এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • সীতারাম ইয়েচুরি 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৩৭৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • সীতারাম ইয়েচুরিকে ​​​​​​​প্রথম ​​​​​​​দেখি, ​​​​​​​খুব ​​​​​​​নিশ্চিত নই যদিও, ​​​​​​​১৯৮২ ​​​​​​​সাল ​​​​​​​নাগাদ। ​​​​​​​দিল্লিতে বেড়াতে ​​​​​​​গিয়ে ​​​​​​​ছিলাম ​​​​​​​এক ​​​​​​​মাস, ​​​​​​​তখন ​​​​​​​আমাকে ​​​​​​​প্রায় ​​​​​​​তীর্থ দর্শনের ​​​​​​​মতো সিপিএমের ​​​​​​​সেন্ট্রাল ​​​​​​​কমিটির ​​​​​​​আপিস দেখানো ​​​​​​​হয়েছিল। ​​​​​​​সেই ​​​​​​​অফিসটা ​​​​​​​ছিল রাজেন্দ্রপ্রসাদ ​​​​​​​রোডের ​​​​​​​ধারেকাছে, ​​​​​​​দেখতে ​​​​​​​যাবার ​​​​​​​সময় ​​​​​​​আমার ​​​​​​​হাতে ​​​​​​​ছিল ​​​​​​​একটা ​​​​​​​ক্রিকেট ​​​​​​​ব্যাট, ​​​​​​​খেলতে খেলতেই চলে গিয়েছিলাম, কারণ ​​​​​​​যেখানে ​​​​​​​থাকতাম, ​​​​​​​তার ​​​​​​​থেকে ​​​​​​​হেঁটে ​​​​​​​মিনিট ​​​​​​​দুই। ব্যাট ​​​​​​​দেখে গোটা ​​​​​​​কেন্দ্রীয় ​​​​​​​কমিটির অফিস ​​​​​​​খুব ​​​​​​​উৎসাহিত হয়ে ​​​​​​​পড়ে, তার পর ​​​​​​​থেকে ​​​​​​​মাঝে-মধ্যেই ​​​​​​​হানা ​​​​​​​দিতাম। ​​​​​​​কোনো ​​​​​​​কোনো ​​​​​​​দিন অনেক প্লেয়ার ​​​​​​​জুটতো, কোনো ​​​​​​​কোনোদিন ​​​​​​​জুটতনা। নিরাপত্তার দায়িত্বে যিনি ছিলেন, ​​​​​​​তিনিই ​​​​​​​সম্ভাব্য খেলোয়াড়দের ​​​​​​​ডাকাডাকি ​​​​​​​করতেন। এরকম ​​​​​​​একজন ​​​​​​​খেলোয়াড়ের ​​​​​​​কথা ​​​​​​​মনে ​​​​​​​করতে ​​​​​​​পারি, ​​​​​​​যার ​​​​​​​ঝাঁকড়া চুল, ​​​​​​​সবই ​​​​​​​কালো। ​​​​​​​ইয়েচুরিই ​​​​​​​কিনা ​​​​​​​বলা ​​​​​​​শক্ত, ​​​​​​​নামের ​​​​​​​ব্যাপারটা ​​​​​​​জানতামই ​​​​​​​না, ​​​​​​​উনি ​​​​​​​কেন্দ্রীয় ​​​​​​​কমিটির ​​​​​​​অফিসে ​​​​​​​অতদিন ​​​​​​​আগে ​​​​​​​কী ​​​​​​​করছিলেন ​​​​​​​তাও ​​​​​​​জানিনা, ​​​​​​​তবে ​​​​​​​যদি ​​​​​​​উনিই ​​​​​​​তিনি ​​​​​​​হন, ​​​​​​​তো ​​​​​​খুব ​​​​​​​খারাপ ​​​​​​​বল ​​​​​​​করতেন। ​​​​​​​কেমন ​​​​​​​ব্যাট ​​​​​​​করতেন ​​​​​​​জানিনা, ​​​​​​​কারণ ​​​​​​​সিপিএমের ​​​​​​​কেন্দ্রীয় ​​​​​​​কমিটির ​​​​​​​কাউকে ​​​​​​​ব্যাট ​​​​​​​করতে ​​​​​​​দিইনি, ​​​​​​​আমিই ​​​​​​​করতাম। 

    তখন জ্যোতি বসু আর ইন্দিরা গান্ধি ছাড়া কোনো নেতার নাম জানতামনা। তারপর তো ইন্দিরা গান্ধি মারা গেলেন। রাজীব হলেন প্রধানমন্ত্রী। হামে-সোচনা-হ্যায়, হামে-দেখনা-হ্যায়, এই ছিল তাঁর বিখ্যাত বুলি। পাঁচ বছর রাজত্বের শেষে এল ১৯৮৯। হেরে গেলেন রাজীব। প্রণয় রায়-বিনোদ দুয়ার অনুষ্ঠানে লাইভ দেখা গেল সেসব। ভারতে প্রথম। সেই অনুষ্ঠানেই দ্বিতীয় বা হয়তো প্রথমবার দেখলাম ইয়েচুরিকে। সেই প্রথম সরকার তৈরির ঘোষণা প্রেসের বদলে টিভিতে হল। বাম আর ডান দুদিক থেকে ভিপি সিং সরকারকে সমর্থন করবে জানিয়ে দিল। এইসব হল, আর আমি দেখলাম ইয়েচুরিকে। কী বাচনভঙ্গী, চিন্তার কী ক্ল্যারিটি। নিজেদের সিদ্ধান্ত এবং তার পিছনের কারণ এক মিনিটের বক্তব্যে  নিখুঁত ভাবে বলে দিচ্ছেন। এবং সেটাও একদম ঘরোয়া কায়দায়। তখনও টিভিতে চেঁচামেচির যুগ আসেনি। 

    এর পরেও বহুবার ইয়েচুরিকে দেখেছি। টিভিতে। বক্তৃতা তেমন ভালো লাগেনি। কিন্তু টিভির সামনে দর্শককে সম্বোধন করে বলার যে পদ্ধতি, না চেঁচিয়ে, কিন্তু স্পষ্ট, খোলামেলা এবং যৌক্তিক,  সেই মুগ্ধতা যায়নি। ভারতে অনেক বাগ্মী এসেছেন, তাঁদের কারো বক্তৃতা শুনেছি, কারো শুনিনি। কিন্তু যাদের দেখেছি, তাদের মধ্যে ইয়েচুরির তুল্য প্রায় কাউকে দেখিনি। একজনই তুলনীয়, যোগেন্দ্র যাদব। তাঁর সংস্কৃত মেশানো হিন্দি একেবারেই পছন্দ করিনা, কিন্তু ইংরিজিটা প্রায় একই রকম। বিশেষ করে আম-আদমী-পার্টির থেকে বহিষ্কৃত হয়ে একটা বক্তৃতা দিয়েছিলেন, ক্লাসরুম লেকচার টাইপের, আহা। এই দুজন, ভারতবর্ষে আমার দেখা শ্রেষ্ঠ দুই বাগ্মী। যথারীতি, চিল্লামিল্লির দুনিয়ায় বিশেষ মর্যাদা পাননি। 

    ইয়েচুরি আরেকটা ব্যাপারে এগিয়ে থাকবেন। বাংলায় সাংবাদিক সম্মেলন করতে এসে তিনি বাংলাই বলতেন। এখনকার জেএনইউ নেতাদের দেখি, জেএনইউ তে তো বটেই, পারলে বাংলায় এসেও  হিন্দি বলেন, স্লোগান দেন। ইয়েচুরি পুরোনো স্কুলের ছাত্র, তখনও জেএনইউ গোবলয়ের এবং একমাত্র গোবলয়েরই রাজধানী হয়ে যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের মর্ম উনি বুঝতেন। ওঁর শেষ যে সাংবাদিক সম্মেলনটা দেখলাম, সেটা বাংলায়, সেটায় ওঁর পাশে ছিলেন সেলিম।  কী  নিয়ে কথা হয়েছিল, সেটা গুরুত্বপূর্ণ না, ইয়েচুরি সাংবাদিকদের সম্বোধন করলেন, সেই অননুকরণীয় বাচনভঙ্গীতে, বিচ্ছিরি উচ্চারণে, প্রায়-বিশুদ্ধ বাংলায়। এক-আধটা উত্তর ইংরিজিতে দিতে হলে ক্ষমা চেয়ে নিলেন। আর উল্টোদিকের সাংবাদিকরা, উচ্চারণ শুনলেই বোঝা যায় বিশুদ্ধ বাঙালি, তাঁকে প্রশ্ন করে গেলেন বিজাতীয় ভাষায়। কেউ ইংরিজিতে। কারো ইংরিজিজ্ঞান কম হওয়ায় হিন্দিতে। 

    ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র একটা নির্দিষ্ট দিকে গড়াচ্ছে। নিচের দিকেই বলা যায়। সমস্ত ঠিক-ভুলের পরেও, দুচারজনই এই গড়িয়ে যাওয়াটা আটকাতে চেয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রহরী ছিলেন। একজন মারা গেলেন। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৩৭৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Suvasri Roy | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৫৮537573
  • অকপট শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ৷ লেখাটা যথাযথ তবে ওঁর জীবনাবসান ধাক্কা দেওয়ার মতো একটা খবর। সীতারাম ইয়েচুরির পরিবারকে সমবেদনা জানাই৷ 
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৫:০০537575
  • "সমস্ত ঠিক-ভুলের পরেও, দুচারজনই এই গড়িয়ে যাওয়াটা আটকাতে চেয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রহরী ছিলেন। একজন মারা গেলেন।" - বড়ই অসময়ে এই চলে যাওয়া। 
  • Subhro Bhattacharyya | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:২৫537657
  • আমার ওনাকে দেখা শুধুই টেলিভিশন এর পর্দায় আর খবরের কাগজের পাতায়। নিঃসন্দেহে একজন অত্যন্ত সুবক্তা, এবং সুন্দর যুক্তিসঙ্গত ভাবে নিজের বক্তব্য রাখতে পারতেন। সিপিএম দলের মধ্যেও কথা শুনে মনে হত একটু হলেও অন্যরকম মত পোষণ করেন। অসৎ ছিলেন না, বা এখনকার অন্য অনেক নেতাদের মত ধান্দাবাজ ছিলেন না, এটা নিশ্চিত। যে কারনেই এই  " চিল্লামিল্লির রাজনীতিতে "  খুব বেশি ঠেক পাননি।
  • বিপ্লব রহমান | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:২৪537664
  • এরকম কত শত দেশপ্রেমিক নীরবে চলে যান; ভুল হোক, শুদ্ধ হোক, তারা অসৎ নন, আদর্শ ও দেশপ্রেমে অনড়! 
     
    ইয়েচুরি তাও ক্ষমতাসীন দলের ছিলেন, মিডিয়া তাকে চিনতো। কিন্তু যারা আরও নিভৃত আত্মত্যাগী, সেই সব বিপ্লবীদের কথা আমরা হয়তো আর জানবোই না!...
  • aranya | 2601:84:4600:5410:71e7:ddd9:2023:***:*** | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০০:৩০537674
  • 'ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র একটা নির্দিষ্ট দিকে গড়াচ্ছে। নিচের দিকেই বলা যায়। সমস্ত ঠিক-ভুলের পরেও, দুচারজনই এই গড়িয়ে যাওয়াটা আটকাতে চেয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রহরী ছিলেন। একজন মারা গেলেন'
    - খুবই সত্য কথা। ভাল লাগল, এই প্রতিবেদন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন