্বেও অধিকাংশ জায়গায় কৃষক লোকসানের মুখে পড়ে ব্যবসায়ীর কাছে ফসল বিক্রি করেন।
নতুন রাহুল গান্ধির আবির্ভাব : যোগেন্দ্র যাদব
বুলবুলভাজা | আলোচনা : রাজনীতি | ১৩ মার্চ ২০২৩ | ১১১৮ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
অবশেষে পোস্টার থেকে সরে দাঁড়ালেন আসল রাহুল গান্ধি। যাঁর রয়েছে গভীর আত্মবিশ্বাস। যিনি সত্যিকারের অর্থে ধর্মনিরপেক্ষতা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং অর্থনৈতিক সাম্যের সাংবিধানিক আদর্শে বিশ্বাস করেন। একজন চিন্তাবিদ যিনি দেশ এবং বিশ্বের সমস্যাগুলি কেবল তুলে ধরেন না, বরং এক সংবেদনশীল মনের অধিকারী ব্যক্তি যিনি সমস্যার মোকাবিলা করতে পারেন। একজন মানবিক নেতা যিনি ক্রমাগত সহমর্মিতাকে অনুসরণ করেন, যিনি ঘৃণাকে জয় করতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। একজন রাজনীতিবিদ যিনি ক্ষমতার জন্য ক্ষুধার্ত নন। একজন সোজাসাপ্টা ব্যক্তি যিনি নাটক এবং মিথ্যাকে পরিত্যাগ করেছেন। বিপরীতে নরেন্দ্র মোদি যেটা করতে অপারগ।
ভারত জোড়ো যাত্রাকে বিজেপি এত ভয় পায় কেন? : যোগেন্দ্র যাদব
বুলবুলভাজা | আলোচনা : রাজনীতি | ১৫ মার্চ ২০২৩ | ১১৪৯ বার পঠিত
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া রাহুল গান্ধিকে ‘কোভিড নির্দেশিকা’ অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়ে একটি চিঠি লেখেন এবং তাঁকে “কোভিড মহামারী থেকে দেশকে বাঁচাতে জাতীয় স্বার্থে ভারত জোড়ো যাত্রা স্থগিত করার” অনুরোধ করেন। বেচারা ভুলে গিয়েছেন, যে চিঠিটি লেখার সময় দেশে কোনও কোভিড নির্দেশিকা কার্যকর ছিল না। এমনকি দু’দিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ত্রিপুরায় একটি বড় জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন। রাজস্থান বিজেপি ১ ডিসেম্বর থেকে সেরাজ্যে ‘জন আক্রোশ যাত্রা’ করেছে। মন্ত্রীর চিঠির পরেই বিজেপি দিল্লিতে ঘোষণা করেছিল যে তারা জাতির স্বার্থে রাজস্থানে যাত্রা স্থগিত করছে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরেই রাজস্থানের বিজেপি জানিয়েছে, এই যাত্রা নিরবচ্ছিন্নভাবে চলবে – কোভিড সংক্রমণ ভারত জোড়া যাত্রায় হয়, তবে বিজেপির যাত্রায় নয়।
অবহেলা নাকি ষড়যন্ত্র? দেশ পুলওয়ামার সম্পূর্ণ সত্য জানার দাবি করছে : যোগেন্দ্র যাদব
বুলবুলভাজা | আলোচনা : রাজনীতি | ০৫ মে ২০২৩ | ৯৩২ বার পঠিত
জম্মু ও কাশ্মীরের তৎকালীন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের চাঞ্চল্যকর সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর থেকে টিভি চ্যানেল ও সংবাদপত্রগুলো সাপের গন্ধ পেয়েছে। গুলাব নবি আজাদের ছোট-বড় অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘ অনুষ্ঠান চালাতে থাকা চ্যানেলগুলোর কাছে এই উদ্ঘাটন নিয়ে আলোচনার জন্য এক মিনিটও সময় নেই। ১৫ এপ্রিলের সংবাদপত্রে কোথাও এই খবরের উল্লেখ ছিল না।
এটি উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১-এ যখন পুলওয়ামা ঘটনা ঘটেছিল, তখন সত্যপাল মালিক জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল ছিলেন। প্রকাশ ট্যান্ডন এবং তারপরে করণ থাপারকে দেওয়া একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে, তিনি প্রকাশ করেছিলেন যে সরকারের ভুলের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তিনি ওই দিনই প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘আমাদের ভুলের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং এটা এড়ানো যেত।’ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তারপর অজিত ডোভাল তাঁকে এ বিষয়ে চুপ থাকতে বলেছেন।
ইয়েদেলু কর্ণাটক: একটি অসাধারণ নির্বাচনের অনন্য পরীক্ষা : যোগেন্দ্র যাদব
বুলবুলভাজা | আলোচনা : রাজনীতি | ০৬ মে ২০২৩ | ৫৯৮ বার পঠিত
কর্ণাটকের নির্বাচনে এক অনন্য পরীক্ষা চলছে। "ইয়েদেলু কর্ণাটক" এর নামে রাজ্য ও দেশের অনেক সামাজিক সংগঠন এবং আন্দোলনকারী গোষ্ঠী কর্ণাটকের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করছে, যাকে বলা যায় এক রকমের, প্রয়োজনীয় আবিষ্কারের জননী। দেশের ইতিহাসের এই পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হওয়া এই ব্যতিক্রমী নির্বাচন অস্বাভাবিক হস্তক্ষেপের জন্ম দিয়েছে। ১০ মে আসন্ন কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন দেশের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন কেবল গণতন্ত্রই নয়, আমাদের প্রজাতন্ত্রের অস্তিত্বও হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে আছে। গত কয়েক বছরে, ভারতের স্বধর্মের তিনটি স্তম্ভ (সহানুভূতি, বন্ধুত্ব এবং বিনয়) একযোগে মারাত্মক আক্রমণের শিকার হয়েছে।
মুদ্রার সঙ্গে খেলা, বিদ্যুতের সঙ্গে খেলার মতোই, এক তুঘলকি শখ : যোগেন্দ্র যাদব
বুলবুলভাজা | আলোচনা : রাজনীতি | ১৭ জুন ২০২৩ | ৯৯৮ বার পঠিত
বাস্তব হল এই, যে, রিজার্ভ ব্যাংকের নিজস্ব রিপোর্ট অনুযায়ী – ৯৯.৩ শতাংশ নোট ব্যাংকে ফিরে এসেছে। বড় ব্যাগধারী রাজাদের টাকা ডোবেনি, গরিবদের সুদে পড়ে থাকা কিছু নোট অবশ্যই পচে গেছে। বোঝাপড়া ছিল, যে, দুর্নীতিবাজরা নোটের বান্ডিল লুকিয়ে রাখে। দেখা গেল—তারা আমাদের চেয়ে বেশি চালাক এবং তাদের টাকা বেনামি সম্পত্তি, জমিজমা বা হীরা ও গহনাতে রূপান্তরিত করে রাখা হয়। জাল নোটের সংখ্যা অনেক বেশি বলেও দাবি করা হয়েছে। পরে, রিজার্ভ ব্যাংক নিজেই জানিয়েছিল যে জাল নোটের অনুপাত মাত্র ০.০০০৭ শতাংশ।
‘ইলেক্টোরাল বন্ড’ কি আসন্ন নির্বাচনে এক ভূমিকম্প হিসেবে দেখা দেবে? : যোগেন্দ্র যাদব
বুলবুলভাজা | আলোচনা : রাজনীতি | ২৩ মার্চ ২০২৪ | ১৩৭৫ বার পঠিত | মন্তব্য : ২৫
নির্বাচনী বন্ড নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাল্টে দিতে পারে আসন্ন নির্বাচনের গতিপথ। যদি এ সংক্রান্ত সব প্রশ্ন ও তার জবাব দেশের মানুষের কাছে পৌঁছয়, তবেই এমনটা হবে। মানুষ যদি বুঝতে পারে যে, রাজনীতিতে কালো টাকা দূর করার জন্য নয়, বরং কালো টাকা সাদা করার জন্য এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রতি পদে কেন সরকার নির্বাচনী বন্ডের পরিসংখ্যান আড়াল করার চেষ্টা করেছে তা জনগণ যদি জানতে পারে। দিবালোকে এই ডাকাতির পুরো সত্য প্রকাশ পেলে এই নির্বাচনী বন্ডের এই ব্যাপক দুর্নীতির তুলনায় বোফর্স বা ২জি-এর মতো দুর্নীতির ঘটনাগুলো ছেলের হাতের মোয়ার মত তুচ্ছ মনে হবে। অনুসন্ধিৎসু সাংবাদিকরা বোফর্সে ৬৪কোটি টাকা ঘুষের অভিযোগ করেছিলেন, যা সরকার কখনওই স্বীকার করেনি এবং আদালতে প্রমাণিত হয়নি।
লোহিয়া বনাম লোহিয়াবাদী – কিষাণ পট্টনায়েক : যোগেন্দ্র যাদব
বুলবুলভাজা | আলোচনা : রাজনীতি | ০২ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৬৯ বার পঠিত
রাজনীতিতে কেউ যখন উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হন তাঁর বক্তব্যও কর্মের সমার্থক হয়ে ওঠে। যে ক্ষমতা ও পদে আবদ্ধ নয় তাঁর বাক স্বাধীনতা বেশি হওয়া উচিত। লোহিয়া নিজে চেয়েছিলেন বাকস্বাধীনতা এবং স্বাধীনভাবে চলাফেরা করার অধিকার। সে কারণে তিনি ক্ষমতা ও পদে আবদ্ধ ছিলেন না, কমিটিতেও অংশ নেননি। তাঁর অনুগামীরা ক্ষমতা ও পদ আঁকড়ে থাকতে চায়, কিন্তু কথা বলার শৃঙ্খলাহীনতাকে তাদের অধিকার বলে মনে করে। সম্প্রতি, যখন একজন সরকারী লোহিয়াবাদী নেতা দলীয় সভাপতির নরোরা শিবিরের ভাষণকে শৃঙ্খলাহীন বলে অভিহিত করেছেন, তখন তিনি আসলে তাঁর ভাষণকেই নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন এবং নিজের বাক স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দিতে চেয়েছিলেন। যে কারণে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়