এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  স্মৃতিচারণ  আত্মজৈবনিক

  • ছন্নছেঁড়া জীবন

    Jayeeta Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    স্মৃতিচারণ | আত্মজৈবনিক | ১৮ মার্চ ২০২৩ | ৯১৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12
    ছন্নছেঁড়া জীবন :   জয়িতা ভট্টাচার্য

    ...সেই থেকে রাত হলো প্রিয়। আমার সখা। বারান্দায় বসে বসে টের পাই টুপটাপ ফুল পড়া, ফুল ফোটা, শিশিরের শব্দ। কেমন শান্ত চারিদিক যেন মৃত্যু। কয়েকটা নাছোড় পতঙ্গ তবু রাস্তার মলিন আলো ঘিরে নাচে। দিনের আলো বড় চোখে লাগে। দিন মানে দুঃখ, দিন মানে প্রবঞ্চনা।

    এক রাতে সে চলে গেল। আমার নিষ্কর্মা প্রতারক পতিদেতার মা। বড় কষ্ট। এত যন্ত্রণা চোখের সামনে। অথচ কিছুই করতে পারছি না। অদ্ভুত অসহায় ভাবে দেখছি তার চলে যাওয়া। গভীর  এমনই এক রাতে হাত জোড় করে আমার কাছে ক্ষমা চাইলো সেই মৃত্যুপথযাত্রী। একটা গান শুনতে চেয়েছিল সে সেইদিন, ইশারায়। আমি জানতাম কোন গান "একা মোর গানের তরী ভাসিয়ে ছিলেম নয়ন জলে" ...দুচোখে অবিরল জলধারা। সে চলে গেল কাচের গাড়িতে। নিঃশব্দ রাতে। বসে থাকি যদি দেখা পাই।

    ঘরে কানাকড়ি নেই। শ্বশুরের মস্তিষ্ক জবাব দিচ্ছিল অনেকদিন। শেষে ছেলেমানুষের মতো। জোর করে চান করানো। খাবার দিলে লুকিয়ে রাখা। ছেলের কথা শুনতেন না। আমার ফিরতে যদি একটু দেরি হতো রাস্তার মোড়ে গিয়ে দাঁড়িয়ে সে। এ দোকান সে দোকানে বলে বলে ঘোরে আমার বৌমা এখনো আসে নি। রেগে যেতাম। চেঁচাতাম। ঝগড়া করে খাওয়াতে হতো। কখন যেন সংসারের লাগাম আমার হাতে। একদিন সেও চলে গেল। শিশু পুত্রের মতো শশুর আমার।

    তখন কন্যা আসবে। আসন্ন প্রসবা আমি। জানলার সামনে ছিলো নিমগাছটা। গরাদ আঁকড়ে ধরে খুব কেঁদেছিলাম। আমাকে ফেলে দুজনেই চলে গেল এক মানুষের কাছে রেখে।

    সক্রিয় বামপন্থী আমার শ্বশুর সহ্য করতে পারতেন না একসময় আমাকে।

    বেজাতের মেয়ে বলতেন। জীবন বড়োই অদ্ভুত উপকথা।

    স্বামীর নির্যাতন বল্গাহীন। আর্থিক অনটন, সংসার, পঞ্চাশ বছরের ভাড়াটে এসবের মধ্যে সাধের যৌবন তার বসন্ত নিয়ে কবেই যেন চলে গেল। শাশুড়ি যাবার পর থেকে চলে গেল রাতের ঘুম। একের পর এক মৃত্যু আমাকে অন্ধকারে নিক্ষেপ করেছে।

    একবার চাকরি থেকে ফিরে দেখি দু বছরের কন্যা জ্বরে কাঁপছে, পরদিনের মধ্যে সর্বশরীর তার ফুলে ঢোল, পাথরের মত ভারি। হাসপাতালে চারদিন। দমবন্ধ করে।

    দিন থেমে নেই।

    আরো একবার জীবন চ্যালেঞ্জ করল।

    দ্বিতীয় সন্তান যোগমায়া যেন। জনমের পরেই আমার কোল থেকে চলে গেল। আমার সামনে দিয়ে তারা নিয়ে গেল সদ্যজাতিকা আমার তাকে হিন্দু সৎকার সমিতিতে। আমার মা বাবা কেউ আসতে পারে নি আমার সামনে। তবুও উঠে দাঁড়ালাম। কিন্তু  ঘুম চলে গেল চিরতরে। ছোট্ট একটা মেয়ে দেখতে পাই আনাচ কানাচে। ঘুমের ওষুধ, প্রেশারের ওষুধ, অস্থিরতা।

    স্বামীর প্রতারণা। পাওনাদার।

    রাত হলে চলে আসি নতুন চারতলার ছোট্ট ফ্লাটের বারান্দায়।

    ভিড় করে আসে ওরা অস্পষ্ট কুয়াশার ভেতর থেকে, সেই মা, সেই ছোটো ছেলের মতো হয়ে যাওয়া শশুর, হারিয়ে যাওয়া কন্যা আরো অনেকে।

    জীবনকে তবু ছাড়ি নি। সীমাহীন দৌরাত্ম স্বামীর বৃদ্ধি পেতে লাগল। আরো দূরে সরে যায় মন। ঘৃণা আর বিতৃষ্ণায়।

    দ্বিতীয় কন্যা হারিয়ে পাগল প্রায় গেলাম উল্টো রথে পুরী।

    ওখানে আশ্চর্য একটি বালক...

    একটা মোড়ে এসে দাঁড়িয়ে আছি। একেবারে নগ্ন। আকাশের রোদ্দুরে হ্যা হ্যা করে হাসছে সহস্র লোক। ধড়মড় করে উঠে বসি। বুকটা খালি হয়ে যায়। কখনো দেখি একটা উন্মাদ রেল লাইনের ওপর দিয়ে ছুটে আসছে আমার দিকে পিছিয়ে যাচ্ছি অন্য দিক থেকে আসছে ট্রেন। মাঝে মাঝেই এইসব স্বপ্ন তখন। ক্রমশ অবসাদ। কখনো রাগ।

    ঘুমের ওষুধ কাজ করে না। আমার শরীর বা মন কোনোটার ব্যাপারেই তার কখনো চিন্তা দেখি নি আজ অবধি।

    বরং কলেজ ফেরত একদিন আবিষ্কার করলাম উল্টোদিকের ফুটপাতে লুকিয়ে আমাকে অনুসরণ করছে। সন্দেহবাতিক একটা ব্যাধি যা সব সময়ই ভালোবাসা হেতু নয়।

    আমি পড়তাম মেয়ে কলেজে। যেতাম ঊষাকালে। বাড়ি ফিরলেই আগুনে পা। আমি ওই সময় গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশনে বইয়ের ভুবনে কাটিয়ে দিয়েছি দিনের পর দিন। সব খারাপের ভেতর নিহিত থাকে এক কণা হলেও ভালো কিছু। ওই সময় বিশ্বের প্রায় সমস্ত বিষয় নিয়ে আমি গভীর পড়াশোনা করেছি। স্থাপত্য থেকে পক্ষীবিজ্ঞান কিছুই যায়নি বাকি। বিকেলে ধ্যানঘরে আর কখনো সেমিনার হলে ভগবৎ গীতা বা অন্যান্য আলোচনার শ্রোতা। কখনো ছোটো খাটো চাকরি থাকত কখনো চলে যেত। টিউশনও তাই। এমনেস্টির কলকাতা দপ্তরের জন্য কখনো লিখতে হতো মানবাধিকার সংগঠনের মুখপাত্রে, কখনও ঋতব্রতর খবরের কাগজে আর্টিকেল।

    এছাড়া লেখালিখির পাট নেই।

    আমি আমার দ্বিতীয়াকে হারিয়ে এমন অস্থির হয়ে পড়েছিলাম। ন্যুনতম টাকা নিয়ে চলে গেছি তীর্থে তীর্থে। যেন তীর্থের কাক। অনেক সময় সারাদিন খাবার পয়সা থাকত না। অনেকসময় হেঁটে। কখনো উত্তর কাশী, কখনো হৃষিকেশ, কখনো কেদারনাথ পায়ে হেঁটে। সব নদীতে গণ্ডুস জলে বিড় বিড় করে মাফ চেয়ে বেড়িয়েছি। কোন অপরাধ, কোন পাপ তা জানি না। তবু পর্বত সমান এক অপরাধবোধ। এভাবেই উল্টোরথে পুরী। খুব ভিড় সেদিন। শেষ দিন উৎসবের। আমার মনটা তুষের আগুনের মত জ্বলছে স্বামীর প্রতারণা। নির্যাতন। মেয়ে হারানোর কষ্ট।

    ভিড়ে যেন স্বস্তি। সেদিন রসগোল্লা ভোগ জগন্নাথ দেবের।

    আমিও কিনি দুটি। পাতায় মোড়া। কিন্তু পৌঁছতে আর পারি না ভিড়ের ধাক্কায়।

    শেষে হাল ছেড়ে বসি এক অন্ধ গলির মুখে। আলোকহীন। নির্জন। আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবি কোনো প্রার্থনাই কি পূর্ণ হলো না। তাঁর কাছে যেতে পারলুম না।

    চোখ দিয়ে জল পড়তে লাগল। হঠাৎ  এক বালক কোথা থেকে এসে উপস্থিত। সঙ্গে একটি ছোট্ট বালিকা। আমার সামনে এসে একগাল হেসে বলে দাও খাব। আমি মুহুর্ত কাল দ্বন্দে। আমি যে জগন্নাথ সুভদ্রার জন্য কিনেছিলুম। তখনো চোখে জল। বালকটি মিটিমিটি হাসছে বাড়ানো হাত। ছোট্ট মুঠি খোলা। খাইয়ে দিলাম দুটিকেই। কী খুশি ওরা। আমার অকারণ অশ্রু। সন্তান হারা মা।

    বালকটি খুব খুশি। তারপর যেমন এসেছিল তেমন হঠাৎই দেখি গায়েব। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও ভিড়ে বা গলিতে কোনো ছোটো বালকই দেখতে পেলাম না। আর কোনোদিন নয়।

    হাজার অশ্বারোহীর মতো ছুটে আসছে ঢেউ। আমি আকুল হয়ে যাই।

    এর পরেই বেনারস যাই। বালকটি মনে মনে থেকে যায়। তার স্মিত হাসি তার বাড়িয়ে দেওয়া হাতখানি।

    মনিকর্নিকা ঘাটে জ্বলছে চিতা দাউ দাউ করে। আমি কখনো কোনো মূর্তির কাছে কিছু চাইতে পারি নি। মনেই পড়েনি কী যে চাই। শুধু তীব্র এক অভিমান ভরে পাথরের মূর্তির পানে তাকিয়ে থাকতাম নির্নিমেষ।

    সেই গোধূলিয়া, সেই দুর্গা অষ্টমীর দুপুরে হঠাৎ কী এক রিপুর তাড়নায় অন্তিমবার মিলন ভূমিকাহীন কী যেন ভীষণ তাড়া।

    বেনারসে পুজো দিয়ে মন একটু শান্ত, শরীর হঠাৎ খারাপ  গোধূলিয়ার পথে অচেতন।

    ঠিক আট মাস পরে সময়ের পূর্বেই জন্মাবে পুত্র।

    দুই সন্তান কালেই জোটেনি পুষ্টিকর খাবার। পুত্র জন্মের আগে অসম্ভব বমি।

    প্রায় কিছু খাওয়া নেই তার ওপর আতংক। সেই ভয়ঙ্কর সন্তান হারানোর স্মৃতি। ফলে প্রেসার হয়ে গেল আকাশছোঁয়া। 

    (পুনশ্চ: লেখাটি কল্পিত ও অতিনাটকীয় নয় এটি আত্মকথা ও সম্পূর্ণ নগ্ন সত্যঘটনা )










    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12
  • স্মৃতিচারণ | ১৮ মার্চ ২০২৩ | ৯১৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন