এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  শিক্ষা

  • অন্য রকমের ন্যায়

    Anirban M লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | শিক্ষা | ২০ জানুয়ারি ২০২২ | ১৯১১ বার পঠিত
  • উচ্চশিক্ষায় অনলাইন পরীক্ষা এবং তার মূল্যায়নের সমস্যা গত কয়েক মাসে বার বার উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যম এবং সমাজমাধ্যমের পাতায়। এই সব সমালোচনার মূল বক্তব্যটি খুব পরিষ্কার – অনলাইন পদ্ধতিতে পরীক্ষা ব্যবস্থার স্বচ্ছতা বজায় রাখা যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে আমি সংবাদপত্র বা পরিচিতজনের আলোচনা থেকে দুধরণের অভিযোগ আলোচিত হতে দেখেছি। প্রথমতঃ অনলাইন ব্যবস্থায় পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীরা অসদুপায় অবলম্বন করছে কিনা তার উপর নজরদারি করার পরিকাঠামো বেশিরভাগ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েরই নেই। দ্বিতীয়তঃ মূল্যায়ণের ভার বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে কলেজের হাতে চলে যাওয়ায় অনেক কলেজ নিজেদের ছাত্রছাত্রীদের প্রাপ্যের থেকে বেশি নম্বর দিচ্ছে। এই দুটি বিষয় মেলালে যে মূল অভিযোগটি উঠে আসে সেটি হল উচ্চশিক্ষায় মেধার যে নীতি অনুসরণ করা হত সেটা অনলাইন পরীক্ষার কল্যাণে অনেকটাই বিপর্যস্ত। এই বিষয়টি অনলাইনে পঠনপাঠনের মানের অবনমনের বিষয় থেকে একটু আলাদা যদিও দুটি বিষয় পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কিত। যাঁরা এই জাতীয় সমালোচনা করছেন তাঁরা আসলে ন্যায়ের প্রশ্নটি তুলে আনছেন। তাঁদের বক্তব্য এই পরিস্থিতিতে এমন অনেক ছাত্র-ছাত্রী উচ্চতর শিক্ষার সু্যোগ পাচ্ছেন না যাঁরা মেধার সঠিক মূল্যায়ণ হলে পেতেন –অর্থাৎ এই ব্যবস্থাটি অন্যায্য। আমি এই প্রসঙ্গটিতেই একটু অন্যভাবে আলো ফেলব, দেখাতে চাইব এই অ-ন্যায় এক অন্য ধরণের ন্যায়ের দরজা খুলে দিয়েছে।

    মূল আলোচনায় ঢোকার আগে একবার উচ্চশিক্ষার সমস্যাটি মনে করে নেওয়া দরকার যার মূলে আছে চাহিদা-যোগানের সূত্র। উচ্চশিক্ষার যোগানের তুলনায় চাহিদা অনেক বেশি। এবং সেটা যে শুধু আমাদের মত দেশের জন্যই সত্যি তা নয়, সব দেশে, সব সমাজের জন্যই তা সত্যি। এখন এই ফাঁক পূরণের উপায় কী? পশ্চিমি দেশগুলি একভাবে উচ্চশিক্ষার খরচ বাড়িয়ে এই ফাঁক পূরণ করে। সেই সব দেশগুলিতে, বিশেষ করে উত্তর আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপে, বাবা-মা’র টাকায় উচ্চশিক্ষা বেশ কঠিন। প্রায় সব ছাত্র-ছাত্রীদেরই শিক্ষা-ঋণ নিতে হয়। কিন্তু শুধুই দাম বাড়িয়ে পশ্চিমি দেশগুলি চাহিদা-যোগানের ফাঁক মেটায় এটা পুরোটা ঠিক না। ওখানে শ্রমের বাজারও এমনভাবে সংগঠিত যে উচ্চশিক্ষার চাহিদাও কম রাখা যায়। সেইসব দেশে খুচরো ব্যবসা যারা করে যেমন ওয়ালমার্ট বা স্টারবাকস, তারা তাদের হাইস্কুল পাশ কর্মীদেরও ম্যানেজার হওয়ার সুযোগ দেয়। আমাদের দেশের মত ম্যানেজারের চাকরি শুধুমাত্র উচ্চশিক্ষিতদের জন্য সংরক্ষিত রাখে না। সেটাও উচ্চশিক্ষার চাহিদা কম হওয়ার একটা কারণ। কিন্তু তারপরেও নামী হার্ভার্ড, অক্সফোর্ডের মত নামী প্রতিষ্ঠানগুলিতে স্নাতক স্তরে যত আসন, প্রার্থী তার থেকে অনেক বেশি থাকে। হার্ভার্ডে স্নাতক স্তরে চারবছর টিউশন ফি দুলাখ ডলারের কাছাকাছি (প্রায় দেড় কোটি টাকা)। কিন্তু সেই টাকার ব্যবস্থা করে ছেলে-মেয়েকে হার্ভার্ডে পড়াতে চায় এরকম পরিবার পৃথিবীতে কম নেই। সেই সংখ্যা নিশ্চিতভাবেই হার্ভার্ডে স্নাতকস্তরের মোট আসন সংখ্যার থেকে বেশি। তাহলে সেই সমস্যার সমাধান হয় কী করে? এই সমস্যার সমাধানে সব বিশ্ববিদ্যালয় মেধাভিত্তিক বাছাইয়ের ব্যবস্থা রাখে। যদিও বিদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই মেধা পরীক্ষার পাশাপাশি অন্য্যান্য বিষয়ও দেখে। যেমন, কোন প্রার্থীর বাবা-মা হার্ভার্ডে পড়লে তাদের সন্তান হার্ভার্ডে পড়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায়। এছাড়া আরো নানা বিষয় থাকে। কিন্তু সেসবের আলোচনা আমার এই প্রবন্ধের উদ্দেশ্য নয়। উপরের আলোচনার মূল প্রতিপাদ্য হল উচ্চশিক্ষায় চাহিদা-যোগানের ফাঁক পূরণের জন্য মেধাভিত্তিক মাপকাঠি ব্যবহার একটি বহুল প্রচলিত বিষয় এবং আমরা যারা তার সুবিধে নিয়ে ওপরে উঠেছি তাকে একটি ন্যায্য ব্যবস্থা বলে মনে করি। মেধাভিত্তিক ব্যবস্থার ন্যায্যতার দাবী অস্বীকার করা যায় না, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এটাও মনে রাখা ভাল যে তা অন্যতম ন্যায্য ব্যবস্থা, একমাত্র ন্যায্য ব্যবস্থা নয়। তার একটা বড় কারণ আমরা মেধা বলে যা বুঝি তা জন্মগত কোন প্রতিভা নয়। জন্মগত প্রতিভার একটা অংশ সেখানে থাকতে পারে, কিন্তু তার বেশিরভাগটাই হল সামাজিক পরিচয়, অর্থনৈতিক অবস্থা এবং পারিবারিক সংস্কৃতি দ্বারা নির্মিত একটি অবস্থা। এ কথাটা  সবসময় আমাদের মনে থাকে না। অতিমারি আরেকবার সেটাই আমাকে মনে করিয়ে দিল।

    সমস্যাটা আমরা প্রথম বুঝলাম ২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে যখন ২০২০’র অগাস্টে ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীরা দ্বিতীয় সেমেস্টারে গেল। এই সেমেস্টারে এমন একটি বিষয় পড়ানো হয় যার জন্য কম্পিউটার ভিত্তিক প্র্যাক্টিক্যাল খুব জরুরি। তখন বিভাগ বন্ধ আর তাছাড়া এই প্রাক্টিক্যালের জন্য যে বিভাগীয় গবেষণাগারে আসতেই হবে এমনটা নয়। কিন্তু বাড়িতে কম্পিউটার থাকা দরকার। কম্পিউটারের দরকারটা ছাত্রছাত্রীরা আগে বোঝে নি কারণ বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীই ফোনে ক্লাস করত। আমাদের প্রায় ২০০ ছাত্র-ছাত্রী। তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখা গেল ২২ জন মত ছাত্র-ছাত্রী এমন আছে যাদের কোনরকম কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নেই। তাদের সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকারা অনলাইন মিটিং এ বসলাম এটা বোঝার জন্য যে তাদের সমস্যাটা ঠিক কোথায়। কথা বলে দেখা গেল এদের মধ্যে কয়েকজন কম্পিউটার কিনে নিতে পারবে কিন্তু এমন অনেকেই আছে যাদের পক্ষে এরকম কিছু ভাবাই সম্ভব নয়। এদের মধ্যে কারো বাবার চাকরি চলে গেছে লকডাউনে, কেউ মা’র চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত আবার কেউ উঠে এসেছে এমন আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট থেকে যেখানে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশুনা করাই বিলাসিতা। ঠিক হল এদের কাছে ল্যাপটপ পোঁছতে হবে। আমাদের অনেকেরই পুরনো ল্যাপটপ আছে সেগুলোতেই ওদের এই সেমেস্টারএর কাজ চলে যাবে। কিন্তু এই সব ছাত্রছাত্রীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সমস্ত রাজ্যজুড়ে। সমস্যা হল অতিমারি পরিস্থিতিতে তাদের কাছে ল্যাপটপ পৌঁছব কী করে? এক্ষেত্রে মুশকিল আসান হলেন আমাদের সিনিয়র শিক্ষক-শিক্ষিকারা যাঁরা ওখানে অনেকদিন আছে এবং সেই সূত্রে তাঁদের ছাত্রছাত্রী, পরিচিত শিক্ষিক-শিক্ষিকারা ছড়িয়ে আছেন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন কলেজে। তাঁরা এই কাজে অকাতরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন। কোথাও তাঁরা তাঁদের পুরনো ল্যাপটপ দিলেন আবার কখনও তাঁরা কলকাতা এলে আমরা তাঁদের হাত দিয়ে আমাদের পুরোন ল্যাপটপ পাঠালাম বিভিন্ন জায়গায়। এই ভাবে ল্যাপটপ পৌঁছে গেল বর্ধমান, মালদা, বা হুগলির প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকা ছেলেমেয়েদের কাছে। তারা সেই ল্যাপটপে ক্লাস করল, পরীক্ষা দিল।

    কিন্তু এই লেখার মূল উদ্দেশ্য এই উদ্যোগের কথা জানান নয়। এই ঘটনার ফলে আমি জানলাম যে এরকম পিছিয়ে থাকা আর্থ-সামাজিক অংশ থেকে ছেলেমেয়েরা আমাদের বিভাগে এবছর ভর্তি হয়েছে যাদের আমরা সাধারণত দেখতে পাই না। আমার এই বিশ্বাস আরো দৃঢ় হল তৃতীয় সেমেস্টারে, যখন অফলাইন ক্লাস শুরু হল এবং ক্লাসের বাইরেও আমরা প্রজেক্ট সুপারভিশনের কাজ শুরু করলাম। সেখানে আরো সরাসরি ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে দেখলাম অনেকেই বেশ পিছিয়ে পড়া আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট থেকে এসেছে যাদের কেউ সামাজিক ভাবে, কেউ আর্থিক ভাবে আবার কেউ বা দুভাবেই পিছিয়ে পড়া। আমি তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিসংখ্যান নিই নি। কিন্তু সাধারণভাবে আমাদের বিভাগে কলকাতা বা তৎসংলগ্ন মফস্বল থেকে যে চৌকস, স্মার্ট ছেলেমেয়েরা আসে এবার অনেকেই তার ব্যতিক্রম। এলিট ছাত্রছাত্রীরা যে মেধাবী হবেই তার মানে নেই। কিন্তু এবারে আমি অনেক বেশি করে যে সব ছাত্রছাত্রী দেখতে পাচ্ছি এককথায় বলতে গেলে তারা অ-এলিট। এরা ছাত্র হিসেবে খুব ভাল কিনা সেই আলোচনায় আমি ঢুকতে চাইছি না। সব এলিট ছাত্রছাত্রীতো আর সমান মেধাবী হয় না। কিন্তু এলিটদের মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস থাকে যা তাদের ক্ষমতার চোখে চোখ রেখে কথা বলতে শেখায়। এলিটের সেই আত্মবিশ্বাস এদের নেই। যদিও এরা পরিশ্রমী, শিখতে আগ্রহী – অর্থাৎ একজন ছাত্র বা ছাত্রীর থেকে আমরা যা চাই সেই সব গুণ এদের আছে। এদের পড়িয়ে আমার মনে হচ্ছে আমি ক্লাসে যা শেখাই তার একটা মানে আছে, সেই শিক্ষা এদের এগিয়ে দেবে। এই বোধটা এলিট ছাত্রদের পড়িয়ে অতটা হয় না কারণ যে এলিট তাকে তার সামাজিক অবস্থান অনেকটা এগিয়ে দেয়, শিক্ষকের ভূমিকা সেখানে তুলনামূলকভাবে কম। কিন্তু যে এলিট নয়, সরকারি শিক্ষাব্যবস্থার তথা আমাদের ওপর তার নির্ভরতা অনেক বেশি।

    আমার বিশ্বাস এই সব ছাত্রছাত্রীদের আমি ক্লাসে পেলাম অতিমারিজনিত কারণে চালু হওয়া অনলাইন ব্যবস্থায় স্বাভাবিক নম্বর ভিত্তিক ব্যবস্থার ন্যায্যতা বিদায় নিল বলে। আমি তাদের সঙ্গে একমত নই যাঁরা বলেন এর ফলে একটি অন্যায্য ব্যবস্থা জন্ম নিল। আমার বক্তব্য এর ফলে এক অন্য ধরণের ন্যায় চাক্ষুষ করার সুযোগ পেলাম আমরা। হয়ত এটি আরো বেশি প্রত্যক্ষ করা যেতে পারে ২০২১ এ যারা স্নাতকোত্তরে ভর্তি হল তাদের ক্ষেত্রে। যদিও সেক্ষেত্রে আরেকটা অন্য সমস্যা আছে। ২০২১ এ যারা স্নাতকোত্তরে ঢুকল, তাদের স্নাতক স্তরের এক বছর পড়াশুনো হয়েছে লকডাউনের মধ্যে। লকডাউন যে আর্থিক বিপর্যয়ের সূচনা করেছে হয়ত এই পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর অনেকেই ছিটকে গেছে পড়াশুনোর পথ থেকে।

    আমার কাছে পরিসংখ্যান নেই। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা বলছে অনলাইন পরীক্ষা ব্যবস্থায় মেধাভিত্তিক ন্যায়ের নীতি কে কিছুটা হলেও প্রতিস্থাপিত করেছে সার্বিক সামাজিক ন্যায়ের নীতি। কিন্তু অতিমারি চলে গেলে কী হবে? মেধাভিত্তিক ন্যায় তো আবার ফিরে আসবে তখন। আমরা কী মেধাভিত্তিক ন্যায় পুরোপুরি তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করতে পারি? মেধাভিত্তিক ন্যায় তুলে দেওয়ার একটা পদ্ধতি হতে পারে লটারির মাধ্যমে ভর্তি। কিন্তু উচ্চশিক্ষায় মেধাভিত্তিক ন্যায় সম্পূর্ণ তুলে দেওয়া আরো বড় সমস্যার জন্ম দেবে। বড় চ্যালেঞ্জ হল মেধাভিত্তিক ন্যায়ের পাশাপাশি সার্বিক সামাজিক ন্যায় অনুশীলন। সামাজিক ন্যায়ের মাধ্যম হিসেবে আমাদের দেশে বিভিন্ন রকম সংরক্ষণের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু সেই ব্যবস্থা যে খুব ভাল কাজ করে একথা বলতে পারি না। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, আমাদের বিভাগেই সংরক্ষিত আসনের খুব কম আসনই ভর্তি হয়। আমার ব্যক্তিগত মত হল আমাদের দেশে সংরক্ষণের যে নিয়ম ব্যবহৃত হয়, সামাজিক অনগ্রসরতা তার থেকে অনেক জটিল – প্রচলিত ফর্মূলা তাকে ধরতে পারে না। ঠিক কী ভাবে তাকে ধরা যায় তার কোন নির্দিষ্ট উপায় আমার মাথায় এই মূহূর্তে নেই। আমি শুধু এইটুকুই আপাতত বলতে পারি যে উচ্চশিক্ষায় ন্যায়ের ধারণায় মেধার পাশাপাশি অন্য অনেক সামাজিক মাপকাঠিকে নিয়ে আসা উচিত। কথাটা নতুন নয় কিন্তু অতিমারির অভিজ্ঞতা হাতেকলমে এই কথাটাই আমাকে আরেকবার মনে করিয়ে দিয়ে গেল।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২০ জানুয়ারি ২০২২ | ১৯১১ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ইঁদুর  - Anirban M
    আরও পড়ুন
    বটগাছ - Anirban M
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kumarjit mandal | ২২ জানুয়ারি ২০২২ ১৬:৪৮502976
  • অনির্বাণের লেখাটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং গুরুত্বপূর্ণ। এই লেখাটি বহুজনের কাছে পৌঁছে যাক এবং তাদের ভাবাক সেটা চাইব।
    তবে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রটিকে মেধাভিত্তিক রাখাই শ্রেয় বলে আমি মনে করি। সেখানে সামাজিক ন‍্যায়ের বেনোজল ঢুকলে অন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। উচ্চশিক্ষার যে উৎকর্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধতা থাকা উচিৎ তাতে ব‍্যাঘাত ঘটতে পারে। যদিও আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সেটা স্বাভাবিক সময়েও কতটা হয় তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
  • অনিন্দিতা | ২৩ জানুয়ারি ২০২২ ০৮:৪৩503013
  • অনেকটা ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকামের মতো সকলকে পড়তে ঢুকানো তো গেল। তারা উন্নতি করার জন্য উন্মুখ  তাও বোঝা গেল। তবে আসলে কেমন অগ্রগতি হবে  সেটা জানার জন্য বোধ হয় একটু সময় দেওয়া ভাল। শিক্ষকতার দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় দেখেছি যে কেবল শুরু হলেই শেষ হয় না।তাছাড়া  উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে মেধার একটা ভূমিকা থাকেই। তাকে বোধ হয় অস্বীকার করা যায় না। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন