এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  অন্যান্য  মোচ্ছব

  • বারীন সাহার সিনেমাটি অবশেষে দেখা গেল 

    সিএস লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | মোচ্ছব | ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৬০১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • যে সিনেমা আদৌ দেখা যাবে কিনা, সে সন্দেহ ছিল দীর্ঘদিন ধরে, সেই সিনেমাটি অবশেষে দেখে উঠতে পারলাম। অতএব সে নিয়ে কিছু কথা ।

    ১৯৬১ সালে বারীন সাহা 'তের নদীর পারে' সিনেমাটি বানিয়েছিলেন, রামধনু পিকচার্সের ব্যানারে, প্রডিউসার ছিলেন নিজের; ভাই রাজেন সাহা। বোঝাই যায়, নিজেরাই টাকা যোগাড় করে ঐ সিনেমাটি তৈরী করা। রিলিজ হয়েছিল আট বছর পরে, ১৯৬৯ তে, এক সপ্তাহ হলে চলেছিল, এরকম শোনা যায় যে কাউন্টারের কর্মীরা 'ঐ বোরিং সিনেমা' কী দেখবেন বলে দর্শকদের নিরস্ত করতেন, যাতে সিনেমাটি অরো কিছুদিন হলে চলে সেই জন্য রাজেন সাহার কথা মত তার ছেলে (বারীন সাহার ভাইপো) সিনেমাটির টিকিটও কিনে নিয়েছিল, কিন্তু বিশেষ কিছু ফল হয় নি, দর্শকধন্য হওয়ার জন্য ! বারীন সাহার মনে হয় একরকমের গোঁ ছিল, নিজের মত সিনেমা বানানোর গোঁ বা সিনেমা লাইনের নিয়মগুলোকে না মানার গোঁ, তার পরিণতি যেমন এই সিনেমাটি, তেমনই হয়ত আর দ্বিতীয় কোন সিনেমা না বানিয়ে উঠতে না পারা, দু'টি ডকুমেন্টারি বানানো এবং তারপরে সিনেমা ছেড়ে দিয়ে বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত জায়গায় স্কুল তৈরী ওর সেই কাজেই যুক্ত হয়ে থাকা। হয়ত, এই যে নিজস্বতা, নিজের কাজে বা জীবনে তার সাথে বামপন্থী রাজনীতিও যুক্ত, আইপিটিএর সাথে যুক্ত ছিলেন, ১৯৪৭-৪৮ সাল নাগাদ বিপ্লবাবাদী রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে পড়া, ক্রমশঃ সেসব থেকে দূরে চলে যাওয়া (বিপ্লব অত সহজে হয় না, এই বোধ তৈরী হওয়া)। এই সময়ের পরে, ১৯৫০ এর দশকে ইউরোপে যাওয়া সিনেমা শেখার জন্য, প্যারিস ও রোমের দুটি সংস্থাতে। ফলতঃ, নিজস্বতা হয়ত গড়ে উঠেছিল, দুটি দিক থেকে, রাজনীতি আর সমসাময়িক বিশ্ব সিনেমা থেকে, সরলভাবে বললে, ঋত্বিকের সাথে মিল আছে। তো সিরিয়াস সিনেমা নিয়ে লেখাপত্রে, বাংলা সিনেমা সংক্রান্ত, সেসবে 'তের নদীর পারে' সিনেমাটির উল্লেখ পেতাম, মনে পড়ে বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর একটি লেখা, সিনেমা বানানোর ইচ্ছে যখন ওনার তৈরী হচ্ছে তখন এই সিনেমাটি ওনাকে প্ররোচনা দিত এই ছিল মন্তব্য, এরকম আরো কিছু লেখায় হয়ত সিনেমাটির কথা পড়েছিলাম। ক'বছর আগে 'মনফকিরা' থেকে 'চলচ্চিত্রাক্ষর' নামে একটি বই বেরিয়েছিল, বারীন সাহার সাক্ষাৎকার ও সিনেমা নিয়ে অল্প কিছু লেখাপত্র সমেত, সে বইও পড়েছিলাম, কিন্তু না সিনেমাটির খোঁজ পাইনি।

    ক'দিন আগে পেয়ে গেলাম সেই খোঁজ।

    কলকাতার SRFTI তে ফিল্ম আর্কাইভিং আর রেস্টোরেশন নিয়ে এক সপ্তাহের অনুষ্ঠান চলছিল ( https://arcurea.in ), সেই অনুষ্ঠানে কিছু পুরোন সিনেমা দেখানো হচ্ছিল যেগুলোকে বাঁচিয়ে তোলা গেছে, সেই সবের মধ্যে বারীন সাহার সিনেমাটিও ছিল, একটি শো ছিল এক বেস্পতিবারের সন্ধ্যেতে, অন্যটি পরের দিন সকাল ১০টায়, সন্ধ্যের শোটিতে সময় করা গেল না, অতএব পরের দিন সকালে দেখা গেল, ছুটি নিয়ে, সকালের দিকে বেরিয়ে। শোনা যায় ১৯৯২ তে গোর্কি সদনে একটি শো হয়েছিল, তারপর কলকাতায় এইবার, সেই জন্য ছুটি - সকাল ইত্যাদি বিশেষ কিছু নয়। এও ফেসবুক থেকে জানলাম যে সিনেমাটি ছিল ৮২ মিনিটের, গোর্কি সদনের শোতেও তাই দেখানো হয়েছিল, কিন্তু এবারে সিনেমাটি ছিল ৭৮ মিনিটের, ৪ মিনিট মনে হয় বাঁচানো যায় নি, হয়ত সিনেমার শেষটিতে সেই বাদ পড়া অংশ ছিল।

    সিনেমার ক্ষীণকায় গল্পটি একটি সার্কাস কোম্পানীকে নিয়ে, সেই সার্কাসের ক্লাউন (জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়) ও ম্যানেজার প্রধান দুই চরিত্র, পরে এদের সাথে যুক্ত হয়ে পড়বে এক নাচুনী মেয়ে (প্রিয়ম হাজারিকা, ভূপেন হাজারিকার প্রথম স্ত্রী), তিনজনের মধ্যে কন্ফ্লিক্ট এবং এই তিনজনকে ব্যবহার করে পরিচালকের 'বক্তব্য'। সিনেমাটির পুরো শুটিং-ই ছিল আউটডোরে, মেদিনীপুরে, প্রথমে কালী ব্যানার্জী ও রুমা গুহঠাকুরতা ছিলেন দুই চরিত্রে, কিন্তু কিছুদিনে শুটিং হওয়ার পরে বৃষ্টিতে শুটিং নষ্ট হয়, যা ছবি তোলা হয়েছিল সেসবও, অভিনেতারা কলকাতা ফিরে যান, তাদের ডেট আর পাওয়া যায়নি, ফলে নতুন করে শুটিং এবং অন্য দুই অভিনেতা ও অভিনেত্রীকে নিয়ে ! ক্লাউন চরিত্রটি আসলে এক আর্টিস্ট (ভাটিখানার বিশেষ এক দৃশ্যে এই বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়), ম্যানেজারের সাথে তার যে কনফ্লিক্ট সে আর্ট/আর্টিস্ট আর ব্যবসার দ্বন্দ (ম্যানেজার সার্কাসে লোক টানার জন্য নাচুনী মেয়ে আনে, পাশের এক সার্কাসও একই পথ নিয়ে ভোক্তা বা দর্শকের সংস্থান করছে), অতএব সিনেমাটির একটি প্রচলিত পাঠ (পরিচালকের বক্তব্য) এই আর্ট ও কমার্শিয়ালাইজেশন নিয়ে, এরকমই ভাবা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি ভুল কিছু নয়, একটি বক্তব্য নিশ্চয়, কিন্তু অন্যদিকে নাচুনী মেয়েটির (প্রিয়ম হাজারিকা) সাথে ক্লাউনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, দীর্ঘ এক দৃশ্য আছে যেখানে নদীর জলের উচ্ছ্বলতার সাথে মেয়েটির উচ্ছ্বলতা মিশে যাচ্ছে, কিন্তু ক্লাউন/আর্টিস্ট কিছু দুরত্ব থেকেই ঐ দৃশ্য দেখে, যেন নাচুনী মেয়েটি প্রতিকায়িত হয় 'জীবন' আর 'আনন্দ' এই দুয়ের মধ্যে কিন্তু আর্টিস্ট যেন সেসবের সাথে পুরো যুক্ত হতে পারে না, সিনেমার শেষ দৃশ্যে ম্যানেজার ও নাচুনী, দু'জনেই সার্কাস থেকে চলে যায়, ক্লাউন ও আর্টিস্ট একা থেকে যায় সার্কাসটিকে নিয়ে।

    আর্টিস্টের নিয়তি একা হওয়া, সিনেমটি এই কথাও বলে?

    দীর্ঘ শট আছে রাতে, ফাঁকা বাজারের মধ্যে ক্লাউনের মদ্যপ অবস্থা, একাকী কথা বলা, বাড়ির ওপর থেকে পড়ে গিয়ে হাত ভাঙা, তার ক্রাইসিস। তারও আগে, দীর্ঘ, দীর্ঘ শট আছে, নাচুনী মেয়েটি যখন গ্রামে আসবে, নদীর ঘাট থেকে চটি হাতে নিয়ে বাজারের মধ্যে দিয়ে তার হেঁটে যাওয়া, লোকজনের কাজ ফেলে মেয়েটিকে অনুসরণ করা, সামনে ম্যানেজার, তার পরে মেয়েটি, পেছনে লোকের বহর বাড়তে থাকা, রাস্তা, আলজমি, নদীর ধার দিয়ে সার্কাসের তাঁবুতে পৌঁছন, সাবজেক্টিভ এক দৃশ্য, পরিচালকের বক্তব্য এই দীর্ঘ শটটির মধ্যেও রয়ে গেছে। দেখার সময় মনে হয়েছে সিনেমাটির kinship ঋত্বিকের 'অযান্ত্রিক' সিনেমার সাথে আছে (সিনেমার দুই প্রধান চরিত্রর সমাজ থেকে আলাদা ও একা হয়ে যাওয়ার মধ্যে), হয়ত ফেলিনির 'লা স্ত্রাদা' সিনেমাটির সাথেও আছে (তিন চরিত্রের কনফ্লিক্টের মধ্যে)। সিনেমাটি দেখানোর আগে বারীন সাহার ভাইপো সিনেমা ও বারীন সাহাকে নিয়ে একটি লেখা পড়েন, জানান যে সিনেমার শুটিং যেখানে হয়েছিল তার নাম ছিল তেরপাখিয়া (নন্দীগ্রামের কাছে), সেখানে যে নদীটি তার নাম 'তের' নদী এবং সিনেমাটি ঐ তের নদীকে নিয়েই। এই মতটি আমার পছন্দ হয় নি, এ যেন নাম ও সিনেমাটিকে স্থানিক করে দেওয়া একটি তথ্য ব্যবহার করে, ফলে নামটির মধ্যে যে অনির্দিষ্টতা, যা দর্শকের সাথে সিনেমাটির বিষয় বা গল্পের দুরত্ব তৈরী করছে কিন্তু একই সাথে সিনেমাটিকে যা সিম্বলিক করে তুলছে (সমুদ্র আর তের নদীর পার যেভাবে করে), সিনেমার রিয়েলিস্ট দৃশ্য আর তার মধ্যে দিয়ে প্রতিকায়িত বক্তব্য, বারীন সাহার অন্বিষ্ট হয়ত তাই ছিল (কিন্ত বারীন সাহার বইটি বার করে দেখতে হবে সিনেমাটি নিয়ে নিজে কী বলেছিলেন)।



    সিনেমাটির নামলিপি নেটে পাওয়া যায়, দেওয়া গেল। (ইউটিউবে একটা ক্লিপিং ছিল ক'দিনে আগেও দেখেছিলাম কিন্তু এখন সার্চ করে আর নজরে আসছে না )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • অন্যান্য | ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৬০১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • গঙ্গারাম | 115.187.***.*** | ২৮ মার্চ ২০২৪ ২১:১২529913
  • উরিব্বাস! দারুণ খবর তো! সিনেমাটা পরবর্তীতে কোনভাবে দেখা যেতে পারে?
  • গঙ্গারাম | 115.187.***.*** | ২৮ মার্চ ২০২৪ ২১:১৩529914
  • আর একটা প্রশ্ন ,দ্বীপের নাম টিয়ারং'' সিনেমাটা কি কোনভাবে দেখেছেন আপনি?
  • সিএস | 2405:201:802c:7815:6dd4:d8b6:4c50:***:*** | ২৮ মার্চ ২০২৪ ২১:৫৮529917
  • আজ একটা শো ছিল, সন্ধ্যেতে, ঐখানেই। পরে কোথায় কীভাবে, নাঃ কোন ধারণা নেই। SRFTI screening community র ফেসবুক পাতায় নজর রাখতে পারেন, যদি আবার দেখায়।

    টিয়ারং, মনে হয় বহু আগে টিভিতে দেখেছিলাম, মনে নেই বিশেষ, সন্ধ্যা রায় ছিলেন ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন