ভাবছিলাম আজকে আর লিখব না। পরিস্থিতি কোনদিকে যায় তা আগে একটু পর্যবেক্ষণ করি। কিন্তু কয়েকটা ঘটনা ঘটে যাওয়ায় মনে হল লিখে রাখি। পরে প্রসঙ্গ হারিয়ে যেতে পারে। এই বঙ্গ দেশে এখন রঙ্গের অভাব নাই। তাই আমার লেখারও বিষয়ের অভাব হচ্ছে না।
আজকের মানে শুক্রবারের ঘটনা। আমরা বেশ কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছি। একজন খুব খুব বাজে লোক, বিএনপির আমলে একবার আর্মি নামিয়েছিল সন্ত্রাস দমনের জন্য। নাম দিছিল অপারেশন ক্লিন হার্ট। সেই সময় এই লোক আর্মির হাতে মারাই গেছিল প্রায়, কারণ সে করত হিরোইনের ব্যবসা! এই লোক সবার সামনে খুব হম্বিতম্বি করছে। এরে এই করা উচিত, ওরে স্কুল থেকে তারিয়ে দেওয়া উচিত, অমুকের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া উচিত এমন নানা কথা বলছেন। এখন এই সময়ে কিছু বলার উপায় নাই। আমরা চুপ করে শুনছি। একজন খুব ভালো প্রধান শিক্ষক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, সামাজিক নানা কাজ করেন। প্রাসঙ্গিক ভাবেই আওয়ামীলীগ ঘেঁষা। একে ওই এলাকার একটা স্কুল আছে ওইটা থেকে তারাতে হবে। কেউই পছন্দ করছে না তার এই কথা কিন্তু কিছু বলারও নাই। কে বলে বিপদ টেনে আনবে? তাই আমরা সবাই চুপ করে শুনছি। এই সময় ওই এলাকারই একজন মুক্তিযোদ্ধা আসলেন সেখানে। আমরা দাঁড়িয়ে কথা বলছি দেখে তিনিও দাঁড়ালেন। কী নিয়ে আলাপ বুঝতে চাচ্ছেন। যদিও এখন সবাই দেশ নিয়েই কথা বলে, রাজনীতিই এখন প্রথম ও শেষ কথা। তিনি দাঁড়িয়ে বুঝার চেষ্টা করলেন। এর মধ্যে ওই লোক আবার উনাকেও বলা শুরু করল। কাকে ধরবে, কাকে মারবে ইত্যাদি। মুক্তিযোদ্ধা একটু দেখলেন উনাকে। বললেন, যখন যুদ্ধ হয় এই দেশে তখন ওই যে বাড়ি দেখতেছ, অমুকের বাড়ি ওইটা, ওইটা পুড়ায় দিছিল, এরপরে আরও কয়েজনের নাম বললেন যে গুলা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপরে উনাকে ধরলেন, বললেন, তোমার বাপ ছিল রাজাকার, আমরা কিন্তু তোমাদের বাড়ি পুড়ায় দেই নাই! ওই লোকের বাবা রাজাকার ছিল এইটা আমরাও জানতাম। কিন্তু ওইটা আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব ছিল না। আমাদের এইটা মাথাতেই নাই। কিন্তু এমন একজন বললেন যাকে জবাব দেওয়ার কোন সুযোগ নাই! আসলে কোন উত্তরই হয় না আর! জোঁকের মুখে নুন! একটা শব্দ না করে তিনি চলে গেলেন সেখান থেকে। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম মুক্তিযোদ্ধার দিকে। কতখানি নির্ভীক হলে এমন করে বলা সম্ভব। এখনও এমন সাহস!
প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস প্রথমদিন গিয়েছিলেন সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে। মুক্তিযুদ্ধে শহীদের প্রতি সম্মান জানাতে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এইটা বাংলাদেশের খুব পরিচিত ঘটনা। সব সময়ই সব সরকার এইটা করে আসছে। এমন কি বিএনপি যে জামাতকে নিয়ে সরকার গঠন করেছিল সেই সময় চিহ্নিত রাজাকারেরাও সাভার স্মৃতিসৌধে গিয়েছিল। এইটা কেন লিখছি? লিখছি এরপরে বেশ কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখার দুর্ভাগ্য হল আমার। আমি ফেসবুকে নাই, একজন দেখাল যে দেখো, এইটা তোমার দেখা দরকার। শিবিরের কর্মীরা আহাজারি শুরু করে দিছে! কেন স্মৃতিসৌধে যাবে ইউনুস! পৌত্তলিক আচার কেন করবে! এই জন্য আসছেন তিনি? এমন নানা কথা! এদেরকে যে সহ্য করা মুশকিল এইটা এমনে এমনেই না। এদের সহোদর বিএনপির আলাপও একই সুরে। সামনে পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে তা সম্ভবত আঁচ করা যাচ্ছে এখন।
ইউনুস সাহেব কালকে রংপুর যাবেন আবু সাইদের বাড়িতে। বেশ ভালো। তবে এইটাই সবচেয়ে জরুরি কাজ এখনের? জানি না। হয়ত তাই। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে না। যে দেশে এখন পর্যন্ত কোন একটা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নাই, আইনের শাসন নাই সেখানে সম্ভবত সবার আগের কাজ হচ্ছে আইনের শাসন ফিরিয়ে নিয়া আসা। এখনও যদি কেউ কাওকে ধরে মেরে ফেলে, যদি ভুঁড়ি ফাঁসিয়ে দেয় তাহলে কিচ্ছু করার নাই। কে ধরবে? সেনা বাহিনী? তাদেরকে খবর দিলে তারা আসেন, তাও সব জায়গায় যাওয়ার সময় হয় না। এইটা তো স্বাভাবিক না, তাই না? আগে এইটা ঠিক করা জরুরি না?
আমাদের এদিকে আজকে একজনের সাথে কথা হল। শেরপুর ধানের জন্য বিখ্যাত, সেই ভাবে চালের জন্যও প্রসিদ্ধ। বেশ বড় এক চাল মিলের ম্যানেজারের সাথে কথা হল। এই মিলের মালিক হিন্দু, কর্মচারিরাও হিন্দু আছে অনেক। আমি যে ম্যানেজারের সাথে কথা বলছি তিনিও হিন্দু। তিনি যে আতঙ্কিত অবস্থায় আছেন দেখেই বুঝা যাচ্ছিল। তার উপরে এই লোকের বাড়িও শেরপুর না। তিনি এতদিন শান্ত শেরপুর শহর দেখে এসেছেন। বিএনপি করে এমন লোকের সাথে তারও পরিচয় আছে। এরা হুট করেই এমন ভিন্ন চেহারা কীভাবে নিয়ে ফেলল কিছুতেই বুঝতে পারছেন না। আমি বললাম ভাই, ২০০১ থেকে ০৬ এই সময়টাতে শেরপুরে বিএনপির ছেলেরা যে কী করছে তা বলে বুঝানো সম্ভব না। পরে বললাম আপনাদের অবস্থা কি? বলল প্রথম দিনেই গদি থেকে সব লুট করে নিয়ে গেছে। গদি হচ্ছে চালের ব্যবসার যে অফিস ওইটা। দশ লাখের মতো ছিল নিয়ে গেছে। বললাম এখন? মজার কথা বললেন। এখন পাহারার ব্যবস্থা করেছেন মিল। পাহারা দিচ্ছে কে? যাদের জন্য ভয় তারাই পাহারা দিচ্ছে! বিনিময়ে টাকা নিচ্ছে! এ ভালো বুদ্ধি না বললাম ওরা টাকা নিয়ে বাড়িতে গেলেই তো পারে, রাত জেগে পাহারার অভিনয় করে কেন? এইটার উত্তর হচ্ছে অন্য পার্টি যদি এসে পরে! দুর্গা রাইস মিল হচ্ছে শেরেপুরের মধ্যে অন্যতম বড় মিল। এখানের প্রতি অনেকেরই হয়ত নজর আছে। ওরা ওইটাও পাহারা দিচ্ছে। নিজেদের কামাই নিশ্চিত করছে আবার অন্য কেউ এই কামাইয়ে যেন ভাগ না বসাতে পারে সেই ব্যবস্থাও করছে! দৈনিক কত দিতে হয়? উত্তর দিলেন না, হাসলেন। বললেন টাকা তো নেয়ই আবার সবার জন্য খাবারের ব্যবস্থাও করতে হয়! আমাদেরকে কালকে দাওয়াত দিয়েছেন। বললেন রান্না হয়ই, কালকে আপনারা আসেন, খাবেন! বলছি যাব, দেখা যাক এখন!
চালের বড় বড় গুদাম আছে এখানে। কোন কথা নাই, লোক এসে গুদাম খুলে নিজের মনে করে ট্রলি ভাড়া করে চাল নিয়ে চলে যাচ্ছে। একটা গুদাম থেকে ৮০০ আতপ চালের অবস্থা নিয়ে গেছে! কম করে ধরলেও চল্লিশ লাখ টাকার চাল চুরি করেছে! এমন প্রায় প্রতি মিলেই। দিঘারপার বলে একটা জায়গা আছে, ওইদিকের প্রায় সব মিলই খালি করে ফেলেহে। খুব অল্প কিছু মিল মালিক টাকা দিয়ে মেনেজ করতে পেরেছে। আবার আরেক কিচ্ছাও শুনলাম, এক গুদামে কয়েকজনের চাল আছে, একজন কোন ভাবে মিলঝিল করে ফেলছে। সে বলে দিছে উনার বস্তায় কী লেখা আছে! বিপ্লব লেখা সব চালের বস্তা আছে কিন্তু শেখরের একটা চালের বস্তাও নাই! কী একটা অবস্থা। বলতে খারাপ লাগছে কিন্তু সত্য হচ্ছে হিন্দু মালিকদের উপরেই খড়গটা বেশি পড়েছে। সবাইই লুটের শিকার হচ্ছে এইটা সত্য। এখানে ধর্মীয় আবরণ দেওয়া ঠিক হবে না, এইটাই ভাবছিলাম আমি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে না, সবাই হলেও আলাদা করে হিন্দুদের কথা বলতেই হচ্ছে।
শুক্রবার শাহবাগে হিন্দুরা সমবেত হয়েছিল। কিছু ভিডিও দেখে খুব কষ্ট লাগল। এই দেশে জন্ম নিয়েছি এখানেই মরতে চাই, আমাদের উপড়ে অত্যাচার বন্ধ করেন! এইটা একটা সভ্য দেশে কেউ বলবে! দেশে মরার অধিকার চাচ্ছে। ভয় পেয়ে যেন পালাতে না হয়! বর্বর রয়ে গেলাম আমরা। আমি ভাবছি হয়ত তেমন কিছু হচ্ছে না। যেমন হবে ভেবেছিলাম। এখন দেখলাম যা হয়েছে তাও কম না। ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়ের দিকে মানুষ সীমান্তের দিকে ছুটছে! এই সময়ে এসেও যদি জীবন ভয়ে সীমান্ত পারি দিতে হয় তাহলে স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ সব একেবারে জলে, কিচ্ছু মানে নাই আর। আমরা আবার ফিরে গেছি পঞ্চাশ বছর আগের বাংলাদেশ।
গত বৃহস্পতিবার জামাতের আমির ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়েছিলেন। ঢাকা মহানগর সর্বজনীন পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার রায় জামাতের আমিরের সাথে কথা বলেন। যতখানি বলা দরকার সবই বলেছেন তিনি। আসছে এই জন্য ধন্যবাদও দিয়েছেন। জামাত নিজের গায়ের গন্ধ দূর করার চেষ্টা করছে মনে হচ্ছে। কিন্তু যাদের রক্তে সমস্যা তাদের জন্য এই গন্ধ দূর করা কঠিনই।
উপদেষ্টাদের মধ্যে দুইজন ছাত্রকে নেওয়া হয়েছে। একজনকে দেওয়া হয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আরেকজন তথ্য ও প্রযুক্তি। এখন বলা হচ্ছে আন্দোলনকারীদের ভিতর থেকে আরও ছাত্রদেরকে নেওয়া হবে, এরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সহকারী উপদেষ্টা হিসেবে থাকবে! এখন আমি কইলেন তো কবেন কইল! তাই কিছুই কইলাম না আর।
সৈয়দা রেজওয়ানা হোসেন বাংলাদেশের যে হত্যাকাণ্ড নিয়ে সবচেয়ে বেশি তোলপাড় হয়েছে, এবং এখন পর্যন্ত যা এক রহস্য সেই সাগর রুনি হত্যাকাণ্ডের রুনির বোন! এইটা আমি জানতাম না। এখন জানলাম। সাগর রুনির ছেলে খালামনিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে দেখলাম। এইটা একটা দারুণ কাণ্ড হল। অনেকের মতে ওই হত্যাকাণ্ডের পিছনে সরকারের হাত আছে, তাই বিচার করে নাই। এক টক শোয়ে খালেদ মহিউদ্দিন দুইজন ক্রাইম রিপোর্টারকে নিয়ে এসে ছিলেন। তাদেরকে প্রশ্ন করে ছিলেন সরকারের না হয় ইচ্ছা নাই, আপনারাও কোন কিছুই খুঁজে পেলেন না? কোন তথ্য? অবিশ্বাস্য হলেও সত্য কেউই কিছু জানে না এই ব্যাপারে। এখন দেখা যাক এই রহস্যের গিট্টু খুলে কি না। সরকারে তো সাগর রুনির পরিবারের সদস্যই আছে, এবার তো রহস্যের কিনারা হবে!
উপদেষ্টাদের মধ্যে আরেক জিনিস বসে আছে, আমি কালকে খেয়ালই করি নাই। তিনি হচ্ছেন ফরিদা আখতার। তাকে মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি কেন আলাদা করে বলার মত? কারণ তিনি হচ্ছেন ফরহাদ মজহারের স্ত্রী! এক অদ্ভুত চরিত্র ফরহাদ মজহার। নিজে নাস্তিক, সারাদিন মোল্লাদের নিয়ে পরে থাকেন। মোল্লারা তাকে ধরবে না ছাড়বে এইটা নিয়া দ্বিধায় থাকেন! উনাদের বিয়ে নিয়েও প্রশ্ন তুলেন। প্রচলিত কোন মাধ্যমেই তারা বিয়ে করেন নাই এইটা বলা হয়। সত্য মিথ্যা জানি না। আমার এইটা নিয়ে আগ্রহও নাই। আমি যেটা বলতে চাচ্ছে সেই হিসাবে ফরিদা আখতারের উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেওয়া বিপ্লবী একটা কাণ্ড। এই সব থেকে ঊর্ধ্বে উঠতে পারলেই তো আমরা কাঙ্ক্ষিত দেশের দিকে আগাতে পারব। এইটা নিয়া কোন প্যাচ না লাগলেই হয় এখন।
এদিকে সুপ্রদিপ চাকমার বিরুদ্ধে আদিবাসীরা অভিযোগ করেছে। তাকে যেন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ না করানো হয়। তারা বলছে আমাদের থেকে প্রতিনিধি নিতে হলে আমাদের সাথে আলোচনা করে নিতে হবে। সুপ্রদিপ চাকমা আমাদের প্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। কেন? কারণ তিনি আওয়ামীলীগ সরকারের অংশ ছিলেন! মানে আগের সরকারের সব খারাপ? রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চায় না কেন এরা?
শেখ হাসিনা এখনও ভারতেই আছেন। কোন দেশ ভিসা দিতে চাচ্ছে না এমন খবর দেখলাম। আবার জয় একটা ইন্টার্ভিউয়ে বলছে এগুলা সব গুজব। জয়ের কথার অবশ্য বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। খুব আবোলতাবোল বলে যাচ্ছে। এই বলেন আওয়ামীলীগের সাথে, দেশের রাজনীতির সাথে মুজিব পরিবারের কেউ নাই আর। আবার বলেন তিনি রাজনীতিতে আসছেন। জয়কে কোনদিনই আমার নেতা হিসেবে মনে হয় নাই। প্রধানমন্ত্রী যদি মা হয় তাহলে ছেলে যেমন কল্পনা করি তেমনই তিনি। যদিও এই তরিকায় তারেক সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। জয়কে হয়ত এক হাটে বিক্রি করে আরেক হাটে কিনে নিবে, জয় বুঝতেও পারবে না!
যাই হোক, প্রথম কয়েকদিনের প্রবল ঝড়টা এখন স্তিমিত, এইটাই যা স্বস্তি। এখন নীরব চাঁদাবাজি চলছে। অনেকেই ভয়ে আর্মিকে জানাচ্ছে না। জানালে আবার কোন বিপদ হয়, তাই টাকা দিচ্ছে। এক ডাক্তার আমাদের এলাকার। রোজার সময় বিএনপির পুলাপান গিয়েছিল ইফতারের জন্য টাকা চাইতে, দশ হাজার টাকা চাইছিল। তিনি দেন নাই। এখন ১৫ লাখ দিয়েছেন! সমানে কত দিতে হবে, কতদিন দিতে হবে আল্লা মালুম।
খুব নিকট ভবিষ্যতের মধ্যে স্বস্তি, শান্তির কোন আশাই দেখছি না আমি।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।