এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  দেখেছি পথে যেতে

  • সান্দাকফু – পথ চলার গল্প - ১

    সুদীপ্ত লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | দেখেছি পথে যেতে | ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ | ৯৭৩ বার পঠিত
  • “…এখন আমি একটা পাহাড় কিনতে চাই।
    সেই পাহাড়ের পায়ের কাছে থাকবে গহন অরণ্য,
    আমি সেই অরণ্য পার হয়ে যাবো,
    তারপর শুধু রুক্ষ কঠিন পাহাড়।
    একেবারে চূড়ায়, মাথার খুব কাছে আকাশের নিচে বিপুলা পৃথিবী, চরাচরে তীব্র নির্জনতা।…”
    – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

    নাহ, পাহাড় কিনতে চাই না বটে, তবে বাকিটুকু খাপে খাপ। পাহাড়ী পথে পায়ে হেঁটে মাইলের পর মাইল চলে যাওয়া, দুপাশে সবুজ অথবা ধূসর চড়াই-উৎরাই, খাদের গহীনতা অথবা আকাশ ফুঁড়ে উঠে যাওয়া বরফে ঢাকা শৃঙ্গ – সেসব অবশ্য-ই চাই, এবং অতি অবশ্যই নির্জনতা, নৈঃশব্দ্য! তা এতদিন ছোটোখাটো কিছু হাঁটার অভিজ্ঞতা ছিল বটে, তবে সে’সব বড়জোর এক বা দু’দিনের খেল। দেশে ফেরার পর থেকে পায়ে হেঁটে ভ্রমণের ব্যাপারটা মাথায় ঘুরছিল। আর তাতে ইন্ধন জুগিয়েছিল মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের ভ্রমণকাহিনী-গুলো, আর ‘চারণিক’ শব্দটা তো একেবারে শব্দব্রহ্ম হয়ে মাথায় ঢুকেছিল। আর আমাদের, মানে আমার আর প্রার্থনার ট্রেকিং মানে তো আর মাউন্টেনিয়ারিং করে পাহাড় চড়া ধরণের কিছু নয়, নেহাৎ-ই অ্যামেচার গোছের ব্যাপার-স্যাপার, পায়ে হেঁটে ঘুরতে ভালো লাগাটুকুই সম্বল, সে কলকাতা হোক বা অন্য কোনো গ্রাম-শহর-পাহাড়-জঙ্গল। এতদিন আমাদের এ-দেশে লম্বা হাঁটা মানে ছিল সেই খালিয়া টপ - মুন্সিয়ারি থেকে। আর ছিল  তামরি কুন্ড, ওই মুন্সিয়ারির পথেই; অথবা সাম্প্রতিক অতীতে আমেরিকার বিভিন্ন ন্যাশনাল পার্কে, অথবা ভুটানে টাইগার মনাস্টেরি; তবে সব-ই কয়ে ঘন্টা বা একদিনের ব্যাপার। তো এবার শুরুটা সান্দাকফু দিয়েই করব ঠিক ছিল। আর শুধু কাঞ্চনজঙ্ঘা বা পুরো ‘স্লিপিং বুদ্ধা’ নয়, মনে উঁকি মারছিল সান্দাকফু থেকে এভারেস্ট রেঞ্জ দেখার আশাও! সেই অনুযায়ী ছক কষা শুরু, আন্তর্জালে তথ্যের অভাব নেই, সুতরাং ম্যাপ ঘেঁটে আর বিভিন্ন ট্রাভেলগ পড়ে প্ল্যান খাড়া করা গেল। মোটামুটি দুটো রুট পাওয়া গেল, একটা বহুপরিচিত মানেভঞ্জং হয়ে আর একটা ধোত্রে হয়ে। দুটো পথ-ই টোংলুতে এসে মিলে যায়। ধোত্রে থেকে টোংলু আসার পথ অধিকাংশ-ই জঙ্গলের ভিতর দিয়ে। তবে আমরা প্রথম রুটটাই পছন্দ করে নিলাম। আর যেহেতু আমাদের প্রথম লম্বা ট্রেক, এবারের মত ফালুট বাদ রাখলাম। আমাদের প্ল্যান দাঁড়াল এইরকম –

    প্রথম দিন – নিউ জলপাইগুড়ি থেকে মানেভঞ্জং, মানেভঞ্জং-এ হোটেল প্রধানে রাত্রিবাস
    দ্বিতীয় দিন – মানেভঞ্জং থেকে চিত্রে, মেঘমা হয়ে টোংলু, টোংলু ট্রেকার্স হাটে রাত্রিবাস  
    তৃতীয় দিন – টোংলু থেকে টুমলিং, জৌবারি, গৈরিবাস হয়ে কালিপোখরি, কালিপোখরিতে ছাওয়াং লজে রাত্রিবাস
    চতুর্থ দিন – কালিপোখরি থেকে বিখেভঞ্জং হয়ে সান্দাকফু, সান্দাকফু ট্রেকার্স হাটে রাত্রিবাস
    পঞ্চম দিন – সান্দাকফু থেকে গুরদুম, গুরদুমে মিংমা হোমস্টে-তে রাত্রিবাস
    ষষ্ঠ দিন – গুরদুম থেকে শ্রীখোলা, শ্রীখোলায় হোটেল রেড পান্ডাতে রাত্রিবাস
    সপ্তম দিন – শ্রীখোলা থেকে ঘুম, লেপচাজগৎ হয়ে নিউ জলপাইগুড়ি

    সান্দাকফু ট্রেকিং-এ এতদিন একটি নাম লোকের মুখে মুখে ঘুরত, ‘মাস্টারজী’। অনেকের থেকেই  এনার রেফারেন্স পেয়েছি। আমি-ও সেইমত সেই মুশকিল আসানের নাম্বার জোগাড় করে যোগাযোগ করতে গিয়ে খবর পেলাম, তিনি আর নেই, গত বছরেই কোভিডে আক্রান্ত হয়ে…! শুনে মন খারাপ হল, এমন কোনো ব্লগ পাই নি, যেখানে মাস্টারজীর কথা নেই। সুতরাং জি টি এ-র উপর ভরসা করে থাকতে হল। এ-প্রসঙ্গে বলি, মাস্টারজীর ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছিল বটে, তবে তার কথাবার্তায় তেমন উৎসাহ না পেয়ে হাল ছেড়ে দিতে হয়।

    ঠিক হল, দিওয়ালির ছুটি শেষ করে, যখন সব পাখি থুড়ি টুরিস্ট পার্টি ঘরে ফেরে (ফুরায় এ পৃথিবীর সব লেন-দেন ইত্যাদি), তখন আমরা ডানা মেলব, নভেম্বরের শুরুতে, আর ঠিক কোজাগরী পূর্ণিমার পরের পূর্ণিমার দিনটিতে সান্দাকফু-র বুকে পা রাখব (হুঁ হুঁ বাওয়া, একেবারে গ্রহ-নক্ষত্র মিলিয়ে যাত্রা)। এ-যাত্রায় আমাদের (আমি আর প্রার্থনা) সঙ্গী অনুপম, ঊষসী আর রোহিত, আমরা পাঁচজন।

    আগস্টস্য প্রথম দিবসে (মানে ওইদিন-ই নভেম্বরের বুকিং প্রথম শুরু হবে, আগে থাকতে খোঁজ নিয়ে রেখেছিলাম), আপিস যাওয়ার পথে গিয়ে হাজির হলুম জি টি এ-র দ্বারপ্রান্তে। এটি সল্টলেক সিটি সেন্টার ওয়ানের একটু আগে। গিয়ে দেখি, আমার আগেই পাঁচজন হাজির! একজন এসেছেন ব্যারাকপুর থেকে সকাল ছটায়। অতঃপর আশা-নিরাশায় দোদুল্যমান হয়ে নাম লিখিয়ে অপেক্ষা। বাকিদের সাথে কথাবার্তা বলতে গিয়ে শুনি, প্রায় সকলেই এসেছে পূর্ণিমা টার্গেট করে, একেবারে জ্যোৎস্নারাতে তারা-ভরা আকাশের নীচে তুষারাচ্ছন্ন নিদ্রিত তথাগত-কে দেখার আশায়! সকাল এগারোটায় আমাদের ত্রাতা হয়ে শুভঙ্কর এলেন, ইনি জি টি এ-র তরফে সান্দাকফু আর ফালুটের সব বুকিং গুলো করে থাকেন। এখন ট্রেকার্স হাট ছাড়াও অন্য কিছু এজেন্সির মাধ্যমে হোম স্টে ইত্যাদিতে এনারা ঘরের ব্যবস্থা করে দেন। যাই হোক, ব্যারাকপুরের ভদ্রলোক প্রায় এক ঘন্টা ঘরের ভিতর বুকিং এর কাজ শেষ করে যখন বের হলেন, বাইরে গলদঘর্ম আমরা শুনলাম, ফালুটের বুকিং শেষ! আমার আগে আর-ও তিনজন ওই একই সময়ে চলেছে, সুতরাং দুরুদুরু বুকে প্রহর গোনা। শেষ অবধি যখন ঢুকতে পেলাম, তখন আমার আগের জন/দল (তিনটি কিশোর) ফালুটে থাকার জায়গা না পেয়ে নিজেদের প্ল্যান বদলাচ্ছে। সেই সুযোগে শুভঙ্কর আমার দিকে তাকাতেই ঝপ করে আমার প্ল্যানটা বাড়িয়ে ধরলুম। আর টোংলু, সান্দাকফুর ট্রেকার্স হাটে বুকিং সেরে নিতেই ব্যাস, দু-জায়গাতেই ৬ আর ৮ তারিখের কোটা শেষ। তিন কিশোরের জ্বলন্ত দৃষ্টিকে ভ্রূক্ষেপ না করে জি টি এ-র এজেন্সির মাধ্যমে আমাদের মানেভঞ্জং, কালিপোখরি, গুরদুম আর শ্রীখোলা-র বুকিং সেরে ফেললাম, কাগজপত্র আর ই-মেইল কনফার্মেশন করে পাই-পয়সা মিটিয়ে কিশোরদের আধ্যাত্মিক, আধিভৌতিক ও আধিদৈবিক বিঘ্ন-সকলের শান্তি-কামনা করে বাইরে এসে দাঁড়ালাম! এখানে জানিয়ে রাখি, জি টি এ থেকে বুকিং এর সময় অ্যাডভান্স পেমেন্ট বলে কিছু নেই, সব পেমেন্ট পুরো করতে হবে আরে ফেরৎযোগ্য নয়।

    জুলাই-তে আমাদের ট্রেনের টিকিট হয়ে গিয়েছিল, আজকাল আই আর সি টি সি তে নিজের পছন্দের টিকিট পাওয়া মুশকিল (সত্যি বলতে টিকিট পাওয়াই মুশকিল, তারপর পছন্দ), ভরসাও হয় না, সুতরাং এজেন্ট কে দিয়েই কাটানো। ঠিক ছিল দার্জিলিং মেল, যাওয়ার সময় সে আর পাওয়া গেল না, অবশেষে পদাতিক-ই সই, ঘন্টাখানেকের এদিক-ওদিক। আসার সময় অবিশ্যি দার্জিলিং মেল হল।

    ট্রেন, ট্রেকার্স হাট, হোম স্টে, হোটেল ইত্যাদি হল, আর বাকি এন জে পি থেকে মানেভঞ্জং এর বাহন, আবার শ্রীখোলা থেকে এন জে পি-র বাহন। জি টি এ থেকে দেওয়া রিসিপ্টে সব জায়গার কনট্যাক্ট নাম্বার দেওয়া ছিল। ফোনে ধরলাম মানেভঞ্জং-এর হোটেল প্রধানের প্রধানজী-কে। উনি সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা করে দিলেন একটি স্করপিও-র, ৪৫০০ পড়ল, এখানে অবশ্য ২০০০ অ্যাডভান্স, বাকি পরে হাতে হাতে। ফেরার জন্যে শ্রীখোলার রেড পান্ডায় রিংকু-দাকে ফোন করলাম, উনি বাঙালী, যদিও ওখানেই আছেন বহু বছর আর হোটেল সামলাচ্ছেন। ৭০০০ এ রফা হয়ে গেল গাড়ির, ৩০০০ অ্যাডভান্স।

    ইউটিউবের কল্যাণে চতুর্দিকে ভ্লগের অন্ত নেই, কিছু কাজের, বেশীটাই অকাজের (সেটা পরে ট্রেকের সময় বুঝেছিলাম)। যাই হোক, পথের ব্যাপারে কিছু বিবরণ সে’সব ভ্লগ থেকে সংগ্রহ করে নিলাম। তবে এখানে বলে রাখি, অধিকাংশ ভ্লগেই বলেছিল, মানেভঞ্জং থেকে চিত্রে আর কালিপোখরি থেকে সান্দাকফু এই দুটো পথে প্রাণান্তকর চড়াই। ভুল কিছু নয়, তবে আমাদের প্রস্তুতি কিছুটা নেওয়া ছিল বলে তেমন অসুবিধে হয় নি। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের হাঁটা-টুকু, মানে টোংলু থেকে কালিপোখরি যেদিন গিয়েছিলাম, ওই গৈরিবাস থেকে কালিপোখরি বেশ খেল দেখিয়েছিল! আমায় যদি কেউ বলে তো বলব, দ্বিতীয় দিন সাবধান! সবচেয়ে বেশী হন্টন-ও সেইদিনেই। পথের বাকি কথা আবার পরে। এবার আসি প্রস্তুতি-র কথায়। এই ব্যাপারে আমার মত, এই বিভিন্ন ট্রেক কোম্পানির ব্লগ বা ভ্লগে যা বলে, ট্রেনিং, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, তার ডেটা শেয়ার করা ইত্যাদি, সেসব শুনলে আর কোনোদিন কোনো অ্যামেচার লোকজনের পায়ে হেঁটে পাহাড়ে ওঠার সাহস হবে না। যদিও সেটা হয়ত ট্রেকিং কোম্পানীর জন্যে জরুরী, যাতে বিশেষ অবস্থায় তাদের কোনো ঝামেলায় না পড়তে হয়। তবে আমরা কোনো ট্রেকিং কোম্পানির ঝামেলায় যাবো না আর স্থানীয় গাইড ইত্যাদি নেবো সে-বিষয়ে প্রথম থেকেই স্থির করে রেখেছিলাম। দু-একটা ভিডিও দেখে মোটামুটি দুটো জিনিস ঠিক করলাম, এক – রোজ (সপ্তাহে অন্ততঃ পাঁচ দিন) চার-পাঁচ কিলোমিটার হালকা জগিং বা জোরে হাঁটা আর দুই – পাঁচবার দুই তলা বা দশবার একতলা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা। শেষ দু’মাস একটু সময় ধরে আধঘন্টার মধ্যে তিন কিলোমিটার হাঁটা/দৌড়োনো। ব্যস, এই হল আমাদের প্রস্তুতি। জিম ইত্যাদিতে বিশেষ অ্যালার্জি (ভালো-খারাপ নিয়ে কোনো বক্তব্য নাই), সুতরাং এভাবেই তৈরী হওয়া। আর হ্যাঁ, ডেক্যাথলন থেকে দুটো শক্তপোক্ত ট্রেকিং পোল কিনে নিলাম। দুজনের জন্য একটা বড় রুকস্যাক আর দুজনের পিঠে দুটো ছোটো ব্যাগ, এবার ট্রেনে উঠলেই হয়!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ভ্রমণ | ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ | ৯৭৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:০০515062
  • আহাহা চমৎকার খাসা। চলুক চলুক হাত চালিয়ে।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:710a:ee70:14dc:***:*** | ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:৫৮515069
  • সুদীপ্ত, পড়ছি, ভাল লাগছে। 
    একটা প্রশ্ন - মানেভঞ্জং থেকে কি দু দিন ট্রেক করে সান্দাকফু পৌঁছনো যায় ? 
    আমরা ১৯৮৬ তে সান্দাকফু গিয়েছিলাম, মানেভঞ্জং অব্দি গাড়ীতে, তারপর পায়ে হেঁটে। যদ্দুর মনে পড়ছে, পথে একরাত কোথাও ছিলাম, বোধহয় টংলুতে । 
    কালিপোখরি তে রাতে থাকি নি। না কি ভুল ভাবছি, এত বছর আগের কথা 
  • সুদীপ্ত | ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১০:১৯515073
  • দমদি থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু! দেখি শেষ করতে হবে :)
     
    অরণ্যদা, হ্যাঁ দুদিনেও হয়, তবে টোংলু থেকে সোজা কালিপোখরি হয়ে সান্দাকফু একদিনে একটু চাপের।  তবে সোজা রাস্তা ধরে গেলে আজও অনেকেই করে।  ১৯৮৬ তে ল্যান্ড রোভার আর ডিজেলের ধোঁয়া, ধুলোর উৎপাত ছিল না, সুতরাং হয়ত ঠিকই ভাবছ। আর তখন মনে হয় টোংলু আর সান্দাকফু ছাড়া কোথাও রাতে থাকার জায়গাও ছিল না (এক যদি না টেন্ট থাকে)। আমরা সোজা রাস্তা ধরে যাই নি এইসব দূষণ এড়াব বলে, তাই দূরত্ব-ও একটু বেড়েছিল।  
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন