এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  বইপত্তর

  • মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় উপন্যাসে যা লিখেছিলেন

    সিএস লেখকের গ্রাহক হোন
    বইপত্তর | ১৬ আগস্ট ২০২০ | ১৭৭৮ বার পঠিত
  • উপন্যাসদুটির কথা মাথায় উঠে এল মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এখানে প্রকাশিত সংকলনের লেখাগুলি পড়ে; লক্ষ্য করে দেখলাম অনুবাদক, শিক্ষক বা কবি হিসেবে মানববাবুর পরিচিতি ঘটালেও, ওনারই যুবা বয়সের লেখা এই দুটি ঊপন্যাস - চন্দ্রাহত ও পুনরুত্থান - সংকলনের লেখাদুটিতে অনুল্লেখিত। অনুমান করি হয়ত এই লেখাদুটি প্রায় অপঠিত বা অল্পপঠিত অথবা মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের যা লেখক পরিচিতি - প্রধানতঃ অনুবাদক হিসেবে হলেও তির্যক ও মিতকায় কবিতাগুলিও আলোচিত হয়েছে কখনও - তার সাথে এই লেখাদুটির হয়ত সখ্যতা খুঁজে পাওয়া যায় না। বইদুটির ব্লার্ব থেকে জানি দুটি লেখাই প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৬১ সালে কোন ছোট পত্রিকায়, তার পরে হয়ত প্রকাশিত হয়নি, প্রায় চল্লিশ বছর পরে বই আকারে প্রকাশিত হয় ১৯৯৯ সালে, দেজ পাব্লিকেশনস থেকে। চল্লিশ বছরের ব্যবধানে লেখক জীবনের প্রথম দিকের এই স্বাক্ষরদুটি প্রকাশের মধ্যে দিয়ে এইটি অন্তত বোঝা যায় উপন্যাসদুটি লেখকের কাছে দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানেও অপ্রয়োজনীয় হয়ে যায়নি।

    পুনরুত্থান উপন্যাসটি নয়টি পরিচ্ছেদে শ'খানেক পাতায় শেষ হয়েছে। বিশ্লেষণ করতে গেলে হয়ত উপন্যাসটির অর্থ শব্দর ফাঁক দিয়ে গলে যেতে পারে কিন্তু এরকম বলা যায় যে উপন্যাসটি কুবের সেন নামে প্রধাণ চরিত্রটির আত্মপরিচয় খোঁজার কাহিনি। যদিও চরিত্রটি নিজেকে কুবের সেন নামে নিজেকে পরিচয় দেয় - পরিচয়ও ঠিক নয়, তাকে ঐ নামে ডাকা হলে সে সাড়া দেয় বলেই সে মনে করে ঐটি তার নাম আর এও মনে করে যে নাম তো বড়জোর একটি ছাপ বা লেবেল বা চিহ্ন, সুবিধের জন্য যা তৈরী হয়েছে - সেই কুবের সেনের বাবা তার জন্মের আগেই মৃত, মা তার জন্মের পরেই এবং সে অনাথ্ আশ্রমে মানুষ, অনাত আশ্রমে যখন আনা হয়েছিল তখন তার গলায় ছিল একটি সোনার হার যাতে লাগানো ছিল একটি পাঁচ কোণা তারার আকার বিশিষ্ট একটি লকেট, সেই কুবের সেন একদিন বাড়ী থেকে বেরিয়ে একটি কবরখানার পাশে তিনতলা পলেস্তারা খসা একটি ফ্ল্যাটের সামনে উপস্থিত হয়, হলকা ওঠা আর হাওয়া তেতে ওঠা প্রবল গরমের দিন সেদিন, বাড়ীটি তার অচেনা হলেও, সেদিকে না কোনদিন না এলেও, নিজের ভেতরে যেন বাড়ীটিকে তার চেনা মনে হয়, সেই বাড়ীর তিনতলা থেকে কেউ যেন তাকে হাত বাড়িয়ে ডাকে, যার হাতে আলোর মধ্যেও সে দেখতে পায় একটি ঝকঝক করে ওঠা আংটি। ক্রমশঃ সে জানতে পারে যে সেই তিনতলায় কেউই থাকে না তখন, কারণ সেদিনই ঐ তিনতলার বাসিন্দা এক বৃদ্ধ মহিলা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন (যিনি সুখীই ছিলেন, তার ছেলেরাও প্রতিষ্ঠিত, জীবনের সুসময় এখন, অতএব আত্মহত্যা করার এইটি প্রকৃষ্ট সময়, চিঠিতে এইরকমই লিখে যান বৃদ্ধা মাহিলাটি আত্মহত্যার আগে) এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা লাশকাটা ঘরে গেছে, অতএব কারোর ডাকার সম্ভাবনা নেই কুবেরকে তিনতলা থেকে, তবুও ঐ বাড়ীরই বাসিন্দা নীলা বলে একটি মেয়ের সাথে কুবের একতলা ও দোতলার অন্য বাসিন্দাদের সাথে পরিচয় করে এইটা জানার জন্য যে ঐ দিন, ঐ সময়ে তাদের মধ্যে কেউ তিনতলায় গিয়েছিল কিনা। সেরকম যে হয়নি সেটা কুবের সেন ঐসকল বাসিন্দাদের সাথে কথা বলতে গিয়ে জানতে পারে আর সেইসকল দৃশ্য আর চরিত্রদের মধ্যে দিয়ে আত্মপরিচয়ের থীমটি যেন উপন্যাসটিতে প্রসারিত হয়। উপন্যাসটির শেষের আগের পরিচ্ছেদে দেখা যায় যে কুবের সেন পাশের কবরখানার মধ্যে চলে যায়, সেখানে দেখতে পায় দুটি লোককে যাদের পেশা হল কবর থেকে মৃতদেহ তুলে বাইরে সরবরাহ করা, দেখতে পায় বৃদ্ধ ভদ্রলোকটিকে যার সাথে বাড়ীটিতেই তার আলাপ ও কথা হয়েছিল, বৃদ্ধটির পেশা কবরের ওপর নাম উৎকীর্ণ করা এবং প্রায় সুররিয়াল ও সিনেম্যাটিক এই পরিচ্ছেদটিতে কুবের সেন একটি কবরের ডালা খুলে তার ভেতরে শুয়ে পড়তে থাকে, সেই কাজটি করার আগে সে দেখে যে বৃদ্ধ লোকটি একটি পাথরে লিখে ফেলেছেন কথাকটি 'এখানে ঘুমায় এক মানবহৃদয় যার জলে লেখা নাম', ডালা বন্ধ করে দেওয়ার আগের মুহুর্তে নীলার উপস্থিতি ঘটে সেখানে এবং নীলা তাকে আবার বাড়ীর ভেতরে নিয়ে যায়। উপন্যাসটির শেষ পরিচ্ছেদে তিনতলা থেকে ভেসে আসা এক সুরের টানে কুবের তিনতলায় যায়, একটি ঘরের ভেতর থেকে আলো আসতে থাকলে সে ঘরের ভেতরে ঢোকে, সেখানে একটি টেবিল, টেবিলের ওপারে একটি মানুষ, আলোর জন্য যার মুখ দেখা যায় না, শুধু দেখা যায় তার হাতের আঙুলে বড় একটি আংটি, তাকে তো এখানে ডাকা হয়েছে কুবের এরকম বললে লোকটি সেটি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে এবং কবরখানার মৃতদেহ পাচারকারী দু'জনের মধ্যে একজনকে ডাকলে, সে ডেকে আনা লোকটি কুবেরকে শরীরসুদ্ধ তুলে ধরে ঘর থেকে সিঁড়িতে ছুড়ে ফেলে দেয় ! উপন্যাসটি শেষ হয় যখন ঐ সিঁড়িতেই নীলার কোলে কুবেরের ফেটে যাওয়া মাথা, তিনতলায় তো কেউ থাকে না তাও কেন কুবের সেখানে গেছিল এই প্রশ্নের উত্তরে কুবের বলে যে "ওরাই সবাইকে ডাক দেয়, কখনও অনেক কথা বলে আমন্ত্রণ জানায় - আর শেষকালে বাতিল জিনিসের মত ছুঁড়ে ফেলে দেয়" অথচ কুবের এও বুঝতে পারে যে ঐ লোকটির আঙুলে যে আংটিটি আছে সে তো তার হারের লকেটের মতই !

    হয়ত উপন্যাসটিতে খুঁজে পাওয়া যাবে কাফকার লেখার হাড়গোড়, বিশেষ করে 'দ্য ক্যসল' উপন্যাসটির কথা মাথায় আসতে পারে, যেখানে ল্যান্ড সার্ভেয়র জোসেফ কে ঐ ক্যাসলে উপস্থিত হলেও প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যায় দুর্গটিতে ঢোকার অনুমতি পাওয়ার জন্য, ঐ উপন্যাসটিতে অতীতহীন জোসেফ কে আর এই উপন্যাসটিতে কুবের সেনের সমস্যা হয়ত কাছাকাছিই, নিজের পরিচয় খুঁজে পাওয়া। এও লক্ষ্য করি যে পুনরুত্থান উপন্যাসটি বই হয়ে প্রকাশের সময়ে উৎসর্গ করা হয়েছে ভূমেন্দ্র গুহকে এবং উৎসর্গপত্রটিতে ব্যবহার করা হয়েছে তাজেউশ রুজেভিচ নামে এক পোলিশ কবির কবিতার অংশ যেখানে বলা হয়েছে যে একটি লেখা হয়ে যাওয়ার পরে তার ভিত বা বনিয়াদ সরিয়ে নিতে যে ভিত বা বনিয়াদের ওপরে লেখাটি দাঁড়ায় কারণ ঐদুটি বস্তু লেখাটিকে আঁটকে রাখে কিন্তু সরিয়ে নিলে লেখাটির আস্ত গড়ন উঠে দাঁড়াবে আর উড়াল দেবে বাস্তবতার ওপরে আর পরিণামে সেই বাস্তবতার সাথেই তার ধাক্কা লাগবে ! দীর্ঘদিন পরেও লেখাটি বই আকারে প্রকাশ করলেও মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের যেন স্থির ধারণা ছিল লেখাটির অভিমুখ সম্বন্ধে, দৈনন্দিনের বাস্তবের থেকে দূরে থাকা এই লেখাটি - যদিও একটি লেখাকে বাস্তব হয়ে উঠতে বা কংক্রীট হয়ে উঠতে যা দরকার সেসব লেখাটিতে আছে, যথা দৃশ্য বা সংলাপ - অর্থের দিক দিয়ে যেন একটি অনির্ণীত ও রহস্যময় অবস্থানে থাকে কিন্তু দৈনন্দিনের সাথেই যেন তার সুড়ঙ্গলালিত এক সম্পর্ক থাকে (যেমন ঐ বাড়ীটির এক বাসিন্দা, অমলদা নামে চরিত্রটি বলেছিল, এরকম তো আজকাল কতই হচ্ছে যে একজন কেউ ভাবছে সে দোতলা থেকে তিনতলায় যাবে কিন্তু যেতে গিয়ে দেখছে যে যাওয়ার সিঁড়িটিই নেই), নিজের পরিচয় খোঁজার থীমটিও পরিণতি পেতে পারে বাস্তবতার সাথে সম্পর্কে এসেই। কিন্তু উপন্যাসটির নামের মধ্যে একটি আয়রনি আছে, পুনরুত্থান তো মৃত অবস্থা থেকে পুনর্জাগরণ, অন্ধকার থেকে উঠে আসা, লেখাটির প্রথম দিকে কুবের ভেবেওছিল যে এক অন্ধকার তাকে সব সময়ে ঘিরে আছে, হয়ত সেই অন্ধকার তার জন্ম ইতিহাসের সাথে যুক্ত, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তো সেই ইতিহাসের বা বাড়ীটির তিনতলা থেকে ডাক পাওয়ার রহস্যের নিরসন হয়না, কোন সম্ভাষণই তার কানে এসে পৌঁছল না এরকম এক সুসুপ্তির মধ্যে সে চলে গেল অথবা হয়ত মরেই গেল সে, জীবনের ঘিরে থাকা অন্ধকার থেকে মৃতের জগতে তাকে চলে যেতে হল, পুনর্জাগরণের আশা থাকলেও সেই আশা পরিণতি পায়না, পুনরুত্থানের পথটা, নিজেকে খোঁজার পথটা কেমন হতে পারে এবং শেষে সেই পথ আনন্দময় বা আশাময় পরিণতিতে পৌছবে না কিন্তু পুনরুত্থানের চেষ্টাটা থাকবে হঠাৎ করেই যেন ওপর থেকে সংকেত এসে গেলে, মানুষের জীবনটা যে এরকম হয়ে ওঠে, সেসবের বাস্তবিক বিবরণ যেন রয়ে গেছে উপন্যাসটিতে এবং ফলতঃ উপন্যাসটির নামের অনির্দিষ্টতাও।
     


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • বইপত্তর | ১৬ আগস্ট ২০২০ | ১৭৭৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ১৭ আগস্ট ২০২০ ১৫:৪৪96390
  • আচ্ছা উপন্যাসের কথা জানতাম না।
    জানলাম।
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 49.37.***.*** | ১৭ আগস্ট ২০২০ ১৯:২০96396
  • খুব ভালো লাগলো, থ্যাংক্স গুরুদেব। জানতাম ই না মানব বাবুর উপন্যাসের কথা। মানব বাবুর প্রবন্ধ ও কিছু অনালোচিত, আশা করা যায় ভবিষ্যতে সেটা হবে।

    বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
  • b | 14.139.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ১১:৪১96412
  • অন্য উপন্যাসটি?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন