এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  গপ্পো

  • বড় কাঁটাটি ; ছোট কাঁটাটি 

    তামিমৌ ত্রমি লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৫০৬ বার পঠিত
  • বড় কাঁটাটি ; ছোট কাঁটাটি
    তামিমৌ ত্রমি 

    আমি বড় কাঁটাটি। মূলত: আমি একটি চোরকাঁটা। ছোট কাঁটাটির চেয়ে দৈর্ঘ্যে একটু বড়। কৃষ্ণ মথুরায় চলে গেছে।। সে নাকি আর ফিরবে না। প্রথমে বিশাখার মুখে কথাটা শুনে রাইয়ের ঠোঁটের দক্ষিণ কোণটুকু ঈষৎ বেঁকে গিয়েছিল। কিন্তু মহাকাব্যে কিছু একটা অনর্থ হলেই শৃগাল কুকুর ডাকে, ঘোর অশনিপাত হয় আর নায়িকারা ঠিক টের পেয়ে যান মুহ্য থেকে মান আর বেশি দূরে নেই। সমবেত কান্না, বিলাপের  ঝোড়ো হাওয়ার মধ্যে রাই ছুটলেন, ঝঞ্ঝাবতী..

    পাড়াঘর, রাস্তাঘাট, দোকানপাট পেরিয়ে যমুনার তীর ধরে ছুটতে লাগলেন রাই। সেই তীরের ঘাস,  ঝোপ ঝাড়ের মধ্যেই লুকিয়ে ছিলাম আমি। রাইয়ের পায়ের পাতা আমাকে বিদ্ধ করল। আমি ছুটতে লাগলাম তার সঙ্গে। রাই যত ছোটেন আমি তত তার গভীরে প্রবেশ করি, রাইরাণীর দু:খ তাঁর পা থেকে রক্তাশ্রু হয়ে ঝরে ভিজিয়ে দেয় পথ ঘাট, বনারণ্য। আমার নিজেকে অপরাধী মনে হয়। কেন যে আমার শরীরের উপর তাঁর পা পড়ল? এমনিই তাঁর হৃদয় থেকে গলিতলাভাস্রোত ঝরছে, তার উপর বাহ্যিক ব্যঞ্জনার এই প্রকাশ কি খুব দরকার ছিল? 

    রাই ছুটছেন। কত স্মৃতি! বেশ তো ছিলেন বৃষভানু গোপের কন্যা; আয়ান ঘোষের ঘরণী।  সুখে দু:খে চালে ডালে দুধ মাখনের মসৃণ মোচনে কেটে যাচ্ছিল জীবন। কেন যে সে এল! কুলবধূর প্রাথমিক নিকষ নিস্পৃহ শীতলতার মধ্যে বিষাক্ত কালীয় প্রেমের অনুপ্রবেশ করিয়ে যে অঘটনের সে সূত্রপাত করল, আজ সেই প্রেম যখন রাইকে পাকে পাকে জড়িয়ে ফেলেছে, তখন তিনি চললেন মথুরা৷ এ-ও কী সম্ভব! 'কুলটা'  হওয়ার পর স্বামী শাশুড়ি  ননদের কাছে তাকে কম বজ্র হেনস্থা কড়মড়ে তিরস্কার সহ্য করতে হয়েছে..
    কিন্তু রাই কোনকিছুই গ্রাহ্য করেননি, তাঁর মাথার উপর গোবর্ধনের মতো এক বিরাট অটল পার্বত্য আশ্রয় ছিল। আর ছিল মৃত্যুর মতো বাঁশির সুর। না চাইলেও সেই সুরের পথে যাত্রা করা ছাড়া তাঁর  আর কোন কর্তব্য ছিল না। 

    রাই সেই মরণ রে'র অভিমুখে যাত্রা করেছেন। আমি, এই বড় কাঁটাটি তাঁর সঙ্গী।।শুধু আজ নয়, আমরা বর্ষার ঘনঘোর সুখের দিনেও তাঁর সহায় ছিলাম। বাঁশির সুর শুনে রাইরাণী যখন যমুনার তীরপ্লাবিত পিচ্ছিল মাটিতে প্রায় আছাড় খেতে খেতেও কোনমতে সামলে নিয়ে ছুটতেন, আমরা তাঁর পায়ে বিঁধে গিয়ে যাত্রায় বিলম্ব ঘটানোর চেষ্টা করতাম।। তিনি কিন্তু আমাদের গ্রাহ্য করতেন না। অত সময় নেই তাঁর আমাদের পিছনে সময় নষ্ট করার। তাঁর সবটুকু সময় যে বাঁধা পড়ে আছে বাঁশির কাছে। তিনি আমাদের নিয়েই ছুটতেন। জলে কাদায় রক্তে তাঁর পা দুখানি গুমোট আকাশে হঠাৎ ছুটে আসা এলোমেলো হাওয়ার মতো অসংজ্ঞায়িত হয়ে উঠত। এভাবে পাগলপারা নীল বসনা রাইরাণী যখন গিয়ে কদম তলায় পৌঁছোতেন, তখন বৃষ্টি সূঁচে সমস্ত মিলন দৃশ্যটা সেলাই হয়ে যেত।

    আজও তিনি ছুটতে ছুটতে এসে পৌঁছোলেন ব্রজের প্রান্তসীমায়। রথ - বিন্দুর  মিলিয়ে যাওয়া  ঘর্ঘর ধ্বনির সঙ্গে যশোদা ও অন্যান্য গোপিনীদের হাহাকান্না মিলে মিশে দু:খী নির্ঝরের স্রোতবিলাপের মতো শোনাচ্ছে। তবে রথ যে ধুলো উড়িয়ে গেছে তারা এখনও রোদে সোনাপাখির মতো ঝকঝকে হয়ে উড়ে বেড়াচ্ছে। সেই ধুলোয় রাইয়ের চোখ জ্বালা করতে শুরু করল। রাই ফেরার পথ ধরলেন। 

    আমি ছোট কাঁটাটি।  বড় কাঁটাটির চেয়ে একটু ছোট। অদৃশ্য হয়ে যাওয়া রথের ধুলো গায়ে মাখতে মাখতে ধীর ও ক্লান্ত  রাইরাণীর ঘরে ফেরার সময়ে তাঁর অন্যমনস্ক পায়ে আমি ফুটে যাই। তিনি আমাকে নিয়েই চলতে শুরু করেন। বড় কাঁটার সঙ্গে আলাপ হল ইত্যবসরে। সে তো বেশ গভীরে প্রোথিত হয়ে রয়েছে দেখলাম। আমার ফোঁড় অত পোক্ত ছিল না। তবু তিনি আমাকে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টাটুকু করেননি।  অবাকই হয়েছিলাম। উপড়ে ফেলার জন্যই তো আমাদের জন্ম। তখন বড় কাঁটাটি আমাকে তাঁর বৃত্তান্ত বললেন। আমি দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। 

    রাইরাণী বাড়ি পৌঁছেই ঘরে দোর দিলেন। যেহেতু বড় কাঁটার মতো আমি তাঁর চরণের অতটা গভীর অবধি চারিয়ে ছিলাম না, তাই চৌকাঠে পায়ে ঘষা লাগতেই আমি আলগা হয়ে তাঁর পা থেকে পড়ে গেলাম দরজার সামনে। ভিতর থেকে শিকল তোলার আওয়াজ হল। 

    ঠিক তখনই আয়ান এসে দাঁড়ালেন বন্ধ দরজার সামনে। ঝুঁকে কান পাতলেন। আমি, ঠিক এই সময়ে আয়ানের পায়ে বিঁধে গেলাম।  রক্তের সঙ্গে সঙ্গে তার হৃদয়ও খানিক আস্বাদন করার সুযোগ ঘটে গেল। ভিতরটা তার পুঁজাচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে  সেই কতদিন থেকে। একটি দীর্ঘশ্বাস বিলিয়ে দিলেন হাওয়ায়। এই দিনটার অপেক্ষাতেই ছিলেন তিনি। এই সময়টা আজ নয় কাল যে জীবনে আসারই ছিল, তা তিনি বিলক্ষণ জানতেন। 

    রোদ তাতিয়ে মারে, কিন্তু প্রলেপ  জ্যোৎস্নাই দেয়। আয়ান তো সেই নওলকে  দেখেছেন কতবার। তার অভিজ্ঞ বিষয়ী চোখ একটা কথা স্পষ্ট বুঝেছে ঐ দগ্ধ অনলকান্তি বেশিদিন বৃন্দাবনে গো গাভী চরিয়ে বেড়াবার মানুষ নয়। তার জন্য গোটা জগৎটা যেন আড়ষ্ট হয়ে আছে  কিন্তু সেই জগতটার নাগাল সে পায় না বলেই নিজেও ক্ষেপে থাকে, আশেপাশের লোককেও ক্ষেপিয়ে বেড়ায়। 

    আজ হয়তো নিজের প্রকৃত ঠিকানা সে খুঁজে পেয়েছে তা- ই একবারের জন্যও পিছন ফিরে তাকাল না কিন্তু রাই কী করে পারল! 

    না, আয়ান কালীয় দমন করতে পারেন না, গোবর্ধনের গুহায় রাইকে বুকে করে বাঁশি বাজিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিতে পারেন না, কিন্তু রাই যখন ক্লান্ত মন্থনে মাখন তুলতে ব্যস্ত সেই ফাঁকে তাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে তার খোঁপায় জুঁই ফুলের মালা তো পরিয়ে দিয়েছেন কত সন্ধ্যেয়।  কত দুপুরে তার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছে রাই। কাঁধ টনটন করে উঠেছে তবু সরিয়ে নেন নি আয়ান...যদি রাইয়ের ঘুম ভেঙ্গে যায়! এইসব  স্ফুলিঙ্গেরা কি নিপাট  দাম্পত্য - প্রদীপের ইন্ধন হওয়ার পক্ষে যথেষ্ট নয়?  

    আয়ান তো নায়ক নন। তিনি অতি সামান্য মানুষ।  কিন্তু সাধারণ মানুষের এটুকু ভরসা আর গর্বের জায়গা তো থাকবে যে সে এই সমাজের চোখে যতই অপাংক্তেয় হোক, ঘরের মানুষের প্রেমাঞ্জনে সে সদাবিশিষ্ট। আয়ান যতটুকু কম, রাই তার ভালোবাসা দিয়ে তাকে ততটুকু বাড়িয়ে নেবে, এই তো ছিল প্রাণে প্রাণে জোড় লাগার শর্ত। সেটুকু মাটিও এইভাবে কেড়ে নিতে হবে তাঁর আটপৌরে চরণ থেকে?

    আয়ান ঝুঁকে পড়া মাথাটা ধীরে ধীরে তুললেন। আমি আরও বেশি করে বিঁধে গেলাম। খুব ধীরে ধীরে দরজায় করাঘাত করলেন তিনি। ভেতর থেকে কোন শব্দ এল না। আয়ান জানেন, ভেতর থেকে সাড়া পেতে পেতে, শিকল খুলে দরজার পাল্লা দুটো একটুকু ফাঁক করে মুখ বাড়াতে বাড়াতে সহস্র জীবন পেরিয়ে যাবে। হয়তো এরপর থেকে কেউ আর কারো চোখে নয়ন রাখতে পারবেন না বা নয়ন-কোটরে দৃষ্টির বদলে থাকবে মাটির ঢেলা বা বিশ্বরূপ..

    তবু সুর আয়ানেরও আছে। প্রতিটি প্রেমিক হৃদয়েরই একটি স্বকীয় সুর থাকে। সেইটে ঠিক করে কেউ বাজাতে পারে; কেউ পারে না। তাই আয়ানকে এবার থেকে নেই বাঁশির সুরের সাধনা করতে হবে। সমস্ত মনকে নেই বাঁশির ঘাটে ঘাটে জড়ো করে ভাসিয়ে দিতে হবে সুরের ভেলা...

     আয়ান আরেকবার ধাক্কা দিলেন দরজায়। ভিতর থেকে কোন সাড়া এল না কিন্তু অনেকক্ষণ ধরে থেকে থেকে যে গোঙানিটা শোনা যাচ্ছিল, সেটা থেমে গেল। 

    চরাচর এখন নিথর
    নিস্তব্ধ। 
    একটি শব্দিত নিবিড়ের অপেক্ষায় আমরা দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে আছি  চিরটাকাল।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • গপ্পো | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৫০৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন