এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ধ্যান ও স্নায়ুবিজ্ঞান - দ্বিতীয় পর্ব: বিজ্ঞানের সন্ধানে পাঁচটি চরিত্র 

    অরিন লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৬ জুন ২০২৪ | ৪৬৯ বার পঠিত
  • | |

    (Source: Forest bathing, Greater Good, Berkeley)
     
    [ এটি একটি প্রবন্ধ সংকলনের অন্তর্গত। আমরা দেখবার চেষ্টা করছি ধ্যান বিষয়টিকে বিজ্ঞানের বিশেষত স্নায়ুবিজ্ঞানীরা কিভাবে দেখেন । এবারের পর্বে আমরা দেখছি ধ্যান ও ধ্যানের সঙ্গে আরো পাঁচটি বিষয় - ডিফল্ট মোড নেটওয়ার্ক, নিউরোপ্লাস্টিসিটি, মানব-মন-প্রবাহ, অন্তর্বীক্ষন , এবং MBSR এদের কি সম্পর্ক বা এদের সম্পর্কে একটি প্রাথমিক ধারণা, পরে এই বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচনা করা যাবে । আপনাদের মন্তব্য বা মতামত প্রার্থনা করি ]
     
    পর্বসূচী 
     
    প্রথম পর্ব এখানে 
    (এটি দ্বিতীয় পর্ব)
    তৃতীয় পর্ব এখানে 
     
    ধ্যানের সপ্তপদী 
     
    গত পর্বে ধ্যান ব্যাপারটি কি তাই নিয়ে একটু লেখা হয়েছিল, তার মধ্যে আমরা বিশেষ করে mindfulness meditation নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেছিলাম । ধ্যান বস্তুত পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র মানুষের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত,প্রতিটি ধর্মে রয়েছে, ভারতেই অন্তত আড়াই হাজার বছরের অধিককাল ধরে চলে আসছে । শারীরবিজ্ঞান বা মনোবিজ্ঞানে ধ্যানের চিকিৎসাগত প্রয়োগ অপেক্ষাকৃত নবীন, আমরা যতদূর জানি ১৯৭৯ সন নাগাদ জন কাবাত  জীন আমেরিকার  ম্যাসাচুসেটস এর একটি হাসপাতালে একদল বহুদিন ধরে ভোগ chronic pain  (দীর্ঘদিনের ব্যাথায় ভোগা) এ ব্যাথায় ভোগা একদল রুগী, যাদের প্রায় অন্য সব চিকিৎসক হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন, অমন কিছু মানুষের ওপর ধ্যানের কি প্রভাব প্রয়োগ করতে গিয়ে অভূতপূর্ণ এবং অপ্রত্যাশিত কিছু ব্যাপার লক্ষ্য করেন, এবং তার পর থেকে ধ্যান  ব্যাপারটা যে মনোবিজ্ঞানে ব্যবহার করা যায়, তার স্বপক্ষে আরো নানান গবেষণা হয়েছে । এখন ধ্যান তো আর শুধু এক প্রকার নয়, একটা দু সশ্রদ্ধ ব্যাপী দুনিয়া জুড়ে প্রচলিত প্রথার নানান বহিঃপ্রকাশ, তাকে এক কাঠি ব্যাখ্যা করা অসম্ভব । তবে মোটামুটি আমরা দু রকম ধ্যানের কথা এখানে লিখব, (১) যে ধ্যান করার সময় আপনি মন "খোলা" রেখে যা যা মনের মধ্যে ধারণার উদয় হবে, তাদের "নামকরণ" করে "ভাসিয়ে" দেবেন, একে ইংরেজি ভাষ্যে "open awareness meditation " নাম অভিহিত করা হয় (বাংলায় আমি এর একটা লঘু ধরণের অনুবাদ করেছি, "মনোনিবেশের ধ্যান", তা এই অনুবাদ হয়তো ঠিক মতন হয় নি, তাহলেও এইটেই এই লেখায় ব্যবহার করবো আপাতত, পরে দেখা যাবে) । (২) আরেক ধরণের ধ্যান হয়, যেখানে একটি বিশেষ বিষয়ের ওপর মন কে একাগ্র করে রাখতে হয়, যেমন ধরন কোন শব্দ, বা কোন ছবি, বা কোন মানসিক ধারণা । তার ইংরেজি নাম দেওয়া হয়েছে "Focused Attention " ধরণে ধ্যান । এখানে যেহেতু "Focused " কথাটা ব্যবহার করা হয়েছে, অতএব ধ্যান করার সময়ে মনে যে সমস্ত ধারণার উদয় হবে, তাদের "দূরে সরিয়ে" রেখে যে বিষয়টির ওপরে "ফোকাস" করার কথা, শুধু সেটাতেই মনসংযোগ করতে হবে । এখন ধ্যান কথাটাই "মনসংযোগ" করার প্রায় নামান্তর বলা যেতে পারে । তো এখন ধ্যান বলতে আমরা যে ব্যাপারটির এই প্রবন্ধে চর্চা করছি তাতে একটি বিশেষ অবস্থা ইত্যাদির ওপরে মন কে একাগ্র করে রেখে অন্যান্য সব বিষয় থেকে মন কে "সরিয়ে" নিয়ে রাখার একটি ব্যাপার রয়েছে, এবং এই যে নানান এলোমেলো চিন্তা মনে উদিত হয়, তাদের প্রতিও নজর রেখে কিন্তু তাতে "মেতে" না ওঠার একটা ব্যাপার রয়েছে । এখন এই ব্যাপারগুলো মানুষের মনের সহজাত প্রবৃত্তি নয় বলে ধ্যানের এক ধরনের শিক্ষার প্রয়োজন হয় । তা সে শিক্ষা মানুষ নিজে নিজেকে বই পুস্তিকা ইত্যাদি পরে নিজে দিতে পারেন, বা কোন "শিক্ষকের" বা "গুরুর" তত্ত্বাবধানে অর্জন করতে পারেন । আরো একটি কথা লেখা এখানে উল্লেখযোগ্য যে ধ্যানের সঙ্গে যদিও ধর্মের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে, আমাদের এই প্রবন্ধে আমরা ইচ্চ্ছাকৃতবাবেই সে বিষয়ে কোনো রকম আলোচনায় যাব না । 
     
    আমরা যে ধরণের ধ্যান নিয়ে আলোচনা করছি, তাকে যদি "step by step " লিখি, তাহলে এইরকম দাঁড়াবে:
     
    ১) কোন একটি স্থানে আরাম করে "উপবেশন" করুন (শুধু যে মাটিতে আসন পেতে বসতেই হবে, এমন নয়, আপনি দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন, আপনি চেয়ারে বসতে পারেন, আপনি হাঁটতে হাঁটতে ধ্যান করতে পারেন, এমনকি আপনি শুয়েও ধ্যান করতে পারেন, তবে সাধারণত কোন একটা সমতল জমিতে আরাম করে একটি আসন পেতে বসে ধ্যান করাটাই অনেকে দস্তুর বলে মনে করেন) 
    ২) এবার শিরদাঁড়া আলম্ব রেখে স্থির হয়ে বসে চোখ বন্ধ করুন (চোখ খুলেও রাখতে পারেন, বা সামনের দিকে মাটির দিকে তাকিয়ে থাকতে পারেন, যেমন অভিরুচি, কিন্তু চোখ বন্ধ করতে চোখের মাধ্যমে বহির্জগতের সংবেদন মনে বা চেতনায় প্রবেশের সম্ভাবনা ঈষৎ কম হয় এই ধারণা থেকে চোখ বন্ধ করার কথা অনেকে বলেন)
    ৩) হাত দুটি আপনার কোলে রাখুন (অনেকে হাঁটুতেও হাত রাখেন, এখানেও কোন নির্ধিষ্ট কিছু থাকার কথা হয়, যাতে আপনার সুবিধে হয়), শুধু খেয়াল রাখবেন যেন শরীর স্থির থাকে 
    ৪) একটি নির্ধিষ্ট সময় স্থির করুন (ধরুন আধ ঘণ্টা, তার জন্য আধুনিক কালে নানার রকমের টাইমার পাওয়া যায়, আপনার সেল ফোনেই পাবেন, বা অনেকে নানান রকমের মেডিটেশন app ব্যবহার করেন, আপনি তও ব্যবহার করতে পারেন, আপনার যা অভিরুচি) । 
    ৫) করে, আপনার নিশ্বাস প্রশ্বাস এর প্রতি লক্ষ্য স্থির করুন । মনে মনে কল্পনা করুন কোথায় আপনার নাসারন্ধ্র, তার মধ্যে শ্বাস প্রশ্বাস এর বায়ু প্রবাহিত হচ্ছে, সেই পথটিকে, শুধু এই যে শ্বাসবায়ু আসছে যাচ্ছে, সেইদিকে নজর স্থির করে রাখুন (এখন এখানেও এটিই যে করতে হবে তার কোন মানে নেই, শ্বাস কেন, আপনার শরীরের কোথাও ব্যাথা বেদনা হলে, সেইদিকে নজর রাখতে পারেন, পায়ের পাতায় কি ধরণের সংবেদন হচ্ছে, তার প্রতি নজর রাখতে পারেন, মনে কোথাও কোন ভাব উদিত হলে তার প্রতি নজর রাখতে পারেন, এমনকি বৌদ্ধধর্মে যে কাযগত সতী  নামের ধ্যানের কথা বলা আছে, সেখানে পর্যায়ক্রমে পায়ের পাতা থেকে মাথার ওপর অবধি নজর দেওয়ার কথা বলা হয়, সেটিও করতে পারেন, তবে আপাতত স্বাশ প্রশ্বাসের দিকে নজর দিলেই হবে) 
    ৬) আমরা সাধারণত মিনিটে ১২ বার শ্বাস নিই  । আপনি মনে করতে পারেন ৩০০ শ্বাস পর্যন্ত গুনবেন, এক , দুই, তিন, ... করে করে । বা তা না করে শুধুই স্বাশ প্রশ্বাসের দিকে নজর টুকু রাখবেন । এখন এই কাজটা শুরু করার সময় দেখবেন অবধারিত ভাবে মনে নানান রকমের ধারণা বা চিন্তার উদয় হবে, কিছু ভাল চিন্তা, কিছু দুশ্চিন্তা । এই ধ্যানে শুধু এইটুকুই করতে পারেন, যে এই সমস্ত চিন্তা কে একটি করে "নাম" দিন । যেমন ধরুন, আপনার মনে চিন্তার উদয় হল যে অমুক বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনা করার কথা ছিল, হয়ে ওঠেনি, আপনি উতলা হয়ে তখনি পড়বার উদ্যোগ না করে, তাকে একটা নাম দিলেন, "পঠিতব্য", ইত্যাদি । তারপর আবার স্বাশ প্রশ্বাসের দিকে নজর ফিরিয়ে আনলেন ।
    ৭) এরকম করে চলতে চলতে এক সময় আপনার অ্যালার্ম বাজবে, আপনি আপনার আসন স্থল থেকে উঠে বা যে কাজে ধ্যান করছিলেন, সেই কাজ থেকে ধ্যান করা বন্ধ করে দেবেন, ও দৈনিক কাজে ফেরত আসবেন ।
     
    তো এই হচ্ছে ধ্যানের ব্যাপার । ব্যাপারটা একেবারেই প্রাত্যহিক হাতে কলমে করে দেখার ব্যাপার । এর সঙ্গে আমাদের মস্তিষ্ক বা স্নায়ুর কি সম্পর্ক ? এই বিষয়টি নিয়েই এই লেখা । তবে সে সমস্ত বিষয়ে প্রবেশ করার পূর্বে চার কি পাঁচটা বিষয় আলোচনার রয়েছে, পর্যায়ক্রমে আসবে:
     
    আরো পাঁচ 
     
    (১) এর ইংরেজি নাম, "Default Mode Network ", মস্তিষ্কের একই বিশেষ অংশে নানারকমের তরঙ্গবাহিত চেতনা নিয়ে কিঞ্চিৎ আলোচনা করার আছে । 
    (২) Neuroplasticity , এরও  বাংলা কি প্রতিশব্দ হতে পারে আমার জানা নেই, আপনার কেউ জানলে ও জানালে বাধিত হব । এতে দেখা যাচ্ছে যে আমাদের মস্তিষ্ক একটা স্থায়ী, জড়পিণ্ডবৎ কিছু ব্যাপার নয়, আমাদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার ফলশ্রুতিতে মস্তিষ্কের বিভিন্ন কোষের বৃদ্ধি (কলেবর বৃদ্ধি থেকে শুরু করে কাজকর্মের উৎকর্ষসাধন ইত্যাদি নানাবিধ ব্যাপার স্যাপার হয়), তার সামগ্রিক নাম দেওয়া হচ্ছে neuroplasticity 
    (৩) Flow , এও একটি ইংরিজি শব্দ, এরও বাংলায় কি ঠিক ঠিক প্রতিভাষ্য হতে পারে আমার জানা নেই, আমি এই লেখাটির প্রয়োজনে এর নাম দিয়েছি "মনপ্রবাহ " । ব্যাপরটি প্রথম বৈজ্ঞানিকী প্রথায় গবেষণা করেন মিহলি জিকসেনমিহালি নামক এক মনোবিদ, তিনি দেখেছিলেন যে মানুষ যখন খুব গভীর ভাবে কোন বিষয় নিয়ে কাজ করে বা একাগ্র বা একাত্ম হয়, তখন এক অদ্ভুত অনুভূতি এবং মানসিক অবস্থাপ্রাপ্ত হয় । তখন কাজ হতে থাকে কিন্তু কাজের বোধ হারিয়ে যায় সেই তন্ময় অবস্থায়, কতটা সময় অতিবাহিত হল সেই বোধ অবলুপ্ত হয় । এ ব্যাপার অনেকের মধ্যে লক্ষিত হয় যেমন পর্বতারোহী, খেলোয়াড়, নৃত্যশিল্পী, বৈজ্ঞানিক, লেখক, কবি, সংগীতকার, গায়ক, যাঁরা বাজনা বাজান, ইত্যাদি মানুষের মধ্যে । তো এর সঙ্গে মনের কি সম্পর্ক তাই নিয়ে এবং বিশেষ করে ধ্যানের কি সম্পর্ক এই নিয়ে প্রচুর লেখালিখি হয়েছে, সেগুলো কিছুটা একত্র করে আলোচনার জায়গা রয়েছে এখানে ।
    (৪) Interoception , এ জিনিসের ঠিক কি বাংলা প্রতিশব্দ আমি জানি না, আমার এই প্রবন্ধে আলোচনার প্রয়োজনে আমি এর নাম দিয়েছি অন্তর্বীক্ষন । ব্যাপারটি এই রকম, আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সঙ্গে আমাদের মস্তিষ্কের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে । শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের সঙ্গে স্নায়ুবাহিত হয়ে সেই সমস্ত সংবেদন মস্তিষ্কে প্রবেশ করে এবং মস্তিষ্ক তাদের নিয়ন্ত্রণ করে । যেমন ধরুন আমাদের হৃদয় (heart ), তার কাজকর্মের সঙ্গে মস্তিষ্ক (brain ) এর নিবিড় যোগাযোগ । এবার আপনি কি আপনার হার্টবিট নিজে "সুস্থ" অবস্থায় "বুঝতে" পারেন? অনেকে পারেন না, কেউ কেউ পারেন । এমন মানুষদের নিয়ে গবেষণা করে , মানুষের অন্তর্বিক্ষন নিয়ে তার সঙ্গে আমাদের মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বেশ কিছু সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, তা থেকে বেশ কিছু জানা গেছে । তা এর সঙ্গে ধ্যান ব্যাপারটির কি সম্পর্ক, এই নিয়ে কয়েকটি বিষয় এই লেখায় আসবে, কারণ ধ্যান, মস্তিষ্ক, এই নিয়ে আলোচনা করতে গেলে এই বিষয় গুলো অবহেলিত রাখা যাবে না ।
    (৫) MBSR (Mindfulness Based Stress Reduction ), বাংলায় এর একটা অনুবাদ হতে পারে "মনোনিবেশে হেতু ষ্ট্রেস এর কম হওয়া " (অতি বাজে অনুবাদ, আপাতত তাই MBSR কথাটাই রইল) । এই ব্যাপারটি থেকে আধুনিক মনোবিজ্ঞানে ধ্যান ব্যাপারটার প্রয়োগের সূত্রপাত হয়েছিল এবং ধ্যানকে কেন্দ্র করে যত রকমের বৈজ্ঞানিক গবেষণা হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে অন্তত স্বাস্থ্য জগতে হয়েছে (অন্তত ৮০০ প্রাথমিক গবেষণা পত্র যাতে রান্ডমাইজড কন্ট্রোল্ড ট্রায়াল বর্ণিত , খান তিরিশ মেটা আনালিসিস , সব মিলিয়ে এক বিপুল গবেষণা সম্ভার যেখানে মানব মন এবং শরীরে  ধ্যানের উপকারিতা ও তাৎপর্য নিয়ে বিস্তর লেখালিখি হয়েছে এবং হয়ে চলেছে । 
     
    এই পাঁচটি বিষয়কে সংক্ষিপ্ত আকার দেখার পর এবং তার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তার সংক্রান্ত স্নায়ুবিজ্ঞানের বিষয়সমূহের দিকে দেখবো, এবং তামানুষের মনে র সঙ্গে ধ্যান বিষয়টির পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনাও করব । ধ্যান ব্যাপারটির মূল লক্ষ্য আমাদের মনে এক ধরণের সমতা আনা  (এক ধরণের "balance "), এবং মনে করা হয় এই ধরণের সমতার অবস্থাপ্রাপ্ত হলে চারপাশের টানাপোড়েনের মধ্যেও মনে এক ধরণের নিবিড় শান্তি যদি বিরাজমান হয়, তাহলে নানান ধরণের অসুখ এবং সামাজিক ঘাত প্রতিঘাত  থেকে বেঁচে একটি সুস্থ জীবন যাপনের অবস্থায় উপনীত হওয়া সম্ভব হবে । 
     
    (দ্বিতীয় পর্ব সমাপ্ত ) 
     

     
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | |
  • ব্লগ | ১৬ জুন ২০২৪ | ৪৬৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন