এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  গপ্পো

  • আমি, সুয়োরানি

    তামিমৌ ত্রমি লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৪৯৪ বার পঠিত
  • আমি, সুয়োরানি (গল্পনা)
    তামিমৌ ত্রমি

    এই মুহুর্তে এই পেলব নিশেল ভোরে পাড়ার সমুদয় কুকুরের সঙ্গে আমিও ঘেউ ঘেউ করছি, আপনাদের দু চক্ষের বালি, চার চক্ষের বিষ-  সুয়োরানি।ঘেউ ঘেউ করার জন্য ভোরবেলাকেই বেছে নিলাম কারণ সেইসময়ে আপনাদের মাথা ও মন স্থিতিশীল এবং নতুন চিন্তাভাবনায় প্রয়াসী থাকে।

     আমি এমন একটা ডাস্টবিন, যাতে যুগ - যুগান্তর ধরে ময়লা ফেলা হয়ে আসছে, যার দুর্গন্ধে আপনারা টিকতে পারছেন না অথচ  কোনদিন কারোর মনে হয়নি আমার অন্তর থেকে যাবতীয় গ্লানি টেনে হিঁচড়ে বার করে টর্চচর্চিত ও চন্দনালোকিত করার কথা। 

    সুয়ো দুষ্টু,লোভী,রাক্ষসী,কুচক্রী,আরও যে কত অভিধা আছে আমার। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আপনাদের শত শত অপমান, বর্জ্য,গাদ গিলে আমি দিব্যি বেঁচে আছি আর থাকবও। জাঁকিয়ে 
    তাকিয়ায় হেলান দিয়ে হালকা সবুজ রঙের শরবতে চুমুক দিতে দিতে আপনাদের প্রতিটি ছুরিকাঘাতে 'কেয়াবাত',  'কেয়াবাত' বলতে বলতে আমার মেঘরাজকীয় উজ্জ্বলতা কেউ ম্লান করতে পারবে না সে আপনারা যতই ঢিল মেরে আমাকে দূরে সরিয়ে রাখুন।

    আর কিই বা করার আছে আপনাদের, মরে গেলেও তো স্বীকার যাবেন না যে আপনারা আমাকে ভয় পান। হ্যাঁ ভয় পান। আমার মতো মেয়েদের আপনারা চিরকালই ভয় পান, তাই আমাদের প্রতি এত রাগ, এত ঘৃণা আপনাদের।

    দুয়োরানিকে আপনাদের খুব পছন্দ। হবেই তো!  সে যে কিছু চায় না। সে হাসিমুখে স্বামীর সোহাগ, পা ধোয়া জল, লাথি খায়, রাজা তাকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিলেও  সে একটা প্রতিবাদ করে না। চোখের জলে গঙ্গা যমুনার দৈর্ঘ্য বাড়াতে বাড়াতে এক কাপড়ে প্রাসাদের বাইরে এসে দাঁড়ায়৷  ঘুটেকুড়ানী দাসী বা চিড়িয়াখানার বাঁদী হয়ে বাঁচে। কুঁড়েঘরে থাকে,খুদকুঁড়ো খায়,ছেঁড়া শাড়ি পরে, আর 'আচ্ছে  দিন ' এর কথা ভেবে ভেবে দিনাতিপাত করে। 'ভালো মেয়ের' সোনায় বাঁধানো কপাল পুড়তে দেখলে আপনাদেরও ঠোঁট তিরতির করে, মন - মান্দাস উথাল-পাতাল হয়। সকলের বুক যত দীর্ঘশ্বাসে কেঁপে কেঁপে ওঠে, ততবার আমি কুসুমশয্যায় দু:স্বপ্ন দেখে আঁতকে জেগে উঠি।

      দুয়োর এই দুর্দশা তো আমারই জন্য। আমাকে বিয়ে করে ঘরে তোলার পর থেকে রাজা আমাকে চোখে চোখে হারান। ও রাজাদের দু দশটা অমন বিয়ে করতে হয়, নইলে যে তরকারিতে যথাযথ ফোড়নের ফস জ্বলে না। রাজা একটা বিয়ে করলে সুয়ো দুয়ো চুলোচুলি করে মরবে কেমন করে? 

    হ্যাঁ, আমি ডাইনী, আমি রাজার মাথা খেয়েছি। চিরকাল মেয়েরাই মেয়েদের সর্বনাশ করে, বিশেষ করে রূপকথা আর মহাকাব্যে তো বটেই কারণ  রাজারা তো সকলেই খুব ভালো আর ন্যাকা। মানুষের পেটে যে কুকুরছানা,বেড়ালছানা হয় না, সেই সহজ সত্যটুকু বোঝার মতো ক্ষমতাও তাদের নেই। ছোট খোকা তারা; কথা ফোটে না। 
    আহা,আমার বোকা রাজার ন্যায়বিচার! যখন আমি আমার রূপ গুণ মেধা মোহিনীশক্তি দিয়ে তার মন জয় করি তখন তিনি দুয়োকে রাজপ্রাসাদ থেকে কুঁড়েঘরে পাঠিয়ে দেন। আর, গল্পের শেষে যেই দুয়োর বুদ্ধুভুতুম কলাবতী রাজকন্যা, ঢোল ডগর, সোনার গাছে রূপার পাত নিয়ে ঘরে ফিরে আসে অমনি রাজা তাদের কুঁড়ে থেকে ঢাকঢোল বাজিয়ে রাজপ্রাসাদে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন আর আমার ভাগ্যে জোটে মাথায় কাঁটা হেঁটোয় কাঁটা। এই না হলে রাজরাজেন্দ্র! 

    গল্পের শেষে শুভশক্তির জয় অশুভশক্তির বিনাশ অনিবার্য। তাই আমাকে শাস্তি পেতেই হবে। এখন প্রশ্ন হল, আমি অশুভ কেন? কারণ, আমি যে চাই। রাজা সমুদ্র যাত্রায় গেলে দুয়ো কিছুই চান না অথচ আমার চাঁদের মা বুড়ির বোনা মেঘবরণ শাড়ি চাই, হীরের চুড়ি চাই, সোনার টিয়া চাই। আমি চাই আমার ছেলে রাজা হোক। এই যে আমি চাই, তাইই আমি খারাপ। মেয়েদের কিছু চাইতে নেই যে। রাজারা দয়া করে ক্ষমাঘেন্না করে যা দেবে, তাতেও সাতজন্ম ধন্য না মনে করলে আমি কি করে ভালো হব। সুতরাং আমি খারাপ। কিন্তু কেন চাইব না বলুন তো? 

    আমি তো একটা রক্তমাংসের মানুষ, আমার গুণ আছে, মেধা আছে, উচ্চাকাঙখা আছে, মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার জ্বলন্ত স্পর্ধা আছে অথচ এতকিছু নিয়েও অন্দরমহলের বাইরে পা রাখার ক্ষমতা নেই। খাঁচায় বন্দী চিরায়ত ক্ষুব্ধ বাঘিনীর মতো ঐটুকু পরিসরে বিড়ম্বিত পদচারণা করে দুয়ো'র মতো ভালো মেয়ের আশ মিটতে পারে।  তারা যে আদিপুরুষের বুকের হাড় দিয়ে তৈরি পুংসমাজের খেয়াল আবদারের ফরমায়েশি রক্তমাংসল বন্দোবস্ত... কিন্তু আমার? আমার চাহিদার লেলিহান জিহবালোলের কী হবে? নিজে তো ঘর থেকে বেরোতে পারব না। বিশ্ব জয় করতে পারব না, রাজকার্য বা অন্যান্য বৌদ্ধিক কাজে নিযুক্ত হতে পারব না। 

    সেক্ষেত্রে ঘাড়ের উপরে সদম্ভ মাথাটাকে অটুট রাখার একটাই উপায়, হয় রাজাকে নিজের বশে রাখা, নইলে নিজের ছেলেকে রাজা করা, এছাড়া আর তো কোন পথ নেই।

    তাই সেই চেষ্টাই করে গেছি যতদিন না সতীনের ছেলে মায়াপুকুরের গভীরে গিয়ে বোয়াল মাছের পেট চিরে জিয়ন ঝিনুক ফাঁক করে আমার প্রাণভোমরাকে তরোয়ালে কেটে দু টুকরো করে।

    আমার শয়নগৃহে, যেখানে বিকেলে রাজার বুকে মাথা রেখে বেদানারসিকা সুখস্বপ্নে বিভোর হয়ে থেকেছি, রাতের পর রাত আমার ভালো রাজা আমাকে নিয়ে উন্মত্ত তপ্তস্নাত হয়েছেন, যে গৃহে আমার পুত্রেরা একের পর এক চোখ মেলেছে, সেই শয্যায় যখন গল্পের শেষে আমার মাথাটা অকস্মাৎ খসে পড়ে তখন মহারাজ আবিষ্কার করেন, আমি রাক্ষসী, আমিই তার ঘোড়াশালের ঘোড়া, হাতিশালের হাতি খেয়েছি। রাজা হায় হায় করেন, কপাল চাপড়ান। হায়রে, আমি যেন শুধু নিয়েইছি। কিছুই দিইনি তাকে। আমার জীবনের এতগুলো সকাল, বিকেল, সন্ধ্যে, রাত, আনন্দের দিনের হাসি, দু:খের দিনের হাতধরা,  বিরহ - সন্ধ্যার মান এবং ভঞ্জন, ধুলোর কণার মতো, ফুলের রেণুর মতো আমি যে বইয়ে দিলাম আমার সারাটা জীবন, সে সবই আমার কৌশল ছিল? একটু বেশি চাওয়ার জন্য, একটা কঠিন ও প্রতিকূল সমাজে একটু মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার জন্য এত বড় নির্মম শাস্তি? 

    হে রাজন,, তুমি তো কৌশলী নও, তুমি তো কুচক্রী নও, তাহলে আমার মাথা খসে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার প্রতি তোমার ভালবাসা কী করে উবে যায়?

    আমি যখন রামকে বনবাসে পাঠাতে চাইলাম, তুমি ভুলে গেলে আগের রাত্রেও কী মধুর নর্মসুখ ভোগ করেছিলে আমার সঙ্গতে। বল, বল রাজা দশরথ...সুয়োরানিদেরও বাড়া সুয়ো এই কৈকেয়ীকে উত্তর দাও। গোটা অযোধ্যা জানে,  তুমি রাতের পর রাত কার মহলে অতিবাহিত কর, কাকে তুমি চোখে হারাও। আমার জন্য তুমি বধ্যকে মুক্তি দিতে পার, অবধ্যকে বধ করতে পার, এতটাই প্রিয়া আমি তোমার অথচ সেই প্রিয়া যখন ন্যায় বিচার দাবি করল তোমার কাছে, সে হল কুলনাশিনী, পাপিষ্ঠা। বা রে বা, এতদিন তোমার নয়নের মণি হয়ে জীবন কাটিয়ে শেষে কৌশল্যা হবে রাজমাতা আর আমি হব রাজমাতার দাসী? দাসত্ব করার অভ্যেস তো তুমিই আদর দিয়ে দিয়ে কেড়ে নিয়েছো, এখন মই কেড়ে নিলে হবে রাজন! মন্থরা তো খারাপ কিছু বলেনি। 

    তাও তো গোঁসা করার সময়ে মুখ ফুটে সেই কথাটা বলিনি। তাহলে পৃথিবীসুদ্ধ লোক যে মহাকাব্যের নায়কের জন্মদাতাকে কপট বলে গালাগালি দেবে, সে আমিও চাইনি। কিন্তু তোমার সত্যসন্ধ পুত্র রাম  সেকথা গোপন করেননি। মূর্খ ভরত যখন সিংহাসনে জাঁকিয়ে বসার পরিবর্তে রামকে ফিরিয়ে আনতে গেল, তখন রাম ভরত ও লক্ষ্মণকে জানিয়েছে সেই সত্য। আমার পিতা তোমার হাতে আমাকে এই শর্তেই সমর্পণ করেছেন, যে আমার ছেলেই অযোধ্যার সিংহাসনে বসবে। 

    কামুক রাজা, তখন তোমার ন্যায়বিচার ভবিষ্যৎ - চিন্তা আমার সুডৌল বাহু, পীনোন্নত বক্ষ, গুরুভার শ্রোণিদেশ ও পক্ক বিম্বাধরে ন্যস্ত ছিল, তাই না? 

    যেই আমার শরীর, মন, সেবা পাওয়া হয়ে গেল, তুমি পলিতকেশ বিড়ম্বিত মস্তক ঘামিয়ে ছক কষতে বসলে। 

    ভরত আর শত্রুঘ্নকে আমার বাপের বাড়ি পাঠিয়ে চুপি চুপি রামের অভিষেকের তোড়জোড় শুরু করে দিলে। কত শহর, নগরে এই অভিষেকের বার্তা গেল, গেল না শুধু কেকয় রাজ্যে আর মিথিলায়। 

    বাহবা!

    তার চেয়েও আশ্চর্যের কথা, অন্দরমহলের সবাই জানল এই আনন্দাভিষেকের কথা, শুধু আমার গরাদ দিয়ে একটি মাছিও প্রবেশ করল না। রাতারাতি অভিষেকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। পরদিন প্রভাতে অযোধ্যা নগরীতে সাজোসাজো রব। কৌশল্যা অকাতরে সোনা বিলোচ্ছেন দেখে মন্থরা কৌশল্যার এক দাসীকে জিজ্ঞাসা করে তবে জানতে পারল ঘোড়ার মুখের খবর। মন্থরা না থাকলে যে কী হোত আমার! তুমি তো রাজা জাল গুটিয়েই এনেছিলে কিন্তু আমি তা ছিঁড়ে কুটিকুটি করে দিলাম।

    কেন বলতো? কারণ আমি সুয়ো। খারাপ। উচ্চাকাঙ্খী। আমি স্পষ্ট ভাষায় চেয়ে থাকি আর যা চাই, তা পাওয়ার জন্য মরণপণ সংগ্রাম করি। 
    না। রামের প্রতি আমার কোন দ্বেষ নেই। রামকে আমি ভরতের থেকে আলাদা করে দেখিনি কোনদিন আর সত্যিকারের কথা রাম কৌশল্যার চেয়েও আমাকে বেশি যত্ন করে। কিন্তু কৌশল্যার কাছে নত হওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়, কোনমতেই নয়। তাছাড়া রাজার প্রিয়া পত্নী হওয়ার সুবাদে আমি এতদিন ধরে কৌশল্যার প্রতি যে  অবজ্ঞা আর উপেক্ষা ছুঁড়ে এসেছি রাজমাতা হয়ে কৌশল্যা কি তার প্রতিশোধ নেবে না? এই কথাটা মন্থরা ভাগ্যিস মনে করিয়ে দিয়েছিল। ভালোই করেছিল। 

    নিজের পাওনাগণ্ডা বুঝে নেওয়া, নিজের অধিকাররক্ষার জন্য সচেষ্ট হওয়া খারাপ? যে তুমি আমাকে চোখে চোখে হারাতে, সেই তুমি আমাকে আর ভরতকে ত্যাগ করলে, আমার যৌবন, জীবন  সর্বস্ব নিংড়ে নিয়ে তুমি হয়ে উঠলে ন্যায়ের অবতার।

    অথচ যার জন্য এত কাঠখড়ের শ্রাদ্ধ করলাম, এত অপমান সহ্য করলাম, সমগ্র অযোধ্যা নগরীর অভিসম্পাত কুড়োলাম, সেই ছেলে আমাকে বুঝল না। উলটে আমাকেই পাপীয়সী বলে তেড়ে মারতে আসে প্রায়,এই তার ক্ষাত্রধর্ম? মন্থরাকে তো মেরে তাড়াল,  আমাকে গর্ভধারিণী বলে তা করতে পারল না কিন্তু তা করলেই ভালো ছিল। তাহলে বাকি জীবনটা অন্ধ মূক ও বধির হয়ে একটি শাপিত মূর্তির মতো জীবন কাটাতে হোত না। 

    যে পেটের শত্তুরের জন্য এতবড় প্রাসাদবিপ্লব ঘটালাম, সেই ছেলে আমাকে ঋষি ভরদ্বাজের কাছে পরিচয় দিল 'অনার্যা' বলে। এর চেয়ে আমায় হেঁটোয় কাঁটা উপরে কাঁটা দিয়ে পুঁতে দিল না কেন?  

    শুনুন সুধীজন, একটা  উচিৎ কথা বলি। সুয়োরানিদের শেষপাতে দই সন্দেশ জোটে না বলে ভাববেন না যে তারা হেরে যায়। আমরা আছি, থাকব। ভবিষ্যতের মানচিত্র যেমন যা দেখছি, যতদিন যাবে, এই পৃথিবীতে সুয়োদের দৌরাত্ম্য বাড়বে। আমরা সমাজটাকে অতিষ্ঠ করব আমাদের চাওয়ায়, দাঁতে দাঁত চাপা সংগ্রাম করব পায়ের তলার জমিটুকু সুরক্ষিত করতে। 

    রাবণ পোড়াতে গেলে আগে বারুদঠাসা রাবণ গড়তে হয় জানেন তো? আমরা যুগে যুগে ইচ্ছেবারুদ হয়ে জন্মাব, আপনারা আমাদের জ্বালিয়ে পুড়িয়ে আনন্দ পাবেন, আপনাদের মহানায়করা আমাদের ইন্ধনে মহানায়কত্ব পাবেন। তারা যত দেবত্বের দিকে আরোহণ করবেন, আমরা এক এক করে সুতল, বিতল, রসাতলে পর্যবসিত হব। তারপর আসবে মহাপ্রলয়। ধুলো উড়বে। নতুন মাটির বুক খুঁড়ে আবার মুখ তুলবে সদ্যজাত সুয়োপোকারা। তাদের আসন্ন রংবেরঙের ডানাল্পনায় ঝলসাবে আকাশী উদার।

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • গপ্পো | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৪৯৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন