গতকাল দেখলাম। আকাডেমিতে। দ্বিতীয় অভিনয় ছিল ।
কৌশিক সেনের নির্দেশনা. ক্লডিয়াস কৌশিক সেন , ঋদ্ধি সেন হ্যামলেট , রেশমি মিত্র গার্ট্রুর্ড। আড়াই ঘন্টার নাটক , শেষের দিকটা টেনে যাচ্ছিল, মূল নাটকের সব ঘটনাই পরপর দেখানোর জন্যই ; কিছু একটা ভাবা উচিত এ নিয়ে, সবই দেখানো হল কিন্তু অন্যভাবে , তাহলে ছোট হতে পারে।
মূল নাটকটিকে পুরোপুরি অনুসরণ করে , বিনির্মাণ বা কন্টেম্পোরারি করে তোলা , সেসব কিছু নেই। কিন্তু চরিত্রদের পোশাক বর্তমানের , রাজকীয় নয় , ক্লডিয়াস জ্যাকেট o জীনস, হ্যামলেটও এখনকার পোশাকে , অন্যরাও সেরকমই. ফলে যেটা হয়েছে মনে হয় , mUla নাটককে অনুসরণ করে এই অভিনয় পুরোন গল্প বলে কিন্তু পোশাক বা কথা বলার ধরণ দিয়ে নাটকটিকে বর্তমানে আনা হয়েছে।
ঋদ্ধি সেন দাপিয়ে অভিনয় করেছে, কিছু জায়গায় যখন সে স্টেজের সামনে দিকে ফোকাসে , তখন অসাধারণ। বার তিনেক হাততালি পেয়েছে। কিন্তু হ্যামলেট বলতে মনে হয় সে চরিত্র চিন্তাকুল, দ্বিধাগ্রস্ত, এই দিকটা হয়ত কম ফুটেছে। মনে থেকে যায় হ্যামলেটের 'পাগলামির ' দৃশ্যগুলোই।
হ্যামলেটের বাবা, ভূত , যখনই দৃশ্যে আসছে , তখন তার গলা ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে শোনানো হয়নি , স্টেজের চরিত্রদের মধ্যে থেকেই স্বরের বদল করে তার ডায়লগ বলা হয়েছে - হ্যামলেট , হোরেসিও বা গার্ট্রুডের মধ্যে দিয়ে । বাবা হ্যামলেট মরে গেলেও যে লোকজনের মধ্যে রয়ে গেছে , সেটা যেন বেরিয়ে এসেছে।
তো সব মিলিয়ে টেনে রাখে নাটকটা। কিন্তু কিছু বদলের দরকার আছে হয়ত অভিনয় আর প্রোডাকশনে।
আর , প্রশ্ন হল , হ্যামলেট এর আগে বাংলা নাটকে কবে , কে ? ব্রাত্য বসুর নির্দেশনা বা লেখায় কয়েক বছর আগে ' প্রিন্স অফ গরাণহাটা ' হয়েছিল , হ্যামলেট নেমে এসেছিল সোনাগাছিতে। এ ছাড়া বাংলায় হ্যামলেট কবে হয়েছে ?
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।