এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  প্রবন্ধ

  • ধ্যান কেন বিজ্ঞানের আলোচনার বিষয় হতে পারে তাই নিয়ে দু চার কথা 

    অরিন লেখকের গ্রাহক হোন
    প্রবন্ধ | ১২ জুলাই ২০২৪ | ৯৬১ বার পঠিত
  • “এবার তবে দেখতে হবে কোত্থেকে আর কি করে 
    রস জমে এই প্রপঞ্চময় বিশ্বতরুর শিকড়ে”
    (সুকুমার রায় )

    কোন এক সময়ে এই লেখাটির উদ্দেশ্য ছিল ধ্যান ও স্নায়ুবিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করা ।  তবে প্রদীপ জ্বালাবার আগে যেমন সলতে  পাকাতে হয় তেমন এই লেখাটিতে ধ্যান ও স্নায়ুবিজ্ঞান নিয়ে লেখার আগে ধ্যান কেন বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিষয় এবং ধ্যান ব্যাপারটিকে কেন কেবলমাত্রই আধ্যাত্মিকতার নজরে দেখা হয় না তাই নিয়ে দু চার কথা লিখে বরং শুরু করা  যাক, আমরা তার পর পর্যায়ক্রমে দেখব যে ধ্যান নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় কোথায় স্নায়ুবিজ্ঞানের অবদান ।  
     
    ধ্যান কথাটির আক্ষরিক অর্থ মনোযোগ । যার জন্য ধ্যান সবাই করেন, এবং ধ্যান করার জন্য কাউকে আধ্যাত্মিক বা ঈশ্বরভক্ত হবার প্রয়োজন পড়ে না, বা ধ্যান শুধুই পুজো ইত্যাদি পর্যায়ের কিছু বিষয় নয় । কারো মনে হতে পারে যে ধ্যানের সঙ্গে আধ্যাত্মিক ব্যাপার জড়িত | আধ্যাত্মিক নয়, আসলে এঁরা হয়তো বলতে চান ধর্মের ব্যাপার জড়িত, সে আধ্যাত্মিক হতেও পারে নাও হতে পারে, ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতার পারস্পরিক সম্পর্ক বিচার করা এ প্রবন্ধের উদ্দেশ্য নয়, অতএব  সে বিজ্ঞানের বিষয় হতে  পারে না । অনেকে এও মনে করেন যে ধ্যান মানে যেহেতু চুপ করে বসে থাকা, তাই যদি হয়, তাতে করে সত্যিকারের কিছু হবার কথা নয়, বড়োজোর  এক ধরণের "মন ভালো" করা (placebo ) ধরণের কিছু হতে পারে, ও সেই সূত্রে ধ্যান নিয়ে বিজ্ঞানের চর্চা  অপবিজ্ঞানের চর্চা করা, অনেকটা  টেলিপ্যাথি, জ্যোতিষবিদ্যার মতন । তাই  ধ্যান এর সঙ্গে বিজ্ঞানকে জড়ালে এক ধরণের প্রতারণা করা হয় । আরো কয়েকজন মনে করেন যে, ধ্যান করলে মানুষের মানসিক বা শারীরিক অবস্থার আদৌ যদি কোন উন্নতি হয়ও তাকে  স্বাস্থবিজ্ঞানের অন্যান্য যে প্রচলিত গবেষণার উপায়   রয়েছে, তাদের সূত্রে দেখান  অসম্ভব। ধ্যানের যদি কোন প্রভাব থেকেও থাকে,  সে প্রভাব এতো বেশি কিছু হবার কথা নয় যাতে করে বলা যেতে পারে যে ধ্যানের "কারণে" মানুষের মনে বা শরীরে পরিবর্তন হয় । এখন এই ধারণাগুলো একটিও ঠিক নয়, যদিও একথা অনস্বীকার্য যে ধ্যান নিয়ে বহু তথাকথিত “ধর্মের" মোড়কে অনেকে ব্যবসা করেন, মানুষকে প্রতারণা করেন । যে কারণে মনে হয় ধ্যানের বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও ধ্যান ব্যাপারটিকে নিয়ে মানুষের সঙ্গে যে তঞ্চকতা করা হয় সেগুলো যে এক নয়, এই ব্যাপারটা সাধারণ, এমনকি বহু বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের পক্ষেও বুঝে ওঠা দুঃসাধ্য । তার ওপরে ধ্যানের মনের, স্নায়ুর, ও মস্তিষ্কের ওপর কি প্রভাব, তাই নিয়ে অতি জটিল গবেষণা অপেক্ষাকৃত নতুন এবং অপেক্ষাকৃত অল্প কয়েকজন গবেষকের মধ্যে সীমাবদ্ধ । ফলে হঠাৎ করে ধ্যান নিয়ে "neuroscience " জাতীয় কথা লিখতে গেলে শুরুতে ধ্যান যে একটি গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক ও বৈজ্ঞানিক বিষয়, ব্যাপারটিতে যে কোন রকম ধর্মগোছের অবৈজ্ঞানিক প্রতারণার কিছু নেই, তাই  নিয়ে কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট করে না লিখলে এই লেখাটির উদ্দেশ্য অসফল হবে । ব্যাপারটা ভেবে দেখা যাক ।
     
    ধ্যান একটি প্রক্রিয়া, তার সঙ্গে ধার্মিক ক্রিয়াকর্মের সম্পর্ক থাকতে পারে এবং এই ধার্মিক ক্রিয়াকরনের উৎস হয়তো আধ্যত্মিক । হয়তো এই কারণে লিখলাম যে সে নাও হতে পারে, কারণ ধার্মিক মাত্রেই আধ্যাত্মিক নন বা অধার্মিক মানে যে তিনি আধ্যাত্মিক নন তা নয়, আমি ইচ্ছাকৃত ভাবেই আধ্যাত্মিক কথাটি এখানে ব্যবহার করছি না । তা হলেও ধ্যান ব্যাপারটি  মানুষের আর চার পাঁচটা কাজের থেকে আলাদা কিছু নয় । আমরা যেমন খাওয়াদাওয়া করি, খেলাধুলো, নাচ, গান করি, তেমনি, ধ্যান ব্যাপারটিও তাই, ধ্যান নামক ক্রিয়াকর্মটির উদ্দেশ্য "কোন কিছু"র ওপর "মন দেওয়া" । এই মন দেওয়ার বিষয়বস্তুকে কেন্দ্র করে  বিজ্ঞান ও ধর্ম  ধ্যানের ব্যাপারে পৃথক হয়ে গেছে। ধর্মে ধ্যান প্রক্রিয়াটির  সঙ্গে সম্পর্কিত  শব্দ,  ছবি , বা মন্ত্রটিই প্রধান, ধ্যানের মানসিক বা শারীরিক ব্যাপারসমূহের গুরুত্ব নেই ।  ধর্মে শব্দ, বা মন্ত্রের ব্যাপারটি মুখ্য, ধ্যানে মনোনিবেশ করার প্রক্রিয়াটি  গৌণ ।  অন্যদিকে ধ্যান নিয়ে যাঁরা বিজ্ঞানের চর্চা করেন, তাঁদের সংজ্ঞায় ধ্যানে  মন দেওয়ার প্রক্রিয়াটি মুখ্য, মন্ত্রের বা শব্দের বা ছবির  কোন তাৎপর্য নেই, বা থাকলেও গৌণ, বস্তুত mindfulness ব্যাপারটিতে মন্ত্রের ব্যাপারটি  নেই, সেখানে নাকে  স্বাস প্রস্বাসের যাতায়াত  ব্যাপারটি দেখা হয় । এই তারতম্যটি গুরুত্বপূর্ণ । আমাদের আলোচনাও এই "মন দেওয়া", "মনোনিবেশ" ব্যাপারটির প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে । এখন মনে হতে পারে যে এই আপাত সরল  ব্যাপারটি, মন দিযে  মনকে "দেখলে" বা শরীরকে বা কোন শারীরিক প্রক্রিয়াকে উপলব্ধি করার চেষ্টা করে দেখলে তাতে  এমন কি হতে পারে যে তাতে শরীরের বা মনের উপকার হয় । সেটা পরের কথা ।

    আমরা আজকের দিনে যাকে ধ্যান বলে অভিহিত করি, সেই ধরণের ধ্যান মানুষ কবে থেকে শুরু করেছিল তার নির্দিষ্ট কোন হদিশ পাওয়া যায় না, তবে মনে রাখতে হবে যে  ধ্যান শুধু ভারতবর্ষে নয়, সারা পৃথিবীতে প্রায় সমস্ত জনগোষ্ঠী এবং ধর্মের সংস্কৃতির অঙ্গ,  কিছু না হলেও ৫০০০ বছরের পুরোনো প্রথা, কারো কারো মতে হয়তো  এক লক্ষ বা তারও বেশি পুরোনো, যেমন  আগুনের পাশে আদিম মানুষের বসে থাকার সূত্রেও শুরু হয়ে থাকতে পারে [১]  ।

    https://positive.b-cdn.net/wp-content/uploads/2022/11/History-of-Meditation-Timeline.png

    [১]: https://positivepsychology.com/history-of-meditation/

    কাজেই ধ্যান কোনো অপ্রাকৃতিক  বিষয় বলে মনে করার কারণ নেই । একই রকম ভাবে, বিজ্ঞান ব্যাপারটিও মানুষের জীবন বহির্ভূত কোন অপ্রাকৃতিক বিষয় নয় । যাঁরা ধ্যান ব্যাপারটিকে  অবৈজ্ঞানিক বলে মনে করেন, তারা খুব সম্ভবত ধ্যান ব্যাপারটিকে কেন্দ্র করে বৈজ্ঞানিক গবেষণার সঙ্গে পরিচিত নন । যে কারণে অনেকে হোমিওপ্যাথি বা জ্যোতিষ সম্বন্ধে বুজরুকি কথাটি ব্যবহার করেন, সেই একই কথা ধ্যান সম্পর্কিত গবেষণা সম্বন্ধে খাটে না । 
     
     ইতিপূর্বে লিখেছি, একথা অনস্বীকার্য যে ধ্যানকে নিয়ে বৈজ্ঞানিকরা একটি “প্রণালী” রূপে দেখে তার অনুসন্ধান করতে চান, কিন্তু ধর্মের প্রেক্ষিতে ধ্যানকে আচার হিসেবে ধরা হয় ।  আচার বিচারের ব্যাপারটি যদি আমরা সরিয়ে নিয়ে ভাবি, তাহলে দেখা যাবে যে  ধ্যান ব্যাপারটির যে প্রক্রিয়া তাতে কিন্তু এমন ধরণের কিছু দাবি করা যাবে না, বা সচরাচর যারা ধ্যান নিয়ে পড়াশোনা বা গবেষণা করেন তাঁরা দাবি করেন না যাতে করে ব্যাপারটি সহজ বুদ্ধিতে অবাস্তব বলে মনে হতে পারে । যেমন ধরুন, ধ্যান করার অর্থ মনোনিবেশ করা. এতে যদি মনে করা হয় যে মনের প্রতি মনোনিবেশের ফলে মনের অবস্থার পরিবর্তন হবে , সেই ধারণা এবং তার সম্পর্কিত প্রশ্ন কিন্তু যুক্তিসঙ্গত, যে কারণে  ধ্যান ব্যাপারটিতে  বৈজ্ঞানিক প্রথাগতভাবে যুক্তিসহকারে চর্চা করার  সুযোগ রয়েছে । এর বিপ্রতীপে ভেবে দেখুন, জ্যোতিষ নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন, তাঁরা যে ধরণের বক্তব্য পেশ করেন, তাকে সাধারণ যুক্তি দিয়ে বিচার করতে পারবেন না, যেমন ধরুন জ্যোতিষীদের মতে নভোমণ্ডলে গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান  মানুষের বাস্তবিক প্রাত্যহিক বা ব্যবহারিক জীবনের সম্পর্ক  নির্ণয় করে । এইরকম একটি ধারণাকে কখনোই বৈজ্ঞানিক গবেষণা বা পরীক্ষা নিরীক্ষার আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব নয়, কেউ আনেও না ।  
     
    কাজেই ধর্মের ধ্যান এবং বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিকের ধ্যান দু রকমের ব্যাপার, এগুলো কে এক করে ফেললে মুশকিল, তখন আর আলোচনার জায়গাটা থাকে না । তবে ও ঠিক যে  ধ্যানকে কেন্দ্র করে একটা অন্য ধরণের  সমস্যা আছে, যার জন্য এই অপবিজ্ঞান জাতীয় চর্চার প্রশ্নগুলো উঠছে ।  "ধ্যান নিয়ে যাঁরা Wellness " এর ব্যবসা যারা করেন, তাঁরা ধ্যানের বৈজ্ঞানিক গবেষণাপ্রসূত ফলাফল গুলো গ্রহণ করেন বটে তবে সে সব প্রচারের জন্য,  সেগুলোর অপব্যবহার করেন । তার সঙ্গে একথা অনস্বীকার্য যে , ধ্যান বিষয়টি এমন জটিল যে তাকে নিয়ে  প্রচুর অসৎ, ভুল মেথডের গবেষণাও  বিস্তর হয়, ফলে কোনটা দুধ আর কোনটা জল, এই ব্যাপারটি অনেক বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের কাছেই অনেক সময় স্পষ্ট রূপে প্রতিভাত হয় না । কিন্তু মুশকিল হচ্ছে যারা বেছে বেছে এই অবৈজ্ঞানিক বিষয়গুলোকে নিয়ে ধ্যান সংক্রান্ত যে বৈজ্ঞানিক গবেষণা হয় তাদেরকে দোষারোপ করতে থাকেন । কাজেই ধ্যান করলে কি হয়, এবং বৈজ্ঞানিক চর্চার কারণ কি তাই নিয়ে প্রাথমিক কথা আলোচনা করাটা ধ্যানের neuroscience নিয়ে আলোচনার শুরুতে করা প্রয়োজন  । 
     
    ধর্মের ধ্যান যেমন আছে,  ধর্মনিরপেক্ষ ধ্যানও আছে । ধর্মনিরপেক্ষ ধ্যান ব্যাপারটি অন্তত ভারতবর্ষে বুদ্ধদেবের জন্মের আগের আমল থেকে চলে আসছে,  দু-আড়াই হাজার বছর ধরে ভারত ও অবশিষ্ট এশিয়ায় মানুষ ধ্যান করেছে, তার সবটাই কেবল অবৈজ্ঞানিক ধর্মীয় উন্মাদনার বশে করে নি । তখন প্রশ্ন উঠবে যে ধ্যান নাম দিয়ে যে ব্যাপারটির চর্চা করা হয়, সেটি আসলে কি বা কিসের চর্চা করা হয়? কোন ব্যাপারটা ধ্যান আর কোন ব্যাপারটাকে ধ্যান বলা যাবে না? এবং এর সঙ্গে যে প্রসঙ্গটি ওঠে, ধ্যান যদি মানুষ পাঁচ হাজার বছর ধরে সব সমাজে করে থাকে, তাহলে এতো সমাজ ও দেশ থাকতে হঠাৎ বৈজ্ঞানিকরা কেনই বা হিন্দু বা বৌদ্ধ ধ্যান নিয়ে গবেষণায় উৎসাহিত? এ সব প্রশ্নের উত্তরের সন্ধানে ধ্যান বা মনের দিকে নজর দেওয়া নিয়ে যে গবেষণা তার একটি অতি সংক্ষিপ্ত ইতিহাসের দিকে দেখা যাক ।

    https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/9/9c/William_James_b1842c.jpg
    উইলিয়াম জেমস এর ছবি উইকিপিডিয়া থেকে 

    ১৮৯০ সালে  মার্কিন মনোবিদ উইলিয়াম জেমস Principles of Psychology বইতে লিখেছিলেন,
    • Attention, implying a degree of reactive spontaneity, would seem to break through the circle of pure receptivity which constitutes 'experience,' and hence must not be spoken of under penalty of interfering with the smoothness of the tale. But the moment one thinks of the matter, one sees how false a notion of experience that is which would make it tantamount to the mere presence to the senses of an outward order. Millions of items of the outward order are present to my senses which never properly enter into my experience. Why? Because they have no interest for me. My experience is what I agree to attend to. Only those items which I notice shape my mind − without selective interest, experience is an utter chaos. Interest alone gives accent and emphasis, light and shade, background and foreground − intelligible perspective, in a word. It varies in every creature, but without it the consciousness of every creature would be a gray chaotic indiscriminateness, impossible for us even to conceive. 

    (বইয়ের ২০৪ এর পাতায় দেখুন) [২]
    [২]: http://www.public-library.uk/ebooks/50/61.pdf

    উইলিয়াম জেমস যে সময় attention বা মনোনিবেশের কথা কথা নিয়ে লিখছেন, সেই সময় অন্তত আমেরিকায় চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মধ্যে বা মনোবিজ্ঞানীদের মধ্যে প্রাচ্যে যে ধরণের ধ্যান প্রচলিত ছিল, তাই ; নিয়ে কোন ধারণা ছিল না বা থাকার কথা নয় । পাশ্চাত্যে প্রথম হিন্দুদের মধ্যে প্রচলিত focused attention জাতীয় ধ্যানের প্রচলন করেন স্বামী বিবেকানন্দ, কিন্তু সে ব্যাপারও অন্তত ১৮৯৩ সালের আগে হয়নি, কাজেই উইলিয়াম জেমসের মনোবিজ্ঞানে বই লিখে ধ্যান ব্যাপারটির অবতারণার সঙ্গে ধর্মের যে বিশেষ সম্পর্ক নেই, বলা যেতে পারে, বরং মনোবিজ্ঞানের একটি সম্পর্ক রয়েছে । 

    এই প্রসঙ্গে বিজ্ঞানের প্রথা নিয়ে দু একটা কথা বলা যেতে পারে । বিজ্ঞান চর্চা বলে আমরা যাকে মনে করি, তার চার পাঁচটি প্রক্রিয়া বলা যেতে পারে : (১) কোন ব্যাপারকে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পর্যবেক্ষণ করা ; (২) সে পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এক বা একাধিক তত্ত্ব উপস্থাপিত করা ; (৩) সেই তত্ত্ব কে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্ন করা যেগুলো কে “উপতত্ত্ব” বা hypothesis বলা যেতে পারে ; (৪) এর পর সেই হাইপোথিসিস কে কেন্দ্র করে একাধিক পরীক্ষা করা (experiment ) করা ; এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রতিটি তত্ত্বকে ভুল প্রমান করার চেষ্টা করা, কিন্তু যদি দেখা যায় যে প্রচলিত ধারণার তুলনায় নতুন যে তত্ত্ব দাঁড় করানো হলো সেটিকে ভুল প্রমান করা যাচ্ছে না, তখন সেটিকে গ্রহণ করে আবার নতুন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা । এখন এই এক থেকে পাঁচ নম্বর প্রক্রিয়াগুলো চক্রাকারে চলতে থাকে, এবং ক্রমান্বয়ে একেকটি নতুন তত্ত্ব উপস্থাপিত হয়, তাকে কেন্দ্র করে হাইপোথিসিস, তারপর তাদের নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং নতুন তত্ত্বের উপস্থাপনা, এইভাবেই বিজ্ঞান এগোতে থাকে । এখন ধ্যান ব্যাপারটিকে নিয়েও এই একই কাজ হয়েছে ও হচ্ছে । যার জন্য একটা সময় হয়তো শুধু মানুষের মনের ওপর কি প্রতিক্রিয়া হয় তাই নিয়ে গবেষণা হত , এখন তার পরিধি আরো ব্যাপ্ত, ধ্যান কে কেন্দ্র করে স্নায়ুবিজ্ঞানের জটিল পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়, এমনকি নতুন ধরণের গবেষণা যেমন Interoception (বা, একটু আলগা ধরণের অনুবাদ করলে যাকে বলা যেতে পারে অন্তর্দর্শন), তাই নিয়েও বিস্তর গবেষণায় মেতে রয়েছেন অনেকে । তো সেসবের মধ্যে প্রবেশ করার আগে, আরেকটু ইতিহাস ঝালিয়ে নেওয়া যাক ।

    এখন এ সমস্ত তো ভালো কথা কিন্তু ধ্যান এমন একটি ব্যাপার, যাকে প্রথাগত বিজ্ঞান এবং বৈজ্ঞানিক প্রথা দিয়ে মাপা হয়তো সম্ভব কিন্তু এতে একটা মস্ত সমস্যা আছে যার তল পাওয়া সহজ নয় । প্রথাগত বিজ্ঞানে অবজেক্টিভ reality র একটা ব্যাপার আছে, যেমন ধরুন যে রংটা লাল, সেটা আপনার কাছেও লাল, আমার কাছেও লাল (ধরে নিচ্ছি আমার আর আপনার রঙ দেখা নিয়ে কোন অসুখ নেই), কিন্তু এই ব্যাপারটি যখন মনের অন্দরের হাল হকিকত যেন তাকে নিয়ে গবেষণা করতে যাওয়া হবে, তখন ধরে নেওয়া যাবে না । মনে করুন ধ্যানের মাধ্যমে গবেষণা করা হচ্ছে ধ্যান করে মানুষের মনে কি পরিবর্তন হয়, কি ধরণের ধারণা উদয় হয় । এখন এই ব্যাপারটি প্রতিটি মানুষের নিজের ব্যক্তিগত, তাকে আলাদা করে অন্য একজন (এক্ষেত্রে গবেষক) “দেখতে” পাবেন না, তাঁকে মানুষটির ওপর নির্ভর করতে হবে ।  কিন্তু তাহলেও অন্যান্য নানান যন্ত্রপাতির সূত্রে মানুষ যা মুখে বলছেন তাঁর মনের হাল বা হদিশ দিতে আর মনে করুন EEG বা MRI করে যা পাওয়া গেলো তার একটা সাযুয্য খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করা যেতে পারে । 

    যেমন মনে করুন আপনি একটি বাদুড় সম্বন্ধে জানতে চাইছেন  । তা আপনি বৈজ্ঞানিক গবেষণা করে বাদুড় কিভাবে ওরে, কিভাবে সে প্রাণী রাতের অন্ধকারে খাবার খুঁজে পায় , জঙ্গলের মধ্যে গাছে না ধাক্কা খেয়ে উড়তে পারে, তার সম্বন্ধে সবই জানলেন, তবুও বাদুড় বাদুড়ের চোখ দিয়ে দুনিয়াকে কিভাবে দেখে তার কিছুরই হদিশ পাবেন না । সে হদিশ একমাত্র বাদুড় ছাড়া আপনাকে আর কেউ দিতে পারবে না । আপনাকে বাদুড় হয়ে বাদুড়ের সম্বন্ধে জানতে হবে, এই নিয়ে টমাস নাগেলের একটি অনবদ্য প্রবন্ধ আছে, পরে সে নিয়ে আলোচনা করা যাবে, আপাতত এইটুকুই থাক । তবে সৌভাগ্যের বিষয়, মানুষের ওপর গবেষণা করতে গেলে একরকম উপায় আছে যাতে করে এই সমস্যাটির সমাধান সম্ভব ।

    https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/c/cf/Francisco_Varela.jpg
    (ফ্রন্সেস্কো ভ্যারেলার ছবি, উইকিপিডিয়ার সৌজন্যে)

    কাজটা সম্ভব তবে সহজ নয় । এই দুরূহ কাজটিকে আধুনিক মনোবিজ্ঞান ও স্নায়ুবিজ্ঞানের আওতায় আনার কৃতিত্ব দিতে হয় চিলি দেশের জীববিজ্ঞানী ফ্রন্সেস্কো ভ্যারেলাকে । তাঁর কাজ ও neurophenomenology ব্যাপারটি নিয়ে আরো বিশদে পরে লিখবো, আপাতত বিষয়টি কি তাই নিয়ে দু কথা বলে শেষ করি । কারণ তাঁকে নিয়ে লিখতে গেলে (যদিও অতি প্রয়োজনীয়), আর এ লেখা শেষ করে উঠতে পারবো না । তো ফ্রন্সেস্কো ভারেলা যে পথটির কথা বলেছিলেন তাকে সংক্ষেপে স্নায়ুবিদ্যার সঙ্গে প্রপঞ্চবিদ্যার একটি সংমিশ্রন বলা চলে, যার ইংরেজি নাম “neurophenomenology “, তাকে বর্ণনা করতে গিয়ে এবং তাকে নিয়ে ভারেলা’র অবদান সম্বন্ধে লিখতে গিয়ে Renzo Lanfranco  লিখছেন,

    ফ্রান্সেস্কো ভ্যারেলা এবং neurophenomenology  
    • Neurophenomenology requires researchers to deal with qualitative data (e.g. phenomenological descriptions) and quantitative data (e.g. EEG signal) while giving each of them equal importance, care, and rigour. By mutually constraining both sources of data, neurophenomenology allows researchers to find mutual determinations between experience and neural mechanisms, which in turn helps exploring the transitions between contents of consciousness. Therefore, neurophenomenology addresses consciousness using a non-reductive approach that treats experience and neurobiology as equally important sources of data.


    [৩]: https://journals.sagepub.com/doi/epub/10.1177/10597123221080193
     
     ব্যাপারটা কেমন জানেন? মনে করুন আপনি ধ্যানে যে মানুষের মনের stress নিরসন হয়, তাই নিয়ে গবেষণা করবেন মনস্থ করেছেন । এখন stress ব্যাপারটার আপনার কাছে হয়তো একরকমের ব্যাখ্যা আছে, এবং তাকে আপনি প্রশ্নাবলী দিয়ে মানুষের কাছ থেকে এক ধরণের মাপজোক করবেন বলে স্থির করেছেন । শুধু তাই নয়, আপনি stress  হলে পরে ও ধ্যান করলে মানুষের মস্তিষ্কে কি ধরণের পরিবর্তন হতে পারে তাকে জানার জন্য EEG (electroencephalography ) করে দেখবেন । কিন্তু তাতেও মানুষটির মনের ভাব বা তাতে কি পরিবর্তন হলো সেটি শুধু মানুষটি বা সমবেত জনসমষ্টির মধ্যে একেকজন মানুষ একেকরকমভাবে তাকে নিজের মতো করে দেখবেন । সেইটার হদিশ  পাবেন কি উপায়ে ? তাই  প্রপঞ্চবাদ । মানে মনে যা যখন যে ঘটছে, সেই ঘটমান অবস্থাকে মানুষ পর্যবেক্ষণ করছে, তাকে হয়তো একটি ডাইরিতে লিখে রাখছে, আর আপনি পরে তাকে বিশ্লেষণ করছেন এবং আপনার অন্যান্য যে উপায়ে গবেষণা করবেন, তার সঙ্গে মিলিয়ে নিচ্ছেন । একটি জটিল বিষয়ের জটিলতাকে অতি সরলীকৃত না করে তাকে “দেখছেন” । 
     
     
     (চলবে) 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • প্রবন্ধ | ১২ জুলাই ২০২৪ | ৯৬১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:9cf1:2d4:c3d9:***:*** | ১৩ জুলাই ২০২৪ ০৮:১২534585
  • অরিন্দমবাবু, উত্তরের জন্য ধন্যবাদ। হ্যাঁ, শুরুতে এমপিরিকাল রিসার্চ করাই যায়। যদ্দুর মনে পড়ছে অন্য টইতে আপনাকে জিগ্যেস করেছিলাম এটা এখনও এক্সপ্লোরেটরি রিসার্চ স্টেজে আছে কিনা আর আপনি হ্যাঁ বলেছিলেন। অর্থাত এম্পিরিকাল ফেনোমেনন স্টাডি করা, সেগুলো নিয়ে থিওরি বিল্ডিং, তারপর এগনো, ইনডাকটিভ রিজনিং এর ভিত্তিতে। 
     
    তবে রিজিড ডেফিনিশান শুরুতে না দিতে পারলেও আমার মতে অবশ্যই বাউন্ডেড স্টাডি করা উচিত। ধ্যানের অবসার্ভেশান যদি সাবজেকটিভ তাহলে অবশ্যই অনেক বেশী সাবধান হওয়া উচিত, কারন মেডিকাল সায়েন্সে বহু বিষয়ে রিসার্চ শুরু হয়েছে যার কোন ফল পাওয়া যায় নি। 
  • অরিন | 119.224.***.*** | ১৩ জুলাই ২০২৪ ১০:০৫534588
  • একটু ধৈর্য ধরুন, আমি এগুলোর যতটা পারব explanation দেব।
    এখানে পুরো ব্যখ্যাটা দেওয়া চাপের।
    মোটামুটিভাবে, ধ্যান একটা "বড়" গ্রুপ, জেনেরিক।
    তার মধ্যে নানা সাবগ্রুপ।
    সব থেকে বড় কথা, ধ্যানের উদ্দেশ্য রোগমুক্তি বা চিকিৎসা নয়, অন্য জিনিস, একে রেট্রোফিট করে অসুখ নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।
    ব্যাপারটা খুব 'ইনটারেসটিং'।
    লিখছি।
    তবে এই প্রাথমিক ব্যাপারগুলো যে ধ্যান বলতে কি বোঝানো হয় এবং কেন প্রচলিত পজিটিভিস্ট নোশনের বাইরে ভাবতে হয় (তাহলেও সে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান তো বটেই), এই নিয়ে লেখার একটা প্রয়োজন রয়েছে। আমি গতবার এইগুলো সবাই জানে ধরে নিয়েছিলাম। আপনি এর আগে @ar এর পোস্টটি এবং লিঙ্কগুলো দেখুন, আমি কি বলতে চাইছি কিছুটা বোধগম্য হবে।
  • Debasis Bhattacharya | ১৩ জুলাই ২০২৪ ১৫:৪৪534607
  • বাকি আর্গুমেন্ট পরে হবে, আপাতত শুধু উইলিয়াম জেমস সম্পর্কে বার্ট্র্যান্ড রাসেল-এর একটি উদ্ধৃতি দিয়ে রাখি। 
     
    William James used to preach the “will to believe.”  For my part, I should wish to preach the “will to doubt.” …  What is wanted is not the will to believe, but the wish to find out, which is the exact opposite.           ---   BERTRAND RUSSELL, Sceptical Essays (1928)
     
    অনেকেই হয়ত জানেন, রাসেল-এর এই উদ্ধৃতিটি ব্যবহার করেছিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী কার্ল সাগান, তাঁর সুবিখ্যাত 'Night Walkers and Mystery Mongers : Sense and Nonsense at the Edge of Science' প্রবন্ধের গোড়ায়। 
  • dc | 2401:4900:7b72:5618:bd64:9b61:8eec:***:*** | ১৩ জুলাই ২০২৪ ১৬:২২534609
  • দেবাশীষবাবু রাসেলকে কোট করেই ফেলেছেন দেখছি :-) হ্যাঁ, হেলদি স্কেপটিসিজম হলো সায়েন্টিফিক মেথড এর ফাউন্ডেশান। মজার কথা হলো, হাইপোথিসিস টেস্টিং ও ওই স্কেপটিসিজম এর ওপর বেস করেই বানানো, সেইজন্যই আলফার ভ্যালু .০৫ বা তার কম নেওয়া হয়, যাতে র‌্যান্ডম চান্সের ভিত্তিতে নাল হাইপোথিসিস বাতিল না হয়ে যায়। 
  • Debasis Bhattacharya | ১৩ জুলাই ২০২৪ ১৭:২৩534617
  • কিন্তু ওই আলফার মধ্যেই আবার লুকিয়ে থাকে অসত্যের ফাঁদ, পরিসংখ্যানবিদেরা যাকে বলেন 'রোনাল্ড ফিশার্স কার্স'।
  • অরিন | 2404:4404:1732:e000:80ee:8077:7807:***:*** | ১৪ জুলাই ২০২৪ ০২:২৯534646
  • খুব ইন্টারেস্টিং পয়েন্ট দেবাশিসবাবু। জেমসের Will to believe নামের বক্তৃতা ও তার উত্তরে Will to doubt লেখাগুলো দ্রষ্টব্য। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, এইখানে বেইসিয়ান বিলিফ সিস্টেম বা এপিসটেমোলজি নিয়ে আলোচনার একটা জায়গা আছে।  দেখি Will to believe essay টাকে খুঁজেপেতে বার করে দুকথা লেখা যায় কি না।
    ব্যাপারটাকে pragmtism হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। ভেবে দেখলে বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজই তো ঐ। এক বিলিফ সিস্টেমকে এভিডেনস দিয়ে আপস্টেজ করা।
  • অরিন | 119.224.***.*** | ১৪ জুলাই ২০২৪ ০২:৪৩534647
  • dc, আপনার আলফা এরর ব্যাপারটিকে আমরা দুরকম ভাবে দেখতে পারি না কি? আপনি হয়ত ফ্রিকোয়েনসির কথা ভাবছেন (আমি নিশ্চিত নই), আবার আমরা একে "বিশ্বাসের" প্রাথমিক মাপ হিসেবেও ভাবতে পারি, :-)
  • যদুবাবু | ১৪ জুলাই ২০২৪ ০৩:৪৫534648
  • আমি মূল পোস্ট এবং তার পরের (নন-ট্রোলবাচক) সমস্ত মন্তব্যই মন দিয়ে পড়ি এবং পড়ছি। আগেরবার বেশি বকবক করেছিলাম, এবারে একেবারেই বাধ্য ছাত্র হয়ে বসে আছি। (ক্লাসের পরে ছেঁকে ধরবো laugh)
     
    আর আগেও বলেছি, আবার বলতে দ্বিধা নেই। আমার অরিনদা, ডিসি, দেবাশিসবাবু, এ-আর - যেমন করছেন এইরকম মুক্ত আলোচনা খুব ভালো লাগে। 
  • dc | 2401:4900:7b79:556c:e007:6f:71b:***:*** | ১৪ জুলাই ২০২৪ ০৮:১৬534658
  • অরিন্দমবাবু, ঠিক ফ্রিকোয়েন্সি না, আমি আলফার ডেফিনিশানের কথা বলতে চাইছিলাম। মানে নাল হাইপোথিসিস বাই ডেফিনিশান সেট করা হয় "কোন এফেক্ট নেই" ধরে নিয়ে, আর সিগনিফিক্যান্স লেভেল এতোটাই কম করা হয় যাতে র‌্যান্ডম চান্সের ফলে সেই অ্যাসাম্পশান থেকে আমরা যেন সরে না আসি। অর্থাত "কিছু আছে", এরকম কোন কনক্লুশানে আসার আগে আমাদের সেই স্কেপটিসিজম কাজ করে। 
  • অরিন | ১৪ জুলাই ২০২৪ ১০:৩৭534666
  • "মানে নাল হাইপোথিসিস বাই ডেফিনিশান সেট করা হয় "কোন এফেক্ট নেই" ধরে নিয়ে, আর সিগনিফিক্যান্স লেভেল এতোটাই কম করা হয় যাতে র‌্যান্ডম চান্সের ফলে সেই অ্যাসাম্পশান থেকে আমরা যেন সরে না আসি। অর্থাত "কিছু আছে", এরকম কোন কনক্লুশানে আসার আগে আমাদের সেই স্কেপটিসিজম কাজ করে। "
    আপনি যেটা বলতে চাইছেন বুঝেছি, আপনার একটা  Frequentist Perspective রয়েছে, আরো ভেঙে   বললে Neyman -Pearson এর পার্সপেক্টিভ, যে কথাটা লিখলেন, "যাতে র‌্যান্ডম চান্সের ফলে সেই অ্যাসাম্পশান থেকে আমরা যেন সরে না আসি। অর্থাত "কিছু আছে", এরকম কোন কনক্লুশানে আসার আগে আমাদের সেই স্কেপটিসিজম কাজ করে।"
     
    এই যে যদি শুরু করার আগেই ধারণা মনে করুন এই স্টাডিটা ১০০ বার একই রকম ভাবে করা হয়, তাহলে বড়োজোর পাঁচ বার আমি যা পাব তাতে "কোন এফেক্ট নেই" ব্যাপারটা দেখা যাবে যার আরেক দিক ফিশার সাহেবের পি ভ্যালু, যাকে নিয়ে দেখলাম দেবাশিসবাবু লিখেছেন ।
     
    কিন্তু "কি হতে পারে" আর হাতের কাছে এই যে স্টাডিটা করছি, তাতে কি পেলাম, আর তাতে করে কি পরিবর্তন হল, সেই ব্যাপারটাও তো দেখতে হয়, যার জন্য বেইসিয়ান বিলিফ সিস্টেমের কথাটা লিখলাম ।
     
     
  • dc | 2401:4900:7b79:556c:e007:6f:71b:***:*** | ১৪ জুলাই ২০২৪ ১১:০৯534667
  • ঠিক আছে, আলোচনা চলুক। পি ভ্যালু আর এফেক্ট সাইজ নিয়ে আরও আলোচনা করা যাবে :-)
  • Debasis Bhattacharya | ১৪ জুলাই ২০২৪ ১১:১২534668
  • হয়ে যাক, হয়ে যাক!
  • অরিন | ১৪ জুলাই ২০২৪ ১১:৪৮534669
  • "পি ভ্যালু আর এফেক্ট সাইজ নিয়ে আরও আলোচনা করা যাবে :-)"
     আলোচনা তো ভালো কথা, কিন্তু ব্যাপারটা Frequentist / Bayesian  এর যুদ্ধ  না হলেই ভালো, না হলে আবার নতুন টই খুলতে হবে, :-)
  • অরিন | 2404:4404:1732:e000:c53a:843f:7f92:***:*** | ১৪ জুলাই ২০২৪ ১২:২০534673
  • @dc, (দেবাশিস বাবুকেও ), যেহেতু লেখাটা বিজ্ঞান নিয়ে, আপনার এই মন্তব্যটি
    " মানে নাল হাইপোথিসিস বাই ডেফিনিশান সেট করা হয় "কোন এফেক্ট নেই" ধরে নিয়ে, আর সিগনিফিক্যান্স লেভেল এতোটাই কম করা হয় যাতে র‌্যান্ডম চান্সের ফলে সেই অ্যাসাম্পশান থেকে আমরা যেন সরে না আসি। অর্থাত "কিছু আছে", এরকম কোন কনক্লুশানে আসার আগে আমাদের সেই স্কেপটিসিজম কাজ করে। "
     
    এর পরিপ্রেক্ষিতে একটা কথা শুরুতে বলা যেতে পারে যে  significance / non significance নির্ণয়ের চক্করে uncertainty র ব্যাপারটা অনেক সময় মানুষের খেয়াল থাকে না, বিশেষ করে যদি নাল হাইপোথিসিস টেস্ট করাই  বিজ্ঞানের একমাত্র লক্ষ্য হত ,  তাহলে মনে হয় আর বিজ্ঞান চর্চার কোন প্রয়োজন হত না, তাই না, কারণ সব Null Hypothesis ই তো রিজেক্টেড হবে, কারণ সবকিছুর ই তো এফেক্ট থাকে, এই কথাটাই ' "কোন এফেক্ট নেই" ধরে নিয়ে ' ভুল ।
    বিজ্ঞানের কাজ কিন্তু এফেক্টের অনিশ্চয়তাগুলোকে দেখানো, তারা শূন্য কিনা, বা শূন্য থেকে কতটা দূরে, তার বিচার করা নয় ।
    আমার মনে হয় আমাদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এই কথাগুলোর একটা তাৎপর্য রয়েছে । 
     
  • Debasis Bhattacharya | ১৪ জুলাই ২০২৪ ১২:৪৬534675
  • ঠিক বুঝলাম না। দুটো ব্যাপারের মধ্যে 'কার্যকারণ সম্পর্ক আছে', এবং, 'কার্যকারণ সম্পর্ক নেই' --- এ দুটো বিবৃতির মধ্যে আসলে তেমন কোনও পার্থক্য নেই, বা থাকলেও তার পদ্ধতিগত তাৎপর্য তেমন কিছু নেই --- এই রকম কিছু বলতে চাইছেন কি? 
  • dc | 2401:4900:7b79:556c:e007:6f:71b:***:*** | ১৪ জুলাই ২০২৪ ১২:৪৬534676
  • একমত। আমার মনে হয় দুটো অ্যাপ্রোচ পরিষ্কার করে লিখে রাখলে এই আলোচনার সুবিধে হয়। 
     
    প্রথম হলো ইন্ডাকটিভ অ্যাপ্রোচ, অর্থাত কোন বিষয়ে এক্সপ্লোরেটরি রিসার্চ করা, ফেনমেননটা স্টাডি করা, তার বেসিসে একটা থিওরি বানানো। দ্বিতীয় হলো ডিডাকটিভ অ্যাপ্রোচ, সেই থিওরির ওপর ভিত্তি করে ফলসিফায়েবল হাইপোথিসিস তৈরি করা, তারপর সেটা টেস্ট করা। "ধ্যান" ব্যাপারটা বোধায় এখন এক্সপ্লোরেটরি স্টেজে আছে।  
  • dc | 2401:4900:7b79:556c:e007:6f:71b:***:*** | ১৪ জুলাই ২০২৪ ১২:৪৭534677
  • আগের পোস্টটা অরিন্দমবাবুকে। লিখতে শুরু করে তারপর পোস্ট করতে দেরি হয়েছে :-)
  • অরিন | 2404:4404:1732:e000:80ee:8077:7807:***:*** | ১৪ জুলাই ২০২৪ ১৩:৩০534680
  • @দেবাশিসবাবু, 'কার্যকারণ সম্পর্ক আছে', এবং, 'কার্যকারণ সম্পর্ক নেই' --- এ দুটো বিবৃতির মধ্যে আসলে তেমন কোনও পার্থক্য নেই'
     
    না না, ঐরকম নয়।
    কার্যকারণ আছে নেই টা খুব একটা উপযুক্ত উদাহরণ নয়, তাও এটাকে ব্যবহার করছি, যেমন ধরুণ আমরা শুরু করব এই বলে ক ও খ এর মধ্যে কার্যকারণগত সম্পর্কের সম্ভাবনা 'অমুক' শতাংশ। ধরুন ধ্যান করলে anxiety কমবে এই সম্পর্ক আপনি ধরুণ বললেন ২ শতাংশ। একে আমরা বলব prior, পূর্বানুমান বা প্রাক সম্ভাবনা।
    এবার এর গবেষণা করে দেখলেন একটি likelihood পেলেন। এই ব্যাপারটা পাবার পর আপনি দেখলেন আপনার পূর্বানুমান যা ছিল, মানে ২ শতাংশ, সে এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ শতাংশে। একে আমরা বলব posterior (কী হবে? পরানুমান? পরবর্তী সম্ভাবনা? জানিনা কী বলা উচিৎ, যদুবাবু বা ডিসি হয়ত ঠিক বাংলা শব্দটা বলতে পারবেন )। সে যাই হোক, এই যে
    Prior probability × Likelihood = Posterior Probability
    এই করে "অনিশ্চয়তা" বাড়ে বা কমে।
    এই কথাটা বোঝাতে চাইছি।
    এটা একটা পূর্বানুমানকে গবেষণা করে যাচিয়ে নেবার ব্যাপার, "হ্যাঁ/না", "আছে/নেই" এই ধরণের কনসেপ্ট নয় (যে ধরণের কনসেপ্ট Fisherian null hypothesis significant testing এ হয়, যে p-value একটা ডিসিশানের cut-off)। 
    কথাটা উঠল William James কে নিয়ে আলোচনার সূত্রে।
     
    @dc, ইনডাকশন, ডিডাকশন তো মনে করুন মেথডের ব্যাপার এমনকি দুটোর সংমিশ্রণে অ্যাবডাকশনও হতে পারে।
  • Debasis Bhattacharya | ১৬ জুলাই ২০২৪ ১১:০২534759
  • অরিনবাবু, 
     
    আপনার অবস্থানটা হয়ত বা খানিক আন্দাজ করতে পারছি, কিন্তু, তাতে করে মূল বিষয়টা পরিষ্কার বুঝতে পারলাম, খুব জোরের সঙ্গে এমন দাবি করা কঠিন। 
     
    নতুন জ্ঞান, নতুন উপলব্ধি, এসবের মধ্যে অনিশ্চয়তা তো কিছুই থাকবেই। কারণ, যা জানছি, বা অন্তত জানছি বলে ভাবছি, তার সঙ্গে মোলাকাত কখনও আগে হয়নি। যা দেখছি, তাতে ভুল হচ্ছে না তো? হিসেবনিকেশে ভুল হয়নি তো? যা দেখছি তাকে যেভাবে ব্যাখ্যা করছি, তাতে কোনও ভুল হচ্ছে না তো? কাকতালীয় ঘটনার ওপরে আমার নিজের প্রত্যাশাজাত কাল্পনিক কার্যকারণ চাপাচ্ছি না তো? যা জানলাম বলে মনে হচ্ছে, তার সঙ্গে ইতিমধ্যে খুব ভালভাবে জানা কোনও ব্যাপারের গুরুতর অসঙ্গতি থেকে যাচ্ছে না তো? 
     
    এখন, আমরা এই অনিশ্চয়তাটাকে স্বীকৃতি দিচ্ছি, তার গুরুত্বটা বুঝতে শিখেছি, এবং এমন কি, পারিসংখ্যায়নিক নানা হাতিয়ার দিয়ে আমরা এই অনিশ্চয়তাটাকে মাপতেও পারছি --- এইটা দারুণ ব্যাপার। 
     
    কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা এতসব জটিল ফর্মুলা দিয়ে ঠিক কীসের অনিশ্চয়তা মাপছি? দুটো ব্যাপারের মধ্যে যে সম্পর্কটা দেখতে পাচ্ছি সেটা কতদূর সত্যিকারের কার্যকারণ এবং কতদূর কাকতালীয় --- এটাই তো? 
     
    যদি তাই হয়, তাহলে তার আগে 'কার্যকারণ বলে একটা বাস্তব ব্যাপার আছে, এবং এই বিশেষ ক্ষেত্রে আমি ঠিক সেটাই খুঁজছি' --- এই পূর্বানুমানটা থাকতে হবে, তা না হলে আর অনুসন্ধানের কোনও মানেই থাকবে না। এ পূর্বানুমানকে মেটাফিজিক্যাল বলুন, অন্টোলজিক্যাল বলুন, একে থাকতে হবে। 
     
    সংখ্যাতত্ত্বের জটিল হিসেব নিকেশের ভিড়ের মধ্যে এই আসল কথাটাকে হারিয়ে যেতে দেওয়া চলে কি? 
  • অরিন | 2404:4404:1732:e000:74dc:1634:d59f:***:*** | ১৬ জুলাই ২০২৪ ১১:৪৫534762
  • "যদি তাই হয়, তাহলে তার আগে 'কার্যকারণ বলে একটা বাস্তব ব্যাপার আছে, এবং এই বিশেষ ক্ষেত্রে আমি ঠিক সেটাই খুঁজছি' --- এই পূর্বানুমানটা থাকতে হবে, তা না হলে আর অনুসন্ধানের কোনও মানেই থাকবে না। এ পূর্বানুমানকে মেটাফিজিক্যাল বলুন, অন্টোলজিক্যাল বলুন, একে থাকতে হবে"
     
    এই সেন্টিমেন্টের সঙ্গে ১০০% সহমত।‌
    এবার এই পুর্বানুমানকে কেন্দ্র অরে নানান ভাবে বিচার করার ব্যাপার। আসলে কার্য এবং কারণ,এর নির্ণায়ন অতি জটিল এবং দীর্ঘ প্রক্রিয়া। এর সবটা সংখ্যাতত্ত্বের ব্যাপারও নয়।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:347a:747c:f2e9:***:*** | ১৬ জুলাই ২০২৪ ১১:৪৮534763
  • "যদি তাই হয়, তাহলে তার আগে 'কার্যকারণ বলে একটা বাস্তব ব্যাপার আছে, এবং এই বিশেষ ক্ষেত্রে আমি ঠিক সেটাই খুঁজছি'"
     
    ঠিক, আর এটাই এক্সপ্লোরেটরি রিসার্চ বা ইন্ডাকটিভ রিজনিং এর জায়গা। 
  • Debasis Bhattacharya | ১৬ জুলাই ২০২৪ ১৪:২৪534767
  • যাক, তাহলে তো সকলেই একমত!
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন