এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • বাংলা ক্যালেন্ডারের উৎস সন্ধানে

    জয়র্ষি লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ১৬ এপ্রিল ২০২৩ | ৭১৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • আমি ইতিহাসের ছাত্র তো নইই, শখের গবেষণাও যে করি তা নয়। ইতিহাস পড়তে ভালো লাগলেও কোন রাজা কোন ক্যালেন্ডার তৈরি করেছেন এই কচকচানিতে আগ্রহ কিঞ্চিৎ কমই। কিন্তু ক্যালেন্ডারের গাণিতিক হিসেব আমার মনে আগ্রহের সঞ্চার ঘটায়। বিভিন্ন ধরণের ক্যালেন্ডার এক বছরের হিসেব বিভিন্নভাবে করে থাকে। পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে এই হিসেব ও তার সাথে ক্যালেন্ডারের সম্পর্ক নিয়ে তাই কথা বলা যায়। বাংলা ক্যালেন্ডার একটি সৌর ক্যালেন্ডার হলেও তার হিসেব যেহেতু সঠিক সৌরবর্ষ অনুযায়ী নয়, তাই সৌরবর্ষের ইতিহাস থেকে বাংলা ক্যালেন্ডারের উৎপত্তি প্রসঙ্গে কিছু কথা বলা সম্ভব।

    প্রথমেই বলে রাখা দরকার ক্যালেন্ডার মূলতঃ তিনপ্রকার, চান্দ্র (Lunar), সৌর (Solar) ও চান্দ্রসৌর (Lunisolar)। এক চান্দ্রমাস = চাঁদের একবার প্রদক্ষিণের মাধ্যমে পৃথিবীর নিরক্ষরেখাকে পরপর দুবার অতিক্রম করার মধ্যবর্তী সময়। জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসেবে এই সময় ২৯ দিন ১২ ঘন্টা ৪৪ মিনিট ২ সেকেন্ড। একারণে চান্দ্রবর্ষ বা চান্দ্রসৌর ক্যালেন্ডার উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রতিটি মাস ৩০ অথবা ২৯ দিনে হয়ে থাকে। এক চান্দ্রবর্ষ তাই ২৯.৫*১২=৩৫৪ দিনে হয়ে থাকে। অথচ এক সৌরবর্ষ প্রায় ৩৬৫ দিনে হয়৷ চান্দ্রবর্ষ তাই প্রতিবছর ১১ দিন করে পিছিয়ে যায়৷ এই হিসেবকে মেটানোর জন্য প্রতি ২ অথবা ৩ বছর অন্তর করে বছরে এক চান্দ্রমাস বাড়ানো হয়ে থাকে কিছু ক্যালেন্ডারে। মাসের হিসেবে চান্দ্রমাস এবং বছরের হিসেবে কখনও ১২, কখনও ১৩ মাস ধরে সৌরবর্ষের হিসাব মেলানো হয় যেসব ক্যালেন্ডারে, তাকে চান্দ্রসৌর (Lunisolar) ক্যালেন্ডার বলে। ভারতের বিভিন্ন ধর্মীয় ক্যালেন্ডার মূলতঃ চান্দ্রসৌর হয়ে থাকে।

    কিন্তু বাংলা ক্যালেন্ডার কোনওভাবেই চান্দ্রসৌর ক্যালেন্ডার নয়। এখানে স্পষ্টতই ১২ মাসে বছর এবং বেশ কিছু মাস ৩০ দিনের বেশী দিন সম্বলিত। আদতে বাংলা ক্যালেন্ডার সূর্য সিদ্ধান্ত মতে গৃহীত বার্ষিক হিসেব মেনে চলে। এই হিসেবে ১ বছর = ৩৬৫ দিন ৬ ঘন্টা ১২ মিনিট ৩৬.৫৬ সেকেন্ড। বাস্তবে, আধুনিক গবেষণার মাধ্যমে জানা যায়, এক সৌরবর্ষ = ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড৷ অর্থাৎ বাংলা ক্যালেন্ডার প্রতিবছর ২৩ মিনিট ৫০.৫৬ সেকেন্ড বেশী সময়কে এক বছর বলে গণ্য করছে। এর ফলে বাংলা বছর হবে ধীরগতির। এমনিতে বাংলা ও গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার দুইয়েই ৩৬৫ দিনে বছর হলেও অতিরিক্ত ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের (বা ৬ ঘন্টা ১২ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড) হিসেব মেলানোর জন্য উভয় ক্যালেন্ডারে লিপ ইয়ার ও অন্যান্য বিশেষ বছরের হিসেব ভিন্ন থাকে। এর ফলে স্বল্প বছরের ফারাকে উভয় ক্যালেন্ডারে ফারাক চোখে না পড়লেও অনেক কিছু বছর অন্তর দুই ক্যালেন্ডারে বিস্তর প্রভেদ চোখে পড়ে।

    একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। ১৮৬১ সালে জন্মগ্রহণ করা রবীন্দ্রনাথের জন্মবর্ষ ২৫শে বৈশাখ সে বছর ৭ই মে পড়েছিল। ১৬২ বছর পর এবছর ২৫শে বৈশাখ পড়েছে ৯ই মে। ২৩ মিনিট ৫০.৫৬ সেকেন্ডকে ১৬২ বছর দিয়ে গুণ করলে দাঁড়ায় ২.৬৮২৩ দিন। অর্থাৎ যথার্থই বাংলা ক্যালেন্ডারের দুদিন পিছিয়ে থাকা প্রকাশ পেল। আরও ২০ বছর পর ২.৬৮ দিন পিছিয়ে থাকা গিয়ে পৌঁছাবে ৩.০১৩ দিনে। অর্থাৎ ২০৪৩ সালে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালিত হবে ১০ই মে। একইভাবে ৮২ বছর আগের ১৯৪১ সালের ২২শে শ্রাবণ ৭ই আগস্ট পড়লেও ২০২৩ এ তা পড়বে ৮ই আগস্ট৷ ৮২ * ২৩ মিনিট ৫০.৫৬ সেকেন্ড = ১.৩৫৭৭ দিন হচ্ছে৷ অর্থাৎ একই হিসেব এক্ষেত্রেও মিলছে।

    এই ভাবে যদি ১৪৩০ বছরে কতদিন পিছিয়েছে তার হিসেব করা হয়, তবে দেখা যাবে ৫৯৩ খ্রিস্টাব্দের ২৩শে মার্চ বাংলা ক্যালেন্ডারের শুভ সূচনা বলে সূচিত হবে। খুবই আগ্রহোদ্দীপক বিষয় এই যে, উক্ত ২৩শে মার্চ সময়টা বসন্তবিষুবের পর সূর্যের উত্তরায়ণের সূচনাকে নির্দেশ করে। ১৪৩০ বছর অনেক দীর্ঘ সময় হলেও জ্যোতির্বিজ্ঞানের এই গাণিতিক হিসাব এতই নির্ভুল যে খুব বেশী হলেও ১-২ দিনের বেশী ভুল হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। ফলে একথা সহজেই অনুমেয় যে উত্তরায়ণই হয়তো সূচনাকালে বঙ্গাব্দের নববর্ষকে সূচিত করত। এই হিসাব থেকে কয়েকটি সিদ্ধান্তে আসা যায়। 

    সিদ্ধান্ত ১: বাংলা ক্যালেন্ডার নিশ্চিতভাবেই সূর্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়ণের কথা মাথায় রেখে তৈরি।
    সিদ্ধান্ত ২: এটা অবশ্যই সূর্য সিদ্ধান্তে এক বছর কত সময়ের, সেই হিসেব লিখিত হওয়ার পরে তৈরি।

    এখান থেকে কয়েকটি সম্ভাবনার জন্ম নেয়।

    সম্ভাবনা ১: যেহেতু এই ক্যালেন্ডার সূর্যের গতি অনুসারে সৃষ্ট, তাই সম্ভবতঃ এটি ফসল তৈরি ও ঋতুপরিবর্তনের নিরিখেই আবর্তিত হত। অর্থাৎ কৃষির প্রয়োজনে তৈরি, সম্ভবতঃ সময়মতো খাজনা ফসল আদায়ের উদ্দেশ্যেই এর সৃষ্টি।

    সম্ভাবনা ২: উত্তরায়ণকে হিন্দুধর্মে শুভ হিসেবে ধরার উল্লেখ মহাভারতেও পাওয়া যায়। তাই বঙ্গাব্দের উৎস কৃষিভিত্তিক না হয়ে ধর্মীয়ও হতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে একটি বড় প্রশ্ন থেকে যায়। বাংলা ক্যালেন্ডারে উত্তরায়ণ ছাড়া আর কোনও ধর্মীয় রীতির উল্লেখ পাওয়া যায় না কেন? সকল ক্যালেন্ডারেই ধর্মীয় রীতিনীতির উল্লেখ থাকে। হিন্দু ও ইসলাম ধর্মে মান্য ক্যালেন্ডারগুলিতে তাই দিনক্ষণ চাঁদের অবস্থান অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। বাংলায় পালিত বিভিন্ন তিথিও চান্দ্রমাস অনুযায়ী পালিত হয়, বঙ্গাব্দের সৌরমাসকে মাথায় রেখে নয়। সৌর ক্যালেন্ডার হিসেবে পরিচিত জুলিয়ান ক্যালেন্ডার যেমন রেজারেকশন মাথায় রেখে বানানো। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার তারই সংশোধন মাত্র। সকল ক্যালেন্ডারের থেকে ধর্মীয় প্রশ্নে ফারাক থাকলেও এবং বাংলা ক্যালেন্ডারের সূচনা উত্তরায়ণকে মাথায় রেখে করলে সেই উত্তরায়ণ কি সত্যিই ধর্মীয় উদ্দেশ্যেই রয়েছে? নাকি সত্যিই এর সাথে ফসলের সম্পর্কই বেশী?

    এবার বাংলা ক্যালেন্ডারের উৎপত্তি খুঁজতে গেলে এই গাণিতিক হিসাবগুলো মাথায় রাখা জরুরি। বাংলা ক্যালেন্ডারের উৎপত্তি খুঁজতে আকবর, শশাঙ্ক, টোডরমলের মত একাধিক তত্ত্ব উঠে আসে। আকবরের সময় ছাড়া কোনওটারই আবার তেমন ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। স্রেফ আকবর নয়, অতএব কোনও একটা এই যুক্তিতে আগে থেকে সমাধান ধরে তারপর সেইমত তথ্যের চেরিপিকিং করে চলা। তাই আরও হাজারও কষ্টকল্পনা থাকলেও সেসব নিয়ে আলোচনায় যাচ্ছি না। কিন্তু আকবরের তৈরি তারিখ-ই-আকবরিই কি বঙ্গাব্দ? অঙ্ক কী বলে, দেখা যাক।

    ১৫৫৬ সালে আকবরের সিংহাসনে আরোহন করার তারিখ জানা যাচ্ছে ১৪ই ফেব্রুয়ারি। এখন এই ১৪ই ফেব্রুয়ারিও আবার সমস্যার। এই হিসাব জুলিয়ান ক্যালেন্ডার মতে না গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার মতে, সেটা জানতে হবে। 

    গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার মতে এক বছর মানে প্রায় ৩৫৬ দিন ৫ ঘন্টা ৫০ মিনিট। জুলিয়ান ক্যালেন্ডার মতে সেটাই ৩৬৫ দিন ৬ ঘন্টা। ইউরোপের অধিকাংশ দেশে ১৫৫৬ সালের অনেক পর অবধিও জুলিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা হত। বহু দেশের রাজা তাদের প্রাচীন ক্যালেন্ডার সংস্কার বশে পাল্টাননি৷ অধিকাংশ জায়গায় ক্যালেন্ডারে বদল আসে ধর্মের প্রাধান্য কমার পর। ফলে আধুনিক সময়ে যখন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা হয়, তখন কিছু তারিখের এদিক ওদিক চোখে পড়ে। যেমন নিউটনের জন্মদিন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার মতে ২৫শে ডিসেম্বর, ১৬৪২ হলেও আধুনিক হিসেবে সেটা ৪ঠা জানুয়ারি, ১৬৪৩। একইভাবে নভেম্বর বিপ্লব পুরনো ক্যালেন্ডার মতে ২৫শে অক্টোবর, নতুন মতে ৭ই নভেম্বর শুরু হয়। সেকারণে ১৫৫৬ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি আদতে কোন ক্যালেন্ডার মতে হিসেব করে দেখতে হবে আদতে ১৫৫৬ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি কত তারিখ ছিল।

    প্রতি জুলিয়ান বছর গ্রেগরিয়ান বছরের চেয়ে প্রায় ১০ মিনিট পিছিয়ে থাকে। ১৯১৭ বছরে তা দাঁড়ায় ১৩ দিনের কাছাকাছি। যা হিসেব সম্পূর্ণ মিলিয়ে দেয়। একইভাবে হিসেব করলে তাই দেখা যাবে ১৫৫৬ বছরে জুলিয়ান বছর এক সৌরবর্ষের চেয়ে পিছিয়ে আছে প্রায় ১০ দিন। অর্থাৎ ১৪ই ফেব্রুয়ারি গিয়ে দাঁড়াবে ২৪শে ফেব্রুয়ারিতে। ১৫৫৬ সালের পয়লা বৈশাখ সর্বোচ্চ ত্রুটি ধরে নিলেও পড়তে পারে ৬-৮ই এপ্রিল। ফলে সিংহাসনে আরোহণের সময় কোনওভাবেই সেই বছরের পয়লা বৈশাখ হতে পারে না, এটা পরিষ্কার। তবে ভারতে অধিকাংশ ক্যালেন্ডারে নববর্ষ পালিত হয় পয়লা চৈত্র। বাংলা, তামিলনাড়ু ইত্যাদি ব্যতিক্রমের মধ্যে পড়ে। আকবর শাসিত দিল্লী অঞ্চলে পয়লা চৈত্র নববর্ষ হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু আজ থেকে ৪৬৭ বছর আগের হিসেব করলে দেখা যাচ্ছে পয়লা চৈত্র ৮ই মার্চ পড়ার কথা। অর্থাৎ এই হিসেবেও ১২ দিনের ফারাক থাকছে। আর যদি সিংহাসনে আরোহণ করার দিনটা জুলিয়ান মতে না হয়ে গ্রেগরিয়ান মতেই হয়ে থাকে, তাহলে পার্থক্যটা ২২ দিনের। ১২-২২ দিনের ফারাকটা ১৪৩০/২০২৩ বছরের হিসেবে খুব ছোট হলেও অগ্রাহ্য করার মত নয়। ফলে অঙ্কের হিসেবে অনুমান করা যায় যে আকবরের সিংহাসনে চড়ার হিসেবে যদি ক্যালেন্ডার চালু হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই সেটা এই ক্যালেন্ডার না। আরও একটা কথা। পয়লা চৈত্র নববর্ষ হলে সেটা উত্তরায়ণের হিসাবের সাথেও মিলছে না। উত্তরায়ণের হিসাব যখন ক্যালেন্ডার থেকে নিজে থেকেই মিলে যাচ্ছে, তখন জোর করে সিংহাসনে আরোহণকে মেলানো কষ্ট কল্পনা।

    ফলে হাতে পড়ে থাকে দুটি সম্ভাবনা।

    ১. আকবর যদি এই ক্যালেন্ডারের সূচনা করে থাকেন, তবে তা কোনওভাবেই আকবরের সিংহাসনে আরোহণকে মাথায় রেখে করা নয়। ৯৬৩ হিজরিতে বানানো এই ক্যালেন্ডার ফসল আদায়ের কারণে উত্তরায়ণকে মাথায় রেখেই বানানো। এতে দুটো সুবিধা। ক. ক্যালেন্ডারে কেন ধর্মীয় প্রভাব নেই, তার জবাব পাওয়া যায়। খ. আকবরের সর্বধর্ম সমণ্বয়ের চরিত্রের সাথে মেলে। কিন্তু প্রধান সমস্যা হল, আকবর তার তৈরি ক্যালেন্ডারে তার সিংহাসনে চড়ার বছরকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে যুক্ত করলেও সিংহাসনে চড়ার দিনটাকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করেছে, এটা নিতান্তই কষ্ট কল্পনা।

    ২. এই ক্যালেন্ডার আকবরের তৈরি নয়। কিন্তু তাহলে কার তৈরি? অঙ্ক দিয়ে এর জবাব পাওয়া সম্ভব না। সেই কাজটা ঐতিহাসিকদের৷ তবে সেই ঐতিহাসিকদের এটুকু সাহায্য করা যেতে পারে যে, ক্যালেন্ডার নিশ্চিতভাবে সূর্যসিদ্ধান্তে সৌরবর্ষের হিসাব লিখিত হবার পরে তৈরি। সূর্যসিদ্ধান্তকে মোট ১৪ অধ্যায়ের একটা জ্যোতির্বিজ্ঞানের গবেষণাগ্রন্থ বলা যায়। এই ১৪ অধ্যায়ের রচনা একবারে হয়নি। ৫০৫ সাধারণাব্দে রচনা শুরু হওয়া এই গ্রন্থে সময়ে সময়ে জুড়েছে বিভিন্ন শ্লোক। অষ্টম শতকেও পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত হয়েছে। বর্তমান রচনা পঞ্চদশ শতকের। ঐতিহাসিক ও ভাষাবিদদের কাজ সৌরবর্ষের হিসাবটা ঠিক কোন সময়ে লিখিত হয়েছে, তা বের করা। বঙ্গাব্দ অবশ্যই তার পরেই তৈরি। অনুমান করা যায় ৫৯৩ সাধারণাব্দে তা সম্ভবতঃ নয়। ফলে শশাঙ্ক প্রমুখও সহজেই বাদ পড়ে যায়।

    অঙ্ক কষে যুক্তিজাল বুনলে তাতে সুবিধা হচ্ছে, পক্ষপাতিত্বের সম্ভাবনা কম। বাদবাকি নির্ভরযোগ্য তথ্যানুসন্ধানটা অবশ্যই ঐতিহাসিকদের কাজ। আশা রাখা যায়, ভবিষ্যতে এই বিষয়ে গবেষণারত ঐতিহাসিকরা এই গাণিতিক সাহায্য নিয়েই তাদের সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৬ এপ্রিল ২০২৩ | ৭১৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন