এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ঢাকা! 

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২১৮ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ঢাকা ছাড়তে পারি নাই এখনও। ফলে দুর্দান্ত সব সিনেমা দেখার সৌভাগ্য হচ্ছে। এই রঙ্গ যে কতদিন চলবে কে জানে। চলছে এইটাই শুধু জানি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যাওয়ার ইচ্ছা হয় নাই। শাহবাগ, টিএসসি এগুলা আবেগের জায়গা। ওইখানের মানুষের আচারন বদলে গেছে এইটা মেনে নেওয়া আমার জন্য কষ্টকর। বর্তমান সময়ের ক্রেজ মোহাম্মদপুর গিয়েছিলাম। যার বাসায় গেছি তাকে জিজ্ঞাস করছি, বন্ধু, রাইত বিরাতে মোহাম্মদপুর থেকে নিরাপদে বের হতে পারব তো! ও আশ্বাস দিছে কিছু হবে না। কিন্তু আমি তাতে ইমান আনি নাই। আমি সাথে করে কিছু নিয়ে যাই নাই। শুধু মোবাইল আর যে কয়টা টাকা লাগে চলতে তাই। আমার বন্ধুর বাসায় গিয়ে যখন বললাম যে আমি এমন করে আসছি, তখন ও বলল এইটা আরও বড় বিপদ। কিছু না পাইলে মেজাজ খারাপ হয়ে যেতে পারে, তখন এমনেই একটা কোপ দিয়া দিতে পারে! মোহাম্মদপুর সম্পর্কে এগুলা বাড়তি কথা না। গত তিন মাসে মোহাম্মদপুর আর মোহাম্মদপুর নাই, সিটি অফ গড সিনেমার মতো হয়ে গেছে! কিশোর গ্যাংরা সব রাস্তা দখল নিয়েছে। খুন, ছিনতাই, মব সব চলছে দেদারছে!  পুলিশ হিমসিম খাচ্ছে মোহাম্মদপুরকে সামলাতে। সেইখান থেকে ঘুরে আসলাম। নিরাপদে! খুব দৃষ্টিকটু লাগল যেটা তা লিখ বলেই এই প্রসঙ্গ টেনে আনছি। মোহাম্মদপুরে ঢাকার অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রেসিডেন্সিয়াল কলেজ অবস্থিত। এর সীমানা দেওয়ালটাকে অনেক আগে থেকেই দারুণ সব উক্তি লিখে সাজিয়ে রাখা হয়েছিল। নানা মনিষীদের কথা দারুণ করে আঁকা ছিল। এগুলা সব মুছে ফেলে অত্যন্ত অযত্নে লেখা, দেওয়াল লিখন সম্পর্কে বিন্দুমাত্র জ্ঞান ছাড়া মানুষদের দ্বারা অসভ্য সব ডায়লগ লিখে রাখা হয়েছে। সব জায়গায়ই এমনই, কিন্তু এখানে তো কোন খারাপ কিছু ছিল না, ভালো কথাই সব লেখা ছিল। তাহলে সেগুলাকে সরানো কেন? সরিয়ে সেই মানের কাছাকাছিও যায় না এমন দেওয়াল লিখনের যুক্তি কী? একজন বলল এগুলা যুক্তি দিয়ে হয় না, আবেগ দিয়ে লেখা! আবেগ শুনে হাসি আসছিল। কিন্তু এখন তো হাসাও বিপদ! 

    একটা কাজে গিয়েছিলাম সচিবালয়ে। এলাকার বড় ভাই এখন এখানে আছে। এই বড় ভাইই বলছিল প্রশাসনের ভিতরের অবস্থা। আমি সচিবালয়ের বাহিরে দাঁড়িয়ে ফোন দিলাম। বললাম, সচিবালয় মেট্রো স্টেশনের নিচে আছি। তিনি বললেন, ওইটার পাশে চায়ের দোকান আছে, ওইখানে খাড়া। আমি দাঁড়িয়ে আছে ঠিক সচিবালয়ের এই দিকের প্রবেশ বা বের হওয়ার যে দরজা তার সামনে। পাশেই ঢাকা প্রেস ক্লাব। বরাবরের মতোই কেউ না কেউ প্রেস ক্লাবের সামনে সভা সমিতি কিছু একটা করছে, মাইকে নানান দাবি দাওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে আর শোনা যাচ্ছে হুঙ্কার! দাবি না মানলে খবর আছে টাইপ! আমি দাঁড়িয়ে এই তামশা দেখছি। এর মধ্যে একজন ভদ্রলোক এক রিকশাওয়ালার সাথে তর্ক শুরু করে দিল কী নিয়ে জানি। মনোযোগ দিলাম। ভদ্রলোক রিকশাওয়ালাকে বুঝানোর চেষ্টা করছে যে ইউনুস সরকার ভালো, সব ঠিক করে ফেলবে! আর রিকশাওয়ালার দাবি হচ্ছে অতি দ্রুত নির্বচন দেন, বিএনপিকে ক্ষমতায় যেতে দিতে হবে! ভদ্রলোক সম্ভবত ভদ্রলোক না, বেশভূষাই শুধু ভদ্রলোকের মতো। পরে খেয়াল করে দেখলাম গলায় সচিবালয়ের আইডি কার্ড ঝুলছে। আরও একটু পরে দেখলাম তিনি সচিবালয়ের কারো গাড়ির ড্রাইভার। তিনি ভদ্রতা ছেড়ে গালিগালাজ শুরু করলেন। এই হালারা কিছু বুঝে না! বিএনপি বালা নি? এই তোর বয়স কত? তুই বিএনপি আমল দেখছস? আওয়ামীলীগ আর কী করছে, বিএনপি আইলে থুব কিছু? বুঝস কিছু? রিকশাওয়ালার কথা হচ্ছে তাই বলে নির্বাচন দিবেন না? গদিতে বইলে আর ছাড়তে ইচ্ছা করে না? যে যায় ওই বসে থাকতে চায় খালি! বলে বলে চলে গেল, কারণ ওর বসে থাকা চাকরি না, চলাই হচ্ছে জীবন। ভদ্রলোক আমার দিকে কয়েকবার তাকালেন, মানে আলোচনার জন্য লোক খুঁজছে, আমি নির্বিকার হয়ে রইলাম। তিনি এবার যে পুলিশেরা দাঁড়িয়ে আছে, ডিউটি দিচ্ছে তাঁদের কাছে গেলেন। সেখান গিয়ে তার মতবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করলেন। পুলিশ দুইজনও আমার মতোই নির্বিকার হয়ে রইলেন। তিনি চলে গেলেন। পুলিশ দুইজন চুপ করে দাঁড়িয়েই রইল। আমি আরেক কাপ চায়ের দিকে মনোযোগ দিলাম। বড় ভাই আসল, বলল চল লাঞ্চ করি। তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে একটু আগাইতেই মজার ঘটনা ঘটল একটা। এক দোকানদার আরেকজনকে বলছে, নুরু ভাই আমাদের এলাকার! আমার কানে নুরুর নাম যেতেই আমি হেঁটে ওর দোকানে গেলাম। ফুটপাথে দোকান, নিশ্চয়ই এতদিন কেউ না কেউ চাঁদা খেয়েছে এদের কাছ থেকে। এখন ওর আশা হচ্ছে নুরু ভাই ওর এলাকার, নিশ্চয়ই তাকে দেখবে এলাকার ভাই! এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। এরপরেই দেখি সেয়ানা মাল। তিনি নুরুকে ভাঙ্গিয়ে খাওয়ার ধান্দা করে ফেলছে! নুরু জানে কি না কে জানে। ( নুরু হচ্ছে প্রথম কোটা আন্দোলনের নেতা। বর্তমানের তরুণ নেতারাও নুরুকে যথেষ্ট মান্যগণ্য করে!) 

    ঢাকা শহরে হাঁটলেই নানান তামশা দেখা যায়। আজকে এজতেমা নিয়ে তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের যে ঝগড়া তার অন্য একটা রূপ দেখছে ঢাকাবাসী। সাদ পন্থিদেরকে কঠোর বার্তা দেওয়ার জন্য হাজার হাজার মোল্লারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমায়েত হয়েছিল। কড়া হুশিয়ারি দিয়েছে এরা। বলেছে মাওলানা সাদ যদি দেশে আসে তাহলে সরকার পতন আন্দোলন শুরু করবে তারা! এগুলা তো হচ্ছে আজকের এই সভার একটা দিক। দ্বিতীয় দিকটা হচ্ছে কুৎসিত। সারাদেশ থেকে এই যে হুজুরেরা আসল। এরা এসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আর কতক্ষণ? ঢুকে গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গিজগিজ করছে টুপিওয়ালাদের দিয়ে। বুঝে না বুঝে কে জানে, কেউ কেউ রোকেয়া হলেও ঢুকে গেছে, সামসুন্নাহার হলেও ঢুকেছে শুনছি। কলা বিভাগের কোন এক মেয়েদের বাথরুমে ঢুকে বসে আছে! মূত্র বিসর্জন নিয়ে বেকায়দায় পরা হুজুরেরা লাইন দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির দেওয়াল ভিজাচ্ছে এমন ছবি সামনে আসছে! হুজুর মানুষ, ঢাকায় আসছে, ঢাকা সম্পর্কে কী শুনে আসছে কে জানে, ছাত্রী যাদের পাইছে তাদেরই নানান জ্ঞান বিতরণ করেছে! এক বোরকা পরা নারীকে প্রশ্ন করেছে আপনের এইখানে কী কাজ? একজন নারীর পোস্ট দেখছি গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টাও করছে আল্লার এই বান্দারা! 

    এগুলাই হবে, চলতে থাকবে। সোজা পথে সমন্বয়ক বাহিনী তাদের কিছুইই আদায় করতে পারে নাই। তারা আল্টিমেটাম দিয়েছিল রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগের, এখন তা ভুলে গেছে নিজেরাই। তারা সকালে আদালতে রিট করেছিল আওয়ামীলীগ সহ আরও বাকি ১১ টা দলকে নিষিদ্ধ করতে। এবং রিট ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত যেন এই দল গুলো কোন কার্যক্রম না চালাতে পারে সেই লক্ষে আরেকটা রিট করেছিল। এবং সন্ধ্যার মধ্যে রিট তুলে নিয়েছে! প্রকাশ্যে মিথ্যা বলেছে যে তারা রিট করেনি! এই যে পিছায় যাওয়া, এই যে আল্টিমেটাম ভুলে যাওয়া এগুলা এমনে এমনেই?  না, এমন এমনেই না। আমাদের এলাকায় একটা কথা আছে, অপ্রত্যাশিত চাওয়া দেখলে বলে এত নালি আদি সের না! মানে এত নালি আধা সের না! এদের অবস্থা দেখে এবং এদের সমর্থকদের দেখে আমার বলতে ইচ্ছা করে যে এত নালি আদি সের না গো! 
    তো তারা যদি এখন এই সব ইসলামি দল গুলোর ঘাড়ে ভর করতে চায় তাহলে খুব অবাক হব আমি? মোটেও না। বরং এরা সাথে থাকলেই বরং সুবিধা। তারা যে আদর্শের স্বপ্ন দেখে এরাও একই স্বপ্ন দেখে। কিংবা এগুলা মহা পরিকল্পনার অংশ! 
     
    কে জানে! আমাদের তো জানার কোন সুযোগ নাই। একদিন শুনব এই সবই মহান কোন পরিকল্পনার অংশ, আমরা সবাই সেই পরিকল্পনার ছাগল! কে জানে? 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২১৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Silent_Observer | 2603:8081:2200:26:ac52:594c:5ab4:***:*** | ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ০০:২৬539149
  • কি জানি কে সত্যবাদী !
    "মূর্খ হুজুরদের সম্পর্কে টাইমলাইনের অসংখ্য জ্ঞানী গুণী ঢাবিআনের পোস্ট দেখার পর অফিস থেকে সোজা চলে গেলাম ক্যাম্পাস ঘুরতে। আজকের পর্যবেক্ষণ: 
    ১. ভেবেছিলাম ক্যাম্পাসে ঢুকতেই প্রস্রাবের গন্ধে বমি করে ফেলবো, কিন্তু সেটা কোনোভাবেই হইলো না।
    ২. মনে মনে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, টিএসসি থেকে ভিসি চত্বর পর্যন্ত খাবারের উচ্ছিষ্ট পরিষ্কারের কাজে জ্ঞানী গুণী ঢাবিআনদের সাহায্য করবো, কিন্তু দুর্ভাগ্যের কথা হলেও ওখানে গিয়ে দেখি কিছু অসামাজিক ও মূর্খ হুজুর মিলে সেগুলো পরিষ্কার করছে একটু হিচা হাতে ফটো খিঁচিয়ে স্টোরি দেওয়ার সৌভাগ্য আর হলোনা।
    ৩. ভেবেছিলাম রোকেয়া হল থেকে কার্জন পর্যন্ত গাড়ির ভিড়ে হাঁটার জায়গা পাবো না কিন্তু বিধিবাম রাস্তা ফাঁকা ও কয়েকজন হুজুর ট্রাফিক কন্ট্রোলের দায়িত্ব পালন করছে। 
    ৪. হতাশ হয়ে কার্জন হলে ঢুকলাম, ভেবেছিলাম মূর্খ টাইটেলপাশ হুজুরদের ফেলা ময়লার গন্ধে কার্জন হলে হাঁটতেই পারবো না, কিন্তু ময়লা তো দুর পুরো কার্জনে ফার্মেসির তাবলীগী জুনিয়র নোমান ও ফিজিক্সের বোরহান ছাড়া আর কোনো সাদা জুব্বাই নেই।

    উল্লেখ্য, আমি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকিনাই কারণ সেটা ঢাবির অংশ না। অবশ্য আমার উচিৎ ছিলো রাস্তা নিয়েও কথা না বলা কারণ ঢাবির ভিতরের রাস্তাগুলোও ঢাবির অংশ না।

    আজকে সারা দিনের উপলব্ধি: অনেক অনেক উত্তরাধুনিক ধ্যানধারণার পোলাপাইন ঢাবিতে পড়ে, আগামীর বাংলার স্বপ্নের রেনেসাঁ তাদের হাতেই ঘটবে। তাদের একেকজনের মেনজা লেভেলের আইকিউ—  আমি বিমোহিত। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের বাংলাদেশ, এগিয়ে যাও, জ্ঞানী ঢাবিআনরা।"
    - Facebook থেকে সংগৃহীত 
  • r2h | 165.***.*** | ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৩:৫৭539153
    • Silent_Observer | ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ০০:২৬
    • কি জানি কে সত্যবাদী !
     
    সংগৃহীতমশাইকে চিনি না, কিংবদন্তীর লেখা অনেক দিন ধরে পড়ছি। তাই আমার বায়াস কিংবদন্তীর ভাষ্যে।
     
    তবে 'হুজুর'রা কেন ট্রাফিক কন্ট্রোল করছিলেন, এবং ফাঁকা রাস্তায় ট্রাফিক কোত্থেকে এল - এটা নিয়ে একটু বাড়তি খটকা থাকলো। (৩. ... রাস্তা ফাঁকা ও কয়েকজন হুজুর ট্রাফিক কন্ট্রোলের দায়িত্ব পালন করছে।)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন