এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  প্রবন্ধ

  • সর্বোচ্চ আদালত নাকি কফি শপ?

    Barnali Mukherji লেখকের গ্রাহক হোন
    প্রবন্ধ | ০৬ অক্টোবর ২০২৪ | ১০৯৭ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • সর্বোচ্চ আদালত নাকি কফি শপ?

    ৩০ শে সেপ্টেম্বর, সর্বোচ্চ আদালতে রঞ্জন গগৈ-এর বিরুদ্ধে দাখিল করা একটি পিআইএল-এর এজলাশ করছিলেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। সেই মামলা খারিজের আগে বিচারপতি চন্দ্রচূড় সাহেব যখন নিজের যুক্তি হাজির করছিলেন তখন  পিটিশনকারীর পক্ষের উকিল বার বার ‘ইয়া’ ‘ইয়া’ শব্দ ব্যবহার করে ‘হ্যাঁ’ বোঝাচ্ছিলেন। বার কয়েক শোনার পরে চন্দ্রচূড় সাহেবের ধৈর্যচ্যুতি ঘটে। তিনি ইয়া ইয়া উকিলকে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে এই কক্ষ কফি শপ নয়, এই কক্ষের ইজ্জত যাতে রক্ষা পায় তেমন শব্দই উকিলের ব্যবহার করা উচিৎ। তবে সেই উকিল প্রধান বিচারপতিকে প্রত্যুত্তরে বলেননি যে ৭৫ বছর স্বাধীনতা উত্তীর্ণ এই দেশের নাগরিক হিসেবে যে কক্ষে ‘মাই লর্ড’ শব্দের প্রয়োগ ঘটে সেখানে ‘ইয়া ইয়া’ নিতান্তই দেবশিশুর সংলাপ। উকিল বলেননি যে ‘মাই লর্ড’ সম্ভাষণ আদালত কক্ষকে কফি শপ নয় বরং বঙ্কিমচন্দ্রের আমলের ‘কমলাকান্তের দপ্তরে’ পরিণত করে। যাই হোক আজকের আলোচ্য, আরজিকর মামলায় আদালতের ইজ্জত কতটা রক্ষা পেল। আরজিকর ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় রয়েছে জুনিয়র ডাক্তার পক্ষ, তিলোত্তমার বাবা মা-এর পক্ষ, সিনিয়র ডাক্তার পক্ষ, সিবিআই পক্ষ আর পশ্চিমবঙ্গ সরকার পক্ষ। এই সুয়ো মোটো মামলায় ইজ্জতহানির নজির সৃষ্টি করেছে আদালত। যার কয়েকটা দিক উপস্থাপন করার চেষ্টা করলাম।

    1)   জুনিয়র ডাক্তারদের যতদিন ইচ্ছে হল তারা কর্মবিরোতি চালিয়ে গেলেন, সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশকে অমান্য করে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেনি সর্বোচ্চ আদালত। অন্যের অপেক্ষায় বসে না থেকে তারা নিজেরাই করতে পারতেন সেই মামলা। এই ন্যূনতম পদক্ষেপ না নিয়ে আদালত প্রমাণ করলো যে এটা স্রেফ একটা কফি শপ। আদালতের বিচারপতিদের ডাক্তার দেখাতে হয়, ফলে ডাক্তারদের ভয় পাবে না, এমন লোক কোথায়? তাহলে কি সম্মান-শ্রদ্ধার আবরণে সেই কংকালসার ভীতির শিকার হল সর্বোচ্চ আদালত? যেন বা মহামান্য আদালত অপেক্ষা করছিল রাজ্য সরকার কবে এসমা জারী করবে। কফি শপ অন্তত ভয় সন্ত্রাস মুক্ত, আড্ডার মেজাজের মুর্ত প্রতিচ্ছবি। সেটুকুও হতে পারলো না সর্বোচ্চ আদালত? 

    2) কফি শপ হলে তবু ইজ্জত রক্ষা পেত, আদালত যে নাটুকে রঙ্গমঞ্চে পরিণত হল! জুনিয়র ডাক্তারদের সিনিয়র উকিল শ্রীমতী ইন্দিরা জয়সিংহ একটা বন্ধ খাম বিচারপতিদের দিয়ে বললেন যে এতে কিছু নাম দেওয়া হল। সেগুলি নাকি গোপন!! বিচারপতিরাও অবলীলায় সেগুলো গোপনই রেখে দিলেন?!! কিন্তু হাজার, লক্ষ বার জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার, রাজনৈতিক নেতাদের মুখে সাত আট টা নাম জনগণ হরদম শুনছে। তার বাইরে আর কিই বা মণি মাণিক্য থাকতে পারে সেই বন্ধ খামে? টিভির বিতর্কসভাগুলিতে সেই সব নাম ঘণ্টা খানেক শুনে শুনে এখন সেগুলো আম জনতার ঠোঁটস্থ। ফলে এই খামখেয়ালি নাটুকেপনা স্রেফ তদন্তকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। নাকি আসলে তদন্তের মধ্য দিয়ে এখনো সঞ্জয় রাই ছাড়া আর কারুর বিরুদ্ধেই ধর্ষণ খুনে সহযোগিতার প্রমাণ সিবিআই পায়নি বলেই এই নাটুকে কার্যকলাপ চলছে তাদের?

    3)   যে পর্যায়ে এই তদন্ত হচ্ছে ঠিক সেই সময়ে গত তিন বছর ধরে দুর্নীতির অভিযোগে যাদের গ্রেপ্তার করেছিল ইডি এবং সি বি আই, তাদের মধ্যে বিজেপি বিরোধী দলের বেশ কিছু নেতা ছাড়া পেয়ে গেলেন। অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অনুব্রত মণ্ডল এবং সেন্থিল বালাজি যাদের মধ্যে অগ্রগণ্য। সুতরাং সিবিআই-ইডি তাদের বিরুদ্ধে যুৎসই কোনো প্রমাণ দাখিলই করতে পারেনি। অথচ বিগত তিন বছর কতই না লম্ফঝম্ফ দেখলাম শুনলাম আমরা। ‘কত ঢং-ই দেখালি মা, অম্বলে দিলি আদা’— গত তিন বছর ধরে চলা ক্ষ্যাপামি দেখলে বয়স্ক দিদা ঠাকুমারা এককালে এমন বাক্যই ব্যবহার করতেন। এই ধরনের লজ্জাজনক অভিজ্ঞতার পরে আদালতের দায় এবং দায়িত্ব বেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। অথচ যে তিন দিন বেঞ্চ বসলো, সেই তিন দিনই আদালত সিবিআই-কে প্রায় কিছুই বলেনি। আর জি কর কাণ্ডে যাতে আবার সেই ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য আদালতকে কোনো বিশেষ হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গেল না। অথচ আম জনতার যেন বা মনে হচ্ছে সিবিআই-এর নাট্যশালায়, আর জি কর কাণ্ডেও চিত্রনাট্য সেই একই। গোপনীয়তা যেন অজুহাত মাত্র। আদালতে তদন্ত চলাকালীন সব নথি পেশ করলে তবু বিষয়টা এগোয়, আর সবই গোপন বললে বাস্তবে তিন চার বছর অকারণে এবং অন্যায়ভাবে অভিযুক্ত জেল খেটে নেয়। আদালত কফি শপ নয় বরং হীরক রাজার আদালত হয়ে গেল যে!

    4) এই ধর্ষণ এবং হত্যা মামলায় তদন্তকারী সংস্থার প্রথম কাজ ছিল সেইদিন কি হয়েছিল তার একটা প্রাথমিক চিত্র হাজির করা। যা ছাড়া সবই মনগড়া। সিবি আই সম্পূর্ণ অন্ধকারে এমন দাবী করলে সেটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। প্রমাণ লোপাট করাই খুনীর ধর্ম আবার তার মধ্য থেকেই খুনী খুঁজে পাওয়া গোয়েন্দার ধর্ম। আর এতো ভারত শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা, সিবিআই! তাছাড়া সঞ্জয় রাই অম্লান বদনে নিজের দোষ স্বীকার করেছে। যদিও সেই স্বীকারোক্তি কোনো বড় প্রমাণ নয়, কিন্তু সিসিটিভি তে তাকে নির্দিষ্ট সময়ে দেখা গেছে, তার ডিএনএ মিলে গেছে, তারই সিমেন পাওয়া গেছে মৃতার শরীরে, জানা গেছে যে সেই রাতে সে বিভিন্ন যৌনপল্লী ঘুরে কোনো এক মহিলাকে ফোন করে আর জি করে পৌঁছায়। এবং সোজা সেখানেই পৌছায় যেখানে তিলোত্তমা ছিলেন। তারা কি পরস্পরকে চিনতো নাকি সম্পূর্ণ অচেনা ছিল তারা? সেই দিনের ঘটনা কি সেটা নিয়ে আজও কোনো ইঙ্গিত দেয়নি সিবিআই। আর বিচিত্র হল তিন বছরের নির্লজ্জ অভিজ্ঞতার পরও আদালতও তেমন কিছু জিজ্ঞাসা করেনি। কেন এখনো এত গোপনীয়তা? অনুব্রত মন্ডল বা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ঘটনার পর আম জনতার কিন্তু গোপনীয়তা দেখে মনে সন্দেহ জাগে যে আসলে নৃশংস খুন ও ধর্ষণের ঘটনার চেয়ে বেশী এখনো সিবি আই কিছু পায়নি, এর পেছনে পরিকল্পিত হত্যার কোনো রাজনৈতিক কাহিনি খুঁজে পায়নি সিবিআই অথচ তেমনটা সামনে আনার চাপ আছে তাদের উপর।

    5) আদালত কি নিজেই এক্তিয়ার বহির্ভুত কাজ করে ফেললো? আমরা জানি, সুওমোটো মামলায় আদালত যদি প্রমাণ পায় যে মামলার ফোকাস বা কেন্দ্রবিন্দু বদলে দিতে হবে, তারা তা পারে। এক্ষেত্রে যদি প্রমাণ হয় যে ধর্ষণ ও হত্যার মামলার ফোকাস বদলে যাচ্ছে দুর্নীতি ও তার ফাঁস হওয়া রুখতে স্বাস্থ্য দপ্তরের উচ্চ মহলের পরিকল্পিত হত্যায় তবে আদালত সেই মামলার সীমানা বিস্তৃত করতেই পারে। কিন্তু প্রশ্ন, বন্ধ খামের আদান প্রদানে সেই প্রমাণ হল কি? আমরা দেখলাম বন্ধ খাম, খামখেয়ালি ভাবে ধর্ষণ-খুন কেন্দ্রিক সুওমোটো মামলাকে অবলীলায় দুর্নীতির মামলায় বদলে দিল। কক্ষে যদি সিবিআই নিজেদের তদন্ত খুলে মেলে দেখাতো তবে অনেক কিছু খোলসা করার সুযোগ থাকতো। আদালত অন্তত অনেক প্রশ্ন করার সুযোগ পেত। ফোকাস পরিবর্তনের স্বচ্ছতা থাকতো। এ যেন কফিশপের কোণে বসে কিছু লোক গুজগুজ ফিসফিস করে গেল তিন দিন ধরে।

    6)  আদালত সিবিআই-এর কাছে জানতে চায়নি যে সিবি আই-র কাছে কি প্রমাণ আছে যে তিলোত্তমা একজন whistle blower ছিলেন? অর্থাৎ তিলোত্তমা কর্তৃপক্ষের এমন সব দুর্নীতির তথ্য ফাঁস করতে উদ্যত হয়েছিলেন যে তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হল সঞ্জয় রাই-কে সুপারি দিয়ে? মেয়েটির প্রেমিক দুর্নীতির কোনো হদিস জানতো না, মেয়েটির জুনিয়র জানতো না, মেয়েটির মা-ও এখনো সেরকম কোনো তথ্য দেননি। এমন বড় কোনো অপরাধ যার জন্য সে খুন পর্যন্ত হয়ে গেল, তা একবারও তিলোত্তমা আপনজনকে কেন জানালো না? মেয়েটির সাথে যার বিবাহ স্থির ছিল তার সাথে সিবিআই কতবার কথা বলেছে সেটা জানা খুব জরুরী ছিল। অথচ এই চরিত্রটির প্রায় অনুপস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগের। যদি সিবিআই কোনো প্রমাণ দেখাতে না পারে তবে স্রেফ মিডিয়া আর রাজনৈতিক দলগুলির সন্তুষ্টির জন্য কেন এখন সন্দীপ ঘোষদের প্রথমে দুর্নীতির দায়ে আর পরে প্রমাণ লোপাটের দায়ে গ্রেপ্তার করা হল? দুর্নীতি খুঁজলে সম্ভবত এমন কোনো দপ্তর নেই যেখানে তা পাওয়া যাবে না। আদালতের অভ্যন্তরেও পাওয়া যাবে এমন ঘুষ নামক দুষ্টকে। না, শুধু রঞ্জন গগৈদের পুনর্বাসনের মত বড়মাপের দুর্নীতির কথা বলছি না, একেবারে প্রাত্যহিক ঘুষের কথাই বলছি। মামলা মেনশন করতে হলেও আদালতে ঘুষ দিতে হয়, আর সেটা উকিল, ব্যারিষ্টার, জজরা একদম জানেন না সেটা হতে পারে না। 

    7)  গোয়েন্দা শ্রেষ্ঠ সিবিআই যদিও আরও কিছুদিন সময় চেয়েছে, কিন্তু তাই বলে তাদের জিজ্ঞাসা করা হবে না কেন শিয়ালদহ কোর্টে একের পর এক দায়হীন আচরণ করে যাচ্ছে সিবিআই? এমনই অবস্থা করেছিল তারা যে আর একটু হলেই সঞ্জয় রাই মুক্ত হয়ে যাচ্ছিল!! সেটা কি নিছক ক্যাবলামি নাকি সঞ্জয় রাই-কে নির্দোষ প্রমাণ করার কোনো ছল ছিল তাদের? দেখা যাচ্ছে সিপিআইএমদের ভাষ্য অনুযায়ী সঞ্জয় রাই স্রেফ ফাঁদে পড়া গরীব দেবশিশু। এদিকে আজও পর্যন্ত সিবিআই সন্দীপ ঘোষের বয়ান নিতে পারেনি, জানিয়েছেন সন্দীপ ঘোষের উকিল। আজও পর্যন্ত ধর্ষণের প্রত্যক্ষ মদতদাতা হিসেবে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করা গেল না। স্রেফ দুর্নীতি আর প্রমাণ লোপাট যা আদৌ কোনো বড় অভিযোগ নয়। যে কোনো নির্দোষ ব্যক্তিও এই অবস্থায় তথ্য প্রমাণ লোপাট করার মত কাজ করে ফেলে আর সন্দীপ ঘোষ তো ছিলেন হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ, সুরক্ষা বলয়ে। ক্ষীর ননী ভোগী আধিকারিকদের টেনশনপ্রবণতা, ভীরুতা আমরা জানি। একটু পান থেকে চুন খসলেই তাদের আতংকে পরিধান ময়লা হয়ে যায়। আর এটা তো জলজ্যান্ত খুন ও ধর্ষণ। চাপ কমাতে সে কাছের ডাক্তারদের ডেকে পরামর্শ চাইবে, ভিড় জমাবে এবং এমনকি কিছুটা এদিক ওদিক করলেও সেটা সে খুনী বলেই করেছে, এমন কোনো দাবী সিবিআইও করবে না। প্রমাণ লোপাট সচেতন এবং অজান্তে হয়। ফলে সিবিআই-ও এটা জানে যে প্রমাণ লোপাট এমন কিছু বড় অপরাধ নয়। আদালত জানে তো?

    8)  সর্বোচ্চ আদালতে ইন্দিরা জয়সিংহকে যেভাবে যা খুশী বলতে দেওয়া হল, তাতে মাঝে মধ্যে কৌস্তভ বাগচীর জন্য খারাপ লাগছিল আমাদের। একই অপরাধে সে বেচারা ধমক খেল, অথচ ইন্দিরা দেবী দিব্যি মেঠো বক্তৃতা চালিয়ে গেলেন। তিনি বললেন জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির ফলে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না, আবার চন্দ্রচূড়বাবু যখন তাদের কাজে ফিরতে বলছেন ম্যাডাম জয়সিংহ অবলীলায় বললেন যে ডাক্তারদের পক্ষে তিনি নাকি কথা দিতে পারবে না কক্ষে!! কারণটাও তিনি বললেন, তার মক্কেলদের নাকি জিবি-র (ডাক্তারদের জেনারাল বডি)-র অনুমোদন লাগবে!! এমন আস্পর্ধার কথা শুনেও বিচারপতি কিছুই বললেন না!! আদালত কেন তিরস্কার করে বলল না যে ডাক্তারদের জেনারাল বডির উপর ইন্দিরা দেবীর ফী নির্ভর করতে পারে্‌ কিন্তু তাদের উপর জনগণের জীবন নির্ভর করে না। কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত ডাক্তারদের জেনারাল বডি ঠিক করবে, এমন হঠকারী অবার্চীন কথা বিনা বাধায় রয়ে গেল আদালত কক্ষে, অথচ দাবী করা হয় যে সেটা কফি শপ নয়!!

    9)  ডাক্তারদের লিখিত দাবী ছিল যে তারা এক মাস ধরে এত বড় মাপের আন্দোলন করেছেন যে মমতা সরকার তাদের সাথে বসতে বাধ্য হয়েছে। ডাক্তারদের নিশ্চয়ই মনে হয়েছিল যে তারা কৃষক আন্দোলনের থেকেও বীরত্ব দেখিয়েছেন। সারা বছর ধরে যে কৃষক আন্দোলন হয়েছিল আর কয়েক শো প্রাণ চলে যাওয়ার পর মোদী সরকার তাদের দাবী মেনেছিলেন। আর আর জি কর আন্দোলনের ক্ষেত্রে মাত্র এক মাসের মাথাতেই আলোচনার দরজা খুলে গেল। সুতরাং দুই-এ দুই-এ চার করে ডাক্তারদের ধারণা যে তারা কৃষকদের থেকেও অনেক অনেক বড়, বড় বীর। একথা সত্য যে এরকম মনে হওয়ায় আদালতের কিছুই বলার থাকতে পারে না। কিন্তু আদালতের অন্তত এটুকু বোঝার কথা ছিল যে ইন্দিরা জয়সিংহের মক্কেলরা দিগ্‌বিদিগ জ্ঞানশূন্য নার্সিসিস্ট। সেক্ষেত্রে তাদের প্রত্যেক দাবীকেই অসম্ভব সন্দেহের চোখে দেখার কথা ছিল আদালতের। ইন্দিরা দেবীকে বেশ কিছু প্রশ্ন করার কথা ছিল আদালতের। যেমন পোস্ট মর্টেমে আপনার মক্কেলদের সন্তুষ্টির স্বাক্ষর ছিল সেটা তারা চেপে গেছিলেন কেন? তারা প্রথমে সন্তুষ্ট হলেও কবে থেকে টের পেলেন যে তারা সন্তুষ্ট নয়। কাদের সাথে কথা বলে তারা দৃঢ় সিদ্ধনাতে এলেন যে তারা সন্তুষ্ট নয়। আর জি করের ভেতরের খবর তারা আগে থেকেই জানত, তাহলে তারা অমন সন্তুষ্ট হলেন কেন? যেমন সেদিন সকালে শুধু সন্দীপ ঘোষ নয়, মৃতদেহের পাশে আপনার মক্কেলদের মধ্যে কে কে উপস্থিত ছিলে সেটা জানাতে হবে। যেমন, হাসপাতালের মধ্য যে সব অপরাধ চলে বলে জুনিয়রা অভিযোগ করেছে, যেগুলোর সঙ্গে উপরতলা যুক্ত বলে তারা জানিয়েছে, আর যুক্ত সঞ্জয় রাই-দের স্তরের লোকজন। তাহলে কি একেবারে উপর আর একেবারে নীচু তলা দায়ী? আর মাঝের অংশ অর্থাৎ জুনিয়ররা সাধু? এমন কত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার সুযোগ আদালতের ছিল, কিন্তু হয়নি। কফি শপে কি আর চ্যালেঞ্জ ছোঁড়া যায়? কে না জানে, সেখানে শুধু ইয়ার দোস্তদের নিয়ে সুখী জীবন অতিবাহিত করাই চলে। 

    10) নিজেদের সম্মান ধুলিস্যাৎ করে আজও  আদালত মিডিয়ার উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। অথচ গোপনীয়তার নাকি এতই বাড়াবাড়ি যে বন্ধ খাম-খেয়ালিপনা চলছে, বন্ধ খাম এই টেবিল থেকে ওই টেবিলে যাচ্ছে আসছে। এদিকে গোপনিয়তার মুখে ঝামা ঘষে মিডিয়ার ‘সূত্র’-র খবর রমরমিয়ে ব্যবসা করছে। এতই গোপনীয়তা যে সিবিআই আদালতে কিছুই জানাতে পারছে না, অথচ সিবিআই-র ভেতর থেকে আনন্দবাজারের কাছে খবর লিক হয়ে যাচ্ছে! আনন্দবাজারের শুভাশিষ ঘটক জেনে যাচ্ছেন যে ধর্ষণ অনেকে করেছিল। বর্তমান পত্রিকা জেনে যাচ্ছে যে এক বছর ধরেই সন্দীপ ঘোষের সাথে তিলোত্তমার ঝামেলা চলছে এবং সেটা নাকি সিবিআই সন্দীপ ঘোষের মেল (সন্দীপ ঘোষ মেলে কোনো তৃতীয় ব্যক্তিকে তিলোত্তমা সম্পর্কে গালাগাল দিয়েছে, তাকে মেরে ফেলার কথা বলেছেন ইত্যাদি) থেকে জেনেছে। আদালত তিলোত্তমার নাম প্রকাশ করা নিয়ে আপত্তি তুলতে যত সময় খরচ করলো, তার থেকে কম সময় খরচ করে মিডিয়ার উপর এই কড়া নির্দেশ দিতে পারতেন যে সূত্রের খবর বলে গোপনীয়তার সাড়ে সব্বনাশ করা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য হবে। শুভাশিষ ঘটককে কোর্ট তলব করবে, সূত্রের নাম বলতে তিনি বাধ্য থাকবেন। এই ধরনের কাজ বন্ধ না করে, যে গণ উন্মাদনা তৈরীতে আদালত সহায়ক হল, তদন্তের প্রক্রিয়া যে তাতে ব্যহত হচ্ছে সেটা কি তবে আদালত ভুলে গেলেন? আদালত কি কফি শপ হয়ে গেল?

    11) কিসের ভয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে মুষ্টিমেয় এক অংশ ভয়ানক অনমনীয়তা প্রদর্শন করেছে? আন্দোলনকে যে ব্যবসায়িক গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে তাদের কোন ক্ষতি হবে না আদালত অবমাননার চার্জ এলে, ক্ষতি হবে জুনিয়র ডাক্তারদের। তা সত্ত্বেও এত অনমনীয়তার পেছনে আসল রহস্য কি? এই প্রশ্নের উত্তর যদি আদালত খুঁজতো তবে হয়তো তদন্তের অগ্রগতি হতো। আদালতের কাছে স্পষ্ট হতো যে ডাক্তারদের নেতারা এক সুরে কথা বলার লোক নয়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলবেন, সর্বোচ্চ আদালত রাষ্ট্রের অঙ্গ, শাসক শ্রেণী দ্বারাই সে পরিচালিত হয়। ফলে তারা আদালতকে অবমাননা করে অন্যায় করেনি। সত্যিই কি বিষয়টা এমন নীতিনিষ্ঠ? নাকি এই অনমনীয়তার পিছনে কাজ করছে এক ভয়ানক আতংক। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে আছেন সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার ছাত্রদের মধ্যে সেই অংশ যারা নানা ধরনের কুকর্মের সাথে অবিরত যুক্ত থাকে। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হোস্টেলগুলোর মতোই। নেশা, র‍্যাগিং, পর্নো সেই অপরাধের হিমশৈলীর চূড়া মাত্র। বামফ্রন্ট আমলেই বেশ কিছু মৃত্যু, তথাকথিত আত্মহত্যা সামনে এসেছিল। এই জমানাতেও এন আর এসের ডাক্তারি ছাত্ররা একজন গরীব মানুষকে ছাদ থেকে ফেলে মেরে ফেলে। এবং তাদের পক্ষে সবথেকে বেশী সোচ্চার হয়েছিল একজন ডাক্তার, তৃণমূলের তৎকালীণ নেতা ডাক্তার শান্তনু সেন মহাশয়। এই প্রশ্ন ইন্দিরা দেবী এবং গ্রোভারকে করলে আদালতের সামনে খুলে যেত বহু বন্ধ দরজা। তাদের মনেও নিশ্চয়ই এই সন্দেহ জাগতো যে তাহলে কি এই আন্দোলন হল জুনিয়রদের একাংশের নিজেদের কুকর্ম ধামাচাপা দেওয়ার কৌশল মাত্র, যে অপকর্মগুলো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তিলোত্তমার মৃত্যুর জন্য দায়ী। অনমনীয় আন্দোলন করলে তারা সি বি আই-র জিজ্ঞাসাবাদ থেকে রক্ষা পাবেন, এমনটাই কি তাদের আশা? জনতার সহানুভূতি অন্তত পাবেন তারা, যে চাপের কাছে নতিস্বীকার করতে বাধ্য হবে আদালত! আগেই বলেছি আদালত জানতে চায়নি যে কেন জিজ্ঞাসাবাদের তালিকায় মেয়েটির প্রেমিকের নাম সর্বাগ্রে উঠে আসছে না। যার কাছে দুর্নীতির সব কথা মেয়েটির বলার কথা ছিল। যে সব জুনিয়র ডাক্তার আন্দোলন করছেন তাদের মধ্যে যারা তিলোত্তমার ঘনিষ্ঠ ছিল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল কি? কেন জুনিয়ররা বেমালুম কিছু তথ্য চেপে গেছিলেন, যেমন তারা পোস্ট মর্টেমে উপস্থিত ছিলেন।. মেয়েটির মৃত্যুর পর জুনিয়র ডাকাতারদের সুযোগ হয়েছিল স্থান পরিদর্শন করার, এবং পাশের ওই বাথরুমটিও ঘুরে দেখার, সন্দীপ ঘোষও হয়তো দায় সারতে ঝটপট জুনিয়রদের বহুদিনের দাবী মেনে চটজলদি জনপ্রিয় হতে চেয়েছিলেন। জানতে হবে তো যে আর কি কি তথ্য জুনিয়র ডাক্তারবাবুদের দল গোপন করছে কারণ আদালত কক্ষে তো আর কফি শপ নয়!

    12)  সিনিয়র ডাক্তারদের পক্ষেও একজন নামকরা উকিল দাঁড়িয়েছেন, ফলে আদালতের দিক থেকে তাঁর কাছে বেশ কিছু প্রশ্ন করা স্বাভাবিক ছিল। কেন একদিনের জন্যও ডাক্তার কুণাল সরকার, ডাক্তার নারায়ণ ব্যানার্জীদের মত সিনিয়ররা কর্মবিরতী করলেন না? কেন বেসরকারি হাসপাতালে একদিনও কর্মবিরতি হল না? আদালতের জানার কথা যে প্রাইভেট হাসপাতাল লবি ২০১৭ সাল থেকে মমতা ব্যানার্জীর উপর ভয়ানক ক্ষিপ্ত। স্বাস্থ্য সাথী তাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। উপরন্তু তাদের ডেকে জনসমক্ষে হুমকি দেওয়া হয়েছিল যে রুগীদের থেকে পয়সা লোটা যাবে না। দুই বছর আগেও তাদের প্রতিনিধি দল মমতা ব্যানার্জীর সাথে দেখা করতে গেছিল, কিন্তু তারা সন্তুষ্ট হয়েছেন এমন কোনো খবর নেই। ফলে তাদের দেওয়া বয়ান কতটা সত্য আর কতটা সরকারি হাসপাতালকে ধ্বংস করার জন্য এই দায়িত্ব আদালতের, কারণ তারাই সুয়ো মোটো মামলা করেছিলেন। সরকারি হাসপাতালের সাথে বেসরকারি হাসপাতালের বেশ কিছু ব্যবসায়িক যোগাযোগ থাকে। সেই নিয়ে পরিচালন সমিতির মধ্যে খাওয়াখাওয়া চলে। পরিচালন সমিতিকে ফলে আরও বেশী বেশী করে নিয়ন্ত্রণ করা বেসরকারিদের কাম্য। জনস্বাস্থ্যের এসব অ আ ক খ পাঠ নিশ্চয়ই দিগ্বজ মহামান্য বিচারপতিদের আছে। ফলে তারা এই সুয়ো মোটো মামলায়, যেখানে এখন বিষয় আর ধর্ষণ আর খুনে সীমিত নেই, দুর্নীতির জন্য গ্রেপ্তার হচ্ছেন অনেকে, তখন এই সব পিপিপি (প্রাইভেট পাব্লিক পার্টনারশিপ) দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলবেন এমনটা আশা করা যায় আদালতের কাছে। আজ আন্দোলনকে ব্যবহার করে যদি বাংলাদেশের কায়দায় সরকার ফেলা যায়, অথবা নিদেনপক্ষে বেসরকারি লবির সাথে একটা সমঝোতায় আসতে মমতা ব্যানার্জীকে বাধ্য করা যায়, সেই উদ্দেশ্যের হদিস খোঁজার চেষ্টাও করলো না আদালত কক্ষ এটাই দুর্ভাগ্যের। কফি শপের কোনো দায় দায়িত্ব থাকে না অবশ্য। নিখাদ আড্ডাঢ় স্থান সেটা।  

    13)  আদালত দুশ্চিন্তায় ভুগেছে জুনিয়রদের সুরক্ষা নিয়ে। আদালত বার বার প্রশ্ন করছে যে কেন রাজ্য সরকার এখনো ডাক্তারদের জন্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করেনি? যদিও বহু টাকা ধার্য হয়েছে সুরক্ষার জন্য, যদিও কর্মী নিযুক্ত হয়েছে জুনিয়রদের সুরক্ষার জন্য কিন্তু ডাক্তারদের নিত্যনতুন আবদারকে স্নেহ মিশ্রিত প্রশ্রয় দিয়ে গেছে আদালত। আদালত কি বুঝতে পারেনি যে জুনিয়র ডাক্তারবৃন্দ এখন রুগীদের থেকে সুরক্ষা চাইছে। জনতার টাকায় ডিগ্রী পেয়ে তারা এখন আর জনতার ঝামেলা নিতে রাজী নয়। রুগীর বাড়ির লোককে আর হাসপাতালে ঢুকতে দেবেন না তারা? রাস্তায় বেরোলেই যে কোনো লোকের মার খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যে কোনো হিউম্যান রিলেশনসের কর্মীর মার খাওয়ার সম্ভাবনা তো থাকেই। সেই জন্যই আছে আইন, পুলিশ। তার বদলে চব্বিশ ঘণ্টা বডি গার্ড চাইছেন তারা। কার থেকে সুরক্ষা? অপরাধীদের থেকে নাকি রুগীদের থেকে? আদালত এই সব অসভ্যতা মেনে নিল অনায়াসে? অবশ্য শ্রেণী একেই বলে। সর্বোচ্চ আদালতের পরিবারের লোক নিশ্চয়ই হাসপাতালে যায় না, আর তাদেরই বাড়ির লোকই ডাক্তারও বটে। এমনিতেই ডাক্তারদের চটাতে কেই বা চাইবে, তার উপর এরা তো জজদের ঘরের লোক। ফলে সুরক্ষার এমন বিচিত্র দাবিগুলিকে প্রশ্রয় দিয়ে আদালত কক্ষ শুধু কফি শপ নয়, একেবারে আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে পিকনিক হয়ে গেল না তো?
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • প্রবন্ধ | ০৬ অক্টোবর ২০২৪ | ১০৯৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপ | 2402:3a80:1968:3728:578:5634:1232:***:*** | ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:১৪538284
  • আপনি আরো মন দিয়ে চটি চাটতে থাকুন!
  • রঞ্জন | 2402:e280:3d02:20a:279e:51b3:247:***:*** | ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:২৪538285
  • প্রবাদটি: 
     কত রঙ্গ দেখালি খেঁদি,  অম্বলে দিলি আদা!
     
    সমর সেনের প্রিয় লাইন।
  • রঞ্জন | 2402:e280:3d02:20a:279e:51b3:247:***:*** | ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:২৬538286
  • দীপ,
    ওনাকে গালাগাল না দিয়ে পয়েন্ট ধরে ধরে বক্তব্যের কাউন্টার করুন না!
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:dd1a:88e1:ef04:***:*** | ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৪১538287
  • সৈকতবাবুর ভিডিওটা দেখছিলাম (
    )। 
     
    এখনও অবধি সিবিআই প্রধান অভিযুক্তকে প্রায় জামিন পাইয়ে দিচ্ছিল, প্রমান লোপাট কে করেছে সে নিয়ে কোন সন্তোষজনক উত্তর দেয় নি, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও সন্দীপ ঘোষের জবানবন্দী নেয় নি, আর তারপর সন্দীপ ঘোষকে নিজেদের ফেফাজতেও নেয় নি। আর সিবিআই এর কে যেন এক ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ আছে, তিনি আন্দামান চলে গেছিলেন, এখনও ফেরত এসেছেন কিনা জানা যায়নি। এই হলো সিবিআই এর তদন্ত laugh
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:dd1a:88e1:ef04:***:*** | ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৪৪538288
  • তবে কিনা, খবর পড়ে মনে হচ্ছে জুনিয়র ডাক্তাররাও বোধায় এখন আর সিবিআই তদন্ত নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন। ওনাদের আন্দোলন বোধায় এখন ওনাদের নিজেদের অ্যাজেন্ডাতেই চলছে। 
  • অরুপ শংকর মৈত্র | 103.249.***.*** | ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:১০538289
  • কুমির পাড়া তে তিনু দের থেকে মাস মাইনে এসেছে?
  • রমেন্দ্রনাথ শীল | 2405:8100:8000:5ca1::95:***:*** | ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:১৭538290
  • ফেবু সিপিএম চোরাই আইএসবিএন বেছতে পারল? পয়সাকড়ি পেল?
  • ট্রোলিং এর মান ঠিক করুন | 2409:40e6:10:c183:c498:e4ff:fec4:***:*** | ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ০১:১৪538291
  • সক পাপেটিং করে ট্রোল করতে হলে একটু খেয়াল রাখতেও হয়, তাই না? 
    অরূপবাবু নিশ্চয় নিজের নামের বানান ভুল করে অরুপ লিখবেন না।
     
    ফেসবুক সিপিএমের ট্রোলার বাহিনি একটু ঠিকঠাক জ্ঞানসম্পন্ন ট্রোল পাঠান। 
  • র২হ | 2607:fb90:e3b8:5172:d8f6:7355:50fd:***:*** | ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ০১:৫৭538292
  • ও কিছু না। কুমিরপাড়া গুরুর 'পুরনো' লোকেদের লব্জ। গুরুর ফান্ড কর্মপদ্ধতি স্টল বিষয়ক স্ট্রাগল সবই যাঁদের জানা।
     
    সহি বামপন্থীদের সাম্যবাদের লড়াইয়ে গুরু এক গর্জনশীল হাওয়া কল। 
  • সৃষ্টিছাড়া | 103.85.***.*** | ০৮ অক্টোবর ২০২৪ ২২:৩০538329
  • চটি চুইংগাম 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন