History is chiefly an understanding of the past. ইতিহাসবিদেরা সত্যান্বেষী নন। সত্যি কি ঘটেছিল কেউ জানেনা। অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনা rewind করা যাবেনা । ইতিহাসবিদের কাজ অতীতকে বিশ্লেষণ করা। পর্যালোচনা করা । এটা করা জন্যে তাদের ব্যবহার করতে হয় বিভিন্ন মেথডলজি এবং সেটার থেকে অতীত সম্পর্কে একটা understanding তৈরিতে পৌঁছবার চেষ্টা করা হয় । কিন্তু এই understanding থেকে তারা কোনো conclusion এ আসতে পারেনা। উদ্দেশ্যও সেটা নয় ।
এবার এই মেথডলজি ব্যবহারের সঙ্গে আসে লেখকের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গী । ইতিহাসবিদ তো একজন লেখক ।
এখানে আরেকটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল the question of identity ! Who is writing the history ? এবং এখানে 'নিরপেক্ষ' এবং ‘গুরুচণ্ডালী’ সংস্কৃতি অনুযায়ী ‘নির্মোহ’ (বিশ্লেষণ) একটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যায় ! 'নিরপেক্ষ' এবং 'নির্মোহ' র আক্ষরিক ডেফিনেশন এখানে একেবারে অচল ।
ইতিহাসচর্চায় নিরপেক্ষ বা নির্মোহ’র অর্থ খুব জটিল । নিরপেক্ষ কেউ নয়। নির্মোহও কেউ নয়। এবং এটার থেকেই ম্যাটার করে কিরকম আর্কাইভল সোর্সেস তিনি ব্যবহার করবেন তার লেখায় এবং তার ওপরেই নির্ভর করবে তার বিশ্লেষণ । ইতিহাসবিদের নির্বাচন করার অধিকার অবশ্যই আছে কিন্তু সেখানে তিনি কতটা সিলেক্টিভ হচ্ছেন?
কারণ এই সিলেকশন থেকেই আসছে লেখকের মূল উদ্দেশ্য যেটার সঙ্গে তার দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠার প্রশ্ন লুকিয়ে আছে ।
রমিলা থাপার বলেছেন ‘We are all bias. The question is are we aware of our bias? Do we explain that there will be a bias which will come through while writing history ? The test is actually not on whether we are bias or unbiased ! The test is whether the evidence we are quoting is reliable ! If we are establishing a point then we need to have a very reliable source. What is a reliable source ? Evidence which is written and which is easier and convincing. So evidence is important.
History is also a study in causal relationships. Because A happened which led to B. Because B happened it led to C. A whole chain of events that connect.
These causal relationship when analysed and written must be based on logic and rationality.'
১৯৫৬য় প্রকাশিত হল দামোদর কোসাম্বীর 'An Introduction to the study of Indian history' । তার অপরেই '৬০ র শুরু থেকেই ভারতীয় ইতিহাসচর্চায় একটা বড় পরিবর্তন এল। কোসাম্বীর বইটিকেই একটি paradigm shift আখ্যা দেওয়া হয়।
এর আগে ভারতীয় ইতিহাসচর্চা largely ছিল narration of the past । সুশোভন সরকারের 'Notes on Bengal Renaissance'ও তার বাইরে বেরতে পারেনি (একদম শেষ চ্যাপ্টারে নীরদ চৌধুরীর 'auntobiography of an unknown Indian র এক্তা রিভিউ মত আছে)।
এই ষাটের দশক থেকে ইতিহাস লেখার স্টাইলে , ভাবনায়, তত্ত্বে যেসব চেঞ্জ এল এবং ইতিহাস একটা সস্যাল সায়েন্সে পরিণত হল । সোশ্যাল সায়েন্সের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠল সেটার একটা ইতিহাস লেখারও সময় হয়েছে ।
এই নব্য ইতিহাস বিষয়টি হিউম্যানিটিজ স্টাডিজে খুব ইনফ্লুয়েনশিয়াল এবং এর পর জীবনী এমনকি আত্মজীবনী (স্মৃতিকথা) লেখাতেও আমি অন্তত বড় পরিবর্তন পাই।
এখানে বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্তের উপস্থিতিতে খুশী হলাম। :-)
"আমি নিজে মনে করি বর্তমানের প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে একজন সৎ, পরিশ্রমী ইতিহাস চর্চাকারীকে (সে তিনি যতই অ্যামেচার হন না কেন) তিনটে দৃষ্টিভঙ্গী থেকে গোটা সময়টাকে বিবেচনা করতে হবে - মার্ক্সিস্ট ধারা, পোস্ট-কলোনিয়াল ধারা এবং সাব-অল্টার্ন ধারা।"
এখানে একটা ধারা বাদ পড়েছে। এবং যেটা নিয়ে লোকজনকে বিশেষ উচ্চবাচ্য করতে দেখিনা। সেটা হল, অর্থনৈতিক দিক থেকে বিশ্লেষণ। বাকি তিনটেতেই এটা আসে, বিশেষতঃ মার্ক্সিস্ট হিস্টোরিয়ানরা এটা করেন, কিন্তু তাঁরা যেহেতু সবই ক্লাস কনফ্লিক্টের কাঁচ দিয়ে দেখেন, এই আলোচনা ঠিক জমে না। আমি কিন্তু ইকনমিক হিস্ট্রির কথা বলছিনা, যথা হাবিবের মিডিভাল বা মুঘল আমলের ইকনমিক হিস্ট্রি। আমি বলছি যেকোন হিস্টারিকাল ইভেন্টকে তৎকালীন সোশিওর সঙ্গে ইকনমিকাল এনভায়রনমেন্টের প্রেক্ষিতে বিচার করা।
@এলেবেলে, খুব lucidly নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন । (৬ জুলাই '২০, ১৬ঃ২১ র মেসেজ)
তবে দুটো প্রশ্ন আছে
'তবে বাঙালি রবীন্দ্রনাথের আর কিছু না নিলেও, অন্তত ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে এই চারিত্রপূজা-র ধাঁচাটাকে আপন করে নিল। ফলে বিদ্যাসাগরের প্রথম যে চারটে জীবনী লিখলেন শম্ভুচন্দ্র, চণ্ডীচরণ, বিহারীলাল এবং সুবল চন্দ্র মিত্র সেখানে নির্ভেজাল ব্যক্তিপুজো শুরু হল। একই কথা খাটে গান্ধীর ক্ষেত্রেও। তাঁর প্রথম জীবনীকার তাঁরই নির্দেশে জীবনী রচনা করেছেন (যেমন নারায়ণচন্দ্রের অনুরোধে জীবনী রচনায় নেমেছিলেন চণ্ডীচরণ) এবং তার পরে সেই জীবনীকে আকর গ্রন্থ বিবেচনা করে একের পর গান্ধী-জীবনী রচিত হয়েছে। এই ব্যাপারটা জিবি সিং-এর বইতে ডিটেলে আছে।'
তাহলে 'চারিত্রপূজা' প্রভাবের আগে কি জীবনী রচনার ধরণ অন্য ছিল ? বা অনেক বাস্তব ভিত্তিক ছিল ! শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম জীবনী 'শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জীবনবৃত্তান্ত' লিখেছেন রামচন্দ্র দত্ত। সেই জীবনীটি সম্ভবত প্রকাশিত হয়েছিল রামকৃষ্ণের জীবদ্দশায়। বইটি চরম বিতর্কের মুখে পড়ে । বইটিতে রামকৃষ্ণের সাধনার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর যৌনতার কিছু বিষয় উল্লেখ ছিল। বইটির প্রকাশ বন্ধ করা হয়। বিবেকানন্দ লেখকের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন বলেও শোনা যায় এবং কোনো চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন 'এমন কিছু লেখা যাবেনা যেখানে ঠাকুর কলঙ্কিত হবেন .....' !
'সেটা জিন্না-নেহরু-সুভাষ-আজাদ-আম্বেদকর-জিন্না হয়ে রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত সুবিস্তৃত এবং লক্ষ্য করলে দেখা যাবে এঁদের কারও গান্ধী-মূল্যায়নই অবিমিশ্র শ্রদ্ধাজনিত নয়। '
জিন্না-নেহেরু-সুভাষ-আজাদ-আম্বেদকর' এঁদের সকলের সঙ্গে গান্ধীর সম্পর্ক ছিল সম্পূর্ণত রাজনৈতিক । রবীন্দ্রনাথ এবং গান্ধীর সম্পর্ক, একমাত্র রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে গান্ধীর সম্পর্ক সম্পূর্ণত রাজনৈতিক ছিল না। সম্পর্কটা ছিল বহুমাত্রিক । গান্ধী সম্ভবত আর কারো সঙ্গে এত বিষয় নিয়ে মতামত আদান প্রদান করেননি। এখানে একটা pure camaradarie ছিল । এবং রবীন্দ্রনাথ রাজনৈতিক ব্যক্তি নন। একজন আন্তর্জাতিক ইন্টলেকচ্যুয়াল বলেই সম্পর্কটা ছিল অনেক ইন্ডিপেনডেন্ট । কেউ কারো ধার ধারতেন না । Hence it was a honest friendship or relationship.
বাকীদের সঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণে রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত ছিল ।
ভুল বললাম কিনা জানিনা ।
https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=13686
গান্ধী নিয়ে কথাবার্তা ওইখানে হলেই ভালো। - sm কে অনুরোধ।