এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • এক সন্ধ্যায় জনতা কেবিন

    Rifon Sircar লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৩ জুন ২০২২ | ১১০২ বার পঠিত
  • ছেলেটার তিন চার বছর বয়স, কম বায়না করে। মোটের উপর শান্তই.. খেলনা টেলনার প্রতি সবিশেষ ঝোঁক নেই। তবুও একদিন মনে হয় বায়না করছিল রেস্টুরেন্টে যাওয়ার। রেস্টুরেন্ট কেমন দেখতে হয়, তাই তার দেখার ইচ্ছে, কত আলো কতো কতো খাবারের ছবি, সেগুলো কি সামনে থেকে তেমনই? কৌতুহল জাগে রেস্টুরেন্ট নিয়ে। ছোটো থেকে ছেলেটা আবার কাফে কর্নার নামে একটি একটা দোকানের কথা শুনেছে, সবাই সেই দোকানের নাম ধরে রাস্তা চেনায়, ছেলেটাও দেখেছে সেখান থেকে চমৎকার রান্নার গন্ধ বেরোয়, মাংসর বাহারি পদে তাওয়া দেয় দোকানের বাবুর্চি। তার বাল্য মনে ওটাই তখন আদর্শ রেস্টুরেন্ট। সে একদিন কথাটা বড়দের কানে তুলল, সে রেস্টুরেন্টে খেতে চায়। তবে সব বড়ো কে এসব বলার সাহস তার আজকেও নেই সেদিনও ছিল না। মা বাবার কাছ তো নৈব নৈব চ, একদিন কথায় কথায় সে তার জেঠিমা কে বলল বিষয়টা। জেঠিমা সেটা জেঠু কে বলে, সেও বলল, রেস্টুরেন্ট কেমন হয় জেঠু? জেঠু তার কড়া হাতে, বছর পাঁচেকের আধো আধো কথা বলা ছেলেটার নরম গাল টা টিপে দিলো, তুই রেস্টুরেন্টে যাবি? কি খাবি? 

    ছেলেটার গালে বেজায় লেগেছে, তবু সে কাঁদতে পারছে না। সে ওই বয়সেই আদরের ভার বোঝে, তাই সে জানে কার আদরে কাঁদতে আছে আর কার আদরে নেই। তবে সেতো কাঁদার থেকেও এখন মহা বিপদে পড়েছে, কারণ সে রেস্টুরেন্টের চমৎকার খাবার গুলোর একটারও নাম জানেনা। জেঠুর নতুন পাট খোলা লুঙ্গির রঙ ঘাটতে ঘাটতেও এখন তার কোনো খাবারের নাম তার একটুও মনে আসছে না। জেঠু আবার প্রশ্ন করে, কি খেতে চাস বাবা? ছেলেটা অমনি মুখ ফস্কে বলে ফেলে 'কাটলেট'। ব্যাস এটুকুতেই হবে। জেঠু আবার কড়া হাতে ছেলেটার গাল টিপে দেয়, বাব্বা তুই কাটলেট চিনলি কিভাবে? কালকেই তোকে খাওয়াব দাড়া! জেঠুর এই একটুকরো কথাতেই পাঁচ বছরের ছেলেটা তখন একটা ভুবন পায়। ওই বয়সে তার ঈপ্সিত বস্তুকে পাওয়ার ভুবন, যা তাকে সকালে ইটিভি তে দেখানো বিক্রম বেতাল একটুও দিতে পারেনি। ছেলেটা সারাদিন সেদিন ভাবতে থাকে, কেমন হবে কালকের দিনটা। 

    পর দিন বিকেল বিকেল জেঠু বাড়ি ফেরে। ছেলেটা সারাদিন পথ চেয়ে ছিল তাঁর। ছেলেটা গলিতে তখন মাঝ বিকেলের আলোয় কলোনি পাড়ার গলিতে ওরই বয়েসি বাচ্চা দের সাথে খেলছে। দেখল, একটা স্থূলকায় লোক গলির মোড় দিয়ে তাদের বাড়ীর দিকেই আসছে, অমনি সে ছুট্টে গিয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরে। দেহ অবধি নাগাল পায়না, লোকটার পা দুটোকেই জড়িয়ে ধরে পুঁচকে ছেলেটা, লোকটাও আবার তাঁর দুটো কড়া হাত দিয়ে তার গাল দুটো টিপে দেয়। ব্যাথা লাগে ছেলেটার, কোনো মতেই সে কাঁদতে পারেনা। শুধু হাসতে হাসতে বলে মনে আছে? অমনি তার জেঠু বলে, রেডি হয়ে নে, এই তো বেরোবো। সে সপাটে লোকটার মুখের ওপর জবাব দেয়, বৌদিকেও (জেঠিমা) নিয়ে যাব। লোকটা এবার ছেলেটার চুল টা ধরে ঘেটে দেয়। বলে, বেশ তো, চল!

    সন্ধ্যে নামলে সে ও তার জেঠিমা তৈরী হয়ে নেয়। জেঠু ছেলেটার হাত ধরেছে আজ। জেঠিমা, ওই পুঁচকে ছেলের আবদারের ফিরিস্তি পাড়ার এক আধ জনকে গর্ব করে বলতে বলতে এগিয়ে এসে তাদের হাঁটার পথ ধরলো। কোনো কথাতেই ছেলেটার আজ রাগ হচ্ছেনা। সম্ভবত সেটা ছিল গরমকাল, কলোনি পাড়ার সবাই তাই , ভর সন্ধ্যেতে রাস্তায় হওয়া খাচ্ছে আর এক অধজন ওদের দেখে প্রশ্ন ছুড়লো, কোথায় যাও তোমরা? ছেলে আর ছেলেটার জেঠু তখন হয়তো রেস্টুরেন্ট কেমন হয় তা নিয়ে গল্প জুড়েছে, তাই এসব উত্তর তার জেঠিমা দেয়। পাড়ার লোকও তার জেঠিমার মুখে ছেলের আবদার শুনে মুচকি হাসে। বলে, যাও ঘুরে এসো। এরপর তারা তিনজন সমান্তরালে হাঁটতে থাকে। ছেলেটা পাড়ার বাড়ি গুলো কে দেখতে দেখতে হাঁটতে থাকে, দেখে এই মাত্র তারা বলদেও পাড়া লেন পেড়িয়ে এলো। ছেলেটার আর এইবার লজ্জা থাকেনা , সে এবার জেঠুর হাত ছেড়ে বৌদির হাত ধরলো। পাট ভাঙা শাড়ির গন্ধ নিতে নিতে সে এখন রাস্তার হলুদ হ্যাজাক আলোর তলা দিতে হাঁটছে। শাড়ীর গন্ধ তে তার হঠাৎই মায়ের কথা মনে পড়ল, তবুও ওর জন্যে তার কোনো কষ্ট নেই, কারণ সে এখন মানিকতলায়, আর মা এখন বাগুইআটি । জেঠু, বৌদির সাথে থাকলে সে ওই বয়স থেকেই ডোন্ট কেয়ার করে বাবা মাকে। এই সব ভুলভাল কথা তাই ছেলেটা একটুও ভাবতে চায়না, সে দেখে জেঠু একটু এগিয়ে গেছে। অমনি সে দীনেন্দ্র স্ট্রিটের হলুদ আলোর ফুটপাত ধরে হালকা দৌড় লাগায়। জেঠুর হাত ছোঁয় আবার। হাঁটতে থাকে ওরা। 

    একটু এগিয়ে, ওরা তখন রাস্তার মোড়ে। বাঁ হাতে একটু এগলেই ক্যাফে কর্নার । ছেলেটার বহুদিনের রেস্টুরেন্ট দেখার ইচ্ছাটা এখন দুর্দার বেগে ছুটছে, সে জুলজুল চোখে ক্যাফেকর্নারের হোর্ডিংয়ের ইংরেজি বর্ন গুলো পড়ার চেষ্টা করছে। তখনই ছেলেটার হাত ধরে টানলো জেঠু, ওদিকে নয় বাবা..আমরা ওই পাড়ে যাবো। ছেলেটা তখন ভাবনায় হোচট খায়, ট্রাম লাইন পার করব কেন? এইতো রেস্টুরেন্ট! সে জেঠুর মুখের দিকে তাকায়, কিছু বলতে পারেনা। তার হাজার ওয়াটের আলো জ্বলে ওঠা মুখে যেন, ট্রাম লাইন পেরোতেই পাঁচশো ওয়ার্ড কমে এলো। জেঠু হয়তো ওঁর মনের অবস্থা আঁচ করেছে, ওকে কোলে তুলতে চাইলো। তবু সে ছেলে হেঁটেই যাবে। জেঠুও মুচকি হাসলো। 

    দু'পা এগোতেই জেঠু সবাইকে নিয়ে অন্য একটা রেস্টুরেন্টের সামনে এবার। জনতা রেস্টুরেন্ট। ছেলেটা বিষণ্ণ মুখে এবার আলো এলো অল্প। সাধারণ টেবিল গুলো ছেড়ে জেঠু ওদের ঢোকালো একটা নীল পর্দা সরানো কাঠের চৌকো ঘরে। সামান্য একটা টেবিল আর চারটে চেয়ার পাতা। মাথার উপর ছোট্ট ফ্যানের ব্যবস্থাও আছে। ওরা তিন জন বসলো এবার। জেঠু এবং বৌদি দুজনেই ছেলেটার দিকে তাকিয়ে হাসছে মৃদু মৃদু। বছর চারেকের ছেলেটারও এবার সকৌতুক লজ্জা পেল। বালক বয়সের লজ্জাতে ছেলেটা শব্দ করে এবার এক খানা বড়সড় হাসি হাসলো ছোট্ট মুখে, এখন তার মুখে আবার হাজার ওয়াটের আলো যেন। জেঠু অমনি সুযোগ বুঝে আবার গাল টিপলো কড়া হাতে, জেঠিমা চুমু খেলো অন্য গালে।

    সেদিনের জনতা রেস্টুরেন্টের কেবিনে ওরা অর্ডার করে ছিল তিনটে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক কাটলেট,  সাথে আরও কিছু যা ষোলো বছর পর সেই চার বছরের ছেলেটার আর সঠিক মনে পড়ছে না। তবে সেই জনতা রেস্টুরেন্টের পুরনো রঙ চটা কেবিন আজও ছেলেটার মনে আছে। মনে আছে সেইসব বড়ো না হওয়ার দিন গুলোর ছেড়া ছেড়া ছবি, যেখানে স্মৃতির পাঁজরে ছোটবেলার স্বজন দের মুখ। আর স্বজনদের দেওয়া আশ্বাস। ছেলেটাকে জেঠু সেদিন বাড়ী ফিরে বলে ছিল আবার তারা অন্য কোনো রেস্টুরেন্টে যাবে একদিন। কিন্তু ছেলেটার আর অন্য কোথাও যেতে ইচ্ছা করেনি তেমন ভাবে। এমনকি ক্যাফে কর্নারেও যেতে চায়নি কোনোদিন মন। সে জনতা কেবিনের সেই সেপিয়া টোনের সন্ধ্যাটাকেই চরম উপভোগ করছে এই গোটা জীবন ধরে। ওই একদিনই মনে হয় বায়না করেছিল ছেলেটা, আদরের আবদার করেছিল হাসতে হাসতে। তারপর অজস্র নদী জল যেমন বয়ে যায়, তেমন অগুনতি চাওয়া পাওয়া এসে দাগ দিয়ে গেছে জেঠু আর ওই চার বছরের ছেলেটার মনে। ওদের মন বেড়েছে, পথ বেড়েছে। ছেলেটা ওই একখানা লোকের থেকে গোটা জীবনের ব্লু প্রিন্ট পেয়েছে। তাই ছেলেটা ষোলো সতেরো বছর পর জেঠু, প্রথম ঈপ্সিত রেস্টুরেন্ট, কাটলেট নিয়ে কোনো মায়া মেদুর অবিচুয়ারি লিখতে চায়না। লেখে , টাটকা স্মৃতিই..

    প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো,  দশ-বারো বছর আগে জনতা কেবিন বন্ধ হয়েছে। গত তিন বছর আগে জেঠুর হাত ধরে পার হয় ট্রাম লাইনের ওই সতেরো নম্বর রুটে আর কোনো ট্রাম চলে না। জেঠুও একবছর নেই। যদিও ছেলেটার 'নেই' শব্দ টায় তীব্র অনিচ্ছা আছে। তবুও লিখছে, কারণ ছেলেটা জানে, প্রথম সব কিছু কোনোমতেই 'নেই ' হয়ে যেতে পারে না আর আজও তাকে প্রতিদিন ওই পথ দিয়েই বাড়ী ফিরতে হয়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৩ জুন ২০২২ | ১১০২ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ছায়া - Rifon Sircar
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সরফরাজ হোসেন | 2409:4061:2e8f:da4:4c1c:d3c:d018:***:*** | ২৩ জুন ২০২২ ১৪:২৫509302
  • পড়লাম। বেশ ভালোমানের লেখা। স্মৃতিমেদুরতা না, বেশ তাজা গন্ধ বেরোচ্ছে..
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন