এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • মুক্তারাম বাবু স্ট্রিটের ছেলেটি

    Rajkumar Mahato লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১২৮৪ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • পুরানো দিনের কথা ঠিক যেন ঝোড়ো হাওয়ার মত। হঠাৎ করে আসে, আবার হঠাৎ করেই চলে যায়। চোখের সামনে পুরানো স্মৃতি গুলোকে আরও একবার জীবন্ত করে তোলে। পুরানো কিছু অতীত বর্তমানকে এক মূহুর্তে ভীষণভাবে প্রভাবিত করে চলে যায়।

    ফুটপাতে নিজের অতীতকে মনে করতে করতে একসময় একটু ঘুম এসে গিয়েছিল শিবরামের। ভজার ডাকে তন্দ্রা ফিরে এল। “ কই হে, আমি চললুম। তুমি কি এখানেই থাকবে নাকি?”

    শিবরামের চোখের কোনে একটু জল এসেছিল। আসলে অতীত সুখের হোক কিংবা দুঃখের পুরানো দিনকে মনে করে সুখেও চোখে জল আসে, দুঃখেও আসে। ভজার কথায় শিবরাম হেসে উঠে বলল “তা আমি আর কোথায় যাব ভায়া? এইতো এখানেই ফার্স্ট ক্লাস আছি। “

    ভজা জানে এই লোকের সাথে তর্কে সে পেরে উঠবে না। তাই কিছু না বলে বাড়ির দিকে এগিয়ে গেল ভজা। শিবরাম আবার পাশ ফিরে শুয়ে পরল। তার মনের কোনে আজ একটুকরো অতীত উঁকি দিচ্ছে। বারবার সে ফিরে যাচ্ছে সেই দস্যি দিদার গল্পে, নয়ত চাঁচলের সেই একপাশ ভাঙা পুরানো রাজবাড়ির দিকে। যেখানে তারা দুই ভাই আর পাশের বাড়ির ডাক্তারের ছেলে রমেশ খেলা করত। নানুদির সাথে যেখানে যে গুপ্তধনের সন্ধানে বের হত, যেখানে তার ছোট্ট বয়সের প্রেমের একটা চারাগাছ গজিয়ে উঠেছিল রিনির সাথে।

    আকাশের তারাগুলো মিটমিট করছে। একেবারে পরিস্কার আকাশ। চাঁদটা জেগে রয়েছে শিবরামের সাথে। হঠাৎ দূরে কোথাও থেকে একটা আওয়াজ শিবরামের কানের পাশ দিয়ে হাওয়ার সাথে বয়ে চলে গেল। উঠে বসল সে। কান খাড়া করে সেই আওয়াজের উৎসের খোঁজ শুরু করল। হ্যাঁ ঠিক ধরেছে শিবরাম। দূরে কোথাও একটা যাত্রাপালা হচ্ছে। সেই আওয়াজটাই মাঝে মাঝে হাওয়ার সাথে বয়ে এসে কানে ধাক্কা মারছে। শিবরাম মনে মনে ভাবল, এই শহরেও তাহলে যাত্রাপালা হয়! তারপর নিজের মনেই বলে উঠল এই শহর আর চাঁচল তো একই আকাশের নিচে। অসম্ভব কিছুই না।

    হঠাৎ করেই দস্যি দিদার বলা একটা গল্প মাথায় খেলে গেল তার। সেই উঠোনের এককোণে বসে দিদা সেদিন তাদের গল্প বলেছিল। সে, ভাই আর রিনি ছিল সেখানে। তার বাপের সেই যাত্রা দেখার গল্প। শুয়ে পরে শিবরাম। ফাঁকা রাস্তা আর সেই রাস্তার ধারে থাকা হলদে ল্যাম্পপোস্টের আলো শিবরামকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে যায় সেদিনের সেই দস্যি দিদার বলা গল্প-সন্ধ্যায়।

    শিবপ্রসাদের জীবনের কিছু বছর কেটেছিল মুর্শিদাবাদের চোঁয়া নামক এক গ্রামে। সেখানে একবার একটি নামকরা যাত্রাদল এল। কত লোক। রাধা-কৃষ্ণের যাত্রাপালা। সে রমরমা ব্যাপার। সাত গাঁয়ের লোক আসবে রাধা কৃষ্ণের যাত্রা দেখতে। এলাহি ব্যাপার। বড় করে সামিয়ানা টাঙ্গিয়ে স্টেজ হয়েছে। মহিলা আর বাচ্চা দর্শকদের বসার জন্য সামনেটা নাকি মোটা কাপড়ের ত্রিপল পাতা হবে। তার পেছনে ছেলে ছোকরারা একটু নাচাগানা করার জায়গা রাখা হয়েছে। মানে, একেবারে একটা উৎসব উৎসব কান্ড।

    শিবপ্রসাদ যাত্রাপালার দিনে সকালে মাঠে গেল সকালের কম্ম সারতে। তখন গ্রামের লোকেরা মাঠে কম্ম সেরে ঘাটে ধুয়ে ফিরে আসত বাড়িতে। কম্ম সারার নির্দিষ্ট কোন জায়গা সে যুগে ছিলনা। শিবপ্রসাদ মাঠে যাওয়ার পথে দেখা একটি তারই বয়সী ছেলের সাথে। ছেলেটি মাঠের মাঝখানে দাঁড়িয়ে কি যেন একটা খোঁজার চেষ্টা করছিল। এপাশ ওপাশ দেখেও সে হয়ত সেই জিনিসটি খুঁজে পাচ্ছিল না। তাকে দেখে শিবপ্রসাদ বলল “কিছু খুঁজছ নাকি ভায়া?”

    ছেলেটির মুখতা বড্ড শুকনো। মাথায় বড় বড় চুল। মুখটা একটু মেয়েলি পারা। মিষ্টি সুরে ছেলেটি বলল “হ্যাঁ খুঁজছি বটে।“

    ছেলেটির গলার স্বরটা বড্ড মিষ্টি। তবে তার স্বর শুনে রীতিমত চমকে উঠল শিবপ্রসাদ। এদিক ওদিক তাকিয়ে বলল “মেয়েমানুষ নাকি তুমি?”

    ছেলেটি হেসে বলল “সে পরে বলব এখন, তুমি আমাকে একটা সাহায্য করবে ভায়া।“

    শিবপ্রসাদের কৌতূহল কিছুতেই কাটল না। মেয়েমানুষ যদিও বা হয়, এই মাঠের মাঝখানে এত সকালে একা একা কি করবে। তবুও সে নিজেকে খানিকটা সামলে বলল “বলো। চেষ্টা করব।“

    ছেলেটি চুপি চুপি শিবপ্রসাদের কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে বলল “নতুন এসেচি, কম্ম সারার জায়গা খুঁজে পাচ্চি না। একটু যদি বলে দাও। খুবজোর………”

    কথাটা আর সম্পুর্ন করতে পারল না ছেলেটি। শিবপ্রসাদ সামনের দিকে দৌড় লাগিয়ে পিছনে তাকিয়ে বলল “এস, আমার পেছনে এসো।“

    ছেলেটি কিছু না ভেবেই দৌড় লাগাল শিবপ্রসাদের পিছনে। বেশ খানিকটা এসে একটা পুকুর ধারে কুলগাছের গোড়ায় শিবপ্রসাদ বসে পরল। আর ছেলেটিকে পাশে একটা জায়গা দেখিয়ে বলল “ওখানে বসে যাও।“

    আসলে ততক্ষণে শিবপ্রসাদের প্রশ্নটা নিজের উত্তর পেয়ে গেছে। একটা একা মেয়েমানুষ এই মাঠে একটা ছেলের থেকে কম্ম সারার জায়গার খোঁজ যে করতে পারেনা। এইটুকু জ্ঞান শিবপ্রসাদের আছে।

    পুকুরের জলে হালকা বাতাস বইছে। আর সেই হালকা বাতাসে গাছের পাকা কুলগুলো টপ টপ করে কখনো পরছে পুকুরের জলে আবার কখনো ডাঙায়। শিবপ্রসাদ আবার পাকাকুল দেখলে লোভ সামলাতে পারেনা।

    হঠাৎ করেই শিবপ্রসাদের সামনে একটা পাকা কুল পরল টুপ করে। বেশ বড়, একেবারে টোপা। শিবপ্রসাদ সাতপাঁচ না ভেবেই কুলটা তুলে মুখে পুরে দিল। পরক্ষনেই পাশে তাকিয়ে দেখল সেই ছেলেটি একটা ঘৃনা ভরা মুখে তার দিকে তাকিয়ে। কোন কথা না বলে সোজা উঠে পুকুরের খেঁজুর গাছের গুঁড়ির ঘাটে নেমে গেল। ছেলেটার দিকে আরও একবার তাকিয়ে বাড়ির দিকে দৌড় লাগাল শিবপ্রসাদ।

    রাতে যাত্রাপালা শুরু হওয়ার আগে শিবপ্রসাদ এল সেখানে। যাত্রা দেখার নেশা ছেলেটার আগাগোড়াই। ভীষনভাবে নাড়িয়ে দেয় তাকে যাত্রা পালার নাচ। আর সেখানে যদি কোন মহিলা বেশে  মহিলাই অভিনয় করে তো কথাই নেই।

    ও পাড়াই বলাইদা বলেছে এখানে নাকি যে রাধা সাজবে তাকে নাকি একেবারে সত্যিকারের রাধার মতই দেখতে। লম্বা চুল, ফর্সা, টিকালো নাক আর গলার স্বর শুনলে মনে হয় যেন কোকিল গাইছে। সেইসব গুনগান শুনেই শিবপ্রসাদ এসেছে এই যাত্রা দেখতে। কিন্তু সামনে যত বাচ্চা আর মহিলারা আগে থেকেই বসে পরেছে। ছেলেদের স্থান পিছনে। অত পিছন থেকে কি আর অভিনয়ের স্বাদ নেওয়া যায়! যায়না। কি করে সামনে বসা যায়। সেই ফন্দি করতে লাগল শিবপ্রসাদ।

    মিনিট পাঁচেক পর সম্পাদক মন্ডলির একজনকে পটিয়ে একেবারে সামনে বসার একখানা জায়গা পেয়েও গেল শিবরাম। তার সাথে জনাদশেক বৃদ্ধ লোক এসে বসল।

    শুরু হল যাত্রা। কৃষ্ণ সেজে এল এক ছোকরা। কিন্তু শিবপ্রসাদের চোখ সেই রাধাকেই খুঁজতে থাকল। কিছুক্ষন পর রাধা এল । আহা, কি রুপ তার। দেখলে প্রান জুড়িয়ে যায়। বলাইদা ঠিকই বলেছিল। যেমন রুপ তেমনি গলার স্বরটাও। মুগ্ধ হয়ে তার দিকে তাকিয়ে রইল শিবপ্রসাদ। কিন্তু গোল বাঁধল কিছুক্ষন পর থেকে।

    বারংবার সেই রাধার কাছে জটিলা এসে বলতে লাগল “তোমার কুলের কথা কয়ে দেব।“

    সুর করে করে গান গাইতে লাগল জটিলা। পরক্ষনের শিবপ্রসাদের কাছে এসে গাইতে লাগল “তোমার কুলের কথা কয়ে দেব।“

    শিবপ্রসাদের মাথা গেল বিগরে। সকালে কম্ম সারতে বসে কুল খাওয়ার ব্যাপারটা জানাজানি হলে খুব বদনাম হবে। কিন্তু এই জটিলা জানল কি করে? যাই হোক, এই বিপদ থেকে মুক্তি পেতেই হবে। তাই প্রথমেই তাকে একটি টাকা দিয়ে থামাল শিবপ্রসাদ। সে চলে গেল। কিছুক্ষন আবার রাধাকে দেখে শিবপ্রসাদের চোখ জুড়াল। কিন্তু আবার খানিকক্ষন পরে এসে ছেলেটি গাইতে লাগল “তোমার কুলের কথা কয়ে দেব।“ এবার শিবপ্রসাদ হাতঘড়িটা খুলে তাকে দিল। সে ভীষণ খুশি হয়ে রাধার কাছে গিয়ে গাইতে লাগল “তোমার কুলের কথা কয়ে দেব।“ শিবপ্রসাদ কেঁপে উঠল। তার চিনতে বাকি রইল না এই জটিলা আসলে সেই সকালের কম্ম সারতে যাওয়া ছেলেটি। যে তার কুল খাওয়া দেখে নিয়েছিল। আর সেই কুলের কথা বলে দেওয়ার হুমকি বারবার দিচ্ছে ছেলেটি।

    যাই হোক, একে একে সোনার চেন, আংটি এমনকি পরনের জামাকাপড় পর্যন্ত গেল শিবপ্রসাদের এই একটা গানের পেছনে “তোমার কুলের কথা কয়ে দেব।“ শেষ পর্যন্ত যাত্রাপালা দেখা ভুলে বাড়ির দিকে পালিয়ে গেল শিবপ্রসাদ।

    (চলবে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১২৮৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন