এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  শিক্ষা

  • স্কুল শিক্ষা বিষয়ক - তথ্য ইত্যাদি 

    সিএস লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | শিক্ষা | ২৪ অক্টোবর ২০২৪ | ৬৯০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • কেন্দ্রীয় শিক্ষা দপ্তরের এই সাইটটায় স্কুল শিক্ষা নিয়ে প্রচুর ডেটা আছে। আগেও দেখেছিলাম, রাজ্য ভিত্তিক, সর্বভারতীয়, জেলা স্তরের, বিভিন্ন ফর্ম্যাটে। বিভিন্ন নিউজ রিপোর্ট অনেক ক্ষেত্রে এই সাইট থেকে তথ্য আর পরিসংখ্যান নিয়ে লেখা লেখে। 
     
    ২০২১-২২ এর ডেটা নিয়ে দেখছিলাম, মূলতঃ গভঃ স্কুল, প্রাইভেট স্কুল, শিক্ষার্থী সংখ্যা ইত্যাদি। এই রিপোর্টটা থেকে পরিসংখ্যানগুলো নেওয়া হয়েছে। 
     
    বিশেষ কিছু রাজ্যকে নিয়েছি ; দিল্লী - কেরালা শিক্ষায় তাদের উন্নতির জন্য , দক্ষিণের বাকি রাজ্য তাদের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য, উত্তরের রাজ্য বা মধ্যপ্রদেশ , তাদের আয়তন ও জনসংখ্যার জন্য আর পশ্চিমবঙ্গ, এই সব রাজ্যগুলোর সঙ্গে তুলনার জন্য। ছোট রাজ্য যেমন হিমাচল প্রদেশ, গোয়া বা সিকিম,  সচেতন ভাবেই নেওয়া হয়নি। 
     
    ১। স্কুলের সংখ্যা অনুযায়ীঃ 
     

     
    চারটে ভাগ আছে, গভঃ স্কুলের মধ্যে আবার উপবিভাগ আছে, রাজ্য সরকারের স্কুল, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, সৈনিক স্কুল। কিন্তু রাজ্য সরকারের স্কুলের সংখ্যাই প্রধাণ, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে অন্য উপবিভাগের স্কুলের সংখ্যা ২০০ র কম। 
     
    লক্ষ্য করার কয়েকটা বিষয় আছে মনে হলঃ 
     
    - পশ্চিমবঙ্গে গভঃ স্কুলের অনুপাত সর্বভারতীয় অনুপাতের থেকে অনেক বেশী, আবার প্রাইভেট স্কুলের অনুপাত অনেক কম ! আমাদের যা ধারণা, প্রাইভেট স্কুলের সংখ্যা সংক্রান্ত, সেই ধারণর সঙ্গে একেবারেই মেলে না। 
    - দিল্লীতে সরকারি স্কুলের শতকরা ভাগ, যা ধারণা, তার থেকে যেন অনেক কম। 
    - কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, অন্ধ্র প্রদেশ, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, এই রাজ্যগুলোতে প্রাইভেট স্কুলের অনুপাত বেশ বেশী। এর সঙ্গে ঐসব রাজ্যের অর্থনীতির যোগ আছে কিনা জানা নেই। 
    - কেরালায় সরাসরি সরকারি স্কুলের অনুপাত কম কিন্তু সরকারের থেকে অর্থনৈতিক সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের অনুপাত অনেক বেশী। এই দ্বিতীয় বিভাগটির সংখ্যা  পশ্চিমবঙ্গে খুবই কম (88)।  
    - সরভারতীয় ক্ষেত্রে সংখ্যাগুলো কিন্তু ঐ রিপোর্ট অনুযায়ী সব রাজ্য মিলিয়ে, কিন্তু এই লেখায় কয়েকটি বিশেষ রাজ্যকে নেওয়া হয়েছে, ফলে এই তালিকার সঙ্গে সর্বভারতীয় সংখ্যাগুলো মিলবে না। 
     
    ২। শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুযায়ীঃ 
     

     
    ১ নং ছবির সঙ্গে মিলিয়ে দেখলেঃ 

    - পশ্চিমবঙ্গে গভঃ স্কুল আর প্রাইভেট স্কুলে যাওয়া শিক্ষার্থীর অনুপাত , ওপি দুই রকমের স্কুলের সংখ্যার অনুপাতের সঙ্গে একেবারে মিলে যায় ! এই সংখ্যাগুলো আবারও সর্বভারতীয় ফিগারগুলোর সঙ্গে মেলে না, সরকারি ব্যবস্থার দিকেই হেলে থাকার জন্য হয়ত। 
    - দিল্লীর ক্ষেত্রে এই দুই রকমের সংখ্যার মধ্যে তফাত আছে, সরকারি স্কুলের অনুপাত কম হলেও সেখানে অন্তর্ভুক্তির অনুপাত বেশী। হয়ত সরকারি স্কুলের গুণমানের সঙ্গে এর যোগ আছে। 
    - ব্যাপারটা মনে হয় অন্ধ্র, তামিলনাড়ু, কর্ণাটকে উল্টে গেছে, সেখানে প্রাইভেট স্কুলে অন্তর্ভুক্তির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশী। 
     
    ৩। শিক্ষার্থী - শিক্ষক অনুপাত অনুযায়ীঃ 
     

     
    - স্কুলের ভাগগুলো রাখা হয়নি, শ্রেণী অনুযায়ী ভাগ কর হয়েছে। 
    - পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী অবধি এই রেশিওতে মনে হয় সমস্যা আছে। কিন্তু, ব্যাপার হল, দিল্লীর ডেটাও বিশেষ ভাল নয়। 
    - তামিলনাড়ুর সব ক্ষেত্রেই ভাল পারফর্ম্যান্স, কেরালা, কর্ণাটক, অন্ধ্র, তামিলনাড়ু মোটামুটি সব ক্ষেত্রেই ঠিকঠাক। রাজস্থানও দেখা যাচ্ছে বেশ ভাল। 
     
    ৪। স্কুল ত্যাগ ( ড্রপআউট )
     

     
    - এইটা ইন্টারেস্টিং। উঁচু ক্লাসে গিয়ে ড্রপআউটের প্রবণতা মনে হয় বেশী, মোটামুটি সব রাজ্যেই। তবে দিল্লী, কেরালা, তামিলনাড়ু কমের মধ্যে রাখতে পেরেছে। 
    - পশ্চিমবঙ্গে নীচু ক্লাস বা উঁচু ক্লাস দুই ক্ষেত্রেই , ড্রপআউটের সংখ্যা বেশী। 
    - এই ডেটাটার মধ্যে ছেলে - মেয়ে অনুযায়ী ভাগ করা আছে, সেটা এখানে আনিনি। 
    - গ্রাম - শহর, সরকারি - বেসরকারি স্কুল, জাতভিত্তিক বা আয় ভিত্তিক ক্লাসিফিকেশন করলে মনে হয় আরো বেটার বোঝা যায়। 
     
    ৪। ক। ২০১৮ - ২০১৯ এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী 
     

     
    - ২০২১ -২২ এর রিপোর্টে  কোভিডের প্রভাব থাকতে পারে, অতএব পিছিয়ে গিয়ে ২০১৮ - ১০২৯ এর সংখ্যাগুলো দেওয়া হল 
    - পশ্চিমবঙ্গে নীচু ক্লাসে এই পর্যায়ে যা ড্রপআউটের হার ছিল পরে গিয়ে সেটা বেড়ে গেছে। উঁচু ক্লাসের  ( ৯ - ১০ )  হার মোটামুটি একই থাকছে কিন্তু সেও যথেষ্ট বেশী। 
    - সর্ভভারতীয় ক্ষেত্রে ৯ম - ১০ম শ্রেণীর হার ড্রপআউটের হার ২০১৮ - ১৯ থেকে ২০২১ - ২২ e গিয়ে কমে গেছে, কিন্তু সেরকম কমে যাওয়া পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ঘটেনি। কর্ণাটক, তামিলনাড়ু বা মধ্যপ্রদেশের ক্ষেত্রে অনেকটাই কমেছে। 
     
    ৫। পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া অনুযায়ী 
     

     
    - কেরালা এখানে পারফেক্ট, যতজন স্কুলে পড়তে ঢুকছে, তারাই স্কুল শেষ করে বেরোচ্ছে। কিন্তু এটা দেখে মনে হল, কেরালার তো একতা ড্রপআউট ফিগার ছিল, ৯ম - ১০ম শ্রেণীতে, তাহলে এ ক্ষেত্রে শেষে গিয়ে ১০০র কম হওয়া উচিত ছিল ? এই বস্তুটি বুঝিনি। 
    - দিল্লীতে ক্লাস টেন অবধি ঠিকঠাক। 
    - পশ্চিমবঙ্গের কোন পর্যায়তেই ভাল নয়। সর্বভারতীয় গড়ের থেকে বেশ খারাপ, ১০ম বা দ্বাদশ শ্রেণী অবধি কম পড়ুয়াই যাচ্ছে। 
    - এই ডেটাতেও, ছেলে - মেয়ের ভাগ ছিল যা এখানে আনিনি। ড্রপআউট রেটের সঙ্গে এই সংখ্যাগুলোর যোগ কোথায় সেটা বোঝা উচিত। 
     
    ৫।ক। ২০১৮ - ২০১৯ এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী 
     

     
    - ক্লাস টুয়েল্ভ অবধি ডেটা এই বছরের রিপোর্টে নেই। 
    - সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে এই হার, ১ম - ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত, এই বছরের তুলনায় ২০২১ -২২ এ গিয়ে বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও  বেড়েছে কিন্তু মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু বা কর্ণাটকের মত জায়গায় নেই। অন্দ্রপ্রদেশের ক্ষেত্রে অনেকখানি বেড়েছে, কেন, কীভাবে কোন ধারণা নেই। 
    - মোটামুটি বলা যায়, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে উঁচু ক্লাস অবধি পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া ও ড্রপআউট, এই দুই দিকই সমস্যার বিষয়। সরভারতীয় হারের তুলনায় খারাপ এবং অন্য প্রধান রাজ্যগুলোর তুলনাতেও। 
    - প্রসঙ্গতঃ ২০২৩ r গোড়ায়, কলকাতা হাইকোর্টে একতা কেসও হয়েছিল এবং কোর্ট শিক্ষা দপ্তরকে ব্যাপারটা দেখতে বা ব্যবস্থা নিতে বলেছিল। কোভিড একটা ফ্যাক্টর বলে তখন মনে করা হত, কিন্তু আগের ডেটা দেখে মনে হয়, সমস্যাটা অনেক দিনের। 
     
    ৬। কার্যকরী বৈদ্যুতিন ব্যবস্থা অনুযায়ী 
     
     
    - ইলেকট্রিসিটি নিয়ে দুই রকমের তথ্য আছে, স্কুলের সংখ্যা দেওয়া হয়েছে availability of electricity আর functional electricity অনুযায়ী। আমি দ্বিতীয় ভাগটিকে এখানে নিয়েছি। 
    - পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা সরভারতীয় হারের থেকে বেশী ঠিকই কিন্তু বেশ কিছু রাজ্যে সরকারি স্কুলের জন্য সেই হারটি ১০০% এর খুব কাছে (মহারাষ্ট্র বাদে )। আবার প্রাইভেট স্কুলের ক্ষেত্রে এই হারটি যে সর্বভারতীয় সংখ্যাটিকে ছুঁয়েছে মাত্র কিন্তু অন্য কিছু রাজ্যে সেটি ১০০% বা তার কাছে, সেটা থেকে বোঝা যায় প্রাইভেট স্কুল মানেই চকচকে দামী স্কুল নয়, তারও স্তরভাগ আছে। 
     
    ৭। কার্যকরী ডেস্কটপ - পারসোনাল কম্পিউটারের ব্যবস্থা অনুযায়ী 
     
     
    - ডিজিটাল ইন্ফ্রা সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য আছে, এইটি একটি। এছাড়া স্কুলে ল্যাপটপ / নোটবুকের ব্যবহার, মোবাইল ডিভাইস বা প্রোজেক্টরের ব্যবহার, ডিজিটাল বোর্ডের ব্যবহার ইত্যাদি সংক্রান্ত তথ্য আছে। স্কুল শিক্ষাও ডিজিটাল ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত, তার প্রযুক্তি ও যন্ত্র নির্ভর, যুগের উপযোগী করার জন্য আর উন্নত করার জন্য। 
    - দিল্লীর স্কুল শিক্ষা যে প্রশংসিত, তার কারণ তাদের এই ডেটা থেকে বোঝা যায়। 
    - তামিলনাড়ুর সরকারি স্কুলের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি অতি অল্প, kaaraN সম্বন্ধে ধারণা নেই। 
    - লক্ষ্য করার, কর্ণাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশের সরকারি স্কুলের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি বেশ কম কিন্তু প্রাইভেট স্কুলের ক্ষেত্রে অনেকটাই বেশী। 
    - পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে সরকারি অথবা বেসরকারি, দুই ক্ষেত্রেই এই হারটি সর্বভারতীয় হারের তলায়। ডিজিটাল সুবিধে যদি এখন স্কুল শিক্ষার পরিকাঠামোর বৈশিষ্ট্য হয়, তাহলে এখানে পশ্চিমবঙ্গ পিছিয়ে আছে অনেকটা। বেসরকারি স্কুলেও এই ব্যবস্থার অপ্রতুলতা (যা অন্য রাজ্যগুলোতে অনেক ভাল অবস্থায় ) হয়ত প্রমাণ করে এই রাজ্যে প্রাইভেট স্কুলেরও অনুন্নতির ছবি।
     
    ৮। প্রোজেক্টরের ব্যবস্থা অনুযায়ী 
     
     
    - দিল্লী বা কেরালার কথা যে বলা হয়, স্কুল শিক্ষা নিয়ে আলোচনায়, তা কেন, এই তথ্য থেকে বোঝা যায়। সরভারতীয় অবস্থা থেকে এইসব ব্যবস্থার দিক দিয়ে এরা এগিয়ে। 
    - তামিলনাড়ুর সরকারি ক্ষেত্রে সংখ্যাটি অতি অল্প (ওপরে ৭-এর মত), কর্ণাটক বা অন্ধ্রপ্রদেশের সরকারি স্কুলেও অবস্থা বিশেষ ভাল জায়গায় নয়। 
    - পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যা দেখে যা মনে হয়, তা ওপরে ৭-এর শেষ  মন্তব্য অনুযায়ী। 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৪ অক্টোবর ২০২৪ | ৬৯০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:d1ec:c937:b2de:***:*** | ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:১৩538839
  • এই ফিগারগুলো খুব ইন্টারেস্টিং। ডেটায় কিছু এদিক ওদিক থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে একটা মার্জিন অফ এরর সেট করে নেওয়া যেতে পারে, হয়তো ৫% থেকে ১০% অবধি।
     
    ৫ নং টেবিলে দেখতে পাচ্ছি, অল ইন্ডিয়া ১ থেকে ১২ পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পার্সেন্টেজ শোচনীয় ভাবে কম, মাত্র ৪৪%। আর অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে এই ফিগারের কোরিলেশানও নেই মনে হচ্ছে, কারন দেখুন গুজরাটে ৩৮%, অথচ ইউপিতে ৪২%। তাহলে কেন্দ্রীয় আর রাজ্য সরকারগুলোর বিশেষ নজর দেওয়া উচিত এই প্রবণতা রোখার জন্য - স্কুলের পরিকাঠামো উন্নত করা, আরও শিক্ষক নিয়োগ করা, তাঁদের বেতন ইত্যাদি বাড়ানো যাতে আরও ভালো শিক্ষক পাওয়া যায়, মিড ডে মিল স্কিম আরও ভালো করা ইত্যাদি। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, আমার মনে হয়, রাইট টু এডুকেশান বা আরটিই অ্যাক্ট ঠিকমতো ইমপ্লিমেন্ট করা। সমস্ত স্কুলে আরটিই কোটা ঠিকমতো মানা হচ্ছে কিনা, ফুলফিল করা হচ্ছে কিনা (বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে হয়না), সেটা মনিটর করা উচিত।  
  • | ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:৩৪538845
  • পশ্চিমবঙ্গে সরকারি সাহায়্যপ্রাপ্ত  স্কুল তো প্রচুর। সরাসরি সরকারির থেকে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্তই বেশী।  ডেটায় দেখায় নি? 
     
    স্কুল ড্রপ আউটে ছেলে মেয়ের অনুপাতে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের ড্রপ আউটের সংলহ্যা বেশী বলে আবাপয় দেখেছিলাম। ভিনরাজ্যে শ্রমিক হিসেবে রোজগার কত্রতে  চলে যায় পড়া ছেড়ে।  ওদিকে মেয়েরা কন্যাশ্রীর জন্য উচ্চ মাধ্যমিক অবধি চালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। 
  • | ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:৩৫538846
  • *সংখ্যা
    ** করতে 
  • সিএস | ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:১৩538848
  • ডিসি, ড্রপআউট আর রিটেনশন (পড়া চালিয়ে যাওয়া) নিয়ে ৪।ক , ৫।ক যোগ করলাম।

    দ, Govt AIded স্কুলের সংখ্যা দেখিয়েছে ৮৮ টা, রাজ্য সরকারের স্কুলের সংখ্যা ৮৩,০০০+, বুঝতে হবে যে এই সংখ্যার মধ্যে রাজ্য সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলকে ঢুকিয়েছে কিনা। (১)-এ, এই সংক্রান্ত বাক্যটা একটু বদল করলাম।
  • | ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:১২538850
  • আচ্ছা।
     ৮৮ হওয়াটা অসম্ভব লাগছে।  
    দেখো।
  • সিএস | 2401:4900:7073:871c:692a:cb07:2912:***:*** | ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৪৭538860
  • ৭, ৮ জোড়া হল।

    এখন পর্যন্ত এইসব তথ্য নাড়াঘাঁটা করার পরে কয়েকটি মন্তব্য করা যায়।

    ১। শিক্ষিত বাঙালী মধ্যবিত্ত বা চাকুরীজীবীর একাংশের সংক্ষোভ যে শিক্ষা ব্যবস্থা এ রাজ্যে বেসরকারি হয়ে গেছে বা ইংলিশ মিডিয়ামের, সেই ধারণাটি ভুল। ঐ গোষ্ঠীটির একরকমের ক্রাইসিস ঐ ধারণাটি তৈরী করেছে এবং বিবিধ চাপান - ওপর চলে। এখনো ব্যবস্থাটি সরকার কেন্দ্রিক, অন্য রাজ্যের তুলনায় ঢের বেশী করে। এবং পশ্চিমবঙ্গের যা অর্থনীতি তাতে এই অবস্থাটি খুব তাড়াতাড়ি বদলাবার সম্ভাবনা নেই।

    ২। কিন্তু এই ব্যবস্থাটির মধ্যে অনেক সমস্যা আছে। স্কুল আছে, ছাত্ররাও আসে, কিন্তু তারা চলে যায়। অথবা বেসিক ইনফ্রা আছে, ইলেকট্রিক বা বাথরুম কিন্তু নতুন যা দরকার, কম্পিউটার ইত্যাদি তার ব্যবদ্থা অপ্রতুল। যারা শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত তারা নিশ্চয় এসব জানে, বিবিধ রিসার্চ - রিপোর্টও আছে। সমাজের articulate অংশ এগুলো নিয়ে তর্ক করলে হয়ত ভাল হবে।

    ৩। ওপরে বলা অবস্থার উন্নতি করতে গেলে নিশ্চয় সরকারি স্কীমের দরকার আছে এবং সেই সব স্কীম কাজ করছে কিনা দেখা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, মিড ডে মিল, বিভিন্ন - শ্রী প্রকল্পকে নিয়ে ঐ ছোট গোষ্ঠীটির নীচের চোখে দেখার প্রবণতা আছে। আমার ধারণা এইসব স্কীমই নানা দিক দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারে, সেটা না হওয়া নিয়ে তর্ক হতে পারে কিন্তু স্কীমগুলোকে নস্যাৎ না করাই ভাল।

    ৪। কেরালা আর দিল্লী, সরকারি ব্যবস্থাটির অনেক উন্নতি ঘটিয়েছে মনে হয়। দক্ষিণের অন্য রাজ্যগুলোতে আবার সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে apathy আছে যদিও অন্যদিকের givernance দিয়ে তারা প্রশংসিত। শুধুই মনে হয় আর্থিক অবস্থা ভাল হওয়া এর কারণ নয়, খ্রীস্টান বা অন্য ধর্মীত সংস্থার শিক্ষার সাথে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত থাকা, বিভিন্ন ট্রাস্ট ইত্যাদি, এইসব মিলিয়ে হয়ত সরকারি ব্যবস্থার দিকে ঐসব রাজ্যে ফোকাস কম। পশ্চিমবঙ্গে এরকম ণয়, হাতে গোন্ন কয়েকটি স্কুল ছাড়া, মিশনারি পরিচালিত, তার বাইরে বড় আকারে অসরকারি উপস্থিতি বিশেষ নেই। যা আছে, তা মূলত সরকারি আর ছোট বেসরকারি।
  • r2h | 134.238.***.*** | ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ২১:৪৮538946
  • এই আলোচনাটা চলুক।

    এই বিষয়টা কাজের লোকেদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আর আমার মত অকাজের লোকেদের জন্য কৌতূহলোদ্দীপক - মাত্র আড়াই তিন দশকে কী এমন বদলে গেল দেশ জুড়ে, বদলটা কোথায় শুরু আর কোন দিকে গতি।
    কিন্তু তর্কটা কেবল অসমর্থিত অনুমান, ধারনা, দলীয় মতাদর্শগত অবস্থান, সীমিত ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষনের গোলকধাঁধায় ঘুরপাক খায়।

    তথ্যনির্ভর আলোচনা হোক, সাধু উদ্যোগ।

    যা চলছে তাই চলতে থাকলে, পথের শেষে এমন একটা প্রজন্ম অপেক্ষা করে, যাদের চোখে শিক্ষার অধিকার বলে শব্দবন্ধের কোন মানেই থাকবে না হয়তো।
  • পাপাঙ্গুল | 223.19.***.*** | ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:২৯538996
  • "শিক্ষিত বাঙালী মধ্যবিত্ত বা চাকুরীজীবীর একাংশের সংক্ষোভ যে শিক্ষা ব্যবস্থা এ রাজ্যে বেসরকারি হয়ে গেছে বা ইংলিশ মিডিয়ামের" - এই গোষ্ঠীর সংক্ষোভ আছে বলে মনে হয় না। তারা বেসরকারি বা ইংলিশ মিডিয়ামের বাইরে কিছুর অস্তিত্ত্ব আছে বলে স্বীকারই করতে চায় না এবং সরকারি যেকোনো ব্যবস্থাকে নিজের ট্যাক্সের সু ব্যবহার হিসেবে না দেখে হাতের পাঁচ হিসেবে দেখে। 
  • r2h | 208.127.***.*** | ১২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:৩০539424
  • এটা এখানে থাকঃ https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=30678

    আর এই



    এই নিয়ে আগের খবরগুলি খুঁজে পেলে তুলে রাখবো।
  • r2h | 165.***.*** | ২০ নভেম্বর ২০২৪ ০৩:০২539530
  •  
  • r2h | 165.***.*** | ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:৫৭539647


  • r2h | 165.***.*** | ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ২০:০৩539648
  • এই খবরগুলি এখানে দিচ্ছি কেন, তার একটা কৈফিয়ৎ দেওয়া দরকার।
    স্কুল শিক্ষা নিয়ে কথা হচ্ছিল, পবতে মধ্যবিত্ত কেন সরকারি স্কুল বিমুখ এইসব নিয়ে কথা হচ্ছিল, তাতে এই ধারা শুধু পবতেই কিনা, এই তর্কও কিছুটা।
    হাতের কাছে ত্রিপুরা আছে, বাঙালী অধ্যুষিত, সরকারি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর এই কিছুদিন আগে পর্যন্তও মানুষ ভরসা করতো চোখ বুঁজে। ছবিটা এখন দ্রুত পরিবর্তনশীল।
    যেসব জায়গায় সরকারি স্কুল ব্যবস্থায় মানুষ শুধু ভরসা করেন তাই না, একমাত্র উপায় হিসেবে নির্ভরও করেন, সেসব জায়গাও অপসৃয়মান।
    এবং একটা বড় লক্ষনীয় জিনিস হলো বাংলাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে কাটিয়ে দেওয়া।

    তাই, যখ্ন যেমন পাবো, তুলতে থাকবো।
    পুরনো কিছু খবরও জমিয়ে রেখেছিলাম, খুঁজে পেলে তুলে দেওয়া যাবে।
  • r2h | 134.238.***.*** | ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:০৮540481
  •  
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন